Wednesday, 16 May 2018

উলঙ্গ

*উলঙ্গ*

বেনামী ফুলে ঠাসা ফ্লাওয়ার ভাসে সীমাবদ্ধ,
গভীর অন্ধকারে রজনীগন্ধার সিগ্ধ আবেগে ঠোঁট মেলানো সুরের অন্তিম ঝংকার।
শান্ত বসন্তে আলপিনের সমতুল্য শরীরকে মাটিতে নিক্ষেপ করতে করতে আলতা মাখিয়ে ফেলে জ্যোৎস্না আলো।

এককেন্দ্রীয় মহাবলয়ে রক্তপিন্ড অভিমানে ভিজিয়ে ফেলে চোখের পাতা।
এরকম স্বপ্ন দেখা অতীব ছোট্ট জীবাণুটি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে উলঙ্গ শরীরের যৌন পটভূমিতে,
গোধুলি সাতরঙে সেজে ওঠে যৌবনের রাস্তাগুলো ,
তাতে একটা একটা করে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে যায় সন্ধ্যাতারার দল. . . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আলসেমি

*আলসেমি*

সংযত করো উদ্দীপনা, জানি ভীষণ কষ্ট পেয়েছো তুমি
সে লেখা খবরেতেও পড়ি।

সময়ে বদলাতে হবে।
তবে কান্নাগুলো পাচ্ছে বধ্যভূমি।
জ্বলছে চোখ ভেজানো প্রতিচ্ছবি ।

না তবে তুমি তো জানো আমার মন সাবেকী ।

যুদ্ধ লাগে রোজই, হতাহত হয় আলসেমি ।

নাও লিখে ফেলো দুলাইন
আমি ইচ্ছে করেই ছুঁয়ে ফেলি।

হাসির সাথে যে ব্যথা বেরিয়ে আসে
আমি তাকে নিয়েই দু-চারটে গল্প লিখি।

আর কিছু পারি না বলে, আর কিছুই হবে না বলে লিখি।

সূর্য যেমন ভাসে সাগর তটে,
উদয়-অস্তে এপার-ওপার বটে।

আমি তাকে নিয়েও কিছু একটা লিখি যাতে সূর্য কিরণ জোটে. . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অবিমৃষ্য

*অবিমৃষ্য*

কাছেই ছিল সেই গতিপথ
ইচ্ছে মতো জড়ায়,
অনেক কথার হয় না যতন
চির ধরে শিরদাঁড়ায়।।

কোথায় কখন দিন ফুরাবে
বোঝার সাধ্যি কই
বিরোধ তখন ঝামড়ে পরে
সমান অনুপাতেই।

দিন দশকের প্রভাব পরে
এসব তোমার  জানা,
প্রশ্ন করো, তার প্রতিবাদ
ধারাবাহিক কিনা ।।

শক্ত করে অস্ত্র ধরো
আঘাত করো কষে
লিখতে বসে তফাৎ কেন
শালীন শব্দ দোষে

মুখে যদি সেলাই আঁটো
বদ্ধ হবে কথা,
তাবে অসংযত পরিস্থিতির
এটাই তো সমঝোতা ।।

সময় এবার ফুরিয়ে আসে
প্রবাহ পথের দিশায়
তুমি তবে চাওনি বিচার
বিরোধ সাম্প্রদায়িকতায়. . . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রক্ত চোষা




*রক্ত চোষা*

আমার স্বপ্ন রাজত্বে ঘুন বেয়ে নেমে আসে
তিনটি ঔজ্জ্বল্য হিরের সাথে
মূহুর্তে সোনাঝুড়ির বৈকল্য
আক্ষেপের আলসে উসকানির
কৃত্রিমজিহ্বা ।

বীর্যে ফেলে রাখা রক্ত প্রেম
নিশুতি সন্ধ্যায় সরীসৃপের
ন্যায় ছুটে চলে কাম
স্রোতের মতো।

সেলোটেপে বিষাক্ত অনুভূতি
নবজন্মের উজ্জ্বল মুখ ফেলে
দেয় মুন্ডু ছেদ করে একে একে
বন্যপিঁপড়ে রক্ত চুষে খায় তখন. . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মালিক প্রভু

*মালিক প্রভু*

মালিক প্রভুর চোখ রাঙানো,
সময় কি-দেয় ঘামের দাম।
জখম করে নরম ফুলের,
ইচ্ছে মত বসিয়ে নাম।।

সুযোগ খুঁজে সদ্ব্যবহার,
পুঁতবে তোমায় কবর খুঁড়ে।
ভিজবে মাটি রক্ত লালে,
পাথর বুকে আঁছড়ে পড়ে।।

দেনার চালে ফুটিয়ে পায়েস,
সুদের হারে খাওয়ানো হোক।
সায়াহ্নে সেই ফিরতি পথে,
দিনের আলো বিকছে শোক।।

সেই দিনটার স্বপ্ন দেখে,
কাটছে অনেক নতুন বছর।
মৃত্যুগুলো ধার ঘেসে না,
ইচ্ছে নতুন আনবে প্রহর।।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

একটা সহজ কবিতা



*একটা সহজ কবিতা*

সময়ের সময় থাকে না তাদের খোঁজ নেওয়ার
একদিন রাতের অাঁধারে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে
কখনও উল্কা হয়ে খসে পরে।
হয়ত মুখচোরা অভিমানে!

আমার আশ্চর্য লাগে তুমি সে পথে এলে
তারা পুষ্প হয়ে ছড়িয়ে যায় !
বুঝতে দেয় না তাদের অভিমান,
এ কারণে মুখ চেপে ফুঁপিয়ে ওঠে কোমল চাঁদ
বিমর্ষ মনে সূর্য অস্ত যায়. . .
আর আমি আগমনির গান শুনে রাতের ঘুমে জড়িয়ে পড়ি. . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সংযম

*সংযম*

মধ্য রাতের ঘুমে স্বপ্নগুলো জড়িয়ে নিয়েছি
এবার রং বদলানো যাক প্রভাব পতিপত্তি ।

চাইলেই থামতে পারেন।

চোখের নীচে ভেজা পাহাড় শুকিয়ে আছে,
অভিমানে সাজিয়ে রেখেছি তার চূড়া।

ইচ্ছে করলে ভেঙে ফেলবো সব।

বর্ষার জলে দুরের প্রকৃতি যেমন ঝাঁপসা দেখায়,
তেমন কুয়াশায় হারিয়ে যায় কৃষকের দল।

ওদের ডাক দিন।

নেহাত ঘুম ঘোরে আছি
নাহলে ফুলদানিতে মারতাম এক লাথি।সিধে গিয়ে লাগতো তোমার পটে
কলকল করে রক্ত ঝরার মত
কাঁচগুলো ঝরে পরতো।আমি অট্টহাসি হাসতাম।

পারলে মারো আমায়. .

পাহাড়ে চড়ে পর্যটক যেমন এগিয়ে চলে লক্ষ্যপথে,
হারিয়ে যায় ছোটবেলার শৈশব অলিগলি।

আমি শৈশব ফেরত দিতে পারি।

ভোরে মৃদু বাতাস আমার পায়ে হাত বুলিয়ে যায়
অামি উচ্চতার শিখর আঁকড়ে ধরি বালিশের মত।

সংযম রাখি সমস্ত উদ্দীপনা
চাদরে ঢেকে দি শিশির দের।

সূর্য প্রকাশ পাবার আগে পর্যন্ত ।।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল )

উন্মাদ

*উন্মাদ*

মানুষটাকে খুব চেনা নেই, হাঁটতো হঠাৎ শূন্য দিয়ে,
মেঘের সাথে হারায় ভেসে,আপন মনে থাকত।।

সাগর পাড়ে,নদীর ধাড়ে আসতো যখন জোয়ার ভরে,
তখন সেও একলা জলে ডুব দিয়ে মাছ ধরত ।

ছিলো বোধহয় মাথার ব্যামো,খেয়ালী,অলীক নাকি উন্মাদ ?
অস্থির মনে মেঘ পেতে রোজ কিসব যেন আঁকতো।।

মানুষটাকে খুব দেখিনি,ঘুরে বেড়ায় গভীর জলে,
ভাঙা ঘরে সুযোগ পেলে,খিল দিয়ে দোর আঁটত

মানুষটাকে খুব চিনিনি, ভাড়ার ঘরে ছবির ভেতর থাকত!

খেয়াল বসে স্বপ্নে আসে, চোখের পাতার ঘুম নামাতে
ক্ষাণিক যদি সময় পেতো, স্বপ্ন গুলো মাখতো।।

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

অন্য বসন্ত সিরিজ



*অন্য বসন্ত*

তারাদের মিছিলেতে ধ্রুবতারা নেতা হতো
কানাঘুষো শোনা যায় কোকিল তো নিরুপায়
তবুও ঈশান কোনে মেঘ জমে কুয়াশাতে
কানে কানে বলে ওঠে ফাগুন তো এসে গেছে.....

সুখ ঘরে বুক ভাসে মাঝ রাতে
চাঁদ ওঠে
তবুও অমৃত সুধা ধেয়ে আসে চেনা নেশা
বিছানাতে খুঁজি তোকে হারিয়েছি
চেনা শোকে
তবুও তো কাছ পেলে হৃদয় যে বলে ওঠে...
ফাগুন এখনো আছে...

রাত জেগে ছাদ ভেজা বিছানাতে চোখ মোছা!
ওড়না তো চারুলতা, হৃদয়েতে উষ্ণতা,
আলগোছে মদ খাবা, ঠোঁট চুষে মন পাওয়া ,
এসবতো পুরোনো হয়ে সব চলে গেছে,
তবুও কেন চোখ মুছে হৃদয় আজ বলে ফেলে
ফাগুনতো চলে গেছে....

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*অন্য বসন্ত-২*

তারাদের স্মৃতি ঘিরে ধ্রুবতারা রাজা হতো,
বিমর্ষ শীত ঘামে ফাগুন কি আসে যায়!
কখনতো ফুল মরে কুড়িদের শোকাহতে,
এত কিছু দেখে তবে কোকিল যে অসহায় ।

মাঝ পথে ঘুম পেলে আকাশেতে ভেসে যায়,
তারাদের বালুচরে ঝরা পাতা খুঁটে খায়।
এমনতো প্রেম হতো যদি চুমু মহাশয়
পায়জামা ভিজে যেতো বসন্ত কুয়াশায়।

এইভাবে কাছে পাওয়া,সুখে দুখে মিশে যায়,
আয়নাতো বলে দেয়, অভিনীত কি উপায়ে ।
আলগোচে জল খায় এমনটা যদি হয়
থেমে থাকা বাতাসেতে কে যেন কি বলে যায়

তবু তবে আসো যদি ঝরা পাতা বেঁচে যেত!
মেঘেদের প্রজা পদে পায়রাও যে রাণী হতো!
কিছু তুমি ভাবো যদি,ঠোঁটে রঙ মেখে নাও,
কয়েকটা কুঁড়ি ফুটে বসন্ত হয়ে যাও।।

আরি়য়ান প্রিয়স(পাল)

*অন্য বসন্ত -৩*

শাল বনে বনলতা পাতা কেটে ছবি আঁকে
সূর্যটা চাঁদ মেখে আঁধারেতে ঠোঁট সেঁকে।
দোয়াতের কালি তবে আচমকা পেতে চায়
যদি তোর পিঠ ঘেষে আঙুলটা ছুঁয়ে যায়!

এই ভাবে কতদিন চোখ বুজে স্মৃতি দেখা
কালসিটে চোখ মুছে তবু জমে বলিরেখা।
বিছানায় তোকে দেখি বালিশেতে তবু খুঁজি,
শেষ খেয়া চলে গেলে আমি হই শেষ মাঝি।।

পাখিদের সাথী হই ঘুম ভাঙে তোর যেই
সেরা কিছু হতে যাই মিশে যাই বালিশেই
এ মনও তো আশা হয় যদি ঠোঁট ভাষা পায়
শেষ রাতে ঘটনাটি জোছনারা দেখে যায়।।

ফাগুনের বাতাসেতে যেন কিছু ভেসে যায়
জলপরী তারারা ক্লান্তিটা খুঁটে খায়
এমনত দিন এলে যদি তুমি পেতে চাও
কয়েকটা কোকিলের কুহু ডাক শিখে নাও

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)



*অন্য বসন্ত -৪*

কমুন্ডোলের জল ছেটাতে ছেটাতে
পা ফেলি বসন্ত রোদে।
বহু পাখিদের কলরবে চারিদিকে রামধনুর রূপটান।
কাশফুলে জমা বালুচরে ভূমন্ডল লুকিয়ে রেখে,
সমুদ্রের জল হয়ে ফিরবে বলেছে তারা।
যেখানে রং হাতে অপেক্ষা করবে ভীত কাঁকড়ার দল।
আমি সে পথে দিয়ে গেলে
তারা দু-পায়ে রং মাখিয়ে দেবে নোনা জল দিয়ে,
ওখানেই চাঁদ নেমে এসে মাটিকে চুমু খাবে।
তখন জ্যোৎস্না আলো ফেলে
যাবে স্মৃতিময় অনুতাপ।
কেবল অভিমানগুলো কাঁকড়ার মত মাটির খুরে
লুকোবে গভীর থেকে আরো গভীরে।
আর আমি বাতাসের বুকে পা ফেলে আবির ছড়াবো ভূমিকার সব পথে. . . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*অন্য বসন্ত-৫*

সেদিনের ভোরের স্বপ্নে এসেছো তুমি
সূর্য আলোয় ম্লান হয়ে গেছে রাতের আলেয়া
ফিকে হয়েছে চাঁদের সতেজ মহিমা-দাঁড়িয়ে তুমি
সোনালি মেঘ চাদরের ঘন পর্দা দেওয়া ৷৷

হাঁটতে চলেছি তোমার সাথে উঁচু পাহাড় চূড়ায় ৷
ভেসে নামবো সে স্থানে বয়ে চলা নদীতে ৷৷
শরীরের সমস্ত ক্লান্তি, ক্রোধ-মাত্রা মিশবে ঝর্ণা ধারায় ৷
যা কেবল স্বপ্ন সীমায় বদ্ধ প্রকাশ শুধু ঘুমেতে ৷৷

তোমার টানে থেমেছি মানস সরোবর তীরে,
যেখানে হাজারও মুক্ত ভাসছে জলে৷
যা মনের তৃপ্তি মেটাতে,হারিয়েছি অজানা গভীরে ৷
সাঁতরে পৌছেছি পান্না খোঁজে ঘন মাটির তলে ৷

নির্জন জল শান্ত যেন আমার উতলা অন্তরে,
প্রবল অহংকার দম্ভ থেমেছে পরগাছা স্পন্দনে ৷
যা স্থানান্তর দিবসে লিপ্ত আলোর ভিতরে,
যা তোমার মুখে মিষ্ট হাসি বেঁধেছে  বন্ধনে ৷৷

আমার সর্বশক্তিতে তোমাকে দেখায় ৷
ধ্রুবতারা উজ্জ্বলতায় তোমাকে সাজাই
বজ্র বিদ্যুৎ দন্ড বাঁধি তোমার চুলে খোঁপায়৷
রোজ রাতের মায়ায় অন্য বসন্তে জড়াই ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...