Sunday, 27 December 2020

তিয়াস




*তিয়াস*

চোখের কোনে দৃষ্টি মুখর,শরীর জুড়ে বেজায় রূপ
আয়না শুধু রাখতে এলে কাজল ফেলে কথার স্তুপ।

শহর তবে খামখেয়ালি আসবে আবার পুজোর রেশ
একটা করে বসন্ত আজ বলে কেবল সময় শেষ!

প্রতিদিনও আসে তারা জানোই তো সে ঢাকবে মেঘ
আমরা শুধু নতুন পথিক, মনের খাতায় অনেক খেদ।

এটুকুতো রাখতে পারো, মধ্যে মাঝে একটু হেসো
লিপস্টিকে যে তফাৎ খোঁজ গন্ধ এলে ভালোবাসো!

ঘুমে যদি আসোই তবে রয়েই যাবে মনের রেশ,
ভোরের আলো ফুটলে দেহে চাদর বলে সন্ধে শেষ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেবর্ষি

 



*দেবর্ষি*

গায়ের শালে বঙ্কু সেজে কেতা অনেক দামী
শান্ত নদী মুচকি হাসে, বন্য দু-এক পাশ
মদন,অমিত ভাল লাগে না, ভোগ্য তো রাজধানী
ওপাড়াতে গল্প ধাঁচে চলছে ইতিহাস


ছোট্ট বেলার দিনেগুলো আজ তারিখ ও সীমানায়।
এখন তবে আঁকড়ে মাটি খোঁজ পরে তো সেই,
খয়েরি হাতে চড় বসিয়ে আদর করে যায় 
ফলক মেপে ছোবড়া ঘসে দাড়ি ও মাড়িতেই।

পরিচিতি নেই সেরকম আছে হাতের কাজ
ঘুমে ঘোরে সাঁতরে বসে চোখেই সাজায় ভিড়
কালিপুজোর খুব দেরি নয় হয়ত কালই আজ
মনের ভেতর ছুটছে মোমো,দিমাক অস্থির।

ইচ্ছে করে রোজ আঁধারে হারিয়ে যাবো কোথাও 
মাটির বুকে কয়লা পেতে তফাৎ কেনো বোঝাও।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

Thursday, 24 December 2020

অনুষ্কা


*অনুষ্কা*

সময় যখন দিন কেটে নেয়, রইলো তবে গানের সুর!
আমি আবার মিষ্টি সাজাই, রাখতো সাথে আখের গুড়?

হালকা শীতে ঘরবাড়ি আজ পিয়ানোতে মারছে ঢিল
তুমি তখন গোমড়া মুখে হারমোনিতে দিচ্ছো কিল

সকাল শুরুর পাগলামি আজ মা বলে দেখ বিশাল জেদ
গালগুলো তো ভীষণ ফোলা, বলে আবার আজও স্যাড।

এমন করে গোটা দিনে মেক্আপ মেখে করছে কি ?
শ্যাম্পু সাবান নেই বলে তো মাথায় নাকি মাখবে ঘি!

কি আর বলি এমন মেয়ের মুখটা নাকি সোনার থালা।
চিকেন খেলে গভীর রাতে চিল্লে বলে "আমি কালা"...!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

 

প্রতিভা

 


*প্রতিভা*

এই সাধারণ এমন মেয়ে হয়তো কোথাও আছে,
দিনে সাথে রাত মিশিয়ে গোলাপ রাখে কাছে

নয় যেমনে অবাক তেমন কিছুই জমা নেই,
ঠোঁটের কোনায় শহর লুকোয় থামে সীমাতেই।

কয়েকটা তো দিনের ব্যাপার জীবনযাপন আর
একটা করে স্মৃতির গেঁথে বানায় সংসার।

পথের আড়াল করার নাকি বয়স লাগে ষাটেক
এই মেয়েতো চোখের কাজল স্বপ্ন ভাবায় অনেক

দিনের শেষে ক্লান্ত শরীর শব্দ জমে ছিলো
তেমন কিছু না পারি তো কবিতাটাই এলো।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইপ্সিতা


 

*ইপ্সিতা*

একটা কথা বলেই ফেলি আগে
জমে আসুক জোয়ার-ভাটার স্রোত,
এমন প্রহর হয়তো তুমি জেগে
স্বপ্ন নামাও প্রকান্ড পর্বত

ওই তো দূরে মফস্বলের গ্রাম
পুকুর পারে সাজানো দালানকোঠা
চোখের ধারে গোছাও তারই নাম
দেওয়াল ভরা আঁকা টেরাকোটা।

এবার প্রদীপ সাজিয়ে রেখো ঘরে
ঠোঁটের নীচে তুলির রঙের সাজ
এখন তবে পাতা ফুলও ঝরে
বসন্ত তো-যে গোমড়া মুখে আজ।

এসো তখন আমারই এক দেশে
এসেই যদি উতোট টাকে খোঁজো
দেখবে শুয়ে জলে সাথে মিশে
ভালোবাসার তফাৎটুকু বোঝো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 14 December 2020

সৌমেন


 

*সৌমেন*

শহরেতো খুব ঝড় অলিগলি কিনারায়
দুই ভাতে ওমলেট হুশিয়ার সাহারায়

নয়তো অবুঝ সে নয় বেদুইন মন 
সময়টা শেষ হলে বেজে ওঠে টেলিফোন 

এক ঝাঁক চুল তার চশমাটা হুশিয়ার
সেলফিতে বোঝা গেলে কবিতায় জুড়িদার

শিরদাঁড়া সোজা তবে নামটুকু সৌমেন
একটা রাতের শেষে খোঁচা মারে আলপিন

নয় আমি চেনা তার এদিকটা ভাবছি
শব্দটা জুড়ে জুড়ে কবিতায় রাখছি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 25 November 2020

শ্বেতা

 


*শ্বেতা*

ঐ যে দেখতে দেখতে কয়েক বছর 
একাই  ভেবেছে নিজের কথা।হিসেব করো!
নাকি কতকগুলো আনন্দ সকলের জন্য বরাদ্দ রাখার  রাতগুলো জেগে জেগে কাটিয়েছো আরো!

শ্বেতা অজান্তেই একটা শহর দূরে সরে গেছে
মেঘে মেঘে  জলে ভেতর ভবিতব্যটা দ্যাখো!
নাকি সভ্যতার লড়াইয়ে যারা বেঁচে আছে
তারা নিজের ভেতর লড়াই করছে আরো?

পাহাড়টা ঐশ্বর্যের আড়ালে সব কথা রেখে দেবে
দীর্ঘশ্বাসের দাবি চুমুক দেওয়া চায়ের কাপ-
বৃষ্টি ফোটার জলের গভীর স্রোত দেওয়ালে দেওয়ালে
রক্তের দাগ দেখবে শিরার শিরায়,হাতের ছাপে!

অনেকটা পথ আছে বারান্দায়। পায়চারি করো এই দিনে
থেমো না হাওয়ার মতো সদ্যোজাত প্রায় গেলো
কখন কোমল গলা বলে বসো "এসো না প্রাঙ্গণে 
তুমিও বদলাবে। বদলাচ্ছ।এবার নিশ্বাস ফেলো।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পীযূষ


 

*পীযূষ*

আর কতটা রাত আছে জিজ্ঞেস করো তাকে
শহরের ওদিকে যে অন্ধকার জবাব নাও তাদের
এবার বৃষ্টি ছাড়া প্রকৃতি অসহায় শীত মাখেনি সকাল
কাল কদরে তোমার নাম এলো , জন্মদিন ভাই জন্মদিন 
হাতে চেনায় গন্ধে প্রিয় মায়ের তৈরি খাবার।
প্রশ্ন আমার তুমি কি তবে জার্মান থেকে ফিরছো
নাকি কাজের ভুলে তোমায় ভুলেছে কেউ
এবার রং সাজানোর পালা পড়ে নাও জামা
রাত হোক বা আলো আসুক তুমিই তো বন্ধু রোজ
এখন সেভাবেই জবাব রাখি ধার দি ঘুমে ঘেমে
আবার ও আজ শীতকাল তারাদের গল্প ঘরে ঘরে
চাঁদটাও রান্না বসিয়েছে সংসারে
সূর্য ওঠার অপেক্ষায় পুবাকাশ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সন্দীপা

 *সন্দীপা*

কিছু চেনামুখ কিছু অনুরোধ 
সব বাঁধা দেয় কিছু অভিযোগ
দায় ফিরে যায় হয় সন্ধ্যায়
জ্যোৎস্না জেগে ওঠে বারান্দায়।

এক চিল সাদা মেঘ
মন জুড়ে চাপা খেদ
বাকি পথ থেকে যায়
নত ঠোঁট রাংতা জড়ায়

তুমিও রয়ে যেতে চাও
এতটা অবুঝ তেমন নও,
ঘাস, রোদ, সুখ, অভিনয়
নয় বিরাম কিছু দোটানায়।

আজ আকাশ কিছু বলুক
বহু স্রোত, সমুদ্র শুনুক
নদী নদ ফিরছি ঠিক
আজ তোমার জন্মের তারিখ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দিওয়ালী

 দিওয়ালী

সকাল যেমন সবার হলেও তুমিই রাতের অর্থ 
গোমরা মুখে মুচকি হাসি দেখেও রাখি শর্ত।

আমরা তবে যে যার মতো নই সাবালের পক্ষে
কাজের ফাঁকে আকাশ দেখি সময় থেকে রক্ষে

কাল দিওয়ালী নয়তো আজই এটাই ভালো ফন্দি 
চোদ্দ শাকে ভাতের মাছে, আলোর সাথে সন্ধি। 

আজ তোমারও যত্ন হলো,কে আর আছে অন্ধ
আতস বাজি, রংমশালও এবার নাকি বন্ধ।

এমন দিনে জন্ম হলে ডাক্তারও যে ধন্য
ভালো থাকা, ভালো রাখা সবটও তো বন্য।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৌমিত্র স্যার


 *সৌমিত্র স্যার*


এক আকাশে থেকেও তবু এখন কই
আমরা তবে তোমার চলার সঙ্গী নই?

মানুষ নাকি অমর হলে বদলে যায় 
কই তোমারও চরিত্র আজ এমন নয়!

শূন্য দেখে যখন হারাই দিগ্বিদিক্
তোমার গলার নম্ন আওয়াজ লাগেও ঠিক

একটা তারা সরলে নাকি আরেকটা হয়,
আশা ছিলো সময় ভালো,শুধুই জয়

আজ কেন তা বদলে নিলো সবকিছু 
সময় এসে হাতছানি দেয় ঠিক পিছু

ফিরেই গেলে আগের মতো কেমন হয়?
তবে কি আজ আমরা চলার সঙ্গী নয়??

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


আমি তন্ময়


 

*আমি তন্ময়*

সকাল হলে সবাই দেখি বড্ড যেন নতুন
মনে হল জন্ম নিলাম এইতো আমি প্রথম।

শহর তবে খুব চিনি না যত্নে স্মৃতি রাখি
আজব যেন নগরনীতি অবাক হয়ে দেখি

মাংস, পায়েস অল্প ঢেলে চেটেই ফেলি কড়া
এমন আমার বিচার,স্বভাব অনভ্যাসে ছাড়া। 

শিল্পে তবে অবাধ ছাঁকনি দিয়ে ছাঁকি
মধ্যে মাঝে অনেক কিছু হয়েই বসে পাখি!

আমি শুধু নতুন এমন অনেক আছে
স্বপ্নগুলো চালের মতো খুঁটে খুঁটে বাছে।

কি আর বলি এমন দিনে জন্মদিনও আমার 
খাবার হিসেব কপাল থেকে মুছেই করি সাবার। 

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 9 November 2020

অহনা

 

*অহনা*

ভালো থাকুক স্পেশাল কিছু দিন
মন্ত্র বলুক বিভেদ বহিরাগত 
নীলচে আলোয় আবেগ বেরঙিন
গাছের আলোয় মন পোড়ানো ক্ষত।

পথের শেষে তোমায় দেখি কই
ফলক দেখে বোঝাও শুধু থিম
শাড়ির পারে চুমকি কেন নেই
হাসি তবু আলোর থেকেও ক্ষীণ।

এমন মেয়ে সবার চেনা নয়,
মানুষ মাপার মেশিন যেন ছোটো।
শুনলে যাদের ভীষণ লাগে ভয়
কেবল তারা সরষে পানে থেকো।

তোমায় আমি চিনি না তো ঠিক,
যদি সকাল গাছের পাতায় রাখো,
দেখবে কিছু সময় বোঝার দিক
ছোঁয়া পেলেই বলবে হাওয়ায় থেকো।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

উৎপল

 

*উৎপল*

একটা ঠোঙায় বিশাল বড়ো দ্বীপ
যাতে তুমি স্বপ্ন ভীড়ে ঢলো,
আয়না কাঁচে থাকেই দুটো টিপ
মায়ের সাথে নতুন পথে চলো।

দিনের বিচার দিগন্ত নেয় বেশ
তফাৎ থাকে স্নেহের মতো তাও-
প্রেমের বিষাদ ভুলিয়ে ফেলার রেশ
অবুঝ ভীষণ বোঝে না ওরাও।

সেসব রাতে আসেও না বিদ্যুৎ 
ঘেঁটেই বসে পদ্ম পাতার নাম
আছে যেসব প্রকাশ পাওয়া খুঁত
ছিঁড়েই বসে গোলাপ চিঠির খাম

থাক তোমাদের এমনই এক দিন
বলেই বসি মিথ্যে কথার শোক!
জোয়ার আসে চোখের কোনে ক্ষীণ
এলাম শেষে উপহারের লোক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সঞ্জীবন



 *সঞ্জীবন*

কোথায় যাবে তাও জানা নেই ঠিক
খাওয়ার শেষে সসেই সাড়ে আহ্নিক 

তাকায় যতদূর যেন সুর হারিয়ে যায় 
শীর্ষে আছে মায়ের স্নেহ, প্রদীপ শোভা পায়। 

যেখানে তাদের বসত, দূরের এপারে দেশ 
ক্লান্ত ভীড়ে ছোট্ট পায়ে নিতান্ত দরবেশ।

তেমন জলে পথের বীণা ছোট্ট দুটো পা
আয়রে সোনা আগলে বুকে কাটানো সন্ধ্যা

সবার এমন দিন আসে না সুরটুকুতেই শেষ
জন্মদিনে কেকের সাথে থাকুক দরবেশ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অর্পন

*অর্পন*

একটা গোপন অন্দরেতে আকাশ বিরহপূর্ণা
বৃষ্টি আসুক শীতের শেষে এমন দিনে না।

জলচ্ছাপে ঝাপসা হতে যত্নে রাখা নখ
ক্লান্ত মুখে ঘামতে দেখো বাবার দুটো চোখ

ভিজতে হলে বলেই দেখো পাতায় বসে শুনবো
গাছের ভীড়ে কাঠবেড়ালির আসবে কুটুম্ব!

কাদের যেন উড়তো হাওয়ায় আকাশেরই তারা
থাকে তো সেই নীলের শেষে গোধূলির অন্তরা।

যাও ধরা দাও তাকিয়ে থেকে ভুলে যেও না
গল্প চাঁদের আলোয় এসে সবাই থেকে যায় না

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেবপ্রিয়া

 *দেবপ্রিয়া*

সেবার যখন গল্প থাকা আলো
সাজিয়ে তোলে দেহের মাস্তুল
পাশাপাশি ছন্দ রাখা ভালো
মেরুন ঠোঁটে ছোঁয়ায় এলো-চুল

মধ্য রেখায় দৃষ্টি যদি রাখো
শান্ত গলায় থাকেই গানের ছাপ
নমস্কারে মুচকি হেসেই থেকো
চিনির চায়ে ভাড়ায় গড়া কাপ

অনেক কথার জীবন যদি হয়
প্রাচীন কিছু শব্দ জোড়ার টান
এমন সময় কে বা তারিফ নেয়
ঠাওর করা সবুজ রাতের গান।

তবু তখন এলেই পাখির ঝাঁকে
কোমল রেখো কাজল পরা চোখ।
মায়না কোকিল যদিও তোমায় ডাকে
কাক চড়ুইয়ে হবেই তো দর্শক।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিজয়া

*বিজয়া*

বছরগুলো গুনতে বসে, মনটা কেমন লাগে
ছোট্ট বেলার দিনগুলো যায় মনখারাপের ভাগে

মা এসেছে, আসবে আবার তফাৎ থাকে অনেক
কথা দুটোর দু-এক মানে যন্ত্রনাটা আরেক

আসছে বছর আবার এসো বিজয়া যে আজ প্রীতি
সময় দাগে ভাগ করে নিক শুভেচ্ছা সম্প্রতি। 

পুজো সবার খুব আসে না পলির মতোই জড়ায় 
মায়ের শরীর ভাসলে বলে দিব্যি বছর গড়ায়

থাক তোমাদের এমন খুশি বিজয়াটুকু নিও
অন্তরে তো মায়ের নামে প্রণাম করাই শ্রেয়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেবলীনা



 *দেবলীনা*

পৃথক তোমার বাতাস এখন,যতই প্রেমের আবহবিদ,
মুঠোর ভেতর জন্মদিনে কেকের সাথে সেই কোভিড।

বুকের ভেতর শব্দ তুলে আমিও তখন রেলায় চলি
পুজোয় ঘরে রান্না হলে হবেই ডেলি প্যাসেঞ্জারি।

না লুকানো একলা ঘরে,মন চাইলে সেটাই বসত,
ফুচকা জলে ছুঁলেই আঙুল পেয়েই বসে স্বাদের রসদ।

পাল্লা দিয়ে তৈরি থাকে পশ্চিমীস্বাদ তেমন সমান
বছর ঘুরে আবার বছর স্মৃতি কেবল মনেই জমান

ভবিষ্যতে ধার হবে তো আমিও ভীষণ খাদ্যলোভী
চিন্তা ভুলে দিব্যি হেসে কেকই পেটের মধ্যে আভি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অর্ঘ্য




*অর্ঘ্য*

একটা দিনে কি আর যায়
ব্যস্ত হাসি স্নায়ুর ভেদ
সময় টাকে পেরিয়ে গেলে 
যাবেই রয়ে মনের ক্ষেদ

তোমরা যখন আকাশ দেখো
আমি মেটাই ঘুমের সুখ
স্বপ্ন যখন ভাঙতে দেখি
গোমরা বাঁধি ক্লান্ত মুখ

তৈরি করি বসত ভিটে
দেওয়াল সাজাই মনের কোণে
সরষে ক্ষেতে হলুদ রাখি
জানি বৃথা তফাৎ জেনে।

হয়তো আজও বসন্ত নয়
তবু প্রেমে অঝোর চোখ
কোকিল খোঁজে কুহু ডেকে 
কাক তাড়িয়ে শালিক শোক।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঋদ্ধিপালী

 

*ঋদ্ধিপালী*

ইনি আবার মিষ্টি ভীষণ,আসে রাতের পাড়ায়
যত্নে রেখে ঠোঁটের বিচার মুখ বেকিয়ে দাঁড়ায়!

সে তো আসে মনের খোঁজে ঘুম জোড়ানে সুরে,
বৃষ্টি এলে থমকে দেখে পেছন ঘুরে ঘুরে!

এবার বলি হলুদ শাড়ি, তাই বলে কি বিয়ে!
বেশ মানাবে কমলা টিপে, লিপস্টিকটাও নিয়ে।

তবে শুনি খুশি ভাগে কেনে সবাই জমি
এনার আছে বেশিরভাগে। বিক্রেতাটাই ইনি...

তর্কে কিছু ভাগ জমে না আছে সেসব গানে,
ফাগুন এনার হৃদয় জুড়ে কোকিল সেটা জানে।

এসব মেয়ে খুব দামি যে, আছে তোমার পাড়ায়?
অভিমানও রক্তে রাখে কেবল হাসি ঝরায়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তনুশ্রী



 *তনুশ্রী*

সময় বুঝি উজ্ঝটিকায় রাত মায়াবী অন্ধকার
ফলক এসে শিরায় জোড়ে দাও খুলে দাও বন্ধদ্বার

মন খারাপের দিনে বদলে আসছে কিছু উড়ান মেঘ 
গোপন যদি গল্প থাকে আজ বলে দাও অন্তখেদ।

আমরা যদি হাওয়ায় ভাসি স্বপ্ন মোছায় কাগজ শ্লেট
ক্ষতের বাধন শক্ত হলেও ভরতে পারে অবুঝ পেট।

যদিও থাকো খুব দারুণে সঙ্গে রেখো হাসির ঠোঁট
দরকারেও লিপস্টিকেতেই মাতিয়ে নিও ট্রাফিক রোড

থাকবে ভালো বছর ধরে আমরা খুবই আপন নই
খামতিটুকু ক্ষমায় নিয়ে পাখির মতোই হারিয়ে যাই।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তমাল



 *তমাল*

আজব রকম হাসি তারও,দাঁত বেরোনো ঠেসে
চশমাটাকে উঁচিয়ে রাখে নাকের ডগা ঘেঁষে।

হাঁটতে তাকে হয় না বেশি, চাকাই চালায় রোজ
লেখা তবে বিদ্যে আছে, সাথে পেটুক ভোজ।

দেখতে তাকে শান্ত ভেবে ভুল হয়েছে যাদের
তারাই এখন তাড়ি খেঁকো, চাট মাতালের খদ্দের।

যাকে ভেবে দিন কাটে তার সে দিয়েছে মন
পাগল ভেবে এমনি আছে ব্যস্ত খালি ফোন।

এমন জনের গল্প লিখে পেনটা গেলো বেঁকে,
তমাল নামে জানি তাকে সবাই মাতাল ডাকে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তিয়াসা

*তিয়াসা*

কপাল জুড়ে যন্ত্রনাটাই বড়ো
রুমাল ভীড়ে গল্প জমে আরো
চিরকালীন হিসেব প্রদান মোহ
ছোট থেকেই আঁকার আগ্রহ।

গোলাপ শোকে পাঁপড়ি যখন ঝরে
স্মৃতি তখন আবেগ বিবেক ঝাড়ে
স্নেহের বশে প্রকাশ আনে ক্ষত
গল্প আছে শুকনো ফুলের মতো

যতই হবে প্রভাব সন্ধানী 
সময় তখন খবর নেবে জানি
শৈশব তো কাটালেই স্কুলে
তাদের এখন তফাৎ লাগে ছুঁলে।

দাও শহরের বৃষ্টি ভেজা আলো
সাথে যদি গঙ্গা ফড়িং এলো
হাসি রেখো লালচে ঠোঁটের ফাঁকে
কাজল দিয়ে সাজিয়ে রেখো মাকে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সোহিনী

*সোহিনী*

পাথর ক্লিপে লম্বা চুলও জোড়া
নয়তো সবুজ কোপাই নদীর স্রোত
এসব দিয়ে সাজায় খোঁপার গোড়া
মন ভেতর অচেনা পর্বত।

গ্রাম ছেড়ে গ্রাম নতুন শুধু নাম
খয়েরি মুখে কাজল টিপেও আঁটা
ইচ্ছে করে যাইতো তারও ধাম
একলা কাটাই দুপুর চিলেকোঠা। 

বছর ঘুরে এলাম তারই দেশে
গোছা শাড়ি রঙেরও মরশুমে
পুজোর শেষে গোধূলিও মেশে
ভোরের ঘরে যত্নে রাখা ঘুমে।

এখন তাকে আঁকড়ে যদি খোঁজো
সবুজ তাঁতে হলুদ রেখে সেজো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুপ্রিয়া দি

*সুপ্রিয়া দি*

এক শ্রাবণে বসন্ত আজ
ঠোঁটের গোড়া খুব নিবিড়
গলার নীচে পড়েছে ভাঁজ
মান অভিমান ভীষন স্থির।

নদীর ধারে সোনার আলোয়
দেখবো তাকে খুব দুপুরে
কাজল ভরা চোখের কালোয়
জ্যোৎস্না জমে খুব আঁধারে

খয়েরি মাটির ঘাসের বুকে
স্বপ্ন সাজায় শাড়ির ভাঁজে
ইচ্ছে করে ডাকতে তাকে
হলদে মিঠে শাড়ির সাজে

নাম লুকোনো মানুষ আমি
রইলো শুধু বসন্তকাল
খুব নতুনে থাকলে তুমি
নাই দেখলাম হাসির গাল।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শতরূপা

*শতরূপা*

একটু যদি ফেলেই রাখো মন
অবাক করা বিভক্ত সংকেত
কথার বিচার বিপাক বঞ্চন
চোয়াল জুড়ে  ঠাওর করা ভেদ।

কি প্রয়োজন জোনাকি বিদ্যুৎ
বিপথে যে পরিচিতের নাম
মনের কোনে রয়েই গেলে খুঁত
ঠোঁটে গোড়ায় ভালোবাসার খাম।

একটা চিঠি পাঠিয়ে যদি ফেলি
নয়তো থাকুক অন্য কিছুর ঝোঁক
গভীর রাতে সহ্য করা কালি
সিলিং ছোঁবে একলা দুটো চোখ।

না পাঠকের লাগতে পারে ভালো
এইতো আমার প্রচন্ড বদ অভ্যাস
কষ্টগুলোয় বালিশ ভেজা ভালো
সকালে এলে মুক্ত হবে শ্বাস।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মধুরিমা



*মধুরিমা*

সঙ্গে থামে  হয়তো কোথাও
ঠোঁটের সাথে তফাৎ খুঁজে 
যত্নে থাকা বদ্ধ রাতও
গুনছে কথা মুখটা বুজে।

গেরুয়া মাটির নদীর পার
শিরায় জমা খুব দুপুর
কাজল চোখের হাসি যার
জলের সাথে প্রেম মধুর...

রাঙা ধুলোয় অবাক করে
বসন্ত আজ নিয়েই এসো
কৃষ্ণচূড়ায় তফাৎ সেরে
গল্প শেষে মুচকি হেসো।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 30 September 2020

মেধা

 

*মেধা*

সবুজ মেঘে রাত নিকানো
গেরুয়া আকাশ জানায় খেদ
পুব আলোতে তারার ভীড়ে 
প্রহর এসে দেখায় জেদ 

কি বিচারে সাজায় তোমায় 
এমন কোন আঘাত নেই
পাঁকের নীচে জল শুকোতে 
ভ্রমর এসে লুকোয় খই

আজ তোমারও বেশ কেটেছে
গল্প,গানে, রান্না খেয়ে
কেকের ক্রিমে বন্ধু খুঁজে 
আনন্দটাও আসবে যে।

যে আঁচলে ঘুমোও তুমি 
তাকেও যদি সঙ্গে রাখো,
বয়স বরং বুড়ো হবে
শাসন কেবল সামলে নিও।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সায়ন্তিকা


 

*সায়ন্তিকা*

আজ শহরে মেঘের মতো ভিজি
এদিক ওদিক প্রকান্ড সব জ্যাম,
আমরা কেবল ঠোঁটের স্বাদই খুঁজি
দেহের বিচার বোঝেন কেবল শ্যাম!

নতুন নতুন অজানা সব রাই
এটাও আমার অকাজেরই ভুল
বিকেল হতে প্রকাশ হল যেই
মেলে দিলে ঘন কালো চুল।

শ্রাবণ এলে নৌকা বওয়া যায়
তারা দিয়ে সাজানো থাকে পার,
যখন দুজন বসেছো দোলনায় 
ঝুলতে কেন বাকি থাকে আর!

এমন বিচার কজনই বা পারে
কাজল দিয়ে মোছো শুধুই চোখ
শ্যাম যদিও কথার সাথে হারে
রাই তোমারই চমক দেওয়া ঠোঁট!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

লীলাঙ্ক


*লীলাঙ্ক*

কাল সবুজে স্বপ্ন যদি পোড়ায় ঘরবাড়ি 
সময় আসে প্রদক্ষিণে নিতান্ত আহ্লাদে
এমন দিনে উত্তরাকে দেখায় উজ্জীবন
আগুন মুছে তারিখ লেখে প্রমুখ বিস্বাদে।

দাড়ির নীচে হাসির প্রলেপ বোঝায় ছদ্মবেশ 
ক্রমের ওপর যুগ মরীচে জড়িয়ে থাকে ঋণ।
আঘাত যতই সঙ্গ নেবে গল্প বলার শেষে
বুকের ভেতর প্রত্ন নদী ভীষণ অন্তরীন।

বাতাস কখন ওড়ায় ধুলো,সুদক্ষিণী অন্তরে
সেই ধনুকের তীরের ফলা হৃদয়ে তাক করে,
আজ লহমায় দৃশ্যটুকু চশমা কাঁচের ফ্রেমে
জ্বালায় ধুলো ছড়ায় পাতা পথ পেরানো সাক্ষরে।

বন্দী থাকা অনেক ভালো বলে তো সে মান করে
হয়তো কোনো দোষের ভুলে মন রয়ে যায় প্রান্তরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 23 September 2020

সুচেতনা

 


*সুচেতনা*

গান ধরে ওই রঙিন ঠোঁটে, ওড়না ছোঁবে ঠিক
পূব আকাশের ঢাকলো মেঘে দিগন্তের ওদিক

তাকিয়ে দেখো দূরের দিকে যেমন সুরে যায়
জীবন বড়ো অভিমানী স্থান ভুলিয়ে দেয়।

যে আঁচলে বসত তোমার সুদূর এক দেশ
শরীর টুকু প্রকাশ হলে মুক্ত হবে কেশ

তেমন জলে ডুব দিও না মিলিয়ে যাবে পা
আঁধার এলে গভীর হবে নিহত সন্ধ্যা। 

আজ শহরে বৃষ্টি হবে থাকবে বেরঙিন
মনখারাপের সপ্তাগুলো খুশির একেক দিন।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Tuesday, 22 September 2020

হরিণ বিপ্লব

 *হরিণ বিপ্লব*

কখনও তুমি লাস্য,চেড়াই কাঠের মতে
আসল সবটাই থিম,বৈচিত্র কারিগরি। 
অক্ষয় স্থায়ী,জড়া কলমের ক্ষতে
চিরকালীন হিসেবে আঁচড়েই পড়ি। 

এ তো এমন নয় কবিতার ঘ্রাণ!
ঘাট মোড় নীরব। হরিণ বিপ্লব
যা লেখার মতো অবহিত টান
বেশ দারুণ আকাশ। চুপচাপ সব।

চুলে পরিপাটি, বিকেলও ফিকে
উল্লাসে লেখা-পাঠ। বিস্তর রোদ
তবুও হেঁটে যায় আঁধারের দিকে
ফাঁকা দেশলাই জমায় অবোরোধ।

বছর এখন আয়ুর চেয়ে বড়ো
গ্লাসের মেঘ জমে পরিণত জলে
জারি থাকে দূর পথ ক্লান্তি আরো
শুভেচ্ছাে এতটুকু মোমবাতি আলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নীল গোলাপের দিন

 *নীল গোলাপের দিন*

দিগন্তে আজ নীল গোলাপের প্রথম দিন
কাজের শেষের সময়টুকু প্রকার ভেদ।
মেঘ করেছে তবু আকাশ বেশ রঙিন
শ্যাওলা জমা পায়েস হাঁড়ির খাবার খেদ।

আমরা দুজন হারিয়ে যাবো অন্তরে
নদীর পালে ভাসিয়ে দেবো মেঘ তরী
বাড়ির ভেতর চওড়া ঘরের বন্দরে
মান অভিযোগ কটিয়ে ওঠা দরকারি।

তবেই থাকে নীচের পায়ে জলের রেশ
শরীর নেমে বাঁশের খাটে ছড়ায় খই
মৃত্যু কালে তফাৎ গড়ায় ক্ষুধার শেষ
শরিক জেদে ধুলোয় জমা নতুন বই।

কি যেন আজ দেবো তোমায় শেষ ঋণে
কথার শেষে মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিদ্রোহী শ্লোগান

 *বিদ্রোহী শ্লোগান*

প্রকাশ্যে তার কন্ঠ ভারী আরো
দামি সোফায় স্পঞ্জ দেখায় যতো
আসলে যে ও প্রযুক্তি নেয় কারো
হৃদয় ভেঙে কালি ঝরার মতো

তবুও থাকে তফাৎ ফাঁকে ফাঁকে 
নতুন করে আঘাত আসার শোক
সাড়া দিয়ে যায় তো প্রহর তাকে
তারিখ গোনায় নিতান্ত দর্শক।

এমন করে তৈরি থাকো যদি
জামার বোতাম খুলবে শুধু নিজে
বালিশ মেপে ছোবড়া দেওয়া গদি
আসবে রাতে স্বপ্ন পরী সেজে

এমন দিনের শাসন যদি হয় 
মধ্যমাতে থামতে শেখাও গান
জীবন কেবল নিঠুর অভিনয় 
নৌকা ভুলে বিদ্রোহ শ্লোগান ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 21 September 2020

মৃণালিনী

 *মৃণালিনী*

বসন্ত পৌরুষে মৃন্ময় 
শহরের থমথমে জনপথ
অধিদপ্তর সাক্ষাৎ শেখায়।

লাল ছায়া বালির স্তূপ ঘিরে
বৃষ্টি ফোঁটায় দোয়াত সাজায়।

কুটিল মানবতায় ষোলোআনা 
ধিক্কার  ভালোবাসা,

ভাঙনে বিলীন হয় সভ্যতার দেওয়াল

মোরকে আগন্তুকের পদস্খলন ঘটে পদে পদে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শতরূপা

*শতরূপা*


একটু যদি ফেলেই রাখো মন
অবাক করা বিভক্ত সংকেত
কথার বিচার বিপাক বঞ্চন
চোয়াল জুড়ে  ঠাওর করা ভেদ।

কি প্রয়োজন জোনাকি বিদ্যুৎ
বিপথে যে পরিচিতের নাম
মনের কোনে রয়েই গেলে খুঁত
ঠোঁটে গোড়ায় ভালোবাসার খাম।

একটা চিঠি পাঠিয়ে যদি ফেলি
নয়তো থাকুক অন্য কিছুর ঝোঁক
গভীর রাতে সহ্য করা কালি
সিলিং ছোঁবে একলা দুটো চোখ।

না পাঠকের লাগতে পারে ভালো
এইতো আমার প্রচন্ড বদ অভ্যাস
কষ্টগুলোয় বালিশ ভেজা ভালো
সকালে এলে মুক্ত হবে শ্বাস।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল




পঁচিশে বৈশাখ(১৪২৭)

*পঁচিশে বৈশাখ(১৪২৭)*

দেখতে গেলে বছর কিছু বেশ থেমেছে ভীড়ে 
আমরা আসি রাজার বেশে ভব নদীর পারে

এক কিংবা দু-গোলাপে বসন্তটা সারি
ফাল্গুনটা পেরিয়ে এলেই জোঁড়াসাঁকোর বাড়ি

এবার জানো হলো না আর রয়েই গেলাম ঘরে
খেয়াল তবে রোজ আসে না,উঠেছি আজ ভোরে

জানো শ্বেতা আমিও এখন থমকে যেতে পারি
তোমার সাথে থাকবো ফ্রেমে তেমন আড়াআড়ি। 

জগৎ এখন ভুগছে রোগে বদ্ধ খোলা মাঠ
স্বাধীন তবে আগেই ছিলাম পেরিয়ে গেছে ষাট।

দেওয়াল জুড়ে ছবির ভেতর তুমি বিরাজ করো
বছর পঁচিশ খুঁজে পেতেই আগলে ধরো আরো...

# আরিয়ান প্রিয়স পাল 

মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে

 *মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে*

দিগন্তে আজ নীল গোলাপের দিন
কাজের শেষে সময়টুকুর ভেদ।
মেঘ জমা আজ আকাশ বেরঙিন
শ্যাওলা জমা পায়েস হাঁড়ির খেদ।

আমরা দুজন হারিয়ে যাবো অন্তরে
নদীর পালে ভাসিয়ে দেবো তরী
বাড়ির ভেতর চওড়া ঘরের বন্দরে
মান অভিযোগ কটিয়ে ওঠা দরকারি।

তবেই থাকে নীচের পায়ে জলের রেশ
শরীর নেমে বাঁশের খাটে ছড়ায় খই
মৃত্যু কালে তফাৎ গড়ায় ক্ষুধার শেষ
শরিক জেদে ধুলোয় জমা নতুন বই।

কি যেন আজ দেবো তোমায় শেষ ঋণে
কথার শেষে মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পৌনে উনত্রিশ

 *পৌনে উনত্রিশ*

তোমার সাথে দূরত্ব বেশ বড়।
দামি ভীষণ অভিমানের বিষ,
শেষ বিকেলে থমকে থাকা ঝড়ও
বয়স বেরে পৌনে উনত্রিশ।

একদিনে তো সবাই চলে যাবো
রয়েই যাবে দেওয়াল ভরা ছাপ।
স্মৃতি মুখে শরীর ঢেকে দেবো
মাটির ছাইয়ে আবছা হবে গ্রাফ।

কষ্টে তুমি ভরাও দুটো চোখ
তবু ঠোঁটে গল্প কিছু থাকে,
মেয়াদ খুশি হয়তো মনের রোগ
নতুন ঘুমের পর্দা জোড়ার ফাঁকে।

বহন করা, শিল্প যখন নয়
অভিযোগও ঠোঁটের কোনায় থাক
বাইরে থেকে মিথ্যা অভিনয় 
তোমার হাসি ছোবেই সিলিং ছাদ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল





কেদারা




 *কেদারা*

একটা বন্দি ঘর। চারিদিক বন্ধ।
থাকা হয় আমি আর ঠাকুমার!
মাঝের অন্ধকারে গুমোট গন্ধ 
গিনজি প্রভাত বদ্ধ জানালার।

শৈশব খেলনায় মৌলিক সিন
আসলে সব আভাস, বেশ কাল্পনিক।
যেটুকু প্রেম অনেক গোপন ঋণ,
বিকন্ঠী আওয়াজ, পুরোটাই ক্ষনিক।

রাতের আলোয় জোড়াফুল ভাসমান
তারার মতো ক্লান্ত হচ্ছে ততো!
বিড়ির স্বাদে সিগারেটে সুখটান
সময় এখন অ্যাস্ট্রে ভরায় না তো!

এমন করে অনেক বছর কাটে
জীবন ঘেসে ঝিম হয়ে যায় পাড়া।
আসল কথায় স্বপ্ন বিপদ ঘটে
সাক্ষী থাকে ভগ্ন কেদারা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

যুগান্ত মুল্লুক

 *যুগান্ত মুল্লুক*

হলুদ ডালে লবণ চেয়ে নেওয়া
ফোরন তবু আবেগ প্রত্যাশী
বিকেল রোদে ছুটছে মৃদু হাওয়া
আমরা তখন নদীর পারে আসি।

শেষের ভাগে কিস্তি মাতের কথা
মরার তাড়া এখন কারো নেই
মধ্যে আছে ঠোঁটের জটিলতা
বিষাদ কিছু নিচের তলাতেই।

এমন দিনে আড্ডা কিছু আছে
পথের পরে ক্লান্ত যতো মুখ
আঁধার পেলেই হঠাৎ করে হাঁচে
ইতিবাচক যুগান্ত মুল্লুক।

আমরা জানি থাকবো ভালো কাল
রোজের ভাতে চুটকি খাবো হেসে
যেমন তেমন পোকায় খাওয়া চাল
খেতেই হবে পেটের খিদের শেষে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে


*যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে*

বিরহ যতো যেমন ছিলো এখন সেসব জুতোর ছাপ,
পাহাড় ঘেরা জলের বরফ চোখের কোনার নিম্নচাপ!

দেওয়াল ছাদের বর্ণনাতে, রক্ত যখন প্রলেপ দেয়,
খেতাব গুলো শোকেস গোছায় নিয়ন্ত্রণের সমন্বয়ে।

সাহারা ছিলো গাছের গুড়ি সেও গেলো ঝড়ের দোষে,
পরের বছর ঋতুর বিচার, যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে। 

সেনা, জওয়ান বিরাট ম্যাপে বলবে শুধু পূর্বাভাস,
আমার ভাইয়ের মৃত্যু হলে ,তোমার আছে সস্তি শ্বাস। 

জলের মাঝে সম্মতিতে, নাম হারাবে ঠোঁটের কোন
কোথাও আছো দেশপ্রেমে, বক্তৃতা দাও সর্বক্ষণ!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঝড়ের ছবি

 *ঝড়ের ছবি*

স্বপ্ন যখন খেয়াল বশে প্রকাশ আনে মূলদিকে 
নতুন করে হৃদয় এসে বাতাস মাখায় হিন্দিতে...
গেরুয়া আলো দাগ কেটে দেয় পেয়ালা চায়ে সংক্ষেপে 
এখন কোথাও রোদ পরে যায় ছোঁয়ার দোষের অন্তেতে।

ও পাড়াতে নতুন বছর,অনেক স্মৃতির সময় শেষ
আলগা বুকে অবাক থেকে ফুরিয়ে আসে সমন্বয়
লেন্স জড়ানো চশমা মুখে হাসির রেওয়াজ বদ-অভ্যেস 
বাষ্প যত আকাশ মেখে হারিয়ে যাওয়া গল্প নয়।

ঠোঁটের মুঠোয় ঝড়ের ছবি শ্রাবণ গোনা দারুণ জেহাদ
নামবে যবে মাটির নীচে থাকবে কিছু হাতখরচ
এবার তবে তৈরি থাকা, সুস্থ থাকুক কোমল হাত,
ফুরিয়ে আসা পদ্য শেষে থমকে থাকুক চোখ-মগজ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রোমি


 

*রোমি*

নুনের জলে গ্রাম ভেসে যায় কমলা লেবুর রোদে
বৃষ্টি ফোঁটায় ছোঁয়ায় কালি আকাশ ভাঙার জেদে।

ঠোঁটের নীচে ঘোড়া মতো অবস্থানের বিচার
রুটির ভেতর ঘর বেঁধে নেয় এমন হতো প্রচার।

এবার হতো হঠাৎ করে খয়েরি চাদর খুঁজে, 
ভোরের ঘুমে রাত নামিয়ে স্বপ্নে অতীত সেজে...

সেতুর বুকে পায়চারি চাঁদ জ্যোৎস্না জলে ঝরায়,
ধরনটুকু সঠিক রেখে স্রোতের মুখেই হারায়।

গ্রামটুকু আজ ফসল ভেবে আপেল গাছে থামে
শুকনো পাতায় আলপনা দেয় মাটির ধাপে নেমে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ভটভটি (বোন)


*ভটভটি(বোন)*

পটলের দোরমায় ঘুঘু পাখি লুচি খায়,
থালা হাড়ি বাজনায় গোটা ঘর ধমকায়।

নেটি পড়া ন্যাতা চুলে দুটো ঠোঁট চমকায়
কেরোসিনে দাঁত মেজে কুলকুচি নুন চায়ে।

এই তো বোনের ছিড়ি গাল দুটো কামড়ায়,
সেলফিতে বড়ো চোখ সবাই যে ভয় পায়!

এমন দিনের শেষে গোধূলিও আসে যায়,
সূর্যতো রোজ ওঠে মনে নয় আয়নায়।

এমন বোনই বা আছে কজনের বলো,
স্রোতে শেষের  হাসি মুখ। সেই ভালো।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল




 


শহর খুঁজে

 *শহর খুঁজে*

নতুন কোনো শহর খুঁজে 
গল্প লিখো ছবির ভাষায় 
রাতের প্রদীপ দিনের সাজে
প্রকাশ উঠুক গানের কথায়

খয়েরি মাটির বুকের নিচে
নদীর স্রোতে দশেক ঢেউয়ে
তফাৎ বোঝাও কোমল স্পিকে
কাজল মাখুক রূপ বলাকায়।

যেটুকু আজ তোমায় দিলাম
তৈরি থেকো আসছে সময়, 
বছর গোনা এ-এক দিনে
ঠোঁটের ভাষা তেমন তো নয়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কপাল বদল

 *কপাল বদল*

শেষের বিচার রয়েই গেছে,বদল দিনে খুশির রেশ
আমরা হাঁটি ওপর বুঝে,স্বপ্নে আঁকি আজব দেশ।

ঘরবাড়িও খুব সাধারণ, চিন্তা খুঁজেই জীবন ব্যয়
পাতার নীচে খয়েরি ডালে কোকিল বসে প্রেম ছড়ায়

মন থেমেছে তারের কাঁটায়,স্বজন ছোটে অনেক দূর
ক্ষতের পায়ে গল্প রেখে তফাৎ কেবল নেশায় চুর।

জায়গা শুধু অনেক চেনা নয়তো তফাৎ দেশের গান
সুরে তালে বাচ্চা বলে, বাথরুমে গেয়ে ঘেমে স্নান।

মেজাজ শুধু চাকরি বোঝে,পরেই থাকে মতের ন্যয়
পাল্লা ভারি সবুজ গাছে,ছোট্ট বেলা খুব অন্যায়। 

সাজিয়ে রেখো পেয়ালা-চায়ে, জং লাগানো শিরার জেদ
বয়স তো আজ বেড়েই যেতো,থাকতো শুধু কথার ভেদ।

কেবল যখন ঘুম আসে না,আত্ম প্রকাশ জড়িয়ে নেয়,
পাত্তাটুকূই সঙ্গে থাকে।হাল তুমারা জাবাব হ্যায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ত্রিপর্না


 

*ত্রিপর্না*

সেবার রোদে পশম দু-হাতে
ঘড়ির কাঁটায় বিষন্নতা জাগে।
যদি কিছু সন্ধ্যে অতীত থাকে
গল্প শিখে তফাৎ চেনার আগে।

ঠোঁটের নীচে কিতাব ছোঁয়া মু,খ
তৈরি আছে নতুন কোনো আলো।
দূরের গাছে জ্যোৎস্না দেখার সুখ
খেয়াল বশে অভ্যাসও তো ভালো।

আজ যেন সব ভীড় কেমনে ভয়
পরিপাটি সেলাই বোনা মুঠো
শক্ত কোনো লাঠির কড়া ঘায়ে 
একলা হলে সঙ্গে তাকে রেখো।

কেবল দূরে সাঁকোর পাড় দেখে
ভিজিয়ে রেখো নরম দুটো চোখ
প্রাচীন মতের সমান মান রেখে
দেহের কোনে স্মৃতির জল মুছো

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাহারী শরৎ

 *বাহারী শরৎ*

এমন দিনে বৃষ্টি হবে এটা ভীষণ দোটানায়
তোমার কাছে থাকলে বোধহয় এমন হতো না। 

শ্রাবণ দিনে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়াও ভালো,
যেতাম কোথাও হারিয়ে যেমন ধোঁয়ার গড়ন কালো।

কোথায় যাবো! অরণ্যেতো কষাই জনক লোক!
রোদ নিকানো গাছের ছালে আঘাত করার শোক।

মাঠ জুড়েছে হালকা ভারী শরৎ কাশেরা
আগমনী আসলে পরে পাবে আদর ওরা।

জানতো কেবল পরিশ্রমে নেইতো অনীহা
চোখের তারায় কাজল রেখে সাজেই মনিহার!

সে আর এখন ঠোঁটের কোণায় রাখবে না জোছনা!
একসাথে থাকলে বোধহয় এমন হতো না।।

সমদ্দরে বৃষ্টি থামুক সেজে উঠুক বাহারী উৎসব,
ঢেউ তো রোজ আসে যায়। সহায়ক সূত্র বাস্তব।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্বাধীনতার মতো

 *স্বাধীনতার মতো*

আমিও থাকলাম। রয়ে যেতো ফেলে যাওয়া চিঠিরা
উড়ছে আকাশে।গগনচুম্বী।বিস্তর শামিয়ানায়,
রক্তের শব্দ নেই। জীবন ব্লেডে কাটছে শিরা,
লেখার বিভাগ শেষ। থেমে গেছে সমাপ্তির অজানায়।

আজ বৃষ্টি হবে জানি। মেঘ ডাকবে আর আগেকার
পুরোনো সব কথা মনে পড়বে বারংবার।
বন্দরে জাহাজ ঠেকবে। জলে উচ্ছাসে সীমানার
খয়েরি মাটি ছিঁড়ে দেবে অক্ষত কাঁটাতার।

যাওয়া হবে না। কারণ গেরুয়া কাপড় জুটেছে আমার,
তোমার নতুন পথ।দিশাহীন পীড়িত কথার ছলে-
হাইরোড় ছাড়িয়ে এসেছি সক্ষম রাস্তার-
এবার গল্পের শেষ ভেসে উঠছে ক্রমশ জলে স্থলে।

ছিলাম থাকার মতো। শিকড়ের গ্রহণীর আলপনায়।
তারপর ঢেকেছে মনখারাপের নিভে যাওয়া মোম।
আগের ব্যালকনির বসে থাকা দিন গোনায়
আজ স্বাধীনতায় জেগে উঠুক দেশাত্ম পশম।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুদীপ্তা দি


 

*সুদীপ্তা দি*

দু'হাত ছুঁয়ে আগলে রাখা, কথার প্রলেপ ঠোঁটে সয়
মায়ের মতো অবস্থানে লিখলে কাগজ শেষই হয়!

সই জড়তায় বদ্ধ ঘরে বৃষ্টি হলে থমকে যায়, 
ভালোবাসার গোলমরিচে টুকরো স্মৃতি জবাব নেয়।

মনে বলে তো হালকা থেকে স্বপ্নে হেঁটে ভিরমি খায়।
আঁচল দিয়ে আগলে রেখে আদত বুঝে শান্ত হয়।

আসবে তুমি, আসবো আমি তক্ষুনিটা থমকে যায় 
কলকাতার এ শক্ত বুকে ভিনদেশি রাও স্বজন হয়
 
একটা করে জন্মদিনে ছোট্ট কিছু লেখাও হয়
মায়ের মতো দিদি হয়েও শেষের হাসি বেশ মানায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঈপ্সিতা


 

*ঈপ্সিতা*

বৃষ্টিতে রোদ ভিজছে, কফির চুমুকে রঙিন খাম
আসল কথার চিঠি আমিও বিকিয়েই দিতাম
চেনা রেলিংএর গোপনতা জলে ছোঁটে চৌকাঠের!

দেশলাই খোলে শরীর লুকোয় ধমকের সরবরে
ঘর ফেরে আল ভেঙে চৌমুখ, আঁচ করে... 
স্মৃতির পাতায় শ্বেত নকশার রুমাল ফের।

এবার বাইশের বয়স ভোরে চিলেকোঠা ভিজে একাকার।
শিরার বিচার বসে কাপড় ছেঁড়ার সরু তার
নতুন ছাদ ওঠে মালিকের ভয় বৃষ্টি  শরফের !

গানে তার অবাধ গলা মনে হয় পাশে শুই,
এমন তারিখ দেখে মার পরে পিঠে দুই।।
সুযোগ তবু জানিয়ে গেছে সমাপ্তি আমাদের...
 
তুমি এবার বাইশ নও নাকি তফাৎ আছে কিছু মাসের?..

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বারিষ


 

*বারিষ*

গল্পে আছে অন্ত কোনে
এমন হলে সঙ্গে যাই,
নতুন চোখে সকাল এলে
বৃষ্টি হবে ধোঁয়ার ছাই।

সন্ধ্যে যদি তোমার হতো
হাসির বেশে খিদের লোভ
ফুলের তোড়ায় রাত আঁকাতে
সাজায় বাগান সবান্ধব।

কথার ভিড়ে পাইনি হৃদয় 
শুকিয়ে ঠোঁটে সবুজ গান
নগদ গুনে বদল নেওয়া
আকাশ মেঘের অবস্থান।

আজতো কোথাও গ্রহণ নেই
বইয়ের পাতার রাজার দেশ
পড়ে আছে খোলাম ঘুচি
জন্মদিনের ছদ্মবেশ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অঙ্কন


 

*অঙ্কন*

হাত তুলে দিক দিশাহীন চিঠিরা,
পালক ঝড়ায় যত নিস্তার শামিয়ানা।
আচমকা বাতির শব্দ দলছুট শিরা 
হারিয়ে গেলেই চেনা পথ অজানা।

আজ তবু বৃষ্টি হবে। মেঘে।
পুরো বুটের শোল শুকোয় রোদে
কিরকম বিচক্ষণ কখন রেগে
পায়ে পায়ে সাঁতরায় খটখটে ছাদে

থাকে নিজের মতো।থাকবে না।
দুটো রুমালের ভাজের মন
একে একে ব্যলকনি রেলিং গোনা
ব্যস্ত হোয়াট অ্যাপ ব্যস্ত ফোন।

আবার কখনও দেখা হলে
শুরু করও কেকে কাটা থেকে
অক্ষর সরঞ্জাম গুছিয়ে নিলে
ফিরে এসো এমন তারিখে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভিষিক্তা


 

*অভিষিক্তা*

অভিষিক্তা এক শিকড়ে উৎপত্তি 
পেয়েছি জংশনে কিংবা শোরগোলে
কথায় রাখে-না প্রকাশ্য সমাপ্তি
তবু যা স্বপ্ন, রাখে রুমালে।

ক্ষুদ্র ও কুটির মনের খোঁজে 
লাল সমুদ্রের পাথর।ছাই,
আকাশ মেপে ওড়ায় নিজে।
কী দিই তাকে!কেবল লজ্জাই।

এতটা যে আজ বজ্র আসেনি
রক্ত ছোটেনি বরাবর শিরাময়
এমন মেয়ে আগে দেখিনি
সব গল্পে প্রশ্নই সব নয়...

রোজ ব্যস্ত দিন বিস্তর
আঁকড়ে রাখে উত্তর খিদে
নিজের ছায়ার মতো সাক্ষর
অচেনা বলে কবিতাই আন্দাজে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তনুশ্রী(সাহা)


 

*তনুশ্রী(সাহা)*

শিকড়ের আভাস।কাজল চোখ
শরীর মানুষ জীবন শিথিল
ঠোঁটের নীচে কথার খাতা
চরা বালি মনের পরিচিতি।

অনেক দূরের চাঁপার ভ্রমণ
গাছ পাতা সবটাই বৃথা
দৃষ্টি ভেজা কাপড় চিকন
এসব আগেকার গাঁথা

চেনা নয় অনেক ফারাক
গভীর ঘুমে আত্মীয়রা থাকেন
আজও ছিলো বৃষ্টির খোরাক
লিপস্টিকের ডিজাইন দেখেন

আগে তো লিখিনি এমন
হতে পারে না বোঝার মতো
মাফ করে দিও তখন
আজ লকডাউন ফুচকার ক্ষত।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Sunday, 20 September 2020

মৃত্যু শরৎ


*মৃত্যু শরৎ*

কাশবনের ওই নীল দুপুরে 
শিশির এসে ভেজায় ছাদ
আমি কোনো স্রোতের ভীড়ে
তোমায় ছাড়া কাটাই রাত!

আর কখনও আদর নেই
নেই ভরসার কোমল হাত!
পাতার ভেতর শুলাম যেই,
ক্ষতের কাঁটা বাধলো ফাদ।

তবে আমি আসবো-না আর
রং মেখে ওই নীল দুপুরে
ঝড়ের বদল থমকে যার
মৃত্যুতে সেই জীবন সারে।

এমন শরৎ তুমিও স্নেহে
দেখবে শুয়ে শিউলি ঘরে,
রক্ত মাখা কঠিন দেহে
যন্ত্রনা সব ঝুলছে তারে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

চুল্লিঘর

*চুল্লিঘর*


সময় কখন যায় বা আসে কে-আর তাতে তফাৎ বোঝে
মৃত্যুপুরী স্বপ্নে এলে সবাই বোধহয়  শান্তি খোঁজে। 

রক্ত জমাট কঠিন হৃদয় চিতায় ফেলে মশাল জ্বালো।
আমরা যাদের সঙ্গ বুঝি, সে আর কোথায় পাবে বলো!

মৃত্যু এতো সহজ তো নয় যত হিসেব কথায় আসে,
চুল্লি ঘরে জ্বললে আমি আত্মা নাকি হাওয়ায় ভাসে!

শরীর ভীড়ে দুধের বিচার মায়ের দেহ কি জাত মানে,
শক্ত করে ধরলে হাতও এসব কে আর মনে আনে।

তৈরি থেকো সময় এলে তোমায় নিয়ে যাবেই ওরা,
বলবে এবার ঘি মাখিয়ে সাদা ঢাকায় আগুন ধরা।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল


#শব্দলেখা পত্রিকায় প্রকাশিত...

মধুঋতা


 

*মধুঋতা*

ছোট্ট কোনো গল্প ভেবে
তোমায় রেখে লিখবো যেই
পায়রাগুলো রাতের ঘোরে
উঠোন জলে নামলো সেই।

ক্ষুদ্র আরো ক্ষুদ্র হতে
রক্ত রাখো হাতের শিরায়
সামলে রেখো মনের থেকে 
দুপুর তবে সরে দাঁড়ায় 

তুমি থেকো এমন সুখী
চলছে এখন শরৎ মরসুম
নয়তো হবে ব্যর্থ সবই
রুমাল ম্যাজিক,ঝরাই ঘুম।

সকাল এলে দাগাও তারিখ
ঘুমের বালিশ চোখেই রেখো
কোকিল, শালিক ঝরায় বারিষ 
চাঁদের আলোয় সামলে থেকো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা


*শ্বেতা*

সবকিছু মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়
সময় যেমন বিরোধের ছল বোঝে
আসলে বিবেক অকারণ দীর্ঘ হয়
মানটুকু অভিধানে ফের খুঁজে!

হাতে হাত রেখে ছুটে যায় বহুদূর
খেয়ালে কখন অভিযোগ ভীড়ে 
সঙ্গ আছে সাথে গলায় কিছু সুর
ফিরে আসে দিগন্তের আল ধরে।

জংলা শহরে, রোদ, জলে, ছাইয়ে, ঘাসে
দেখিনি বিনিময় চিঠি লেখা বন্ধন
ঝরে ঝরে পড়ে একে এক মাসে
সব যায় বারবার আলগা হয় মন।

সবকিছু দূরে দূর থেকে যাওয়া ভালো
পা ফেরে প্রশ্নে 'কি কেমন আছো তুমি?'
আজ খুশির দিন জ্বলুক সারা ঘরে আলো
ভালো থেকো শ্বেতা খুশি থাকো তক্ষুনি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৃত শরৎ

*মৃত শরৎ*

আমিও তোমার সঙ্গ পেয়ে হারিয়ে যেতাম গভীর বনে,
স্বপ্ন প্রেমের যত্ন ছেড়ে আগলে নিতাম একলা প্রাণে।

বলো তুমি এমন কিছু হলোই বা আজ কাল,
ছাড়বে আমায়, দুটো হাতও জড়িয়ে দেবে সবুজ শাল!

আজ তেমনই শরৎ দেখো মৃত্যু মিছিল খয়েরি মাঠে,
রক্ত জমে পচছে গাছও শকুন দেখেও টপকে হাঁটে।

এবার এলে আগমনী, আসবো ফিরে সবুজ মাঠে।
ভোর আলো আসবে ওরা দেবে মুখে জলের ছিটে!
 
দূরের পথে ছুটছে ঢাকি, বাদ্যিগুলো ডাকছে ওই,
মরণ রোগে মুক্তি পেলে জন্ম হবে আবার সেই।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল


প্রকাশিত #শব্দসাঁকো মহালয়ার পত্রিকায়#

বৃষ্টি ফোঁটায় তুমি

 

*বৃষ্টি ফোঁটায় তুমি*

কখনও দাম্ভিক নজরে 
প্রকাশ্য শুভেচ্ছাটাকে
ডেকে ফেলো মেঘলা 
রোদের ঘনীভূত বৃষ্টির
ফোঁটায়।

লাল রক্তিম ঘনিষ্ঠতা 
শ্যাওলা ঝড়িয়ে সোনালি
ড্রিম লাইট বৈষ্ণবী তিলকে 
ভালোবাসা খুঁজতে বসে 
গোধূলি হাওয়ায়... 

জলের থেকে দূরত্বটা অনেক।
মাটির মতো ঘোলাটে মন্ত্রে জেগে
ওঠা রোজকার মতো ছিল সব।
জানতাম না বেঁচে থাকার মানে
সত্যি জ্ঞানের জ্যোতিষ্ক অধ্যায়...!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পূজা


*পূজা*

কথাও ছিলো দু-একখানা 
দূরে এসেও থমকে যাও
দীর্ঘ বছর পেরিয়ে এসে 
কোথাও যেনো হতাশ হও।

কেউ হয়নি তোমার মতো
জলের ভেতর ক্ষতের শোক
হাতের ওপর বদলে জীবন
আগলে রাখো উদাশ চোখ।

সে-ছিলো এক রাজার বাড়ি 
সৈন্য ছাড়া শত্রু শেষ।
মধ্যমনি তুমি বলেই
আকাশ ছোঁয়া অবাক দেশ।

আজ সকলে তোমার হোক
থাকুক মনে ঘুড়ির টান,
দিন বদলের চলুক শহর
মুছেই নিও সব অভিমান।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৌসুমী


*মৌসুমী*

বিকেল থেমে সেতুর ওপর
সময় যখন থমকে যায়, 
রোদের আভা কলচে হতে
মৃদু বাতাস গান শোনায়

জলের নিকট গাছের প্রিয়
ঘুম দুপুরে অবাক মেঘ
দেরি হলেও কথার খেলাপ
হতেও বাকি এমন জেদ

স্বপ্ন তোমার শীতের আমেজ 
মন যেন আজ উড়ান-নেশায়
আসতে অনেক দেরি বলেই
গল্প আছো রূপের কথায়

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়া


 *শ্রেয়া*


এখন তার, রাতের ঘুমে
আঙুল ছুঁয়ে যাওয়া সম্পর্কে 
একান্ত ব্যক্তিগতই তুমি।

এ কেবল খেলার ছল
না চোখের জলের থেরাপি!
নাকি বাস্তবের মুক্ত কর্মফলে
বারবার এড়িয়ে যাওয়ার ছল!

স্রোতে জমা পায়েস হাঁড়ির 
গভীরতা যে ছেদ বানায় ,
তা পোড়া দাগের মতো লাগে,
সবুজ ঘামের পান্না হাত বুলিয়ে 
ধৈর্য্য শেখালে তাতে পাশ্চাত্য রান্নার
সাথে তুলনা করো বারংবার, 
যেমনটা তোমার রূপের সাথে করে বসি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনামিকা


*অনামিকা*

তোমার সাথে দূরত্ব পাই যখন
ঝুঁকির মুখে সমুদ্র স্রোত শিউরে 
বছর ফিরে আবার আসা মানে
মনের ভেতর দিন বদলের বাইরে

তফাৎ তোমার অজানা নয় সাক্ষী 
চমক টুকু প্রকাশ পাওয়াই ইঙ্গিত 
শহর ভুলে মাস্ক মুখোশের তারিখ
খনন যেন রাজ মুকুটের সঙ্গীত।

একটা দুটো বালির স্তূপও নিঃসাড়
বৃষ্টি বোধহয় শান্তি দেওয়ার নৈর্ঋত
ক্রিমগুলো তো ঠোঁটের ভেতর জব্দ 
ভালো থাকা অবাক স্বাদের বৈরী।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পায়েলকে


 

*পায়েলকে*

কোথায় যেতে তা জানি না,এটা বোধহয় ঠিক
শ্যাওলা ভোরে তুলেও সুর,শরীর যান্ত্রিক।

অনেক দিনের গল্প বাকি,পুকুর জলে ডুব
থমকে থাকা খেয়ার পারে একান্ত মনসুব।

আমরা যেটা ফিকির বুঝি,দিয়েও ফেলি সায়
সেই ভুলেতে নিজেই জড়াই নিতান্ত অধ্যায়।

প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে বসো আলতা ঘেরা পা
আগুন ফেলে হাঁটতে শেখো যেদিকে সন্ধ্যা। 

দেখা হতো,নাই বা হলো,তা বলে সুর শেষ
মিষ্টি এবার ফোনেই সাজাও সাথেও দরবেশ।

তাকিয়ে দেখো দূরের দিকে যেন আপনজন
ফোনের দ্বারে আমিও পথিক আসি সারাক্ষণ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমো

 


*রিমো*

শহর ভুলে এলাম গাছের তলায়
একটি ডাল ও বাকি ডালের গোড়ায়

সাল করোনায় আসি গলির মোড়ে
হঠাৎ কোনো বাতাস এসে ঘোরে।

বর্ষা ঋতু মরশুমিতেই যেতো
বাঁধন খোঁপার আলগা ফিতের মতো 

উঠোন ভরে সাজায় জলের স্রোত,
দিব্যি ঢেকে মোছাও অজুহাত।

যদিও ভুলে শহর ছেড়ে আসো
 মনের ভুলে তক্ষুনি খুব হেসো!

আজ যেমনই ঘরে থাকাই ভালো,
ভালোবাসার মধ্যে দেখেই চলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমো আবার




*রিমো*

দু'হাত তবু শূন্যে থেমে হাওয়ার মতো হয়
ভালোবাসা আলগা হলেও যত্ন থেকে যায়

বৃষ্টি কোনো দুপুর দেখে বিরাট ভেবো না
বিচ্ছেদেও রাতে বয়স হয়তো ছ-আনা

মন খারাপের দূরত্বটা থাকুক অপেক্ষায়,
শুকনো ঠোঁটে ক্ষতের আঘাত বড্ড গাঢ় হয়

আসবে তবে মিশবে ঋণে যেমন আকাশ হয়
স্বপ্ন তখন দেওয়াল ভেদে মন ভাঙিয়ে যায়।

আমরা যারা নিয়ম বেঁধে শহর ভেঙে চলি
অনেক আশা থমকে গেলে ফুঁপড়ে কেঁদে ফেলি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভি

*অভি*

বৃষ্টি ফোঁটায় আঁকলে শরীর সময় সান্ত্বনা 
শেষ বিকেলে আসবে ওরা সেটাও যেমন না।

জলের ছাপে ঝাপসা আকাশ কুসুম চেরা রোদ
একটু তোমার কাছেই এসে শান্ত হতো চোখ।

ভিজবো যদি তোমার সাথে দূরত্ব বা কি!
আমি তখন স্বপ্ন ভুলে ভিরমি খেয়ে থাকি

পায়রাগুলো ওদের ছাদে বকম বকম গায়
শরৎ দুপুর মেঘ ঝরিয়ে বৃষ্টি রেখে যায় 

থাকতে পারো চেরাই কাঠে কিংবা অপেক্ষায় 
যত্নগুলো ভাঙতে দেখে মনটা এমন হয়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 2 September 2020

সুমিত


*সুমিত*

আর শরতের কদিনই বা বাকি
রাস্তা জুড়ে ট্রাফিক ঘন জ্যাম
তোমার এখন যৌবনও তো নাকি
মনে ভেতর প্রেমের রাধেশ্যাম।

মৌন মুখে হাসির কোনো ভুলে,
রাই তবে আজ ঘুমিয়েছে দোলনায়
বৃষ্টি গেছে ছোট্ট প্রদীপ জ্বেলে
শহর এখন আকাশ সামলায়।

হৃদয় তবে উদার কোন পাড়া
মেঘের সাথে রাত্রিবাসের সাজ
দুপুর বুঝে ঘুমেই দিও সাড়া
ফলক ছেড়ে বেরিয়েছো যে আজ

শ্রাবণ এখন নৌকা বানায় চিঠির
ঠোঁটের কথায় মুচকে হাসে কম
বুকের ওপর অন্ধকারের প্রাচীর
গানের গলায় মন ভড়ানো নাম...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল
 

Friday, 7 August 2020

অমিত

Add caption


  *অমিত*

ত্রিঘাটে তরী বায় অগভীর জলে
সময় দিন গোনে কথায় কথা বারে
আমরা স্বাভাবিক অবহেলার ছলে
শিখে আসি তোমার আগন্তুক দ্বারে।

মাটির ফোন, স্বভাবে বিবেক লুকোয়
অনেক বোঝা হয় ঢেউয়ের পর
পুতুল ভাঙে ঘাটে ছুঁড়ির কোণ দেখায়
স্থির চোখ। আপোস। অবসাদ অতঃপর।

ফটক ফ্রেমের জবাব আসে উড্ডীন
বয়স বাড়ে, থেমে যায় রঙের পোচ
রাতের উত্তরীয়, জোনাকির জীবন ক্ষীণ। 
এমন খেলা দাবি নেয় অতীন্দ্রিয় রোজ!

এভাবে থাকো বারেবার সকলের মাঝে  
কমে থাকুক অভিমান, হৃদয়ে ছোপ!
ঠোঁটের অন্তর কঠিন হোক গল্পের সাজে,
ঘোড়ার জিনে অমিত অমিত প্রকোপ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শুভজিৎ


*শুভদ্বীপ*

স্বপ্ন যখন খেয়াল বশে প্রকাশ আনে মূলদিকে 
নতুন করে হৃদয় এসে বাতাস মাখায় হিন্দিতে...
গেরুয়া আলো দাগ কেটে দেয় পেয়ালা চায়ে সংক্ষেপে 
এখন কোথাও রোদ পরে যায় ছোঁয়ার দোষের অন্তেতে।

ও পাড়াতে নতুন বছর, অনেক স্মৃতির সময় শেষ
আলগা বুকে অবাক থেকে ফুরিয়ে আসে সমন্বয়
লেন্স জড়ানো চশমা মুখে হাসির রেওয়াজ বদ-অভ্যেস 
বাষ্প যত আকাশ মেখে হারিয়ে যাওয়া গল্প নয়।

ঠোঁটের মুঠোয় ঝড়ের ছবি শ্রাবণ গোনা দারুণ জেহাদ
নামবে যবে মাটির নীচে থাকবে কিছু হাতখরচ
এবার তবে তৈরি থাকা, সুস্থ থাকুক কোমল হাত,
ফুরিয়ে আসা পদ্য শেষে থমকে থাকুক চোখ-মগজ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Thursday, 23 July 2020

রংমরিচ

*রংমরিচ*

তবলার খোল,খড়ের মাথা
চলাচল পথ অন্তিমে শিথিল
দোয়াতের রঙ,কালির খাতা-
বালুচরের ঘর,উঠোনের পাঁচিল।

অনেক ভ্রমণ, দেওয়াল ঘড়ি
সময় নতুন,পরিচয় বৃথা।
দু-চোখের তীরে অবসাদ গাড়ি
আসলে জটিল-মন নষ্ট অযথা।

একটা শরীর,বেসুরে গান
সফরে চাদর মুড়ির স্তুপে
আকাশ ছোঁয়া শাখাচূড় প্রাণ
বিরহ আঁকা কৃত্রিম ছাপে।

জল সরে জন্মায় স্বপ্নেরা
যুগান্ত মোছায় বিভেদ খুলি
ভাগ নেয় পিশাচ গল্পেরা
মলাট ছেড়ে বইয়ের লেখাগুলি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৃতের মানুষ(ভিকি মজুমদার)




*মৃতের মানুষ(ভিকি মজুমদার)*

সেলাইয়ের সুতো দিয়ে রাত বোনা নিঝুমে
আসলে অবাক চোখে থেমে আছি ঘুমে।

বড় সাধ রেখে সেও সাজায় যজ্ঞের ঘোড়া ,
আসে না কিছু, তলোয়ারে সব্জি কাটা ছাড়া।

মোমের মিছিলে কেউ  চুপ নেই ঝড়জলে,
গাছ উঁপরে যেতে, চারা রোপণ সহজে সফলে।

কে আছে তোমার, কে আছে শব্দের খেলাঘরে,
মৃতের মাটির ভেতর আত্মারা শুয়ে পড়ে।

তখনই বৃষ্টি আসে। ভেজে আকাশ। পথও।
দেহের ভেতর মানুষ, ফিরে এসে উদ্ধত।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঢাকের কাঠির অন্তপাঠ

*ঢাকের কাঠির অন্তপাঠ*

ঢাকের কাঠির মেঘ ছড়াতে, শিউলি ফোঁটে ওইদিকে,
আমরা এখন শরীর লুকোই আতঙ্কে বা মন-ছুঁয়ে।
ঢেউ জমেছে বর্ষা নীচে, মুক্তি আছে কোন মুলুকে
হৃদয় তখন বজ্রায়মান। ধমক দেবে ক্ষণিক ভেবে...

বিজয় তবে শেষ গোধূলির, রং ও স্মৃতির শেষে।
বন্দি জলের ভেতর ক্ষতে, আতর দেবে ভীত মেপে,
লেন্স যখনও মিথ্যে লুকোয় মর্মাহতাও খুব হাসে
বাষ্পেরা দৃশ্য খোঁজায় ইতর এখন সভ্যতাতে।।

সৃষ্টি কিছু মাতাল হতেই বিবেকহীনে হাত খরচ।
ভাসছে হাওয়ায় চিরকুটেরাও। দুলছে কাশে সংযমে,
হয় যে মাটির সংগতিও, বিচিত্র আজ বিগ মগজ।
স্তনের পাশে কাগজ চেটায়, দুধের স্বাদের মাধ্যমে।

সময় ভুলে রোদ এসে রোজ অঙ্ক শেখায় তল্লাটে
ঢেউ জমেছে দেহের ভেতর অতীত ভেবে মিশতে হলে,
শক্তিরূপী রুদ্র মাকেই প্রণাম করি অন্তপাঠে।
আকাশ তবু আভাস দিলো ফলবে ফসল জল-স্থলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

#প্রকাশিত :- কবিতা কুটির পত্রিকায়

কালপুরুষ

*কালপুরুষ*

কমলা রোদের আকাশ যখন চোখের ছোঁয়া চায়
আমরা তখন মেঘগুলোকে হৃদয় দিয়ে জুড়ি।
হাওয়ার সাথে প্রেম জমে না বলতো কোনও চিঠি।
এমন যখন ভাবনাগুলো একলা ছেড়ে ফিরি...

জলের বিচার ভুল হবে না শব্দে যদি গুনি,
আমরা আবার প্রতি পদে তোমায় খুঁজে বসি,
রক্ত কি আজ দেহেই থাকে? নাকি পরিবারেও
দুঃখ সুখে হাত মিলিয়ে আবার ফিরে আসি।

এই দেখো না তোমার নামে গর্জে ওঠে শরীর।
শক্ত কথায় জ্যোৎস্না আলোয় উজ্জ্বলতা সাজে,
তোমার নামে এই পরিবার নৌকা ভাসায় চড়ে
এ আমাদের ''কালপুরুষই" রয়েছে তার মাঝে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 17 February 2020

ঋদ্ধিপালী


*ঋদ্ধিপালী*

যদিও তোমার উপস্থিতি স্বাধীন
জিহ্বা জুড়ে তফাৎ খোঁজার গান
বলেই বসো শরীর মনের রাজন
সামলে রেখো ওষ্ঠাগত প্রাণ!

আগুন যতই ভোরের আঙিনায়,
গল্প জমায় চিকন দুটো গালে।
বসন্ত আজ রয়েছে সন্ধ্যে আগে
ঠোঁটের রঙে শাড়ি মতো লালে।

বলো তবে সামান্যতাও ঢের
জিভের তাকে পুড়তে আমি রাজি।
এবার দ্যাখো সত্যি বেঁচে আমি।
কেউ তো এসে জড়িয়ে নিতো আজই!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তমাল

তমাল

চশমাটাকে আগলে রেখে উল্টে পড়ে নিজে
সেলাই করা ঠোঁট দুটোতে বকতে পারে কী যে!

গালে তেমন টোল পড়ে না ভীষণ প্রিয় চিকেন
দাঁড়ি বেঁচে আকাশ কিনে মেঘ ছড়িয়ে দিতেন।

মূতিবানের মন আছে তো ফচকেমিটা মুখে
দাঁতের ফাঁকে গল্প লুকোয় ফোনে।ফেসবুকে।

সবাই বলে নামে মাতাল।আসল দোষ কীসে?
ঠোঁটের কথার আওয়াজ শুনে পেগেই থাকে মিশে!

আমন্ত্রণের সুখটাকে তো স্বভাব গোপন করা
প্যান্ট জামাতে গম্ভীরতা তারিখটুকু ছাড়া।

আমার বোধহয় ব্যঙ্গ বদন।নাম রেখেছি পাঁইট
তোমার এখন সময় ভালো।তমাল নতুন লাইট

(কখন দেখো এমন ছেলে একলা কোথাও গিয়ে
হৃদয় তোমার কাছেই রেখো আগলে তাকে নিয়ে।)

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

তনিমা



*তনিমা*

দু-চোখে দিয়ে আদর ছড়ায়...রূপকথারই পাঠ
তখন তাতে জড়িয়ে থাকে কাজল ভরা শিশির
ঠোঁটের কোনায় মুচকি হাসি, সুদুর লোহিত মাঠ।
সন্ধ্যে এসে রাত ছুঁয়ে নেয় ক্লান্ত হাওয়া। নিশির।

ভাঁজের শাড়ি আকাশ পাতে ছোট্ট কানের দুলে।
জলে সাথে মেঘের দেখায় দিগন্ততার রঙে
স্বপ্ন ঘেরা নতুন দেশে...হারিয়ে যাওয়ার মহুল
না চাইতেই কথার সীমায় শব্দ থাকুক থেমে...

গল্পগুলো রোজ হয় না। শরৎ যেমন কাশের
তোমার তখন খুশির খবর। নতুন পেলে নামে।
শাড়ির পারে আলগা বাঁধন...হাসি উল্লাসের
রাতের ফারাক দিন মুছে দেয়।খুনসুটিরই দামে...

যারা তোমার একলা ছিলো।বীজ রাখে তাই বুকে
তবু তাদের দুঃখের দিনে হাসি নিয়েই এলে।
তুমি তাদের অবাধ্য মেয়ে।তুমিই তাদের সুখে
অভিমানের সেতু ভেঙে যখন ভাসো জলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৃজিৎত

 

*সৃজিৎ*

দেওয়াল তখন অন্ধকারে। আলো কোথাও নেই-যে
বৃষ্টি এবার ডিসেম্বরে ফিরবে ঘরে ভিজে!

গালের ওপর স্রোত বয়ে যায় চশমাটুকু ফিকে,
চোখের পড়ে ঠোঁট নেমেছে নাক বরাবর দিকে।

মূর্তিগুলো আবছা হতেই হয়তো গোপন করে,
মাথার ওপর রক্ত জমে ফাজলামিটা ঘোরে।

সবাই যখন দিনের শেষে ফিরছে হাসি মুখে
ছবির সাথে পাল্লা দিয়ে পোস দিচ্ছে সুখে

মিষ্টি সুরে গান ধরেছে কান পাতে বা কিসে,
ঠোঁটের কোনায়  ঘুগনি ঝরে চাইমিনেতে মিশে!!

বয়স বোধহয় একশো আশি। হাজার কোটি লাইট,
নামটা শুনে বেশ লেগেছে লম্বা আছে হাইট।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


ওরা ভালো থাক

*সেভাবে দেখোনি আমায়...*

সেভাবে দেখোনি আমায়।
যতটা ঘেন্নায় সকলে দেখে!
ফিরে এসেছো বারেবার,তবু মুখ
ফুটে কিছুই বলোনি।

বৃষ্টি মাখা রোদ যখন কাদায় প্যাচপ্যাচে।
তুমি কি তাকে সাহস করে প্রশ্ন করেছো? কি পেয়েছো চেয়ে থেকে!!

পেয়েছো কেবল কিছু অদ্ভুত মানুষের সংকেত,
গেরুয়া-সবুজ-লালের রাজনীতিতে মিশে গেছে তারাও।
ওরা অবুঝ ,ওরা বোঝে না মৃত্যুর মানে।
কেবল ছুটে যায়, কেবল ফিরে চায় মানুষের দিকে
পায় না। কিছুই চায় না,শুধুই শরীরটুকু চেনে...

কিরকম লিখবো বলো এবার? প্রেমের গান!
আমিও তো কবিতায় থাকবো না।
বলব কি করে! কেমন আছো তুমি? কি অজুহাতে চেয়ে আছো এক দৃষ্টে...
আমার দিকে।অসহায় ভাবে।ক্রমশ ফিকে হয়ে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল


*গ্রহনী চাঁদে নিন্মচাপের ক্ষত*

এক মুহূর্তে বাস্তবতা ভুলে রাস্তা আলোয়,
ডানা মেলে ছুটে এসে তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে চলে যেত
যে বাতাস!

কোন অচিন আকাশ একদিন
তাকে সাজায় কেবল তুমি সাজেই।
হারিয়ে যায় তার সাথে।কোনও গোলাপি দেশ,
মাটির থেকে অনেক উঁচুতে,শূণ্যের থেকে অনেক নিচুতে।

স্মৃতির থেকে অনেক ভেতরে, মনের হতে ভীষণ আঁধারে।

তবুও লালচে আলোয় ফিরে আসে যে গ্রহনী চাঁদ, তাকেও ঢেকে ফেলে শক্তিশালী নিন্মচাপের মতো।ক্রমাগতই বিলাপ করে তারাদের কাছে।

এখন বুঝতে পারেছো! তুমি ঠিক কতটা দামি।
আমার কাছে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*যদি একবার পিছিয়ে এসে দেখো*

মস্ত দেওয়ালের ফাটলে বিস্তর চাঁইগুলো,
প্রকাশ্য জগতে সকলের চোখ এড়োতে পারে না কখনই,
আক্ষরিক চড়ুইভাতির রেশে,কিংবা বর্ষাতির মরশুমে।
গভীরে রাতে জ্যোৎস্না ঝলক যখন জানালার রড বেয়ে ঘরে প্রবেশ করে।
তুমি কি তাকে দান করতে পেরেছো কোনো ভিক্ষুকের হাতে!
নিপীড়িত,অসহায়তার থেকে আরো অনেক দূরে সরে এসে!
না পারো নি তুমি এটা,একটি বারের জন্যও পারো নি।
অবশেষে তারা ভোরের আলোয় মিশে যায় বিছানার সাথে।

দেখো ফলক সরে আসছে সূর্যের কাছাকাছি
আকাশ, মেঘ পেরিয়ে ক্রমশ কুয়াশা ঢেকে নিচ্ছে,
তুমি আক্ষেপ লুকোতে ফিকে হয়ে  সকলের অলক্ষ্যেই
পরে নিলে দেহের ভেতর লুকোনো পাথর।
লাল-নীল-সাদা ভীষণ ভীষণ উজ্জ্বল পাথরগুলো।
অবিলম্বে মুক্তি দিতে শুরু করে কলঙ্কিত সক্ষম,সংযম
মনের কঠিন যন্ত্রণাগুলো।
জাগতিক আবদার ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার হতে
যদি একবারও পিছিয়ে এসে নরখাদকের বিনাশটুকু দেখে ফিরতে।
ভালো থাকতে...!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*বিদায় বন্ধু বিদায়*

কটা নরম পর্ব প্রকাশ করলে জানি না।
যুক্তির কোনো আলাপ, আমি মানি না।
আমি চিনি গোলাপের কাঁটায় বেঁধে আছে যারা।
নেতাদের মৃত্যু হতে দেখি আমি।
কখনও দেখি নি।
দেখেছি অসহায় সভ্যতার অশরীরী মহারাজের হাসি।
বিশাল অট্টালিকায় কেবল একা তিনি।
তার কেউ নেই।
গোটা দেশ তখন ইতিহাস গড়ার মোদকে তৃপ্তি নিচ্ছে আলগোছে পৃথিবীটাকে গিলে।
কেবল খাওয়া হোক সরাসরি।বাকি সবকিছুর ক্ষতি নেই!
রোজ মনুষ্যত্ব মরে পশু হয়।হিংস্র হয় সামুদ্রিক বিষধর মাছে মতো।
কোনঠাসা সমস্ত জগত।কেবল দর্শক আমি।
কেউ বেঁচে নেই তবে আর।নেই কারোর বেঁচে থাকার অধিকার।
ভালো থেকো বন্ধু।বিদায়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*তোমায় ভালোবাসি*

হাঁসগুলো মাটির সাথে মিশে খুঁজছে রসদ
বিস্তৃত জল থই থই হাঁটু।ছোট ঘাস ফুল
আদতে প্রেম।বাদুরে রাত।মৃত্যুগুলো দূরে হাসছে।
আসছে তারা।আরো ছুটে আসছে।
শেষ রাতটুকু মুখ লুকিয়ে কাঁদছে

একটা রাস্তা।খুব সস্তা। তার মানে?
গাইবে আকাশ।নেই অবকাশ।
কে জানে কিসে দিগন্তের শেষ?

মেঘেরা নিশ্চুপ।প্যাঁচার ফিসফিস।
তুমি আমি।ভীষণ তুমি।শান্ত মিছিলে।ঠোঁট গিলে ফেলে।
রাত ডোবানো শীতল ছোঁয়া প্রেম...
আছি।আমি আছি।একসাথে দুজন সুখে আছি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কোথায় ওরা*

একটি মৃত্যু গল্প বলি আজ,

ছিমছাম নির্জন তখন। খালি গায়ে অবস্থান।
দেহহীন শরীর। ভিজে এলো চুল।টপটুকু গায়ে।
তাতে ভাবনার কি!অবাক নয় সমাজ।
তৃপ্তি পেতে স্তন ঘিটে খায় মানচিত্রের আলগোছে ফেলে।
চারিদিকে রাত।ক্লান্ত পথ।একা চলা।কাঁধের ব্যাগ সাথে।
কিছু মানুষ অপছন্দ মুখোশ পরিহিত।বাকি সব ড্রিম লাইন।
অকথ্য অবস্থানে ছায়াময় সীমা ঘেসে,
তখনও কিছু ঘটেনি।তবে শুরু হয় পরে।
ছুটে যায়।আরো ছোটে।ডাকতে ডাকতে প্রায় দরজা ভেদ করে।
সিগারেটের ছাঁই।জমা কাচ ঘর।
আর?আর সেই নারী
লাল শাড়ি পরিধান।কাঁধে ব্লাউজ ছিঁড়ে গেছে প্রায়...
রক্ত ঝড়ছে তখনও।
তারপর! কই! কেউ কোত্থাও নেই। তাহলে! তাহলে ওটা কে?
নতুন কি! প্রতিটা রাতেই এমন হয়।অনেকেই বেঁচে যায়।
কেউ ফিরে আসে না আর।কে জীবিত থাকে না,
সে আজও আসে।প্রতিদিন হাসে
কেউ নেই কেউ কোত্থাও নেই
সবাই মনুষ্যত্বের অন্ধকার!!...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*হয়ত বাবার মতো*

যে পুরুষত্বের পাঁজর বন্দন খাঁচার মতো
সে কখনোই একজন ধর্ষক হতে পারে না...
সে পুরুষের উপস্থিতিতে সকলের ভয় কেটে যায়।
সয়ে যায় তার আল্লাদি বকুনিগুলো। হার মানতে জানে সে।তাই হারে না সে...

গভীর কষ্টগুলো যখন একে একে আঁকড়ে ধরে তাকে।
ভরসা পায় সমস্ত আকাশ।
সমস্ত অন্ধ জনপথ।
যারা ক্রমশ হারিয়ে যেতে শুরু করছিলো দিগন্তে কাছে।
সে পুরুষ কেবল শরীর নয়।জাগতিক উপলব্ধি আত্মার স্পর্শ সমান।
পুরুষ অন্যায় প্রচন্ড অনুতপ্ত তিনি।
কেবল তিনিই পারেন একটু সহজ কথার সবকিছু উৎসর্গ করে দিতে।
তাকে কেবল তুমিই পারো ফিরিয়ে আনতে।এই রক্ত মগ্ন রক্তিম পৃথিবীতে।
কোথায় সে পুরুষ, কোথায় তার অবস্থান।
ফিরিয়ে আনো তাকে, ফিরিয়ে আনো
উত্তর উষ্ণতা বৃদ্ধিমান হৃদয় নিয়ে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*অনুভূতি জমে*
      *শিরায় শিরায়*

রোদের শিরাগুলো গা বেয়ে নেমে
পরছে নিখোঁজ যৌন দশায়।
পিশাচের মতো হিংস্র হয়ে উঠছে ওরা।
আতঙ্ক!সেটা মুখের বিচার এখন।
দেহ নেই, পোষাক নেই, চাল নেই, চুলো নেই...

হ্যাঁ আছে!আছে কেবল নকল
অনুভূতিগুলো।
বার বার বেঁচে ফিরে আসি
আসে না গান।আসে না কবিতা।
আসে না গল্প।আসে না মৃত্যু!
শুধুই ছুঁয়ে নেয় অন্ধকারে আধ
পোড়া শরীরটুকু...
কে জানে কাল হয়ত আমার পালা....

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কোনো এক মা*

প্রতি রাতে জন্ম হয় নতুন ভোরের
বিছানায় মুছে যায় আলাদা শরীর
সাদা চাদরে আবৃত কোন এক
মায়ের গল্প আজ।

অনেক আগুনে পুড়েছে ঠোঁটের ডগা।
নিরাপত্তা সে তো পরিষদেই মাপা।যার হাত স্তনেতেই ঠেকে আছে।
আসে যারা তারা আসুরিক লোক
কেবল পিতারূপ ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি বাহক।
একে একে ঘেমে ওঠে নোংরামি সজ্জায়।
প্রকাশ বাথরুম।বেডরুম।শীতঘুম সব গৃহহীন বেমালুম ধর্ম সংকটে হাঁটে
আর সেই মা!তখনও বিছানায় পড়ে আছে।
কেউ আপন নেই তার...

দিনের আলোয় কে বা চেনে তাকে।
সবাই তখন শরীরের ভাঁজ দেখে।
বুকের খাঁজে ওঠে।হাঁটু ফাঁকে থাকে।
আমরা তাকে বেশ্যা বলি লোকে।
বলি সমাজ দূষক।
নরকীয় পর পৌরষিক ক্ষুধার্ত নারী...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*নীল শরীর*

ইচ্ছের বিপক্ষ শক্তি
যখন চরিত্র ভেদ করে,
দেওয়ালে পিঠ ঠেকায়।
তখন নরম গালে তোমার ছোঁয়ায়
ফিকে হওয়া রূপোলি চাঁদের আলো
তোমার কাঁধে শুয়ে পড়ে বার বার।

মেঘ ভর্তি নাভিতে জল ফেলে
স্রোত মাপে নদীর স্বাদে।

হঠাৎ ,
পা পিছলে ঢেকে যায় গভীর
থেকে আরো অন্ধকারে।
এক নতুন স্বপ্ন দেখে ।নতুন বিশ্বাসে ভর রেখে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কমলা রঙের বল*

এখনও মানুষ ছড়ানো টেবিল জুড়ে,
এখনও ছত্রাক রাত সেজে নিভে আসে দুচোখে।
হয়তো চোখের আড়ালেই ডুবে
যাবে দুপুরের তেজস্বী কমলা রঙের বল।
পথ জুড়ে রাত্রি। আরো আরো গভীর। তবু সকালের আলোগুলো প্রজাপতি হয়ে যায়।নদী স্রোত মুছে যায়।
রয়ে যায় চেনা দুটি চোখ।
তবে কি তৃতীয় নেত্র ক্ষয়ে গেছে অষ্টমীর ভোরে!

আছে শুধু মুক্তির নীল মেঘে হাওয়া।মরুছায়া আর তুমি

বড্ড প্রেম ভালোবাসা থেকে অনেক কাছে পৌছে এসেছি তোমার।
উদ্ভিত।মনুষ্যত্ব।দায়িত্ব।অধিকার।হিসেব নিয়ে...

তুমি থেকো! তুমি থেকো আমার সাথে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কবিতার কথা*

ধরে রাখার চেষ্টা করেছি নিজেকে
জাগবার চেষ্টা করি বার বার।

লাল সাদা গাঢ় কালো মেঘ।
কেউ জেগে নেই আজ।
সবাই সময়ের কেনা দাস।
যারা আছে তারা আমারই মতো।
কেউ অদৃশ্য। অদ্ভুত। নিস্তব্ধ।
নীরবতার মধ্যে সংলাপ গুনে চলে
প্রতিবার।

কবিতার সংখ্যা বেড়ে মাথার উপর ছুঁলো।
সে রাস্তায় কেউ কোত্থাও নেই!সবাই উধাও।
আছে তারাই দুবেলা ঠিকমতো খেতে পায় না যারা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*রেখার মতো*

স্বপ্নের কঙ্কাল জীবিত ভ্রূণে,
তোমার খোঁজে আসে নদীর চরে।
ভেসে যায় জল।স্রোত টলটল।
ওরা মরে গেছে পদপিষ্টে।নির্বাক হয়ে।
সেই বিকেল
সবকটা রেখা অতিক্রম করেছে মধ্যেকার
তারিখ। সময়। সমাপ্তে হয়ত!

এক ঘুম।চেনা বেডরুম।
সংখ্যা অধিক।তারা নেই।
কেউ নেই।
হারিয়ে গেছে সবাই,
হয়তো মৃত্যুর গল্পে...

একটা তুমি।অনেক আমি।
এমন প্রতিটা ঘরেই খেলা...
কেউ চুপ।কেউ মনখোলা।
অবহেলা।সবটাই তুমি-আমি অর্থে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*বাস্তবতা*

ভয় লাগে!বড্ড ভয় লাগে।
'তুমি-আমি' এই শব্দ।
চেনা বই-পেন...
ভীষণ গাঢ় অনেক কাঁটাতার।
ভয় লাগে! বড্ড ভয় লাগে
রোদ মেঘ এক করে তোমার দিকে
চেয়ে থাকতে...
এমন কোন রাত আসে তুমি আমি সহবাসে,
এপার ওপার সম্পর্ক...
বেশ বোঝদার। তবু অবুঝ
সম্পর্কের চোখাচোখি মাত্র।ব্যাস সব শেষে...
ভয় লাগে, রোজ ভয় লাগে...
এমন অনেক শব্দ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*রক্ত ঝরার গল্প*

স্বপ্নে কেবল মৃত্যুরা ধেয়ে আসে
অনেক মানুষ।অনেক মৃত্যু একে
একে সব আছে
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন গোটা ঘর।শরীরী
অশরীরীরা সহবাস।
ওরা আছে।বেঁচে আছে।
হাত কাটা রক্তাক্ত আঙ্গুলে খামচে
ধরে আমায়।আমি প্রাণপণ চেষ্টা
করি বাঁচার।হাতরাই আরো হাতরাই।
এইতো টর্চ।জ্বালতেই সব শেষ।
কেউ কোত্থাও নেই...
কেবল রক্ত ঝরার গন্ধ ঘরময়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*ওরা কবরের লোক*

আজ ঘরে থেমে গেছে সব প্রবেশ
নির্যাস পরে আছে শেষটুকুর।ছাই
আর ক্ষতে ক্ষতে ধুঁকছে বিলাস বায়োস্কোপ!
একটা অলঙ্কার খুব চেনা মরা কিছু পাতার মতো
উজ্জ্বল। জ্বলজ্বলে প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের
সন্ধ্যে প্রভাতের ন্যায় গোধূলি লগন বিপ্লব প্রায়।

ক্রমশ মুখোশের আড়ালে লুকোনো শরীরগুলো
একে একে ধেয়ে আসে দরজার এপারে।
স্তব্ধ আলো, দাগ গোনে সময় কাটার।
তারপর সব চুপ...

তুমি দেখেছো যাদের।ওরা কেউ নয়।
তোমারই চেনা।
ওরা কবরের লোক...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*কক্ষঘর*

তোমার আমার হেঁটে আসা কিছু পথ
দেওয়ালের অন্ধকারে গেছে সয়ে।
নরম আঙ্গুলে ছোঁয়ায়
 অনেক দূরে, প্রায় অনেকটা দূরে
আরো একবার ছুঁয়ে ফেলছে তোমার তোষণ মাপা ঠোঁট...
ভিন্ন মতের দলের আভাস
চোখের ভাষায়
তবে রাত্রি আদরে ঘিয়ের চাদর
মাখিয়ে নিও আরো একবার!
ফিরে এসো প্রথম জন্মানো
কক্ষঘরে।
ঘাস ফুল আকাশ মাটি থেকে
আরো আরো অনেটা সরে গিয়ে।
প্রকাশে আসাটা স্বভাব আমার
রীতিমতো শব্দ ছড়িয়েই।
ঘন ঘন পায়ের শব্দ।চারদিকে
শুধু মুক্তির আসায় মানুষগুলো স্তব্ধ!
হ্যাঁ আমি তখন আর নেই।
হয়তো তখন মৃত্যুর দিকে
এগিয়ে যাচ্ছি ক্রমশ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*নিশিপদ্ম*

অনেক স্রোতে পর মুছে গেছে যে রাত
তুমি কি তার পায়ের শব্দ পেয়েছো কখনও!

মেঘগুলো বেশ গভীর হয়ে গেছে
চোখ দুটো গাঢ় নীল হয়ে আছে
স্তব্ধ সব স্তব্ধ। আরো অনেকটা রাত পেরিয়ে গেছে
এগিয়ে আসছে। তারা এড়িয়ে যাচ্ছে
স্ট্রিট লাইট।মৃদু সাইরেন।চার্জের ঘড়ি।
সব মরে যাওয়া স্রোতগুলো
ফিরে আসছে।আরো কাছে আসছে
তখন দেওয়াল ঘড়িতে টিক টক শব্দ
বাকি সব নিস্তব্ধ।
একটা গাঢ় অন্ধকার ঘরময়
কারা যেন ঘর থেকে ঘর ছুটে বেড়াচ্ছে
আবার সব বন্ধ।দূরের পাখির ডাক স্পষ্ট।
যারা এসেছিল তারা ফিরে গেছে
অনেক আগেই!
তবে ওরা কারা।কে এসেছিলো তখন?
মেঝে ভরে আছে পায়ের ছাপে আর চাপচাপ রক্তে...

অনেক স্রোতের পর মুছে গেছে সেই রাত
যে রাতে এসেছিলো তারা।প্রথম ফুটেছিলো নিশিপদ্ম।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*প্রদর্শনী*

এখন কিছু বাকি নেই আর
সব কথা ফুরিয়ে গেছে স্রোতে
যে আকাশ পশ্চিমে ঢলে পরে
ফুল ভাষায় মেখলা হয়ে হাসে,
রাতের গন্ধে জমাট বেঁধে আছে
দেহের ভেতর বিভেদ ছেড়ে গেছে
গাছের পাতায় আপোস মেখে নিতে
জলের সুখে বিচার মুছে দিতে
দুর্বল হয়ে পড়ছে তাদেল সমস্ত ছায়া।
তারা এ কথা জানে,
অন্ধকারের নিজস্ব প্রতিবেদক
চিত্র বদলে প্রদর্শনী ম্যাচ এতটা এরকম এগিয়েছে এই...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*সেই কাক*

একদিন সকালে দেখি
একটা কাক মৃত শরীর খুবলে খাচ্ছে
তার ঠোঁটের ডগা দিয়ে নাড়ির পিন্ডগুলো
ঝরে ঝরে পড়ছে।তখনও শরীরের
কোনো অংশ বেশ নরছে।
মৃত শরীরটারও।

একদিন দেখি কাকটা
বিকেলে রোদে গঙ্গার জলে স্নান
করছে।পড়ন্ত বিকেলের রোদে
গা চিকচিক করছে...গা ঝেড়ে
রোদে শুকিয়ে নিচ্ছে পালকগুলো।

কাকটা ভীষণ খেয়ালি
এক জায়গায় স্থির থাকে পারছে না
কোথাও বসে তো আবার উড়ে যায়
গোধূলির আকাশ দেখে পাশের চোখে।

একদিন দেখি কাকটা শক খেয়ে
ইলেকট্রনিক তারে ঝুলছে।
ঝটপট করছে কিন্তু ডানা ছাড়াতে
পারছে না তারের গোঁজ থেকে।
পালকগুলো ক্রমাগত ঝরছে।
আমি হা করে দাঁড়িয়ে দেখছি সেটা।

আমার কষ্ট হচ্ছিল খুব।
আমি দেখতে চাই কাকটা
ডানা ছাড়িয়ে উড়ছে
আগের মতো।আগের মতোই গঙ্গার জলে স্নান করছে...ছটপট করে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে এদিক-ওদিক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*যুদ্ধ*

সেবার যুদ্ধের গল্প লিখিনি।
অনেক পক্ষের সৈনিক ছিলো তাদের।
যুদ্ধ তখন হতোই না মনে হয়।
তবু ভারী ভারী কতগুলো মৃতদেহ
পড়ে থাকতো মাটির ওপর।
ভাগ্য হয়নি কখনও কাছ থেকে দেখার!
মৃত্যুটাকে উপলব্ধি করেছি মাত্র,
প্রাণ ঝরে যেতে দেখেছি অনেকবার।
তাকিয়ে দেখিনি অবস্থান
তাই বিরোধিতা না করাই শ্রেয়।
যুদ্ধ থাকুক কুম্ভীরাশ্রুর মতো।
জিতবো ঠিক। যৌবনও জিতবে হয়তো!
দুপুরের মতো মানুষ ঝরবে কখনও কখনও...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*সময়ের কথা*

যারা ভুলে গেছো সময়ের কথা,
যারা থেমে আছো এখনও
তাকিয়ে থাকো আমার দিকে
দেখো,
চেয়ে থাকো
ভাবতে শেখো,
এখনও ফুরিয়ে আসে নি কল্পনার আয়ু,
এখনও বেঁচে আছে যৌবন।
স্বপ্নের স্তব্ধতায় রয়ে গেছে
চারণভূমি কিছু কিছু...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*দিগন্তের মহামারী*

সেদিনও বাড়ির তলায়
শিউলি গাছটা ছিল।
ফুলের গন্ধ ভরে যেত ঘরময়।
মায়ের হাতের টিফিন খেতাম বেশ।
রান্নাঘরটা ঈশান কোনেই ছিল।
এতসব মহামারী ছিল না তখন।
স্কুল ছিল,খেলাধুলা ছিল,তবে বন্ধুত্বটা আছে এখন।
রেলিং-এর শ্যাওলাগুলোকে মানুষ মনে হতো।
সারাদিন কি সব ভাবতো।পোকামাকড় বসতো।
গল্পের মতো ছুটে যেত চলাচল।
তবে তফাৎ হয়নি এখনও
কেবল মহামারীটা সয়ে উঠছে বোধহয়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*জটিল*

যেটা হতো না। যেটা হবার আশা
ছিলো না।
অহংকার। জ্যোৎস্না কিংবা সূর্য
এরা কখনও বিরোধী হতে পারে না।
মানুষ!...বড় জটিল জীব। নিজেরাই নিজেদের গিলে খায়।
ভয় হয়! কখনও নিজেকেই ঘিটে নেবো না তো!
রাখবে তো কিছুটা রাতের ভাগে।
নাকি অন্ধকার হাতরে এগিয়ে যাবে,
যেমন সরে আসে দেহ থেকে দেহে...

এতটা একা ছিলো না আগে...
রাস্তার আলোদেরও  সঙ্গী আছে।
তারা পরপর সেজে বসে দূরের দূরে,
আমি একা নয়।আমার ভেতর আরো কেউ ফেরে...
আভাসে। সাহসে। কখনও ভেতরে-ভেতরে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...