Sunday, 20 September 2020

মৃত্যু শরৎ


*মৃত্যু শরৎ*

কাশবনের ওই নীল দুপুরে 
শিশির এসে ভেজায় ছাদ
আমি কোনো স্রোতের ভীড়ে
তোমায় ছাড়া কাটাই রাত!

আর কখনও আদর নেই
নেই ভরসার কোমল হাত!
পাতার ভেতর শুলাম যেই,
ক্ষতের কাঁটা বাধলো ফাদ।

তবে আমি আসবো-না আর
রং মেখে ওই নীল দুপুরে
ঝড়ের বদল থমকে যার
মৃত্যুতে সেই জীবন সারে।

এমন শরৎ তুমিও স্নেহে
দেখবে শুয়ে শিউলি ঘরে,
রক্ত মাখা কঠিন দেহে
যন্ত্রনা সব ঝুলছে তারে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

চুল্লিঘর

*চুল্লিঘর*


সময় কখন যায় বা আসে কে-আর তাতে তফাৎ বোঝে
মৃত্যুপুরী স্বপ্নে এলে সবাই বোধহয়  শান্তি খোঁজে। 

রক্ত জমাট কঠিন হৃদয় চিতায় ফেলে মশাল জ্বালো।
আমরা যাদের সঙ্গ বুঝি, সে আর কোথায় পাবে বলো!

মৃত্যু এতো সহজ তো নয় যত হিসেব কথায় আসে,
চুল্লি ঘরে জ্বললে আমি আত্মা নাকি হাওয়ায় ভাসে!

শরীর ভীড়ে দুধের বিচার মায়ের দেহ কি জাত মানে,
শক্ত করে ধরলে হাতও এসব কে আর মনে আনে।

তৈরি থেকো সময় এলে তোমায় নিয়ে যাবেই ওরা,
বলবে এবার ঘি মাখিয়ে সাদা ঢাকায় আগুন ধরা।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল


#শব্দলেখা পত্রিকায় প্রকাশিত...

মধুঋতা


 

*মধুঋতা*

ছোট্ট কোনো গল্প ভেবে
তোমায় রেখে লিখবো যেই
পায়রাগুলো রাতের ঘোরে
উঠোন জলে নামলো সেই।

ক্ষুদ্র আরো ক্ষুদ্র হতে
রক্ত রাখো হাতের শিরায়
সামলে রেখো মনের থেকে 
দুপুর তবে সরে দাঁড়ায় 

তুমি থেকো এমন সুখী
চলছে এখন শরৎ মরসুম
নয়তো হবে ব্যর্থ সবই
রুমাল ম্যাজিক,ঝরাই ঘুম।

সকাল এলে দাগাও তারিখ
ঘুমের বালিশ চোখেই রেখো
কোকিল, শালিক ঝরায় বারিষ 
চাঁদের আলোয় সামলে থেকো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা


*শ্বেতা*

সবকিছু মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়
সময় যেমন বিরোধের ছল বোঝে
আসলে বিবেক অকারণ দীর্ঘ হয়
মানটুকু অভিধানে ফের খুঁজে!

হাতে হাত রেখে ছুটে যায় বহুদূর
খেয়ালে কখন অভিযোগ ভীড়ে 
সঙ্গ আছে সাথে গলায় কিছু সুর
ফিরে আসে দিগন্তের আল ধরে।

জংলা শহরে, রোদ, জলে, ছাইয়ে, ঘাসে
দেখিনি বিনিময় চিঠি লেখা বন্ধন
ঝরে ঝরে পড়ে একে এক মাসে
সব যায় বারবার আলগা হয় মন।

সবকিছু দূরে দূর থেকে যাওয়া ভালো
পা ফেরে প্রশ্নে 'কি কেমন আছো তুমি?'
আজ খুশির দিন জ্বলুক সারা ঘরে আলো
ভালো থেকো শ্বেতা খুশি থাকো তক্ষুনি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৃত শরৎ

*মৃত শরৎ*

আমিও তোমার সঙ্গ পেয়ে হারিয়ে যেতাম গভীর বনে,
স্বপ্ন প্রেমের যত্ন ছেড়ে আগলে নিতাম একলা প্রাণে।

বলো তুমি এমন কিছু হলোই বা আজ কাল,
ছাড়বে আমায়, দুটো হাতও জড়িয়ে দেবে সবুজ শাল!

আজ তেমনই শরৎ দেখো মৃত্যু মিছিল খয়েরি মাঠে,
রক্ত জমে পচছে গাছও শকুন দেখেও টপকে হাঁটে।

এবার এলে আগমনী, আসবো ফিরে সবুজ মাঠে।
ভোর আলো আসবে ওরা দেবে মুখে জলের ছিটে!
 
দূরের পথে ছুটছে ঢাকি, বাদ্যিগুলো ডাকছে ওই,
মরণ রোগে মুক্তি পেলে জন্ম হবে আবার সেই।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল


প্রকাশিত #শব্দসাঁকো মহালয়ার পত্রিকায়#

বৃষ্টি ফোঁটায় তুমি

 

*বৃষ্টি ফোঁটায় তুমি*

কখনও দাম্ভিক নজরে 
প্রকাশ্য শুভেচ্ছাটাকে
ডেকে ফেলো মেঘলা 
রোদের ঘনীভূত বৃষ্টির
ফোঁটায়।

লাল রক্তিম ঘনিষ্ঠতা 
শ্যাওলা ঝড়িয়ে সোনালি
ড্রিম লাইট বৈষ্ণবী তিলকে 
ভালোবাসা খুঁজতে বসে 
গোধূলি হাওয়ায়... 

জলের থেকে দূরত্বটা অনেক।
মাটির মতো ঘোলাটে মন্ত্রে জেগে
ওঠা রোজকার মতো ছিল সব।
জানতাম না বেঁচে থাকার মানে
সত্যি জ্ঞানের জ্যোতিষ্ক অধ্যায়...!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পূজা


*পূজা*

কথাও ছিলো দু-একখানা 
দূরে এসেও থমকে যাও
দীর্ঘ বছর পেরিয়ে এসে 
কোথাও যেনো হতাশ হও।

কেউ হয়নি তোমার মতো
জলের ভেতর ক্ষতের শোক
হাতের ওপর বদলে জীবন
আগলে রাখো উদাশ চোখ।

সে-ছিলো এক রাজার বাড়ি 
সৈন্য ছাড়া শত্রু শেষ।
মধ্যমনি তুমি বলেই
আকাশ ছোঁয়া অবাক দেশ।

আজ সকলে তোমার হোক
থাকুক মনে ঘুড়ির টান,
দিন বদলের চলুক শহর
মুছেই নিও সব অভিমান।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৌসুমী


*মৌসুমী*

বিকেল থেমে সেতুর ওপর
সময় যখন থমকে যায়, 
রোদের আভা কলচে হতে
মৃদু বাতাস গান শোনায়

জলের নিকট গাছের প্রিয়
ঘুম দুপুরে অবাক মেঘ
দেরি হলেও কথার খেলাপ
হতেও বাকি এমন জেদ

স্বপ্ন তোমার শীতের আমেজ 
মন যেন আজ উড়ান-নেশায়
আসতে অনেক দেরি বলেই
গল্প আছো রূপের কথায়

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়া


 *শ্রেয়া*


এখন তার, রাতের ঘুমে
আঙুল ছুঁয়ে যাওয়া সম্পর্কে 
একান্ত ব্যক্তিগতই তুমি।

এ কেবল খেলার ছল
না চোখের জলের থেরাপি!
নাকি বাস্তবের মুক্ত কর্মফলে
বারবার এড়িয়ে যাওয়ার ছল!

স্রোতে জমা পায়েস হাঁড়ির 
গভীরতা যে ছেদ বানায় ,
তা পোড়া দাগের মতো লাগে,
সবুজ ঘামের পান্না হাত বুলিয়ে 
ধৈর্য্য শেখালে তাতে পাশ্চাত্য রান্নার
সাথে তুলনা করো বারংবার, 
যেমনটা তোমার রূপের সাথে করে বসি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনামিকা


*অনামিকা*

তোমার সাথে দূরত্ব পাই যখন
ঝুঁকির মুখে সমুদ্র স্রোত শিউরে 
বছর ফিরে আবার আসা মানে
মনের ভেতর দিন বদলের বাইরে

তফাৎ তোমার অজানা নয় সাক্ষী 
চমক টুকু প্রকাশ পাওয়াই ইঙ্গিত 
শহর ভুলে মাস্ক মুখোশের তারিখ
খনন যেন রাজ মুকুটের সঙ্গীত।

একটা দুটো বালির স্তূপও নিঃসাড়
বৃষ্টি বোধহয় শান্তি দেওয়ার নৈর্ঋত
ক্রিমগুলো তো ঠোঁটের ভেতর জব্দ 
ভালো থাকা অবাক স্বাদের বৈরী।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পায়েলকে


 

*পায়েলকে*

কোথায় যেতে তা জানি না,এটা বোধহয় ঠিক
শ্যাওলা ভোরে তুলেও সুর,শরীর যান্ত্রিক।

অনেক দিনের গল্প বাকি,পুকুর জলে ডুব
থমকে থাকা খেয়ার পারে একান্ত মনসুব।

আমরা যেটা ফিকির বুঝি,দিয়েও ফেলি সায়
সেই ভুলেতে নিজেই জড়াই নিতান্ত অধ্যায়।

প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে বসো আলতা ঘেরা পা
আগুন ফেলে হাঁটতে শেখো যেদিকে সন্ধ্যা। 

দেখা হতো,নাই বা হলো,তা বলে সুর শেষ
মিষ্টি এবার ফোনেই সাজাও সাথেও দরবেশ।

তাকিয়ে দেখো দূরের দিকে যেন আপনজন
ফোনের দ্বারে আমিও পথিক আসি সারাক্ষণ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমো

 


*রিমো*

শহর ভুলে এলাম গাছের তলায়
একটি ডাল ও বাকি ডালের গোড়ায়

সাল করোনায় আসি গলির মোড়ে
হঠাৎ কোনো বাতাস এসে ঘোরে।

বর্ষা ঋতু মরশুমিতেই যেতো
বাঁধন খোঁপার আলগা ফিতের মতো 

উঠোন ভরে সাজায় জলের স্রোত,
দিব্যি ঢেকে মোছাও অজুহাত।

যদিও ভুলে শহর ছেড়ে আসো
 মনের ভুলে তক্ষুনি খুব হেসো!

আজ যেমনই ঘরে থাকাই ভালো,
ভালোবাসার মধ্যে দেখেই চলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমো আবার




*রিমো*

দু'হাত তবু শূন্যে থেমে হাওয়ার মতো হয়
ভালোবাসা আলগা হলেও যত্ন থেকে যায়

বৃষ্টি কোনো দুপুর দেখে বিরাট ভেবো না
বিচ্ছেদেও রাতে বয়স হয়তো ছ-আনা

মন খারাপের দূরত্বটা থাকুক অপেক্ষায়,
শুকনো ঠোঁটে ক্ষতের আঘাত বড্ড গাঢ় হয়

আসবে তবে মিশবে ঋণে যেমন আকাশ হয়
স্বপ্ন তখন দেওয়াল ভেদে মন ভাঙিয়ে যায়।

আমরা যারা নিয়ম বেঁধে শহর ভেঙে চলি
অনেক আশা থমকে গেলে ফুঁপড়ে কেঁদে ফেলি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভি

*অভি*

বৃষ্টি ফোঁটায় আঁকলে শরীর সময় সান্ত্বনা 
শেষ বিকেলে আসবে ওরা সেটাও যেমন না।

জলের ছাপে ঝাপসা আকাশ কুসুম চেরা রোদ
একটু তোমার কাছেই এসে শান্ত হতো চোখ।

ভিজবো যদি তোমার সাথে দূরত্ব বা কি!
আমি তখন স্বপ্ন ভুলে ভিরমি খেয়ে থাকি

পায়রাগুলো ওদের ছাদে বকম বকম গায়
শরৎ দুপুর মেঘ ঝরিয়ে বৃষ্টি রেখে যায় 

থাকতে পারো চেরাই কাঠে কিংবা অপেক্ষায় 
যত্নগুলো ভাঙতে দেখে মনটা এমন হয়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...