Friday, 28 June 2019

অল্প কথা

১.

রাতের পথে জোনাকিরা
বেনামী সুরে গা ভাসিয়ে দেয়
নিহত জ্যোৎস্না উদ্দেশ্যে..
শিকড়ে ভেজা আকাশ দেখে তুমি বলে ফেলো
নিরাপদ সড়ক দিবসের কথা...

ছাইদানি ভরা অ্যাস্ট্রের মলাটে রূপোলি আলোর ছটায় অতিথি
তারারা পরাগ খুঁজে বেরায়
আমিও তাদের উদ্দেশ্যে গল্প
লিখি বার বার....

রক্তিম চুম্বনে আবির ছড়িয়ে যায় আষাঢ়ে ঝিঝির দল...লাল মাটির
বুকে বিনিদ্র রজনীরা নিস্তব্ধ আদরে লুটিয়ে পরে প্রহরীর নিশিঅঙ্গে।

তুমি রাত জেগে ছিলে কাল!যখন ক্লান্ত ঝিলে মুখ ডুবিয়ে জল
খাচ্ছিলো অসহায় গাছেরা.....ঠিক তখনই,সন্ধ্যে ঠোঁটে আঙুল ছুঁয়ে
ইঙ্গিত দিয়ে যেত কোন ধ্রুবতারার ফিরে আসার কথা।।

২.

অমাঙ্গলীক বাটারসুপে পেনড্রাইভ গুঁজে নিহত মেঘ নামা শহরের ব্যস্ত মানুষগুলো জীবনের কৈফিয়ত নোনাজলে ডুবিয়ে ঠোঁট মৈথুন সমমাত্রিক পুরুষালি ঢঙে ঘুমতাম অশান্তি সাজিয়ে ফেলে রাতারাতি নারীত্বের অভিষিক্তা সরূপ কথা শুনে বেশ লাগলো.... যা কি না তোমার তরফের প্রাপ্তি বলে চালিয়ে দিতেও পারি....

৩.

অপচয়ের সেতু ভেঙে মধুবালা ঝিলিকে আগুনের ভাষায় চাঁদের ছায়া বৌঠানী সন্ধ্যার হাবুডুবু খেয়ে জ্যোৎস্নায় রাত নেমে আসে গোলমরিচ আলাপে পাউরুটি পোড়ার গন্ধের সাথে। সামান্য জেলি মেখে থালায় সেজে ওঠে অনিচ্ছুক সত্তেও! পেটে ঢোকার অপেক্ষা মাত্র....❤

এক বাবার কথা

চাঁদের গায়ে আকাশ থেমে যায়,
হঠাৎ আসে মেঘলা কোন ঘোর
ঘামের সাথে আপোস করে নেয়
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।

বাতিল গেছে চিলেকোঠার ছাদ
স্মরণে আসে নিহত ডটপেন
কঠোর শরীর,শক্ত চেটোর হাত
বুক পকেটে গল্প বাবর-হুসেন

মায়ের খেয়াল কঠিন হয়ে যায়
রাত তখনই দশটা বাজে সবে,
রুটির সাথে হালকা মেজাজ নেয়
দিনের শেষে ক্লান্তি যখন শোবে।

নেহাত বাতাস ফুলের কাছে আসে
জামার নীচে ঠাওর করা ঘোর।
বৃষ্টি এলে মাটির কাছে ঘেঁষে
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।।

কাজের ফাঁকে মুচকি হাসে চোখে
দেওয়াল ঘেরা লুকোনো অবিশ্বাস
খাতার ভিড়ে প্রকাশ হবে দেখে
সন্ধ্যে আলোয় ডুবিয়ে রেখে যাস।

এবার বলি অজানা এক পাথে
খাওয়ার দিকে ভীষণ হুঁশিয়ার
ভাতটা নেবে ডালের সাথে মেখে
মাছ ডিমেতে তারিখ মাপা তার

পরের দিকে শ্রাবণ এলে মনে
জবাব বুঝে স্মৃতির হবে ভোর
বিরোধ এবার ধোঁয়ার বিচার চেনে
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

মূহূর্ত(আরো এক)

তোমার সাথে পথ চলেছি বয়স থেমে সাতাশে
গাছের পাতায় আপোস রেখে ভাসছি দুজন বাতাসে।

বললে তুমি "কয়েক মাসে হয়েই ছিলাম একা যে",
অনেক কটা দিন পেরিয়ে অবশেষেই দেখা যে

ঘাটের ধারে বেঞ্চিগুলো দেখেই বলে-"কেমন আছো"?
সেদিন এলে ধড়ফড়িয়ে,আজ তবে কি ঠিক আছো!

পা চলেছে ট্রাম লাইনে, কোলকাতারই কিবা দোষ,
তুমিও বলো কনুই মেরে "সুন্দরী যায়!কি আপসোস"!

খেয়াল হলো তিনটে তখন,মেঘ জমেছে মাঠেও
ফেরার তাগিদ বাড়ির এবার,সময়,স্মৃতির সাথেও

হাতের মুঠোয় স্বপ্ন রেখে অপেক্ষা আর কি বা হে
শেষে বেলার এই দেখাটুকু দিগন্তেরই সীমাহে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

লীলাঙ্ক


অভিসারে দুলে ওঠে মন। অন্ধকারের থেকে নীচে
কথা তো অবুঝ নয়। বদলাতে চায় মেরুহীন ছায়াপথ
আর বেনামী আক্ষেপ বেয়ে নেমে আসে কুটিল বিছে
চরিত্র বদলের সিঁড়ি ধরে ফিরে যায় অতিকায় বট।।

তুমি কী হৃদয়হীন! করেছো কি সম্পর্কে সামান্য সুরাহা?
নাকি সাময়িক সম্ভবনা? মহাকাশ দেখে ফিরে আসা ঠিক।
কেবল আলোর গন্ধ খুঁজে চারপাশে বেরোচ্ছে লাভা
তুমি কঠোর হচ্ছো আরো। হয়ে উঠছো আজন্ম শরীক।

জনশূন্য প্রান্তরে যে বিরহী দেহ চৌকাঠে পড়ে থাকে!
ততক্ষণে গল্প হলো শেষ। নেওয়া বাকি রক্তের রসিদ।
রেলিঙে হাতের ছাপ। কার্ণিশে তারিখের সীমারেখে
অভিমান বদ্ধ বহুকাল। কারণ তুমি তো ইতিহাসবিদ।

প্রথম সে দিন। এখনও সে চিঠি হৃদয়ে ভেসে ওঠে,
অভিযোগ খেলা করে। পাঁচিলে ঘেরা কলেজের মাঠে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

ঋণাত্মক

আমরা হঠাৎ শূন্য থেকে নেমে যাবার সময়,কতরকমের
বাধা অতিক্রম করি অনায়াসেই। কেবল লালচে গোধূলির
সন্ধ্যাগুলো মরুআক্ষেপ বিছিয়ে একান্ত স্বভাবের জের-
ফুটিয়ে রাখতে শুরু করে মাটি চাপা পরা নিদর্শনগুলির।

ঘোড়ার ক্ষুরের নীচে রোমাঞ্চে অনুভবটুকু রেখে
খোলা মাঠে ইচ্ছে রোদ শোকাতে আর কুয়াশার নিরীহ
যন্ত্রণা ক্রমাগত একের পর একে মেশালে মৌমাছির ঝাঁকে,
অতঃপর মেঘ কালো করে আসে। ঝড়,বজ্র-বৃষ্টি সহ।

বাতাসে সীমাহীন সেতু ভেসে ওঠে,তার নিজস্ব মলিনতা
ক্রমশ চৌকাঠের মতো ধারণায় অদৃশ্য হয় মহসীনের।
তখনও তো তোমার পায়ের শব্দে বাঁশ,কুঠার,বটের জটা
সাজিয়ে অপেক্ষায় মেঘরাত ডোবা দিগন্তের শেষ দিনের

অনেকটা নীচের দিকে জামায় লেগে থাকা জোনাকিরা
সীমিত প্রলাপে জ্বলছে,দাম্ভিক রশ্মির আলোয়।
তারই গভীরে যে মাছ খেলা করে, তাদের উপশিরা
রক্তাক্ত হৃদয় চিরে দিতে হাত ভরে চটচটে আঁঠালোয়।

যা পরে আছে দেহের ভেতর,তা শুধুই সময়ের নীতি
রাত ঘামে চাঁদের আলোয়,গল্প, দৃষ্টি,অভিমান প্রভৃতি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পরিচয়

ফিরে এলে বোলো,কি ছিলো তার নাম
চেনা পথ ছায়া ঘেরা,সেই ছোট্টবেলার গ্রাম।

মনে করি!

বাইরে বৃষ্টি মেঘ।নির্জন বারান্দায়
এখনোও ছায়ারা আলোকে মিশে যায়?

ভয় করি।

হাওয়াতে তাপের রেশ,যদিও জৈষ্ঠো মাস
রাতে গন্ধ জলে ভেজে।ভর্তি মদের গ্লাস

অসম্ভব।

জানো!তার মৃত্যু অতটা সহজ নয়
দিগন্তে যেভাবে প্রতি দিন শেষ হয়

অবাস্তব।

তুমি ঘরে ফিরে বলো কাল শ্রাবণ মাস
মনের বাঁধ ভেঙে কুটিরে থেকে যাস

বিদায়।

দেখেছো চারিদিকে শোক মিছিল।মরুমায়া
আকাশে কালো মেঘ আর মাটি আলো ছায়া।

বিদায়।

যদিও যুদ্ধ শেষ বাড়বে মনের দাম
তুমি ফিরলে বোলো,সে ছিলো কোন গ্রাম।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

এ' বেলা

জানি কাল সকালে আমিও চলে যাবো
থেমে যাবে নীলাকাশ,তোমারও দেওয়া প্রথম
রামধনু মেঘ আর হাতে হাত ছুঁয়ে থাকা
সময়।

তুমি তো জানতে,আমি অবুঝ তখন
প্রতিযুগ ফিরে দেখি বারে বারে।
থমকে যাই ছবির দিকে।প্রতিদিনের
মতোই হয়।

মিশে যাবো পথের নীচে।পায়ে চেপে ঘাস,
মাটি,চারা।হাওয়ায় এসেছে তারা।আবার
এমন বিকেল যখন চোখ ঢেকে সব
সয়।

অজানা রাতের গন্ধ মাখে নতুন ভোরের
শিউলি কুঁড়ি।ভেজে শরীর।দিগন্ত,মহাদেশ,
জলরাশি।বসন্ত আদর আর ঘুমিয়ে
থাকা সংশয়।

তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্তব্ধ হবে  সৌর কিরণ।
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় অভিসারী হতে আক্ষেপ মেখে
নতুন সকাল সাজিয়ে তুলবে
নিশ্চয়।

এ শহর চেনে না আমায়।জানেনা,বোঝেনা
আমার না বলা কথাগুলো।নিরবে ফেলে
যাই শৈশব।থেমে থাকা শব্দ রেখা-তারিখ
অক্ষয়।

এ আমি কোন আমি।অভিসারই বলে তাকে
রেখে যাই ছুটির খবর।অজানা নাবিকের ভিড়ে।
ধূপ তো সবাই জ্বেলে থাকে।তবে কি তাদেরও
স্বপ্নও জ্বলে যায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনুগত

এখন বিকেল খুব সাধারণ,প্রেমের মতো নয়
পাথরগুলো কাদায় ভেজে তেমন কিছু নয়
সময় আসে বৃষ্টি হয়ে, ঘর ভাঙানোর ভয়।

বৃদ্ধ পাতা ঝরতে থাকে,গাছের তবু শোক
আমার কাছে সবটা জুড়ে আবেগ ঘেরা শোক
সত্যি তুমি নিজের ভুলেই হারিয়ে যাওয়ার লোক?

এখন আমার স্বপ্নগুলো অন্যরকম নয়
কথার ফাঁকে মুচকি হাসি।এসব কিছু নয়
জানো শ্বেতা আমার ঠোঁটও তোমায় ছুঁয়ে নেয়।

আবির মাখে হলুদ লালে,হিসেব গড়া মনে,
আমরা দুজন হারিয়ে যেতাম খয়েরি,সবুজ বনে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আত্মানুরণন

নতুন জীবন,কাঠের শরীর,পুড়ে ছাই হয়,পরকীয়া
দিয়েছ ক্ষতের দাগ। সঙ্গ বিলাপ। এমনই ভেবেছি যখনই -
ফিরেছি আলোকবর্ষ প্রেমে।তিলে তিলে। মনোনয়না,
দিগন্ত মরীচিকা।আমি তোমার বিপরীত।অখন্ড অভিমানী।

রাতের নিশান মনে গভীর থেকে গভীরে ঘোরাফেরা,
কাপড়ে বদ্ধ আঘাত পাথর মনের সীমাহীন চেতনা....
কাল ভুলে মিশে যায় শিরায় শিরায়।কোথায় তারা?
গুহা ছুঁয়ে ফেলেছে তখন।আর বিরামহীন ছলনা।

আমি শেষ হব।আসবো জ্যোৎস্না লজ্জার কোন দিনে
সিঁদুরে বিস্তৃত মেঘরাশি ক্রমশ ছোটে।যেন ধূমকেতু...
আর পিঁপড়ের ডিমে টিকটিকি গোনা,পাগলামি জেনে
আধো কথা।মৌনঘড়ি।আমি তুমি নিরাপদ যেহেতু।

বন্ধ হওয়া দম।অশনাক্ত ছোঁয়া থেকে জেগে ওঠে যে খনিজ,
মহাশূন্যেই শেষ নয়।কালোদাগ জমে আছে।থেমেছে বীজও।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...