Sunday, 17 February 2019

ভাষা দিবস

*ভাষা দিবস*

সময় কিছু বদলে আসে মতলবি
কথার দরে বিক্রি যত ঘর ক্রেতা
সুরক্ষা সব ধর্ম ছুঁয়ে আন্তরিক
ভাষার বিচার রদ বদলে রুক্ষতা ।।

ফুলের মতো মন খুঁজেছে মুখখানির
নিন্দুকেরা সৃষ্টি করে অন্ধ-গ্রাম
প্রকাশ‍্য পানি ঠোঁট চেকেছে সন্ধানির
বিবেক টুকুই পরিশ্রমের ইষ্টনাম

কম্পাসে চোখ আঁকড়ে খোঁজে ভ্রান্ত দিক
শান্তি যত মুখ লুকিয়ে খুব কাঁদে
আমরা বলি ভাষাই নাকি সৃষ্টিভিক
সম্মানও কি রঙ লাগাতো মন্দতে।

তোমার শালে রক্ত গরম অন্ধকার 
মুক্ত শুধু লুকিয়ে রাখা ভিনদেশে
খয়েরি নদীর রাত গুনেছে বন্ধ দ্বার
বিবেক তবু ধুলোই মাখে সবশেষে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

শহীদ দিবস

*শহীদ দিবস*

তারাও নাকি থাকেন 'পরে,
স্বাধীনতার যুদ্ধে
আপোস করে নুইয়ে আছেন
আমাদেরই মধ্যে ।

একটু দূরে ওইতো দেখি
মিনার সমান স্তম্ভ।
ভাষার বিকাশ তাদের স্রোতেই
আমাদের কেবলই দম্ভ।

কবর দেওয়া দুঃখ যত
মিথ্যে গুলোই সত্যি
ওঠো প্রভাত নতুন ভোরে
আমরা তোমার আর্তি।

একদিকে তার অনেক বিচার
মুঠোর ঘরে স্তাবকী
শহীদ বেদী আজও বলে
তুমিও তাই ভাবো কি!!

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

না

*না*

সেভাবে বুঝিনি এই নতুন খেলা ।

নিস্তব্ধে ফিরে এসে কথাদের
প্রকাশে রেখে যাওয়া অনুদান।

সে পথেই ভেসে আছে নিশাচর
ভবঘুরে আর কিছু বলার
আগেই গাওয়া গান।

না সেভাবে বুঝিনি এমনি করে
অঘটন উদ্দীপনার অবকাশে
বিসর্জনে ফুটে ওঠা রাতদিন সমান।

এভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মের
কাছে তুলে ধরার সুযোগ নেই।

না আমি বুঝিনি এসবই
তাদের জমে থাকা বিরহের গান ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

জলতরঙ্গ

*জলতরঙ্গ*

সে কাজে আমিও পরিণত হব
যদিও আঙুল ছুঁয়ে আছো তুমি।

না-হলে ছন্দ হবে ভুলই
সেলটেপে জড়ানো রেডিও
ভেসে যাবে কোন দরিয়ার স্রোতে।

ডুবে আছে চিরাগ বেদনা।

বৃদ্ধ পাতার মুছে গেছে স্মৃতি
রক্ত ঝরেছে শব্দ ব্যবহারেও।

তবে আকাশ থেকে ঘুরে আসা
ঘুড়িটার বয়স জেনে নিও।

গ্রাম থেকে গ্রাম বয়ে চলে
বাতাস।সেটুকু সামলে দিও
জরীপবিহীন মদের গ্লাসে।

আজ প্রেম।ঠেকেছে ঠোঁটে
বহুকালে ঘুমিয়ে ছিলো পাঁচিলে।
রক্ত জমা।বিষাক্ত যন্ত্রণায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রূপে সরস্বতী

*রূপে সরস্বতী*

হাতের বীণায় রোদ ছুঁয়েছে হলুদ ঝরা শাড়ির রেশ
রাংতা জোড়া অলঙ্কারে মুক্ত চুলের গুল্মলতা
বিদ্যা দেবীর প্রকাশ হল রাজকুমারীর বেশ তথা

স্মৃতি ক্ষতে গুছিয়ে রাখি মনেই জমা প্রবঞ্চ
আপন গড়া ফুলদানি টাও একলা শুকায় নিবদ্ধে
প্রাপ্তি যত'র মুখ ঢেকে দেয় সোনার চুড়ের প্রতিকৃত

পুষ্পে তাকে সাজিয়ে রেখে ছুঁয়েছে মাটি মুক্ত কেশ।
ঠিক তখনই হাতের চেটোয় আশীর্বাদী সোপানজল
তোমারা ভাবো মায়ের সমান, আমার তিনি বন্ধু বেশ

জল সাথে হঠাৎ যখন সন্ধি ঘটায় সমকজল
বৃদ্ধ পাতা বেসুরে গায় "ললাট আমার আপন যে"।
কি আর বলি তোমার ঘোরে আকাশ হতে নামল চাঁদ

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ক্যালকুলেশন

*ক্যালকুলেশন*

থামবে কি!জানতো না ক্লান্ত চোখ
পাতারা স্বপ্ন রূপ,সচল গুল্মজাল।
শিউরে আয়না মুখ বুলেট ভর্তি লোক
লড়াই হচ্ছে তার মরন মধ্যকাল।

কবিরা ছুটছে দেখ।মাঝের মাটির স্তুপ
আঙুলে চিটবে সব খয়ের ভর্তি পান
জড়িয়ে আছে তার শয্যা সঙ্গী ধূপ
ছাইয়ে ঢাকবে সব জোলাপ মগ্ন স্থান।

সবর যায়কি আজ ঠোঙা বন্দি মাফ
দেওয়ালে আবেগ মুছে ঐশী গ্রন্থের নাম
যাহাতে মেলায় ভাষা প্রয়োগ করেন সাফ
দেখেছি কাজল তাতে অভিযোগ দায়ের কাম।

নাকের ডগায় তার ভগ্ন আলোক জড়ি
বোঝেনি কথার ফাঁদ বুকের পাথর চেপে
আকাশ জীবন যাপন বাঁচার স্বাদ করি
চোরের আতুর ছেড়ে স্বাভাবিক সংকেতে

আমরা যে সব নিরাশ সেনার লোক
আগলে থাকি ইলেকশন আর ভোট
ক্যালকুলেশন,রক্ত জমাট শোক
সব কি তবে মন খারাপ ক্রোধ ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

টুকরো স্মৃতি



*টুকরো স্মৃতি*

স্নেহ চুম্বনে ঢেকে দিয়েছ ক্ষত
দলা পাকানো রক্তাক্ত শরীরের
বিচার শুরু হবে সংকোচের প্রাঙ্গণে।

আমি অচেতন পথের আড়াল নজু

তার ফেরারি স্মৃতির চত্বরে
বিক্ষোভের আল চাপা পড়ে
গেছে নিশাচর প্রাণী সন্ধানে।

তুমি কি কখনও এই পথে
থেমে গিয়েছিলে।নাকি সহস্র
পতঙ্গ আবরণে তারা হয়েছো রাশি

শ্যাওলা ভরা দেওয়ালে,মরা
ছাদে শুকিয়ে যাওয়া বড়ি।
ছেঁড়া শাড়ি অভাব,বিলুপ্ত পাঁচিলে।

বাতাসে ওপর ভর করে বিকেলের 
সরষে ক্ষেতে খুঁজে চলেছি তার
যাওয়া আসায় প্রতিটা পদক্ষেপের হাসি।

তবু মনটুকু পড়ে থাকে সেই চিলেকোঠায়
মুছে থাকা মানুষের পারাপারের ছায়ার মিছিলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আলো জ্বলবে এবারে..

*আলো জ্বলবে এবারে..*

গোলাপে সাজানো কফিনের
ভেতর রক্তাক্ত শরীরের বিচার
শুরু হবে খানিক বাদেই।

চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা
তীর্থের কাকের মত গোটা
দিনে আলজিভে বসন্ত
নামিয়ে ফেলে শুধু মাত্র
পিপাসা মেটানোর উদ্দেশ্যে।

সেই চল্লিশটি প্রাণের মণিকা সহ
আবেগ বসত সমস্ত সম্পর্কে
অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

আর ঘোলাটে ধোঁয়ার
আড়ালে গোটা জগত স্তম্ভিত
হয়ে ওঠে অনাদরে।

আমরা তখন টেবিলে মানচিত্র
সাজিয়ে লাভ ক্ষতির তফাৎ
মাপি অনবরত।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...