Monday, 17 February 2020

ঋদ্ধিপালী


*ঋদ্ধিপালী*

যদিও তোমার উপস্থিতি স্বাধীন
জিহ্বা জুড়ে তফাৎ খোঁজার গান
বলেই বসো শরীর মনের রাজন
সামলে রেখো ওষ্ঠাগত প্রাণ!

আগুন যতই ভোরের আঙিনায়,
গল্প জমায় চিকন দুটো গালে।
বসন্ত আজ রয়েছে সন্ধ্যে আগে
ঠোঁটের রঙে শাড়ি মতো লালে।

বলো তবে সামান্যতাও ঢের
জিভের তাকে পুড়তে আমি রাজি।
এবার দ্যাখো সত্যি বেঁচে আমি।
কেউ তো এসে জড়িয়ে নিতো আজই!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তমাল

তমাল

চশমাটাকে আগলে রেখে উল্টে পড়ে নিজে
সেলাই করা ঠোঁট দুটোতে বকতে পারে কী যে!

গালে তেমন টোল পড়ে না ভীষণ প্রিয় চিকেন
দাঁড়ি বেঁচে আকাশ কিনে মেঘ ছড়িয়ে দিতেন।

মূতিবানের মন আছে তো ফচকেমিটা মুখে
দাঁতের ফাঁকে গল্প লুকোয় ফোনে।ফেসবুকে।

সবাই বলে নামে মাতাল।আসল দোষ কীসে?
ঠোঁটের কথার আওয়াজ শুনে পেগেই থাকে মিশে!

আমন্ত্রণের সুখটাকে তো স্বভাব গোপন করা
প্যান্ট জামাতে গম্ভীরতা তারিখটুকু ছাড়া।

আমার বোধহয় ব্যঙ্গ বদন।নাম রেখেছি পাঁইট
তোমার এখন সময় ভালো।তমাল নতুন লাইট

(কখন দেখো এমন ছেলে একলা কোথাও গিয়ে
হৃদয় তোমার কাছেই রেখো আগলে তাকে নিয়ে।)

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

তনিমা



*তনিমা*

দু-চোখে দিয়ে আদর ছড়ায়...রূপকথারই পাঠ
তখন তাতে জড়িয়ে থাকে কাজল ভরা শিশির
ঠোঁটের কোনায় মুচকি হাসি, সুদুর লোহিত মাঠ।
সন্ধ্যে এসে রাত ছুঁয়ে নেয় ক্লান্ত হাওয়া। নিশির।

ভাঁজের শাড়ি আকাশ পাতে ছোট্ট কানের দুলে।
জলে সাথে মেঘের দেখায় দিগন্ততার রঙে
স্বপ্ন ঘেরা নতুন দেশে...হারিয়ে যাওয়ার মহুল
না চাইতেই কথার সীমায় শব্দ থাকুক থেমে...

গল্পগুলো রোজ হয় না। শরৎ যেমন কাশের
তোমার তখন খুশির খবর। নতুন পেলে নামে।
শাড়ির পারে আলগা বাঁধন...হাসি উল্লাসের
রাতের ফারাক দিন মুছে দেয়।খুনসুটিরই দামে...

যারা তোমার একলা ছিলো।বীজ রাখে তাই বুকে
তবু তাদের দুঃখের দিনে হাসি নিয়েই এলে।
তুমি তাদের অবাধ্য মেয়ে।তুমিই তাদের সুখে
অভিমানের সেতু ভেঙে যখন ভাসো জলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৃজিৎত

 

*সৃজিৎ*

দেওয়াল তখন অন্ধকারে। আলো কোথাও নেই-যে
বৃষ্টি এবার ডিসেম্বরে ফিরবে ঘরে ভিজে!

গালের ওপর স্রোত বয়ে যায় চশমাটুকু ফিকে,
চোখের পড়ে ঠোঁট নেমেছে নাক বরাবর দিকে।

মূর্তিগুলো আবছা হতেই হয়তো গোপন করে,
মাথার ওপর রক্ত জমে ফাজলামিটা ঘোরে।

সবাই যখন দিনের শেষে ফিরছে হাসি মুখে
ছবির সাথে পাল্লা দিয়ে পোস দিচ্ছে সুখে

মিষ্টি সুরে গান ধরেছে কান পাতে বা কিসে,
ঠোঁটের কোনায়  ঘুগনি ঝরে চাইমিনেতে মিশে!!

বয়স বোধহয় একশো আশি। হাজার কোটি লাইট,
নামটা শুনে বেশ লেগেছে লম্বা আছে হাইট।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


ওরা ভালো থাক

*সেভাবে দেখোনি আমায়...*

সেভাবে দেখোনি আমায়।
যতটা ঘেন্নায় সকলে দেখে!
ফিরে এসেছো বারেবার,তবু মুখ
ফুটে কিছুই বলোনি।

বৃষ্টি মাখা রোদ যখন কাদায় প্যাচপ্যাচে।
তুমি কি তাকে সাহস করে প্রশ্ন করেছো? কি পেয়েছো চেয়ে থেকে!!

পেয়েছো কেবল কিছু অদ্ভুত মানুষের সংকেত,
গেরুয়া-সবুজ-লালের রাজনীতিতে মিশে গেছে তারাও।
ওরা অবুঝ ,ওরা বোঝে না মৃত্যুর মানে।
কেবল ছুটে যায়, কেবল ফিরে চায় মানুষের দিকে
পায় না। কিছুই চায় না,শুধুই শরীরটুকু চেনে...

কিরকম লিখবো বলো এবার? প্রেমের গান!
আমিও তো কবিতায় থাকবো না।
বলব কি করে! কেমন আছো তুমি? কি অজুহাতে চেয়ে আছো এক দৃষ্টে...
আমার দিকে।অসহায় ভাবে।ক্রমশ ফিকে হয়ে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


*গ্রহনী চাঁদে নিন্মচাপের ক্ষত*

এক মুহূর্তে বাস্তবতা ভুলে রাস্তা আলোয়,
ডানা মেলে ছুটে এসে তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে চলে যেত
যে বাতাস!

কোন অচিন আকাশ একদিন
তাকে সাজায় কেবল তুমি সাজেই।
হারিয়ে যায় তার সাথে।কোনও গোলাপি দেশ,
মাটির থেকে অনেক উঁচুতে,শূণ্যের থেকে অনেক নিচুতে।

স্মৃতির থেকে অনেক ভেতরে, মনের হতে ভীষণ আঁধারে।

তবুও লালচে আলোয় ফিরে আসে যে গ্রহনী চাঁদ, তাকেও ঢেকে ফেলে শক্তিশালী নিন্মচাপের মতো।ক্রমাগতই বিলাপ করে তারাদের কাছে।

এখন বুঝতে পারেছো! তুমি ঠিক কতটা দামি।
আমার কাছে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*যদি একবার পিছিয়ে এসে দেখো*

মস্ত দেওয়ালের ফাটলে বিস্তর চাঁইগুলো,
প্রকাশ্য জগতে সকলের চোখ এড়োতে পারে না কখনই,
আক্ষরিক চড়ুইভাতির রেশে,কিংবা বর্ষাতির মরশুমে।
গভীরে রাতে জ্যোৎস্না ঝলক যখন জানালার রড বেয়ে ঘরে প্রবেশ করে।
তুমি কি তাকে দান করতে পেরেছো কোনো ভিক্ষুকের হাতে!
নিপীড়িত,অসহায়তার থেকে আরো অনেক দূরে সরে এসে!
না পারো নি তুমি এটা,একটি বারের জন্যও পারো নি।
অবশেষে তারা ভোরের আলোয় মিশে যায় বিছানার সাথে।

দেখো ফলক সরে আসছে সূর্যের কাছাকাছি
আকাশ, মেঘ পেরিয়ে ক্রমশ কুয়াশা ঢেকে নিচ্ছে,
তুমি আক্ষেপ লুকোতে ফিকে হয়ে  সকলের অলক্ষ্যেই
পরে নিলে দেহের ভেতর লুকোনো পাথর।
লাল-নীল-সাদা ভীষণ ভীষণ উজ্জ্বল পাথরগুলো।
অবিলম্বে মুক্তি দিতে শুরু করে কলঙ্কিত সক্ষম,সংযম
মনের কঠিন যন্ত্রণাগুলো।
জাগতিক আবদার ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার হতে
যদি একবারও পিছিয়ে এসে নরখাদকের বিনাশটুকু দেখে ফিরতে।
ভালো থাকতে...!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*বিদায় বন্ধু বিদায়*

কটা নরম পর্ব প্রকাশ করলে জানি না।
যুক্তির কোনো আলাপ, আমি মানি না।
আমি চিনি গোলাপের কাঁটায় বেঁধে আছে যারা।
নেতাদের মৃত্যু হতে দেখি আমি।
কখনও দেখি নি।
দেখেছি অসহায় সভ্যতার অশরীরী মহারাজের হাসি।
বিশাল অট্টালিকায় কেবল একা তিনি।
তার কেউ নেই।
গোটা দেশ তখন ইতিহাস গড়ার মোদকে তৃপ্তি নিচ্ছে আলগোছে পৃথিবীটাকে গিলে।
কেবল খাওয়া হোক সরাসরি।বাকি সবকিছুর ক্ষতি নেই!
রোজ মনুষ্যত্ব মরে পশু হয়।হিংস্র হয় সামুদ্রিক বিষধর মাছে মতো।
কোনঠাসা সমস্ত জগত।কেবল দর্শক আমি।
কেউ বেঁচে নেই তবে আর।নেই কারোর বেঁচে থাকার অধিকার।
ভালো থেকো বন্ধু।বিদায়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*তোমায় ভালোবাসি*

হাঁসগুলো মাটির সাথে মিশে খুঁজছে রসদ
বিস্তৃত জল থই থই হাঁটু।ছোট ঘাস ফুল
আদতে প্রেম।বাদুরে রাত।মৃত্যুগুলো দূরে হাসছে।
আসছে তারা।আরো ছুটে আসছে।
শেষ রাতটুকু মুখ লুকিয়ে কাঁদছে

একটা রাস্তা।খুব সস্তা। তার মানে?
গাইবে আকাশ।নেই অবকাশ।
কে জানে কিসে দিগন্তের শেষ?

মেঘেরা নিশ্চুপ।প্যাঁচার ফিসফিস।
তুমি আমি।ভীষণ তুমি।শান্ত মিছিলে।ঠোঁট গিলে ফেলে।
রাত ডোবানো শীতল ছোঁয়া প্রেম...
আছি।আমি আছি।একসাথে দুজন সুখে আছি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কোথায় ওরা*

একটি মৃত্যু গল্প বলি আজ,

ছিমছাম নির্জন তখন। খালি গায়ে অবস্থান।
দেহহীন শরীর। ভিজে এলো চুল।টপটুকু গায়ে।
তাতে ভাবনার কি!অবাক নয় সমাজ।
তৃপ্তি পেতে স্তন ঘিটে খায় মানচিত্রের আলগোছে ফেলে।
চারিদিকে রাত।ক্লান্ত পথ।একা চলা।কাঁধের ব্যাগ সাথে।
কিছু মানুষ অপছন্দ মুখোশ পরিহিত।বাকি সব ড্রিম লাইন।
অকথ্য অবস্থানে ছায়াময় সীমা ঘেসে,
তখনও কিছু ঘটেনি।তবে শুরু হয় পরে।
ছুটে যায়।আরো ছোটে।ডাকতে ডাকতে প্রায় দরজা ভেদ করে।
সিগারেটের ছাঁই।জমা কাচ ঘর।
আর?আর সেই নারী
লাল শাড়ি পরিধান।কাঁধে ব্লাউজ ছিঁড়ে গেছে প্রায়...
রক্ত ঝড়ছে তখনও।
তারপর! কই! কেউ কোত্থাও নেই। তাহলে! তাহলে ওটা কে?
নতুন কি! প্রতিটা রাতেই এমন হয়।অনেকেই বেঁচে যায়।
কেউ ফিরে আসে না আর।কে জীবিত থাকে না,
সে আজও আসে।প্রতিদিন হাসে
কেউ নেই কেউ কোত্থাও নেই
সবাই মনুষ্যত্বের অন্ধকার!!...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*হয়ত বাবার মতো*

যে পুরুষত্বের পাঁজর বন্দন খাঁচার মতো
সে কখনোই একজন ধর্ষক হতে পারে না...
সে পুরুষের উপস্থিতিতে সকলের ভয় কেটে যায়।
সয়ে যায় তার আল্লাদি বকুনিগুলো। হার মানতে জানে সে।তাই হারে না সে...

গভীর কষ্টগুলো যখন একে একে আঁকড়ে ধরে তাকে।
ভরসা পায় সমস্ত আকাশ।
সমস্ত অন্ধ জনপথ।
যারা ক্রমশ হারিয়ে যেতে শুরু করছিলো দিগন্তে কাছে।
সে পুরুষ কেবল শরীর নয়।জাগতিক উপলব্ধি আত্মার স্পর্শ সমান।
পুরুষ অন্যায় প্রচন্ড অনুতপ্ত তিনি।
কেবল তিনিই পারেন একটু সহজ কথার সবকিছু উৎসর্গ করে দিতে।
তাকে কেবল তুমিই পারো ফিরিয়ে আনতে।এই রক্ত মগ্ন রক্তিম পৃথিবীতে।
কোথায় সে পুরুষ, কোথায় তার অবস্থান।
ফিরিয়ে আনো তাকে, ফিরিয়ে আনো
উত্তর উষ্ণতা বৃদ্ধিমান হৃদয় নিয়ে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*অনুভূতি জমে*
      *শিরায় শিরায়*

রোদের শিরাগুলো গা বেয়ে নেমে
পরছে নিখোঁজ যৌন দশায়।
পিশাচের মতো হিংস্র হয়ে উঠছে ওরা।
আতঙ্ক!সেটা মুখের বিচার এখন।
দেহ নেই, পোষাক নেই, চাল নেই, চুলো নেই...

হ্যাঁ আছে!আছে কেবল নকল
অনুভূতিগুলো।
বার বার বেঁচে ফিরে আসি
আসে না গান।আসে না কবিতা।
আসে না গল্প।আসে না মৃত্যু!
শুধুই ছুঁয়ে নেয় অন্ধকারে আধ
পোড়া শরীরটুকু...
কে জানে কাল হয়ত আমার পালা....

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কোনো এক মা*

প্রতি রাতে জন্ম হয় নতুন ভোরের
বিছানায় মুছে যায় আলাদা শরীর
সাদা চাদরে আবৃত কোন এক
মায়ের গল্প আজ।

অনেক আগুনে পুড়েছে ঠোঁটের ডগা।
নিরাপত্তা সে তো পরিষদেই মাপা।যার হাত স্তনেতেই ঠেকে আছে।
আসে যারা তারা আসুরিক লোক
কেবল পিতারূপ ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি বাহক।
একে একে ঘেমে ওঠে নোংরামি সজ্জায়।
প্রকাশ বাথরুম।বেডরুম।শীতঘুম সব গৃহহীন বেমালুম ধর্ম সংকটে হাঁটে
আর সেই মা!তখনও বিছানায় পড়ে আছে।
কেউ আপন নেই তার...

দিনের আলোয় কে বা চেনে তাকে।
সবাই তখন শরীরের ভাঁজ দেখে।
বুকের খাঁজে ওঠে।হাঁটু ফাঁকে থাকে।
আমরা তাকে বেশ্যা বলি লোকে।
বলি সমাজ দূষক।
নরকীয় পর পৌরষিক ক্ষুধার্ত নারী...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*নীল শরীর*

ইচ্ছের বিপক্ষ শক্তি
যখন চরিত্র ভেদ করে,
দেওয়ালে পিঠ ঠেকায়।
তখন নরম গালে তোমার ছোঁয়ায়
ফিকে হওয়া রূপোলি চাঁদের আলো
তোমার কাঁধে শুয়ে পড়ে বার বার।

মেঘ ভর্তি নাভিতে জল ফেলে
স্রোত মাপে নদীর স্বাদে।

হঠাৎ ,
পা পিছলে ঢেকে যায় গভীর
থেকে আরো অন্ধকারে।
এক নতুন স্বপ্ন দেখে ।নতুন বিশ্বাসে ভর রেখে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কমলা রঙের বল*

এখনও মানুষ ছড়ানো টেবিল জুড়ে,
এখনও ছত্রাক রাত সেজে নিভে আসে দুচোখে।
হয়তো চোখের আড়ালেই ডুবে
যাবে দুপুরের তেজস্বী কমলা রঙের বল।
পথ জুড়ে রাত্রি। আরো আরো গভীর। তবু সকালের আলোগুলো প্রজাপতি হয়ে যায়।নদী স্রোত মুছে যায়।
রয়ে যায় চেনা দুটি চোখ।
তবে কি তৃতীয় নেত্র ক্ষয়ে গেছে অষ্টমীর ভোরে!

আছে শুধু মুক্তির নীল মেঘে হাওয়া।মরুছায়া আর তুমি

বড্ড প্রেম ভালোবাসা থেকে অনেক কাছে পৌছে এসেছি তোমার।
উদ্ভিত।মনুষ্যত্ব।দায়িত্ব।অধিকার।হিসেব নিয়ে...

তুমি থেকো! তুমি থেকো আমার সাথে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কবিতার কথা*

ধরে রাখার চেষ্টা করেছি নিজেকে
জাগবার চেষ্টা করি বার বার।

লাল সাদা গাঢ় কালো মেঘ।
কেউ জেগে নেই আজ।
সবাই সময়ের কেনা দাস।
যারা আছে তারা আমারই মতো।
কেউ অদৃশ্য। অদ্ভুত। নিস্তব্ধ।
নীরবতার মধ্যে সংলাপ গুনে চলে
প্রতিবার।

কবিতার সংখ্যা বেড়ে মাথার উপর ছুঁলো।
সে রাস্তায় কেউ কোত্থাও নেই!সবাই উধাও।
আছে তারাই দুবেলা ঠিকমতো খেতে পায় না যারা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*রেখার মতো*

স্বপ্নের কঙ্কাল জীবিত ভ্রূণে,
তোমার খোঁজে আসে নদীর চরে।
ভেসে যায় জল।স্রোত টলটল।
ওরা মরে গেছে পদপিষ্টে।নির্বাক হয়ে।
সেই বিকেল
সবকটা রেখা অতিক্রম করেছে মধ্যেকার
তারিখ। সময়। সমাপ্তে হয়ত!

এক ঘুম।চেনা বেডরুম।
সংখ্যা অধিক।তারা নেই।
কেউ নেই।
হারিয়ে গেছে সবাই,
হয়তো মৃত্যুর গল্পে...

একটা তুমি।অনেক আমি।
এমন প্রতিটা ঘরেই খেলা...
কেউ চুপ।কেউ মনখোলা।
অবহেলা।সবটাই তুমি-আমি অর্থে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*বাস্তবতা*

ভয় লাগে!বড্ড ভয় লাগে।
'তুমি-আমি' এই শব্দ।
চেনা বই-পেন...
ভীষণ গাঢ় অনেক কাঁটাতার।
ভয় লাগে! বড্ড ভয় লাগে
রোদ মেঘ এক করে তোমার দিকে
চেয়ে থাকতে...
এমন কোন রাত আসে তুমি আমি সহবাসে,
এপার ওপার সম্পর্ক...
বেশ বোঝদার। তবু অবুঝ
সম্পর্কের চোখাচোখি মাত্র।ব্যাস সব শেষে...
ভয় লাগে, রোজ ভয় লাগে...
এমন অনেক শব্দ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*রক্ত ঝরার গল্প*

স্বপ্নে কেবল মৃত্যুরা ধেয়ে আসে
অনেক মানুষ।অনেক মৃত্যু একে
একে সব আছে
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন গোটা ঘর।শরীরী
অশরীরীরা সহবাস।
ওরা আছে।বেঁচে আছে।
হাত কাটা রক্তাক্ত আঙ্গুলে খামচে
ধরে আমায়।আমি প্রাণপণ চেষ্টা
করি বাঁচার।হাতরাই আরো হাতরাই।
এইতো টর্চ।জ্বালতেই সব শেষ।
কেউ কোত্থাও নেই...
কেবল রক্ত ঝরার গন্ধ ঘরময়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*ওরা কবরের লোক*

আজ ঘরে থেমে গেছে সব প্রবেশ
নির্যাস পরে আছে শেষটুকুর।ছাই
আর ক্ষতে ক্ষতে ধুঁকছে বিলাস বায়োস্কোপ!
একটা অলঙ্কার খুব চেনা মরা কিছু পাতার মতো
উজ্জ্বল। জ্বলজ্বলে প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের
সন্ধ্যে প্রভাতের ন্যায় গোধূলি লগন বিপ্লব প্রায়।

ক্রমশ মুখোশের আড়ালে লুকোনো শরীরগুলো
একে একে ধেয়ে আসে দরজার এপারে।
স্তব্ধ আলো, দাগ গোনে সময় কাটার।
তারপর সব চুপ...

তুমি দেখেছো যাদের।ওরা কেউ নয়।
তোমারই চেনা।
ওরা কবরের লোক...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কক্ষঘর*

তোমার আমার হেঁটে আসা কিছু পথ
দেওয়ালের অন্ধকারে গেছে সয়ে।
নরম আঙ্গুলে ছোঁয়ায়
 অনেক দূরে, প্রায় অনেকটা দূরে
আরো একবার ছুঁয়ে ফেলছে তোমার তোষণ মাপা ঠোঁট...
ভিন্ন মতের দলের আভাস
চোখের ভাষায়
তবে রাত্রি আদরে ঘিয়ের চাদর
মাখিয়ে নিও আরো একবার!
ফিরে এসো প্রথম জন্মানো
কক্ষঘরে।
ঘাস ফুল আকাশ মাটি থেকে
আরো আরো অনেটা সরে গিয়ে।
প্রকাশে আসাটা স্বভাব আমার
রীতিমতো শব্দ ছড়িয়েই।
ঘন ঘন পায়ের শব্দ।চারদিকে
শুধু মুক্তির আসায় মানুষগুলো স্তব্ধ!
হ্যাঁ আমি তখন আর নেই।
হয়তো তখন মৃত্যুর দিকে
এগিয়ে যাচ্ছি ক্রমশ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*নিশিপদ্ম*

অনেক স্রোতে পর মুছে গেছে যে রাত
তুমি কি তার পায়ের শব্দ পেয়েছো কখনও!

মেঘগুলো বেশ গভীর হয়ে গেছে
চোখ দুটো গাঢ় নীল হয়ে আছে
স্তব্ধ সব স্তব্ধ। আরো অনেকটা রাত পেরিয়ে গেছে
এগিয়ে আসছে। তারা এড়িয়ে যাচ্ছে
স্ট্রিট লাইট।মৃদু সাইরেন।চার্জের ঘড়ি।
সব মরে যাওয়া স্রোতগুলো
ফিরে আসছে।আরো কাছে আসছে
তখন দেওয়াল ঘড়িতে টিক টক শব্দ
বাকি সব নিস্তব্ধ।
একটা গাঢ় অন্ধকার ঘরময়
কারা যেন ঘর থেকে ঘর ছুটে বেড়াচ্ছে
আবার সব বন্ধ।দূরের পাখির ডাক স্পষ্ট।
যারা এসেছিল তারা ফিরে গেছে
অনেক আগেই!
তবে ওরা কারা।কে এসেছিলো তখন?
মেঝে ভরে আছে পায়ের ছাপে আর চাপচাপ রক্তে...

অনেক স্রোতের পর মুছে গেছে সেই রাত
যে রাতে এসেছিলো তারা।প্রথম ফুটেছিলো নিশিপদ্ম।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*প্রদর্শনী*

এখন কিছু বাকি নেই আর
সব কথা ফুরিয়ে গেছে স্রোতে
যে আকাশ পশ্চিমে ঢলে পরে
ফুল ভাষায় মেখলা হয়ে হাসে,
রাতের গন্ধে জমাট বেঁধে আছে
দেহের ভেতর বিভেদ ছেড়ে গেছে
গাছের পাতায় আপোস মেখে নিতে
জলের সুখে বিচার মুছে দিতে
দুর্বল হয়ে পড়ছে তাদেল সমস্ত ছায়া।
তারা এ কথা জানে,
অন্ধকারের নিজস্ব প্রতিবেদক
চিত্র বদলে প্রদর্শনী ম্যাচ এতটা এরকম এগিয়েছে এই...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*সেই কাক*

একদিন সকালে দেখি
একটা কাক মৃত শরীর খুবলে খাচ্ছে
তার ঠোঁটের ডগা দিয়ে নাড়ির পিন্ডগুলো
ঝরে ঝরে পড়ছে।তখনও শরীরের
কোনো অংশ বেশ নরছে।
মৃত শরীরটারও।

একদিন দেখি কাকটা
বিকেলে রোদে গঙ্গার জলে স্নান
করছে।পড়ন্ত বিকেলের রোদে
গা চিকচিক করছে...গা ঝেড়ে
রোদে শুকিয়ে নিচ্ছে পালকগুলো।

কাকটা ভীষণ খেয়ালি
এক জায়গায় স্থির থাকে পারছে না
কোথাও বসে তো আবার উড়ে যায়
গোধূলির আকাশ দেখে পাশের চোখে।

একদিন দেখি কাকটা শক খেয়ে
ইলেকট্রনিক তারে ঝুলছে।
ঝটপট করছে কিন্তু ডানা ছাড়াতে
পারছে না তারের গোঁজ থেকে।
পালকগুলো ক্রমাগত ঝরছে।
আমি হা করে দাঁড়িয়ে দেখছি সেটা।

আমার কষ্ট হচ্ছিল খুব।
আমি দেখতে চাই কাকটা
ডানা ছাড়িয়ে উড়ছে
আগের মতো।আগের মতোই গঙ্গার জলে স্নান করছে...ছটপট করে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে এদিক-ওদিক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*যুদ্ধ*

সেবার যুদ্ধের গল্প লিখিনি।
অনেক পক্ষের সৈনিক ছিলো তাদের।
যুদ্ধ তখন হতোই না মনে হয়।
তবু ভারী ভারী কতগুলো মৃতদেহ
পড়ে থাকতো মাটির ওপর।
ভাগ্য হয়নি কখনও কাছ থেকে দেখার!
মৃত্যুটাকে উপলব্ধি করেছি মাত্র,
প্রাণ ঝরে যেতে দেখেছি অনেকবার।
তাকিয়ে দেখিনি অবস্থান
তাই বিরোধিতা না করাই শ্রেয়।
যুদ্ধ থাকুক কুম্ভীরাশ্রুর মতো।
জিতবো ঠিক। যৌবনও জিতবে হয়তো!
দুপুরের মতো মানুষ ঝরবে কখনও কখনও...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*সময়ের কথা*

যারা ভুলে গেছো সময়ের কথা,
যারা থেমে আছো এখনও
তাকিয়ে থাকো আমার দিকে
দেখো,
চেয়ে থাকো
ভাবতে শেখো,
এখনও ফুরিয়ে আসে নি কল্পনার আয়ু,
এখনও বেঁচে আছে যৌবন।
স্বপ্নের স্তব্ধতায় রয়ে গেছে
চারণভূমি কিছু কিছু...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*দিগন্তের মহামারী*

সেদিনও বাড়ির তলায়
শিউলি গাছটা ছিল।
ফুলের গন্ধ ভরে যেত ঘরময়।
মায়ের হাতের টিফিন খেতাম বেশ।
রান্নাঘরটা ঈশান কোনেই ছিল।
এতসব মহামারী ছিল না তখন।
স্কুল ছিল,খেলাধুলা ছিল,তবে বন্ধুত্বটা আছে এখন।
রেলিং-এর শ্যাওলাগুলোকে মানুষ মনে হতো।
সারাদিন কি সব ভাবতো।পোকামাকড় বসতো।
গল্পের মতো ছুটে যেত চলাচল।
তবে তফাৎ হয়নি এখনও
কেবল মহামারীটা সয়ে উঠছে বোধহয়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*জটিল*

যেটা হতো না। যেটা হবার আশা
ছিলো না।
অহংকার। জ্যোৎস্না কিংবা সূর্য
এরা কখনও বিরোধী হতে পারে না।
মানুষ!...বড় জটিল জীব। নিজেরাই নিজেদের গিলে খায়।
ভয় হয়! কখনও নিজেকেই ঘিটে নেবো না তো!
রাখবে তো কিছুটা রাতের ভাগে।
নাকি অন্ধকার হাতরে এগিয়ে যাবে,
যেমন সরে আসে দেহ থেকে দেহে...

এতটা একা ছিলো না আগে...
রাস্তার আলোদেরও  সঙ্গী আছে।
তারা পরপর সেজে বসে দূরের দূরে,
আমি একা নয়।আমার ভেতর আরো কেউ ফেরে...
আভাসে। সাহসে। কখনও ভেতরে-ভেতরে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...