Tuesday, 22 May 2018

উপলব্ধি




*উপলব্ধি*

পাঁজরে লেপ্টে গেছে
শত প্রজন্মের উদ্ভিদ আগাছা!
আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে
হিংস্র প্রবৃত্তির বাস্তব মনোভাব গুলোকে৷
যা ছড়িয়ে পড়ছে শরীরের
সমস্ত শিরা-উপশিরায়।
মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ দিয়ে,
সূর্যাস্ত নেমে আসছে কোটি কোটি স্নায়ুতন্ত্রে...
হাজার অকাল বোধ
মিশে চলেছে নদী চরে,
তার থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালির
কণা উড়ে বেড়াচ্ছে  বাতাসের সাথে...
আমি তার সবটুকুই উপলব্ধি
করে চলেছি... একলা- নির্জন স্থানে....

                 
  #আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মেঘ




*মেঘ*

পাহাড়ের বন্ধুত্বে
আসমানি মেঘ মানুষের শরীরে
বসবাস করতে চায়।
সামান্য কিছু বিদ্যুৎ চমকেও
শরীরে গভীর শিহরণ
জন্ম নেয়।
এক অজানা আতঙ্কে
বাকি জীবন শীত চাদরে
ঢেকে ফেলে...
কিছু বিকেলের পাখি সে
চাদরের ওপর বাসা পাতে,
তখনও সে ঘুমিয়ে থাকে চির নিদ্রায়।
আর মেঘ …
সে তো আগের মতই আকাশে শোভা পায়৷

                           
                      আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নদী

*নদী*

আমার মনে অভিমানের শত মুখ ভেসে উঠেছে,যা আমার পরিচিত নয়৷
তারা অনেক দূর থেকে স্রোতে ভেসে আসছে একের পর এক৷
গভীর নদী জলে তাদের শত মুখ, চলে যাচ্ছে দূর আরো দূরে৷

স্নান বালতির জলে ভেসে উঠছে কান্না ভরা নিষ্পাপ শিশুর মুখ৷
হাত দিয়ে ধরতে গেলে ক্ষণিকে মিলিয়ে যায় অস্থির জলে।
মোমের শরীর মুছে প্রলেপ হারিয়েছে হয়ত কোনো ভুলে৷

মুহূর্তের আঁচে গলে জল হয় কঠিন স্তুপ সম মোম -
সময় বড় চঞ্চল , তাই সে বয়ে চলেছে নৌকা ভেলায়।
পাড়ে দাঁড়িয়ে ইশারায় কারা যেন ডাকে, সে মানুষ নয়, মানুষেরই  মতিভ্রম৷
চিরঘুম জড়িয়ে আছে তাকে, নিন্দ্রা ভঙ্গ হলেই ভালো আগামী শেষ বেলায়৷

জেগে থাকলে আকাশ ছুঁতো, বকা খেত চাঁদ-তারাদের কাছে -
দিগন্তে কেবল একটাই কলঙ্কমুখ  জেগে আছে,কত পথ চেনা তার!
কত সন্তানরাশি ভেসে চলেছে তার জল ভরা চোখের আশপাশে !
অনিশ্চয়তার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে তারা, সুনিশ্চিত অন্য এক দেশে......

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

শারদীয়া বন্দনা ২০১৭

*শারদীয়া বন্দনা*

একদিন শরতের মেঘ এসে শুয়েছিলো মাঠ ভরা কাশফুলের বুকে
মাটির বুকে জমা ছিলো থাকে থাকে শিউলি ফুলের লাশ-
আর ঘাসেরা ছিল দেবলোকে ঘুমের দেশে।
সে দূর্গা তোমারও ঘরে আছে
গুটিয়ে রাখে সংসারে আচ্ছাদনে।
চারপাশে তাকিয়ে দেখো শত শত অসুর চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কাকের ছদ্মবেশে বাদুড়ের দল একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছে দিনের আলোয়,
চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ
ঢাকিরা তৈরি হচ্ছে শহরে পাড়ি দেবার জন্য৷
ঢাকের খোল শক্ত করে নিচ্ছে ।

অষ্টমীর বন্দনায় তুষ্ট করে সারাবছরের পাপ ঝেড়ে ফেলি, তারপর মদ্যউন্মাদ হয়ে উলঙ্গ মেদ জমানো শরীরে ভাসান ড‍্যান্সে মাধ্যমে সম্মান দি পর্বতকন্যাকে।স্লোগান উচ্চারণ করি "আসছে বছর আবার হবে..." প্রতিফলিত হয় প্রত্যেক মুখে মুখে।ক্রমশ জলের তলায় মিলিয়ে যায় মাটির প্রলেপ....

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

হতভাগ্য

*হতভাগ্য*

কিভাবে বদলাবো ভাগ্যের দাগ?সে রক্তে জমাট ক্ষত!
হাতে-পায়ে মেখেছো কাদা, তবু কান্না ঝরছে অবিরত,

হতবাক চাহনিতে দেখেছি তোমায়,মুখ-ঠোঁটে হাসির মরীচিকা।
কেমন যেন শুকিয়ে আছো তুমি,শতরূপ বিভীষিকা...

একের পর এক বালি কণার স্তুপ ভরেছো বুকের খাঁচায়
সে নেহাতই শিশু মনের কোমল সভ্যতা বাঁচায়!

মিলিয়ে যাবো তোমার মনের যন্ত্রণায়,যদি বেঁচে যাই প্রতিদিনই
চোখের জলেই জায়গা আমার, আমি তোমার কাছেই ঋণী...

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মুহুর্ত

*মুহুর্ত*

#আরিয়ান #প্রিয়স

ভারী হয়েছে আকাশ, সকালের গায়ে চাদর ঢেকেছে মেঘ,
হাওয়া ছুটছে সীমানা ধরে, দ্রুত এগোয় শব্দের  গতিবেগ !

ভোরের স্বপ্নে চুমু দিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির বিন্দু ফোঁটারা,
বাতাসের শব্দ লক্ষ্য করে মন ছুড়ছে ক্ষিপ্ত লুঠেরা ।

রাতের তারাদের সাথে পা ফেলে চলেছি চাহিদার মিছিলে,
চোরা আতঙ্ক বুকের চেপে রেখে ,অনুভূতি মেলেছি পাঁচিলে ।

রাতের ক্লান্তিগুলো গর্জে ছুঁড়ে মারে বিদ্যুৎ ঝলক,
অন্যের চোখে বেঁচে আছি,  মুঠো-স্মৃতি নিষ্পালক।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

ফুটপাথ

*ফুটপাথ*

সভ্যতার মশাল দাউ দাউ করে জ্বেলেছো তুমি,
কিন্ত অসহায় মানুষের নিৰ্বাক-নিস্তব্ধ যত
সহস্র ঘাম তোমায় কটাক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে চলেছে।
-আর তাদের সঙ্গী হয় নিশ্চুপ ফুটপাথ।
যার ধূলিকণায় সাজতো ফাগুন বাতাস,
১৪৪ধারার মাতাল আবেগ ভরদুপুর রোদে বসে এলোচুলে শুকাতো,
যার কারণে হঠাৎ বসন্তই বিদায় চায়।

স্ট্রিট লাইট সন্ধ্যের গোপন অভিশাপ লুকিয়ে রাখে,
প্রেমাস্পদক যথা সময় স্নেহভাজন আলিঙ্গন করে
অদৃশ্য অন্ধকার তৈরি করে বীৰ্য আস্ফালন,
এসব ঘটিত ঘটনা অনায়াসে হজম করে ফুটপাথে ক্ষুধার্ত শিশুটি।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

গ্রাম নিবাসী

*গ্রাম নিবাসী*

চরের গভীরে সহস্র মাটিরা দিন গোনে জোনাকি আলোর শেষ কাল কবে।
একের পর এক মিনার মাথা উঁচু করে খোঁজে পর্বত চূড়ার শেষসীমা।
গোপনে জর্জরিত কালঘুম শুকোতে দেয় রাতের তারাদের বুকে।
ভেজা কালঘুম শুকিয়ে বাষ্প হয়,
জন্ম নেয় বিন্দু বিন্দু বালুকণা।
তাতে আমার শেষ ভোরের বিছানা পাতে রাতের ব্যস্ত বাদুড়ের দল।

মাঝ বয়সী মেয়েটি দুপুরের জলে জলখেলায় মত্ত,
পাড়ের নৌকা তখন লুপ্তপ্রায় ডোবা টাইটানিকে অভিশপ্ত ।
মাঝি ফিরতে পারে যদি ফিরে  চলো ওই ঘাটে।
দেখবে তোমার অপেক্ষায়
হাজার অভিমানী মুখ চেয়ে আছে, আকাশের দিকে।

দুরের কুটির ঘরে সন্ধ্যা হবো হবো।
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বললো বলে।
রমণী মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে প্রদীপ শিখার আলোয়।
আর লক্ষ্মী প্যাঁচা ডাকতে শুরু করবে আঁধার গাছের কালোয়।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল )

শুক্ন ইচ্ছে

*শুক্ন ইচ্ছে*

ভেজা মলাট ঢাকা বই
শব্দগুলো বিছানায় মেলে দেয়।
শরীরের ঘামের হিসেব বারে বারে ভুল হয়ে যায়।
মাথায় অস্থির করা যন্ত্রণা শুরু হতে থাকে,
পাখার বাতাসে
কল্পনার জগতে ঘুম লেগে যায়।চোখের কোণায় ।

সময়ের ভুলে আকাশ নেমে
আসে মাথার ওপর,
গেরুয়া চাদর ঢাকে বিকেলের রোদ
আমি ঝিনুকের খোঁজে
সাত সাগর পার করে বসি।
নিজের অজান্তেই সাঁতরে বেড়াই তীরের দিকে।
অগত্যা এক সময়,
আবার ফিরে আসি পড়ার টেবিলে,
নিজেকে খুঁজে পাই ডাইরির পাতায়,
পাই পুরোনো খাতার মলাট ভাঁজে
শুকনো গোলাপে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মনবন্দি

*মনবন্দি*

আমি খুঁজেছি তোমায় নিজের ভিতর,
নিজে হারিয়ে গেছি তোমার ভিতর।
তোমার চোখে,তোমার মুখে ঝরে পড়েছি কান্নার জল হয়ে।
আগলে রেখেছি তোমায় সারাক্ষণ
নিস্তার পেতে চাও যদি !
স্থান নাও অন্যশরীরে,
শিরায় শিরায় মিশে যাও
বিষাক্ত করো কামজ ঠোঁট.
নিস্তার পাবে তখন আমার থেকে
দেখবে রক্ত ঝরবে আমার শরীরে,
আঁকড়ে ধরবো তোমায়
শত ক্ষতের দাগ ঢাকি তোমার ছোয়ায়।
পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আমার অস্তিত্ব,
সেই ছাইয়ে তুমি প্রাসাদ গড়তে চাও
জল ছিটিয়ে আগুন নেভাও
যুক্তির জালে বন্দি করো আমায়।
শেষমেষ আমার অস্থি টুকুও পড়ে যায়....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রক্ত প্রলেপ

*রক্ত প্রলেপ*

দেওয়ালে লেগে থাকা রক্তের প্রলেপ
এখনও দাম চায় লাল টিপের !
পাখার ব্লেডে রক্তের দাগ মুছে দেয় যুক্তির বিভেদ।
রোজকার আলসে জীবন,
পিছনে ফেলে আসা স্মৃতির স্তুপ,
চকচকে পারদে প্রতিবিম্ব  হয়ে ফুটে উঠতে চায়.....
ভিজে চুলের জল তখনও চুইয়ে পড়ে পারদের গা বেয়ে...
চেনা গন্ধে ঘরময় সুগন্ধি হয়ে ওঠে...
আগেও এমনটাই হতো....
এসব রোজের হিসাব রাখে গোধূলির আকাশ।
অতপর বাথরুমের সাওয়ারে ধুয়ে ফেলে সারাদিনের ব্যস্ততার নিশ্বাস....

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মূলস্রোত

*মূলস্রোত*

সময়ের মূলস্রোতে কখনও প্রতিষ্ঠা পাইনি
পড়েনি কেউ লেখা।
স্বীকারক্তি দিয়েছি আমি।
কারো সময় হয়নি দেখার ।

নগ্ন চাঁদ ছুঁতে পারি নি আমি
তোমার শরীর ছুঁতেও এখন ভয় লাগে।
মাঝে মাঝে কিছু অনুক্ষিদেও মনে জাগে।
আজকাল প্রেমের রসদ খুঁজি মাটি ভাঁড়ে,
তোমার কখনও কি ঘুম ভাঙে খুব ভোরে?..

সে মেঘে বাস করতাম আমি
প্রেম ছিলো মেঘবালিকার সাথে
বাপটা মাতাল ছিলো নেশা করে অজুহাতে ।

স্বীকারক্তি দিয়েছি ...
এর থেকে ভালো লেখা হয় না ।

একদিন কে যেন বলেছিলো
লেখা মনের অস্তিত্ব বাড়ায়
কি জানি সত্যি কিনা!
আজকাল প্রেমটাই বেশিভাগ জড়ায়

কবিতারও বয়স হয় কবিদের হাতে হাতে
আমার বয়স কম তাই খুন করি নিজের হাতে..

পাগলামি ছাড়া লেখা আর হয় না আমার
সব লেখা তবে স্তম্ভ হয় না আবার ....

বলেছিলামই তো ভালো লেখা হয় না,
সময়ের মূলস্রোতে কারো মন ঝড়ায় না,
কবিতা আমার দ্বারা লেখা হয় না....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

এক গল্প বলি

*এক গল্প বলি*

এবার একটা গল্প করি,
মাথায় জমা চিন্তা ভারি
একটা দুটো দোষ আমার,মাথায় ভরা দেনার পাহাড়।

বাপটা মরে মদের ঘোরে
বোনের মনে পায়রা ওড়ে
স্বপ্নে আসে রাজার কুমার,  কানের দুলে ভীষন বাহার।

হঠাৎ এলো দমকা হাওয়া
এটাই আমার শেষ খাওয়া
ভাতে হাড়ি শূন্য তখন থালার পড়ে শুকনো আহার ।

দিনগুলো সব ভালোই ছিলো
যমের রাজা দূত পাঠালো
শূন্য পড়ে দালান আমার,সময় হলো বিদায় নেবার।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মুখোশ

*মুখোশ*

সেদিনের নির্লজ্জতায় ঢেকে
নিয়েছি মুখ৷মুখোশ কিনেছি
সামান্য দামে৷প্রয়োজন বশে৷

সে গোলিতে পা ফেলি না
আর৷বড্ড নোংরা জমা৷
চারিদিকে হাড়গোড়, পচা
চামড়া৷অদৃশ্য আত্মার আনাগোনা
যা আত্মহত্যার সম্মুখীন ৷৷

শুরু হয় শমন৷কঠিন পাহারা৷

জমে থাকা বরফ গলে জল
হতে থাকে৷ভেসে চলে পচন
লাশ গুলো৷নতুন তৃণ আসে
স্তব্ধ হয় আত্মার আহুতি ৷৷

কাহিনীর রুটি,হাতে সেঁকা৷

তাও কিছু দূর হতে দেখি

বেড়ে ওঠে গাছের সারি
পুনরায় ভিজে উঠছে গলা,
সামান্য জল পানেই৷

#আরিয়ান_প্রিয়স(পাল )

Bright Lips

*Bright Lips*

নীরব রাত,
আমি একাকী বিছানায় বসে
সঙ্গীহীন হয়ে...
আকাশে ভরেছে মৃদু আলোকরাশি,
রয়েছে এক ফালি চাঁদ,
জ্যোৎস্না আলো ভেঙ্গে দিচ্ছে মেঘেদের ফাঁদ।
নির্জন একাকী জানলায় বসে আমি,
পলকহীন দৃষ্টিতে অস্তিত্ব খুঁজে চলেছি তারায় তারায়....
দূর মরীচিকায় হাজারও নক্ষত্রের মাঝে,
সে উজ্জ্বল,উতলা ধ্রুবতারার সাজে।
তার চোখে চোখ রাখলে হঠাৎই হেসে ওঠে সে,
মৃদু বাতাস হয়ে বলে 'আমি আছি তোমারই পাশে,'
বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে বলে ভালোবাসি,
তখন শত পাথর ক্ষয়ে যায়, ঠোঁট ছোঁয়ায় উষ্ণ আদর রাশি রাশি।
গভীর ঘুমে পৃথিবী হয় অচেতন,
পাশে থাকে সে, সঙ্গী সারাক্ষণ,

এভাবে একসময় হয় ভোর,
কানে ভাসে আজান ধ্বনি, কাকের ডাক
চেনা মানুষ, সূর্য উদয়....
আমি অপেক্ষায় থাকি কখন কাটবে দিনের প্রহর....

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল )

হিসেবী নামতা

*হিসেবী নামতা*

শুকনো পাতায় উঠবে ধ্বনি,
শব্দ কুড়োয় চোখের জল ৷
খুব সকালে ভোরের আলোয়,
হারিয়ে গেছে পাখির দল ৷

রদ বদলে কাঁপছে শহর,
ধুঁকছে কেবল মাটির ঘর ৷
তোমার আমার রক্ত দিয়ে,
সাজায় ওরা সয়ম্বর ।।

ছুটছে প্রেম,একলা গলি,
বিষাদ খোঁজে নতুন দেশ ৷
নতুন করে চুল্লি সাজুক
আশার খেয়া নিরুদ্দেশ ৷৷

                         #আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সেদিনের ভোর

 *সেদিনের ভো*

সেদিনের ভোরে,
হেঁটেছি মেরু পথ ধরে।
দিগন্তে শত মেঘ ছিল ফাঁকা!
এ আমার কল্পনার স্বর্গরূপ দেখা।

ঝিঁঝিঁ ডাক শুনি আশপাশে,
পথ হারায় নরম নদীর পার ঘেসে।
ধোপানী ব্যস্ত স্নানে,কাপড় ঢাকে লোকচক্ষু লাজে।
গাছের কোঠোরে পাখিরা জপ্পো করে,
আমি তুমি পথ চলেছি কুয়াশার পথ ধরে।।

এ রাস্তা বহুদূর চলে গেছে,
মিশেছে কালো পাহাড়ের অন্ধকারে।
দুরে গাছের সারি
কটা লোক চোখে পড়ে ,
না জানি ব্যস্ত রসের খোঁজে,
আমি তুমি পথ চলেছি খেঁজুর বাগান ধরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নববর্ষ সিরিজ

*নববর্ষ - ২*

ফিরে এসেছ তুমি।
নববর্ষের দেওয়াল থেকে মুছে গেছে ফুল ফুটে।

তোমার শাড়ির আঁচলে যে কতক বুটিকের ছাঁপ
ডুবেছে শুষ্ক শীতে।

এখনও অপেক্ষায় পথ-মন-আক্ষেপ
সবেতে হলুদ হলুদ ছোপ
ভেবেছো প্রেমের দাগ নাকি বসন্ত প্রকোপ

আর আমার ভয় লাগে তোমায় ছুঁতে...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল

হাজার শতক দিন


*হাজার শতক দি*

হাজার শতক দিন পেরিয়ে তোমার আমার দেখা ,
নীল-শাড়িতে আজ যেন খুব লাগছে তোমায় একা ।।

চোখের কোনে কালসিটে আজ ভীষণ অন্যরকম
জেদ নেই আজ ঠোঁটের কোনায় হাসিটুকুই চরম

এমনই এক পঞ্চমীতে প্রথম দেখি তোমায়
অজ্ঞলিটা শেষ না হতেই খামচে ধরো আমায়

কি করছো দেখবে সবাই হাতটা ছাড়ো
পাগলি নাকি।আদিখ্যেতা, বড্ড বেশি করো।।

সেদিন গুলো এমন ছিলো দেখতো শত জনে,
এতদিনে দেখতে তোমায় সব যে পড়ে মনে।।

আছে পুজো মহাশ্বেতার, আছে বঙ্গদেবীর ঝলক,
গলার হারে বেশ বসেছে আদর্শতার ফলক ।।

সহজ কথায় আমিই ছিলাম অনেকখানি বন্য,
বান্ধবী তো অনেক ছিলো, অপেক্ষা তোর জন্য ।

এখন তো আমার ফেসবুকেতে কবিতার ছড়াছড়ি,
ইচ্ছে করে আঁধার এলেই তোকেই আঁকড়ে ধরি ।।

এমনি করে প্রেমকি চলে বললে দূরে এসে,
আমরা দুজন ব্রেকআপ করি ফেব্রুয়ারির শেষে ।।

মুচকি হেসে হঠাৎ মুখে চাইলে তুমি বিদায়,
স্মৃতির ঝুড়ি ফর্সা হতে ছলছলে চোখ ভাসায় ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল

তবে তাই হোক

*তবে তাই হোক*

তবে সে-ফিরে পাওয়া যায়
নতমুখে মুছবে হিসেব কথা

না-হলে প্রচার পাবে ভুলই
যদি আঁধারে চালাও রেডিও
আত্মাদের ভীড়-হবে চোখের পাতায়
সারসে কিনবে ইচ্ছে বসন্ত

সংগ্রহ অজুহাতের নির্দিষ্ট অনুপাতে
ডুববে ধোঁয়াটে আফিং-এর চরও

তুমি শুধু ঠিক করে-দিও
কিভাবে মেটাবো নিহত-পেটের স্বাদ

কিনবো কিভাবে ভাসমান স্মৃতি
নিকোটিনের স্বাদে স্বাগতম কল্পনাও

সেই মতো পরাধীন আমিও
প্রতিদিন খুঁজি স্বাধীনতার মানে
সে ভারতে কাটছে কত-বর্ষ
এ মাটির আমার জন্মস্থান
কি-করে বদনামে ঢাকি তাকে
সে তো আমারই মাতৃভূমি
হাজারও বিবাদে রাখলেও
সে আমারই জন্মক্ষেত্র
আমারই ভারতবর্ষ...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

কবরী বিলাপ

*কবরী বিলাপ*

দেওয়ালের শ্যাওলা ভেজা অনুভূতির আড়ালে কিছু মুখোশ লুকিয়ে থাকে।
বারবার চেষ্টা করেও তাদের খুঁজে পাই না।
আর চেনা সভ্যতা হারিয়ে বসে অস্তিত্ব,
কোন বিস্তর জনাকীর্ণ অরণ্যে. . .

কয়েকশো কাকের দল হেঁটে বেড়ায় ক্ষীণ কবরের বুকে
কিছু শকুন ডানা শুকোয় ফলকের পিঠে
আর আমার ভালোবাসার কাঠগোড়ায় ফুল রেখে যায় বৃদ্ধা মা
রোজ রাতে আমার শরীর দরজার কড়া নেড়ে যায়
সাক্ষী থাকে রাস্তাগুলো
সাক্ষী থাকে বিক্রিত শব্দ করা কুকুর গুলো
তখন আমার কবরের বুকে শুকনো গোলাপ পাপড়ি উড়ে আসে. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দিগন্ত আভাস

*দিগন্ত আভাস*

শিশির ভেজা পালকে সাজানো গোধূলি,
রেশমী আবেগ  মেখে চলেছে সূর্যকিরণ
কোন তারার বুক ঘেঁষে ।

দিগন্ত চুম্বী পাখিদল অতীর স্মৃতির রং
ছড়ায় রামধনুর মতন।
তা দেখে মুচকি হাসে বেরসিক চাঁদের হালকা প্রতিচ্ছবি ।
হাল বওয়া নৌকা যেন হারায়
মাছের কোন শহর পথে,
কেবল পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলে ফেলে যাওয়া
সূর্যকিরণ! !
জ্যোৎস্না কামড়ে পরে থাকা জোনাকি দল আয়নায় মুখ দেখে ডানা
মেলে দেয় বাতাসের চোখের পাতায়
আর তখনও পূর্ণিমা তিথির সমাপ্তি ঘটেনি বোধহয়!
কেবল এটুকুই বার্তা প্রকাশ করে প্রকান্ড চাঁদের বলয়. .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নষ্ট মেয়ে

*নষ্ট মেয়ে*

নষ্ট হবার দিন, গোধূলি দু’ঠোঁটে কামড়ে, প্রিয়,
স্মৃতিগুলোকে পায়ের তলায় চেপে রেখে নেমেছি সিঁড়ির ধাপে
ক্রমশ নিচের দিক,
যেখানেই থাকো, তুমি পৃথিবীতে দ্যুতিটি পাঠিও।
তখন নষ্ট আমি, তোমার শরীরে জমলো অ্যাসিডের সেপ্টিক...

পেলো অজস্র হাসি। মৃত স্বপ্ন ক্ষত ভাঙা হৃদয় স্পৃহাদের।
আমার নষ্টের কাঁটা বিঁধলো তোমার ঘৃণার শরীরে।
পাঁকেজলে মিলেমিশে একাকার। যেভাবে লাশের
ঘরে জড়ো পরিণত শত পচন মৃতদেহ,

হাত বাড়িয়ে আছি দেখো।
ঝরছে রক্তজল চোখের কোনা থেকে
যখন পৃথিবী তার ঘূর্ণন গুটিয়ে নিচ্ছে, খুশির মুহুর্তগুলো হারিয়ে যাচ্ছে
তুমি দাঁড়িয়ে আছো নিরবে। ঢুকছে আমার শরীর হিংস্র নেকড়ের ক্ষিদে আহারে –
ক্রমশ ভিজছে আমার শরীর রক্তরসে মাখিয়ে...

উপরে তাকালে দেখছ মাটি ফুঁড়ে তারা ও আকাশ,
ঘন সুড়ঙ্গ, ছায়াময়, দম্ভের অছিলা। পরিহাস।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সজীব

*সজীব*

দুচোখে ইশারা চিনি এখনো তোমার ।
গালে টোল,রূপে তখনো স্বর্গের উর্বশী
নিশ্বাস পড়ছে দ্রুত,মন অতৃপ্ত শক্ত পাথর!
কথার দুর্বলতা,শব্দে জাতিস্মরের হাসি ৷

কে জানে কিভাবে এখনো সজীব রাখো,
বহু কাল গেছে সরে ৷ বয়সে ঝুলেছে মুখ...
থমকে দাড়িয়ে আমি অন্য গ্রহের পাড়ে?
রাত ফুরালে, ভোরের আলো৷ চিনবে আগন্তুক?

আর কোন বাধা পেরোনোর নেই আজ।
ঝড়ের বেগে ঢেকে দিয়েছি তারা,
তবু চাঁদের আলো ভেদ করে আসে....
মাটিতে শুয়ে জ্যোৎস্না স্নিগ্ধ চারা!

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

প্রথম প্রেম

*প্রথম প্রেম**

দেখেছি যেন তাকে
বহুদিন আগের অতীতে -
ঠোঁট কামড়ে ধরা গোধূলিতে

পুরাতন ধাঁচের প্রেমও
বহু যুগ পার থেকে ডাকে...

রাতের চাহিদা ঘুমেই হারায়।

দিনে-দুপুরে পুকুরে ঢিল ছোড়ে৷

এই দেখি শুক্ন ঠোঁটের হাসি
মরু-শূন্যতা পাই মনে। স্মৃতিতে।
যখন স্বপ্নেরা ভাসমান...
মৃত তৃষ্ণা , জীবিত অভিমান...

ওই শুনি মধুবন বাজে
ওই সেজে ওঠে মরীচিকা।

দাগ-লাগে আয়নার গায়ে...

চেনা চুলের ক্লিপে,ফিকে
লিপস্টিকে,আমার প্রথম প্রেমিকা।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

পটভূমি

*পটভূমি*

বেনামী ফুলে ঠাসা ফ্লাওয়ার ভাসে সীমাবদ্ধ,
গভীর অন্ধকারে রজনীগন্ধার সিগ্ধ আবেগে ঠোঁট মেলানো সুরের অন্তিম ঝংকার।
শান্ত বসন্তে আলপিনের সমতুল্য শরীরকে মাটিতে নিক্ষেপ করতে করতে আলতা মাখিয়ে ফেলে জ্যোৎস্না আলো।

এককেন্দ্রীয় মহাবলয়ে রক্তপিন্ড অভিমানে ভিজিয়ে ফেলে চোখের পাতা।
এরকম স্বপ্ন দেখা অতীব ছোট্ট জীবাণুটি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে উলঙ্গ শরীরের যৌন পটভূমিতে,
গোধুলি সাতরঙে সেজে ওঠে যৌবনের রাস্তাগুলো ,
তাতে একটা একটা করে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে যায় সন্ধ্যাতারার দল. . . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ধারাবাহিক

*ধারাবাহিক*

বন্ধুত্ব ফ্রেমে একটা করে
অভিমান চাপা দিতে থাকি ;
দিগন্তের প্রথম সূর্যকিরণটিকে সযত্নে  সরিয়ে
অপেক্ষারত তৃতীয় প্রহরের । নীলাভ পাতারা
হলুদ মেখে ফেলে যাওয়া মুহুর্তের ভবিতব্য খুঁজতে যায় !
বসন্তের কোমরের  ধার ঘেঁষে
মুখ বাড়ানো পড়ন্ত আলো -- একটা
করে স্মৃতির অস্থি বিসর্জন দেয় ;
এমন এক সময়ে বুকে তোর সয়ম্বর সাজানো হোক
লেখনীর কানে ধ্রুবতারা প্রেম ছন্দে কবিতা শোনাক চাঁদের নামে,
রজনীর মধুকর গন্ধ ছড়াক সমস্ত দিকে !
সন্ধ্যাখোঁপায় ফুল গুঁজে , আত্মহত্যা করা
চিঠিগুলো -- পুরুষের  ইতিহাস রচনা করুক যোগ্য স্বামী রূপে ॥

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

কথার_পলি

*কথার_পলি*

পলি পড়েছে কথায়।
ঠোঁটের কোনায়
বহু হিংস্র বলিরেখা ।

তবু মাতৃভাষা কি করে ছাড়ি!

সে বিচার তারা করুক
যারা ভাষাদের মহাবিদ
ঠোঁটের ভাষায় লিমিট আসুক
কারণ হিংস্র ভাষা জাগতিক
দু-দেশে ভাগ এসেছে
বাঙাল অথবা বাঙালি ,
দুপিটে একই ভাষা
আমরা উভয়ই বাঙালি
আমার নগর ঢেকেছি
হিসেবের চাদরে।পরিধী থাকা সত্ত্বেও,
তোমার হাতে মশাল জ্বলে
ভাষা রক্ষার সার্থেও ।

আমি এখন সংশয় খুঁড়ে
তুলে আনি ঘনিজ হৃদয়
যেখানে সব জাতেরই
বিভেদ জন্ম হয়. . . .

থাক-না এখন বিভেদ বিচার,
থাক সরে জাত-পাত বা ধর্ম
থাক তবে ঘৃণাও একা!
থাক সরে লালন কিংবা জীবনান্দের তুলনা।
একভাষাতেই  গান গাই তার
নতুন রূপের জন্য,
আমার মাতৃভাষা বাংলা এক ও অনন্য. . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...