*আবোল তাবোল*
রাত বিরেতে হাঁটছি ভেবে
ওরা কেমন হাসছে দেখ,
বন্দী ঘরে দন্ডি কেটে
ভাঙছে শুধুই জুতোর রেক।
আশকারা দেয় হাওয়ার রেশ
ভেসে কোথাও যাওয়াই যায়,
পেতে হবেই নতুন দেশ
চিনে বাদাম খাওয়াই খায়।
পাল তুলে দেখ নৌকা আসে
তাকিয়ে দেখি অবাক হয়ে,
তারাগুলো মেঘের মতোই যাচ্ছে
নিজে নিজেই ক্ষয়ে।
সম্ভবত একটা কথায় জানতে
বসেই বিবাদ হয়,
তর্কে এসে থমকে দেখি
একে পাঁচে হচ্ছে নয়।
উঁচু গলায় পড়ছে বকাই
চুলের বোধহয় বিরাম নেই
মাষ্টারও যে পেটায় ভীষণ
লক্ষ্য ভেদের বিবাদ কই।
গল্পে তবে আকাশ ভাসে
সাগর দেখার নীলচে মুখ,
তারার ওপর পাতলে থালা
মাছের ঝাঁকে সবাই চুপ।
চাঁদের নাকি বয়স বেশ
কথায় কথায় ঢোক গেলে
মাটির ওপর গুম মেরে
ফ্যালফেলিয়ে চোখ মেলে।
দেখতে যেন ভালোই লাগে
স্বপ্নে কেন এমন হয়
রাত যদিও নরম জানি
জেগে থেকেও বিবাদ নয়।
চন্ডী বাড়ির কুকুর সেনা
চিল্লে বলে এগিয়ে যান,
বিড়াল মশাই জানলা থেকে
শির ভাঙিয়ে দিচ্ছে টান।
এমন সময় পড়ছে মনে
তুমিও আমার ভুগছো জ্বরে
মেঘের থেকে ঠিকরে আলো
পড়ছে যেন গুম ঘরে।
#আরিয়ান প্রিয়স পাল
(2)
*ফসকে গেল*
সত্যি কথা বলতে বোধহয় শক্তি লাগে মধ্যে
মনের কোথাও রাত গজালে এগিয়ে থাকি যুদ্ধে।
বলতে তোমায় নেই যে মানা আমিও করি সন্ধি
তোমার ভেতর তোমার সাথেই একলা হয়ে বন্দি,
বিরাট খবর কাগজ জুড়ে এলেম আছে ঝুক্কির,
সাগর ভাগের ডাক এসেছে সাধ্য লাগে কুস্তির।
পানে যেমন জর্দা মেশে ভিজলে মুখে স্বস্তি,
দাঁতের ঠোঁটে পুড়ছে বিড়ি, এতেই নাকি পুষ্টি,
এমন বরের ছিরি কোথাও বাঁধিয়ে ফেলো সত্যি,
সোহাগ বলে সিঁদুর পড়ো জলদি মুছে মুক্তি।
রাস্তাঘাটে আসতে যেতে যতই দেখি সংকেত,
দরজাগুলো ভাঙলে ঝড়েও স্পষ্ট দেখায় নেমপ্লেট।।
#আরিয়ান প্রিয়স পাল
(3)
*বিজ্ঞান শিক্ষা*
আয় তোকে দেখি এইবার চোখটুকু অক্ষত বাঁশে
চুলগুলো বেমালুম বাড়া মাঝে মাঝে খক খক কাশে।
হাত যেন বড় বেশি কালো যেন কয়লায় ঝালে,
সাথে কিছু তিল খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি চুপসানো গালে।
উল্টানো ঠোঁট টোল-খায় কাছে এবার থুতনিতে মেশে,
পরিমাপে বুক গলা, পকেট জামায় পেনটাও ফেঁসে।
পড়াতেন বাংলাই বটে ঘোরাতেই গোটা দেশ মতে,
ঘন্টাও পেরিয়ে যেত ঠিক, মনে হয় ফিরে যাই সাথে।
এই ভাবে মুন্ডুটা দেখি কত কত অভিযোগ আছে,
নাকি কোনো এক সীমায় বাঁকে একাই থেমকেই গেছে।
#আরিয়ান প্রিয়স পাল,
(4)
*পালোয়ান শেঠ*
রাতটুকু তার কাটিয়ে নিতেই স্বপ্ন দশেক ঘরায় ভরা,
হাতের ওজন একশো ছাড়ায় দেহ জোড়া লাগাম ছাড়া,
আসতে যেতে দেখি তাকে, চ্যালা দিয়েই শরীর মোড়ায়
মুগুর কটা কোমর-ভাঁজে তেল মাখিয়ে মোচর ছাড়ায়।
হাসি ভেদে কাঁপায় মাটি অল্প-ভাঙে ঘরের দেওয়াল,
এমনি নাকি আলতো বাড়ি দরজাগুলো ভীষণ বেহাল।
আসবো ভেবে সেদিন বোধহয় সামনে বাড়ির গিয়ে দেখি
জানলা দিয়েই যাওয়া আসা এটাই তাদের নিয়ম নীতি।
আমি তখন আমতা মুখেই পিছন ফিরে ছুটি, বাপরে
মা যদিও ছোটবেলায় বলেছিলো সেবার বাবাই কি রে
যাস নাকি সেই হেমা জেলের বাড়ি! তবে জানিস,
পুকুরখানা খাসা, আবদারেতে রুই কাতলা আনিস।
দিলাম জেদে মনের খেলায় জলে ঝপাং ঝাপ,
এমন কেন ঠান্ডা যেন শরীর চায়ের কাপ!
এ কি উফঃ। পড়ি মরি বলে এবার হুড়মুড়িয়ে উঠি
কোথায় আমার শুকনো জামা কোথায় হাওয়াই চটি-
ঝেঁপে দেবো ভেবেই তবে নেমেছিলাম জলে,
বীরত্ব আজ গেল কই ছুটছি সবই ফেলে,
এমন বাড়ির খোঁজ পেলেও সত্যি আমায় বলো,
দেখতে পাবে নদীর ধারে একসাথে যাই চলো।
#আরিয়ান প্রিয়স পাল