Monday, 21 September 2020

মৃণালিনী

 *মৃণালিনী*

বসন্ত পৌরুষে মৃন্ময় 
শহরের থমথমে জনপথ
অধিদপ্তর সাক্ষাৎ শেখায়।

লাল ছায়া বালির স্তূপ ঘিরে
বৃষ্টি ফোঁটায় দোয়াত সাজায়।

কুটিল মানবতায় ষোলোআনা 
ধিক্কার  ভালোবাসা,

ভাঙনে বিলীন হয় সভ্যতার দেওয়াল

মোরকে আগন্তুকের পদস্খলন ঘটে পদে পদে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শতরূপা

*শতরূপা*


একটু যদি ফেলেই রাখো মন
অবাক করা বিভক্ত সংকেত
কথার বিচার বিপাক বঞ্চন
চোয়াল জুড়ে  ঠাওর করা ভেদ।

কি প্রয়োজন জোনাকি বিদ্যুৎ
বিপথে যে পরিচিতের নাম
মনের কোনে রয়েই গেলে খুঁত
ঠোঁটে গোড়ায় ভালোবাসার খাম।

একটা চিঠি পাঠিয়ে যদি ফেলি
নয়তো থাকুক অন্য কিছুর ঝোঁক
গভীর রাতে সহ্য করা কালি
সিলিং ছোঁবে একলা দুটো চোখ।

না পাঠকের লাগতে পারে ভালো
এইতো আমার প্রচন্ড বদ অভ্যাস
কষ্টগুলোয় বালিশ ভেজা ভালো
সকালে এলে মুক্ত হবে শ্বাস।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল




পঁচিশে বৈশাখ(১৪২৭)

*পঁচিশে বৈশাখ(১৪২৭)*

দেখতে গেলে বছর কিছু বেশ থেমেছে ভীড়ে 
আমরা আসি রাজার বেশে ভব নদীর পারে

এক কিংবা দু-গোলাপে বসন্তটা সারি
ফাল্গুনটা পেরিয়ে এলেই জোঁড়াসাঁকোর বাড়ি

এবার জানো হলো না আর রয়েই গেলাম ঘরে
খেয়াল তবে রোজ আসে না,উঠেছি আজ ভোরে

জানো শ্বেতা আমিও এখন থমকে যেতে পারি
তোমার সাথে থাকবো ফ্রেমে তেমন আড়াআড়ি। 

জগৎ এখন ভুগছে রোগে বদ্ধ খোলা মাঠ
স্বাধীন তবে আগেই ছিলাম পেরিয়ে গেছে ষাট।

দেওয়াল জুড়ে ছবির ভেতর তুমি বিরাজ করো
বছর পঁচিশ খুঁজে পেতেই আগলে ধরো আরো...

# আরিয়ান প্রিয়স পাল 

মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে

 *মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে*

দিগন্তে আজ নীল গোলাপের দিন
কাজের শেষে সময়টুকুর ভেদ।
মেঘ জমা আজ আকাশ বেরঙিন
শ্যাওলা জমা পায়েস হাঁড়ির খেদ।

আমরা দুজন হারিয়ে যাবো অন্তরে
নদীর পালে ভাসিয়ে দেবো তরী
বাড়ির ভেতর চওড়া ঘরের বন্দরে
মান অভিযোগ কটিয়ে ওঠা দরকারি।

তবেই থাকে নীচের পায়ে জলের রেশ
শরীর নেমে বাঁশের খাটে ছড়ায় খই
মৃত্যু কালে তফাৎ গড়ায় ক্ষুধার শেষ
শরিক জেদে ধুলোয় জমা নতুন বই।

কি যেন আজ দেবো তোমায় শেষ ঋণে
কথার শেষে মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পৌনে উনত্রিশ

 *পৌনে উনত্রিশ*

তোমার সাথে দূরত্ব বেশ বড়।
দামি ভীষণ অভিমানের বিষ,
শেষ বিকেলে থমকে থাকা ঝড়ও
বয়স বেরে পৌনে উনত্রিশ।

একদিনে তো সবাই চলে যাবো
রয়েই যাবে দেওয়াল ভরা ছাপ।
স্মৃতি মুখে শরীর ঢেকে দেবো
মাটির ছাইয়ে আবছা হবে গ্রাফ।

কষ্টে তুমি ভরাও দুটো চোখ
তবু ঠোঁটে গল্প কিছু থাকে,
মেয়াদ খুশি হয়তো মনের রোগ
নতুন ঘুমের পর্দা জোড়ার ফাঁকে।

বহন করা, শিল্প যখন নয়
অভিযোগও ঠোঁটের কোনায় থাক
বাইরে থেকে মিথ্যা অভিনয় 
তোমার হাসি ছোবেই সিলিং ছাদ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল





কেদারা




 *কেদারা*

একটা বন্দি ঘর। চারিদিক বন্ধ।
থাকা হয় আমি আর ঠাকুমার!
মাঝের অন্ধকারে গুমোট গন্ধ 
গিনজি প্রভাত বদ্ধ জানালার।

শৈশব খেলনায় মৌলিক সিন
আসলে সব আভাস, বেশ কাল্পনিক।
যেটুকু প্রেম অনেক গোপন ঋণ,
বিকন্ঠী আওয়াজ, পুরোটাই ক্ষনিক।

রাতের আলোয় জোড়াফুল ভাসমান
তারার মতো ক্লান্ত হচ্ছে ততো!
বিড়ির স্বাদে সিগারেটে সুখটান
সময় এখন অ্যাস্ট্রে ভরায় না তো!

এমন করে অনেক বছর কাটে
জীবন ঘেসে ঝিম হয়ে যায় পাড়া।
আসল কথায় স্বপ্ন বিপদ ঘটে
সাক্ষী থাকে ভগ্ন কেদারা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

যুগান্ত মুল্লুক

 *যুগান্ত মুল্লুক*

হলুদ ডালে লবণ চেয়ে নেওয়া
ফোরন তবু আবেগ প্রত্যাশী
বিকেল রোদে ছুটছে মৃদু হাওয়া
আমরা তখন নদীর পারে আসি।

শেষের ভাগে কিস্তি মাতের কথা
মরার তাড়া এখন কারো নেই
মধ্যে আছে ঠোঁটের জটিলতা
বিষাদ কিছু নিচের তলাতেই।

এমন দিনে আড্ডা কিছু আছে
পথের পরে ক্লান্ত যতো মুখ
আঁধার পেলেই হঠাৎ করে হাঁচে
ইতিবাচক যুগান্ত মুল্লুক।

আমরা জানি থাকবো ভালো কাল
রোজের ভাতে চুটকি খাবো হেসে
যেমন তেমন পোকায় খাওয়া চাল
খেতেই হবে পেটের খিদের শেষে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে


*যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে*

বিরহ যতো যেমন ছিলো এখন সেসব জুতোর ছাপ,
পাহাড় ঘেরা জলের বরফ চোখের কোনার নিম্নচাপ!

দেওয়াল ছাদের বর্ণনাতে, রক্ত যখন প্রলেপ দেয়,
খেতাব গুলো শোকেস গোছায় নিয়ন্ত্রণের সমন্বয়ে।

সাহারা ছিলো গাছের গুড়ি সেও গেলো ঝড়ের দোষে,
পরের বছর ঋতুর বিচার, যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে। 

সেনা, জওয়ান বিরাট ম্যাপে বলবে শুধু পূর্বাভাস,
আমার ভাইয়ের মৃত্যু হলে ,তোমার আছে সস্তি শ্বাস। 

জলের মাঝে সম্মতিতে, নাম হারাবে ঠোঁটের কোন
কোথাও আছো দেশপ্রেমে, বক্তৃতা দাও সর্বক্ষণ!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঝড়ের ছবি

 *ঝড়ের ছবি*

স্বপ্ন যখন খেয়াল বশে প্রকাশ আনে মূলদিকে 
নতুন করে হৃদয় এসে বাতাস মাখায় হিন্দিতে...
গেরুয়া আলো দাগ কেটে দেয় পেয়ালা চায়ে সংক্ষেপে 
এখন কোথাও রোদ পরে যায় ছোঁয়ার দোষের অন্তেতে।

ও পাড়াতে নতুন বছর,অনেক স্মৃতির সময় শেষ
আলগা বুকে অবাক থেকে ফুরিয়ে আসে সমন্বয়
লেন্স জড়ানো চশমা মুখে হাসির রেওয়াজ বদ-অভ্যেস 
বাষ্প যত আকাশ মেখে হারিয়ে যাওয়া গল্প নয়।

ঠোঁটের মুঠোয় ঝড়ের ছবি শ্রাবণ গোনা দারুণ জেহাদ
নামবে যবে মাটির নীচে থাকবে কিছু হাতখরচ
এবার তবে তৈরি থাকা, সুস্থ থাকুক কোমল হাত,
ফুরিয়ে আসা পদ্য শেষে থমকে থাকুক চোখ-মগজ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রোমি


 

*রোমি*

নুনের জলে গ্রাম ভেসে যায় কমলা লেবুর রোদে
বৃষ্টি ফোঁটায় ছোঁয়ায় কালি আকাশ ভাঙার জেদে।

ঠোঁটের নীচে ঘোড়া মতো অবস্থানের বিচার
রুটির ভেতর ঘর বেঁধে নেয় এমন হতো প্রচার।

এবার হতো হঠাৎ করে খয়েরি চাদর খুঁজে, 
ভোরের ঘুমে রাত নামিয়ে স্বপ্নে অতীত সেজে...

সেতুর বুকে পায়চারি চাঁদ জ্যোৎস্না জলে ঝরায়,
ধরনটুকু সঠিক রেখে স্রোতের মুখেই হারায়।

গ্রামটুকু আজ ফসল ভেবে আপেল গাছে থামে
শুকনো পাতায় আলপনা দেয় মাটির ধাপে নেমে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ভটভটি (বোন)


*ভটভটি(বোন)*

পটলের দোরমায় ঘুঘু পাখি লুচি খায়,
থালা হাড়ি বাজনায় গোটা ঘর ধমকায়।

নেটি পড়া ন্যাতা চুলে দুটো ঠোঁট চমকায়
কেরোসিনে দাঁত মেজে কুলকুচি নুন চায়ে।

এই তো বোনের ছিড়ি গাল দুটো কামড়ায়,
সেলফিতে বড়ো চোখ সবাই যে ভয় পায়!

এমন দিনের শেষে গোধূলিও আসে যায়,
সূর্যতো রোজ ওঠে মনে নয় আয়নায়।

এমন বোনই বা আছে কজনের বলো,
স্রোতে শেষের  হাসি মুখ। সেই ভালো।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল




 


শহর খুঁজে

 *শহর খুঁজে*

নতুন কোনো শহর খুঁজে 
গল্প লিখো ছবির ভাষায় 
রাতের প্রদীপ দিনের সাজে
প্রকাশ উঠুক গানের কথায়

খয়েরি মাটির বুকের নিচে
নদীর স্রোতে দশেক ঢেউয়ে
তফাৎ বোঝাও কোমল স্পিকে
কাজল মাখুক রূপ বলাকায়।

যেটুকু আজ তোমায় দিলাম
তৈরি থেকো আসছে সময়, 
বছর গোনা এ-এক দিনে
ঠোঁটের ভাষা তেমন তো নয়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কপাল বদল

 *কপাল বদল*

শেষের বিচার রয়েই গেছে,বদল দিনে খুশির রেশ
আমরা হাঁটি ওপর বুঝে,স্বপ্নে আঁকি আজব দেশ।

ঘরবাড়িও খুব সাধারণ, চিন্তা খুঁজেই জীবন ব্যয়
পাতার নীচে খয়েরি ডালে কোকিল বসে প্রেম ছড়ায়

মন থেমেছে তারের কাঁটায়,স্বজন ছোটে অনেক দূর
ক্ষতের পায়ে গল্প রেখে তফাৎ কেবল নেশায় চুর।

জায়গা শুধু অনেক চেনা নয়তো তফাৎ দেশের গান
সুরে তালে বাচ্চা বলে, বাথরুমে গেয়ে ঘেমে স্নান।

মেজাজ শুধু চাকরি বোঝে,পরেই থাকে মতের ন্যয়
পাল্লা ভারি সবুজ গাছে,ছোট্ট বেলা খুব অন্যায়। 

সাজিয়ে রেখো পেয়ালা-চায়ে, জং লাগানো শিরার জেদ
বয়স তো আজ বেড়েই যেতো,থাকতো শুধু কথার ভেদ।

কেবল যখন ঘুম আসে না,আত্ম প্রকাশ জড়িয়ে নেয়,
পাত্তাটুকূই সঙ্গে থাকে।হাল তুমারা জাবাব হ্যায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ত্রিপর্না


 

*ত্রিপর্না*

সেবার রোদে পশম দু-হাতে
ঘড়ির কাঁটায় বিষন্নতা জাগে।
যদি কিছু সন্ধ্যে অতীত থাকে
গল্প শিখে তফাৎ চেনার আগে।

ঠোঁটের নীচে কিতাব ছোঁয়া মু,খ
তৈরি আছে নতুন কোনো আলো।
দূরের গাছে জ্যোৎস্না দেখার সুখ
খেয়াল বশে অভ্যাসও তো ভালো।

আজ যেন সব ভীড় কেমনে ভয়
পরিপাটি সেলাই বোনা মুঠো
শক্ত কোনো লাঠির কড়া ঘায়ে 
একলা হলে সঙ্গে তাকে রেখো।

কেবল দূরে সাঁকোর পাড় দেখে
ভিজিয়ে রেখো নরম দুটো চোখ
প্রাচীন মতের সমান মান রেখে
দেহের কোনে স্মৃতির জল মুছো

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাহারী শরৎ

 *বাহারী শরৎ*

এমন দিনে বৃষ্টি হবে এটা ভীষণ দোটানায়
তোমার কাছে থাকলে বোধহয় এমন হতো না। 

শ্রাবণ দিনে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়াও ভালো,
যেতাম কোথাও হারিয়ে যেমন ধোঁয়ার গড়ন কালো।

কোথায় যাবো! অরণ্যেতো কষাই জনক লোক!
রোদ নিকানো গাছের ছালে আঘাত করার শোক।

মাঠ জুড়েছে হালকা ভারী শরৎ কাশেরা
আগমনী আসলে পরে পাবে আদর ওরা।

জানতো কেবল পরিশ্রমে নেইতো অনীহা
চোখের তারায় কাজল রেখে সাজেই মনিহার!

সে আর এখন ঠোঁটের কোণায় রাখবে না জোছনা!
একসাথে থাকলে বোধহয় এমন হতো না।।

সমদ্দরে বৃষ্টি থামুক সেজে উঠুক বাহারী উৎসব,
ঢেউ তো রোজ আসে যায়। সহায়ক সূত্র বাস্তব।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্বাধীনতার মতো

 *স্বাধীনতার মতো*

আমিও থাকলাম। রয়ে যেতো ফেলে যাওয়া চিঠিরা
উড়ছে আকাশে।গগনচুম্বী।বিস্তর শামিয়ানায়,
রক্তের শব্দ নেই। জীবন ব্লেডে কাটছে শিরা,
লেখার বিভাগ শেষ। থেমে গেছে সমাপ্তির অজানায়।

আজ বৃষ্টি হবে জানি। মেঘ ডাকবে আর আগেকার
পুরোনো সব কথা মনে পড়বে বারংবার।
বন্দরে জাহাজ ঠেকবে। জলে উচ্ছাসে সীমানার
খয়েরি মাটি ছিঁড়ে দেবে অক্ষত কাঁটাতার।

যাওয়া হবে না। কারণ গেরুয়া কাপড় জুটেছে আমার,
তোমার নতুন পথ।দিশাহীন পীড়িত কথার ছলে-
হাইরোড় ছাড়িয়ে এসেছি সক্ষম রাস্তার-
এবার গল্পের শেষ ভেসে উঠছে ক্রমশ জলে স্থলে।

ছিলাম থাকার মতো। শিকড়ের গ্রহণীর আলপনায়।
তারপর ঢেকেছে মনখারাপের নিভে যাওয়া মোম।
আগের ব্যালকনির বসে থাকা দিন গোনায়
আজ স্বাধীনতায় জেগে উঠুক দেশাত্ম পশম।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুদীপ্তা দি


 

*সুদীপ্তা দি*

দু'হাত ছুঁয়ে আগলে রাখা, কথার প্রলেপ ঠোঁটে সয়
মায়ের মতো অবস্থানে লিখলে কাগজ শেষই হয়!

সই জড়তায় বদ্ধ ঘরে বৃষ্টি হলে থমকে যায়, 
ভালোবাসার গোলমরিচে টুকরো স্মৃতি জবাব নেয়।

মনে বলে তো হালকা থেকে স্বপ্নে হেঁটে ভিরমি খায়।
আঁচল দিয়ে আগলে রেখে আদত বুঝে শান্ত হয়।

আসবে তুমি, আসবো আমি তক্ষুনিটা থমকে যায় 
কলকাতার এ শক্ত বুকে ভিনদেশি রাও স্বজন হয়
 
একটা করে জন্মদিনে ছোট্ট কিছু লেখাও হয়
মায়ের মতো দিদি হয়েও শেষের হাসি বেশ মানায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঈপ্সিতা


 

*ঈপ্সিতা*

বৃষ্টিতে রোদ ভিজছে, কফির চুমুকে রঙিন খাম
আসল কথার চিঠি আমিও বিকিয়েই দিতাম
চেনা রেলিংএর গোপনতা জলে ছোঁটে চৌকাঠের!

দেশলাই খোলে শরীর লুকোয় ধমকের সরবরে
ঘর ফেরে আল ভেঙে চৌমুখ, আঁচ করে... 
স্মৃতির পাতায় শ্বেত নকশার রুমাল ফের।

এবার বাইশের বয়স ভোরে চিলেকোঠা ভিজে একাকার।
শিরার বিচার বসে কাপড় ছেঁড়ার সরু তার
নতুন ছাদ ওঠে মালিকের ভয় বৃষ্টি  শরফের !

গানে তার অবাধ গলা মনে হয় পাশে শুই,
এমন তারিখ দেখে মার পরে পিঠে দুই।।
সুযোগ তবু জানিয়ে গেছে সমাপ্তি আমাদের...
 
তুমি এবার বাইশ নও নাকি তফাৎ আছে কিছু মাসের?..

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বারিষ


 

*বারিষ*

গল্পে আছে অন্ত কোনে
এমন হলে সঙ্গে যাই,
নতুন চোখে সকাল এলে
বৃষ্টি হবে ধোঁয়ার ছাই।

সন্ধ্যে যদি তোমার হতো
হাসির বেশে খিদের লোভ
ফুলের তোড়ায় রাত আঁকাতে
সাজায় বাগান সবান্ধব।

কথার ভিড়ে পাইনি হৃদয় 
শুকিয়ে ঠোঁটে সবুজ গান
নগদ গুনে বদল নেওয়া
আকাশ মেঘের অবস্থান।

আজতো কোথাও গ্রহণ নেই
বইয়ের পাতার রাজার দেশ
পড়ে আছে খোলাম ঘুচি
জন্মদিনের ছদ্মবেশ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অঙ্কন


 

*অঙ্কন*

হাত তুলে দিক দিশাহীন চিঠিরা,
পালক ঝড়ায় যত নিস্তার শামিয়ানা।
আচমকা বাতির শব্দ দলছুট শিরা 
হারিয়ে গেলেই চেনা পথ অজানা।

আজ তবু বৃষ্টি হবে। মেঘে।
পুরো বুটের শোল শুকোয় রোদে
কিরকম বিচক্ষণ কখন রেগে
পায়ে পায়ে সাঁতরায় খটখটে ছাদে

থাকে নিজের মতো।থাকবে না।
দুটো রুমালের ভাজের মন
একে একে ব্যলকনি রেলিং গোনা
ব্যস্ত হোয়াট অ্যাপ ব্যস্ত ফোন।

আবার কখনও দেখা হলে
শুরু করও কেকে কাটা থেকে
অক্ষর সরঞ্জাম গুছিয়ে নিলে
ফিরে এসো এমন তারিখে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভিষিক্তা


 

*অভিষিক্তা*

অভিষিক্তা এক শিকড়ে উৎপত্তি 
পেয়েছি জংশনে কিংবা শোরগোলে
কথায় রাখে-না প্রকাশ্য সমাপ্তি
তবু যা স্বপ্ন, রাখে রুমালে।

ক্ষুদ্র ও কুটির মনের খোঁজে 
লাল সমুদ্রের পাথর।ছাই,
আকাশ মেপে ওড়ায় নিজে।
কী দিই তাকে!কেবল লজ্জাই।

এতটা যে আজ বজ্র আসেনি
রক্ত ছোটেনি বরাবর শিরাময়
এমন মেয়ে আগে দেখিনি
সব গল্পে প্রশ্নই সব নয়...

রোজ ব্যস্ত দিন বিস্তর
আঁকড়ে রাখে উত্তর খিদে
নিজের ছায়ার মতো সাক্ষর
অচেনা বলে কবিতাই আন্দাজে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তনুশ্রী(সাহা)


 

*তনুশ্রী(সাহা)*

শিকড়ের আভাস।কাজল চোখ
শরীর মানুষ জীবন শিথিল
ঠোঁটের নীচে কথার খাতা
চরা বালি মনের পরিচিতি।

অনেক দূরের চাঁপার ভ্রমণ
গাছ পাতা সবটাই বৃথা
দৃষ্টি ভেজা কাপড় চিকন
এসব আগেকার গাঁথা

চেনা নয় অনেক ফারাক
গভীর ঘুমে আত্মীয়রা থাকেন
আজও ছিলো বৃষ্টির খোরাক
লিপস্টিকের ডিজাইন দেখেন

আগে তো লিখিনি এমন
হতে পারে না বোঝার মতো
মাফ করে দিও তখন
আজ লকডাউন ফুচকার ক্ষত।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...