প্রোমোটারের বউ :- কি পড়ছো এতো মন দিয়ে?
প্রোমোটার :- এই নতুন বিল্ডিং এর প্রজেক্টাটা এক দেখছি কাগজ পত্র ঠিকঠাক আছে নাকি..
প্রোমোটারের বউ :- ওওওওও তো এটা তোমার পঞ্চাশ নম্বর প্রজেক্ট তাই না?
প্রোমোটার:- হ্যাঁ।তাই কি নাম দেবো ভাবছি!
প্রোমোটারের বউ:- নাম দাও "অর্ধ শতক"..
প্রোমোটার:- শুনছি ওদের এক শরিক প্রকৃতি প্রেমিক সঙ্গে তার মেয়েও।বলে নাকি ওরা গাছকে খেতে দেয়।
প্রোমোটারের বউ :- হা হা হা...বলো কি!গাছের আবার মুখ আছে নাকি।যে সে খাবে?আজব পাগল সব।
প্রোমোটার:- তা যা বলেছো!মানুষ থাকার জায়গা পাচ্ছে না আবার থাকার জায়গা.....
২.
সনাতন বাবু:- কি রে মালতী খাবি আয়...এতো বেলা হলো..ওদের(গাছেদের) এবার ছাড়।
মালতী :- সে যাচ্ছি।আগে বলো তুমি ওদের খাবার জোগাড় করেছো...কতো করে বলি ওদের একটু করে জল দেবে।অর্ধেক গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কি যে করো তুমি
সনাতন বাবু:- সে দেবো বলছিতো।তুই এখন খাবি চল
মালতী:- আচ্ছা চলো যাচ্ছি।
বাবা আর মেয়ে হাত ধরে এগিয়ে চলল ঘরের দিকে।
মালতী দালানের দোললায় বসে পরল...
সনাতন বাবু গাছে হেলান দিয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলল
:- এ বাড়ি এই গাছ হয়ত একদিন থাকবে না।তোর কাকারা বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে দিয়েছে কমপ্লেক্স বানাবার উদ্দেশ্যে।
মালতী:- রেগে বললো। বলো কি!তুমি কিছু বললে না?তারা তাদের জায়গায় কমপ্লেক্স বানাক।আমাদের জায়গা আমরা কি করবো আমরা বুঝবো।আমি এ গাছ কিছুতেই কাটটে দেবো না।
এরপর কথা বলতে আমায় নিয়ে যাবে,আমি কথা বলবো...
সনাতন বাবু:- তুই কথা শুনবি না।আচ্ছা আমি ঘরে চললুম।
মালতী দোললায় দুলতে দুলতে কিছু লাইন কবিতা বলতে শুরু করলো
"যেমন নিশুতি রাতের চোখে ক্ষত
যেমন ফুলের আড়াল ঘুমিয়ে পাখি
যেমন সুদিন বাঁচে স্বপ্ন মায়ার মতো
তেমন ভাবে নূপুরের তালে পথ চলেছে সখী ৷৷
তুমি ছিলে কোনও বিদ্রোহী অগ্রদূত
অসময়ে শত কন্ঠে বাজে তোমার চেনা সুর...
সাহসের কাছে যেরকম তুমি অচ্ছুত
ভালোবাসার লেখা তোমার দুরত্ব প্রচুর
আমরা জানি না কী আছে রাজনীতি শেষে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার৷চাই কলমের ধার
আপাতত এই ক্ষুধায় কাঁতর দেশে
মৃত্যু পাক অনাচারীর আঘাত, থামুক হাহাকার ৷
কেউ তো জানে না,ভাঙন নদীর তীরে
কিভাবে মৃত্যু সরিয়ে কবিরা আবার বাঁচে
কেবল ভেবেছি মনখারাপের দারে
হেঁটে চলে যাই তোমার ছায়ার কাছে।"
এদিকে প্রোমোটার হালকা চিন্তায় পরলো...কি করে বাপ মেয়েদের উচ্ছেদ করা যায়।
প্রোমোটার এলো এক মস্তানের কাছে
প্রোমোটার :- চন্দন আমায় একটা কাজ করে দিতে হবে।কটা গাছ কেটে দিতে হবে।
চন্দন:- আমার কাছে মানুষ,গাছ দুটোই এক কোপে নেমে যায়
প্রোমোটার:- না সেরকম কিছু না ,প্রথম বাড়ির মালিককে ভয় দেখাতে হবে না শুনলে গাছগুলো
কেটে দিবি।
এ নে চেক তিরিশ হাজার টাকার।লাগলে আলো দেবো।কিন্তু কাজটা হবা চাই।
পরদিন প্রোমোটার লোকজন সনাতন বাবুর বাড়ি যায় লোকজন নিয়ে
প্রোমোটার:- সনাতন বাবু ও সনাতন বাবু একটু বাইরে আসবেন।দরকার ছিলো
সনাতন বাবু:- এই তো আসছি ।আপনারা ঘরে আসুন না!
প্রোমোটার:- না ঘরে যাবো না।এখানেই কথা বলি। তা এরকম গাছ আগলে পরে থাকলে হবে?মেয়ের বিয়ের বয়স হলো মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে তো।আর কমপ্লেক্স এ থাকলে তাতে তো আপনারই সন্মান বাড়বে তাই না!
সনাতন বাবু:- কমপ্লেক্স বানাতে তো বারুন করছি না।কি গাছ বাদ দিয়ে বানাও না।আর ভাইদেরটা নিয়েছো ওটা দিয়েই বানাওনা।মা মরা মেয়ে গাছের থেকেই মায়ের আদর নেয়।
প্রোমোটার:- আসলে আপনার জায়গাটা ছাড়া মাপটা ঠিকঠাক হবে।আর গাছ থাকলে ড্যাম্প পরবে।শেকড়ের ঝামেলা।
এই বলে জোড় করেই জমি মাপা শুরু করে।বৃদ্ধ সনাতন বাবু বাঁধা দিতে গেলে ঠেলাঠেলি হয়।সনাতন বাবু থেমে যায়।গাছে মাথা রেখে চোখের জল মুছতে থাকে।
প্রোমোটার ফিরতে ফিরতে বলে যায় মানুষ হলে ভয় দেখানো যায় কিন্তু এ তো গাছ।সুতরাং অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে...
যথা সময়ে ভাড়াটে মস্তান এসে সনাতন বাবুকে ভয় দেখিয়ে যায়।
তাতে কাজ না হলে প্রোমোটার ফোন করে জানায় ভয় দেখানোতে কোনো কাজ হয়নি।
পরদিন মালতীর পরীক্ষা।বাবা কে প্রণাম করতে বাবা তাকে আশীর্বাদ করে।যাবার সময় মালতী গাছগুলোকে হাত বুলিয়ে আদর করে যায়। মেয়ে বেরোতেই মস্তানরা বাড়ির ওপর চড়াও হয়।সনাতন বাবুকে ঠেলা দিতেই তিনি দেওয়ালে মাথা ঠুকতেই জ্ঞান হারান।সেই সুযোগে মস্তান দল সব গাছ কেটে ফেলে।বাড়ি এসে মালতী এসব দেখে বাবাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে।
এরপর তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
মালতী আশপাশের অনেক বাড়ি এমনকি অনেক অফিসের পাশে বা পরে থাকা খালি জায়গায় গাছ লাগাবার অনুমতি চায় কিন্তু তারা কেউই অনুমতি দেয় না।
এদিকে প্রোমোটারের অর্ধ শতক আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে।উদ্বোধনের দিন সেই মস্তান চন্দন প্রোমোটারকে ফোন করে।প্রোমোটার তাকে না চেনার ভান করে।চন্দন তখন ভয় দেখালে প্রোমোটার অগত্যা চন্দনের কথা মতো সেই জায়গায় হাজির হয়। চন্দন প্রোমোটারের গলায় ছোরা ঘসতেই প্রোমোটার চন্দনের শর্তে রাজি হতে বাধ্য হয়।চন্দন চেকে সই করিয়ে নেয়।টাকার আমাউন্ট সে নিজে বসাবে বলে।
এককথায় তাকে সর্বস্ব হারা করে
এদিকে মালতী সকলের থেকে দূরে নদীর ধারে গাছ পুঁততে শুরু করে। প্রোমোটার সর্বস্ব হারা হয়ে নিজের পুরোনো ভাঙা বাড়িতে ফিরে আসে। দেখা হয় মালতীর সাথে।
মনে পরেনি তোমার? আমিও মিশেছি রক্তিম ঘাসে।
থেকে গেছিল অবহেলা...অনুতাপ। সবুজ গন্ধ প্রায়,
প্রয়োজন ছিলো তোমার কুহেলি ভোরের ইতিহাসে,
শব্দেরা একে একে থেমে যায়,শুরু হয় নতুন অধ্যায়।
ঠাওর করা যায়নি স্থিতিহীন অস্তিত্ব বিপন্ন ক্ষত,
শ্রাবণের কালো মেঘ ঢাকা জ্বলজ্বলে প্রাচীন দৃঢ় মহিষ।
পাশে যারা ছিলো,অনামী বসন্ত শিহরনের মতো!
কতিপয় সন্ধ্যে আঁটা বহুকালের বৃদ্ধ গাছের অহর্নিশ।
কবিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়,পুরাতন রীতির শাখে
জামার বোতাম গোনা প্রেম, কুয়াশায় ঢোঁক গেলে,
তখনও আসোনি ফিরে,মনুষ্যত্ব ক্রমশ সরতে থাকে
ধমনী দূরে সরে যায়,খসে পরে গোধূলি বিকেলে।
চলে যায় সেও,স্বপ্নদোষে। প্রশ্নেরা পিছু নেয় ফের।
এখন এলে সেই!সময় হল যখন ধীরাগমনের!!
*সমাপ্ত*
প্রোমোটার :- এই নতুন বিল্ডিং এর প্রজেক্টাটা এক দেখছি কাগজ পত্র ঠিকঠাক আছে নাকি..
প্রোমোটারের বউ :- ওওওওও তো এটা তোমার পঞ্চাশ নম্বর প্রজেক্ট তাই না?
প্রোমোটার:- হ্যাঁ।তাই কি নাম দেবো ভাবছি!
প্রোমোটারের বউ:- নাম দাও "অর্ধ শতক"..
প্রোমোটার:- শুনছি ওদের এক শরিক প্রকৃতি প্রেমিক সঙ্গে তার মেয়েও।বলে নাকি ওরা গাছকে খেতে দেয়।
প্রোমোটারের বউ :- হা হা হা...বলো কি!গাছের আবার মুখ আছে নাকি।যে সে খাবে?আজব পাগল সব।
প্রোমোটার:- তা যা বলেছো!মানুষ থাকার জায়গা পাচ্ছে না আবার থাকার জায়গা.....
২.
সনাতন বাবু:- কি রে মালতী খাবি আয়...এতো বেলা হলো..ওদের(গাছেদের) এবার ছাড়।
মালতী :- সে যাচ্ছি।আগে বলো তুমি ওদের খাবার জোগাড় করেছো...কতো করে বলি ওদের একটু করে জল দেবে।অর্ধেক গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কি যে করো তুমি
সনাতন বাবু:- সে দেবো বলছিতো।তুই এখন খাবি চল
মালতী:- আচ্ছা চলো যাচ্ছি।
বাবা আর মেয়ে হাত ধরে এগিয়ে চলল ঘরের দিকে।
মালতী দালানের দোললায় বসে পরল...
সনাতন বাবু গাছে হেলান দিয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলল
:- এ বাড়ি এই গাছ হয়ত একদিন থাকবে না।তোর কাকারা বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে দিয়েছে কমপ্লেক্স বানাবার উদ্দেশ্যে।
মালতী:- রেগে বললো। বলো কি!তুমি কিছু বললে না?তারা তাদের জায়গায় কমপ্লেক্স বানাক।আমাদের জায়গা আমরা কি করবো আমরা বুঝবো।আমি এ গাছ কিছুতেই কাটটে দেবো না।
এরপর কথা বলতে আমায় নিয়ে যাবে,আমি কথা বলবো...
সনাতন বাবু:- তুই কথা শুনবি না।আচ্ছা আমি ঘরে চললুম।
মালতী দোললায় দুলতে দুলতে কিছু লাইন কবিতা বলতে শুরু করলো
"যেমন নিশুতি রাতের চোখে ক্ষত
যেমন ফুলের আড়াল ঘুমিয়ে পাখি
যেমন সুদিন বাঁচে স্বপ্ন মায়ার মতো
তেমন ভাবে নূপুরের তালে পথ চলেছে সখী ৷৷
তুমি ছিলে কোনও বিদ্রোহী অগ্রদূত
অসময়ে শত কন্ঠে বাজে তোমার চেনা সুর...
সাহসের কাছে যেরকম তুমি অচ্ছুত
ভালোবাসার লেখা তোমার দুরত্ব প্রচুর
আমরা জানি না কী আছে রাজনীতি শেষে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার৷চাই কলমের ধার
আপাতত এই ক্ষুধায় কাঁতর দেশে
মৃত্যু পাক অনাচারীর আঘাত, থামুক হাহাকার ৷
কেউ তো জানে না,ভাঙন নদীর তীরে
কিভাবে মৃত্যু সরিয়ে কবিরা আবার বাঁচে
কেবল ভেবেছি মনখারাপের দারে
হেঁটে চলে যাই তোমার ছায়ার কাছে।"
এদিকে প্রোমোটার হালকা চিন্তায় পরলো...কি করে বাপ মেয়েদের উচ্ছেদ করা যায়।
প্রোমোটার এলো এক মস্তানের কাছে
প্রোমোটার :- চন্দন আমায় একটা কাজ করে দিতে হবে।কটা গাছ কেটে দিতে হবে।
চন্দন:- আমার কাছে মানুষ,গাছ দুটোই এক কোপে নেমে যায়
প্রোমোটার:- না সেরকম কিছু না ,প্রথম বাড়ির মালিককে ভয় দেখাতে হবে না শুনলে গাছগুলো
কেটে দিবি।
এ নে চেক তিরিশ হাজার টাকার।লাগলে আলো দেবো।কিন্তু কাজটা হবা চাই।
পরদিন প্রোমোটার লোকজন সনাতন বাবুর বাড়ি যায় লোকজন নিয়ে
প্রোমোটার:- সনাতন বাবু ও সনাতন বাবু একটু বাইরে আসবেন।দরকার ছিলো
সনাতন বাবু:- এই তো আসছি ।আপনারা ঘরে আসুন না!
প্রোমোটার:- না ঘরে যাবো না।এখানেই কথা বলি। তা এরকম গাছ আগলে পরে থাকলে হবে?মেয়ের বিয়ের বয়স হলো মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে তো।আর কমপ্লেক্স এ থাকলে তাতে তো আপনারই সন্মান বাড়বে তাই না!
সনাতন বাবু:- কমপ্লেক্স বানাতে তো বারুন করছি না।কি গাছ বাদ দিয়ে বানাও না।আর ভাইদেরটা নিয়েছো ওটা দিয়েই বানাওনা।মা মরা মেয়ে গাছের থেকেই মায়ের আদর নেয়।
প্রোমোটার:- আসলে আপনার জায়গাটা ছাড়া মাপটা ঠিকঠাক হবে।আর গাছ থাকলে ড্যাম্প পরবে।শেকড়ের ঝামেলা।
এই বলে জোড় করেই জমি মাপা শুরু করে।বৃদ্ধ সনাতন বাবু বাঁধা দিতে গেলে ঠেলাঠেলি হয়।সনাতন বাবু থেমে যায়।গাছে মাথা রেখে চোখের জল মুছতে থাকে।
প্রোমোটার ফিরতে ফিরতে বলে যায় মানুষ হলে ভয় দেখানো যায় কিন্তু এ তো গাছ।সুতরাং অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে...
যথা সময়ে ভাড়াটে মস্তান এসে সনাতন বাবুকে ভয় দেখিয়ে যায়।
তাতে কাজ না হলে প্রোমোটার ফোন করে জানায় ভয় দেখানোতে কোনো কাজ হয়নি।
পরদিন মালতীর পরীক্ষা।বাবা কে প্রণাম করতে বাবা তাকে আশীর্বাদ করে।যাবার সময় মালতী গাছগুলোকে হাত বুলিয়ে আদর করে যায়। মেয়ে বেরোতেই মস্তানরা বাড়ির ওপর চড়াও হয়।সনাতন বাবুকে ঠেলা দিতেই তিনি দেওয়ালে মাথা ঠুকতেই জ্ঞান হারান।সেই সুযোগে মস্তান দল সব গাছ কেটে ফেলে।বাড়ি এসে মালতী এসব দেখে বাবাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে।
এরপর তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
মালতী আশপাশের অনেক বাড়ি এমনকি অনেক অফিসের পাশে বা পরে থাকা খালি জায়গায় গাছ লাগাবার অনুমতি চায় কিন্তু তারা কেউই অনুমতি দেয় না।
এদিকে প্রোমোটারের অর্ধ শতক আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে।উদ্বোধনের দিন সেই মস্তান চন্দন প্রোমোটারকে ফোন করে।প্রোমোটার তাকে না চেনার ভান করে।চন্দন তখন ভয় দেখালে প্রোমোটার অগত্যা চন্দনের কথা মতো সেই জায়গায় হাজির হয়। চন্দন প্রোমোটারের গলায় ছোরা ঘসতেই প্রোমোটার চন্দনের শর্তে রাজি হতে বাধ্য হয়।চন্দন চেকে সই করিয়ে নেয়।টাকার আমাউন্ট সে নিজে বসাবে বলে।
এককথায় তাকে সর্বস্ব হারা করে
এদিকে মালতী সকলের থেকে দূরে নদীর ধারে গাছ পুঁততে শুরু করে। প্রোমোটার সর্বস্ব হারা হয়ে নিজের পুরোনো ভাঙা বাড়িতে ফিরে আসে। দেখা হয় মালতীর সাথে।
মনে পরেনি তোমার? আমিও মিশেছি রক্তিম ঘাসে।
থেকে গেছিল অবহেলা...অনুতাপ। সবুজ গন্ধ প্রায়,
প্রয়োজন ছিলো তোমার কুহেলি ভোরের ইতিহাসে,
শব্দেরা একে একে থেমে যায়,শুরু হয় নতুন অধ্যায়।
ঠাওর করা যায়নি স্থিতিহীন অস্তিত্ব বিপন্ন ক্ষত,
শ্রাবণের কালো মেঘ ঢাকা জ্বলজ্বলে প্রাচীন দৃঢ় মহিষ।
পাশে যারা ছিলো,অনামী বসন্ত শিহরনের মতো!
কতিপয় সন্ধ্যে আঁটা বহুকালের বৃদ্ধ গাছের অহর্নিশ।
কবিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়,পুরাতন রীতির শাখে
জামার বোতাম গোনা প্রেম, কুয়াশায় ঢোঁক গেলে,
তখনও আসোনি ফিরে,মনুষ্যত্ব ক্রমশ সরতে থাকে
ধমনী দূরে সরে যায়,খসে পরে গোধূলি বিকেলে।
চলে যায় সেও,স্বপ্নদোষে। প্রশ্নেরা পিছু নেয় ফের।
এখন এলে সেই!সময় হল যখন ধীরাগমনের!!
*সমাপ্ত*