Sunday, 20 May 2018

শিবরাত্রি

শিবরাত্রি ২০১৬

শ্মশান মাঝে শকুন শান্ত ছড়িয়ে হার খুলি
'ॐ' মন্ত্র শিব মন্ত্র সর্বে ব্রজবুলি
তুমিই দেবা দেব তুমি জটাধারী
তোমার জটার সৌভাগ্যে দেবী গঙ্গা নারী
বিষ্ণু চক্র শিব প্রদান,শান্ত ভদ্রকালী
তুমি শান্ত দক্ষ রুদ্র  দেবী দহনো যজ্ঞে
কালভৈরব রুদ্র কালে ধ্বংস বিষ্ণু পক্ষে
রুদ্র রূপে ধ্বংসকুলে সতী বহনকারী
শিবরাত্রি সেই রাত্রি কষ্ট হরণকারী
বিবাহ কালে আদি শক্তি শিব সতীপতী,
দূর্গা পুত্র কার্তিকেয় দেব সেনাপতি ।

  #আরিয়ান প্রিয়স

জীর্ণ মানুষ

*জীর্ণ মানুষ*

ঘাসেদের শিরায়
তারা এঁকে দেয় গোধূলির চাঁদ।
রোদেরও ইচ্ছে করে পুনরায় ফিরে আসার,
আলোর সাতরঙ ছুঁড়ে দিয়ে, হতে চায় বেনামী চিত্রকর ।
কালো আকাশ ঢেকে দেয় সূর্যের অহংকার ।
নিস্তেজ জোনাকি দল দাম চায় জ্যোৎস্না আলোর।
সূর্য ওঠার আশায়,
ফিরে আসে ভোর
তখন থেমে যায় সব..
পুনরাবৃত্তি ঘটে ভোরের আলোর।
রয়ে যায় কেবল মন ভাঙানোর ক্ষোভ..

রয়ে যায় জীর্ণ মানুষটার অবিরাম আর্তনাদ,
কতটা ক্ষুধার্ত সে জানে কি সমাজ,
জানেন নিশ্চুপ তারাদের দল?
সবাই একদৃষ্টে তাকিয়ে
কেবল জোনাকি সাথ দেয় পথ চলার....

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বসন্ত

বসন্ত

ফিরে এসেছ তুমি।
নববর্ষের দেওয়াল থেকে মুছে গেছে ফুল ফুটে।

তোমার শাড়ির আঁচলে যে কতক বুটিকের ছাঁপ
ডুবেছে শুষ্ক শীতে।

এখনও অপেক্ষায় পথ-মন-আক্ষেপ
সবেতে হলুদের ছোপ
ভেবেছো প্রেমের দাগ নাকি বসন্ত প্রকোপ

আর আমার ভালো লাগে তোমায় ছুঁতে! !

#আয়ান প্রিয়স (পাল)

মৃত দেশ

মৃত দেশ

যাচ্ছ! কোথায় সীমা পাবে?
পায়ের তলায় পথ ঢেকেছে আঁধারে আঁধারে । ফিরবে কবে!
থামো। কোথায় সীমা পাবে।

হেঁটে ফেলেছো অনেকটা
ভেবো না।শেষ নেই।এর পরে পথ পাবে আরেকটা.....

যাচ্ছ!  আদৌ কি সীমা পাবে

কখনও অংকে মিশে দেখো,
সহস্র সংখ্যার মাঝে একলা হয়  একও।

তাকে ডেকে নাও মাঠে
বসন্ত এলে নতুন জীবন পেতে ঘাসেরাও ছোটে ।

কোথায়ও কান পেতে দেখো
শব্দেরা মেলেছে ডানা, বাতাস হয়েছে সাঁকো....

পৌঁছে দেখবে সেখানে মৃত দেশ পড়ে আছে
এক চেনা পথ কবরের দিকে গেছে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রাত

*রাত*

সে মেঘবালিকা স্বরূপ৷
সে চুলের বাঁধনে মন টানে আমার৷
যা কেবল কাছে যেতেই নয়, বারবার
পেতে চায় তার লাল ঠোঁটের ছোঁয়া ৷

সে পৃথিবীর তুমিই রাণী৷
নরম রাত্রির দেশ নদী জলের গন্ধ ৷
ওই রূপে জেগে ওঠে কোন বিকেল বেলার ফুল ৷
যে আঁচলের বাতাসে মন চলে দুর বহুদূর ৷

সে দিকে তোমারই বাস
ভরে আছে ফুলের সাজে দীর্ঘ বাগান
তার পায়ের স্পর্শে পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি গভীর শিহরণ ৷
চোখ ভরা যেন শত শতাব্দীর তৃষ্ণা জ্বলজ্বলে !
এ পৃথিবী একবার পায় তাকে, পায় না তো আর।

ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন কোন বির্কীন জীবন
অধিকার ক’রে আছে তারই উতলা মন;
চাঁদ ডুবে গেছে ঘন পাতা ভরা অশ্বথের কাছে
একগাছা দড়ি এখনও ডালে ঝোলানোই আছে ৷
শুধু তার চলে যাবার স্পষ্ট আভাস দিচ্ছে তারার দল
ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন ডুবে গেছে পঞ্চমীর চাঁদ
সেখানে ছোটাছুটি কিছু পাখির
ব্যস্ততা সে রূপের সমাধি সাজাবার ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

চকমকি

*চকমকি*

দিনের সূর্যকে রাতের ভিনারের
অমলেট বানিয়ে তাকে রুটির
সাথে জল দিয়ে ঘিটে বিছানায় শুয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ
স্মৃতিগুলোকে অবিচ্ছেদ্য আশকারায় তারাদের গায়ে শুকাতে দিয়ে চাঁদের মুখে পর্দা ঢেকে
রাতের পর রাত জেগে অবিরাম চোখের জল নষ্ট করার প্রবনতা কেবল তোমার নেই আমারও কিছুটা আছে।।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্বপ্নের_গল্প


#স্বপ্নের_গল্প

স্বপ্নের ধাপগুলো প্রতিনিয়ত
কয়েকটা অনুতাপের ভেতর হেঁটে বেড়ায়
আর চোখের পাতায় ,
দাঁড়িয়ে থাকে এক রাশ ইচ্ছে আবেগ ।
শিঁড়দাড়ার প্রতিরোধ্য উদ্দীপনা,
ফিকে হয়ে যায়,
চোখে ভেসে ওঠা স্বপ্নগুলো আবার ধূসর হয়ে পড়ে ।

আমি আজও ঘুমের মধ্যে দিয়েই
আবেগের ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকি,
আর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে,
এক প্রকান্ড মৃত্যু ছাপ ।
আর উপস্থিত থাকা কালো ছায়াগুলো
আপন ক্রোধ প্রকাশের হিংস্র গন্ডী পেরিয়ে,
রাতের আদলে জোনাকির আস্তানা খুঁজতে বেড়ায়...
তখন আমি খাটের চাদরে মৃতরাতের গল্প লিখে উঠি ......।

আরিয়ান_প্রিয় স  (পা ল )

নতুন কিছু

*নতুন কিছু*

পুরোনো দিনের ক্যালেন্ডারও ফেলতে কেমন করে
স্মৃতিগুলো চমকে উঠে স্নেহের হাত ধরে

থাক না তবে কি প্রয়োজন বিদায় দেবার তিথি,
নতুন বছর মানে কি তার নক্ষত্র বা রীতি ।

যাওয়ার বেলা সেও যদি পেছন ফিরে চায়,
দেখবে সময় নিচ্ছে কাঁধে ক্ষতিপূরণ দায়।

সাক্ষী দেবে ভোরের আকাশ নতুন বছর শেষে।
যেমন করে জোয়ার ভাটা নদীর বুকে আসে ।।

বৃদ্ধ পাতা পড়লে ঝরে নতুন পাতাও ওঠে
চিরকালই প্রথম সকাল ভাসে সুখের স্রোতে ।

আমিও চলি আপন খোঁজে নদীর বুকে ভেসে
অনিশ্চয়তা এ দেশ থেকে নতুন কোনো দেশে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

কবির_খোঁজে


#কবির_খোঁজে

পুরোনো শহর ফিরে আসে ব্যস্ত ঘামের স্তব্ধতায়,
নিশ্বাসে মরচে রেলিংএর মিশে থাকা পরিচয়।
চেনা পথ।ফেরা প্রেমিকার চোখের পাতায়,
মুহূর্তের চোখের জল ক্ষণিকের অপচয়।।

প্রিয় কবিতার অবহেলা ঘুন ভরা টেবিলে,
ওরা কিনে নিয়ে যাবে স্মৃতির দরে,
মলাটে ঢাকা বইটা ঘুমোচ্ছে ধুলোর কবলে,
জ্যোৎস্না আলো আঁছড়ে পরে অপ্রিয় নগরে ।।

সে কবি হারিয়ে গেছে উদাসী বাতাসে,
শৈশব আকারে পড়ে আছে ঘরের দেওয়ালে।
পরিত্যক্ত ফটো।যদিও পথ ভুলে জোনাকি আসে,
মিশে যায় চুন খসা দেওয়ালের আড়ালে আড়ালে ।

পাঞ্জাবি,পায়জামা আনলায় কেউ রাখে না,
আছে কেবল মাকড়সা আর ঘন ঝুলের ধাঁধা
সে বাড়িতে এখন কবি ফিরে আসে না
তুলসী মঞ্চটা পরিত্যক্ত,নুড়ি, মাটি জমাট বাধা ।।

এককালে পুজো হতো।দুর্গা পুজো বোধহয়,
সে দালানে ঘুঘুরা পোকা খুঁটে খায়।
প্রিয় কবির উদ্দেশ্যে জন্মদিন হয়।
আসলে সময়টাই বেইমান। অতীত বদলে যায়।।

#আরিয়ান_প্রিয়স(পাল)
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

শব্দ ডাইরি




*শব্দ ডাইরি*

কাঁচের ফলকে মোহময়ী রূপটান,
শব্দ চেনার চলাচল প্রত্যেক টুকরোয়।
বাকি ইন্দ্রিয়ের খোঁজে ছুটছে
ভেজা ঘাসের দল।
দশদিকে কান্নাখেকো মাছরাঙা ফাঁদ পাতে
রূপলী চাঁদের আলোয়।
না জানি পুরোনো ছাদের কার্নিসে
জ্যোৎস্না মেলেছে কিনা বয়স্ক তারারা,
সারি সারি কুয়াশার গম্ভীর
কার্নিভাল।
হাজারো বিচ্ছেদী অভিমান,
জন্ম নিচ্ছে একটি মাত্র প্রশ্নে।
এক একটা ডাইরির পাতা
লুপ্ত হচ্ছে কখনও কখনও।

দেওয়ালে টাঙানো ছবিতে চলছে অস্তিত্বের রেষারেষি ।
অন্তিম কান্নাকাটি বন্ধ ফ্রেমে থাকা টুকরো ফলকদের,
কেবল ফিসফিস করে গল্প আওড়ায়
হাজার সুরে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দেব জন্ম




দেব জন্ম

সাজবে আকাশ অন্য রূপে
তারায় দলে নতুন স্রোত,
আলোর চমক রাতের মুখে
খ্রীষ্ট-দেবের জন্ম হোক।

চোখের পাতায় কাপড় ঢেকে
নেহাত ঘুমেই স্বপ্ন কেক,
সান্তা দাদুর গিফটি পেতে
থাকবে চক আর ভাঙা শ্লেট।

এমন শিশু খিদের ক্ষোভে
ছুটবে দেখো রৌদ্র হতে,
শরীর ঢাকে গ্রহের কাঁথায়
গরম জামায় শীত প্রকটে।

শুকনো রুটি অল্প খেয়ে
মেলায় মুখে কেকের স্বাদ
একলা ছাদও সঙ্গ দেবে
বুনবে তুলোর স্বপ্ন ফাঁদ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হৈমন্তী শূন্যতা ১ -২ -৩

হৈমন্তী শূন্যতা

দু-এক ঝাঁক কুয়াশার আবেগ
গা শুকোয় রৌদ্র তাপে,
আমি বসে দেখি একা জানলায়
অপেক্ষায় হেমন্ত সন্ধ্যা কখন আসে...
আমি দেখি সারি সারি স্মৃতি বাতাস বয়ে নিয়ে চলে
তারপর একে একে সব মিশে যায় কুয়াশার সাথে,
ছায়া হয়ে যায় অন্ধকারের,ভিড় করে চিলেকোঠার খোঁপে..
অবশেষে হেমন্ত প্রভাতে
ফিরে চলে সূর্য কিরণ পথ ধরে।
অাদৌ কি বিষাদ মেটে মনের
নাকি তখন আসে না কেউ ছাদে,
একলা হয় হৈমন্তী চিলেকোঠা,
অন্ধকারে অভিশাপ হয়ে ওড়ে  বাতাসে বাতাসে,
রাতে অাঁধারে শ্মশানে ঘুরে বেড়ায় মৃত আত্মার প্রানে
অগত্যা একান্ত একলা পিশাচি কাঁদে শীতঘরের কোনে...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হৈমন্তী শূন্যতা - ২

এক হেমন্ত সকালে ভালোবাসার ছুঁতোয়
তুমি,আমি বন্দি হয়েছি পরস্পরের মুঠোয় ।
সহস্র পাখি ওড়ে কুয়াশার ফাঁকে,
কত চিঠি ছুঁড়ে দি কবুতর ঝাঁকে ।
ভোরের সূর্য তখন মাথায় উঠি উঠি
বাতাস মৃদু চলেছে পথে,  গাছগুলোও জানে,
আমরা তখন হারালাম ট্রাম লাইনের কোনে...

দেখতে দেখতে বছর পাঁচ হলো
এখন তুমি আসো না এ পথে
আমি কুয়াশা হাঁটি একলা পথে...
পৃথিবী ভাবে আমায় দেখে;
কোন  প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছি আমি,
যেখানে হাসির ফাঁকে সহস্র ব্যথা জমে থাকে...
আমি পা ফেলে হারিয়ে যাই ট্রাম লাইনের কোনে
কতো স্মৃতি মুছে গেছে যা কেবল ট্রাম লাইনই জানে....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)


হৈমন্তী শূন্যতা -৩

সাঁঝ সকালের শিশির ভেজা
ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে
হালকা মধুর শীতের ছোঁয়ায়
শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে ।

ইচ্ছে করে শুয়েই পড়ি
আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়
আকাশ এসে রং মাখাবে
ইচ্ছে মতো ফোঁটায় ফোঁটায় ।

বেনীর বাবার সময় কাটে
নুতন গাছের খেঁজুর রসে,
মনের স্বাদের মিষ্টি,পিঠে
খাবো দুপুর রৌদ্রে বসে।

সবুজ গাছের পাতার ভেতর
হলুদ গাঁদার চিঠি লেখে।
শরত শেষে মেঘের বুকে
আনলো ডেকে হেমন্তকে....

ঝরছে পাতা নিজের মতো
বৃদ্ধ পাতার বয়স এক।
সদ্য পাতা জন্ম নেবে
এবার তোরা তাকিয়ে দেখ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ভেবেছিলাম

ভেবেছিলাম
তোর ভুলে গুছিয়ে নেবো আমি,,,
চেষ্টার  মা রাখবো না ...
তবু নতুন ভাবে তোকে খুঁজি ...
হয়ত মিলিস বনবাদারে,
আমি তবু আঁধারেতে,খুঁজে মরি...

ভেবেছিলাম,
একপশলা বৃষ্টি হবো তোরই
ভেবেছিলাম
আঁধার আলো হবো
ভেবেছিলাম
কুয়াশায় জন্ম নেবো আমি
ভেবেছিলাম আর ফিরবো না
ভেবেছিলাম
যত্নে খামের চিঠি হবো আমি ৷
ভেবেছিলাম গাছের পাতা হবো

তাই গল্প লিখছি কবিতাতে, মিষ্টি হাতছানি
তুমি গল্প হয়ে ফিরে এলে আমার হয়রানি

ভেবেছিলাম তোকে ছাড়া মরবো আমি
হয়ত শেষ ভাবনা এটাই......
তাই ভাবি গান বাধবো না...

                                আরিয়ান প্রিয়স

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...