Saturday, 7 December 2019

কালপুরুষ কমেন্টস

চেহারা তবু বেশ সাধারণ
একটু পরিপাটি
ঠোঁটের কথা খুব গোছানো
মনটা হাওয়াই চটি।

এখন অত মুখোশ বওয়া
নয় কি পরিশ্রম?
চোখ বিচার বদল শেখায়
চশমা পড়ার ধরন!

এই তো তোমার সমাজ
কি-বা তফাৎ তার!
ধর্ষকেরাই শরীর পোড়ায়
এটাই অহংকার...

অনেক হলো দশের কথা
স্বপ্ন বোঝাই ভোরে।অনেক  শুকোয়!

একটুখানি যত্ন পেলেই
ঠোঁটের কথায় ফুরোয়...
আলগা সুখে, ক্লান্ত বুকে
স্বপ্ন গাঁথে সুতোয়...

আমরা তবে নয়কো নতুন
সন্দেহ হয় সেটি,
দেহের থেকে চামড়া লুকোয়
হিসাব পরিপাটি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


শেষ বিকেলের আলো ছটায় সাজবে যেই
এমন সময় সব কিছুতেই প্রেমের রেশ,
ঝুকবে মাথা দুলের ভারে।মুচকি হেসেই
গোলাপ হাতে কোমল চোখে লাগবে বেশ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


কাল সকালের স্বপ্নগুলো
নামবে পায়ের ধূলোয়
সজাগ যত আবেগ আছে
খয়েরি হবে আলোয়...

সবার মনে শেষ হাসিটাই
সময় মতো বাঁচে
রাস্তা জুড়ে ময়লা স্তূপে
তোমার কেউ আছে...



কাল সকালের স্বপ্নগুলো
নামবে পায়ের ধূলোয়
সজাগ যত আবেগ আছে
খয়েরি হবে আলোয়...

সবার মনে শেষ হাসিটাই
সময় মতো বাঁচে
রাস্তা জুড়ে ময়লা স্তূপে
তোমার কেউ আছে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


ভয় লাগে!বড্ড ভয় লাগে।
তুমি আমি সব শব্দ।
চেনা বই পেন...ভীষণ গাঢ় অনেক কাঁটাতার।
ভয় লাগে! বড্ড ভয় লাগে
এমন কোন রাত আসে তুমি আমি বাইপাশে
এপার ওপার সম্পর্ক
বেশ বোঝদার। তবু অবুঝ
সম্পর্ক চোখাচোখি মাত্র।ব্যাস সব শেষে...
ভয় লাগে, রোজ ভয় লাগে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


যেটুকু দিন বাস্তবতা মাখে ভেজা রাতের চোখের জলে,
চরিত্রটা তেমন সাধারণ নয়, নোনতা কোন কথার ছলে।

সময়গুলো যাচ্ছে সরে নরম ঠোঁটে গল্প বলার সাথে,
তৈরি থেকো হৃদয় চিরে লোমশ বুকে রক্ত ঝরা ক্ষতে।

আর দুটো দিন এমন করে গেলে স্টেশনগুলো যাবে কেবল সরে,
হয়ত কিছু খসড়া হাতে করে টাকা ভিড়ে আকাশ দেবে ভরে...

এমন কিছু রোজ হয়নি কোথায়ও পার্কে কিংবা চড়ুইভাতির ঘাটে?
তুমি যাকে এতই ভালোবাসো? তার হাতই আজ অন্য কারো হাতে!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


জটায় ঢেকে নাও শরীর
রয়ে যাও এ-হৃদয় জুড়ে
সে জানে ছাইভস্ম মেখে
বেঁধে নেবে অনন্ত অন্তরে।

খর্গে লুটোবে কালো মেঘ
শান্ত হবে রুদ্র ত্রিশূল
ধ্যান ভাঙবে যুগ পরে
তখন দিও বুনো ফুল।

সাজাবে তোমায় নব সাজে
ফিরিয়ে নেবে অমরত্ব ধামে
মঙ্গলময় এ জগত সংসারে
স্থান দেবে সর্বদা তার-বামে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ওরা কবরের লোক


Saturday, 30 November 2019

মনুষ্যত্ব বিজয়ার শেষে

*মনুষ্যত্ব বিজয়ার শেষে*

শরীরের ভাঁজে উঠে আসা পিশাচ হিংসেগুলো
ক্রমশ ডানা মেলে উড়ে চলে হিংস্র গন্তব্যের দিকে
গোটা শরীরটা চিড়ে ফেলে রক্তাক্ত অভিশাপগুলো।
জবাব দিহির সময়, ফিকে হয়ে যায় একে একে।

বলো একে কি সত্যিই মনুষ্যত্ব বলে! সভ্যতা নাকি
এসব দীর্ঘ স্বতঃস্ফূর্ততা মোমবাতির লালসা যন্ত্রণা
কিংবা ফুটপাতে হেসে খেলে ছুটি দেওয়ার শতর্কী
শত্রুকে গাড়োল শুয়োরের নাড়ি বলাটাও মন্দ না।

যা গোপনাঙ্গের একভাগে গোটা পৃথিবী নিকিয়ে ফেলে।
একবারও ভেবে দেখে না তার ঠোঁটের করুণতার কথা
হেঁচকি থিতিয়ে ফেলা মুখে, গুঁজে আর্তনাদ দূরে ঠেলে
সিগারেটের ন্যায় লিঙ্গ রোপন করে উদ্যোগক্তা দেখায়।

জমা অ্যাশট্রের ছাই ধীরে ধীরে বাতাসে মিশে যায়
দমকা হাওয়ায় আগুন নেভায় আধপোড়া দেহ
সাক্ষী কিছু উদ্ভিদ। দেওয়ালের পোড়া নিশানায়।
নিস্তব্ধ তারাও।ছিমছাম।প্রকাশ্য নির্বাক স্নেহ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আকাশ মেপে চলো সখী


*আকাশ মেপে চলো সখী*


আকাশ মেপে চলো সখী,ফিরতে কে বা চায়
দেওয়াল জুড়ে স্মৃতির ছবি, তোমায় খুঁজে নেয়
এমন কোন গাছের তলায় কয়লা শ্রমের রোশ
মূল্য তফাৎ হাতের মুঠোয় জলের কি বা দোষ।

ভিজতে আসে রঙিন সময় বুকের অন্ধকারে
ঠোঁটের ভাঁজে রক্ত জমায় মিথ্যে অহংকারে।
তাসের মতো মেঘ জমেছে দূরের সে পাড়ায়
গায়ের ওপর মুখ লুকোতে,তোমায় খুঁজে নেয়।

গুঞ্জনই যার নিত্য ব্যাপার তারও শোকে খসে
গানের কথার আলাপ বুঝে ভ্রমর যায় আসে।
ঢেউ উঠেছে বুকের নদে বিরহ কে বা চায়
মরসুমি রোদ কমলা হতেই, তোমায় খুঁজে নেয়।

আকাশ মেপে চলো সখী,ফিরতে কে বা চায়
দেওয়াল জুড়ে স্মৃতির ছবি, তোমায় খুঁজে নেয়(2x)

পায়ের তলায় মাটির ক্ষত আক্ষেপে তার কি বা হে
পশ্চিমে ক্রোধ পূর্বে কোমল,যন্ত্রণা সে রোজ সয়ে
বলো না তাকে ছড়িয়ে দিতে হৃদয়েতে যা চায়
স্বপ্নগুলো মাখতে কাজল তোমায় খুঁজে নেয়।

আকাশ মেপে চলো সখী,ফিরতে কে বা চায়
দেওয়াল জুড়ে স্মৃতির ছবি, তোমায় খুঁজে নেয়(3x)

Thursday, 5 September 2019

*ঈপ্সিতা ২*

একেকটা দিন সকাল সাড়ে
চার আকাশের দ্বগ্ধ প্রদীপের
ইহো রাশিতে...
ইচ্ছেরা ডানা মেলে নীল রঙের
সাথে ছুটে চলে দূরে থেকে বহুদূরে।

যে পথ ফেলে যায় গৃহীত স্বপ্ন
তরী! ঘুড়ি কাটা পূবের রোদে
শুকিয়ে ফেলে, সেতু উদঘাটন মৃত
প্রেমিকের বিষাদ বাদামি
হেমন্তবাহী জাফরান রুটির নিচুমুখ...

এক পক্ষী ঘোড়ায় বন্দি চাঁদের
জ্যোৎস্না আলো রূপোলি
সজ্জায় বৃষ্টিশেষের গ্রামটিকে
ছুঁয়ে বসে।বিন্দু সামগ্রে একাকী
আমি!কিভাবে প্রকাশ হবে তোমার....
কিভাবে জ্যামিতিক মেঘ পাড়া চিনে নেবে।
বৃষ্টি নামবে রাস্তা মোরে!

তখনই সন্ধ্যে গুনে ধীর পায়ে
ফিরে আসো তুমি
ফিরে আসে সকাল
ফিরে নীল রঙগুলো
ফিরে আসে তোমার আমার ভবিতব্যগুলো
একে একে সব ফিরে আসে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কুড়ি দুই বাইশ

*কুড়ি দুই বাইশ*

মেঘ সেজেছে আকাশ বুনে, যেন ময়ূর কন্যা
যারা অফিস ফেরত আসত। তারা তোমার কেউ না।

জলের ছাপে তার ছায়া দেখায়। বড় বড় নখ
আভাসটুকু হাওয়ায় ভাসে। ধূর্ত দুটো চোখ।

মাঝ রাতের গল্পে, পাতার শব্দে শিরার লক্ষ্য
বর্ষা বড় জটিল। গুঞ্জন গাছের ভুমিকা মুখ্য

কাদের আসা যাওয়া কথায় ভেসে আসে তার
সময় ফুরিয়ে যায়! মুছে যায় ফিকে পোস্টার।

ছিলাম বহুকাল শীতের আকাশ। ঝকঝকে দীপ
কুয়াশা ভোরের ফুল ঝরানো, কবিতার স্ক্রিপ্ট।

যাও ফিরে যাও! স্মৃতি মেখে চিরগীত শ্রবণা
শ্রাবণ নিরাশ আজ। মনখারাপ। খুশি কেউ না।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কাব্যনিক

*কাব্যনিক*

আঁধার তবু বেড়েই ওঠে খুব
কথার গ্লাসে অনেকখানি ঢুকে
শেষের রাতে আকাশ থাকে চুপ
অপেক্ষা তার আলোক সীমা হতে।

বাইরে তখন বৃষ্টি সড়ক ছুঁয়ে
জলে সাথে করছে আপন পার।
মনখারাপের বিষয়টুকু সয়ে,
পেয়ালা কাপে চাটুকু দরকার।

গল্পগুলো হারিয়ে যাওয়ার ঋণে
সাজাই দুজন স্বস্তি বিনিময়ে
জমিয়ে দেব হয়ত কোনোদিনে
গানের কথার গোপন প্রকাশ হয়ে।

সফল্যতায় অপরাধও কিছু
চোখের পলক সময়ে পরা ভালো।
তবুও যদি নিতাম তোমার পিছু
বৃষ্টি হতো কাব্য লেখার কারণ।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

আত্মহত্যা

*আত্মহত্যা*

দু'হাতে দড়িটাকে বাঁধিয়ে বীভৎস সাজে
প্রতিশ্রুতির দ্বৈরথ লাল দেওয়ালের গায়ে আমার একটা জীবন
লিখে দেব-মৃত্যুর নামে।
তারপর মৃত্যুর দূরত্বটা  ভালোবাসায়
নুইয়ে দেব সমস্ত জাগতিক অভিশাপে ছাই ভেবে।

আমি ফিরে যাবো-
পাহাড়ের পুড়ে যাওয়া সবুজে তকতকে নিঃসৃত গোধূলির
রক্তিম আভা ছুঁয়ে,
বৈকুণ্ঠ জলে সূর্যাস্তের মনোরম রূপ
চিত্তশূন্য দৃশ্য উপেক্ষা করে, দূরে..বহুদূরে!
পৃথিবী ফিকে হতে হতে তলিয়ে যাবে- গাঢ়
অন্ধকারে!
ক্রমাগত আলোর ভূ-উচ্ছ্বাসে আমার ঝলসে যাওয়া
চোখ জোড়া বুক ডুবিয়ে দেবে ঈশ্বর প্রতি
কৃতজ্ঞতা স্বীকার একটুখানি স্বস্তির জন্য।

অবশেষে এক কঠিন প্রতিক্রিয়া  সমাপ্ত করে আমার অবুঝ
অশ্লীলতাবোধ!
এবং আমার অবিচ্ছেদ্য কৌটিল্য শান্তির কম্পনে,
গাঢ় অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া পৃথিবী ফের জাগ্রত
হবে শেষ নিঃশ্বাসে।

তারপর-
আমার শরীরের পোড়া খাতে পৃথিবীকে বিদায় নিয়ে
ফেলে,
সমুদ্র পৃষ্ঠ ভীষণ উল্লাসী একঝাঁক
পক্ষীর ওড়াওড়ি দেখে আবার মিলিয়ে যাবে
গহ্বর মেঘে ।
পরিবর্তিত তৃষ্ণায় দিগ্বিদিক
একটা সতেজ বৃক্ষ,
অথবা শহুরে সুপথ
কিংবা একজোড়া মৃতকাক হয়ে।

©আরিয়ান প্রিয়স পাল
___________________________

নিঃস্ব রাস্তার বুকে দাঁড়িয়ে আছি

*নিঃস্ব রাস্তার বুকে দাঁড়িয়ে আছি*

শহরের রাস্তা থেকে সোডিয়াম বাতিগুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন সমস্যা উদ্ধৃতি ঘটেছে
তাদের ব্যবহার কমতে শুরু হচ্ছে ক্রমশ আর তার স্থান দখল নিয়ে  নিচ্ছে অন্য নতুন খরচ সাশ্রয়ী আলো।
ধূলো আর ধোঁয়ায় ঢাকা এই শহরে
ব্যস্ততার আড়ালে
মাঝেমধ্যেই এসে দাঁড়াই ওই
সোডিয়ামের বাতির নীচে। অদ্ভুত নিস্তব্ধতা পাই তাকিয়ে থেকে
হলদে-সোনালি রঙের আলোর দিকে,
এই আলোতে কি যেনো আছে!!
ভাবি, খুঁজি, খুঁজে পাইনা
চুপচাপ আলো অনুভব করি,
এই আলোর স্বাদ জানি কেমন,
মাথা ঝিমঝিম টাইপ,
কষ্ট ভুলানো টাইপ।

বিষন্নতার কাছে হলদে-সোনালি
বাতিগুলো রাস্তাদের বন্ধু খুব।
অনেকবার ভেবেছি ছুটে যাই বারান্দার ওপারে।
সোডিয়াম বাতিতে ভবিতব্য ঝুলিয়ে রেখে
ঘন নিশুতি রাতে আঁধার অনুভব করবো আবার
মাঝেমাঝে সোডিয়ামের আলোয় ঘুমিয়ে পরি
হয়ত উঠব না আর
কেন যেন মনে হয়,
একাকী নির্জন রাস্তাতেই
সুন্দর। অপূর্ব মুগ্ধতা। যা আমার চার দেওয়ালে ঘেরা ঘরটায় বেমানান।
ইচ্ছে করে রাস্তার বুকে হঠাৎ শুয়ে পরি
ভাবি এখানেই কোথাও একটি বং দোকান দিয়ে বসে পরি,
চা-বিড়ি বিক্রি করব রাতের আলোয়!
প্রতিদিন তাই হারিয়ে যাই আলো থেকে বেরিয়ে আসা মানুষ গুলোর কাছে৷
এভাবে আমারও আলো মিশে যাওয়া যায় ।
হয়ত না!নাকি সবার গতিপথ এক নয়!
প্রতিদিনের ওঠা-নামার কথা ভেবে
রাতের অন্ধকার কাটাতে কাটাতে
ভুলে যাই,জীবন থমকে যায়।নিঃস্ব হয়ে বসি খোলা রাস্তার বুকে
তারপর খুঁজতে থাকি, পাবো না জেনেও খুঁজি।

মাঝেমাঝে ভুলেই যাই আমার অস্তিত্ব...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নারীর তুলনা

*নারীর তুলনা*

নারীর রূপে আমার আকৃষ্টতা প্রাচীন৷
বিশেষ করে তাদের মুখমণ্ডল৷ ৷
নারীর মুখের চেয়ে অনবদ্য শিল্প কিছু নেই...

মাঝে মাঝে অহেতুক একাকীত্ব ভুগতাম হয়ত ভুগিও... যা কেবল রাতের চোখ বুজে স্বপ্ন জগতে সীমাবদ্ধতায় সমাপ্তি হয় না৷৷
নিতান্ত বোকার মতো তাকে ছুঁয়ে বসি হাতরে আরো সামনে থেকে আরো সামনে৷
তার আঘাত করা কথা-তীক্ষ্ম  চোখের ক্রোধ সহ্য হয়ে ওঠে৷
যা আনমনা খেয়ালে দেখি কোনো পার্শ্ববর্তী উপত্যকা জুড়ে কিংবা নিচু গহ্বরে মতো কোমল হৃদয়ে৷

এর চেয়ে শিহরন চঞ্চলতা কিংবা অনবদ্য আদুরে অভিনব উপহার
আমার মানুষ জন্মে আমি আর কোথাও দেখিনি,
এর চেয়ে নিখুঁত কাজ, সমতুল্য ভাস্কর্য কিংবা অমূল্য নির্মাণ
মিউজিয়াম, অঙ্কনে আর পুরাণ পুস্তকএর কোথাও
আমি তো পাইনি খুঁজে ;।

কী ভাবে প্রশংসা করবো নারীর
তার রূপের চেয়ে আকৃষ্টতার প্রকৃতি প্রমান আর কিছু নেই
কী করে বলবো আমি নারীর মুখের চেয়ে স্মরণীয়
অন্য কোনো নাম!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তখন তোমার ঠোঁট পাবে না

*তখন তোমার ঠোঁট পাবে না*

বৃষ্টি ঝরে দেহের ক্ষতে।লোহা চুড়ের ধুলো নিয়ে
চামড়া ভারে হৃদয় ঢেকে হচ্ছে তাকেই খুঁড়ে লুট
সেবার তবে কালির স্বাদে বিষাদ আতর দিয়ে
নখের নীচে ময়লা জমায় ঠোঁটের কোনায় খুঁত।

তখন আমায় বুঝিয়ে দিও গীতের অভিপ্রায়
বিশাল আকাশ বিশেষ কারণ প্রশ্ন শুধু আমির
ওই দেখো ওই দ্বগ্ধ গাছও মৃত্যু অপেক্ষায়
স্পন্দনে তার শরীরের ঘামে,উড়ান আগামীর।

কী ভেবেছো জলের ঘরে প্রবেশ নেবে ভিজে!
তুমি হবে তারই ছায়া থাকবে বিবেক ছুঁয়ে 
খালি হাতে মস্ত পাথর। রক্ত ঝরায় সে যে
লক্ষ্যণে তো শিরায় থামে।শুধুই দেয় চিনিয়ে।

গলছে বরফ।অক্ষশালা।আগুন চিঠির বয়ান
চাদর মুড়ে মেঘলা চুলে চলুক সুতো গোনা
যখন একে স্মৃতি বলে।বলে বিষাদ গান
আমার খবর তোমার ঠোঁটও তখন পাবে না।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নরম চিঠি

*নরম চিঠি*

কী ভেবেছো জলের ঘরে প্রবেশ নেবে ভিজে!
তুমি হবে তারই ছায়া থাকবে বিবেক ছুঁয়ে 
খালি হাতে মস্ত পাথর। রক্ত ঝরায় সে যে
লক্ষণে তো শিরায় থামে।শুধুই করাত ঘায়ে।

গলছে বরফ।অক্ষশলা।স্মরণ চিঠি গোনা
চাদর মুড়ে মেঘলা চুলে চলুক সুতো টান।
তোমার কথা আমার ঠোঁটে তখন যাবে চেনা
যখন একে স্মৃতি বলে।বলে বিষাদ গান!

সেবার হল কালির স্বাদে বিষাদ  আতর কেনা
চামড়া ভরে হৃদয় ঢাকা ময়লা জুতো দিয়ে
নখের ভেতর স্বপ্ন জমে হয়না তাকে চেনা
কে বলেছে আসবে সেও বার্তাটুকু নিয়ে।।

কথায় আমায় বুঝিয়ে বলো গীতের অভিপ্রায়
বিশাল আকাশ।বিশেষ কারণ প্রশ্ন শুধু স্থির।
ওই দেখো ওই দ্বগ্ধ গাছও মৃত্যু অপেক্ষায়
স্পন্দনে তার শরীরের ঘামে,উড়ান আগামীর।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাহারী শরৎ

*বাহারী শরৎ*

এমন দিনে বৃষ্টি হবে এটা ভীষণ দোটানায়
তোমার কাছে থাকলে বোধহয় এমন হতো না। 

শ্রাবণ দিনে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়াও ভালো,
যেতাম কোথাও হারিয়ে যেমন ধোঁয়ার গড়ন কালো।

কোথায় যাবো! অরণ্যেতো কষাই জনক লোক!
রোদ নিকানো গাছের ছালে আঘাত করার শোক।

মাঠ জুড়েছে হালকা ভারী শরৎ কাশেরা
আগমনী আসলে পরে পাবে আদর ওরা।

জানতো কেবল পরিশ্রমে নেইতো অনীহা
চোখের তারায় কাজল রেখে সাজেই মনিহার!

সে আর এখন ঠোঁটের কোণায় রাখবে না জোছনা!
একসাথে থাকলে বোধহয় এমন হতো না।।

সমদ্দরে বৃষ্টি থামুক সেজে উঠুক বাহারী উৎসব,
ঢেউ তো রোজ আসে যায়। সহায়ক সূত্র বাস্তব।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

এমন দিন

*এমন দিন*

স্বপ্ন দোষে বৃষ্টি ঝরে
গাছ ঝুঁকিয়ে ভেজায় মাথা
গল্প শেষে অবাক করে
বাতাস,মেঘে ওড়ায় ছাতা।

কোথাও তেমন শোরগোল নেই
আজতো "রাখি"।দেশ স্বাধীন
ভাই বোনেদের বন্ধনে সেই
খুশির প্রদীপ জ্বালুক এদিন

বৃষ্টি যেন আলগা সুতো
খাস বালুচর যাচ্ছে ভেসে
ড্রেনের জলও নদীর মতো
রাস্তা ঘিরে আবার মেশে।

ছোট্ট কিছু কুকুর ছানা
ভিজছে দেখি দোকান ঘেসে
রাখির ভাজে গন্ডি টানা
আলপোনা দেয় কার্নিশেতে।

আকাশ ভেঙে উড়িছে ধজা
জয়ধ্বনি আর কাঁপছে দেশ
মান খুইয়ে হাসছে সে-যা
রক্ত খিদেয় সব-যে শেষ।

স্বাধীন বোধহয় চরিত্রে না
কার অপমান কাকে দিয়ে
রেওয়াজ ছাড়া সুর জমে-না
হাতের মুঠোয় স্বপ্ন নিয়ে।

আমরা স্বাধীন বলতে হলে
কি উপহার দেবেন তবে
গাছ গুড়িয়ে।কাটতে বলে
গাছ বাঁচানোর খোদাই হবে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেহের মতো

*দেহের মতো*

বৃষ্টি ঝরে দেহের ক্ষতে। লৌহ ধুলো নিয়ে
চামড়া ভারে হৃদয় ঢেকে জুতোয় মেশে লাশ
সেবার তবে কালির স্বাদে বিষাদ করা আতর দিয়ে
নখের নীচে ময়লা জমায় লুকায় ঠোঁটের তাস।

কথায় আমায় বুঝিয়ে বলো গীতের অভিপ্রায়
বিশাল আকাশ।বিশেষ কারণ প্রশ্ন শুধু স্থির।
ওই দেখো ওই দ্বগ্ধ গাছও মৃত্যু অপেক্ষায়
স্পন্দনে তার শরীরের ঘামে,উড়ান আগামীর।

কী ভেবেছো জলের ঘরে প্রবেশ নেবে ভিজে!
তুমি হবে তারই ছায়া থাকবে বিবেক ছুঁয়ে 
খালি হাতে মস্ত পাথর। রক্ত ঝরায় সে যে
লক্ষণে তো শিরায় থামে।শুধুই দেয় চিনিয়ে।

গলছে বরফ।অক্ষশলা।আগুন চিঠির বয়ান
চাদর মুড়ে মেঘলা চুলে চলুক সুতো গোনা
যখন একে স্মৃতি বলে।বলে বিষাদ গান
আমার খবর তোমার ঠোঁটও তখন পাবে না।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আবার বিসর্জন

*আবার বিসর্জন*

কোঠার আড়ালে প্রতিদিন বিসর্জন হয় হাজারও প্রতিমার ।
দালানের ঘরে লুকিয়ে বসন্ত আদর ফলক নামায় টেনে।
কিছু কথা থাকে,শেষ না হলে, প্রয়োজন পরে উপমার!
মাটির ওপর রঙ ঝকঝক করে। সেও জলে মিশবে জানে।

সাত ভিটের পুরুষত্ব পরিমাপক শরীর খেলার গল্প বলে।
যা আমাদের কঠিন প্রলাপ ছাই হয়ে ছড়াবে বিষাক্ত স্মৃতি!
সেখানেই সহবাস করে আপাদমস্তক শাড়ি ঢাকার ফলে-
অস্ত্রে ভরায় বিলিন হওয়া লিফলেট,আক্ষরিক প্রকৃতি।

ইটের মলাটে বৃহৎ ঘর আসলে শরীর নিকায় প্রতিদিন
মাটির তলার জীবন।সীমা নেয় বাতাস ছোঁয়ার গুঞ্জনায়
যেখানে আভাস নেই।সন্ধ্যে দিগন্ত বিস্তৃত। বিপথ বিলীন!
দেওয়াল জুড়ে দিন থেকে দিন ক্রমাগত জানালা হারায়...

কান্না ছোট হতে থাকে।তোলো কাঁধে তোলো সব সাজ!
শিখল স্বভাবে জড়ায়।প্রেম শুধু জলে দাও আজ ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তোমায় ছোঁবো বৃষ্টি হয়ে এসে!!

*তোমায় ছোঁবো বৃষ্টি হয়ে এসে!!*

তোমার সাথে হাঁটছি অনেক পথ
কমলা সকাল।বসত বাড়ির ভিটে
যদিও আকাশ মেঘলা।শ্রাবণ।শরৎ।
বসতো ঘরের চওড়া উঠোনেতে।

নেহাত তুমি তাকিয়ে আমার দিকে
ঠোঁটের কোনার কালার ন্যাচারাল
কোলাজ হাসি ভাসতো যখন চোখে
খুনসুটি সব সমান নাজেহাল।

পিছন দিকে তাকিয়ে যখন খুঁজি
পায়ের দুপাশ জলের সাথে ধসে
তবুও তোমায় ডাকছি বলে সুজি
তবেই চোখে কাজল পালক খসে

বিকেলগুলো আপন যদি হতো
মেঘ কুড়োতাম তোমার সাথে বসে।
খয়েরি গাছে ফুল কি কথা দিতো
তোমায় ছোঁবো বৃষ্টি হয়ে এসে!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুদীপ্তা দি




সুদীপ্তা দি

লবণ জলে মাখিয়ে কাজল,চোখের কোনায় জড়াও
আজ তবে এই মেঘলা দিনে বৃষ্টি কিছু ঝরাও।

নীচুতলার একটি ঘোড়া পক্ষী আকার নেয়
তোমায় নিয়ে আকাশ হারায়,সাগর পাড়ি দেয়।

এমন কোন বিকেল হলে বিষাদ বাদামি
স্মৃতিগুলো চশমা ভরায়।ঝাপসা হলেও দামি।

সেতুর জলে সেই যে চাঁদ!দোষ দেবে কি রাতের,
কয়লা ফাঁকে হিরের আলোও জোগান দেবে ভাতের!

না তবে তো এমনও হয় একটু সময় ছেড়ো
অপেক্ষাতে সবাই আছে!আপন হয়ে ফেরো...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্তরালাপ ১ ও ২



ধীরে ধীরে বইছে মিষ্টি বাতাস
সব আকাশ একে একে নমলো
যেরকম ফিরে আসে তারাদেব
সেরকম পৃথিবীও সয়ে সয়ে গলছে।

কী দারুণ ফুটিয়েছে ফুল-মেঘ
ধাপে ধাপে গ্রহরাজ ক্ষচ্ছে
তোমার পায়ের তলায় যে মাটি
রক্তের লালে দূষণতা বাড়ছে

পৃথিবীটা যেন এক মহামারী। ফুঁসছে
রশ্মি যে আরো বেশি,আরো বেশি
পৃথিবীকে গিলছে।যেটুকু বেঁচে আছে
গাছেরাও অসহায়।তাদেরও গর্দান যাচ্ছে।

যাকে বলে স্তর ভেদ।পরিমাপ পরিহাস
সেও তো!হ্যাঁ তবে ক্ষতে ক্ষতে নিভছে
কে বাঁচাবে এ জগত।প্রকৃতি।পাখি।পশু?
নাকি প্রতিযোগিতা! মানুষ নাকি মনুষ্যত্ব উর্ধ্বে।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

*স্তরাকাশ*

পিঠ ভেজা শান্তনা
বেহিসাবি আনমনা
আলোর সময় গোনা মেঘ

কী ভাবে ভুগছে
পৃথিবীটা ধুঁকছে
দিগন্ত দুঃখে নেওয়া পেগ..

বায়ু জল সরে যায়
দূষণতা ভরে দেয়
সমাধান শুধু কি আজ করজোরে!

প্রতি স্তরে পাঁচ ভাগ
ট্রপো,স্ট্রটো আরো থাক
ত্বক ভাঙে।ছানি জমে অক্ষরে।

কেউ জানে কি আছে
মেরুজ্যোতি(প্রায়)নিভে গেছে
মাথা ঝুঁকে জেগে আছে রোদ্দুর

সব গাছ মৃত প্রায়
নিঃশ্বাস নিরুপায়
ধ্বংসটা যেন ঠিক কতদূর?

বই পড়ে মেধাবী
বাকি সব আদতী
স্তরভেদ থেমে আছে ক্ষওয়াতেই

ছাদ নামা ওআকাশ
ক্ষয়সারি মহাকাশ
এ লেখা দূষণতা রুখতেই

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Saturday, 31 August 2019

আমার কলেজ



পুরোনো সমীকরণ ফেলে এসে,নতুন পথে আজ
গোটা কলকাতা তোমাকে উপলক্ষ্য করে ঘুরেছি আমি।
প্রথম প্রকৃতি দর্শন,কতটা যৌক্তিক এ সমাজ
তোমার সাথে সঙ্গ দেওয়া বইয়েই সীমাবদ্ধ!অধিকারগামী।।

প্রথম ক্লাস।নতুন জীবন।স্বপ্নেরা ফিরে দেখে
অভ্যস্ত শহর।বইয়ের পাতা।ফেলে আসা স্কুল আগেকার।
দেওয়াল জোড়া মানচিত্র বলয়।আটকে থাকা পেরেকে,
ধাবমান সিড়ি নেমে আসে।থেমে থাকা অপেক্ষার।।

কালের ধৈর্য্যে ,বয়ে চলেছো কত স্মৃতি মুখ-বুজে ।
পুনশ্চ শতক।এ আমার সব নমুনা মনে হয়।।
এ জনসমুদ্র,প্রিয়।আমার প্রথম বছর কলেজে ।
যেন নতুন কক্ষপথ ।নীল-আকাশে বেঁধে ফেলেছি সময়।।

ক্যান্টিন।ব্যালকনি হঠাত ফিরে আসা,পথ চিনে নিতে,
ফিরতি স্কুল।যৌবন কলেজ।সবটাই মিশে আছে কফিতে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আমার শিক্ষক



আমার শত সমুদ্র অভিযান জ্বলে পুড়ে খাক হতে চলেছে
ডুবে যাচ্ছি আমি। ক্রমশ শেষবারের মতো আকাশের প্রতি
আমার সমুদ্র শান্তি প্রার্থনা করে, তুমি জেগে থেকো সারারাত
জলের বিছানায় ইশারা বুনে মুহূর্তের ঢেউয়ের অবনতি।।

"মা" আমি তোমাকে মেনেছি আমার প্রথম শিক্ষক। 
দেখো কতটা ভারী কথায় বড়শি বদ্ধ করেছি মাছেদের
ডানা কাটা স্বপ্ন মনুষ্য উক্তির অদ্ভুত প্রেরণা মাত্র,  
মন জুড়ে সরূপ অবিকল, কেউ যদি ফিরে আসে ফের।।

এই যে পাহাড় যার চূড়ায় তুমি অবস্থান করো।চোখ মুছে।
আমি সাঁতারের নকশা একে সূত্রে গোছাই পদ্ধতিসকল।
মায়ার রাত্রি তোমার চোখের অন্ধকারে।অথচ
মৃদু উদ্দেশ্যে উদ্বিগ্ন মনে অাশকারা পাচ্ছে সমুদ্রে কোল।।

এই উদ্বেগ বহুবার।সীমাহীন সমস্ত দায়।
শেষ কথা দিয়ে তোমাকে মনে ধরার একমাত্র উপায়..

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Thursday, 4 July 2019

সন্দীপ

বাতিল হওয়া শুক্তো জামাকাপড়
শুভমহরত আবেগ খুঁজে নেয়
ক্লান্তি ভুলে ব্যস্ত পাড়ার মোড়
শরৎ মেঘে ভিজছে চিলেকোঠায়

কাগজ মোরা কাটিং কাচের প্লেট
গুমোট বুকে তন্দ্রা নাভিশ্বাস
জ্বলছে কাঠে নেহার ফায়ারপ্লেস
জড়িয়ে ধরে রুমাল মেঘের মাস

হয়ত তোকে শ্রাবণ এলে আঁকে
তাই এতটা শব্দ জোড়ার ঘোর
স্বপ্নগুলো জমছে ঠোঁটের ফাঁকে
ধারণাগুলো খুব খেয়ালি তোর।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিধান


বিন্দু জলে ঠোঁটের কোনা ধুয়ে
নীল জোনাকি গন্ধ চেনার আজ
লোকাল ট্রেনে হেলান রডে শুয়ে
চশমা ফ্রেমে গরম কফির সাজ।

আস্ত ভোরে ঘুমের সময় ছাড়া
বালির চড়ে বাতাস নিরুপায়,
খয়েরি গালে খোঁচা দাড়ির পাড়া
নতুন বাঁধে ছোট্ট বটের ছায়ায়।

পুচ্ছ প্রেমে প্রহর গোনার লোক
শিঁকড়ে কেটে গানের কথায় নামে
প্রশ্নে আগুন রাতে মতো চোখ,
ঝড়ের আগে ধুলোও এসে জমে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শারদীয়


গাছেরা চলছে,জলেরাও চলছে,এসব ভেবে আজ
শহুরে আয়নার ফ্রেমে চশমায় থমকে আছি আমি
পূজোর ছটায় কল্পনার পাঁচালি পেতে বসেছে সমাজ!
জিভের মানচিত্র ক্যালেন্ডারে শারদীয় অভ্যুত্থান অধিকারগামী।

আমিও ঘোড়ার চাকার আওয়াজে জন্মান্তর ছত্রাক দেখে
খুঁজে মরি বিন্দুগামী ভাঁজে জমে থাকা অধিকার
কাশফুল ভাসে বাঁশের ক্ষতে কাপড় আটকানোর পেরেকে
ধাবমান গন্ধটা শিউলির স্বাদে ঠোঁটেঠোঁট গাঁথে অপেক্ষার।

তাহলে কি শৈশব ঢেকে আছে যৌবন অনুভূতি বুঝে!
পুনরায় রাজপথে জীবজ জোনাকির মৃত্যু হয়
জনসমুদ্র ঢেকে যায় গাছপাতা খয়েরি,সবুজে
আগমনীর ধ্বনি,দেবী গৌরী মর্ত্যে আসলো মনে হয়।

কাঁসর,বাদ্যি,ঢাকে হেঁটে ফিরি রাস্তা চিনে নিতে,
কবিতার শেষে ক্ষণিক হাসে,সীমা চায়ের কাপে,কফিতে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Friday, 28 June 2019

অল্প কথা

১.

রাতের পথে জোনাকিরা
বেনামী সুরে গা ভাসিয়ে দেয়
নিহত জ্যোৎস্না উদ্দেশ্যে..
শিকড়ে ভেজা আকাশ দেখে তুমি বলে ফেলো
নিরাপদ সড়ক দিবসের কথা...

ছাইদানি ভরা অ্যাস্ট্রের মলাটে রূপোলি আলোর ছটায় অতিথি
তারারা পরাগ খুঁজে বেরায়
আমিও তাদের উদ্দেশ্যে গল্প
লিখি বার বার....

রক্তিম চুম্বনে আবির ছড়িয়ে যায় আষাঢ়ে ঝিঝির দল...লাল মাটির
বুকে বিনিদ্র রজনীরা নিস্তব্ধ আদরে লুটিয়ে পরে প্রহরীর নিশিঅঙ্গে।

তুমি রাত জেগে ছিলে কাল!যখন ক্লান্ত ঝিলে মুখ ডুবিয়ে জল
খাচ্ছিলো অসহায় গাছেরা.....ঠিক তখনই,সন্ধ্যে ঠোঁটে আঙুল ছুঁয়ে
ইঙ্গিত দিয়ে যেত কোন ধ্রুবতারার ফিরে আসার কথা।।

২.

অমাঙ্গলীক বাটারসুপে পেনড্রাইভ গুঁজে নিহত মেঘ নামা শহরের ব্যস্ত মানুষগুলো জীবনের কৈফিয়ত নোনাজলে ডুবিয়ে ঠোঁট মৈথুন সমমাত্রিক পুরুষালি ঢঙে ঘুমতাম অশান্তি সাজিয়ে ফেলে রাতারাতি নারীত্বের অভিষিক্তা সরূপ কথা শুনে বেশ লাগলো.... যা কি না তোমার তরফের প্রাপ্তি বলে চালিয়ে দিতেও পারি....

৩.

অপচয়ের সেতু ভেঙে মধুবালা ঝিলিকে আগুনের ভাষায় চাঁদের ছায়া বৌঠানী সন্ধ্যার হাবুডুবু খেয়ে জ্যোৎস্নায় রাত নেমে আসে গোলমরিচ আলাপে পাউরুটি পোড়ার গন্ধের সাথে। সামান্য জেলি মেখে থালায় সেজে ওঠে অনিচ্ছুক সত্তেও! পেটে ঢোকার অপেক্ষা মাত্র....❤

এক বাবার কথা

চাঁদের গায়ে আকাশ থেমে যায়,
হঠাৎ আসে মেঘলা কোন ঘোর
ঘামের সাথে আপোস করে নেয়
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।

বাতিল গেছে চিলেকোঠার ছাদ
স্মরণে আসে নিহত ডটপেন
কঠোর শরীর,শক্ত চেটোর হাত
বুক পকেটে গল্প বাবর-হুসেন

মায়ের খেয়াল কঠিন হয়ে যায়
রাত তখনই দশটা বাজে সবে,
রুটির সাথে হালকা মেজাজ নেয়
দিনের শেষে ক্লান্তি যখন শোবে।

নেহাত বাতাস ফুলের কাছে আসে
জামার নীচে ঠাওর করা ঘোর।
বৃষ্টি এলে মাটির কাছে ঘেঁষে
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।।

কাজের ফাঁকে মুচকি হাসে চোখে
দেওয়াল ঘেরা লুকোনো অবিশ্বাস
খাতার ভিড়ে প্রকাশ হবে দেখে
সন্ধ্যে আলোয় ডুবিয়ে রেখে যাস।

এবার বলি অজানা এক পাথে
খাওয়ার দিকে ভীষণ হুঁশিয়ার
ভাতটা নেবে ডালের সাথে মেখে
মাছ ডিমেতে তারিখ মাপা তার

পরের দিকে শ্রাবণ এলে মনে
জবাব বুঝে স্মৃতির হবে ভোর
বিরোধ এবার ধোঁয়ার বিচার চেনে
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

মূহূর্ত(আরো এক)

তোমার সাথে পথ চলেছি বয়স থেমে সাতাশে
গাছের পাতায় আপোস রেখে ভাসছি দুজন বাতাসে।

বললে তুমি "কয়েক মাসে হয়েই ছিলাম একা যে",
অনেক কটা দিন পেরিয়ে অবশেষেই দেখা যে

ঘাটের ধারে বেঞ্চিগুলো দেখেই বলে-"কেমন আছো"?
সেদিন এলে ধড়ফড়িয়ে,আজ তবে কি ঠিক আছো!

পা চলেছে ট্রাম লাইনে, কোলকাতারই কিবা দোষ,
তুমিও বলো কনুই মেরে "সুন্দরী যায়!কি আপসোস"!

খেয়াল হলো তিনটে তখন,মেঘ জমেছে মাঠেও
ফেরার তাগিদ বাড়ির এবার,সময়,স্মৃতির সাথেও

হাতের মুঠোয় স্বপ্ন রেখে অপেক্ষা আর কি বা হে
শেষে বেলার এই দেখাটুকু দিগন্তেরই সীমাহে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

লীলাঙ্ক


অভিসারে দুলে ওঠে মন। অন্ধকারের থেকে নীচে
কথা তো অবুঝ নয়। বদলাতে চায় মেরুহীন ছায়াপথ
আর বেনামী আক্ষেপ বেয়ে নেমে আসে কুটিল বিছে
চরিত্র বদলের সিঁড়ি ধরে ফিরে যায় অতিকায় বট।।

তুমি কী হৃদয়হীন! করেছো কি সম্পর্কে সামান্য সুরাহা?
নাকি সাময়িক সম্ভবনা? মহাকাশ দেখে ফিরে আসা ঠিক।
কেবল আলোর গন্ধ খুঁজে চারপাশে বেরোচ্ছে লাভা
তুমি কঠোর হচ্ছো আরো। হয়ে উঠছো আজন্ম শরীক।

জনশূন্য প্রান্তরে যে বিরহী দেহ চৌকাঠে পড়ে থাকে!
ততক্ষণে গল্প হলো শেষ। নেওয়া বাকি রক্তের রসিদ।
রেলিঙে হাতের ছাপ। কার্ণিশে তারিখের সীমারেখে
অভিমান বদ্ধ বহুকাল। কারণ তুমি তো ইতিহাসবিদ।

প্রথম সে দিন। এখনও সে চিঠি হৃদয়ে ভেসে ওঠে,
অভিযোগ খেলা করে। পাঁচিলে ঘেরা কলেজের মাঠে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

ঋণাত্মক

আমরা হঠাৎ শূন্য থেকে নেমে যাবার সময়,কতরকমের
বাধা অতিক্রম করি অনায়াসেই। কেবল লালচে গোধূলির
সন্ধ্যাগুলো মরুআক্ষেপ বিছিয়ে একান্ত স্বভাবের জের-
ফুটিয়ে রাখতে শুরু করে মাটি চাপা পরা নিদর্শনগুলির।

ঘোড়ার ক্ষুরের নীচে রোমাঞ্চে অনুভবটুকু রেখে
খোলা মাঠে ইচ্ছে রোদ শোকাতে আর কুয়াশার নিরীহ
যন্ত্রণা ক্রমাগত একের পর একে মেশালে মৌমাছির ঝাঁকে,
অতঃপর মেঘ কালো করে আসে। ঝড়,বজ্র-বৃষ্টি সহ।

বাতাসে সীমাহীন সেতু ভেসে ওঠে,তার নিজস্ব মলিনতা
ক্রমশ চৌকাঠের মতো ধারণায় অদৃশ্য হয় মহসীনের।
তখনও তো তোমার পায়ের শব্দে বাঁশ,কুঠার,বটের জটা
সাজিয়ে অপেক্ষায় মেঘরাত ডোবা দিগন্তের শেষ দিনের

অনেকটা নীচের দিকে জামায় লেগে থাকা জোনাকিরা
সীমিত প্রলাপে জ্বলছে,দাম্ভিক রশ্মির আলোয়।
তারই গভীরে যে মাছ খেলা করে, তাদের উপশিরা
রক্তাক্ত হৃদয় চিরে দিতে হাত ভরে চটচটে আঁঠালোয়।

যা পরে আছে দেহের ভেতর,তা শুধুই সময়ের নীতি
রাত ঘামে চাঁদের আলোয়,গল্প, দৃষ্টি,অভিমান প্রভৃতি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পরিচয়

ফিরে এলে বোলো,কি ছিলো তার নাম
চেনা পথ ছায়া ঘেরা,সেই ছোট্টবেলার গ্রাম।

মনে করি!

বাইরে বৃষ্টি মেঘ।নির্জন বারান্দায়
এখনোও ছায়ারা আলোকে মিশে যায়?

ভয় করি।

হাওয়াতে তাপের রেশ,যদিও জৈষ্ঠো মাস
রাতে গন্ধ জলে ভেজে।ভর্তি মদের গ্লাস

অসম্ভব।

জানো!তার মৃত্যু অতটা সহজ নয়
দিগন্তে যেভাবে প্রতি দিন শেষ হয়

অবাস্তব।

তুমি ঘরে ফিরে বলো কাল শ্রাবণ মাস
মনের বাঁধ ভেঙে কুটিরে থেকে যাস

বিদায়।

দেখেছো চারিদিকে শোক মিছিল।মরুমায়া
আকাশে কালো মেঘ আর মাটি আলো ছায়া।

বিদায়।

যদিও যুদ্ধ শেষ বাড়বে মনের দাম
তুমি ফিরলে বোলো,সে ছিলো কোন গ্রাম।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

এ' বেলা

জানি কাল সকালে আমিও চলে যাবো
থেমে যাবে নীলাকাশ,তোমারও দেওয়া প্রথম
রামধনু মেঘ আর হাতে হাত ছুঁয়ে থাকা
সময়।

তুমি তো জানতে,আমি অবুঝ তখন
প্রতিযুগ ফিরে দেখি বারে বারে।
থমকে যাই ছবির দিকে।প্রতিদিনের
মতোই হয়।

মিশে যাবো পথের নীচে।পায়ে চেপে ঘাস,
মাটি,চারা।হাওয়ায় এসেছে তারা।আবার
এমন বিকেল যখন চোখ ঢেকে সব
সয়।

অজানা রাতের গন্ধ মাখে নতুন ভোরের
শিউলি কুঁড়ি।ভেজে শরীর।দিগন্ত,মহাদেশ,
জলরাশি।বসন্ত আদর আর ঘুমিয়ে
থাকা সংশয়।

তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্তব্ধ হবে  সৌর কিরণ।
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় অভিসারী হতে আক্ষেপ মেখে
নতুন সকাল সাজিয়ে তুলবে
নিশ্চয়।

এ শহর চেনে না আমায়।জানেনা,বোঝেনা
আমার না বলা কথাগুলো।নিরবে ফেলে
যাই শৈশব।থেমে থাকা শব্দ রেখা-তারিখ
অক্ষয়।

এ আমি কোন আমি।অভিসারই বলে তাকে
রেখে যাই ছুটির খবর।অজানা নাবিকের ভিড়ে।
ধূপ তো সবাই জ্বেলে থাকে।তবে কি তাদেরও
স্বপ্নও জ্বলে যায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনুগত

এখন বিকেল খুব সাধারণ,প্রেমের মতো নয়
পাথরগুলো কাদায় ভেজে তেমন কিছু নয়
সময় আসে বৃষ্টি হয়ে, ঘর ভাঙানোর ভয়।

বৃদ্ধ পাতা ঝরতে থাকে,গাছের তবু শোক
আমার কাছে সবটা জুড়ে আবেগ ঘেরা শোক
সত্যি তুমি নিজের ভুলেই হারিয়ে যাওয়ার লোক?

এখন আমার স্বপ্নগুলো অন্যরকম নয়
কথার ফাঁকে মুচকি হাসি।এসব কিছু নয়
জানো শ্বেতা আমার ঠোঁটও তোমায় ছুঁয়ে নেয়।

আবির মাখে হলুদ লালে,হিসেব গড়া মনে,
আমরা দুজন হারিয়ে যেতাম খয়েরি,সবুজ বনে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আত্মানুরণন

নতুন জীবন,কাঠের শরীর,পুড়ে ছাই হয়,পরকীয়া
দিয়েছ ক্ষতের দাগ। সঙ্গ বিলাপ। এমনই ভেবেছি যখনই -
ফিরেছি আলোকবর্ষ প্রেমে।তিলে তিলে। মনোনয়না,
দিগন্ত মরীচিকা।আমি তোমার বিপরীত।অখন্ড অভিমানী।

রাতের নিশান মনে গভীর থেকে গভীরে ঘোরাফেরা,
কাপড়ে বদ্ধ আঘাত পাথর মনের সীমাহীন চেতনা....
কাল ভুলে মিশে যায় শিরায় শিরায়।কোথায় তারা?
গুহা ছুঁয়ে ফেলেছে তখন।আর বিরামহীন ছলনা।

আমি শেষ হব।আসবো জ্যোৎস্না লজ্জার কোন দিনে
সিঁদুরে বিস্তৃত মেঘরাশি ক্রমশ ছোটে।যেন ধূমকেতু...
আর পিঁপড়ের ডিমে টিকটিকি গোনা,পাগলামি জেনে
আধো কথা।মৌনঘড়ি।আমি তুমি নিরাপদ যেহেতু।

বন্ধ হওয়া দম।অশনাক্ত ছোঁয়া থেকে জেগে ওঠে যে খনিজ,
মহাশূন্যেই শেষ নয়।কালোদাগ জমে আছে।থেমেছে বীজও।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 24 June 2019

শ্রুটি নাটক

প্রোমোটারের বউ  :- কি পড়ছো এতো মন দিয়ে?

প্রোমোটার :- এই নতুন বিল্ডিং এর প্রজেক্টাটা এক দেখছি কাগজ পত্র ঠিকঠাক আছে নাকি..

প্রোমোটারের বউ :- ওওওওও তো এটা তোমার  পঞ্চাশ নম্বর প্রজেক্ট তাই না?

প্রোমোটার:- হ্যাঁ।তাই কি নাম দেবো ভাবছি!

প্রোমোটারের বউ:- নাম দাও "অর্ধ শতক"..

প্রোমোটার:- শুনছি ওদের এক শরিক প্রকৃতি প্রেমিক সঙ্গে তার মেয়েও।বলে নাকি ওরা গাছকে খেতে দেয়।

প্রোমোটারের বউ :- হা হা হা...বলো কি!গাছের আবার মুখ আছে নাকি।যে সে খাবে?আজব পাগল সব।

প্রোমোটার:- তা যা বলেছো!মানুষ থাকার জায়গা পাচ্ছে না আবার থাকার জায়গা.....

২.

সনাতন বাবু:- কি রে মালতী খাবি আয়...এতো বেলা হলো..ওদের(গাছেদের) এবার ছাড়।

মালতী :- সে যাচ্ছি।আগে বলো তুমি ওদের খাবার জোগাড় করেছো...কতো করে বলি ওদের একটু করে জল দেবে।অর্ধেক গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কি যে করো তুমি

সনাতন বাবু:- সে দেবো বলছিতো।তুই এখন খাবি চল

মালতী:- আচ্ছা চলো যাচ্ছি।

বাবা আর মেয়ে হাত ধরে এগিয়ে চলল ঘরের দিকে।

মালতী দালানের দোললায় বসে পরল...

সনাতন বাবু গাছে হেলান দিয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলল 
:- এ বাড়ি এই গাছ হয়ত একদিন থাকবে না।তোর কাকারা বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে দিয়েছে কমপ্লেক্স বানাবার উদ্দেশ্যে।

মালতী:- রেগে বললো। বলো কি!তুমি কিছু বললে না?তারা তাদের জায়গায় কমপ্লেক্স বানাক।আমাদের জায়গা আমরা কি করবো আমরা বুঝবো।আমি এ গাছ কিছুতেই কাটটে দেবো না।
এরপর কথা বলতে আমায় নিয়ে যাবে,আমি কথা বলবো...

সনাতন বাবু:- তুই কথা শুনবি না।আচ্ছা আমি ঘরে চললুম।

মালতী দোললায় দুলতে দুলতে কিছু লাইন কবিতা বলতে শুরু করলো
"যেমন নিশুতি রাতের চোখে ক্ষত
যেমন ফুলের আড়াল ঘুমিয়ে পাখি
যেমন সুদিন বাঁচে স্বপ্ন মায়ার মতো
তেমন ভাবে নূপুরের তালে পথ চলেছে সখী ৷৷

তুমি ছিলে কোনও বিদ্রোহী অগ্রদূত
অসময়ে শত কন্ঠে বাজে তোমার চেনা সুর...
সাহসের কাছে যেরকম তুমি অচ্ছুত
ভালোবাসার লেখা তোমার দুরত্ব প্রচুর

আমরা জানি না কী আছে রাজনীতি শেষে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার৷চাই  কলমের ধার
আপাতত এই ক্ষুধায় কাঁতর দেশে
মৃত্যু পাক অনাচারীর আঘাত, থামুক হাহাকার ৷

কেউ তো জানে না,ভাঙন নদীর তীরে
কিভাবে মৃত্যু সরিয়ে কবিরা আবার বাঁচে
কেবল ভেবেছি মনখারাপের দারে
হেঁটে চলে যাই তোমার ছায়ার কাছে।"

এদিকে প্রোমোটার হালকা চিন্তায় পরলো...কি করে বাপ মেয়েদের উচ্ছেদ করা যায়।

প্রোমোটার এলো এক মস্তানের কাছে

প্রোমোটার :- চন্দন আমায় একটা কাজ করে দিতে হবে।কটা গাছ কেটে দিতে হবে।

চন্দন:- আমার কাছে মানুষ,গাছ দুটোই এক কোপে নেমে যায়

প্রোমোটার:- না সেরকম কিছু  না ,প্রথম বাড়ির মালিককে ভয় দেখাতে হবে না শুনলে গাছগুলো
কেটে দিবি।
এ নে চেক তিরিশ হাজার টাকার।লাগলে আলো দেবো।কিন্তু কাজটা হবা চাই।


পরদিন প্রোমোটার লোকজন সনাতন বাবুর বাড়ি যায় লোকজন নিয়ে

প্রোমোটার:- সনাতন বাবু ও সনাতন বাবু একটু বাইরে আসবেন।দরকার ছিলো

সনাতন বাবু:- এই তো আসছি ।আপনারা ঘরে আসুন না!

প্রোমোটার:- না ঘরে যাবো না।এখানেই কথা বলি। তা এরকম গাছ আগলে পরে থাকলে হবে?মেয়ের বিয়ের বয়স হলো মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে তো।আর  কমপ্লেক্স এ থাকলে তাতে তো আপনারই সন্মান বাড়বে তাই না!

সনাতন বাবু:- কমপ্লেক্স বানাতে তো বারুন করছি না।কি গাছ বাদ দিয়ে বানাও না।আর ভাইদেরটা নিয়েছো ওটা দিয়েই বানাওনা।মা মরা মেয়ে গাছের থেকেই মায়ের আদর নেয়।

প্রোমোটার:- আসলে আপনার জায়গাটা ছাড়া মাপটা ঠিকঠাক হবে।আর গাছ থাকলে ড্যাম্প পরবে।শেকড়ের ঝামেলা।

এই বলে জোড় করেই জমি মাপা শুরু করে।বৃদ্ধ সনাতন বাবু বাঁধা দিতে গেলে ঠেলাঠেলি হয়।সনাতন বাবু  থেমে যায়।গাছে মাথা রেখে চোখের জল মুছতে থাকে।

প্রোমোটার ফিরতে ফিরতে বলে যায় মানুষ হলে ভয় দেখানো যায় কিন্তু এ তো গাছ।সুতরাং অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে...

যথা সময়ে ভাড়াটে মস্তান এসে সনাতন বাবুকে ভয় দেখিয়ে যায়।
তাতে কাজ না হলে প্রোমোটার ফোন করে জানায় ভয় দেখানোতে কোনো কাজ হয়নি।

পরদিন মালতীর পরীক্ষা।বাবা কে প্রণাম করতে বাবা তাকে আশীর্বাদ করে।যাবার সময় মালতী গাছগুলোকে হাত বুলিয়ে আদর করে যায়। মেয়ে বেরোতেই মস্তানরা বাড়ির ওপর চড়াও হয়।সনাতন বাবুকে ঠেলা দিতেই তিনি দেওয়ালে মাথা ঠুকতেই জ্ঞান হারান।সেই সুযোগে মস্তান দল সব গাছ কেটে ফেলে।বাড়ি এসে মালতী এসব দেখে বাবাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে।
এরপর তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

মালতী আশপাশের অনেক বাড়ি এমনকি অনেক অফিসের পাশে বা পরে থাকা খালি জায়গায় গাছ লাগাবার অনুমতি চায় কিন্তু তারা কেউই অনুমতি দেয় না।

এদিকে প্রোমোটারের অর্ধ শতক আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে।উদ্বোধনের দিন সেই মস্তান চন্দন প্রোমোটারকে ফোন করে।প্রোমোটার তাকে না চেনার ভান করে।চন্দন তখন ভয় দেখালে প্রোমোটার অগত্যা চন্দনের কথা মতো সেই জায়গায় হাজির হয়। চন্দন প্রোমোটারের গলায় ছোরা ঘসতেই প্রোমোটার চন্দনের শর্তে রাজি হতে বাধ্য হয়।চন্দন চেকে সই করিয়ে নেয়।টাকার আমাউন্ট সে নিজে বসাবে বলে।
এককথায় তাকে সর্বস্ব হারা করে

এদিকে মালতী সকলের থেকে দূরে নদীর ধারে গাছ পুঁততে শুরু করে। প্রোমোটার সর্বস্ব হারা হয়ে নিজের পুরোনো ভাঙা বাড়িতে ফিরে আসে। দেখা হয় মালতীর সাথে।

মনে পরেনি তোমার? আমিও মিশেছি রক্তিম ঘাসে।
থেকে গেছিল অবহেলা...অনুতাপ। সবুজ গন্ধ প্রায়,
প্রয়োজন ছিলো তোমার কুহেলি ভোরের ইতিহাসে,
শব্দেরা একে একে থেমে যায়,শুরু হয় নতুন অধ্যায়।

ঠাওর করা যায়নি স্থিতিহীন অস্তিত্ব বিপন্ন ক্ষত,
শ্রাবণের কালো মেঘ ঢাকা জ্বলজ্বলে প্রাচীন দৃঢ় মহিষ।
পাশে যারা ছিলো,অনামী বসন্ত শিহরনের মতো!
কতিপয় সন্ধ্যে আঁটা বহুকালের বৃদ্ধ গাছের অহর্নিশ।

কবিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়,পুরাতন রীতির শাখে
জামার বোতাম গোনা প্রেম, কুয়াশায় ঢোঁক গেলে,
তখনও আসোনি ফিরে,মনুষ্যত্ব ক্রমশ সরতে থাকে
ধমনী দূরে সরে যায়,খসে পরে গোধূলি বিকেলে।

চলে যায় সেও,স্বপ্নদোষে। প্রশ্নেরা পিছু নেয় ফের।
এখন এলে সেই!সময় হল যখন ধীরাগমনের!!

*সমাপ্ত*

কালবেলা ২

সেও বিবাগী,মাটির মানুষ
ফুলের আঁধার সরিয়ে হুঁশ
ফিরিও তোমার সোনালি দিন।

ও সে হাওয়ায় ভাসে,
পাতায়,ফুলে ও ঘাসে।
পরিশেষে পথেরা বেশ রঙিন।

বর্ষা ধুয়েছে তার গৃহ,
ছোট্ট পাখি সন্তান সমীহ,
মেঘ ঝরানো শিশির কণায়।

নগরী ছুঁয়ে ফেলে আকাশ।
সুখে ব্যথাও আসে বারোমাস,
মৌমাছিরা ঋতুকে স্বাগত জানায়।

এতটা বিরহ শরীরে সয়,
অনেক আঘাতে এমন হয়
মাছেরা দুর্বল ছিপের কাছে।

আমারও কিছু শোনা হয়-
সবাই সময়ের সাথী নয়,
নতমুখে ছায়ারাও ফিরে আসে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিবসনা

পাও কি তার গোপন মনের সাড়া?
স্রোতের গায়ে খোদাই করা নাম।
হৃদয় যখন ক্লান্ত নিঝুম পাড়া,
দেহের ভেতর কথার অনেক দাম।

পাথরগুলো সোনায় খোদাই ক'রে
হাওয়ায় ভাসে উল্কা ঝরা চুল
বৃষ্টি খেয়াল ভিজবে পলির চরে
নদী ভুলে ডুবিয়ে রাখা মাশুল।

বলো, এবার কোনটা তোমার প্রিয়
পুকুর ধারে পদ্ম নাকি শালুক কুড়ি?
অবাক জলে মুখ লুকিয়ে দিও,
আসবে ছুটে ছোট্ট মাছের সারি।

বলছে শরীর সময়টাকে বদলাতে,
ঠোঁটের-মনের গভীরতায় তুমি
দিনের কোঠায় আফসোসেরা থাকে
সামাল দিতে ভাঙা-গড়া শ্রেণী।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ফেরিওয়ালা



সে যখন ক্লান্ত ভীষণ,সেঁকে মুখ বীভৎস রোদ্দুর
ছায়ার গাছ,শ্যাওলা পাঁচিল, ঠিক জানো!কদ্দূর?

রাস্তা গুলো ঘামছে,নতুন কোনো দ্বন্দ্বে
অপেক্ষা মেঘ গুনছে,বৃষ্টি জলের বুন্দেঁ।

ছাতার গড়া রঙ ভেদ,গন্ধ আতর  বিন্দু
তুলোর মতো আপসোস,লুকিয়ে রাখে নিন্দুক।

এখন বিকেল খুব বেশ,দিগন্ত আজ কোন দিক
জটিল গরম আট মাস,বর্ষা শীতও দাম্ভিক

ওড়ায় কখন ঘাসফুল চোখ জোড়ানো বান্দার
দারুণ জটিল গুঞ্জন, ঠাওর করা আন্ধার

সারাদিনের রোজগার দু-এক টাকার হেরফের
মুড়ির সাথে ডালমুট এটাই খাবার সন্ধ্যের....

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

কফিনের দেওয়াল

ধৈর্যলুপ্ত কোনো কফিন মুক্ত মানুষ,নিহত কঠিনে আজ
সশরীরে মাটির নীচের সমস্ত দেহ তল্লাশি করি আমি
পাই পুষ্প কঙ্কাল।সহস্র আক্ষেপের এক অচেনা সমাজ!
আর তোমার বৈবাহিক চিহ্ন সম্পন্ন নিঃসঙ্গ অন্ধকামী।

গাছেরা অনেক দূরে,পাথর,আকাশ কিংবা রক্ত  দেখে
পুনরায় হাঁটি নীল বিষ পথ ধরে। সম্ভবতঃ আগেকার
ছমছমে নিঃশ্বাস,ভয়ার্ত শিশুর ডাক।হাহাকার।পেরেক-
ধাবমান অপেক্ষায় নেমে এসেছে চেনা মুখে।ক্রমশ যন্ত্রণার।

তফাৎ জড়তায়, নয়ত প্রয়োজনে, ক্লান্ত জ্যোৎস্নায় চোখ বুঝে
ফিরে আসি সেই খাতায়।সেই বুকে।নতুন পাখির ভয়
এই জনস্রোতে রাতেরা ঘুমিয়ে পরে,কোন বাদামি গাছের সবুজে,
শতকের পৃথিবী ভূমিষ্ঠ হয় সেই  মরক অভিমান আর সময়।

পথিকৃত।স্থিতিহীন।সিড়ি বেয়ে নামে পরিচিতি খুঁজে নিতে,
অতীতের রক্ত মেখে থেমে যায় পচা কাঠের কফিনেতে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*এক গোধূলির কথা*



আরিয়ান প্রিয়স পাল

আজ,
কিছু স্মৃতির স্মরণ নেওয়া যাক,
মুখোমুখি শত আলাপন থাক।
রোদেলা আকাশ ঘোরে অভিমান,
মুছে নিক আজন্ম অভ্যুত্থান।

আজ,
মেঘেরাও একা নয়,
দুই-তিন শিবিরের জল্পনা জানুক
রক্তিম আষাঢ়ে রামধনুর কথা,
সাদা নয়,কালো নয়
জীবন্ত মৃত্যুকালের যন্ত্রণা বিলিন
যবনিকার অবসান।

আজ,
তুমি নিরাপদ নয়,
নীল মুখ গিলে নেয় শরীর,
দিনেরা তুলির খোঁজে,
বলয়ের নীলধোঁয়া
বিভীষিকার ইচ্ছের খেয়াল।

আজ,
এটুকুই বলা ছিলো বাকি,
প্রতিদিন মৃত্যু হয় সবার
ভোরের স্বপ্নেরা বাতাসে ছাই
ছড়িয়ে ফিরে যায় নিয়তি পথ ধরে..

ফুলতো শুকায় পরে,মুছে নেয় যন্ত্রণা,
"বোকার মরণ"ফাঁদ,কামড় এসবই আমাদের সান্ত্বনা....

Sunday, 19 May 2019




*"মা"তোমাকেই*

ডুবে যাওয়া অভিযানে হেঁটে ফেরাটাও বেশ দুরূহ-
স্রোতের মুখে নৌকা ডোবে ঠিক যেরকম!
আমরা কেবল আধুনিকতার ছোঁয়া।প্রকারের ব্যূহ।
তেমন ভাবেই নিভছে দেখি প্রতিফলনের মোম।

অত গভীর নয়।যদিও অভিমানে,আর্তনাদে খুঁজি মাকেই,
গোধূলি কালে পাখিরাও ঘরে ফেরে।ঠোঁট ভেজা
দুচোখে জল আর বদরাগি আক্ষেপ জেগে থাকে,
তখন পোষাক স্তব্ধ। সাজানো  আদরের ক্লান্তি শয্যা।

তুমি জানো "মা" কতটা দুঃখিনি,বহুযুগ আগের আমি,
সারাদিন চঞ্চল,দৃশ্য আলোক,কোনো স্থানে আঁধার নেই!
কথারা জটিল নয়,শিশির জল,ছোট ফুল,তৃণভূমি, 
জোনাকি প্রেম ছেয়ে যায়।ঝরায় শেষ আন্দ্রেই।

রাত নিভে যায় তোমার কোলেই, পাখিরাও ডাক শোনে
সময় হিসেবি।মুখচোরা।ফিরে যায়!আসেনা প্রতিক্ষণে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 1 May 2019

জন্মদেশ

*জন্মদেশ*

তোমার দুচোখ ছায়ায় খেলা করে
হাঁটুর ভিড়ে নিম্ন শহরতলি
বৃষ্টি কোথাও ছুঁয়েই ফেলে তারে
পথের বাঁকে জমতে ক্ষতের পলি।

আঙুল সুখে রক্ত সজীব হতে
বুকের ভাঁজে ক্লান্ত খিদের সুখ,
নাভির নীচে জগত খুঁজে নিতে
রস ঝরানো বারুদ চেনা মুখ।

কলম ঠোঁটে কালির আঁচড় দিয়ে
খয়েরি লোমে আঁতর বিষের বিচার,
তোমার দেহের গন্ধ আমায় নিয়ে
নতুন খেলায় জন্ম দেবে চারার।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কালবেলা

*কালবেলা*

মনে পরেনি তোমার? আমিও মিশেছি রক্তিম ঘাসে।
থেকে গেছিল অবহেলা...অনুতাপ। সবুজ গন্ধ প্রায়,
প্রয়োজন ছিলো তোমার কুহেলি ভোরের ইতিহাসে,
শব্দেরা একে একে থেমে যায়,শুরু হয় নতুন অধ্যায়।

ঠাওর করা যায়নি স্থিতিহীন অস্তিত্ব বিপন্ন ক্ষত,
শ্রাবণের কালো মেঘ ঢাকা জ্বলজ্বলে প্রাচীন দৃঢ় মহিষ।
পাশে যারা ছিলো,অনামী বসন্ত শিহরনের মতো!
কতিপয় সন্ধ্যে আঁটা বহুকালের বৃদ্ধ গাছের অহর্নিশ।

কবিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়,পুরাতন রীতির শাখে
জামার বোতাম গোনা প্রেম, কুয়াশায় ঢোঁক গেলে,
তখনও আসোনি ফিরে,মনুষ্যত্ব ক্রমশ সরতে থাকে
ধমনী দূরে সরে যায়,খসে পরে গোধূলি বিকেলে।

চলে যায় সেও,স্বপ্নদোষে। প্রশ্নেরা পিছু নেয় ফের।
এখন এলে সেই!সময় হল যখন ধীরাগমনের!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Sunday, 21 April 2019

১৪২৬

*১৪২৬*

তোমার সাথে আপোস করি যখন
মনের কাছে প্রশ্ন খোঁজার বাইরে
বছর,তারিখ মাস গুনতে জানে
বিপদ ঝুঁকির।মন খারাপের সাইরেন।

তফাৎ দূরে গল্প ধুলোর গন্ধ
শরীর চিরে শরীর বাঁধে বৃশ্চিক
ফাগুন জানে নুইয়ে কপাল পুড়ছে
মাটির ডেলায় রক্ত ক্ষত পিষছি।

সব যেন তার হিসেব বোঝার সাক্ষী
মৃত্যু শতক আবেগ রূপের ইঙ্গিত
শহর,মিনার খসছে এবার ধ্বংসে
রাত ফুরোলেই নতুন দিনের সঙ্গীত।

বালিশ চাপা জন্ম খুশি নিঃসাড়
বৃষ্টি তখন কাব্য লেখায় নৈর্ঋত
মশাল জ্বেলে মাংস খিদের শীতকাল
নতুন বছর যৌন স্বাদে বৈরি।

দিগন্ত আজ রকম সবুজ স্বল্পীক
নিরাশ ঠোঁটে স্বপ্ন গড়া বৃত্তে
সবার তাতে ভাগ বসানোর ইচ্ছে
ঘাসের বুকে বিনিদ্রতার সত্ত্বে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৌশিক



ধোঁয়াটে সম্পর্কগুলো ক্রমশ
সরে আসে জন্মান্তরের উদ্দেশ্যে।
গেরুয়া মেঘের কোণে প্রতি ভোরে
আকাশবাণী শুনিয়ে যেত মিঠে বাতাস।
দূরের কমলা রোদের দেওয়াল বাঁকে,
তুমি যখন ফিরে আসো,
আমার সমস্ত সরীসৃপ ইচ্ছেগুলো
লজ্জার আবির ছড়িয়ে ফেলে
স্যাঁতসেঁতে পাঁচিলের বুকে।

চশমার ফ্রেমে রাত্রিখুশি সাজিয়ে
যখন আমার শরীর ছুঁতে চাও
আমি শত বসন্ত শিহরনে
পাগলামি হাসিতে অনুতপ্ত মনের
ক্লান্তি তোমার কথার আলিঙ্গনে
মিশিয়ে ফেলি।

খয়েরি গাছের অন্ধকারে
মৌমাছিরা শীতল পাটি রেখে
আঙুর ঘরে বাসর পেতে পিপড়ের
সহবাসে রাজপ্রেম তিলক এঁকে
মুহুর্তে লুকিয়ে পরে জ্বলজ্বলে
ঠোঁটের নিচে....

আমি শেষ কক্ষপথে ইঙ্গিত রেখে
ফিরে যাই বিলাসিতার সম্পর্ক
যন্ত্রণায়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অথচ

*অথচ*

রঙ লাগানো সভ্যতার প্রকাশ্য
প্রেমগুলো অতীতের ধূলো ছড়িয়ে
ঘন মেঘপুঞ্জ সাজানো এক এক
করে বসন্ত শিহরন রূপোলি
চাঁদের আঁধার আছড়ে ফেলে
শুকনো ফুলের তোড়ায়....

দেখো মাধবী,গাছের পাতারা
দীর্ঘ আয়ুর অনন্তে ঝরানো
বকুলের বিষাক্ত গ্যাসে ঠাঁই করে
নিয়ে রেখেছে বয়ে চলা নদীর
স্রোতে,

এভাবেই বাস্তব ইচ্ছে গুলোর
রোজ রোজ ক্রমাগত মৃত্যু ঘটে
পাশবালিশের বুকে নয়তো
বাথরুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া
অকথ্য নর্দমার জলে...

আলতা ভরানো স্বপ্নে প্রথম
প্রকাশ্য কৃষ্ণচূড়া,যখন খসে পড়ে
মাটির বুকে বিনিদ্র রজনী নিস্তব্ধে
পা ফেলে পিষে যায় সন্তান
সম্ভবনা মায়ের পেটে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বোশেখ তুমি

*বোশেখ তুমি*

নতুন বছর প্রথম পাতা,খয়েরি মাটির সাজ
ডালে ডালে ফুটছে চাঁপা,বেশতো লাগে আজ

জানো অনু,কমলা রোদে বেশ লাগছো তুমি
জরির শাড়ি,হালকা পাড়ে ওষ্ঠে মরুভূমি!

নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি রোমাঞ্চ এক সকাল
পদ্মা ভিড়ে,মাছের ঝাঁকে মেঘ পেতেছে শাল

সেদিন দেখি গড়ের মাঠে জোনাকি ঝাঁকের পাড়া
আমরা দুজন ছুটছি দূরে ছুঁতে আকাশ তারা।

ছোট্ট খোঁপায় চারটে ক্লিপে,সাথে কামিনি ফুল
রোজ তোমাকেই আদর করি,দিতে প্রেমের মাশুল

যা কিছু আজ স্মৃতি স্মরণ খুঁজেই পাই রাস্তায়
অতীত ঘামে গ্রীষ্ম আলোয়,কাজল ঘাঁটে সস্তায়।

বললে এবার শান্ত চোখে 'জড়িয়ে নেবে বুকে?'
'বায়না কিছু থাকবে পরে লিপস্টিকে লাল ঠোঁটে '

মুঠোয় ধরা জ্যোৎস্না আলো,প্রতিদিন এরকম যাক
প্রতি বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম আস,ফিরে আসে বৈশাখ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নিজামউদ্দিন

*নিজামউদ্দিন*

লিখছি তখন বিন্দু ঘুমে স্বপ্ন সেনার দলে
নতুন রোদে শুকিয়ে থাকা ফুলের খবর নিতে
পাখির সাথে উড়তে থাকে নতুন কোনো স্থলে
কেমন করে বৃষ্টি আসে দেখতে ধানের ক্ষেতে

আটকে থাকা আয়না চোখে অভিজ্ঞতার ব্যাপার
ফুলের সাথে ডালের বিচার,আগুন মেশায় কে যে...
মৃতের ফলক আকাশ ভেজায় গন্ধে সীমারেখার,
শোকের কাছে দাড়িয়ে আছে মাটির বুলেট সেজে।

কাগজ সেসব বেশ রেখেছে কথায় ছোঁয়া চিঠি
নতুন খামে আশকারাদের তারিখ মোছার ছাই
ঠিকানা তার নিজের মতো ছড়িয়ে ফেলে উদ্ধৃতি 
স্মরণ পরে ঠোঁটের ভাষায় ছুঁচের আদত চাই

কিন্তু বলি এমন থাকা শরিক ভাঙার লেনদেন
জন্মদিনের আমের আচার,আমসত্ত্বের চাটনি
নিজাম বাবু মনের জ্বরে ভিংচি কেটে হাসছেন
কি দেবো বল এমন দিনে,পেটপুজোতেও খাটনি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৌরভ বিশাই

*সৌরভ বিশাই*

কথা কাছে সাক্ষী থেকে এগিয়ে গেছে সে,
নরম মাটির,ফলক ভিড়ে,একটু দেওয়াল ঘেসে।

মেঘের সাথে আপোস করা প্রথম ভোরের বৃষ্টি
অবাক ঠোঁটের উজ্জ্বলতা,মিষ্টি লাগে সত্যি।

ঝলমলিয়ে ছুটছে জলে,তোমার চেনা বেশে
বার্তা যারই স্বপ্ন কুটির,তফাৎ গোনার শেষে।

মন খারাপের আত্মগোপন বর্ণ গঠন গিফ্ট
এমন কিছু শব্দ গেঁথে জোড়া আমার স্ক্রিপ্ট।

মধ্যে থাকা আকাশ বিচার,নীল থেকে বাইরে
ঠাঁই নিয়েছে পদ্ম ভিড়ে,কাঁটা ফুলের সাইরেন।

পথ খুঁজেছে নবীন চোখে শীতল স্মৃতির প্রান্তে
দিনের মতো রাত মেখে নেয় বাতাস ছোঁয়ার অন্তে।

দিগন্তে তার ভীষণ চেনা কলকাতারই বর্ষা দিন
প্রথম আবেগ,পরশপাথর তোমার জন্মদিন.....

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

জন্মদিন

*জন্মদিন*

ছোট্ট খোকন স্কুলে যায় খেয়ালগুলো বেশি
স্বপ্ন তবে বিশাল আকাশ শান্ত শীতল পাটি ।
এইতো সেদিন প্রথম ভাতে মায়ের ভীষণ হাসি
হাতেখড়ি হল যেদিন পুজো সরস্বতীর।

ছোট্ট খোকন আঠারো পার।যৌবনে তার পা
চাকরি হলো আকাশ দূরে।বদ্ধ সীমা পার
ঘাম জমে তার বাবা মুখে।ভিজেই গেছে গা।
ওরে খোকা এত্তোদূরে।থাকবি কতো আর।

বয়স তবে বেশ গজেছে,নতুন দিকে যাস
শালীর কপাল দু-চারেতেই আটকে শুধু রাখিস
আমার জমা আবদারেতে ঘি মিশিয়ে খাস
বন্ধু আমার খুব কাছের, বিয়ের দিনে বলিস

শোননা তবে একটা কথা বুকের বাঁকেই
আসব তবে একটু ছুটে গিফটি হাতে কিনে
সেলফি হবে খুব সাধারণ ময়দা নিবি মেখেই
এই উপহার যত্নে লেখা তোরই জন্মদিনে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তোমায় হতে

*তোমায় হতে*

ছোট্ট কুটির মুচকি হাসি,নরম মাটির দেশে
হালকা রোদে শরীর ভেজে,আদর সবুজ ঘামে
গোসল নদীর শান্ত চোখও স্বপ্ন পারে এসে
হঠাৎ ডাকে নিরব সাথীর জড়িয়ে ধরা নামে।

সঙ্গী তাদের ছোট্ট কুকুর।চটপটে সে ভারী
জঙ্গলে তার বিশদ চেনা ইঁদুর বেড়াল জানে
শুকনো পাতার বেসুরওয়াজ,কিংবা বুলেট গাড়ি
অন্ধকারে ঝি ঝির ডাকই প্রেম খুঁজে দেয় গানে।

এমন কিছু দুষ্টুমি আজ রইল বাকি হতে
তোমার পায়ের শব্দ শুনে পিনের আওয়াজ হারে
হাত দু-একে ভীষণ হাসি ঘাস মাটিদের মুখে
পানের বাটি,শীতল পাটি দেওয়াল ঘেরা চারে।

অনেক সময় তোমার কথা থামকে  সারারাত
বুকের পাথর মুছতো জলে বাঁধতো নতুন গানে
গালের পাশে হাতটা রেখে খসবে রাগের ছাদ
ছোট্ট ঘরে আমরা দুজন স্তব্ধ কোনো স্থানে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পরশমণি

*পরশমণি*

আমার শরীরের ভিজে দেওয়ালে
তোমার রক্ত ঝরানো প্রেম,কুয়াশা
মতো ছেঁয়ে শিরা থেকে
উপশিরায়।

ক্ষয়িষ্ণু পলকে চেয়ে থাকা
যে রঙিন সুবাসে এসেছিলে
লাল-নীল-সবুজ ঘামে,
ফোঁটা ফোঁটা বিন্দু
জলে।

এক সুরক্ষাবলয় ঘিরে থাকা
সমস্ত ক্ষতের উঠোন,নরক
বানিয়ে ফেলে ক্রমাগত
বীর্য ক্ষরণে।নিপুণ ঠোঁটের
স্থলে।

সূর্য আবিরে ভেসে যায় রক্তাক্ত
বক্ষ যন্ত্রণা।আলতো কাকের
বাসায় মরা কোকিল সহবাসে।
চোরা কল্পনায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমা


*রিমা*

চোখের নিচে জ্যোৎস্না আলোক সজ্জারত দিক।
ঘোড়ায় পেশা নতুন ডিমে কুসুম খোঁজার মতো
সন্ধ্যে সরল মেঘগণিকায় নতুন কোনো তারিখ
আঘাত তখন মন খারাপের দুপুর গড়ার ক্ষত।

তরল সুবাস জলে নীচে মেঘ জমেছে আজব।
আজ লুকোনো গন্ধ বিরাগ বশত গোনা রথি
শাড়ির পারে স্বপ্ন মাখে লাল হলুদের আভাস
সেই মেয়েটাই বৃষ্টি দিনে হয়ত কারোর সাথী।

নিরাশ করা আলতো চুলে মুখ ডুবিয়ে দেখি
দুঃখ জমে রুটির সাথে মরিচ পাতায় মিশে
স্মরণ খেলা ছোঁয়ায় প্রেমে শক্ত নাকের বুটি
রাগের শেষে কষ্টগুলো আঙুল দিয়ে পেশে।

আঘাত তবে বুঝতে বোধহয় আগন্তুকের হাসি
মেঘ শুকালে বিষাদ ঠোঁটে রক্ত জমে বাসি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

গর্জে উঠুক

*গর্জে উঠুক*

যে ভাষা তার ঠোঁটের কোনায়
বিচার করায় বিভাগ থাক
শ্রমের পোশাক আত্মকথায়
মূল্যবোধেই হারিয়ে যাক।

রাস্তা ভাঙে গভীর রাত
শব্দ শিরায় লক্ষ্যভেদ
জিপ টহলে বুলেট মলাট
ডুববে এবার লেখার স্লেট

পায়রা খিদেয় বাতাস ছোটে
মাতৃ দিবস পথিকৃত
প্রসার কেবল শহীদ খোঁজে
বিপ্লবই তার প্রকাশ দিক।

আসবে মানুষ দৃশ্য মোমে
ফুলের ঝাঁকে টগর খেত
বেদির উপর বৃষ্টি ঘামে
আত্মগোপন প্রকারভেদ।।

বর্জ্য তেলে মন ভিজিয়ে
কাগজ ক্রোধে জল ছেঁটাও
ঘুমের ঘোরে মেঘ সাজিয়ে
কামান ঘোড়া রোদ ঝড়াও।

চায়ের কাপে নামলে আকাশ
মুঠোয় থাকে ভোটের স্ক্রিপ্ট
সক্রিয়তার জটিল আভাস
স্বাধীন ভাষাই আমার গিফ্ট।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুরজিৎ ঘোষ

*সুরজিৎ ঘোষ*

শেষ ট্রেনটা মিলিয়ে গেলো বাঁকে
ধোঁয়ার সাথে পিষছে ফুলের কানন
বুকের ভেতর মোচড় দেওয়া সাঁকে
স্মৃতির ভাঁজে চললো আমার আপন

কার কাছে তার কথায় গড়া তরী
শালুক,পলাশ,রৌদ্র,মেঘের স্মরণ।
বৃষ্টি তখন সন্ধ্যা জলের কুড়ি,
দু-চোখ ভরা অপেক্ষাতেই বরণ।

স্বপ্ন ঘোরে পেয়েছি আজ তাকে
ছাইদানিতে ধোঁয়ার কাছে সেও।
এতদিনে শরীর দিলাম যাকে,
আঁচল।শাড়ি আমার খুব প্রিয়।

সময় ভুলে মিথ্যে কথার ভ্রমর
ক্লান্ত ঝিলে আছার খেলো জোরে
মৃত্যু গুলোর বুনছে সফেদ কাপড়
স্টেশন শেষে ধোঁয়ার আকাশ জুড়ে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৌরভ(সল্টকিং)

*সৌরভ(সল্টকিং)*

ফুলের কথা চৈত্র মেঘের জ্বরে
খয়েরি মাটি বালির আবির মেখে
ইচ্ছে ছোটে কমলা রোদের পরে
দেওয়াল জুড়ে হাতের ছোঁয়া রেখে।

নরম আলোয় জ্যোৎস্না জোরি ফেলে
ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসির বরিং
ছবির সাথে পাতার দেখার হলে
বটের ঝুরির অডিও ভিশন ফিলিং।

আয়না দেখে চুলের সিঁথে কেটে
জামার ভাঁজে হালকা আতর মাপে,
সময় মতো সেলফি বদন ছেঁকে
দুর্বলতা ক্রিম কেকেতেই ঢাকে।

এমন ছেলের জন্মদিনেও লিখি
বেশ তো লাগে এমন কিছু করে।
কেক তো শুধু বৈধ কিছু স্মৃতি
উপহারে মাখন প্রলেপই নেরে!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবলি

*বাবলি*

শহরগুলো খুব সাধারণ প্রেম জানে
ক্লান্ত গাছের ফুল ঝরানো সেই ভোরে
আদর শুধু বৈধ খুশির দিন গোনে,
মেঘলা কোন সকাল তারার অন্তরে।

আয়না তোমার পায়ের পাতার স্বপ্নক্ষণ,
রাতের মায়ার খেয়াল পরীর শান্ত চোখ।
সন্ধ্যা হতেই খেলার ছলে আলোক ফোন,
নিভলো প্রদীপ স্পর্শ বোধহয় আগন্তুক।

এবার মাঘে শীত বলেছে চরিত্রহীন
তোমার দেহে অবাক ভ্রমর রাষ্ট্রদূত
মনখারাপের মুখটুকু তার সেই প্রাচীন,
বাতাস তখন স্মৃতি স্মরণ রং মজুত ।

তোমার শাড়ির আঁচল ভীষন মনছোঁয়া
কম্পাসে কি মাপতে পারো ভ্রান্ত দিক।
ইঙ্গিতে সব মান সম্মুখের লোক ছায়া
কথার ফাঁকে মুচকি হাসি আন্তরিক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেবারুন

*দেবারুন*

চিরকুটে তার শতমুখী মেনু
মিছিল জোটের ক্ষতের মতো সেই।
চিনতে বোধহয় আসবে ফুলের রেণু
কাঁচপোকাদের বিভাগ জানা নেই।

মনের কথা না বলাটাই ভালো,
অল্প কিছু দিনের ব্যতিক্রমে।
পাতার সাথে পাতার দেখা হলো,,
টহল দেওয়া চোখের নিয়ন্ত্রণে...

অন্ধজনের ব্যথার গরাদ ভেঙে
শ্রাবণ আকাশ আলোক সজ্জা রত
হিসেবগুলো নৈতিকতা চেনে
বৃষ্টি ফোটায় তারিখ মোছার মতো।

হলুদ মাখা দেহের সাথে জড়িত
রকমসকম গল্প বিচার শুরু
নাকের ডগায় হিংসা মাখা মরিচ
বসত ভাঙে মালসা সমান মেরু।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মৃত্যু আসে শেষ রাতেই

*মৃত্যু আসে শেষ রাতেই*

হয়তো গুনে শর্ত অনেক
সফলতায় ছুটছে সে,
ঠোঁটের দরে গন্ধ হরেক
কাক-কোকিলের স্বপ্নতে।

ভিজছে জলে আগুন আড়াল
স্রোতের সড়ক বৃষ্টির মতন।
আত্মঘাতী,বাজনা বিরল
ভ্রান্তি সুখে সন্ধ্যে পতন।

ফলক টেনে রৌদ্র ঘুড়ির
ইচ্ছে সুতোর খুব কাছেই,
ভরসা প্রকাশ ভাষার ক্ষতির
মৃত্যু আসে শেষ রাতেই।

মঞ্চ তবু ধুঁকছে খড়ে
ঠাওর করার কি উপায়?
গতকালের বিষাদ ঝড়ে
হয়তো তারা থমকে যায় ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মেঘলা কোনো দিন

*মেঘলা কোনো দিন*

তোমায় ছাড়া দিন চলে না,রাত হয়ে যায় বিরামহীন,
এমন কিছু হচ্ছে রোজই,নয়তো আজই প্রথমদিন।

ইচ্ছে সুতো ছোঁয়ায় ছবি,স্পর্শে ভাসে সুর,
দোতারাতে জল ভরে যায়,লক্ষ্যে অনেক দূর।

আমার দুজন একসাথে তাই,উজান তরী নাও,
আঁধার সরে মেঘলা ঠোঁটের,স্পর্শ পেতে দাও।

আমার মনের ধাপে বদলে তোমার নতুন ঘর,
এতটুকু আকাশ পেতেই বসলো সে ঈশ্বর।

স্মৃতির জলে ভাসছি আজব,ছটফটিয়ে গায়ে।
চাঁদের আলোয় জ্যোৎস্না পেলে, ভুলতে কে বা চায়।।

চেষ্টাগুলো গন্ধ চিকন,বাস্তবে সব ফলে,
ভিজবে দেহ।আবেগ সাথে,শরীর ইনাম জলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

জয়া দিদি

*জয়া দিদি*

সে দিনের প্রথম আলোয়
কাক ও কোকিলের মধুর
সম্পর্ক দেখে বিজড়
শালিকের ঝগড়া থেমে যায় ।।

সে বৃষ্টির দিনে চায়ের
প্রথম চুমুক দিতে দিতে
বনলতার কথা মনে পরে. . .
ঝড় বৃষ্টি পিছনে রেখে সে
চলেছে স্কুলের পথে।
সে এখন নতুন পরশমণি ।।

তখনও এলোচুলের গন্ধ
মেখে নিচ্ছে মুক্ত বাতাস।

উঠোনের জমা জলে
সমুদ্র নামিয়ে তাতে সাঁতার
শেখার ইচ্ছে মনের মধ্যে ঘুরপাক
খেতে শুরু করে।।

আর সেই একপশলা বৃষ্টি
সমস্ত আকাশকে গাঢ় অন্ধকারে
ঢেকে ফেলে নতুন আকাশের
খোঁজে ফিরে চলে দিগন্তের দিকে।জন্মদিনের প্রথম শুভেচ্ছা জানাতে

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Wednesday, 10 April 2019

ক্যাপশন

লীলাঙ্ক:-
মৌন চোখে রক্ত আদর তফাৎ যেমন সাইরেন,
দেহের ভেতর লুকিয়ে দেহ মনটা বুকের বাইরে।

Tuesday, 5 March 2019

মহীশূর ইঙ্গিত

*মহীশূর ইঙ্গিত*

তার পায়ের তলায় ভিজে বসন্ত নুইয়ে আছে
সে ঠোঁটে জেগে ওঠে গুল্ম অঙ্গুরীয় জটের চোখ
ছায়াটে পথের নির্মম উপত্যকা শতকের মাঝে
মুক্তির আকাঙ্ক্ষা আক্ষেপের অভিপ্রায় হোক।

সে-জোনাকি রাতে পতনের প্রলাপ উত্তেজনার অবক্ষয়ে,
দৈনিক পোশাকী ফলকে দিগন্তের মহীশূর আক্রোশে,
ম্লান হাসি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।প্রভাষক সমন্বয়ে
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উতলা ইঙ্গিত শেষে।।

সম্প্রতি এগিয়ে আসা শব্দের অধিক আশ্চর্য কিছু
রুদ্র মতাদর্শ বসত থমকে আছে জাহির কবলে
একে একে বৃদ্ধ গাছেরা পাতা ঝড়ায় ফাগুনের পিছু
সহসা তারুণ্য স্পর্শে জড়িয়ে যায় শরবত দখলে।।

কুয়াশারা মুছে যায়,ক্ষওয়া চাঁদের আল ধরে।
জলেতে ডুবছে জ্যোৎস্না,প্রতিফলক রৌদ্র ভোরে,

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ঝিলিক2

*ঝিলিক2*

আমিও জানি তোমার মতন হঠাৎ কোন ছলে ,
শালুক পলাশ রৌদ্র মাখে ফেব্রুয়ারির শেষে
সাদর আলাপ রং ছুঁয়ে দেয় শান্ত নদীর জলে
তোমার পায়ের স্পর্শ তখন কাব্য লেখায় মেশে।

শক্ত বুটিক জামার কাপড়,বিষের মতো কালার
স্রোতের ধাপে নতুন বুটে আগুন ধরায় কে যে...
আতর দিয়ে ভরিয়ে ফেলে,ফলক ঠোঁটে ব্যাপার
একটা সুতো হাওয়ায় ভাসে প্রকাশ পালক সেজে

কিন্তু বোধহয় ঠোঁটে কোণে জমছে অনেক কথা
বৃষ্টি ফোটা নতুন রকম জরির পাতে বোনা
দৃশ্যগুলোয় রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠা
গিটার সুরও শবর বটে নামটা মনের শোনা

আকাশ পরে ফুল ভাষায় মেঘলা যতো চিঠি
একটু ছুটেই হাতের মুঠোয় উড়িয়ে দেওয়া সেই
তফাৎ বুঝে তুলোর মতো সাদা কালো স্মৃতি
তোমার পায়ের পাতার নীচে ডুবছে ভিজে ছাই...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

https://www.kabitakutirblog.xyz/2019/03/blog-post_47.html?m=0

মৃত্যু আসে শেষ রাতেই

*মৃত্যু আসে শেষ রাতেই*

হয়তো গুনে শর্ত অনেক
সফলতায় ছুটছে সে,
ঠোঁটের দরে গন্ধ হরেক
কাক-কোকিলের স্বপ্নতে।

ভিজছে জলে আগুন আড়াল
স্রোতের সড়ক বৃষ্টি মতন।
আত্মঘাতী,বাজনা বিরল
ভ্রান্তি সুখে সন্ধ্যে পতন।

ফলক টেনে রৌদ্র ঘুড়ির
ইচ্ছে সুতোর খুব কাছেই,
ভরসা প্রকাশ ভাষার ক্ষতির
মৃত্যু আসে শেষ রাতেই।

মঞ্চ তবু ধুঁকছে খড়ে
ঠাওর করার কি উপায়?
গতকালের বিষাদ ঝড়ে
হয়তো তারা থমকে যায় ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

জয়া দিদি

*জয়া দিদি*

সে দিনের প্রথম আলোয়
কাক ও কোকিলের মধুর সম্পর্ক
দেখে বিজড় শালিকের ঝগড়া থেমে যায়।।

সে বৃষ্টির দিনে
চায়ের প্রথম চুমুক দিতে দিতে
বনলতার কথা মনে পরে. . .
ঝড় বৃষ্টি পিছনে রেখে সে চলেছে
স্কুলের পথে।

সে এখন নতুন পরশমণি।
তখনও এলোচুলের গন্ধ
মেখে নিচ্ছে মুক্ত বাতাস।

উঠোনের জমা জলে
সমুদ্র নামিয়ে তাতে সাঁতার
শেখার ইচ্ছে মনের মধ্যে
ঘুরপাক খেতে শুরু করে।।

আর সেই একপশলা বৃষ্টি
সমস্ত আকাশকে গাঢ় অন্ধকারে
ঢেকে ফেলে নতুন আকাশের
খোঁজে ফিরে চলে দিগন্তের দিকে।
জন্মদিনের প্রথম শুভেচ্ছা জানাতে...

 #আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মেঘলা কোনো দিন


*মেঘলা কোনো দিন*

তোমায় ছাড়া দিন চলে না,রাত হয়ে যায় বিরামহীন,
এমন কিছু হচ্ছে রোজই,নয়তো আজই প্রথমদিন।

ইচ্ছে সুতো ছোঁয়ায় ছবি,স্পর্শে ভাসে সুর,
দোতারাতে জল ভরে যায়,লক্ষ্যে অনেক দূর।

আমার দুজন একসাথে তাই,উজান তরী নাও,
আঁধার সরে মেঘলা ঠোঁটের,স্পর্শ পেতে দাও।

আমার মনের ধাপে বদলে তোমার নতুন ঘর,
এতটুকু আকাশ পেতেই বসলো সে ঈশ্বর।

স্মৃতির জলে ভাসছি আজব,ছটফটিয়ে গায়ে।
চাঁদের আলোয় জ্যোৎস্না পেলে, ভুলতে কে বা চায়।।
চেষ্টাগুলো গন্ধ চিকন,বাস্তবে সব ফলে, ভিজবে দেহ।
আবেগ সাথে,শরীর ইনাম জলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কামরুল..

কামরুল..

সে মুখে সহস্র বিভীষিকা
রক্ত লালে আব্রু জানালার কাঁচের
গায়ে মরিচ দানার মতো কুয়াশা জমিয়ে ফেলে।

নীহারিকা ঐশ্বরিক ভগ্নাংশ শরীরে
যখন বিন্দু জল ক্রমাগত গভীর থেকে
গভীরে এগিয়ে চলে।
ঠোঁটের আহত উষ্ণতা বেড়ে উঠে
ক্লান্ত যোনিগর্ভে পিচ্ছিল কাদাটে
আদরে মিশে যেতে শুরু করে ।

কৃপা সিন্ধু নারীর প্রস্ফুটিত
বক্ষে ললাটি কাপড়ে অবিক্রীত
স্তন ছুঁয়ে নেয় নীল বিষ অমৃত
স্বাদের উদ্দেশ্যে....

ভারী হয়ে ওঠে লুকোনো চাহিদাগুলো।
যৌন আলিঙ্গনে শিরার রক্তচাপ রক্তক্ষরণের
পিপাসায় মুখ রেখে দিনরাত্র-গত কাব্য সুবাস
মেখে নেয় বীর্য স্পর্শ সম্মুখের,
প্রেয়সী নারীর গর্ভে লুকিয়ে রাখা
অমরত্ব সুখের কাম্য যন্ত্রণা প্রদানের লক্ষ্যে।

সময়ের সঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়া
ধৈর্য্য বিলাপ মন্থন রা কাটে সৈকত
সিক্ত জরিপ তন্দ্রা খেয়ালি আস্তরণে
জমাটি প্রলেপ ঢেকে দিতে কোমরের
অলঙ্কৃত বাঁধন ছিড়ে শোক শিহরনে
আনচান করে তোলে।

পঙ্কজ কাননে যৌবন কোঠারি
উদ্ধৃত ছাঁই মাখা দেহে ওপর নিজ
শরীরে দাগ কেটে ফেলা অস্থিমজ্জায়
অনুরণন করা লিঙ্গ পেশন অখণ্ড তৃপ্তি
পারদে নিয়ন্ত্রণের ভরসাটুকু জাগিয়ে
তোলে সামান্য দুরত্বে।
অ্যাস্ট্রে ভর্তি ছাই যৌবন যন্ত্রণায়
কাতরে ওঠে নীল শরীরে মিশে যেতে
শুরু করে দুর্বল কোমরের আদরে....

আর তুমি তৃপ্তি স্বাদে সুখের আর্তনাদে
গোটা ঘরে রোমাঞ্চ ফুটিয়ে তোলো
আর আমি তখন ক্রমাগত পাশবালিশে
বীর্য ক্লান্তি নিংড়ে ফেলতে শুরু করি
একের পর এক পরিস্থিতির শিকারে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

Monday, 18 February 2019

বর্ষীয়ান

*বর্ষীয়ান*

সেই যে রোদ,পাশে ফুঠে ওঠা গোলাপের কুঁড়ি ,
একে একে শীত মুছে ফেলা নরম পশমী ত্বকে
তবে সে এসেছিল কাল,ধুলো উড়িয়ে যাওয়া প্রহরে
কিছুটা পাতা ঝরা,কিছু সয়ে যাওয়া স্মৃতির প্রকোপে।

তবুও রঙের মেলা,ওখানেও আলোচনা,জমায়েত ভীড়,
যেখানে মনের কথারা ফেলে যায় আমাদের জীবন জ্ঞানে!
সময় কুড়িয়ে নেয় বসন্ত মাখা কোকিলা সুরের ধারা,
একাশি ছোঁয়া বাতাস বইছে গাছে,গ্রহ-তারাদের প্রাঙ্গণে।

সময়টা নব্বই এর দশক,অভিনেতায় মজার মানুষ ছিলেন
শেষের দিকে খোলে অনেক কিছুই,বাকি-দিক কুয়াশায় ঘেরে
তার কাজ শুরু হয়েছিলো উত্তরী আদলে পরিচিত চলচ্চিত্রে
উৎসবে মেতে ওঠা সম্ভব!নাকি সবটাই ক্লান্তির জেরে ।।

জগতে নেমেছে মৃত্যু মিছিল।একে একে সবাই যান
চলাচল ব্যাহত হবে তাই ,চলে গেলেন কাদের খান ।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আয়েশা

*আয়েশা*

তার আসা যাওয়ার বন্দরে,পুরোনো গল্পের
ফাঁদ ফেলে রাখে মুক্ত বাতাস।রা করেনি
ক্ষয়ে যাওয়া মেঘের জলরাশি অচিন মেঘ পুঞ্জে।।

বসন্তের আগমনে সেজে ওঠা পাতাবাহারের 
ভিড়ে একলা মুছে গেছে দৈনিক তীর্থের কাক।
রুটিন এর অযথা খরচে ফিরে গেছে সেও।

সারি সারি গাছের স্রোতে কেঁপে ওঠে।সেই সাথে 
ম ম গন্ধে জেগে থাকে প্রতিরূপ।রূপের ডালায়
নিরাশ মুকুট সেজে-ওঠে সয়ম্বরের নিত্য সুখে।

এখনও দূরের আকাশে থেমে আছে প্রতিধ্বনি 
ঝাপসা আপসে নতুন কথার রেশ স্তব্ধ হয়ে 
গোলাপি ঠোঁটের নিচে লিপস্টিকে ঝরে গেছে।

মৃগয়াঘ্রাণ আবরণে সয়ে ফেলেছে রাতের ঘুমে
স্বপ্নের সাধ করে কলহের ভ্রমর আক্ষেপে 
কেঁপে ওঠা নিস্তব্ধ নিরাকার অমরত্ব ভালোবাসায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বিবেক দিবস

*বিবেক দিবস*

প্রকাশ তারই শীতের দিনে
তাকে জন্মদিনও বলে
আমরা সবাই সুখের বাহক
পালন করার ছলে।

মানুষ জন্ম সত্য প্রথম
বিবেক পশুর কাছে,
হালকা মদে বরফ ফেলে
চাটটা তবে আছে।

সকালটুকু বেশ কেটে যায়
মাংস কিনে।রেঁধে।
এবার এলো সন্ধ্যে প্রহর
জমল খুশি পেগে।।

এইতো তোমার বিবেক দিবস
আমার দৃষ্টি খারাপ,
নরেন থাকে জীবের তরে
নয়কো এসব প্রলাপ ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ঝিলিক

*ঝিলিক*

হঠাত প্রেমের সম্পৃক্ত প্রকাশ ,চিলেকোঠার দরজা সুযোগ নিতো প্রকাশের কোন একটা বাক্যের মন্তব্য করার!
প্রতিদিনের দুপুরের বাতাস রোদ মেখে নিতে প্রস্তুত।
হতে চাইতো জ্যোৎস্না ঝলকের শেষ শয্যা বুনিয়ার।।

তবে কি ইচ্ছে ছিলো,সমস্ত পথ ধরে হাঁটতে
থাকার কারণে অনেক কিছুই পায়ের তলায় পিষে দিতে!
শাড়ি আড়ালে সমস্ত সম্পর্ক অন্যরকম অনুভূতি খুঁজে নিতো,সেবারের সংক্ষিপ্ত রূপ বর্ণনা করার অজুহাতে।

উত্তরে সে হারিয়ে গেছিলো গোটা আকাশ দূরে,
ইচ্ছে ছিলো দিনের পাথর নুড়ি প্রস্তুত করার।।
সেদিনও প্রশ্ন করেছিলো শৈত্য পশমে ঢাকা আকাশ
'কোনও কিছু স্মৃতি নেই তোমার সাথে গাছপালার'।

শেষ জলের ফ্যানা বলে ওঠে সেই অদৃশ্য
মুখই মায়ার বাঁধনে তাকে জড়িয়ে থাকতে চায়?
নাকি সামান্য অভিমান জড়িয়ে থেকে ঘাস,বালি
চাপা দিয়ে ডুবব অস্তিত্বের নবজন্ম দেয় বাস্তবের সময়।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

সৌমি

*সৌমি*

দেওয়ালের সব আশকারা একের পর এক সরে যাচ্ছে।
বছরের দিন গুনে চলেছে নিস্তব্ধে ফোনের অ্যার্লাম ।

ফিকে হয়ে গেছে শেষ রাতের ঘুমটুকু।অনিদ্রায়।

মনের নিশ্চুপ ধৈর্য্যগুলো সম্পর্ক স্থাপনে হঠাৎই হেসে ফেলেছে।
উৎসস্থলে ফিরে এসেছে কয়েক পা এগিয়েছে যেরকম ।

তারপর বেঁচে থাকা মোহ প্রকাশ করে একান্ত অনিচ্ছায়।

হয়ত গানের সুরে সমস্ত বিরহ সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।
শেষ স্বপ্নের অবকাশে বিসর্জনের মুখ ভেসে-ওঠে প্রথম।

তারপর আকাশমূল্যে অভিযোগ অস্বীকার করে।অপেক্ষায়।

তবে সে মনে আজও ফুল ফোটে-প্রতিদিন।স্ব-ইচ্ছেই।
এ কবিতা কিছুই না।আগুনে হাত-পোড়ে যখন।

কাঠ,ধাতু মুক্ত অভিমান সজোরে আঘাত-করে তখন।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অনামিকা

*অনামিকা*

তোমার চোখে যত্নেরা খেলা করে
ভিজবে যখন কমলা রোদের গলি।
মনে খুঁজে-নেয় নতুন কোনো ভোরে
স্বপ্ন সাজে,শুকনো জলের পলি।।

কে জানে কেমন করে থাকো
সুতোর ক্ষতে রঙ মাখানো সুখে।
ফুটিয়ে তুলে খয়েরি নদীর সাঁকো।
সবুজ প্রেমে ভরবে আগন্তুকে?

ইচ্ছে তবে লুকিয়ে রাখো আজ
যেমন ভুলে হারিয়ে যেত তারে
তফাৎ মেতে গুছিয়ে রাখা কাজ
সব মুছিয়ে এনেছে আজ চারে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ত্রিপর্না

*ত্রিপর্না*

জলের কাছে নরম বাতাস
হাসি ক্ষতে বিষাদ মুখ,
হয়ত জামার বোতাম হাড়ে
গল্প লেখার ইচ্ছা সুখ।

সুযোগ পেলে বন্দী হতাম
জঙ্গলে বা সমুদ্রে তাই
ঠোঁটের লালে রঙ ছুঁয়েছে
স্বপ্নে এসেও থমকে যাই।।

যা ছিলো তা আবেগ বুঝে
হালকা মেজাজ লেখার ঝোঁক
তোমার দ্বারে আঘাত এনে
রইল চোখের শব্দ শোক।।

আমিও বোধহয় ব্যস্ত খুবই
ছিন্ন কথাও দুরত্ব চায়।
সব খুশিরই খুব পেছনে
আঁধার বুঝে কান্না পায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নেতাজি

*নেতাজি*

দেশ ভেঙেছে বঙ্গ ভাগে
সবাই তখন তটস্থ
অত্যাচারে রাত জেগে যায়
রক্ত ক্ষত প্রশস্ত ।।

তোমার সবে জন্ম হল
স্বাধীনতার অগ্রদূত
হাসলো কটক,আকাশ,বাতাস
কাটবে শেকল সে-রাজপুত।।

মৃত্যু আজও হয়নি তোমার
পালন করি জন্মদিন
শীতের প্রভাত ব্যস্ত ভীষন
আনছে সাথে মুক্তবিন।।

এমন শিশুর আবির্ভূতয়
জন্মভূমির মুক্ত প্রকাশ
আজ হয়তো কোলেই শুয়ে
ভারত মায়ের ছোট্ট-সুভাষ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রোমি

*রোমি*

প্রতিটা সকালের ব্যস্ততায় চেনা পথে চলাচলে
পরিশোধনের মতো একে এক প্রকাশ ঘটা।
অবিরাম ছুটে যাওয়া মানা-নামানার ফলাফলে
যেটুকু মনে পড়ে থাকে,তা  চঞ্চলতার ব্যকুলতা।

ফিরে আসা অভিযোগে হারিয়ে গেছে বাতাস।
পোড়েনি তাদের কক্ষপথে লোক শোনানো গুজব।
তোমারও দিন ছুটিবিরল,থমকে আছে আকাশ
তফাৎ মোছা স্মৃতির মুখে।বিষন্নতা আজব।।

নিরাশ ঠোঁটের বিচারটুকু সামনে যদি দেখি
দুঃখ জমে রুটির খামে।আপনি ঝরে-ভিরে
ঘোড়ায় টানা ক্লান্তিগুলো রৌদ্রে ফেলে সেঁকি
দুই সাঁকোতে দেখা হতো খয়েরি নদীর তীরে

সময় যত দূরত্ব চায় মেরুন কোনও ছাদে।
সরলরেখা একলা জলে ঝিনুক কুঁড়োয় ডুবে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ঈপ্সিতা

*ঈপ্সিতা*

সে কত মাস আগের কথা,চাঁদ,মেঘ,ধ্রুবতারা
শীতে ফুলে সাজানো স্থিতি বাগানের মন পাড়া।

সাতরঙা মেঘ ভাসমান,সেই চেনামুখ বহুবার ,
অনেক কিছু জানতে তবেই  ছায়াপথে পারাপার ।

উর্ধ্বে তোমার কথা বিচার,শব্দ তোমার হাতে,
আমরা দুজন গপ্প পাতি গান পোড়ানো রাতে ।

কঠিন হতো যখন তখন মজায় কিছু করা,
তোমার সাথে একপাতে খায় আমার কাব্যি-ছড়া।

তৈরী আছে ছন্দ যতন,একশ কালির মানে।
তার বিষাদও লেখা কাছে কলম টেনে আনে।

কেক মিষ্টির কি-প্রয়োজন!সাথে বিভেদ ছোরা!
কাব্যি খানি আজ তোমারই জন্মদিনে মোরা।।

তার ঘড়িতে ছুটছে সময় আজ এটুকু থাক,
একশ বছর বাঁচুক খুকি,মৃত্যু দূরে যাক।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দোলন

*দোলন*

রেখে দিয়েছি সে সব দিনের
লুকিয়ে থাকা স্মৃতিপট
অস্তিত্বের বন্ধুত্ব।

দেওয়াল ভেদ করে যখন
সম্পর্কগুলো একে একে ফিরে
চলে দিগন্তের পথে,আমি
প্রতিজ্ঞা বদ্ধতায় সমস্তটাই
অনুভব করি চোখের জলে।

আকাশের অনেক নিচে
যখন ভালোবাসার অপেক্ষা করে থাকতাম
প্রচন্ড জলরাশি আমায় বারে
বারে আঘাত করত যন্ত্রণা
নিস্ফালনের জন্য ।

আমি খেয়াল বসত ছুঁয়ে ফেলতাম
চিবুকের শেষ সীমার ঝরে
যাওয়া অনুভূতিটুকু।

বারান্দার নগ্ন রেলিং এর মুছে
ফেলা শৈশব থেকেই যৌবনের
উদাসীনতার বিশেষ কিছু
প্রাসঙ্গিক মূহুর্তের সংলাপ
মেলে দিতাম কমলা রোদের
আলোয়..

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আয়েষা



*আয়েষা*

পাতা ঝড়ানো বসন্তে,গাছের নতুন পাতাটি পা ফেলে
এগিয়ে এসেছে সীমাহীন কমলা রোদের আভায়
দু-চারটে চড়াই ঠুকরে দেয় তার শরীর।খেলার ছলে।

তোমার মনের গভীরতায় শান্তির শেষ ইচ্ছাটুকু
সেজে ওঠে মরীচিকার উন্মুক্ত স্মৃতির প্রকাশের উদ্দেশ্য
একান্ত সায়াহ্ন অভিমান নিভিয়ে ফেলে বাঁচার জেদ।

স্বপ্নরা অবকাশে বিসর্জনের মুখ ভেসে-ওঠে প্রথম সমুদ্র স্রোতে
মাঝে মাঝেই আবছা হয়ে আসে শুভার্থী পথিক-
আর তিলকে আঁকা ছবির তোষামোদে কবিতারা অসহায় হয়ে যায়।

আমার ঘুমটুকই নিও তুমি,যদিও তা স্বার্থের
কাছে অনেক কম দামী।যদি সেখানে ফিরে আসা
প্রকৃত উহ্য উল্কাপাতের মতই।অন্ধকারগামী।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Sunday, 17 February 2019

ভাষা দিবস

*ভাষা দিবস*

সময় কিছু বদলে আসে মতলবি
কথার দরে বিক্রি যত ঘর ক্রেতা
সুরক্ষা সব ধর্ম ছুঁয়ে আন্তরিক
ভাষার বিচার রদ বদলে রুক্ষতা ।।

ফুলের মতো মন খুঁজেছে মুখখানির
নিন্দুকেরা সৃষ্টি করে অন্ধ-গ্রাম
প্রকাশ‍্য পানি ঠোঁট চেকেছে সন্ধানির
বিবেক টুকুই পরিশ্রমের ইষ্টনাম

কম্পাসে চোখ আঁকড়ে খোঁজে ভ্রান্ত দিক
শান্তি যত মুখ লুকিয়ে খুব কাঁদে
আমরা বলি ভাষাই নাকি সৃষ্টিভিক
সম্মানও কি রঙ লাগাতো মন্দতে।

তোমার শালে রক্ত গরম অন্ধকার 
মুক্ত শুধু লুকিয়ে রাখা ভিনদেশে
খয়েরি নদীর রাত গুনেছে বন্ধ দ্বার
বিবেক তবু ধুলোই মাখে সবশেষে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

শহীদ দিবস

*শহীদ দিবস*

তারাও নাকি থাকেন 'পরে,
স্বাধীনতার যুদ্ধে
আপোস করে নুইয়ে আছেন
আমাদেরই মধ্যে ।

একটু দূরে ওইতো দেখি
মিনার সমান স্তম্ভ।
ভাষার বিকাশ তাদের স্রোতেই
আমাদের কেবলই দম্ভ।

কবর দেওয়া দুঃখ যত
মিথ্যে গুলোই সত্যি
ওঠো প্রভাত নতুন ভোরে
আমরা তোমার আর্তি।

একদিকে তার অনেক বিচার
মুঠোর ঘরে স্তাবকী
শহীদ বেদী আজও বলে
তুমিও তাই ভাবো কি!!

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

না

*না*

সেভাবে বুঝিনি এই নতুন খেলা ।

নিস্তব্ধে ফিরে এসে কথাদের
প্রকাশে রেখে যাওয়া অনুদান।

সে পথেই ভেসে আছে নিশাচর
ভবঘুরে আর কিছু বলার
আগেই গাওয়া গান।

না সেভাবে বুঝিনি এমনি করে
অঘটন উদ্দীপনার অবকাশে
বিসর্জনে ফুটে ওঠা রাতদিন সমান।

এভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মের
কাছে তুলে ধরার সুযোগ নেই।

না আমি বুঝিনি এসবই
তাদের জমে থাকা বিরহের গান ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

জলতরঙ্গ

*জলতরঙ্গ*

সে কাজে আমিও পরিণত হব
যদিও আঙুল ছুঁয়ে আছো তুমি।

না-হলে ছন্দ হবে ভুলই
সেলটেপে জড়ানো রেডিও
ভেসে যাবে কোন দরিয়ার স্রোতে।

ডুবে আছে চিরাগ বেদনা।

বৃদ্ধ পাতার মুছে গেছে স্মৃতি
রক্ত ঝরেছে শব্দ ব্যবহারেও।

তবে আকাশ থেকে ঘুরে আসা
ঘুড়িটার বয়স জেনে নিও।

গ্রাম থেকে গ্রাম বয়ে চলে
বাতাস।সেটুকু সামলে দিও
জরীপবিহীন মদের গ্লাসে।

আজ প্রেম।ঠেকেছে ঠোঁটে
বহুকালে ঘুমিয়ে ছিলো পাঁচিলে।
রক্ত জমা।বিষাক্ত যন্ত্রণায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রূপে সরস্বতী

*রূপে সরস্বতী*

হাতের বীণায় রোদ ছুঁয়েছে হলুদ ঝরা শাড়ির রেশ
রাংতা জোড়া অলঙ্কারে মুক্ত চুলের গুল্মলতা
বিদ্যা দেবীর প্রকাশ হল রাজকুমারীর বেশ তথা

স্মৃতি ক্ষতে গুছিয়ে রাখি মনেই জমা প্রবঞ্চ
আপন গড়া ফুলদানি টাও একলা শুকায় নিবদ্ধে
প্রাপ্তি যত'র মুখ ঢেকে দেয় সোনার চুড়ের প্রতিকৃত

পুষ্পে তাকে সাজিয়ে রেখে ছুঁয়েছে মাটি মুক্ত কেশ।
ঠিক তখনই হাতের চেটোয় আশীর্বাদী সোপানজল
তোমারা ভাবো মায়ের সমান, আমার তিনি বন্ধু বেশ

জল সাথে হঠাৎ যখন সন্ধি ঘটায় সমকজল
বৃদ্ধ পাতা বেসুরে গায় "ললাট আমার আপন যে"।
কি আর বলি তোমার ঘোরে আকাশ হতে নামল চাঁদ

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ক্যালকুলেশন

*ক্যালকুলেশন*

থামবে কি!জানতো না ক্লান্ত চোখ
পাতারা স্বপ্ন রূপ,সচল গুল্মজাল।
শিউরে আয়না মুখ বুলেট ভর্তি লোক
লড়াই হচ্ছে তার মরন মধ্যকাল।

কবিরা ছুটছে দেখ।মাঝের মাটির স্তুপ
আঙুলে চিটবে সব খয়ের ভর্তি পান
জড়িয়ে আছে তার শয্যা সঙ্গী ধূপ
ছাইয়ে ঢাকবে সব জোলাপ মগ্ন স্থান।

সবর যায়কি আজ ঠোঙা বন্দি মাফ
দেওয়ালে আবেগ মুছে ঐশী গ্রন্থের নাম
যাহাতে মেলায় ভাষা প্রয়োগ করেন সাফ
দেখেছি কাজল তাতে অভিযোগ দায়ের কাম।

নাকের ডগায় তার ভগ্ন আলোক জড়ি
বোঝেনি কথার ফাঁদ বুকের পাথর চেপে
আকাশ জীবন যাপন বাঁচার স্বাদ করি
চোরের আতুর ছেড়ে স্বাভাবিক সংকেতে

আমরা যে সব নিরাশ সেনার লোক
আগলে থাকি ইলেকশন আর ভোট
ক্যালকুলেশন,রক্ত জমাট শোক
সব কি তবে মন খারাপ ক্রোধ ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

টুকরো স্মৃতি



*টুকরো স্মৃতি*

স্নেহ চুম্বনে ঢেকে দিয়েছ ক্ষত
দলা পাকানো রক্তাক্ত শরীরের
বিচার শুরু হবে সংকোচের প্রাঙ্গণে।

আমি অচেতন পথের আড়াল নজু

তার ফেরারি স্মৃতির চত্বরে
বিক্ষোভের আল চাপা পড়ে
গেছে নিশাচর প্রাণী সন্ধানে।

তুমি কি কখনও এই পথে
থেমে গিয়েছিলে।নাকি সহস্র
পতঙ্গ আবরণে তারা হয়েছো রাশি

শ্যাওলা ভরা দেওয়ালে,মরা
ছাদে শুকিয়ে যাওয়া বড়ি।
ছেঁড়া শাড়ি অভাব,বিলুপ্ত পাঁচিলে।

বাতাসে ওপর ভর করে বিকেলের 
সরষে ক্ষেতে খুঁজে চলেছি তার
যাওয়া আসায় প্রতিটা পদক্ষেপের হাসি।

তবু মনটুকু পড়ে থাকে সেই চিলেকোঠায়
মুছে থাকা মানুষের পারাপারের ছায়ার মিছিলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আলো জ্বলবে এবারে..

*আলো জ্বলবে এবারে..*

গোলাপে সাজানো কফিনের
ভেতর রক্তাক্ত শরীরের বিচার
শুরু হবে খানিক বাদেই।

চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা
তীর্থের কাকের মত গোটা
দিনে আলজিভে বসন্ত
নামিয়ে ফেলে শুধু মাত্র
পিপাসা মেটানোর উদ্দেশ্যে।

সেই চল্লিশটি প্রাণের মণিকা সহ
আবেগ বসত সমস্ত সম্পর্কে
অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

আর ঘোলাটে ধোঁয়ার
আড়ালে গোটা জগত স্তম্ভিত
হয়ে ওঠে অনাদরে।

আমরা তখন টেবিলে মানচিত্র
সাজিয়ে লাভ ক্ষতির তফাৎ
মাপি অনবরত।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Monday, 14 January 2019

শ্বেতা


*শ্বেতা*

যেটুকু কথা ছিলো, রেখেছি সব,

মাটির ডেলা পরিচিত আদলে মাপা,
কপালের গুমোট ক্লেশ,টিপের কোনায় রাখা।
. . .

তার বৃষ্টি আবেগ বদ্ধ রেখে, চোখের পাতায় গল্পের সন্ধি হয়।

যেটুকু কথা ছিলো,হারিয়েছি সব।

নতুন মাটির মেয়ে, সাবেকি ধাঁচে গড়া,
একটু খেয়ালি,অনেকটাই ভাঙাগড়া. . . .

তার ঠোঁটের কথায় মাপা স্মৃতিরা,চোখের পাতার  গোলাপি পল্লব।

যেটুকু রেখেছি প্রেম,হারিয়েছি সব।

তার এলোচুল ঘিরে আছে রজনী খোঁপা ,
আরো একটু নিজেকে মেপে দেখা . . .

তার আষাঢ়ে সাহস ঢাকে, বুক জমা শ্রাবণ জল,

তবু সেই গল্পে অনেক মেয়ে গড়া,
আজ হোক না তাদের সাথে বোঝাপড়া . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা ২*

শ্বেতা,এ মানুষ জন্ম আমরা পেয়েছি
সেই শতমুখ বসন্ত মাখা রাতে।
সিন্ধু আকাশে চাঁদ তারা রাশি রাশি ।
গোটা আঁধারে কিছু ঝিঁঝির গুঞ্জন।
মেরুদন্ড যৌবনে,পা ফেলে নতুন মুক্তার শরীর,
তোমার রেশমী চুলের ছোঁয়ায় মন ভাসমান প্রাচীর।

সমগ্র বাতাস বইছে গাছে গাছে
নবান্ন রাত্রি ছুটেছে তবে,
সহসা জোনাকির শেষ পথ চলে গেছে দূরে নীরবে।
চারিদিকে তারা খসে অবহেলায়,
যেন একযুগের নক্ষত্র অবসান
স্তব্ধ হতে পারে জ্যোৎস্না ঝলকে শেষ উজ্জ্বল খৃষ্টান।।

তবুও অতীত থেকে মুছে গেছি তুমি,আমি এবং ওরা-
রূপলী রাত্রি যাপন করার
অর্ধেক জীবন হেঁটে চলে নব পৃথিবীর দিকে;
যেভাবে মিঠে মেঘের আহ্বানে
দুজনে ব্যাকুল হয়ে উঠে
পথ থেকে পথ প্রয়াস করে তবে,
জেনে রেখো পৃথিবীরও সমাপ্তি ঘটলে
সভ্যতার রশদ মিশে যাবে
সাগরের স্নিগ্ধ কলরবে।

এখন তো দেখি চোখের কোনার কাজল,
ফুটিয়ে তোলে মনের নিশ্চুপ আগুন ।
নিবিড় কালো চুলের ভিতরে কবেকার সমুদ্রের নুন।।
তোমার হাসির রেখা সুদূর রজনী খোঁপার সদ্য যৌবনা নারীর মতন।
একে একে ফুটে ওঠে অন্তর্গত গভীর স্পন্দন ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)



*শ্বেতা৩*

আকাশ যখন অনেক খুশি,তোমার কাছে এসে
একটু থেমে গাছ হয়ে যায় ঠোঁটের ছোঁয়া নিতে
ফুলের পোষাক আগুন ছেটায়,হলুদ ছোঁয়া ভাসে
ওড়না যেন প্রাণ খুলে গায় মৌমাছিদের সাথে ।।

আমিও বোধহয় খুব বকাটে তুমি তেমন জল
হঠাৎ হঠাৎ জড়িয়ে বলি এইতো তোমার কাছে?
সব কথারই আবেগ আছে পরশ টুকুই আসল
একটা করে শব্দ বেঁধে নতুন প্রভাত সাজে।

মুক্ত ঝরা চোখের ঝলক প্রথম আলোর রীতি
এবার তবে বিচার পেতে লজ্জা লাগে গায়ে ।
আকাশ তখন তুলোর মতো লিখছে প্রেমের চিঠি
রোদ্দুরও আজ বেশ নমুনা, গল্প মেখে নেয়

কাজল থাকে অপেক্ষাতে সিন্ধু নদের মতো
সূর্যমুখী মুচকি হাসে শীতের কিছু কথায়
কিন্তু তুমি চোখের-জলও চাদর দিয়ে ঢাকো
আজ যে-তবে এটুকু-থাক আসবো পরের পাতায়।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)


*শ্বেতা৪*

আমারও তো মন ভাঙে।অচল
শব্দেরা দানা বাঁধে বুকের বাদিকে।।
সেখানে পরে থাকে কথার চলাচল
ক্ষয়ে যেতে চায় স্বপ্নেরা দিকে-দিকে ।।

হাত ছুঁয়ে যাওয়া অভিনয় মুখ
তার চোখে কষ্টের সমাপ্তি হয়
দিগন্তের পথে পড়ে আছে যে-সুখ
গভীর হলে একে-একে নিভে যায়।।

শেষ ট্রেন এসেছিলো সেই কবে
কান্নারা খুঁজে নিতো অভিমান ছুট
কিছু নদীও শান্ত হয়।তবে
প্রকাশ কালে মুছে যায় অদ্ভূত ।।

এখনও থেমে আছি যেই ভুলে
ভীড়ের কারণ ফিরবে না সেও
আছে কি ভুল কবিতায় ছুঁলে
আমিও সে গানের আগমন প্রিয়

পেরেছি কেবল হাত ছেড়ে দিতে মাঝে
সেভাবে রোদ্দুর আসে একাকীত্ব বারান্দায়।
জেদ তো তোমারও অনুভবে সাজে
যেভাবে বিরক্তিরা শেষপথ খুঁজে নেয়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা৫*

নতুন সে গানে শরীর ভেজে।তাকে ছাড়া
বহুকাল বসন্ত আসে শূন্য মনে।তবু অন্ধকারে
বিঁধেছে কাঁটা অবসাদে।ঝরেছে শব্দ ছোঁয়া কথারা।
আর তুমি সন্ধ্যে পোড়া দাগে মিশে গেছো পাথরে।।

ও তারে গিটার বাজে!বৃষ্টিহীন বিষাদ সেতার
তাকে তুলে দিও শেষ সুরটুকু।তোমার দু'হাতে।
সমস্তটাই শান্তির বাহক,ঠোঁট ভেজা প্রেম,পাতাবাহার
সাজানো খোঁপায় শোভা পায়।মুখচোরা অভিমান ক্ষতে।

কিছু-কি তাদের মনেও রয়ে যায় ।যেমন তুমি।
সব শত্রুই-কি লেখার হয়!নাকি হিসেবের রেয়াজ
ক্রমশ জট পাকিয়ে ছাঁই ভরা অ্যাস্ট্রে কোনেই
 পরাজয়ের ভুল স্বীকার করে নেবে আজ।।

তুমি তো সুন্দরী।তোমার চুলের গন্ধে হারিয়েছি কতবার!
সব কি স্বপ্নে হয়!অপচয়ে বেজে ওঠে হারানো সেতার।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)


*শ্বেতা৬*

এভাবে ছায়াঘিরে যখন সন্ধ্যে আসে নদীর বুকে
একে একে জোনাকিরা বলে যায় ফিরে এসো।
গোটা আকাশে যুদ্ধ নামে পরিচিত আঁধারের সুখে।
জলেরা শব্দে বলে তুমি-কি তাকে ভালোবাসো।।

চাঁদেরও খুশি মন জ্যোৎস্না ভরেছে তার প্রেমে ।
পরিবেশ সায়াহ্নে সারথি,ছুটিবিরল প্রকাশিত তথা
কে জানে কত যুগ আগে এসেছিলো স্বর্গের থেকে নেমে
এখনও পাড়ের ঢেউ গুনে যায় বাতাসেরা যথাতথা ।।

রাশি রাশি মেঘ ক্রমাগত ধোঁয়ার আদতে উড়ে
সমস্ত সম্পর্ক বিষয়ে অনুভূতি খুঁজে নিতো আর
রূপের ডালায় নিরাশ মুকুট সেজে-ওঠে সয়ম্বরে
ঘোড়া টানা বৃষ্টিতে প্রতিরূপ ভিজে হয় একাকার ।।

স্মরণ লেখা স্মৃতির শহর।হাত ধরেছি বলে।
একটা ভোরই কম কি আছে স্বপ্ন পাতার ছলে ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা৭*

তোমার স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে নিস্তব্ধ আকাশ।
অনন্ত প্রকাশ যেন মুক্ত হয়েছে।সঙ্গে বিরহ।
একটি প্রশ্নেই দুটি চোখে আলোকের উদ্ভাসনের  আভাস
মুছে ফেলে স্মৃতির শহর পরিক্রমা।দুর্বলতাসহ ।।

সেরকম মৃণাল জলে ভাসে কত শতদল
মনে হল শুভ কামনায় গোলাপি চাদর পরিহিত
শান্ত ও নীরব চোখে ছবি আঁকা স্থলে
শ্রাবণের প্রথম ধাপে ভিজে উঠেছে একান্তে শীতও।।

তাদের আসা যাওয়ার সুযোগটুকু দেখা গেছে পরিধানে
বিষন্ন বলয়ে বারেবারে জেগে ওঠে জলরাশি
অনেক অতীত কথা একে একে মনে আনে
তবু ছুঁয়ে থাকা হৃদয়ে বলে ভালোবাসি ।।

তোমার শরীরে,রক্তে এ-দেহ আমার ভাসমান
তফাতে আবেগ রেখে মুছে নিও অবসান।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা৮*

তোমার চোখে রঙ সাজানো
ঠোঁটের কোণে নরম সুখ
কাজল দিয়ে আঁধার ঢাকো
চঞ্চলতায় থমকে বুক।।

আয়না তবে বলবে-কি আজ
তোমার প্রেমে থমকে যাই
ফুলের গায়ে রাত নেমেছে
ভোরকি ফাগুন আনবে তাই

তেমন জলও ভাসলো দেহে
প্রশ্ন শুধু প্রকাশ্য চায়
আমরা দুজন গপ্প পাতি
চিলের কোঠার বারান্দায়

তুলির ছোঁয়ায় স্বপ্নে ভাসি
আকাশ বাতাস রাস-মনি
ছোট্ট গানেও জগত আছে
স্তব্ধ চিবুক ঘাস-মানি।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা০৯*

রেলিং ঘেঁষে মেঘ চলে যায় দূরদেশে
অজস্র সব গাছের গোড়ায় স্রোত জমে
নকশা টানা কমলা রোদের ধার ঘেঁষে
তোমার ছোঁয়ায় বাতাস ছোটে প্রাঙ্গনে।।

হাতের শিরায় বইছে নদী সংযমের
আসবে খবর ছাই মাখানো পথ ধরে
সেই ছেলেটা গোলাপ হাতে এক কোণে
জামার সাথে করছে আপোষ খুব ভোরে।।

নতুন মাঘে সেও নাকি মন খুঁজে
কথা সাথে ছুটবে ঘাসের অক্ষরে
ক্লান্ত আকাশ আস্কারা দেয় মুখ বুজে
ফিরবে নাকি শব্দসাঁকোর প্রান্তরে।।

খয়েরি মাটির মনচমকের সুখ দিনে
স্বভাব মতো অন্ধকারে শীত ঘুমে
আসবে তবে নির্জনতার ভিড় ট্রেনে
আয়না ঘামে হালকা হিমের মরশুমে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা১০*

কথা ছিল তোমার জন্য ফিরে
স্মৃতির শহরের ভিন্ন বিচার ছেড়ে
আবেগ বশে মুছে যাবো লিপস্টিকে ।।

প্রথম পর্ব থেকে ভেসে ওঠা
দিগন্তের পাশ্চাত্য বনে ফুল ফুটে
একে একে ছুটে যায় তোমার শরীর ছুঁতে।।

আজ রৌদ্র যেন কঠিন আগুন
গাছেদের কোলাহলে পরে আছে শেষ গুন,
ঝরে যাওয়া পাতার মতো সাজিয়ে রেখেছে শরীর ।

মিশুকে চিবুক।দ্বন্দ্বেরা ক্লান্ত হয় মৌখিক প্রবাদে,
স্বভাবের প্রকাশতায়,কথারা যুক্তি পায় নিয়মের সুবাদে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা১১*

তোমার কাছে যখন পড়ি ধরা
হয়তো পাতার মনের আনকোরায়।
যে কথাটি তোমার কাছে পড়া
থাকে রোজের প্রেমের কোনো ছড়ায়।।

এখন বুঝি দিন বদলের টানে
পেরিয়ে ফেলি শহর-নদী-গ্রাম
রক্ত তোমার মনের বিচার জানে
পালক সাদা ছোট্ট হাঁসের নাম।।

সে শাড়িতে লাগছে তোমায় বেশ
লাল পাড় হলুদ জড়ির কাজে
আয়না এবার মুছিয়ে দিলো ক্লেশ
লিপস্টিক আর চোখের মেকাপ সাজে।।

এত্তো মানুষ ছুটছে এদিক ওদিক
তাদের ভিড়ে আমায় তুমি খুঁজো
আজকে মাঘের শুক্লা পঞ্চমী
প্রেমের দিবস সরস্বতী পুজো।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*শ্বেতা১২*

তোমার কাছে যখন পড়ি ধরা
হয়তো পাতার মনের আনকোরায়।
যে কথাটি তোমার কাছে পড়া
থাকে রোজের প্রেমের কোনো ছড়ায়।।

এখন বুঝি দিন বদলের টানে
পেরিয়ে ফেলি শহর-নদী-গ্রাম
রক্ত তোমার মনের বিচার জানে
পালক সাদা ছোট্ট হাঁসের নাম।।

সে শাড়িতে লাগছে তোমায় বেশ
লাল পাড় হলুদ জড়ির কাজে
আয়না এবার মুছিয়ে দিলো ক্লেশ
লিপস্টিক আর চোখের মেকাপ সাজে।।

এত্তো মানুষ ছুটছে এদিক ওদিক
তাদের ভিড়ে আমায় তুমি খুঁজো
দিনটা মাঘের শুক্লা পঞ্চমী
প্রেমের দিবসের সরস্বতী পুজো।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Saturday, 12 January 2019

ভবিতব্য

*ভবিতব্য*

সহজ আলাপ, যা কিনা সন্দেহ চেকে জিজ্ঞেস করা
তোমার সাথে একপাতে প্রেম নিবেদনের জগ্য হতে পারি!
যদি না ফিরে এসে দেখি তুমি দালানের কোনে
পড়ে আছো সহস্র স্বপ্ন সাজিয়ে।নিস্তব্ধ ঘরবাড়ি ।।

চাঁদের মতো মুখখানি নিমেষে ফিকে হয়ে অজুহাত
গুনতে শুরু করে।দেওয়ালের সামান্যটুকু বাদ রাখে না
সরল জ্যোৎস্না আলোর কণিকা যখন তোমার শরীরে এসে
পড়ে গোটা জগত সম্পর্কে বেঁধে রাখা যায় না?

উচু অট্টালিকার মতো অহংকার বুনে ফেলেছো সমস্ত শিরাউপশিরায়
ভেবে দেখেছো একবারো তার সাথে সঙ্গ দিতে পারবে তো
নাকি সবটাই ছলনায় বেঁধে তাকে ও নিজেকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছো আর চিৎকার করে বলছো আমি তোমায় ভালোবাসি গো।।

আজকাল জেগে থাকতে ভয় হয়,শান্তি তো হাতছানির ঈশ্বরী
এবার বলো সব জেনে কি করে ভাবি আমি নারায়ণ তুমি কোজাগরী ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

পায়েল


*পায়েল*

প্রথম আলো সরল পাখির মনে
হঠাত ছোটে গ্রাম থেকে সেই-গলি
গল্প দোষে আকাশ টেনে এনে
সরায় লেখার আবেগ জমা পলি।

তোমার দিনে সুলভ রঙের পথ
রাতে মায়ায় ধ্রুবক তারার রেশ
স্বপ্ন দিয়ে তৈরি যে রথ
বাতাস বুঝে থমকে গেছে বেশ।।

ডুবব জলে কমলা রোদের মেঘ
একক মাটি উদ্ধারে সে মুখ
আপনা হতে মনের কথার ভেদ
ইচ্ছে টেনে ক্লান্তি লাগে সুখ।।

ঠিক যখনই সাগর আসে পারে
আবছা চুলে হাত বুলিয়ে কাঁদে ।
স্মরণ নিতে পলাশ ঝরে পরে
হয়তো ফাগুন শিশির ভেজায় ছাদে ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ঝিলিক



*ঝিলিক*

হঠাত প্রেমের সম্পৃক্ত প্রকাশ ,চিলেকোঠার দরজা সুযোগ নিতো প্রকাশের কোন একটা বাক্যের মন্তব্য করার!
প্রতিদিনের দুপুরের বাতাস রোদ মেখে নিতে প্রস্তুত।
হতে চাইতো জ্যোৎস্না ঝলকের শেষ শয্যা বুনিয়ার।।

তবে কি ইচ্ছে ছিলো,সমস্ত পথ ধরে হাঁটতে
থাকার কারণে অনেক কিছুই পায়ের তলায় পিষে দিতে!
শাড়ি আড়ালে সমস্ত সম্পর্ক অন্যরকম অনুভূতি খুঁজে নিতো,সেবারের সংক্ষিপ্ত রূপ বর্ণনা করার অজুহাতে।

উত্তরে সে হারিয়ে গেছিলো গোটা আকাশ দূরে,
ইচ্ছে ছিলো দিনের পাথর নুড়ি প্রস্তুত করার।।
সেদিনও প্রশ্ন করেছিলো শৈত্য পশমে ঢাকা আকাশ
'কোনও কিছু স্মৃতি নেই তোমার সাথে গাছপালার'।

শেষ জলের ফ্যানা বলে ওঠে সেই অদৃশ্য
মুখই মায়ার বাঁধনে তাকে জড়িয়ে থাকতে চায়?
নাকি সামান্য অভিমান জড়িয়ে থেকে ঘাস,বালি
চাপা দিয়ে ডুবব অস্তিত্বের নবজন্ম দেয় বাস্তবের সময়।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

তৃতীয় ভুবন



*তৃতীয় ভুবন*

মানুষটাকে খুব চেনা নেই
'রাত-ভোর' যার প্রথম ছবি
বাংলা ভাষার নতুন সুখে
পুরস্কারে প্রকাশ নবীর।

বেঁচে থাকার রাস্তা জুড়ে
আবার একক খসলো তারা
কুয়াশাতে দিন মেপে দেয়
মৃত্যু পাতার ধুঁকছে যারা।।

শীত যতটা বিষন্ন আজ
গল্প লেখে নখের ক্ষতে
পায়রা প্রাণের বিদায় ক্ষণে
শিকড় মোছে তর্জমাতে।।

দিগন্তে যে অস্ত রোদের
খবর আবার শোক এনেছেন
এইতো সেদিন নীরেন্দ্রনাথ
আজ সেরকম মৃণাল সেন!

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...