মধুরিমার একদিন

 *মধুরিমার একদিন*

সে ঠোঁট। কতো মেঘ আসে যায়

জল ভরে গোটা ঘর বিছানায়।

কালসিটে আলো ভরা রোদ্দুর,

কত ভাবি যাবো একা কতদূর!

ধুলো কিছু আছে বটে সংকেত,

গোটা মন জুড়ে গেছে নেমপ্লেট।

সেই ভাগ যদি বলি কেউ চাই,

আজ থাক এভাবেই থেমে যাই।

রাত থেকে ঘুম মেখে বিদ্রুপ

হাসিগুলো মন ভেঙে নিশ্চুপ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা 2023

 *শ্বেতা*

যদি তোমায় তাকিয়ে বসি ভেবো না যে অন্য,

কারো তরে দেখলে বোধহয় নিজেই লাগে বন্য।

সেদিন যখন ছুটেই এলাম দেখি কোথাও নেই

চেয়ারটা যে ফাঁকাই আছে ওড়না মেঝেতেই।

দালান ঘেসে সিঁড়ির ঘরে করছো যেন কিছু

হাতেই ছিলো গোলাপদানি নিলাম তোমার পিছু।

শব্দগুলো চেনা বলেই হেসেই দিলে তুমি 

বললে বটে বাথরুমে যাই নয়তো হবে বমি

কি না কি ভেবে বসে উল্টে শুয়ে পড়ি

হাতে এলো বালিশ এলাম দেওয়াল ঘড়ির।

ঘরে ঢুকেই ভীষণ মার এমন কি হলো,

জন্মদিন আগেই গেছে এবার তুমি বলো।

ভুলেই আমি পি এইচ ডি পাশ মনে তৃণভূমি,

অনেক বেশি ভুলি আমি এটা তো আজ কমই...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দিশা হারায় যখন

 *দিশা হারায় যখন*

সময় যদি গোপন রাখি তফাৎ দেখে নিও-

সন্ধে যখন রাত্রি হলো হঠাৎ থেমে যেও।

আসতে যখন বাগান পথে হতই  কোনো ভোর,

ঘুমের আভাস থাকতো মনে কেটেই যেত ঘোর।

থাকবো ভেবেই আশকারা নিই বাকি বা কি রাখি-

তোমার হয়ে থেমে গিয়েই ফিরে যেতেই থাকি।

সঙ্গে থাকা বিশেষ কিছু আত্ম প্রয়োজন,

তুমি আমার বন্ধু আগের আপন প্রিয়জন।

হয়তো কোথাও যাবার কথায় একাই ফিরে যাও,

জীবন বোধহয় নরম ভীষণ আগেই বুঝে নাও।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্বপ্নের দোষ

 *স্বপ্নের দোষ*

রাত বিরেতে হাঁটছি ভেবে

ওরা কেমন হাসছে দেখ,

বন্দি ঘরে জলের ওপর,

শূন্যে দেখি মেঝেও এক।

আশকারা দেয় হাওয়ার রেশ 

ভেসে কোথাও যাওয়াই যায়,

পেতে হবেই নতুন দেশ

চিনে বাদাম খাওয়াই খায়।

পাল তুলে দেখ নৌকা আসে 

তাকিয়ে দেখি অবাক হয়ে,

তারাগুলো মেঘের মতোই যাচ্ছে 

নিজে নিজেই ক্ষয়ে।

সম্ভবত একটা কথায় জানতে

বসেই বিবাদ হয়,

তর্কে এসে থমকে দেখি 

একে পাঁচে হচ্ছে নয়।

উঁচু গলায় পড়ছে বকাই

চুলের বোধহয় বিরাম নেই

মাষ্টারও যে পেটায় ভীষণ 

লক্ষ্য ভেদের সন্ধানেই।

গল্পে তবে আকাশ ভাসে

সাগর দেখার নীলচে মুখ,

তারার ওপর পাতলে থালা

মাছের ঝাঁকে সবাই চুপ।

চাঁদের নাকি বয়স বেশ

কথায় কথায় ঢোক গেলে

মাটির ওপর গুম মেরে

ফ্যালফ্যলিয়ে চোখ মেলে।

দেখতে যেন ভালোই লাগে

স্বপ্নে কেন এমন হয়

রাত যদিও নরম জানি

জেগে থেকেও বিবাদ নয়।

চন্ডী বাড়ির কুকুর সেনা

চিল্লে বলে এগিয়ে যান,

বিড়াল মশাই জানলা থেকে

শির ভাঙিয়ে দিচ্ছে টান।

এমন সময় পড়ছে মনে

তুমিও আমার ভুগছো জ্বরে

মেঘের থেকে ঠিকরে আলো

পড়ছে যেন গুম ঘরে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার অন্তর্ধান

 *ইন্দুবালার অন্তর্ধান*

দেহের ভিতর অনেক বিচার, যাচ্ছি না যে আর,

মন ভরা বেশ কাঠের স্তুপেই, বিশাল পারাপার।

কৃষ্ণচূড়ায় রঙ লেগেছে ঝরছে আগাগোড়াই,

ঠোঁটের ওপর রং ধরেছে ভেজা  সীমা ছাড়াই।

সঙ্গে কিছু শালিক আছে কেন্ন ধরে ওরা,

সবাই যেন ছুটছে পাতায় বলছে বিশেষ তাড়া।

আছে মেঘও পুব আকাশে হাওয়ার পরখ ছাড়াই,

আমি তখন স্বপ্নে ভেসে কক্ষসীমা  হারাই-

জানি তখন বলবে আমায় এসব কেন ভাবো,

বলো তবে কেমন করে তোমায় কাছে পাবো!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার অপেক্ষা

 *ইন্দুবালার অপেক্ষা*

চায়ের কাপে চুমুক দিতেই চোখ পড়ে যায় ঠোঁটে,

এমন করে খায় বলো কেউ বিস্কুটও তো জোটে।

সেকেন্ড যেতেই চা হলো শেষ, কিসের এতো তাড়া

অবাক ভাবে দেখছো আমায় দিচ্ছ না যে সাড়া।

সেদিনও তো এমন ছিলে কই কি ফিরে এলে-

আসবো বলে অপেক্ষাতেই মুখ সরিয়ে নিলে।

পরিচিতির নাম তো জানো রয়েছি সেই ঘরে

পাঁচিলগুলো ঢাকলে আমায় পাবে নোনা স্তরে।

শরীর ভরা তোমার ছোঁয়া ভাবলে ছোটে রন্ধ্র,

বসেছো যে আমার পাশেই আঁশটে কেন গন্ধ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার ভাই

 *ইন্দুবালার ভাই*

যাওয়ার এতো তাড়া যেন কথা দিয়ে আসে সবাই-

ভীষণ কঠিন শব্দ চয়ন বুকে ওপর পাথর পেটাই।

সন্ধিগুলো বড্ড দামি মনের খেলাপ আরোই বেশ

যারা ফেরে তারাই জানে কাটিয়ে যাবে অনেক রেশ।

ভাগ্য ভালো দিব্বি আছি, না জানি কোন সুখের ফল-

দেহের ভেতর হাড়ের কুটি বাকি শুধুই অবাক জল।

বেশতো সেদিন বলে গেছি আসবো আবার সবুর কর

বাড়ছে কেবল বয়স আমার কান্ডখানা দেখার পর

ফুলদানিতে গোপন রাখি আছে ওতে জলের ভেদ,

ভেতর থেকে আসে সারা কই গেলি তুই এতোই জেদ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার প্রিয় সঞ্চারী

 *ইন্দুবালার প্রিয় সঞ্চারী*

সময় যেন বড্ড অবুঝ শরীর ফুড়ে খায়,

হাজার মানুষ ঘুমের ভেতর কোথাও হেঁটে যায়।

আমি হাসি গভীর থেকে বদ্ধ রেখে শ্বাস-

হাতে জমা মরণ ফাঁদে, কাগজ জ্বালা লাশ।

ফুলদানিতে সাজাই যখন আমার হৃদয় ভূমি,

মনে তো হয় জলের ওপর ভাসাই মরুভূমি।

এমন থাকি স্বজনে বেশে চিবুক পাতি ঠোঁটে,

কোথায় যেন স্মৃতির জবাব রক্ত খেলো চেটে।

এবার তবে হেঁটেই আসি দিঘির সীমা থেকে,

এমন কিছু আদিক্ষেতার পেটেই জমা থাকে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার লোছমি

*ইন্দুবালার লোছমি*

রাত যদিও কাটে না আর শিয়াল কোথাও ডাকে

বুনো ঝোপে পিয়ার তরী আটকালো কোন ফাঁকে!

বড়ো অবুঝ শরীর ভাগে, ঠাওর করাই ধন্যের

বিচারগুলো ঠোঁটেই থাকে, দোষ ধরে যাই অন্যের।

নানা ফুলের গন্ধ যেন শরীর ঢেকে থাকে

দেহের ভেতর অনেক দেহ জমাট করে রাখে।

আজ যদিও আলাপ বুঝে আপন হলো কেউ,

মাথার ওপর মস্ত আকাশ আনছে মেঘের ঢেউ।

যখন বলো কাছেই আছি বদ্ধ শুধু দুই চোখ,

স্মৃতিগুলোর বদল হলে দাঁড়াবো না আর সম্মুখ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রাতের ভ্রমর

 

*রাতের ভ্রমর*

মাটির ওপর মানুষ শুয়ে, স্বভাব তবু বন্য,

কঠিন দেখি জলের হাসি খেতাব যেন অন্য।

রাত তোমাদের বলে বসেই করেছি এক ভুল

নরম ঠোঁটে মাখলে আদর দুলবে কানের দুল।

জীবনটাকে একলা করেই পেরিয়ে এলাম দেশ

জানি না তো হতেও পারে এই লেখা যে শেষ।

নাম না জানা দোয়েলগুলো ভিজতো একা বসে,

কতো ঘরই ভাঙতো সোহাগ শুধুই নিজের দোষে।

সেই পুরুষও কালের দোষী দেখতো না সে আকাশ,

ফিরতো! থেমে যেতো আগামী আলোর পূর্বাভাস।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার প্রেমিক

 

*ইন্দুবালার প্রেমিক*

হলুদ ফুলের বিরাট নগর আকাশ পরিপাটি,

দেহগুলো আদ্যিকালের যত্নে কাঁসার ঘটি।

বিদ্রোহ যে বাতাস জুড়েই দম্ভে আলোচনা

এমন কেউ আছে যাদের মৃত্যুগুলোও কেনা।

মাটির ওপর জমি বটে, মালি হাজার অনেক-

আদর থামে মাথার ওপর উপস্থিতি ক্ষণেক।

জায়গাগুলো আমার চেনা এমন সবাই বলে 

সামনে গেলে তফাৎ খুঁজে ভেসে ওঠে জলে

এমন কোনো গ্রাম ছিলো-যে এখন ভাগের বসে,

ইন্দুবালার প্রেমিকও তো এই গঞ্জে আসে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার পথসীমা

 *ইন্দুবালার পথসীমা*

একপাখি সে বড্ড একা হয়ত কোনো সন্ধ্যায়,

সবাই যখন বাসায় ফেরে সময় তাদের আটকায়-

যত্নে রাখা বছরগুলো জানি না কোন পন্থায়,

আমার শরীর আমায় দেবে এমন কেউ জন্মায়।

মৃত্যুগুলো লুকিয়ে যেতেই, মরণ শুয়ে কাছে-

চিল শকুনে লুপ্ত হলেও আত্মা জেগে আছে।

আকাশ জুড়ে মেঘ জোড়া এক আভাস রয়ে গেছে,

ঢেউ ভরা ওই জল সীমানায় নিশি জমে আছে।

গঞ্জে থাকা মানুষগুলো এতোই ভাঙে কান্নায়

টালির চালে বৃষ্টি এলে শালিকগুলো চিল্লায়,

তোমার আমার দেখা হতো রাতের জলা বন্যায়-

মালতী লতা জড়িয়ে ধরে ফাঁসির দড়ি ধান্দায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্নেহা দাস

 *স্নেহা দাস*

তবে যখন দোয়াত সাজাই মেঘ ভরে যায় ঘরে

মেঘের ওপর মস্ত ভুবন ভাগ যে স্তরে স্তরে।

মধ্য রাতে যখন দেখি ফোটে নতুন ফুল

এই সরলা একলা বসে শুকোয় ঘন চুল।

এমন তো নয় আগে থেকেই বদলে নেবে সব,

শক্ত করে ধরলে মুঠোয় মুছবে দ্বিধার স্তোপ।

ভাগ্য ভালো সেদিন থেকেই বৃষ্টি হলো খুব,

স্তব্ধ ঠোঁটে জব্দ হাসি মানিয়েছে যে খুব।

জন্মদিনে কি আর দেব সাজানো তো শব্দ।

চাঁদ ওপর পড়লে কিরণ পৃথিবীও জব্দ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দোলন

 

*দোলন*

আঘাতগুলো আমার থাকুক সঙ্গে থাকুক স্মৃতি

গোমরা মুখে প্রকাশ বোঝাও এটা কেমন নীতি!

কঠিন হাতে ধরবে যেদিন বলবো না আর ছাড়ো-

বলতে পারি এতো কাছে, তবু এমন কেন করো।

সন্ধানে থাক জোনাকিরাও কৃষ্ণচূড়াও থাকুক-

সবাই শুনুক এমন কথা একটু তো আজ পাকুক।

সময় যেন দিচ্ছে কষে বিবেক বিচার অন্য-

অন্ধকারে হারিয়ে গেলেও স্বভাব যেন বন্য।

রাত-দুপুরে এমন করো যেন ভালোবাসো আমায়,

হাসিগুলো শুনলে যেন মনে পাহাড় ভেঙে নামায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা

 

*শ্বেতা*

গোপন ভীষণ কঠিন জেনেই জবাব দিতে শিখি

পলক পরা চোখের ওপর তাকিয়ে তোমায় দেখি।

মা বাবাকে রাখছি তাতে আবার আসো তুমি,

একটা মানুষ একটা মনের কতোজনের জমি।

স্বপ্ন দেখি হাঁটছি একাই দেখছি তবে দুজন

এমন চোখে বদল দেখে বুঝবে কি আর ক'জন!

যা হবার তা হয়েই আছে বিধাতা তো তাই বলে

ঢেউ যদিও ভাঙে শরীর প্রতিচ্ছবির জলে।

জন্ম হলেই বছর বাড়ে বয়স কমে জামায়,

এসব কথা পাগল বলে শ্রোতা ছাড়াই শোনায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অরিত্রা

 

*অরিত্রা*

সদ্য হেসে প্রকাশ বোঝাও মনে শীতলপাটি

তাকিয়ে চোখে আমার দিকে কোমল করো দুটি।

লজ্জা থেকে সাহস বেশি এমন কি আর হয়!

ভালো কিছু বললে বলো তেমন কিছু নয়-

সাজবো তো আজ বলেই ছিলাম যেমন হঠাৎ সাজে,

পরের বারও এমন হবে ভুল হবে না কাজে।

তৈরি থেকো এবার থেকে নিয়ে যাবো তোমায়-

নানা ঢঙে তুলবো ছবি বসবে তুমি কোনায়।

এবার বলো লাগছি কেমন, অন্য সবাই যেমন-

নাকি রোজ ভোরে যে নতুন করে তাকিয়ে থাকো যেমন?...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঝিলম

 

*ঝিলম*

স্নান বাধানো ঘাটের ওপর জল জমেছে যেই

প্রতিচ্ছবি তোমার একার আমার কেনো নেই!

তুমি তখন বললে হেসে এভাবে কেউ ভাবে

জলের আদল ছোটো বলে একাই দেখা যাবে

 

সরে এলেই দেখবে তোমায় তখন নেই আমি,

জলের ভেতর এক থাকাটাও বুঝছো কতো দামি!

মাটিও ওপর সুদূর আকাশ জায়গা কতো বড়ো,

কোথায় আমার প্রতিচ্ছবি এবার রাগ করো!

এমন কথা ভেবো না আর মনই তোমার জমি,

ভালো করে সাজাই তোমায় বসবো পাশে আমি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ভাস্বতী

 

*ভাস্বতী*

যত্ন করে রাখবো ভেবেই সেদিন এসে দেখি

শরীর পরে মাটির ওপর ভস্ম ওড়ায় পাখি।

রাত যতোটা গভীর হতো, তারা দলের দেশে,

কোথাও গিয়ে থামতো আকাশ নতুন ভোরের বেশে

চিবুক খালি তুলে দেখি প্রকাশ কোথায় তোমার 

বোতাম তবে আছে বটে ক্ষত ভাগের জামার।

তবে জানো এমন বোধহয় গ্রহ তারাই পারে

তোমার আলোয় আমায় ভেবে বৃষ্টি সেজে ঝরে।

এই তো আমি এমন কেন মনের ভেতর হয়?

বেঁচে আছি এটা ঠিকই তফাৎ কিছু নয়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সায়নি

 

*সায়নি*

তবে ভাবি আমিও যাবো মিশবো মনের ধুলোয়

মুছবো তোমার ক্ষতের দাগও ঢাকবো তাকে তুলোয়।

চেহারা খানা কি করেছো, বদলে গেছো পুরো

রুমাল তবে নাও না এখন, একই ছিলে ছাড়ো।

বলবো ভেবেই সেদিন তোমার এসেছিলাম কাছে

একলা থাকা হয় কি বলো এভাবে কেউ বাঁচে!

তা আর বলা হলোটা কই ছেড়ে দিলাম তোমায়,

ভালোবাসি বললে মনে কেমন যেন শোনায়।

তফাৎ বুঝে পেরিয়ে সাগর স্রোতের মুখে আছি

ফিরে চলো বলছে আকাশ ভেসে ভেসেই বাঁচি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তিয়াস

 

*তিয়াসা*

তোমার ভেতর দেখবো আমায়, থাকবে ঠোঁটে তুমি,

রেখো আমায় মনের ভেতর, দিও দেহের জমি।

বাঁধন যদি আলগা দেখো জাপটে ধরে বলো,

প্রতি রাতে স্বপ্নে এসে বলছো কেনো চলো!

কান্না যদি শরীর পেতো, থাকতো চোখের মণি,

দেখতে তাতে এমন হতো বলতে আমি চিনি।

পলাশ রোদে থমকে মেঘে আসবো তোমার দোরে,

রেখো আমায় নিজের করে মনের চোরা ঘরে।

এভাবে তো হাসবে সবাই  ভাববে দেখে তুমি 

মনের ভেতর থাকবো কোথায়, কোথায় শীতল জমি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অন্বেষা

 

#অন্বেষা

রাত যেন ওই বন্দি তবে বন্দনা গায় মন,

যত্ন বুঝে সাজিয়ে রাখি তোমার সেল ফোন।

তবে জানো এমন কিছু বিশেষ দিনেই হয়,

স্বপ্ন থাকা সোনার বাড়ি আবছা হয়ে যায়।

তৈরি থাকি নিজের মতো মাখছি নিজের গায়ে,

রোদের ভেতর জন্ম নেবো রঙিন জোছনায়।

সময় যখন ভিড়বে ধুলোয় বুঝবে হাওয়ার খেদ

একলা থেকে একলা বলা এটাও ভীষণ জেদ

যতই বলি এবার হবে করবো স্রোতে পার

বিষাদগুলো গুটিয়ে রেখে মুক্ত পারাপার...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মধুরিমা

 

#মধুরিমা

ওড়না খানা গলায় রেখে পার করি এক দেশ

ঘুমের ভেতর উঠেই বসে দেখি ঘুমের রেশ।

ক্লান্ত যেন তোমার হাসি বড্ড কেন জেদ,

নিজের ওপর রাগ করে যে গড়ছো মনে খেদ

এভাবে কি চলে বলো এমন কেন হয়

আকাশ ভেঙে পড়লে বুকে বলছো কিছু নয় 

জানি আমি এতদিনে গুছিয়ে নেবো তোমায়

বুক পকেটে, সেল ফোনেতে মিশবো তবে জামায়

এই তো দেখো জেগেই আছি, তবু আছি ঘোরে

এলাম তবে ডাকলো বটে ঠেললো মাও জোরে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অর্পিতা

 *অর্পিতা*

এক শহরে মেঘের কাছে তোমার দেখা পেলাম,

খানিক তফাৎ রেখে বোধহয় নদীর ধারে এলাম,

স্তব্ধ তখন জলের সীমা কোথাও তুমি নেই

ঘন্টা খানেক সময় গেলে দেখি আকাশ কই!

দূরে যখন মেঘের গায়ে উড়ছে কিছু পাখি,

ফ্যালফেলিয়ে কমলা মতন সূর্যটাকে দেখি।

একটু যখন ইচ্ছে হবে হারিয়ে কোথাও যেও,

মন ছোঁয়ানো কোমল ভাষায় সুর ঝরিয়ে দিও।

এবার বলি তারিফ গড়া আমার জানা নেই

গাছের ছায়া সবুজ হতে থামি সীমাতেই।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অরিত্রা

 *অরিত্রা*

সময় তবে দানার মতন নরম তবু দ্বান্দ্বিক,

আদত যতই খেয়াল শেখায়, দৃশ্য থাকে প্রান্তিক।

এ মহরথ এমন নয় দেখেই শেখা রক্ষের

নতুন দিনের নতুন আলো দাগ মেলানো পক্ষের।

সবাই তবে রাত গোনে না এটাও নাকি সত্যি,

একটা তারা খসলে বলে উল্কা পাতের মূর্তি।

খুব সাধারণ জীবনগুলোয় মিথ্যে নাকি প্রশ্রয়

কথার ভেতর হাসির চমক বাক্য বোধক সাশ্রয় 

এটুকুকে আদর ভেবে দেখার বিচার সন্ধি

আমরা এখন নীতির ভেতর একা একাই বন্দি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তারকা তারার দেশে

 *তারকা তারার দেশে*

এভাবে মৃত্যুরা ভালো থাকে, বেড়ে উঠে কক্ষঘর,

জানি এ শরীর মায়ার, গোনা শুধু যাওয়ার প্রহর...

ওপার ডাকবে ঠিকই,বেড়ে উঠবে বনচারা,

সবাইতো যাবে চলে, তবু কিসের যেন তারা!

মানুষ বড় কঠিন জীব, না পশুরাও তাতে আছে,

একটাই জীবন জানি না কতবার বাঁচে।

 

প্রকাশ হয় রোজ। রোজ ভরে খবরের পাতা!

তবুও গম্ভীর সব কারো কোত্থাও নেই মাথাব্যাথা!

যারা চলে যায়,ভোলে না সমাজ স্মৃতি। ছায়াপথ।

আমি তো আছি আজ এটা মনে রাখুক মহরথ।

জানি এটা ঠিক, চলে যাওয়া এতটা সহজ নয়,

কিন্তু জানা উচিত এসবের ধার ধারে না সময়!!...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঝিলম

 *ঝিলম*

প্রতিবারেই জন্ম হবে, নতুন নতুন বছর পাবে,

পুজো তাতে থাকবে অনেক, আনন্দটাও বিশাল হবে।

যেদিন তুমি দেখবে ফিরে শিউলি মায়ের নীলচে রং

একসাথে ওই পাল্লা দিতে তোমার সাথে সাজবো ক্ষণ। 

মাটির প্রদীপ জ্বলতে দেখে এঁকে নেবে মেঝের গায়ে,

স্বপ্নগুলো ফুটলে এবার প্রান্তে রেখো অপেক্ষায়।

বলি তবে চোখের কাজল ভরাট করে পরোও যদি,

ঠোঁটেই ওপর মনের বিচার মুছে নিলেই বৃহৎ নদী।

প্রয়োজনে কি থাকবো তোমার এটুকুও ভরসা আছে-

যারা এলো অনেক আগে একে একেই ফিরে গেছে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা

 *না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা*

ভীষণ কিছু সময়গুলো শব্দ জুড়েই চৌচির,

রাতে আসা স্বপ্ন জোড়া দেখলে দেখি খুব ভীড়।

সঙ্গে হাঁটা বিশেষ কিছু মুহূর্তরাই তৎপর,

তবে জানি শ্রাবণ এলো! বৃষ্টি এখন দফতর!

এরা যেন তারার মতো হঠাৎ হঠাৎ জ্বলছে

মানুষ যখন কর্ম ছেড়ে রোদ পোয়াতে শিখছে।

হ্যাঁ জানি সে বড়ই একা? মিছিল অনেক পরের,

গন্ধগুলো আপন হতেই আভাস আসে ঝড়ের।

যাও ফিরে যাও একাই তুমি এই বেলা যে সন্ধে,

দেখবো কালই ছবির সাজে ওই রজনীর গন্ধে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রাজশ্রী

 *রাজশ্রী*

যখন জানোই স্রোতের আগে কথারা ফিরে যায়,

সাত সাগর ওই একই পথে নদীর ছোঁয়া চায়...

তবে দেহে ভেতর ভেতর প্রতিবাদের প্রকাশ,

এবারও কি স্রোতের ভীড়ে ফিরেও যাবে আকাশ!

আমি জানি আসবে তুমিও মিঠে রাতের মায়ায়,

এই অবকাশ অবদানে ঢেকে পাথর ছায়ায়...

কুয়াশারাও গড়বে বাতাস হিমের আলোক ক্ষণে,

হলুদ পাতায় জমবে ধূলো তুলোর আস্ফালনে।

কি হবে পথিক তোমার এ শারদ অতীত জেনে,

মাটির ভেতর অনেক শহর! স্মৃতি অকারণে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা তোমাকে

 *শ্বেতা তোমাকে*

সদ্য তোমায় কাছে পাওয়ার আভাস যখন পাই,

নিজের ভেতর নিজেই বসে গোপন থেকে যাই...

ঠোঁটের নীচে ফিকে হাসি এমন কাজে ধন্যি,

আমার ভেতর তোমায় রেখে শুধুই গড়া সন্ধি।

রাত যদিও সহজ হতেই আভাস ফেরায় সঙ্গীত,

মেঘের সাথে গোপন আলাপ ভরসাটুকু রক্ষিত।

তবে ভীষণ কঠিন জেনেই চোখে পলক রাখি,

একটু এবার সরেই বসো তোমায় আরো দেখি।

খয়েরি মাটি সবুজ হলেই মধ্যে ফিরে আসি,

ভালো করে যত্ন নিলেই, বলো ভালোবাসি...