Wednesday, 23 May 2018

জলপরী



*জলপরী*

তোমার শরীর ফুলের সুবাস,
মনের কোথাও হদিশ নেই ৷
কাজল কালো ঝরবে শেষে,
ভোরের আলোর সীমানা-তেই ৷৷

গোলাপ সাজে কাঁটা আছে
ফুলের গায়ে আঘাত করে,
যত্নে যদি রাখতে পারও
সুখ ছড়াবে জীবন ভরে ৷৷

নরম আঙুল,আলতো ছোঁয়া,
তুলির টানে ঘাস-মানি ৷
ভিজলে জলে শিশির ভরে
গন্ধ-রাজই রাস-মনি ৷৷

পুকুর ভরা পদ্ম,শালুক,
পাঁক শুকানো বদনামী ৷
পাড়ের গায়ে সাজিয়ে বসে,
কচুরি-পানার ফুল-দানি ৷৷

মায়ার ফুলে মিশতে পারে
হারাও যদি সাগর তীরে৷
জল পরী আসবে কাছে
স্বপ্ন দেবে বুক চিরে ৷৷

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ছায়া



*ছায়া*

নীল সাগরে ভাসলে তরী,
ঠোঁট মেখেছে পথের দাগ।
জ্যোৎস্না আলোয় ফুটলে শহর,
নগ্ন চাঁদও থমকে থাক ।

কোন ফাগুনের সঙ্গ দিতে
একতারাতেও মিশবে খাদ।
পুকুর ধারের পলাশ বনে
রাত্রি গুলো হারিয়ে যাক ।।

সেই ভোরেতে মাখলো আদর
তীর্থে আসা নতুন কাক।
পায়রা এবার শিখবে তালে
কোকিল সুরে প্রেমের ডাক।।

এভাবে আর কতো দিন
রুষ্ট মনের অগ্নি-পাত,
আমায় তবে খুব প্রয়োজন
চাঁদের ছায়া শূন্যে থাক।।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

তোর চিঠি




-----❤তোর চিঠি ❤----

মোড়া খামটায় স্বপ্ন রঙিল,
চোখের জলে শুষ্ক বিলিন!
অগোছালো লেখাগুলো স্পষ্ট মনের আঁধারে...

"তোর মতো সঙ্গী আমি খুঁজি প্রতি ক্ষণে
থেমেই আছি অপেক্ষাতে ভালোবাসার টানে ৷
তোকে বোঝাতেই পেনের কালি ব্যস্ত লেখনে,
এ জলন্ত বুকে তোকে রাখি সুখের পালকে ৷
তোর অভিমানে একলা আমি,কঠিন আমি,
নেই সে ভালোবাসার চরম পাগলামি ৷
ক্ষনিক সুখে লুকিয়ে ব্যথা,
গোপনে রাখি মনের কথা ৷
তোকেই রাখি আলোক পথে,
আঁধার রাতে, কল্পনার তন্দ্রা পলকে ৷"

                            আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বসন্ত বিলাপ

বসন্ত বিষাদ ফাগুন বাতাস,
শরীরী দ্বন্দ্বে বিকশিত ৷
যন্ত্রণার তীব্র কাঁটা বাঁধে কণ্ঠস্বরে,প্রতি লোম শিহরিত ,
রমণীর ঠোঁট কাঁপে রক্তাক্ত ভালোবাসায়,
শাড়ির আঁচল মিশেছে মাটিতে,শরীর আঘাতে আহত...
মনের দরজায় ভীড় করে বিষাদ বসন্ত প্রলাপ,
তবু মনে বলে এসো হে বসন্ত

দুরে কাকের কর্কশ ডাক,
চারিদিক শুনশান জনমানব শূন্য
আজ নাকি বসন্ত উৎসব,
কিন্তু এ গ্রামে কেমন বসন্ত !!
মৃত কোকিল শুয়ে কাকের তুচ্ছ বাসায়,
যেন বিষাক্ত বিষ ঢেলে প্রকৃতি
শান্তি পায়... ৷৷

                                       আরিয়ান প্রিয়স

ফিরে দেখা(স্কুল জীবন)

ফিরে দেখা(স্কুল জীবন)


স্কুল ধারে বেলুন কাকু,মিস করি খুব !
আচারের সাথে কুলে দানা
চুসে বড় সুখ ৷
বছর কেটে পড়লো সাতে পা,
আজও মনে পরে স্কুলে রাখা শেষ পা !
শেষ বছরটা কাটছিলো বেশ ভাল,
তারি স্মৃতি ভরা জল চোখে ফিরে এলো !
ভাবলেই মনের বয়স অনেক,
পারিনা আজও সামলাতে,
বারে বারে ফিরে দেখি স্কুল বেলাকে !!
এখন 'পড়তাম' বলতে কষ্ট ভীষণ,
'পড়ি' বলতে যতটা পেতাম সুখ !!
আমারই ছেলেবেলা,আমার স্কুল,
আজ পঁচিশে দাড়িয়েও,
তোকে মিস করি খুব ৷৷৷...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বিরহ

*বিরহ*

তোমাতে মিশে বিরহ কাতর
তন্দ্রা শুকছে শরীরী গন্ধ
যত্ন যন্ত্রণা বড়ই কঠিন,
সে সুখ ভাগ্য রেখায় প্রদক্ষিণ ।।
মেতেছি কত যে দোল
তোমারই সাথে,
বসন্তের পিছুটানে ফিরে দেখি
আমরা দুজন পথে হাঁটি একসাথে ৷৷
কতইনা বিকেল কুড়িয়েছি দুজনে,
হারিয়েছি তোমার বুকের অজানা অভ্যন্তরে  ৷৷
ছুয়েছি তোমারই নরম ওষ্ঠ,
রঙ ছোঁয়ার অজুহাতে ৷
টেনেছি হাতের স্পর্শে,
থেমেছি ফাগুন মাখা শেষ রাতে ৷৷
তোমার চোখে খুঁজেছি তৃষ্ণা
তোমারই চিন্তা, আশা মাঝে আমার শূন্যতা ৷৷

                         আরিয়ান প্রিয়স

শ্মশান শেষে চুল্লি ঘর

*শ্মশান শেষে চুল্লি ঘ*

ছন্দ রেখায় দাঁড়িয়ে শুঁকি
সিগারেটের গন্ধ৷
শ্মশান সীমার চুল্লি ঘরে
আজ কেন দার বন্ধ !!

কাঠের সাথে মিশলে ঘি,
জ্বলচ্ছে কেন চিকুর শির !
কঙ্কালটা পুড়ছে তাপে,
গলছে ঢাকা হৃদপ্রাচীর ৷৷

ভাঙছে সবই দম্ভ শিরা,
পূণ্যবানে ভস্মীভূত৷
নতুন ভাবে জন্ম নেবে,
নবীন জগত্ অগ্রদূত ৷৷

      আরিয়ান প্রিয়স

নারীত্ব

নারীত্ব

পুরুষের
পুরুষত্ব বিচারে অনেকটাই
গুরুত্ব পায় নারীর সতীত্ব,
পুরুষের কাছে,
নারীর স্থান শরীর স্বাদের
উপকরন হিসাবে,
যদিও সবাই এ কথা মানতে নারাজ,
তবুও এ কারণ সত্যি চলমান, বিরাজ,
নারীর হাতেই ত্রিশূল,নামে দূর্গা,
সে দূর্গার রক্ত ঝরছে পিষাচের ধর্ষনে,
এ কেমন দূর্গা!
যার শরীর কাপড় শূন্য,
পরে উলঙ্গ অবস্থায়,রক্ত দাগে জরাজীর্ণ ৷৷

                              আরিয়ান প্রিয়স

ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষ

ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষ

হঠাৎ গভীর ঘন জঙ্গল, নিশুতি রাতের অন্ধকার,
অকশ্মাৎ ছুটছি জঙ্গল পথে,চারিদিক ধূসর পাহাড় ৷

চড়াই উতরাই পথ,হাঁটুর কাঁপন, কোমরের প্যান্টটা খানিক নামা,
ছুটছি আরো ছুটছি, হোঁচট, গায়ে পরা ছেঁড়া জামা !

আগোছালো গাছ,চশমার ফ্রেম,ভীড় জমা জঙ্গল,
কারা যেন করেছে আমায় তারা, তাই ছুট যেন সম্বল ৷

ক্লান্তিতে শরীর ধুকছে,হুমড়ি খেয়ে পড়বো বোধায়,
অদ্ভুত ছুটছি,যদি থামলে জীবন শেষ হয় !

হঠাৎ চমকে উঠি বিছানা বসে তাকাই চারিদিক,
কোথায় জঙ্গল,কোথায় দৌড়, স্বপ্ন!এস্বপ্ন কি সাংঘাতিক !!

                       আরিয়ান প্রিয়স

যৌন শহর,দগ্ধ প্রেম

যৌন শহর,দগ্ধ প্রেম


পড়তে পারে কপালের ভাঁজ,অন্ধ সমাজ শোষনে
কন্ঠ রোধে হাতড়ে শিকল,বিঁধবে কামের বাঁধনে

ভিজবে শরীর গন্ধ রসে, থাকবে ক্ষতের কাটা
কাপড় ফেলে লজ্জা কেন দিচ্ছো বুকে ঢাকা ৷৷

ছায়ার সাথে সঙ্গ নেবো ছুঁলে তোমায় ক্ষতি কি!
যৌন কামে গ্রাস করেছে পুরুষ ছাড়া মেটে কি!

লিপস্টিক রক্তে মেশা,কোমর নিচে শাড়ি,
বুকের ভাঁজে জমাট ক্ষত,শহর বেশ্যা নারী

আলতো আবেগ ঢাকবে বলে চোখে কাজল ভরাও !
যাচ্ছো কোথায়!থমকে গেলে! এবার চাদর জড়াও ৷৷

                              আরিয়ান প্রিয়স

বিছিত্র দেশ

*বিছিত্র দেশ*

কাল ভিখারীর কদর হবে,
কমতে পারে দুধের দাম ৷
দেখবো নেতা নর্তকী তাই,
বাইজি বাড়ি স্বর্গধাম ৷
বুজরুকিদের কথার ফাঁদে,
কবির খাতার ছদ্মনাম ৷

পয়সা দিয়ে ভরবে ওরা,
কাঠের ফ্রেমে গয়ার ধাম ৷
দ্রৌপদীরই বস্ত্র টেনে,
দুষবে তাকে বেশ্যা নাম ৷
রাজনীতি তে জুয়ার ঠেক,
বন্দী ঘরে ধুঁকছে রাম ৷৷

ধর্ম ভেদে ঠোঁট নাড়িয়ে
ধর্ষিতা আজ নারীর নাম ৷
খিদের স্বাদে ভিজবে নারী,
মিটবে তোমার শরীর কাম ৷
পৃথিবী আজ রসে মাতন,
হিজরা ঘরে গোলকধাম ৷৷

                            আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

দীর্ঘশ্বাস

দীর্ঘশ্বাস

মন্দি ওই পুরুত দেখো রঙিন ছদ্মবেশী,
নারীর পূজার ভান করে আজ নারীর সর্বগ্রাসী৷

রক্তবীজে ভরছে মা দেখ জগত ভ্রষ্টাচারী
তুই না কি মা জগৎদেবী অসুরহনণকারী!

তোর খাঁড়াতে আছে নাকি হাজার পাপের রক্ত,
বুকের থেকে আঁচল কাড়ে সে নাকি তোর ভক্ত !!

আমার কথার মান দে মা দুচোখ কি তোর অন্ধ,
বুজরুকি তোর ঘরেই বসে,লুকিয়ে দ্বার বন্ধ ৷৷

খড়গ কবে তুলবি মা তুই,পূজো নিলি নিষ্ঠা
মুক্তি পাবে হাজার নারী মরলে এ পাপিষ্ঠা ৷৷

                            আরিয়াস প্রিয়স(পাল)

মনের অসুখ

*মনের অসুখ*

মনে পরে,সেদিনের এলো চুল,
ইচ্ছে করে তোকে জড়িয়ে ধরতে খুব ৷
খুঁজেছি অনেক রাতের ঝলসা তারা,
মন ভালো নেই, জমেছে ছিবড়ে অসুখ৷৷

প্রশ্ন তোর,'সঙ্গী হয়নি কেন',
বুঝেছি,তোর প্রেমে পড়েছি ধরা৷
তাই এলাম সেই নদীর পুরোনো ঘাটে,
পাবো কি তাদের একলা সঙ্গীহারা ৷৷

রোজ দাড়াই জানালার মিষ্টি হাওয়াতে,
সাঝের আকাশে,তোকেই চোখে হারাই ৷
আজ চার বছর কেটে গেছে,
তবু ফেরনি কখনো,বন্ধুত্বে ফেলে যাওয়া হতাশাই ।।

আজ পেনের কালিটা হঠাৎ শুকনো,
মাথার সাথে মনের বড় দ্বন্দ্ব ৷
ঘর ভর্তি ভুল লেখা কাগজ মৃতপ্রায়,
কবিতাগুলো হারিয়ে ফেলেছে ছন্দ ৷৷

                              আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হিসেবের শয্যা

*হিসেবের শয্যা*

একগুচ্ছ গন্ধ ভরা ধুপ,
সাজানো খাটের চারপাশে৷
চোখে তুলসি পাতা দেওয়া,
গলায় রজনী মালা আছে ৷৷

রয়েছি চারজনের কাঁধে,
দুই সন্তানও আছে ৷
প্রথমটি চাকরি করে
দ্বিতীয় কলেজ পেরিয়েছে ৷৷

নিস্তব্ধ রাস্তা যত,
শুনছে শুধু হরিশ্লোক৷
সঙ্গে কটা লোকও আছে,
মৃত্যু তবু মিথ্যে হোক ৷৷

পুড়বো সেই তো চুল্লি ঘরে,
ঘি এর ছোঁয়া পেতেও পারি ।
সংসার তো ছেড়েই এলাম,
দেবো বোধয় স্বর্গ পাড়ি ৷৷

                               আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মূল্যহীন

মূল্যহীন

সময়ের মূলস্রোতে আমার শরীর টুকুই ভাড়া মাত্র,
সঙ্গে কিছু স্মৃতি, অস্বস্তিকর স্বপ্ন, দিশাহীন চরিত্র ৷

শরীর ঢেকেছি রঙিন কাপড়ে, যদিও বা নগ্নতর,
তাকিয়ে আছে রাস্তার লোকগুলো,বাচ্চারাও জড়ো ৷

সভ্যতার অনেক পরেও আমাদের স্বাধীনতা স্বল্প পরিমাণে,
রয়েছি মোবাইলের গোপন ফোল্ডারে, নয়ত গুগুল সেক্স সন্ধানে ৷৷

তোমরাই সভ্যতার ছলে কাপড় ছেড়ো, সর্বস্ব নাও,
তারপর মুখে পয়সা ছুড়ে বেশ্যা বলে থুতু দিয়ে যাও ৷৷

তোমরাই সমাজ গড়ো, বানিয়েছো তেষ্টার মরীচিকা,
বেচেছো আমায় গনতন্ত্রের বাজারে, হয়েছো বিক্রেতা ৷৷

                               আরিয়ান প্রিয়স

সেই তুমি ১ ও ২

*সেই তুমি*

সে যেন রোজ আসে,
আমার মন ব্যাকুল পলকে,
সে আজও রোজ হাসে
ঠোঁট ভিজে যায় চুমুতে....

খোঁপাতে আর্ট করে ক্লিপ আঁটা,
ঘেটেছে লিপস্টিকে চিবুক ৷
এতটা অনন্যা আগে হও নিতো,
হাতের চুড়ি খানা সুবজ ৷৷

বহুদিন পরে ফিরে কেন
এলে বল?
কিছুটা পিছুটান ছিল,
কিছুটা তুমি নিয়ে এলে....

আরো এগিয়ে আসতে চাও
থাকতে চাও আমার এ বুকে
একটু সুদূরে যেতে দাও
বাঁচতে দাও আমার এ অসুখে...

এখানে থামাটা খুব কঠিন,
এ ঘর জমা ছেঁড়া কাগজ
রান্নাতে কেরোসিন,
কথা জমা কাঁটাচামচ...

বহুদিন পরে এত কাছে
এল কেন বলো...
কিছুটা ছোঁয়া তুমি দিলে
কিছুটা ঢেকে আঁচলে...

                                আরিয়ান প্রিয় স (পা ল)

*সেই তুমি*২

যে ঘরে রোদ আসে রোজ,
জড়িয়ে থাকে আমার জানলাতে ৷
সে যেন কাঁদছে বসে ওই,
ঝরে পড়া একলা বৃষ্টিতে ৷৷

খোঁপাতে রংচটা ক্লিপ
ঠোঁট জুড়ে ধূসর লিপস্টিক
এলোমেলো কাজল মাখা চোখ
অবুঝ সন্দেহ জাগে ঠিক৷৷

শুধু একবার কাছে যাব
বহুদিন ধরে একা ভাবি...
কিছুটা ক্ষত জমা ছিলো
বাকিটা প্রেম বেহিসেবী .....।

আরো এগিয়ে আসতে চাই
রেখে দিও তোমার মাঝ বুকে
কিছুটা মানিয়ে নিতে দাও
বদলেছি  বিভৎস অসুখে ৷

বেহায়া ঘড়িতে দম দেওয়া
চিৎকারে ঘুম ভাঙে রোজ
আমারও কোন ঠাসা স্মৃতি
পাথরের খাঁজে হন্যে খোঁজ ।

আমি চলি ভাঙা সাইকেলে,
তুমি যদি নিতে পারো পিছু
একটু সামলে নিলে দেখো
ছেঁড়া সুখ ঠিক পাবে কিছু।

                    আরিয়ান প্রিয়


তোকে ভেবে

*তোকে ভেবে*

একসাথে পথ চলার সময় মুখ ঘুরিয়ে ছিলাম।
তুই জড়িয়ে ধরার সময়ও মুখ ঘুরিয়ে ছিলাম।
ছলনার আশ্রয় নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার সময়ও
আমি মুখ ঘুরিয়েই ছিলাম।

আচ্ছা বেশ। আচ্ছা বেশ।
আচ্ছা মেনে নিলাম দোষ আমারই।

চারপাশে চমক দেওয়া ঘটনা ওয়াকিবহাল নই
নহলে একটা কিছু উত্তর অবশ্যই দিতাম,

তাই জ্বলতে থাকার সময় আমি মুখ ঘুরিয়ে ছিলাম।
বাতাসে ছাই হবার সময় আমি মুখ ঘুরিয়েই ছিলাম।

মুখ ফেরাতেই -
দেখি আমার চারপাশে সব প্রণম্য উজবুক...

মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চেহারাগুলো বিভৎসতা ধারন করেছে ৷

এ কোন চরিত্র ।  এ কোন চরিত্র
নিলামে বিক্রি হচ্ছে যারা তারাই তো নিন্মবৃত্ত।

ওহো দেশ!
এ কেমন দেশ, যাতে আমিও এক নাগরিক,
আমার সামনেই আমার দেহ পড়ে আছে
আমি নিশ্চুপ, নির্বাক,  সাবেকিক. .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নববর্ষ

*নববর্ষ*

সে-বছরকে যেন ফের ফিরিয়ে আনাও যাবে এ দিনে,
এমনই পাখির ঝাঁক ভেবে থাকে। হাওয়া দেয় জোর –ভাবনারা ছটপটে
তখন দুস্থ কাঁঙালেরা মন দেয় পাঠে , শব্দের শিরচ্ছেদ ঘটে,
খিদের তাড়ায় ফুঁপরে ওঠে শিশু,তাকে এক মুঠো চাল হাতে নববর্ষের শুভেচ্ছা, আর সঙ্গে এ মুঠো চোখ ভেজা রোদ্দুর...

কেননা তাদের কাছে এই মুঠো চালই পাঁজরের শক্তি বাড়ায়
স্যাঁতস্যাঁতে মাটিকে বিছানা ভেবে তারা দিন কাটায়,
উড়ে যেতে চায় তবু কেবলই গভীরে নামে, ফের
কঙ্কাল শরীর প্রখর রোদে শেকে হাড়ের রস শুকিয়ে ফেলায়।

তখন তারাও মৃত। তাদের ছায়ারা করে নববর্ষ যাপন।
অবিকল শিশুমুখে পাঠ করা রক্তের বাসনা উদযাপন,
এই সম্ভাবনা দিনটি, তাদের রোজকার মতো স্নেহক্ষত
প্রতি মুহুর্তে তাদের বিষের রস গ্রাস করে অবিরত...

মেঘ ম’রে জল হয়। দিন ম’রে ধোঁয়া । আসে গোধূলি।
অন্ধকারে জেগে থাকে নববর্ষের কঙ্কাল অতীত সম্মিলনী ...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সঙ্গে কিছু বৃষ্টি হোক

*সঙ্গে কিছু বৃষ্টি হো*

আঁধার ভেজা মেঘলা শীত,
মাঝ আকাশে হচ্ছে ক্ষয়৷
তারার চোখে জ্বলছে রাত
স্পর্শ পেতে লাগছে ভয় ৷৷

ধোঁয়ায় ভরা কফিন রাত,
সঙ্গে কিছু বৃষ্টি হোক৷
গিটার তারে সুর ধরেছি
মৃত্যু যেন মিথ্যে শোক ৷৷

ঘুমের মাঝে জাগতে পারি
ধূসর মেঘে ডুবছে রোদ৷
ঘাসের দাঁতে রক্ত জমাট ,
স্বপ্ন পুড়ে জমছে ক্রোধ ৷৷

চর্ম রসে ভিজলে দেহ
সঙ্গ দোষে অত্যাচার।
ঠোঁট কামড়ে ধরেছি যাকে
দুল বাঁধনে কর্ণধার

লালচে মাটি মেঘ ডেকেছে,
ভাসছে চোখে মিষ্টি পাপ ৷
তৃষ্ণা দোষে শির ছিঁড়েছে
থাকলে কিছু শুধরে যাক ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বদ-অভ্যাস

*বদ-অভ্যাস*


কোল বালিশে স্বপ্ন জমাট,
ঘুম কেড়েছে মন৷
রঙ ফানুসে বাঁধলো কাঁটা
বাঁচবো কতক্ষণ ৷৷

কাল সকালে আসবে তুমি
রঙিন শাড়ি গায়ে,
চলব তোমার আঁচল ছুঁতে
হাঁটবো খালি পায়ে ৷৷

ছায়ার পথে হারিয়ে গেছি,
মন খারাপের রেশ৷
চোখ মুছিয়ে ওঠবে তারা,
রাত তখনই শেষ৷৷

চিল,শুকুনে খুবলে খাবে,
ছড়িয়ে পচল লাশ৷
হিংস্র পিশাচ ছিঁড়বে টেনে
কঠিন বদ-অভ্যাস ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

প্রতিবিম্ব পরিচিতি

*প্রতিবিম্ব পরিচিতি*

ভাবনায় সাথে পরিচয় আছে তোমার?
তোমার সম্মুখে সাজানো রয়েছে বেশ কয়েকটা প্রতিবিম্ব
প্রত্যেক প্রতিবিম্বে আলাদা চরিত্র ফুটে উঠছে !
হিংস্র প্রতিবিম্বের সাথে মিষ্টতার পরিচিতি সুদূর প্রসারী...
বাকি গুলোও অন্যরকম...

আয়নার সাথে সন্ধি করতে চেয়েছো কখনো?
ছলনার প্রতিবিম্বে তোমার অভিনয়ের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে,
বেদনার প্রতিবিম্ব ততটাই ঝাঁপসা দেখাচ্ছে ৷
কেননা চোখের জল প্রতিবিম্বের কাঁচকে ঝাঁপসা করে দিয়েছে...

তেমনি খুশির প্রতিবিম্ব অত্যন্ত উজ্জ্বল,
আবার শৈশব প্রতিবিম্ব বড়ই মধুর,
শিশু সুলভ ঘটনা সেখানে প্রতিফলিত হচ্ছে...

সব প্রতিবিম্বের বিরোধিতায় জেতার আশা খুবই কম...
প্রতিবিম্ব অনেকটাই শিল্পের আকার নেয়,
যখন তুমি তার সামনে গিয়ে নিজের পরিচয় খুঁজতে চাও....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দর্পন

*দর্পন*

®আরিয়ান প্রিয়স®

দুটো চরিত্র প্রকট,দুজনের দ্বন্দ্ব বিভেদ
এক অহংকারী মন, বিপরীত উদ্বেগ ৷৷

চরিত্রহীন৷মেকাপ মোছা। বিরক্তের ঠোঁট ভাঁজ -
অভিমানে একলা নিয়ন।আবার নতুন সাজ।

সারাদিন সময় প্রতিবিম্ব টানে, চরিত্র গঠন ৷
ভুল হলে চোখে চোখ, বিদ্রুপ কানন ৷৷

প্রতিবিম্ব চিত্র কঠিন, ক্ষনিক রদ বদল !
একটি খুশি আনতে অন্যটির সক্রিয় ছোবল ৷৷

হিংসে চাবুক প্রতিবিম্ব কাঁচে, সাংঘাতিক আর্তনাদ ...
মুখোশে অভিসন্ধি, চোখের ইশারা তীব্র বিষাদ ৷৷

প্রতি সকালেই বন্ধুত্ব সাধি, রূপকথার ছদ্মবেশ ৷
প্রতিফলিত আলোক গভীরতা, চোখ খুলে সবশেষ ৷৷

অন্ধ রাত

*অন্ধ রাত*


অন্ধ রাতে তারা উজ্জ্বল
পুড়ছে মনের পাখি
এক মহাদেশ মেঘ জমেছে
জ্বলছে সাঁঝের বাতি

রাতটাকে আজ সাঁতরে নেবো,
বৃষ্টি হতো যদি ৷
হাওয়ার সুখে হারিয়ে যাবো,
ছন্দে মেলা নদী ৷৷

দরজা দেওয়ার শব্দ হতে
জীর্ণতা সে পাশে...
বদ্ধ ঘরে ছাঁয়া মতো
গন্ধ কেন আসে ৷৷

ওই নাবিকের শীত ধরেছে,
জ্যোৎস্না মায়ায় বাঁচে ৷
ঈশান কোনে চাঁদ থেমেছে,
গভীর জলের নীচে ৷৷

জল শালুকে পাঁক জমেছে
শান্ত ঝর্না তলায় ৷
ঢেউ উঠেছে আকাশ পটে,
স্রোতে ফাটল ধরায় ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অন্ধকার


*অন্ধকা*

এক জমাট গন্ধ বিছানার গায়ে,
চাদরের সৌন্দর্যতা ফিকে হয়ে উঠেছে অন্ধকার দাপটে।
আঁধার আলো ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে ৷
উত্তাপের তাপমাত্রা নেমেছে অনেকটাই ,
শরীর ভেজানো ঘাম অনবরত নীচের দিকে নেমে চলে।৷

অস্বীকার করতে চাইলেও থমকে যেতে হয় বিদ্রূপ চরিত্র ভেবে।
নিস্তব্ধতায় নানা বিচ্ছিন্ন শব্দ কানে ভাসে, যা স্বাভাবিক সময় ইন্দ্রিয়ে ধরা পড়ে না ৷
অবসর সময়টা অন্ধকারে কাটাতে গিয়ে শরীর ও মনের মানসিক শিরোচ্ছেদ হয়...
সমাপ্তি পেতে শুরু করে-কোনো মাতালি হাওয়া যদি জানলা দিয়ে ঘরে প্রবেশ নেয়...

হ্যারিকেনের আলো আজকাল সায় দেয় না, যেন অন্ধকূপে দৈত্য বাস...
পাখা বলতে হাতপাখা যা নড়াচড়া করিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারি ৷
বাকিটা অন্ধকারে ধস্তাধস্তি ছাড়া আর কিছুই প্রতিফলন ঘটে না ৷

যন্ত্রের মতো প্রতিটা রাত গড়িয়ে চলেছে... কোনো উন্নতি নেই বললেই চলে...
পরিবেশের সাথে পরিচয়েও গাঢ় অন্ধকার দেখা দিচ্ছে...
সঙ্গী বলতে ওই নানা অজানা শব্দগুলো.. যা কানের পাশে ক্রমাগত বাজতে থাকে, আর আমায় অস্থির করে তোলে....




আরিয়া ন প্রিয়স (পাল)

অস্ত্র যাবার পরে

*অস্ত্র যাবার পরে*

সূর্য  যখন বিদায় কালে, গোধূলি নামে চারপাশে ৷
দিনের আলো ব্যাগ গুছোতে,সন্ধ্যা-তারা খুব হাসে ৷৷

নদী ঢেউয়ে পান্না-হীরে, চাঁদের আলো জমবে কি !
ছুলেই যেন মিলিয়ে যায়,চোখে জলে মিশবে কি !!

রাতের আলোয় অস্ত্র গেলে,মেঘ ঝরবে বৃষ্টি কোনে ৷
বাতাস তখন মেলবে ডানা,ভিজবে জলে কোন শ্রাবণে ৷৷

এমন আঁধার পথের বাঁকে, থমকে গেছি বড্ড জেদে
হিংস্র রাতের প্রহরী দল বন্দি যত চক্র ফাঁদে ৷৷

ছুটছি যেন আপন মনে,চল হারাতে নীল সাগরে
একলা কেন থাকবি দুরে, মৃত্যু বোধহয় অচিন পুরে ৷৷

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্বপ্ন তরঙ্গ

*স্বপ্ন তরঙ্গ*


যে কোনও ঘুমের মধ্যেই স্বপ্ন তরঙ্গ জন্মাতে পারে ৷

যেভাবে সুইচ টিপলে বিদ্যুৎ প্রবাহ,
এগিয়ে চলে সীমানার দিকে ৷

ছেলেটা একটি মিনারের মাথায় দাড়িয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলো ৷

তার ঘুড়িটা একটা দেওয়ালে ধাক্কা লাগায় দেওয়াল ভেঙে যায়...

চমকে উঠে চারিদিকে তাকাতে দেখে-
চারপাশে পায়রাগুলো গম খাচ্ছে,
বিকেলের হালকা রোদ ছাদের কোন ঘেসে মুখে এসে পড়েছে ৷

ঘুম এতটাই গাঢ়ো হয়ে উঠেছিলো ৷

তার মধ্যে স্বপ্নটা বড় স্পষ্ট হয়ে দেখাচ্ছিলো,
তার কারণ চমকে ওঠার পড় শরীরে ঘামের কণা গড়িয়ে পড়ছিলো একের পর এক...

অনেক অনেক সময় এমন কিছু অবস্থা আসে যখন স্বপ্নে মনের আন্দোলন সৃষ্টি হয়..
অনেকটা নিজের অজান্তেই....

উদাহরণ তুমি নিজেও হতে পারো.....

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

*আমার আমিকে প্রশ্ন তবে!*

*আমার আমিকে প্রশ্ন তবে!*


এভাবে সস্তা ঘুমে সব ছেড়েছুড়ে
আশকারা খোঁজে শান্তি,নিত্য কোন ভোরে !
কুয়াশা ধোঁয়ায় ঠোঁট ভেজা দেখায়,
আকাশে চলেছি,তারা থেকে গ্রহে৷একলা একায়৷

ভবিতব্য আলাপন,চলেছি অস্পষ্ট গন্তব্যে
গোছাতে শিখেছি অভিনব রূপ ব্যঙ্গ মন্তব্যে

অবিরাম হাটাচলা মোবাইল স্ক্রিনে
মডেল তৃপ্তি শোক, দৃশ্য ম্যাগাজিনে ৷
আমি যদি কোনও সম্মোহন দূত
সাহসিকতা স্তব্ধ, মানবিক অদ্ভুত ৷৷

পাহাড়ে মিশেছে ধুলো কত গ্রীষ্ম-শীতে
শান্ত মেঘে বিশ্রাম নিতে বয়স হচ্ছে ফিকে

খুশি হবো তবে, ভূতের রাজার তিনটি বরে
হবে দুনিয়া আমার,সুখ সব নিজ করে

বাঁচিয়ে রাখতে চাই স্মৃতি গড়া কিশোরীকে
হারাবো অচেনাতেই,থাকতে এ শহরেতে ৷৷

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বালির শহর

*বালির শহর*

সে শহরে রাস্তায় শুয়ে
শত জাতিস্মর৷ঝুপড়ি বস্তিতে ৷

গর্তে পচা শকুনের লাশ

হাজার কাকের শিরচ্ছেদ হয়েছে
রোদে শুয়ে তখনও ৷
টেনে ছিড়ে খাচ্ছে কুকুর বাচ্চাগুলো ৷

কালো চাতকের ক্লান্ত নিশ্বাস

পাক খায় আকাশ থেকে আকাশ!
রোদের তাপমাত্রা বাড়ছে কতো
বালিশে ঘুমিয়ে রাতের তারাদল

শহর ব্যস্ত নিয়মিত সজ্জায়

চেনা গাছ যত বিদ্রোহী আজ
চিৎকার ছড়িয়ে দূষনের বাতাসে ৷
ধুলো ঢাকা শহর লুকাচ্ছে লজ্জায় ৷৷

মৃত শালিকের বাচ্চা ঘুমাচ্ছে
ছাদের চিলেকোঠার নিস্তব্ধতায় ৷

রাস্তা রেলিংগুলো তাপে উত্তপ্ত
সময়ের তফাতে গলে যাওয়া সম্ভব ৷
সে মদের ঠেকে দেবদাস কবি৷পরিস্থিতি নিরুপায় ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বলিরেখা

*বলিরেখা*

অভিমানে চোখের কোনা লাল
হয়ে উঠেছে৷ হয়ত সহানুভূতির
দাগে থেমে গেছে রাগটুকু৷নয়ত
হিংস্র কর্মফলে৷আমার অজানা৷৷

রঙের মরচের কারণে নষ্ট
হয়ে উঠেছে ছবির রসদ৷৷

অস্বাভাবিক আচরণ স্পষ্ট স্বভাবে

আজকাল শ্যাওলা ভেজা পাঁচিলে
শিখে গেছি অবসাদ মেলা৷৷

ছড়িয়ে দিয়েছি খুশির বৈশিষ্ট্যগুলো,
শুধু সংশয় খুঁড়ে খুঁজে আনি খনিজ হৃদয়৷

কিছু পুরাতন৷কিছু নতুন বলিরেখা মাত্র ৷৷

জানিনা স্পষ্ট নাকি আমার ভাব বর্ণনা ৷
চেষ্টা রাখি যতটা সরল প্রকাশ পায়
তাই প্রতিদিন চেনা শব্দ ইচ্ছাকৃত ব্যবহার হয় ৷৷

©অারিয়ান প্রিয়স(পাল)

কন্যা সন্তান

*কন্যা সন্তান*

তোমার নিভৃত সন্তান ।
অবাকের দোসর। সুহৃদ।

মনে করছো আঁধার জমেছে
ঘরের প্রতি কোনায়।এক
কন্যার জন্ম হয়েছে বলে।
ঈশ্বর সর্বে দোষী৷কারাবন্দি হবেন তিনি৷

প্রশ্ন সমাজের,"কেন এক কন্যাকে
ভূমিষ্ঠ করলেন তারা"৷

এই সে সমাজ। অতিকায়
ডানা যার কখনও ছিল না।
বাস্তব ধুঁকছে কামরূপ সাধনায়।
তবু অনিচ্ছাকৃত নারীর জন্ম হয়৷প্রতিদিন৷

সময় পরিহাসে৷সেও হয় মা।
জন্ম দেয় পুত্র সন্তান ৷
কিন্তু কালই তো তাকে
ফেলে দিয়েছো পথের ধুলোয়৷

তাহলে কি নারী মানেই বাচ্চা
জন্মানোর যন্ত্র মাত্র!নাকি
পুরুষের ক্ষুধা মেটানো দ্রব্য ৷৷

তুমি এড়িয়ে যাচ্ছো তবে!
আজ এটুকুই থাক...

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নিজেকে চেনা

*নিজেকে চেনা*

পরিস্থিতির চাপেই বদলাতে
হয়েছে৷অনিচ্ছুক সত্ত্বেও!

সামান্য অভিমানে মানসিক ভারসাম্য
হারিয়ে গেছে অনেকটাই৷

দুচোখের আড়ালে থমকে গেছে
চেনা স্মৃতিগুলো৷নিয়মিত অবহেলায় ৷

প্রলাপ বকে চলেছে জমে থাকা স্বপ্নগুলো
বারবার আঘাত আনে পাঁজরে  পাঁজরে৷

যদিও বিরহ এতটা কঠিন নয়
তবে আশকারা পেতে পেতে
এমন আকার ধারণ করে৷
নিজের অজান্তেই ৷

হৃদয়ে যন্ত্রাংশগুলো অচেনা ছোয়া
পেতে চায় কখনও কখনও
নিজের ভুলে৷প্রেম রোগের মতন৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

টাইটেল চাই**

সময়ে যা হচ্ছে হোক
থমকে যাবে শেষ রাতে৷
মুহূর্তে মোম পেনসিল
বদলে নিয়েছি তুলিতে৷৷

হিসেবের আনলায় গুছিয়ে
রাখা বিষন্নতা৷কিছু বেমালুম
অজুহাত৷নিস্তব্ধতা৷

প্রতি রাতে স্বপ্নে তুমি,তুমি
অনুতাপ৷প্রত্যেক ঘুমে জেগে
আমি৷প্রত্যেক অবসাদ ফেলে
রেখেছি লেপের তলায়৷কোনো
পুরাতন ভোরে৷আলসে শীতঘুমে

প্রাচীন কল্পনা কোন চাদরের
ভাঁজে৷খুঁজতে তাসের দেশ
মিছিলে তোর নামে৷

সে গলিতে আমার জায়গা
নেই বললেই চলে৷শুধু কিছু
চেনা অভিমান নিরব সন্ধ্যায় ৷
বাকিটা তোমার বিবেক৷শুভেচ্ছা৷৷


অনুরাধা

*অনুরাধা*

কোনদিন পুরাতন প্রেম ও সময়
থমকে যাবে না বিষাদে –
এরকমই বলেছিল সে-ও।

জ্বলজ্বলে সিলিং-এর কল্কা যত
জানলার আলোয় রিফ্রেশ মাত্র ..

শিহরণ দেহের গাম্ভীর্যে...

অনুরাধা, 'দেখো তোমার
চুলের গন্ধে ভরেছে ফুলের
বাগিচা ৷নিরব উদ্দীপনায়'৷

আরো এগিয়ে এসেছে আকাশ
ছুঁতে চায় তোমার শরীরের
গন্ধ। স্নিগ্ধ উষ্ণতায়৷৷

তোমারি পায়ের স্পর্শে চঞ্চল
শুয়ে থাকা ঘাসফুল৷সতেজ উড়ান৷

শীতে চাওয়া কোন ঘটনা সাজুক...

অদ্ভুত প্রেম জেগেছে প্রকৃতি
জুড়ে৷দেখেছো অনু৷ শূন্যস্থান
যত তোমারি স্মৃতিতে সাজানো৷
রঙিন বসন্ত সবে৷আমি অসহায় ৷৷

@আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

বিকেল

*বিকেল*

সোনা রোদের হাসি বিদায়ে ব্যস্ত গোধূলি কালে ৷

গঙ্গাতীরে ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে সামান্য বাতাসে ৷

কাকেদের বিস্তর মিটিং বসেছে পাড়ের ধার ঘেঁষে ৷

বেশ কয়েক পানকৌড়ি উঁকি মারছে জলের ভেতর থেকে ৷

কয়েকটি বকাটে ছেলে জল খেলায় মত্ত ৷

কোন প্রেমিক শুয়ে প্রেমিকার কাঁধে অন্তর মিলন অপেক্ষা ৷

আমি বসে ঘাটেরই এক কোনায় ৷

সন্ধ্যা নামলেও ক্যামেরার ভিডিও ক্লিকে বিকেল ছায়াছবি বেশ জ্বলজ্বলে ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

কবি নজরুল জয়ন্তী


*কবি নজরুল জয়ন্তী*

যেমন নিশুতি রাতের চোখে ক্ষত
যেমন ফুলের আড়াল ঘুমিয়ে পাখি
যেমন সুদিন বাঁচে স্বপ্ন মায়ার মতো
তেমন ভাবে নূপুরের তালে পথ চলেছে সখী ৷৷

তুমি ছিলে কোনও বিদ্রোহী অগ্রদূত
অসময়ে শত কন্ঠে বাজে তোমার চেনা সুর...
সাহসের কাছে যেরকম তুমি অচ্ছুত
ভালোবাসার লেখা তোমার দুরত্ব প্রচুর

আমরা জানি না কী আছে রাজনীতি শেষে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার৷চাই  কলমের ধার
আপাতত এই ক্ষুধায় কাঁতর দেশে
মৃত্যু পাক অনাচারীর আঘাত, থামুক হাহাকার ৷

কেউ তো জানে না,ভাঙন নদীর তীরে
কিভাবে মৃত্যু সরিয়ে কবিরা আবার বাঁচে
কেবল ভেবেছি মনখারাপের দারে
হেঁটে চলে যাই তোমার লেখার কাছে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বারুদ

*বারুদ*

এক তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ
বীভৎস করে তুলতে পারে ক্ষণিক-এ৷

শরীর ও অশরীরী বিভেদ গড়ে
তুলতে পারে এক টুকরো বারুদ৷
যার ব্যবহার সন্ত্রাস নামক বিষাক্ত নীতির ফল
স্বরূপ৷তুমি কি জানো!!নিমেষে
বদলাবে রক্তের রঙ৷মুুছে ক্ষণিক অস্তিত্ব ৷৷

আমায় বিশ্বাস না হলে দেখো
পরীক্ষা করে৷কিছু কেরোসিন
আর একটি দেশলাই কাঠি৷
পুড়িয়ে ফেলবে কত কাঙালে
ঘর৷নিশ্চই এ কঠিন ফলাফল
তোমার উপলব্ধি বৃদ্ধির জন্য ৷৷

কত পাহাড় মিশল ধুলোয়
বিষ্ফোরক দ্রব্যের নামে ৷
আজও দেখি ঝগড়া চলছে
নেতা হতে লভ্যসমাজে !

আজও কিন্তু নিজের মতো
সিগারেট জ্বলতে পারো ৷
একটু ভারী মনে হলেও
সে বারুদের অহংকার-ই তো!

মেঘ ম’রে আগুন হবে।দিন ম’রে ধোঁয়া।
আসবে গোধূলি৷
অন্ধকারে জেগে থাকবে বারুদের কঙ্কাল
অতীত সম্মিলনী ...

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

টান



*টান*

সেদিন দু'ঠোঁট কামড়ানো গোধূলি ৷

বাতির আলো বড্ড কৃপন,
সামান্য উজ্জ্বলতা ঘর ভরিয়ে রেখেছে৷

জানলার চাঁদের আলো এসে
পড়েছে তোমার পায়ের নুপুরে৷
জ্যোৎস্না আলোক বর্তমান ৷৷

সে পাড়ার কুকুরের ডাক
আজ
মিষ্টতা মেশানো ৷শুনতে ভালো লাগছে৷

চাঁদ, ফুল,হৃদয় হয়ত সুন্দর
তার চেয়ে বেশি তোমার ঠোঁটের হাসি ৷

সে ঠোঁটে আমার কাজ কই!
সে ঘরে আমার বাস নেই!
সে বাতি জ্বলছে আমার সুতোয়!
সন্ধ্যা রোজ একই ভাবেই আসে৷
তুমি সে তেমনই শুয়ে আছো!

চোখে ভাসে সেদিনের ভয়াবহ বিকেল৷ক্ষনিকেই সব শেষ৷ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাতে জ্বলছে দুটো দেহ৷পোড়া দাগ গুলো আজও স্পষ্ট ঘরের কোনায় কোনায়....
আমি সেই মৃত আর বিছানায় শুয়ে সুরঞ্জনা ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

কাহিনীর রুটি

*কাহিনীর রুটি*

সেদিনের নির্লজ্জতায় ঢেকে
নিয়েছি মুখ৷মুখোস কিনেছি
সামান্য দামে৷প্রয়োজন বশে৷

সে মোরে পা ফেলি না
আর৷বড্ড নোংরা জমা৷
চারিদিকে হাড়গোড়, পচা
চামড়া৷অদৃশ্য আত্মার আনাগোনা
যা আত্মহত্যার সম্মুখীন ৷৷

শুরু হয় শমন৷কঠিন পাহারা৷

জমে থাকা বরফ গলে জল
হতে থাকে৷ভেসে চলে পচন
লাশ গুলো৷নতুন তৃণ আসে
স্তব্ধ হয় আত্মার আহুতি ৷৷

কাহিনীর রুটি, হাতে সেঁকা৷

তাও কিছু দূর হতে দেখি

বেড়ে ওঠে গাছের সারি
পুনরায় ভিজে উঠছে কন্ঠ,
সামান্য জল পানেই৷এখানেই
কাহিনীর শেষ৷তাই সমাপ্তি৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

চাঁদনি

*চাঁদনি*

একদিন ম্লান হাসি টুকু
মিলিয়ে যাবে ঠোঁটের কোনায়৷
চেহারা ফুটবে মনের গভীরতায়
যা দীর্ঘ সময় তোমার অপেক্ষায় এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই আবেগ বসে থমকে দাঁড়ায় !

সে তুলনায় তুমি চাঁদ,
ধ্রুবতারার উজ্জ্বলতাকেও নির্জীব করো ৷
তোমার পায়ের স্পর্শে মুক্ত ঝরে পথের বুকে৷
তোমার আঁচল ছুঁতে বাতাস চলে অজুহাতে

এক গভীর যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় তোমার না
থাকার কারণে
যা অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অাবেগে বিলাপ করে ৷

অনেক জড়ানো স্মৃতি ভিড় করে
চোখের কোনায়৷
স্পষ্ট বোঝায় তোমার উপস্থিতি ৷
তবু দিয়েছো শরীর মুক্তির দাহে দগ্ধ অগ্নিতে ৷
অপরূপ চন্দ্রিমা৷ তুমি যে আজ মৃত !!

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মোমবাতি

*মোমবাতি*

একটাই মোমবাতি, তুমি তাকে কেন দু’দিকে জ্বেলেছ?
খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।
তুমি এত অহঙ্কারী কেন?
চোখে চোখ রাখতে গেলে অন্য দিকে চেয়ে থাকো,
হাতে হাত রাখতে গেলে ঠেলে দাও,
হাতের আমলকী-মালা হঠাৎ টান মেরে তুমি ফেলে দাও,
অথচ তারপরে এত শান্ত স্বরে কথা বলো, যেন
কিছুই হয়নি, যেন
যা কিছু যেমন ছিল, ঠিক তেমনি আছে।
অথচ এমন কাণ্ড করবার এখনই কোনো দরকার ছিল না।
অন্য কিছু না থাক, তোমার
স্মৃতি ছিল; স্মৃতির ভিতরে
ভুবন-ভাসানো একটা নদী ছিল; তুমি
নদীর ভিতরে ফের ডুবে গিয়ে কয়েকটা বছর
অনায়াসে কাটাতে পারতে। কিন্তু কাটালে না;
এখনই দপ করে তুমি জ্বলে উঠলে ব্রাউজের হলুদে।
খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।
তুমি এত অহঙ্কারী কেন?
একটি মোমবাতি, তবু অহঙ্কারে তাকে তুমি দু’দিকে জ্বেলেছ।

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

প্লাটফর্ম



*প্লাটফর্ম*

নোনা গাছে চোরা ক্ষত স্পষ্ট,
বিকেলের মাটিতে বিশ্রী গন্ধ ভরেছে ৷
রেলের সাইরেন শোনা যায় না বহুকাল...
প্লাটফর্ম পড়ে আছে নিজের মতো
বাতাসে তরল হয়ে ভাসে
আবছায়া, অতীতের শোভা।

দু-এক মানুষ আশা যাওয়া আছে৷
কোন পথ ভুলে,
রাতের অন্ধকারে হিংস্র কুকুরের বাস
ব্যস্ততা ক্ষুধার আহারে ৷

যাবতীয় নিস্তব্ধতা ভুলে
ভিড় করে পিশাচের দল
তুমি কি এখানে কোথাও
একবার পথ ভুলে ছিলে?
তখনও ছিলো কি সে আঁশটে গন্ধ
যাকে অশরীরী আত্মা বলে?
এখন দেরি করে জাগে মরচে ঘড়িটা
সময় ভুলে ঘন্টা শুনিয়ে ফেলে৷

কয়েকটা যাত্রী আসে বটে
যাকে স্কন্ধকাটা বলে....
তারপর সব ফাঁকা
সবাই ঘুমায় কাল ঘুমে ৷
একলা জেগে থাকে চেনা প্লাটফর্ম,
ছোট্ট কটা নির্জীব আলো জ্বলে ৷৷

©অারিয়ান প্রিয়স (পাল)

অচল




*অচল*

এখনও জাহাজের শেকল পরার
শব্দ শুনি।বন্দরের রঙে সেরকম
মরচে ধরেনি ৷এক দারোগা আছে
টহলে৷ চোখ সতর্কে তার ৷ ভাঙা
জাহাজের দুধারে৷যেন চুরি না যায় কিছু ৷

নিস্তব্ধ বন্দর যেনো কালের অভিশাপ।

জাহাজের পাটাতন কাক,শালিকের
রোদ পোয়াবার জায়গা৷ কিছু মিষ্টি
হাওয়া নিয়ে আসে বিচ্ছিন্ন খবর,
কোন কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ধুলোয় ওড়ে । প্ল্যাকার্ড নিরুপায়।

জ্বলছে ঘর,চোখ লাল৷ জন্মাচ্ছে পাপ ৷

কাদের যেন জল পান বারন৷
তাদের খোঁজে রাত হিংস্র প্রহরী ৷
কেউ কিচ্ছু বন্ধক রাখে না আর
কারোর ঘরের তৃপ্তি, গন্ধ তরকারি৷

সব বদলালে হয়ত ফিরবে বাস্তুশাপ ৷

সাইরেন ছুটবে বিপদের তাগিদায়৷
জেগে উঠবে সমুদ্রের হিংস্র গর্জন

ডুবিয়ে মারবে ঘামে গড়া অনুতাপ ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নির্জন

*নির্জন*

সমুদ্রের জল যেন মেঘকেই ভালোবাসতে চায়৷
যে-কোনও আমি যে কোনও তুমিকে ইতিহাসে জুড়ি৷
হাওয়ার সাথে উড়ে বেড়ায় একে অপরের চিঠি৷
এমন ভাবনা মাথায় বসে৷ মনে অন্তর দ্বন্দ্ব করি।

জলে নেমে খুঁজছি গভীরতা। ঢেউয়ের শব্দ গুনি।
রুদ্ধশ্বাস প্রতিবাদে সন্দেহ  দৃষ্টি ছড়াই।
পা টিপে টিপে চলছে সব।সাবধানী চতুর্দিক ।
খবর আছে তেমন কোনও? সতর্কতা এড়াই৷

উজ্জল চোখে ছড়াই আলো। সে রাত ছিল হিংস্র !
গ্রাস করা অন্যায়ের নীচে বেড়াল হয়ে বসি।
মেঘের ঠোঁট রক্তলাল,রক্ত মিশছে সমুদ্র জলে।
কেউ ছিল না তার মতো আর, সমুদ্রের অট্টহাসি

বালি ফুঁড়ে বেরোচ্ছে কাঁকড়ার আধ মরা শরীর...
অভিশপ্ত রাত, জ্যোৎস্না আলোয় প্রকৃতি সাজে।
তাই কবর খুঁড়ে রাখছে প্রহরী কুকুর ৷ নির্জন চরে৷
গভীর রাতে চাঁদ আসবে মৃত প্যাঁচার সৎকাজে!!

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মিলিয়ে নাও

তুমি ফিরে এসেছো তবে, শহর পাবে দূষণ থেকে ছুটি
শকুনের মিছিল হাসপাতালে শুয়ে গুনবে মৃত্যু দিন
আয়কর দপ্তর খুঁড়বে মাটি, কাড়বে রোজিরুটি ,
তুমি ফিরে এসেছো তবে!মাঝ রাতের ঘুম ভাঙাবে বিষাদের সাইরেন৷৷

তুমি ফিরে এসেছো তবে! বিরোধীদল ক্লান্ত ফুটপাথে৷
ঘটনাস্থল ঘেরাও হবে,গোয়েন্দারা খুলবে রহস্য জট৷
হাত পা মাথা ছড়িয়ে থাকা লাল সতর্কতা জারি!
তুমি ফিরে এসেছো বলে, খুব একটা কেউ বদলাবে না মত।

©আরিয়ান প্রিয়

হিসেবের শয্যা ১৬

*হিসেবের শয্যা*

একগুচ্ছ গন্ধ ভরা ধুপ,
সাজানো খাটের চারপাশে৷
চোখে তুলসি পাতা দেওয়া,
গলায় রজনী মালা আছে ৷৷

রয়েছি চারজনের কাঁধে,
দুই সন্তানও আছে ৷
প্রথমটি চাকরি করে
দ্বিতীয় কলেজ পেরিয়েছে ৷৷

নিস্তব্ধ রাস্তা যত,
শুনছে শুধু হরিশ্লোক৷
সঙ্গে কটা লোকও আছে,
মৃত্যু তবু মিথ্যে হোক ৷৷

পুড়বো সেই তো চুল্লি ঘরে,
ঘি এর ছোঁয়া পেতেও পারি ।
সংসার তো ছেড়েই এলাম,
দেবো বোধয় স্বর্গ পাড়ি ৷৷

                               আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

এক সকাল

*এক সকাল*

ঘুমটা তখনো ছাড়বো ছাড়বো করছে
অ্যালার্ম ক্লক তখনও মন্ত্র উচ্চারণে নিয়ম বন্দি ৷
কোন বাড়ির রেডিওয় সকালের সঙ্গীতে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় ৷
চ্যানেলটা মনে হয় ৯২.৭ বিগএফ এম ৷
কাগজের ছেলে ধমনী কাগজ মুঠো করে ছুড়ছে
ও বাড়ির ছাদে৷
'একটু কাগজটা তুলে নেবেন'।
ফ্ল্যাটের সুন্দরী বৌদি আজ
উঠেছে সকাল সকাল
কি যেন ভাবছে দালানে একলা একমনে৷

কুকুরগুলো রাতের পাহারা দিয়ে
দম ভরে ঘুমোচ্ছে এখন ৷
মাধবী পড়াতে যাচ্ছে রোজের মতো
ওপাড়ার বিমল বাজার নিয়ে এসেছে চড়া দামের ৷
'বাজার নেবেন বাজার'
এ ভোরে ক্রেতার অভাব নেই, দামে পুষিয়ে নেবে ঠিক
সবারই তো এখন দিনে দুপুরে ব্যস্ততা ৷
দাম যতই হোক পেটা ফোলাতে সবেতেই অভ্যস্ত ৷

আমি বিছাটা গুছিয়ে জমিয়ে
শরীর টান টান করে নিলাম৷
দাঁত মেজেই যাবো কামিনীর চায়ের দোকান ৷
চায়ের স্বাদে ভিজিয়ে নেবো লেড়ো বিস্কুট
হালকা আড্ডা হবে, পরচর্চা পরনিন্দা শেষ করে বাড়ি আসবো আটটায়৷
তারপর ওই রোজকার জীবন, অফিসের ব্যস্ততা আর পায়ে হাঁটা সারাক্ষণ।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্বাধীনতা

*স্বাধীনতা*

পেটের খিদে পেটেই মরে গামছা বেঁধে কাটে,
রুগ্ন পাঁজর ফুঁপরে ওঠে টিকটিকি হাত চাটে ।
এসব দিকে তোমার খেয়াল কেনো নেই –
শুধু বৃষ্টি খোঁজো নিজের অধিকারেই।

নদীর তীর৷নাম ছিল তার সোনার তরীর দেশ,
জল শুষে নিয়ে ফসল কাটে সরীসৃপের বেস।

নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে স্বীকার করো ত্রুটি।
চাল নড়ছে বাঁশটা ধরো শক্ত করো খুঁটি ।

যুদ্ধশিবির এদিক ওদিক রক্ত লাগে জামায়,
ঘোড়ার ক্ষুরে বড্ড আওয়াজ, স্বাধীন বাংলায়।
আড়াই চালেই বর্ষা নামে শ্রাবন মেঘের ক্ষেতে,
পাঁক জমেছে জলের ঘটে, ভাত কই তার পাতে!
দূরে যে দাঁড়িয়ে, কিছু প্রেম সেও জানে।
একদিন স্বাধীন হবো,সমর্পণ স্বাধীন ভারত নামে।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...