Monday, 21 May 2018

খামখেয়ালী

খামখেয়ালী

বিষাদ যেমন থমকে গেছে,
কান্না এবার চুলোয় যাক ৷
মনের আশায় ক্ষতের প্রলেপ ,
মুছিয়ে দেবো চোখের দাগ ৷

শেখড় যখন আত্মা পাবে
গাছ ভরাবে কান্ডে ঝুরি,
একলা শীতও রং এনেছে
হারিয়ে গেছে রাত প্রহরী ৷

প্রশ্ন যখন ফুরিয়ে আসে
উত্তর বলে দিনের শেষ।
বিকেল ঘুুমোয় পাখির বাসায়
আবছা গাছে আলোর রেশ ।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মরচে পড়া আমার শহর

মরচে পড়া আমার শহ

মসজিদে ওই আজান ধ্বনি,
ভীড় করে দেখ কাকের দল ৷
বেনীর চুলে পাক ধরেছে,
শরীর ভেজায় কাদার জল ৷

নোট বদলে কাঁপছে শহর,
ধুঁকছে তবু দোকান ঘর ৷
ভোটে নাকি বাহার অনেক,
রঙ বদলের সয়ংম্বর ।।

ছন্নছাড়া শহরতলি,
বুজরুকিদের চারণদেশ ৷
মৃত মানুষ বেঁচে থাকে,
জীবিতরা নিরুদ্দেশ ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মরীচিকা

মরীচিকা

স্তব্ধতা ভিড় করে,কণ্ঠরোধের উপায়,
তোর ঘাটে নৌকা আমার দুচোখ ভরা কথায়,
একলা বসে ভাবছি তোকে,
মরছি তোরই মিথ্যে শোকে,
আঁধার মনে দাঁড়িয়ে রাতে,
একলা কোন ফাঁকে ৷

নৌকা ফাটল ধরে, সুখে আগুন জ্বালায়
শরীর ভেজে ভীষন সুখে,রক্ত শুন্য শিরায় ৷
ফাগুন আলোয় জ্বলছে আকাশ,
নীলচে মেঘের বদ্ধ বাতাস৷
হয়ত কোন ক্ষতির আভাস
আমায় পিছু ডাকে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

খিদে


খিদে

ম্যাগনেটের চুড়ে
বন্দি থাকা বসন্তের ঘুম
একটু একটু করে শরীরে মেখে
নিচ্ছি ৷তোমার অজান্তেই ৷
কপালে তিলকের নকশা
এঁকেছি তোমার অলক্ষেই!
তবুও অপেক্ষা করছে মুখচোরা ছাদের
বুক, যদি ফিরে আসো মাঝরাতে৷
দেখবে নির্জীব দেহটা হিসেবি বাতাসে
মেশে, আছড়ে পড়া জ্যোৎস্নাতে৷

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

শেষ বেলা




শেষ বেলা*


দিগন্তের লাল চাদর উড়েছে বাতাসে৷
নতুন বন্ধুরা ভীড় করেছে নদীর পাড়ে ৷
আমি তুমি বেশ আনমনা ৷কিছু ভাবছি আনমনে৷
হয়ত দুজনেই হেঁটে চলেছি দিগন্তের পথ ধরে৷
সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক মুখে৷

পাখিরা ছুটেছে আপন নীড়ে।
কিছু পানকৌড়ি তখনও ডুবছে জলে।
আশপাশে ফিল্টারের ধোঁয়া ভরে চলেছে।

আমি তখন সূর্যের গভীরতা খুঁজে চলেছি লাল বলয়ের মধ্যে৷
খানিক বাদে অসস্ত্বি কনুই ঠেলা দিলে-
আমি বাস্তব ফিরতি পথে ঢুকি।
সামান্য সময়ে অন্ধকার নামে নদীর পাড়ে।
আজকের মত ইতি.. রইলাম নতুন বিকেলের আশায়
তাই আসব আবার কাল...

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

গ্রীষ্ম

গ্রীষ্ম


সোনা রোদ্দুর এসে পড়েছে যে-বিছানার গায়ে,
তার সোনালি চাদরের সৌন্দর্যতা নিয়ে গেছে সাঁঝের আকাশ।
এখন, দিনের আলো পুরানো উত্তাপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে,
শরীর ভেজালো একরাশ অভিমানী ঘাম।৷

অস্বীকার করে তারা,যারা বাথরুমে শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির দিন গোনে।
পড়ন্ত সূর্যের আলোকে নিংড়ে তার তাপ গ্রাস করতে চায়,
মধ্যাহ্ন কাল পর্যন্ত এ ভাবনা ক্রমাগত অগ্রসর...
সমাপ্তি পেতে শুরু করে বিকেলে তিরপল ছায়া মেঘ ঢাকায়...

অাবহাওয়া খবরগুলোতে ৩৪-৩৮ডিগ্রি নিচে নামতেই চায় না,
ধুলো, তাপে রাস্তা চলা দায় হয় সৌর্য দম্ভ প্রখর চলমান।
বৃষ্টির দেখা মিললে ভালোই হতো । শরীরে চলার ক্ষমতা যেন টানটান ৷৷

কুকুরগুলো পাঁকে গলা ডুবিয়ে মরে জলজ্যান্ত ৷
বয়স্ক পাখির ক্লান্তি গাছের ডালে
চিত্রে সময় স্থির। সন্ধ্যে নামার আগে পর্যন্ত...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

থাকলো চৈত্র নাম



*থাকলো চৈত্র নাম*

থাকলে কি হতো সেটা বড় কথা নয়
অভিমান সেলাইএ সময় সুতো হয়।
চলে যাওয়া দিনের সন্ধ্যা অস্ত নেয়,
পাখির দল বাসায় ফেরে ক্লান্তির বিছানায়।।

অথচ দেখ চৈত্র চাঁদের নিশ্চুপতা
ঘনঘন গুমোট ভাব।ভেপসে গেছে হাওয়া,
থাক তারা আজ।তোমার শাড়ির আঁচলে,
মাঝে মাঝে ছুঁয়ে দিয়ে হারিয়ে যাওয়া।।


ম্লান জ্যোৎস্না আলো যেতে যেতে ঠিক,
জিরিয়ে নেয় বসন্ত স্যাঁতসেতে বারান্দায়
কেউ ফিরে যায় ঘাসেদের বুক চিরে,
আনতে আগামী দিন বৈশাখী চিলেকোঠায় ।।

কোন দিন দুঃখ থাকবে না তাদের?
হারাবে না পরিবার, স্মৃতি মাখা ভিটে।
দূর থেকে পথকেও হারিয়ে যেতে দেখি।
বাতাস ফিরে চলে শুনশান নগরীতে।।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

জিয়ন কাঠি

*জিয়ন কাঠি*

চলো নষ্ট হই নতুন ভোরে,
একবার ভুল না হয় জেনেই করি
তোমার রাগে অনুরাগে,
শিশিরে ভিজি অন্ধ চিলেকোঠায়,
আবেগের ভালোবাসা গায়ে মেখে

একটা শঙ্খচিল উড়ান ছুঁয়ে দেবো তোমার চোখে!
প্রেমজিহ্বা ঠোঁটে ঘসে স্বপ্ন রস নিংড়ে নেবো মাঝরাতে
বুকচিরে যন্ত্রণায় ভাসবো
স্পর্শগুলো অভিমানী হয়ে উঠবে তোমার লাজুক মুখে. .  . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...