Monday, 18 February 2019

বর্ষীয়ান

*বর্ষীয়ান*

সেই যে রোদ,পাশে ফুঠে ওঠা গোলাপের কুঁড়ি ,
একে একে শীত মুছে ফেলা নরম পশমী ত্বকে
তবে সে এসেছিল কাল,ধুলো উড়িয়ে যাওয়া প্রহরে
কিছুটা পাতা ঝরা,কিছু সয়ে যাওয়া স্মৃতির প্রকোপে।

তবুও রঙের মেলা,ওখানেও আলোচনা,জমায়েত ভীড়,
যেখানে মনের কথারা ফেলে যায় আমাদের জীবন জ্ঞানে!
সময় কুড়িয়ে নেয় বসন্ত মাখা কোকিলা সুরের ধারা,
একাশি ছোঁয়া বাতাস বইছে গাছে,গ্রহ-তারাদের প্রাঙ্গণে।

সময়টা নব্বই এর দশক,অভিনেতায় মজার মানুষ ছিলেন
শেষের দিকে খোলে অনেক কিছুই,বাকি-দিক কুয়াশায় ঘেরে
তার কাজ শুরু হয়েছিলো উত্তরী আদলে পরিচিত চলচ্চিত্রে
উৎসবে মেতে ওঠা সম্ভব!নাকি সবটাই ক্লান্তির জেরে ।।

জগতে নেমেছে মৃত্যু মিছিল।একে একে সবাই যান
চলাচল ব্যাহত হবে তাই ,চলে গেলেন কাদের খান ।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আয়েশা

*আয়েশা*

তার আসা যাওয়ার বন্দরে,পুরোনো গল্পের
ফাঁদ ফেলে রাখে মুক্ত বাতাস।রা করেনি
ক্ষয়ে যাওয়া মেঘের জলরাশি অচিন মেঘ পুঞ্জে।।

বসন্তের আগমনে সেজে ওঠা পাতাবাহারের 
ভিড়ে একলা মুছে গেছে দৈনিক তীর্থের কাক।
রুটিন এর অযথা খরচে ফিরে গেছে সেও।

সারি সারি গাছের স্রোতে কেঁপে ওঠে।সেই সাথে 
ম ম গন্ধে জেগে থাকে প্রতিরূপ।রূপের ডালায়
নিরাশ মুকুট সেজে-ওঠে সয়ম্বরের নিত্য সুখে।

এখনও দূরের আকাশে থেমে আছে প্রতিধ্বনি 
ঝাপসা আপসে নতুন কথার রেশ স্তব্ধ হয়ে 
গোলাপি ঠোঁটের নিচে লিপস্টিকে ঝরে গেছে।

মৃগয়াঘ্রাণ আবরণে সয়ে ফেলেছে রাতের ঘুমে
স্বপ্নের সাধ করে কলহের ভ্রমর আক্ষেপে 
কেঁপে ওঠা নিস্তব্ধ নিরাকার অমরত্ব ভালোবাসায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বিবেক দিবস

*বিবেক দিবস*

প্রকাশ তারই শীতের দিনে
তাকে জন্মদিনও বলে
আমরা সবাই সুখের বাহক
পালন করার ছলে।

মানুষ জন্ম সত্য প্রথম
বিবেক পশুর কাছে,
হালকা মদে বরফ ফেলে
চাটটা তবে আছে।

সকালটুকু বেশ কেটে যায়
মাংস কিনে।রেঁধে।
এবার এলো সন্ধ্যে প্রহর
জমল খুশি পেগে।।

এইতো তোমার বিবেক দিবস
আমার দৃষ্টি খারাপ,
নরেন থাকে জীবের তরে
নয়কো এসব প্রলাপ ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ঝিলিক

*ঝিলিক*

হঠাত প্রেমের সম্পৃক্ত প্রকাশ ,চিলেকোঠার দরজা সুযোগ নিতো প্রকাশের কোন একটা বাক্যের মন্তব্য করার!
প্রতিদিনের দুপুরের বাতাস রোদ মেখে নিতে প্রস্তুত।
হতে চাইতো জ্যোৎস্না ঝলকের শেষ শয্যা বুনিয়ার।।

তবে কি ইচ্ছে ছিলো,সমস্ত পথ ধরে হাঁটতে
থাকার কারণে অনেক কিছুই পায়ের তলায় পিষে দিতে!
শাড়ি আড়ালে সমস্ত সম্পর্ক অন্যরকম অনুভূতি খুঁজে নিতো,সেবারের সংক্ষিপ্ত রূপ বর্ণনা করার অজুহাতে।

উত্তরে সে হারিয়ে গেছিলো গোটা আকাশ দূরে,
ইচ্ছে ছিলো দিনের পাথর নুড়ি প্রস্তুত করার।।
সেদিনও প্রশ্ন করেছিলো শৈত্য পশমে ঢাকা আকাশ
'কোনও কিছু স্মৃতি নেই তোমার সাথে গাছপালার'।

শেষ জলের ফ্যানা বলে ওঠে সেই অদৃশ্য
মুখই মায়ার বাঁধনে তাকে জড়িয়ে থাকতে চায়?
নাকি সামান্য অভিমান জড়িয়ে থেকে ঘাস,বালি
চাপা দিয়ে ডুবব অস্তিত্বের নবজন্ম দেয় বাস্তবের সময়।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

সৌমি

*সৌমি*

দেওয়ালের সব আশকারা একের পর এক সরে যাচ্ছে।
বছরের দিন গুনে চলেছে নিস্তব্ধে ফোনের অ্যার্লাম ।

ফিকে হয়ে গেছে শেষ রাতের ঘুমটুকু।অনিদ্রায়।

মনের নিশ্চুপ ধৈর্য্যগুলো সম্পর্ক স্থাপনে হঠাৎই হেসে ফেলেছে।
উৎসস্থলে ফিরে এসেছে কয়েক পা এগিয়েছে যেরকম ।

তারপর বেঁচে থাকা মোহ প্রকাশ করে একান্ত অনিচ্ছায়।

হয়ত গানের সুরে সমস্ত বিরহ সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।
শেষ স্বপ্নের অবকাশে বিসর্জনের মুখ ভেসে-ওঠে প্রথম।

তারপর আকাশমূল্যে অভিযোগ অস্বীকার করে।অপেক্ষায়।

তবে সে মনে আজও ফুল ফোটে-প্রতিদিন।স্ব-ইচ্ছেই।
এ কবিতা কিছুই না।আগুনে হাত-পোড়ে যখন।

কাঠ,ধাতু মুক্ত অভিমান সজোরে আঘাত-করে তখন।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অনামিকা

*অনামিকা*

তোমার চোখে যত্নেরা খেলা করে
ভিজবে যখন কমলা রোদের গলি।
মনে খুঁজে-নেয় নতুন কোনো ভোরে
স্বপ্ন সাজে,শুকনো জলের পলি।।

কে জানে কেমন করে থাকো
সুতোর ক্ষতে রঙ মাখানো সুখে।
ফুটিয়ে তুলে খয়েরি নদীর সাঁকো।
সবুজ প্রেমে ভরবে আগন্তুকে?

ইচ্ছে তবে লুকিয়ে রাখো আজ
যেমন ভুলে হারিয়ে যেত তারে
তফাৎ মেতে গুছিয়ে রাখা কাজ
সব মুছিয়ে এনেছে আজ চারে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ত্রিপর্না

*ত্রিপর্না*

জলের কাছে নরম বাতাস
হাসি ক্ষতে বিষাদ মুখ,
হয়ত জামার বোতাম হাড়ে
গল্প লেখার ইচ্ছা সুখ।

সুযোগ পেলে বন্দী হতাম
জঙ্গলে বা সমুদ্রে তাই
ঠোঁটের লালে রঙ ছুঁয়েছে
স্বপ্নে এসেও থমকে যাই।।

যা ছিলো তা আবেগ বুঝে
হালকা মেজাজ লেখার ঝোঁক
তোমার দ্বারে আঘাত এনে
রইল চোখের শব্দ শোক।।

আমিও বোধহয় ব্যস্ত খুবই
ছিন্ন কথাও দুরত্ব চায়।
সব খুশিরই খুব পেছনে
আঁধার বুঝে কান্না পায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নেতাজি

*নেতাজি*

দেশ ভেঙেছে বঙ্গ ভাগে
সবাই তখন তটস্থ
অত্যাচারে রাত জেগে যায়
রক্ত ক্ষত প্রশস্ত ।।

তোমার সবে জন্ম হল
স্বাধীনতার অগ্রদূত
হাসলো কটক,আকাশ,বাতাস
কাটবে শেকল সে-রাজপুত।।

মৃত্যু আজও হয়নি তোমার
পালন করি জন্মদিন
শীতের প্রভাত ব্যস্ত ভীষন
আনছে সাথে মুক্তবিন।।

এমন শিশুর আবির্ভূতয়
জন্মভূমির মুক্ত প্রকাশ
আজ হয়তো কোলেই শুয়ে
ভারত মায়ের ছোট্ট-সুভাষ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রোমি

*রোমি*

প্রতিটা সকালের ব্যস্ততায় চেনা পথে চলাচলে
পরিশোধনের মতো একে এক প্রকাশ ঘটা।
অবিরাম ছুটে যাওয়া মানা-নামানার ফলাফলে
যেটুকু মনে পড়ে থাকে,তা  চঞ্চলতার ব্যকুলতা।

ফিরে আসা অভিযোগে হারিয়ে গেছে বাতাস।
পোড়েনি তাদের কক্ষপথে লোক শোনানো গুজব।
তোমারও দিন ছুটিবিরল,থমকে আছে আকাশ
তফাৎ মোছা স্মৃতির মুখে।বিষন্নতা আজব।।

নিরাশ ঠোঁটের বিচারটুকু সামনে যদি দেখি
দুঃখ জমে রুটির খামে।আপনি ঝরে-ভিরে
ঘোড়ায় টানা ক্লান্তিগুলো রৌদ্রে ফেলে সেঁকি
দুই সাঁকোতে দেখা হতো খয়েরি নদীর তীরে

সময় যত দূরত্ব চায় মেরুন কোনও ছাদে।
সরলরেখা একলা জলে ঝিনুক কুঁড়োয় ডুবে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ঈপ্সিতা

*ঈপ্সিতা*

সে কত মাস আগের কথা,চাঁদ,মেঘ,ধ্রুবতারা
শীতে ফুলে সাজানো স্থিতি বাগানের মন পাড়া।

সাতরঙা মেঘ ভাসমান,সেই চেনামুখ বহুবার ,
অনেক কিছু জানতে তবেই  ছায়াপথে পারাপার ।

উর্ধ্বে তোমার কথা বিচার,শব্দ তোমার হাতে,
আমরা দুজন গপ্প পাতি গান পোড়ানো রাতে ।

কঠিন হতো যখন তখন মজায় কিছু করা,
তোমার সাথে একপাতে খায় আমার কাব্যি-ছড়া।

তৈরী আছে ছন্দ যতন,একশ কালির মানে।
তার বিষাদও লেখা কাছে কলম টেনে আনে।

কেক মিষ্টির কি-প্রয়োজন!সাথে বিভেদ ছোরা!
কাব্যি খানি আজ তোমারই জন্মদিনে মোরা।।

তার ঘড়িতে ছুটছে সময় আজ এটুকু থাক,
একশ বছর বাঁচুক খুকি,মৃত্যু দূরে যাক।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দোলন

*দোলন*

রেখে দিয়েছি সে সব দিনের
লুকিয়ে থাকা স্মৃতিপট
অস্তিত্বের বন্ধুত্ব।

দেওয়াল ভেদ করে যখন
সম্পর্কগুলো একে একে ফিরে
চলে দিগন্তের পথে,আমি
প্রতিজ্ঞা বদ্ধতায় সমস্তটাই
অনুভব করি চোখের জলে।

আকাশের অনেক নিচে
যখন ভালোবাসার অপেক্ষা করে থাকতাম
প্রচন্ড জলরাশি আমায় বারে
বারে আঘাত করত যন্ত্রণা
নিস্ফালনের জন্য ।

আমি খেয়াল বসত ছুঁয়ে ফেলতাম
চিবুকের শেষ সীমার ঝরে
যাওয়া অনুভূতিটুকু।

বারান্দার নগ্ন রেলিং এর মুছে
ফেলা শৈশব থেকেই যৌবনের
উদাসীনতার বিশেষ কিছু
প্রাসঙ্গিক মূহুর্তের সংলাপ
মেলে দিতাম কমলা রোদের
আলোয়..

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আয়েষা



*আয়েষা*

পাতা ঝড়ানো বসন্তে,গাছের নতুন পাতাটি পা ফেলে
এগিয়ে এসেছে সীমাহীন কমলা রোদের আভায়
দু-চারটে চড়াই ঠুকরে দেয় তার শরীর।খেলার ছলে।

তোমার মনের গভীরতায় শান্তির শেষ ইচ্ছাটুকু
সেজে ওঠে মরীচিকার উন্মুক্ত স্মৃতির প্রকাশের উদ্দেশ্য
একান্ত সায়াহ্ন অভিমান নিভিয়ে ফেলে বাঁচার জেদ।

স্বপ্নরা অবকাশে বিসর্জনের মুখ ভেসে-ওঠে প্রথম সমুদ্র স্রোতে
মাঝে মাঝেই আবছা হয়ে আসে শুভার্থী পথিক-
আর তিলকে আঁকা ছবির তোষামোদে কবিতারা অসহায় হয়ে যায়।

আমার ঘুমটুকই নিও তুমি,যদিও তা স্বার্থের
কাছে অনেক কম দামী।যদি সেখানে ফিরে আসা
প্রকৃত উহ্য উল্কাপাতের মতই।অন্ধকারগামী।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...