*অন্য বসন্ত*
তারাদের মিছিলেতে ধ্রুবতারা নেতা হতো
কানাঘুষো শোনা যায় কোকিল তো নিরুপায়
তবুও ঈশান কোনে মেঘ জমে কুয়াশাতে
কানে কানে বলে ওঠে ফাগুন তো এসে গেছে.....
সুখ ঘরে বুক ভাসে মাঝ রাতে
চাঁদ ওঠে
তবুও অমৃত সুধা ধেয়ে আসে চেনা নেশা
বিছানাতে খুঁজি তোকে হারিয়েছি
চেনা শোকে
তবুও তো কাছ পেলে হৃদয় যে বলে ওঠে...
ফাগুন এখনো আছে...
রাত জেগে ছাদ ভেজা বিছানাতে চোখ মোছা!
ওড়না তো চারুলতা, হৃদয়েতে উষ্ণতা,
আলগোছে মদ খাবা, ঠোঁট চুষে মন পাওয়া ,
এসবতো পুরোনো হয়ে সব চলে গেছে,
তবুও কেন চোখ মুছে হৃদয় আজ বলে ফেলে
ফাগুনতো চলে গেছে....
আরিয়ান প্রিয়স(পাল)
*অন্য বসন্ত-২*
তারাদের স্মৃতি ঘিরে ধ্রুবতারা রাজা হতো,
বিমর্ষ শীত ঘামে ফাগুন কি আসে যায়!
কখনতো ফুল মরে কুড়িদের শোকাহতে,
এত কিছু দেখে তবে কোকিল যে অসহায় ।
মাঝ পথে ঘুম পেলে আকাশেতে ভেসে যায়,
তারাদের বালুচরে ঝরা পাতা খুঁটে খায়।
এমনতো প্রেম হতো যদি চুমু মহাশয়
পায়জামা ভিজে যেতো বসন্ত কুয়াশায়।
এইভাবে কাছে পাওয়া,সুখে দুখে মিশে যায়,
আয়নাতো বলে দেয়, অভিনীত কি উপায়ে ।
আলগোচে জল খায় এমনটা যদি হয়
থেমে থাকা বাতাসেতে কে যেন কি বলে যায়
তবু তবে আসো যদি ঝরা পাতা বেঁচে যেত!
মেঘেদের প্রজা পদে পায়রাও যে রাণী হতো!
কিছু তুমি ভাবো যদি,ঠোঁটে রঙ মেখে নাও,
কয়েকটা কুঁড়ি ফুটে বসন্ত হয়ে যাও।।
আরি়য়ান প্রিয়স(পাল)
*অন্য বসন্ত -৩*
শাল বনে বনলতা পাতা কেটে ছবি আঁকে
সূর্যটা চাঁদ মেখে আঁধারেতে ঠোঁট সেঁকে।
দোয়াতের কালি তবে আচমকা পেতে চায়
যদি তোর পিঠ ঘেষে আঙুলটা ছুঁয়ে যায়!
এই ভাবে কতদিন চোখ বুজে স্মৃতি দেখা
কালসিটে চোখ মুছে তবু জমে বলিরেখা।
বিছানায় তোকে দেখি বালিশেতে তবু খুঁজি,
শেষ খেয়া চলে গেলে আমি হই শেষ মাঝি।।
পাখিদের সাথী হই ঘুম ভাঙে তোর যেই
সেরা কিছু হতে যাই মিশে যাই বালিশেই
এ মনও তো আশা হয় যদি ঠোঁট ভাষা পায়
শেষ রাতে ঘটনাটি জোছনারা দেখে যায়।।
ফাগুনের বাতাসেতে যেন কিছু ভেসে যায়
জলপরী তারারা ক্লান্তিটা খুঁটে খায়
এমনত দিন এলে যদি তুমি পেতে চাও
কয়েকটা কোকিলের কুহু ডাক শিখে নাও
আরিয়ান প্রিয়স(পাল)
*অন্য বসন্ত -৪*
কমুন্ডোলের জল ছেটাতে ছেটাতে
পা ফেলি বসন্ত রোদে।
বহু পাখিদের কলরবে চারিদিকে রামধনুর রূপটান।
কাশফুলে জমা বালুচরে ভূমন্ডল লুকিয়ে রেখে,
সমুদ্রের জল হয়ে ফিরবে বলেছে তারা।
যেখানে রং হাতে অপেক্ষা করবে ভীত কাঁকড়ার দল।
আমি সে পথে দিয়ে গেলে
তারা দু-পায়ে রং মাখিয়ে দেবে নোনা জল দিয়ে,
ওখানেই চাঁদ নেমে এসে মাটিকে চুমু খাবে।
তখন জ্যোৎস্না আলো ফেলে
যাবে স্মৃতিময় অনুতাপ।
কেবল অভিমানগুলো কাঁকড়ার মত মাটির খুরে
লুকোবে গভীর থেকে আরো গভীরে।
আর আমি বাতাসের বুকে পা ফেলে আবির ছড়াবো ভূমিকার সব পথে. . . .
আরিয়ান প্রিয়স(পাল)
*অন্য বসন্ত-৫*
সেদিনের ভোরের স্বপ্নে এসেছো তুমি
সূর্য আলোয় ম্লান হয়ে গেছে রাতের আলেয়া
ফিকে হয়েছে চাঁদের সতেজ মহিমা-দাঁড়িয়ে তুমি
সোনালি মেঘ চাদরের ঘন পর্দা দেওয়া ৷৷
হাঁটতে চলেছি তোমার সাথে উঁচু পাহাড় চূড়ায় ৷
ভেসে নামবো সে স্থানে বয়ে চলা নদীতে ৷৷
শরীরের সমস্ত ক্লান্তি, ক্রোধ-মাত্রা মিশবে ঝর্ণা ধারায় ৷
যা কেবল স্বপ্ন সীমায় বদ্ধ প্রকাশ শুধু ঘুমেতে ৷৷
তোমার টানে থেমেছি মানস সরোবর তীরে,
যেখানে হাজারও মুক্ত ভাসছে জলে৷
যা মনের তৃপ্তি মেটাতে,হারিয়েছি অজানা গভীরে ৷
সাঁতরে পৌছেছি পান্না খোঁজে ঘন মাটির তলে ৷
নির্জন জল শান্ত যেন আমার উতলা অন্তরে,
প্রবল অহংকার দম্ভ থেমেছে পরগাছা স্পন্দনে ৷
যা স্থানান্তর দিবসে লিপ্ত আলোর ভিতরে,
যা তোমার মুখে মিষ্ট হাসি বেঁধেছে বন্ধনে ৷৷
আমার সর্বশক্তিতে তোমাকে দেখায় ৷
ধ্রুবতারা উজ্জ্বলতায় তোমাকে সাজাই
বজ্র বিদ্যুৎ দন্ড বাঁধি তোমার চুলে খোঁপায়৷
রোজ রাতের মায়ায় অন্য বসন্তে জড়াই ৷৷
©আরিয়ান প্রিয়স