Friday, 25 June 2021

শ্রেয়া

 *শ্রেয়া*

বৃষ্টি যখন থিতিয়ে আসে শিউলি পাতার ভাঁজে
তারায় নামে উজ্জ্বলতা নম্ন চাঁদের কাছে।

ওই যে দূরে স্বপ্ন কিছু একলা কাটায় দিন,
কাছে গিয়ে দেখলে তাদের দেখায় আরো ক্ষীণ।

মেঘ ছড়ানো উঠুন জুড়ে স্ট্রীট লাইটের ভীড়ে 
দরমা ঘরে ছাউনি ফেলে মন যে উদাস করে।

আসতে যেতে নকল আলোয় রাস্তা জোড়া ভোর,
পিঙ্ক জলেতে সবুজ গাছে মন কেমনের ঘোর।

বসন্ত যে নেই তো এখন আসবে বছর ঘুরে,
তোমার আবার জন্ম হবে অবহেলার জেরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়সী

 *শ্রেয়সী*

একটা চামেলী গন্ধ শরীর জুড়ে বলাকার মতো পাক খাচ্ছে
ছত্রভঙ্গ চলচ্চিত্রে রঙ্গ অভিনেত্রী এখন লাল ঠোঁটে আখ চিবোচ্ছে।

তবে শ্রেয়সী ইদানিং মেঘেরাও ভাড়া নিচ্ছে আবাস
দুটো কোকিল চুরুট চিবিয়ে মুখে বলছে সাবাস।

আজকাল সভাগুলো যে কোন গন্ধহরণ ব্যবসা
সবাই বলে ওখানে করোনার অবাধ সুব্যবস্থা

এখন সীতার ক্ষেদ রাম যাক একাই বনবাসে, 
বহুকাল তারা আসে নি প্রীতিবসন্ত সঙ্গত বসবাসে।

তবে এটুকু মেনে নিতেই পারো এ বৈশাখ শ্রাবণের আতর
আর তো জৈষ্ট্য বাকি , এবার দিন গোনো প্রহর প্রহর।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সামন্ত

 *সামন্ত*

প্রতিটা গল্পের শেষে অনেক কথা জমে আছে
সময় জলের মতো ভিজে দাগ রেখে যায় কাঁচে।

তুমি স্বাভাবিক তবে ঘনঘটা সই অজুহাতেই রাখা,
আমিও দূরত্ব বুঝি তা বলে এটা নয় সবটা ফাঁকা ফাঁকা।

একটা বিরাট কোনঠাসা দুনিয়ায় বিলং করি আমরা
প্রতিবার হারি প্রতিবার জিতি সমান সমাপ্তির অন্তরা।

এতটা সঙ্গতা আগে কখনও দেখেনি এই পৃথিবীতে
এতটা উজ্জ্বল এতটা গম্ভীর তোমায় রাখিনি সম্মুখে।

এভাবেই শেষে হয় কবিতারা, সেখানেই বারংবার
চরিত্রের সমান্তরালে ফুটে সংগোপনতা সীমাহীন সমাহার।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দূর্বা

 *দূর্বা*

শরীরটাকে হারিয়ে দিতে আলপনা সয় ক্লান্ত মন,
বৃত্তে গাঁথা ঠোঁটের কাজল নম্ন সাজায় চোখের কোণ।

কৃষ্ণচূড়ায় মিশে গিয়ে লাল আভাতে বাতাস ছুঁয়ো 
আজ সাবেকি কাল অবুঝে এমন যদি হয়েও যাও।

পরিশ্রমের মূল্য পেতে লম্বা সড়ক ঘিটেই নেয়
আমার শহর দক্ষিণে বয় উত্তরীরাও এসেই যায়

সভ্যতারই নরম ধুলোয় গাছের পাতা হলুদ লাশ
কথাও যখন মন্ত্র মাখে বিরাম নিকোয় গভীর শ্বাস

শব্দ যখন ভীষন চেনায় ওড়াও তোমার আপন কেউ
ভেতর যেন উথাল পাথাল ভেঙেই শেখে জলের ঢেউ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রোনককে

 *রোনককে*

সেদ্ধ জলে আকাশ রেখে তোমায় ফেলে দি
তা বলে কি পরিচিতি এটুক রাখিনি।

ছলের বসে ঝাঁকিয়ে বসে একটা রাতই দেখো,
গিটার ফেলে চামচে ঘসে আওয়াজ করা শেখো।

রোনক সেজে একটা আলো জ্যোস্না নামেই হাসে
চাঁদের বুকে মুক্ত শহর রঙ ফেলে দেয় ঘাসে।

এত রাতে প্রেম ছেড়ে ভাই কবিতা কি আর হয়
ছন্দ ছেড়ে মন্দ কথায় পাতা ফেঁসে যায়

যাই বলো ভাই এমন রাতে ওরাও খেতে বসে
দেহের থেকে শরীর ছেড়ে  উড়তে ভালোবাসে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভিশ্বেতা

 *অভিশ্বেতা*

সময় এসে স্তব্ধ থাকে জামায়
বসত এখন আগ্রহতাই কমায়
এসব আবার কানে শোনাও দহন।

বাঁচার ক্ষিদে সাবধানতাও ভারি
শব্দ তখন আশকারাতেই গাড়ি
কি পেয়েছো আরো বাড়াও খনন!

সভ্যতারই মূল্য চাওয়া ভালো
নেশায় যখন মধ্য আকাশ কালো
শরীর বাঁধায় ব্যস্ত সারাক্ষন।

গ্রন্থ তবে মুখ্য দাগী শিরায়
থমকে এসে পাঁজরগুলো জড়ায়
স্তব্ধ রাখো শেষের কিছুক্ষণ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সহেলী

*সহেলী*

সভ্যতার এই অন্তধামে থমকে থাকা নেই
ছড়িয়ে রাখা শ্রবণ আলো সাজাই সীমাতেই

সাত সুরে তার জন্ম যখন তফাৎ শরীর রেশ
চোখের কাজল ঘরকে চেনায়, চেনায় তলদেশ

জানি তবে রাস্তা বোধহয় আগুন পাখির স্বর
হিসেব তবে তরল করে গানেরই দপ্তর।

জানো এখন রাতের সাথে দিনের বিরাম নেই
জলের স্তরে সমুদ্রতার আভাস সীমাতেই।

সফল হওয়া যতই সহজ এমন বলে ঠিক,
সময়টারই সঙ্গ পেতে লাগে কঠোর দিক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়া

*শ্রেয়া*

শহর তবে আলাপ শেখায় সভ্যতার এই গঞ্জে
সুখের ঠোঁটে ভ্রমর বসে আল ছোঁয়াচে রন্ধ্রে।

জানি তবে চেনার মতো অবাক কিছু নেই
স্মৃতি যখন আঁকড়ে ধরে সহজ সীমাতেই।

একটা কথা জেনেই গেছি, বলার কিছু আছে!
স্বপ্ন ছাড়া একটা মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচে?

জানো শ্রেয়া তারার ভীড়ে বৃষ্টি কোথাও নেই
মেঘলা হলে আকাশ পাবে হৃদয় সীমাতেই।

এমন কোনো সন্ধে পেলে রাতকে বিদায় দিও
আপন মনে প্রদীপ জ্বেলে প্রেমের আদর নিও।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনীশ

*অনীশ*

আমার বোধহয় ভীষন চেনা তোমার গড়া শহর
ক্লান্ত ঠোঁটে অবুঝ সুখে গোনো তখন প্রহর।

নাইবা তবে নাবিক হলাম তোমার ছাওয়ার দিকে
বিকেল তবে শান্ত বলে ছেটাই জলের ছিটে!

জানো অনিশ রাত্রি এখন সময় গোনা শরীর
পূর্ণিমাতে জ্যোৎস্না এলে মর্যাদা চায় ঘড়ির।

আজ তবে কি সূর্য আসায় লেবুর কথা ফাঁস
মশা এলে গুনগুনিয়ে ইঁদুর খোঁজায় লাশ।

প্রতিবারই চৈত্র এলে অন্নদেবীই আসেন,
এবার এলেন বৈশাখী মেয়ে গণেশ কোলে বসেন।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...