Monday, 28 May 2018

তোর জন্য



*তোর জন্য*

তোর জন্য মেঘ কুড়োতে চলল মেঘমহল
তোর জন্য আকাশটা আজ শুধু রামধনুর
তোকে ভেবে খামে মোড়া চিঠির শোরগোল
তোর জন্য ইচ্ছারা আজ মাঠের ঘাসমহল
তোর চোখের ইশারাতে প্রেম মনে গল্প বানায়
তোর ঠোঁট ভেজা স্নিগ্ধতায়
আমার মন পাগল করায়
তোর চুলের ঘনঘটায়
   মন ছোঁওয়ার স্বপ্ন জাগায়।
সবই আজ তোকেই ভেবে আমার ভাবনায়।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Friday, 25 May 2018

'মা' কোথায় তুমি!



*'মা' কোথায় তুমি!*

হয়ত থেমে যাওয়া যেতে পরে
যদি স্মৃতিরা থমকে যায় তো ৷

সে আমি একলা যেতেই পাড়ি।
তোমার কোলে জায়গা দিও
সে স্পর্শ আমার শিরদাঁড়া সমান
সে এতটাই শক্তিশালী

ডুবে গেলে আগলে নিও।

তুমি চাইলে বদলে দিও
ঝড়ে পড়া শৈশব স্মৃতি
শিশু মনে জমা শত অভিমান।
আর কিছু রংচটা অনুভূতি ! !

এখন গোপনেই সমাপ্তি ঘটে
কত মন ভাঙা কথা ৷

এখন মুখ থুবড়ে পড়ে বিষাদ
জড়ানো ব্যাথা।

আজ দুরে তুমি। হয়ত আমার ভুলেই ।
বহুকাল জড়িয়ে পাঁচিলে
সে হৃদয়। নয়ত নদী কুলেই।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Wednesday, 23 May 2018

জলপরী



*জলপরী*

তোমার শরীর ফুলের সুবাস,
মনের কোথাও হদিশ নেই ৷
কাজল কালো ঝরবে শেষে,
ভোরের আলোর সীমানা-তেই ৷৷

গোলাপ সাজে কাঁটা আছে
ফুলের গায়ে আঘাত করে,
যত্নে যদি রাখতে পারও
সুখ ছড়াবে জীবন ভরে ৷৷

নরম আঙুল,আলতো ছোঁয়া,
তুলির টানে ঘাস-মানি ৷
ভিজলে জলে শিশির ভরে
গন্ধ-রাজই রাস-মনি ৷৷

পুকুর ভরা পদ্ম,শালুক,
পাঁক শুকানো বদনামী ৷
পাড়ের গায়ে সাজিয়ে বসে,
কচুরি-পানার ফুল-দানি ৷৷

মায়ার ফুলে মিশতে পারে
হারাও যদি সাগর তীরে৷
জল পরী আসবে কাছে
স্বপ্ন দেবে বুক চিরে ৷৷

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ছায়া



*ছায়া*

নীল সাগরে ভাসলে তরী,
ঠোঁট মেখেছে পথের দাগ।
জ্যোৎস্না আলোয় ফুটলে শহর,
নগ্ন চাঁদও থমকে থাক ।

কোন ফাগুনের সঙ্গ দিতে
একতারাতেও মিশবে খাদ।
পুকুর ধারের পলাশ বনে
রাত্রি গুলো হারিয়ে যাক ।।

সেই ভোরেতে মাখলো আদর
তীর্থে আসা নতুন কাক।
পায়রা এবার শিখবে তালে
কোকিল সুরে প্রেমের ডাক।।

এভাবে আর কতো দিন
রুষ্ট মনের অগ্নি-পাত,
আমায় তবে খুব প্রয়োজন
চাঁদের ছায়া শূন্যে থাক।।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

তোর চিঠি




-----❤তোর চিঠি ❤----

মোড়া খামটায় স্বপ্ন রঙিল,
চোখের জলে শুষ্ক বিলিন!
অগোছালো লেখাগুলো স্পষ্ট মনের আঁধারে...

"তোর মতো সঙ্গী আমি খুঁজি প্রতি ক্ষণে
থেমেই আছি অপেক্ষাতে ভালোবাসার টানে ৷
তোকে বোঝাতেই পেনের কালি ব্যস্ত লেখনে,
এ জলন্ত বুকে তোকে রাখি সুখের পালকে ৷
তোর অভিমানে একলা আমি,কঠিন আমি,
নেই সে ভালোবাসার চরম পাগলামি ৷
ক্ষনিক সুখে লুকিয়ে ব্যথা,
গোপনে রাখি মনের কথা ৷
তোকেই রাখি আলোক পথে,
আঁধার রাতে, কল্পনার তন্দ্রা পলকে ৷"

                            আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বসন্ত বিলাপ

বসন্ত বিষাদ ফাগুন বাতাস,
শরীরী দ্বন্দ্বে বিকশিত ৷
যন্ত্রণার তীব্র কাঁটা বাঁধে কণ্ঠস্বরে,প্রতি লোম শিহরিত ,
রমণীর ঠোঁট কাঁপে রক্তাক্ত ভালোবাসায়,
শাড়ির আঁচল মিশেছে মাটিতে,শরীর আঘাতে আহত...
মনের দরজায় ভীড় করে বিষাদ বসন্ত প্রলাপ,
তবু মনে বলে এসো হে বসন্ত

দুরে কাকের কর্কশ ডাক,
চারিদিক শুনশান জনমানব শূন্য
আজ নাকি বসন্ত উৎসব,
কিন্তু এ গ্রামে কেমন বসন্ত !!
মৃত কোকিল শুয়ে কাকের তুচ্ছ বাসায়,
যেন বিষাক্ত বিষ ঢেলে প্রকৃতি
শান্তি পায়... ৷৷

                                       আরিয়ান প্রিয়স

ফিরে দেখা(স্কুল জীবন)

ফিরে দেখা(স্কুল জীবন)


স্কুল ধারে বেলুন কাকু,মিস করি খুব !
আচারের সাথে কুলে দানা
চুসে বড় সুখ ৷
বছর কেটে পড়লো সাতে পা,
আজও মনে পরে স্কুলে রাখা শেষ পা !
শেষ বছরটা কাটছিলো বেশ ভাল,
তারি স্মৃতি ভরা জল চোখে ফিরে এলো !
ভাবলেই মনের বয়স অনেক,
পারিনা আজও সামলাতে,
বারে বারে ফিরে দেখি স্কুল বেলাকে !!
এখন 'পড়তাম' বলতে কষ্ট ভীষণ,
'পড়ি' বলতে যতটা পেতাম সুখ !!
আমারই ছেলেবেলা,আমার স্কুল,
আজ পঁচিশে দাড়িয়েও,
তোকে মিস করি খুব ৷৷৷...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বিরহ

*বিরহ*

তোমাতে মিশে বিরহ কাতর
তন্দ্রা শুকছে শরীরী গন্ধ
যত্ন যন্ত্রণা বড়ই কঠিন,
সে সুখ ভাগ্য রেখায় প্রদক্ষিণ ।।
মেতেছি কত যে দোল
তোমারই সাথে,
বসন্তের পিছুটানে ফিরে দেখি
আমরা দুজন পথে হাঁটি একসাথে ৷৷
কতইনা বিকেল কুড়িয়েছি দুজনে,
হারিয়েছি তোমার বুকের অজানা অভ্যন্তরে  ৷৷
ছুয়েছি তোমারই নরম ওষ্ঠ,
রঙ ছোঁয়ার অজুহাতে ৷
টেনেছি হাতের স্পর্শে,
থেমেছি ফাগুন মাখা শেষ রাতে ৷৷
তোমার চোখে খুঁজেছি তৃষ্ণা
তোমারই চিন্তা, আশা মাঝে আমার শূন্যতা ৷৷

                         আরিয়ান প্রিয়স

শ্মশান শেষে চুল্লি ঘর

*শ্মশান শেষে চুল্লি ঘ*

ছন্দ রেখায় দাঁড়িয়ে শুঁকি
সিগারেটের গন্ধ৷
শ্মশান সীমার চুল্লি ঘরে
আজ কেন দার বন্ধ !!

কাঠের সাথে মিশলে ঘি,
জ্বলচ্ছে কেন চিকুর শির !
কঙ্কালটা পুড়ছে তাপে,
গলছে ঢাকা হৃদপ্রাচীর ৷৷

ভাঙছে সবই দম্ভ শিরা,
পূণ্যবানে ভস্মীভূত৷
নতুন ভাবে জন্ম নেবে,
নবীন জগত্ অগ্রদূত ৷৷

      আরিয়ান প্রিয়স

নারীত্ব

নারীত্ব

পুরুষের
পুরুষত্ব বিচারে অনেকটাই
গুরুত্ব পায় নারীর সতীত্ব,
পুরুষের কাছে,
নারীর স্থান শরীর স্বাদের
উপকরন হিসাবে,
যদিও সবাই এ কথা মানতে নারাজ,
তবুও এ কারণ সত্যি চলমান, বিরাজ,
নারীর হাতেই ত্রিশূল,নামে দূর্গা,
সে দূর্গার রক্ত ঝরছে পিষাচের ধর্ষনে,
এ কেমন দূর্গা!
যার শরীর কাপড় শূন্য,
পরে উলঙ্গ অবস্থায়,রক্ত দাগে জরাজীর্ণ ৷৷

                              আরিয়ান প্রিয়স

ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষ

ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষ

হঠাৎ গভীর ঘন জঙ্গল, নিশুতি রাতের অন্ধকার,
অকশ্মাৎ ছুটছি জঙ্গল পথে,চারিদিক ধূসর পাহাড় ৷

চড়াই উতরাই পথ,হাঁটুর কাঁপন, কোমরের প্যান্টটা খানিক নামা,
ছুটছি আরো ছুটছি, হোঁচট, গায়ে পরা ছেঁড়া জামা !

আগোছালো গাছ,চশমার ফ্রেম,ভীড় জমা জঙ্গল,
কারা যেন করেছে আমায় তারা, তাই ছুট যেন সম্বল ৷

ক্লান্তিতে শরীর ধুকছে,হুমড়ি খেয়ে পড়বো বোধায়,
অদ্ভুত ছুটছি,যদি থামলে জীবন শেষ হয় !

হঠাৎ চমকে উঠি বিছানা বসে তাকাই চারিদিক,
কোথায় জঙ্গল,কোথায় দৌড়, স্বপ্ন!এস্বপ্ন কি সাংঘাতিক !!

                       আরিয়ান প্রিয়স

যৌন শহর,দগ্ধ প্রেম

যৌন শহর,দগ্ধ প্রেম


পড়তে পারে কপালের ভাঁজ,অন্ধ সমাজ শোষনে
কন্ঠ রোধে হাতড়ে শিকল,বিঁধবে কামের বাঁধনে

ভিজবে শরীর গন্ধ রসে, থাকবে ক্ষতের কাটা
কাপড় ফেলে লজ্জা কেন দিচ্ছো বুকে ঢাকা ৷৷

ছায়ার সাথে সঙ্গ নেবো ছুঁলে তোমায় ক্ষতি কি!
যৌন কামে গ্রাস করেছে পুরুষ ছাড়া মেটে কি!

লিপস্টিক রক্তে মেশা,কোমর নিচে শাড়ি,
বুকের ভাঁজে জমাট ক্ষত,শহর বেশ্যা নারী

আলতো আবেগ ঢাকবে বলে চোখে কাজল ভরাও !
যাচ্ছো কোথায়!থমকে গেলে! এবার চাদর জড়াও ৷৷

                              আরিয়ান প্রিয়স

বিছিত্র দেশ

*বিছিত্র দেশ*

কাল ভিখারীর কদর হবে,
কমতে পারে দুধের দাম ৷
দেখবো নেতা নর্তকী তাই,
বাইজি বাড়ি স্বর্গধাম ৷
বুজরুকিদের কথার ফাঁদে,
কবির খাতার ছদ্মনাম ৷

পয়সা দিয়ে ভরবে ওরা,
কাঠের ফ্রেমে গয়ার ধাম ৷
দ্রৌপদীরই বস্ত্র টেনে,
দুষবে তাকে বেশ্যা নাম ৷
রাজনীতি তে জুয়ার ঠেক,
বন্দী ঘরে ধুঁকছে রাম ৷৷

ধর্ম ভেদে ঠোঁট নাড়িয়ে
ধর্ষিতা আজ নারীর নাম ৷
খিদের স্বাদে ভিজবে নারী,
মিটবে তোমার শরীর কাম ৷
পৃথিবী আজ রসে মাতন,
হিজরা ঘরে গোলকধাম ৷৷

                            আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

দীর্ঘশ্বাস

দীর্ঘশ্বাস

মন্দি ওই পুরুত দেখো রঙিন ছদ্মবেশী,
নারীর পূজার ভান করে আজ নারীর সর্বগ্রাসী৷

রক্তবীজে ভরছে মা দেখ জগত ভ্রষ্টাচারী
তুই না কি মা জগৎদেবী অসুরহনণকারী!

তোর খাঁড়াতে আছে নাকি হাজার পাপের রক্ত,
বুকের থেকে আঁচল কাড়ে সে নাকি তোর ভক্ত !!

আমার কথার মান দে মা দুচোখ কি তোর অন্ধ,
বুজরুকি তোর ঘরেই বসে,লুকিয়ে দ্বার বন্ধ ৷৷

খড়গ কবে তুলবি মা তুই,পূজো নিলি নিষ্ঠা
মুক্তি পাবে হাজার নারী মরলে এ পাপিষ্ঠা ৷৷

                            আরিয়াস প্রিয়স(পাল)

মনের অসুখ

*মনের অসুখ*

মনে পরে,সেদিনের এলো চুল,
ইচ্ছে করে তোকে জড়িয়ে ধরতে খুব ৷
খুঁজেছি অনেক রাতের ঝলসা তারা,
মন ভালো নেই, জমেছে ছিবড়ে অসুখ৷৷

প্রশ্ন তোর,'সঙ্গী হয়নি কেন',
বুঝেছি,তোর প্রেমে পড়েছি ধরা৷
তাই এলাম সেই নদীর পুরোনো ঘাটে,
পাবো কি তাদের একলা সঙ্গীহারা ৷৷

রোজ দাড়াই জানালার মিষ্টি হাওয়াতে,
সাঝের আকাশে,তোকেই চোখে হারাই ৷
আজ চার বছর কেটে গেছে,
তবু ফেরনি কখনো,বন্ধুত্বে ফেলে যাওয়া হতাশাই ।।

আজ পেনের কালিটা হঠাৎ শুকনো,
মাথার সাথে মনের বড় দ্বন্দ্ব ৷
ঘর ভর্তি ভুল লেখা কাগজ মৃতপ্রায়,
কবিতাগুলো হারিয়ে ফেলেছে ছন্দ ৷৷

                              আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হিসেবের শয্যা

*হিসেবের শয্যা*

একগুচ্ছ গন্ধ ভরা ধুপ,
সাজানো খাটের চারপাশে৷
চোখে তুলসি পাতা দেওয়া,
গলায় রজনী মালা আছে ৷৷

রয়েছি চারজনের কাঁধে,
দুই সন্তানও আছে ৷
প্রথমটি চাকরি করে
দ্বিতীয় কলেজ পেরিয়েছে ৷৷

নিস্তব্ধ রাস্তা যত,
শুনছে শুধু হরিশ্লোক৷
সঙ্গে কটা লোকও আছে,
মৃত্যু তবু মিথ্যে হোক ৷৷

পুড়বো সেই তো চুল্লি ঘরে,
ঘি এর ছোঁয়া পেতেও পারি ।
সংসার তো ছেড়েই এলাম,
দেবো বোধয় স্বর্গ পাড়ি ৷৷

                               আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মূল্যহীন

মূল্যহীন

সময়ের মূলস্রোতে আমার শরীর টুকুই ভাড়া মাত্র,
সঙ্গে কিছু স্মৃতি, অস্বস্তিকর স্বপ্ন, দিশাহীন চরিত্র ৷

শরীর ঢেকেছি রঙিন কাপড়ে, যদিও বা নগ্নতর,
তাকিয়ে আছে রাস্তার লোকগুলো,বাচ্চারাও জড়ো ৷

সভ্যতার অনেক পরেও আমাদের স্বাধীনতা স্বল্প পরিমাণে,
রয়েছি মোবাইলের গোপন ফোল্ডারে, নয়ত গুগুল সেক্স সন্ধানে ৷৷

তোমরাই সভ্যতার ছলে কাপড় ছেড়ো, সর্বস্ব নাও,
তারপর মুখে পয়সা ছুড়ে বেশ্যা বলে থুতু দিয়ে যাও ৷৷

তোমরাই সমাজ গড়ো, বানিয়েছো তেষ্টার মরীচিকা,
বেচেছো আমায় গনতন্ত্রের বাজারে, হয়েছো বিক্রেতা ৷৷

                               আরিয়ান প্রিয়স

সেই তুমি ১ ও ২

*সেই তুমি*

সে যেন রোজ আসে,
আমার মন ব্যাকুল পলকে,
সে আজও রোজ হাসে
ঠোঁট ভিজে যায় চুমুতে....

খোঁপাতে আর্ট করে ক্লিপ আঁটা,
ঘেটেছে লিপস্টিকে চিবুক ৷
এতটা অনন্যা আগে হও নিতো,
হাতের চুড়ি খানা সুবজ ৷৷

বহুদিন পরে ফিরে কেন
এলে বল?
কিছুটা পিছুটান ছিল,
কিছুটা তুমি নিয়ে এলে....

আরো এগিয়ে আসতে চাও
থাকতে চাও আমার এ বুকে
একটু সুদূরে যেতে দাও
বাঁচতে দাও আমার এ অসুখে...

এখানে থামাটা খুব কঠিন,
এ ঘর জমা ছেঁড়া কাগজ
রান্নাতে কেরোসিন,
কথা জমা কাঁটাচামচ...

বহুদিন পরে এত কাছে
এল কেন বলো...
কিছুটা ছোঁয়া তুমি দিলে
কিছুটা ঢেকে আঁচলে...

                                আরিয়ান প্রিয় স (পা ল)

*সেই তুমি*২

যে ঘরে রোদ আসে রোজ,
জড়িয়ে থাকে আমার জানলাতে ৷
সে যেন কাঁদছে বসে ওই,
ঝরে পড়া একলা বৃষ্টিতে ৷৷

খোঁপাতে রংচটা ক্লিপ
ঠোঁট জুড়ে ধূসর লিপস্টিক
এলোমেলো কাজল মাখা চোখ
অবুঝ সন্দেহ জাগে ঠিক৷৷

শুধু একবার কাছে যাব
বহুদিন ধরে একা ভাবি...
কিছুটা ক্ষত জমা ছিলো
বাকিটা প্রেম বেহিসেবী .....।

আরো এগিয়ে আসতে চাই
রেখে দিও তোমার মাঝ বুকে
কিছুটা মানিয়ে নিতে দাও
বদলেছি  বিভৎস অসুখে ৷

বেহায়া ঘড়িতে দম দেওয়া
চিৎকারে ঘুম ভাঙে রোজ
আমারও কোন ঠাসা স্মৃতি
পাথরের খাঁজে হন্যে খোঁজ ।

আমি চলি ভাঙা সাইকেলে,
তুমি যদি নিতে পারো পিছু
একটু সামলে নিলে দেখো
ছেঁড়া সুখ ঠিক পাবে কিছু।

                    আরিয়ান প্রিয়


তোকে ভেবে

*তোকে ভেবে*

একসাথে পথ চলার সময় মুখ ঘুরিয়ে ছিলাম।
তুই জড়িয়ে ধরার সময়ও মুখ ঘুরিয়ে ছিলাম।
ছলনার আশ্রয় নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার সময়ও
আমি মুখ ঘুরিয়েই ছিলাম।

আচ্ছা বেশ। আচ্ছা বেশ।
আচ্ছা মেনে নিলাম দোষ আমারই।

চারপাশে চমক দেওয়া ঘটনা ওয়াকিবহাল নই
নহলে একটা কিছু উত্তর অবশ্যই দিতাম,

তাই জ্বলতে থাকার সময় আমি মুখ ঘুরিয়ে ছিলাম।
বাতাসে ছাই হবার সময় আমি মুখ ঘুরিয়েই ছিলাম।

মুখ ফেরাতেই -
দেখি আমার চারপাশে সব প্রণম্য উজবুক...

মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চেহারাগুলো বিভৎসতা ধারন করেছে ৷

এ কোন চরিত্র ।  এ কোন চরিত্র
নিলামে বিক্রি হচ্ছে যারা তারাই তো নিন্মবৃত্ত।

ওহো দেশ!
এ কেমন দেশ, যাতে আমিও এক নাগরিক,
আমার সামনেই আমার দেহ পড়ে আছে
আমি নিশ্চুপ, নির্বাক,  সাবেকিক. .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নববর্ষ

*নববর্ষ*

সে-বছরকে যেন ফের ফিরিয়ে আনাও যাবে এ দিনে,
এমনই পাখির ঝাঁক ভেবে থাকে। হাওয়া দেয় জোর –ভাবনারা ছটপটে
তখন দুস্থ কাঁঙালেরা মন দেয় পাঠে , শব্দের শিরচ্ছেদ ঘটে,
খিদের তাড়ায় ফুঁপরে ওঠে শিশু,তাকে এক মুঠো চাল হাতে নববর্ষের শুভেচ্ছা, আর সঙ্গে এ মুঠো চোখ ভেজা রোদ্দুর...

কেননা তাদের কাছে এই মুঠো চালই পাঁজরের শক্তি বাড়ায়
স্যাঁতস্যাঁতে মাটিকে বিছানা ভেবে তারা দিন কাটায়,
উড়ে যেতে চায় তবু কেবলই গভীরে নামে, ফের
কঙ্কাল শরীর প্রখর রোদে শেকে হাড়ের রস শুকিয়ে ফেলায়।

তখন তারাও মৃত। তাদের ছায়ারা করে নববর্ষ যাপন।
অবিকল শিশুমুখে পাঠ করা রক্তের বাসনা উদযাপন,
এই সম্ভাবনা দিনটি, তাদের রোজকার মতো স্নেহক্ষত
প্রতি মুহুর্তে তাদের বিষের রস গ্রাস করে অবিরত...

মেঘ ম’রে জল হয়। দিন ম’রে ধোঁয়া । আসে গোধূলি।
অন্ধকারে জেগে থাকে নববর্ষের কঙ্কাল অতীত সম্মিলনী ...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সঙ্গে কিছু বৃষ্টি হোক

*সঙ্গে কিছু বৃষ্টি হো*

আঁধার ভেজা মেঘলা শীত,
মাঝ আকাশে হচ্ছে ক্ষয়৷
তারার চোখে জ্বলছে রাত
স্পর্শ পেতে লাগছে ভয় ৷৷

ধোঁয়ায় ভরা কফিন রাত,
সঙ্গে কিছু বৃষ্টি হোক৷
গিটার তারে সুর ধরেছি
মৃত্যু যেন মিথ্যে শোক ৷৷

ঘুমের মাঝে জাগতে পারি
ধূসর মেঘে ডুবছে রোদ৷
ঘাসের দাঁতে রক্ত জমাট ,
স্বপ্ন পুড়ে জমছে ক্রোধ ৷৷

চর্ম রসে ভিজলে দেহ
সঙ্গ দোষে অত্যাচার।
ঠোঁট কামড়ে ধরেছি যাকে
দুল বাঁধনে কর্ণধার

লালচে মাটি মেঘ ডেকেছে,
ভাসছে চোখে মিষ্টি পাপ ৷
তৃষ্ণা দোষে শির ছিঁড়েছে
থাকলে কিছু শুধরে যাক ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বদ-অভ্যাস

*বদ-অভ্যাস*


কোল বালিশে স্বপ্ন জমাট,
ঘুম কেড়েছে মন৷
রঙ ফানুসে বাঁধলো কাঁটা
বাঁচবো কতক্ষণ ৷৷

কাল সকালে আসবে তুমি
রঙিন শাড়ি গায়ে,
চলব তোমার আঁচল ছুঁতে
হাঁটবো খালি পায়ে ৷৷

ছায়ার পথে হারিয়ে গেছি,
মন খারাপের রেশ৷
চোখ মুছিয়ে ওঠবে তারা,
রাত তখনই শেষ৷৷

চিল,শুকুনে খুবলে খাবে,
ছড়িয়ে পচল লাশ৷
হিংস্র পিশাচ ছিঁড়বে টেনে
কঠিন বদ-অভ্যাস ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

প্রতিবিম্ব পরিচিতি

*প্রতিবিম্ব পরিচিতি*

ভাবনায় সাথে পরিচয় আছে তোমার?
তোমার সম্মুখে সাজানো রয়েছে বেশ কয়েকটা প্রতিবিম্ব
প্রত্যেক প্রতিবিম্বে আলাদা চরিত্র ফুটে উঠছে !
হিংস্র প্রতিবিম্বের সাথে মিষ্টতার পরিচিতি সুদূর প্রসারী...
বাকি গুলোও অন্যরকম...

আয়নার সাথে সন্ধি করতে চেয়েছো কখনো?
ছলনার প্রতিবিম্বে তোমার অভিনয়ের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে,
বেদনার প্রতিবিম্ব ততটাই ঝাঁপসা দেখাচ্ছে ৷
কেননা চোখের জল প্রতিবিম্বের কাঁচকে ঝাঁপসা করে দিয়েছে...

তেমনি খুশির প্রতিবিম্ব অত্যন্ত উজ্জ্বল,
আবার শৈশব প্রতিবিম্ব বড়ই মধুর,
শিশু সুলভ ঘটনা সেখানে প্রতিফলিত হচ্ছে...

সব প্রতিবিম্বের বিরোধিতায় জেতার আশা খুবই কম...
প্রতিবিম্ব অনেকটাই শিল্পের আকার নেয়,
যখন তুমি তার সামনে গিয়ে নিজের পরিচয় খুঁজতে চাও....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দর্পন

*দর্পন*

®আরিয়ান প্রিয়স®

দুটো চরিত্র প্রকট,দুজনের দ্বন্দ্ব বিভেদ
এক অহংকারী মন, বিপরীত উদ্বেগ ৷৷

চরিত্রহীন৷মেকাপ মোছা। বিরক্তের ঠোঁট ভাঁজ -
অভিমানে একলা নিয়ন।আবার নতুন সাজ।

সারাদিন সময় প্রতিবিম্ব টানে, চরিত্র গঠন ৷
ভুল হলে চোখে চোখ, বিদ্রুপ কানন ৷৷

প্রতিবিম্ব চিত্র কঠিন, ক্ষনিক রদ বদল !
একটি খুশি আনতে অন্যটির সক্রিয় ছোবল ৷৷

হিংসে চাবুক প্রতিবিম্ব কাঁচে, সাংঘাতিক আর্তনাদ ...
মুখোশে অভিসন্ধি, চোখের ইশারা তীব্র বিষাদ ৷৷

প্রতি সকালেই বন্ধুত্ব সাধি, রূপকথার ছদ্মবেশ ৷
প্রতিফলিত আলোক গভীরতা, চোখ খুলে সবশেষ ৷৷

অন্ধ রাত

*অন্ধ রাত*


অন্ধ রাতে তারা উজ্জ্বল
পুড়ছে মনের পাখি
এক মহাদেশ মেঘ জমেছে
জ্বলছে সাঁঝের বাতি

রাতটাকে আজ সাঁতরে নেবো,
বৃষ্টি হতো যদি ৷
হাওয়ার সুখে হারিয়ে যাবো,
ছন্দে মেলা নদী ৷৷

দরজা দেওয়ার শব্দ হতে
জীর্ণতা সে পাশে...
বদ্ধ ঘরে ছাঁয়া মতো
গন্ধ কেন আসে ৷৷

ওই নাবিকের শীত ধরেছে,
জ্যোৎস্না মায়ায় বাঁচে ৷
ঈশান কোনে চাঁদ থেমেছে,
গভীর জলের নীচে ৷৷

জল শালুকে পাঁক জমেছে
শান্ত ঝর্না তলায় ৷
ঢেউ উঠেছে আকাশ পটে,
স্রোতে ফাটল ধরায় ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অন্ধকার


*অন্ধকা*

এক জমাট গন্ধ বিছানার গায়ে,
চাদরের সৌন্দর্যতা ফিকে হয়ে উঠেছে অন্ধকার দাপটে।
আঁধার আলো ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে ৷
উত্তাপের তাপমাত্রা নেমেছে অনেকটাই ,
শরীর ভেজানো ঘাম অনবরত নীচের দিকে নেমে চলে।৷

অস্বীকার করতে চাইলেও থমকে যেতে হয় বিদ্রূপ চরিত্র ভেবে।
নিস্তব্ধতায় নানা বিচ্ছিন্ন শব্দ কানে ভাসে, যা স্বাভাবিক সময় ইন্দ্রিয়ে ধরা পড়ে না ৷
অবসর সময়টা অন্ধকারে কাটাতে গিয়ে শরীর ও মনের মানসিক শিরোচ্ছেদ হয়...
সমাপ্তি পেতে শুরু করে-কোনো মাতালি হাওয়া যদি জানলা দিয়ে ঘরে প্রবেশ নেয়...

হ্যারিকেনের আলো আজকাল সায় দেয় না, যেন অন্ধকূপে দৈত্য বাস...
পাখা বলতে হাতপাখা যা নড়াচড়া করিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারি ৷
বাকিটা অন্ধকারে ধস্তাধস্তি ছাড়া আর কিছুই প্রতিফলন ঘটে না ৷

যন্ত্রের মতো প্রতিটা রাত গড়িয়ে চলেছে... কোনো উন্নতি নেই বললেই চলে...
পরিবেশের সাথে পরিচয়েও গাঢ় অন্ধকার দেখা দিচ্ছে...
সঙ্গী বলতে ওই নানা অজানা শব্দগুলো.. যা কানের পাশে ক্রমাগত বাজতে থাকে, আর আমায় অস্থির করে তোলে....




আরিয়া ন প্রিয়স (পাল)

অস্ত্র যাবার পরে

*অস্ত্র যাবার পরে*

সূর্য  যখন বিদায় কালে, গোধূলি নামে চারপাশে ৷
দিনের আলো ব্যাগ গুছোতে,সন্ধ্যা-তারা খুব হাসে ৷৷

নদী ঢেউয়ে পান্না-হীরে, চাঁদের আলো জমবে কি !
ছুলেই যেন মিলিয়ে যায়,চোখে জলে মিশবে কি !!

রাতের আলোয় অস্ত্র গেলে,মেঘ ঝরবে বৃষ্টি কোনে ৷
বাতাস তখন মেলবে ডানা,ভিজবে জলে কোন শ্রাবণে ৷৷

এমন আঁধার পথের বাঁকে, থমকে গেছি বড্ড জেদে
হিংস্র রাতের প্রহরী দল বন্দি যত চক্র ফাঁদে ৷৷

ছুটছি যেন আপন মনে,চল হারাতে নীল সাগরে
একলা কেন থাকবি দুরে, মৃত্যু বোধহয় অচিন পুরে ৷৷

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্বপ্ন তরঙ্গ

*স্বপ্ন তরঙ্গ*


যে কোনও ঘুমের মধ্যেই স্বপ্ন তরঙ্গ জন্মাতে পারে ৷

যেভাবে সুইচ টিপলে বিদ্যুৎ প্রবাহ,
এগিয়ে চলে সীমানার দিকে ৷

ছেলেটা একটি মিনারের মাথায় দাড়িয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলো ৷

তার ঘুড়িটা একটা দেওয়ালে ধাক্কা লাগায় দেওয়াল ভেঙে যায়...

চমকে উঠে চারিদিকে তাকাতে দেখে-
চারপাশে পায়রাগুলো গম খাচ্ছে,
বিকেলের হালকা রোদ ছাদের কোন ঘেসে মুখে এসে পড়েছে ৷

ঘুম এতটাই গাঢ়ো হয়ে উঠেছিলো ৷

তার মধ্যে স্বপ্নটা বড় স্পষ্ট হয়ে দেখাচ্ছিলো,
তার কারণ চমকে ওঠার পড় শরীরে ঘামের কণা গড়িয়ে পড়ছিলো একের পর এক...

অনেক অনেক সময় এমন কিছু অবস্থা আসে যখন স্বপ্নে মনের আন্দোলন সৃষ্টি হয়..
অনেকটা নিজের অজান্তেই....

উদাহরণ তুমি নিজেও হতে পারো.....

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

*আমার আমিকে প্রশ্ন তবে!*

*আমার আমিকে প্রশ্ন তবে!*


এভাবে সস্তা ঘুমে সব ছেড়েছুড়ে
আশকারা খোঁজে শান্তি,নিত্য কোন ভোরে !
কুয়াশা ধোঁয়ায় ঠোঁট ভেজা দেখায়,
আকাশে চলেছি,তারা থেকে গ্রহে৷একলা একায়৷

ভবিতব্য আলাপন,চলেছি অস্পষ্ট গন্তব্যে
গোছাতে শিখেছি অভিনব রূপ ব্যঙ্গ মন্তব্যে

অবিরাম হাটাচলা মোবাইল স্ক্রিনে
মডেল তৃপ্তি শোক, দৃশ্য ম্যাগাজিনে ৷
আমি যদি কোনও সম্মোহন দূত
সাহসিকতা স্তব্ধ, মানবিক অদ্ভুত ৷৷

পাহাড়ে মিশেছে ধুলো কত গ্রীষ্ম-শীতে
শান্ত মেঘে বিশ্রাম নিতে বয়স হচ্ছে ফিকে

খুশি হবো তবে, ভূতের রাজার তিনটি বরে
হবে দুনিয়া আমার,সুখ সব নিজ করে

বাঁচিয়ে রাখতে চাই স্মৃতি গড়া কিশোরীকে
হারাবো অচেনাতেই,থাকতে এ শহরেতে ৷৷

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বালির শহর

*বালির শহর*

সে শহরে রাস্তায় শুয়ে
শত জাতিস্মর৷ঝুপড়ি বস্তিতে ৷

গর্তে পচা শকুনের লাশ

হাজার কাকের শিরচ্ছেদ হয়েছে
রোদে শুয়ে তখনও ৷
টেনে ছিড়ে খাচ্ছে কুকুর বাচ্চাগুলো ৷

কালো চাতকের ক্লান্ত নিশ্বাস

পাক খায় আকাশ থেকে আকাশ!
রোদের তাপমাত্রা বাড়ছে কতো
বালিশে ঘুমিয়ে রাতের তারাদল

শহর ব্যস্ত নিয়মিত সজ্জায়

চেনা গাছ যত বিদ্রোহী আজ
চিৎকার ছড়িয়ে দূষনের বাতাসে ৷
ধুলো ঢাকা শহর লুকাচ্ছে লজ্জায় ৷৷

মৃত শালিকের বাচ্চা ঘুমাচ্ছে
ছাদের চিলেকোঠার নিস্তব্ধতায় ৷

রাস্তা রেলিংগুলো তাপে উত্তপ্ত
সময়ের তফাতে গলে যাওয়া সম্ভব ৷
সে মদের ঠেকে দেবদাস কবি৷পরিস্থিতি নিরুপায় ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বলিরেখা

*বলিরেখা*

অভিমানে চোখের কোনা লাল
হয়ে উঠেছে৷ হয়ত সহানুভূতির
দাগে থেমে গেছে রাগটুকু৷নয়ত
হিংস্র কর্মফলে৷আমার অজানা৷৷

রঙের মরচের কারণে নষ্ট
হয়ে উঠেছে ছবির রসদ৷৷

অস্বাভাবিক আচরণ স্পষ্ট স্বভাবে

আজকাল শ্যাওলা ভেজা পাঁচিলে
শিখে গেছি অবসাদ মেলা৷৷

ছড়িয়ে দিয়েছি খুশির বৈশিষ্ট্যগুলো,
শুধু সংশয় খুঁড়ে খুঁজে আনি খনিজ হৃদয়৷

কিছু পুরাতন৷কিছু নতুন বলিরেখা মাত্র ৷৷

জানিনা স্পষ্ট নাকি আমার ভাব বর্ণনা ৷
চেষ্টা রাখি যতটা সরল প্রকাশ পায়
তাই প্রতিদিন চেনা শব্দ ইচ্ছাকৃত ব্যবহার হয় ৷৷

©অারিয়ান প্রিয়স(পাল)

কন্যা সন্তান

*কন্যা সন্তান*

তোমার নিভৃত সন্তান ।
অবাকের দোসর। সুহৃদ।

মনে করছো আঁধার জমেছে
ঘরের প্রতি কোনায়।এক
কন্যার জন্ম হয়েছে বলে।
ঈশ্বর সর্বে দোষী৷কারাবন্দি হবেন তিনি৷

প্রশ্ন সমাজের,"কেন এক কন্যাকে
ভূমিষ্ঠ করলেন তারা"৷

এই সে সমাজ। অতিকায়
ডানা যার কখনও ছিল না।
বাস্তব ধুঁকছে কামরূপ সাধনায়।
তবু অনিচ্ছাকৃত নারীর জন্ম হয়৷প্রতিদিন৷

সময় পরিহাসে৷সেও হয় মা।
জন্ম দেয় পুত্র সন্তান ৷
কিন্তু কালই তো তাকে
ফেলে দিয়েছো পথের ধুলোয়৷

তাহলে কি নারী মানেই বাচ্চা
জন্মানোর যন্ত্র মাত্র!নাকি
পুরুষের ক্ষুধা মেটানো দ্রব্য ৷৷

তুমি এড়িয়ে যাচ্ছো তবে!
আজ এটুকুই থাক...

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নিজেকে চেনা

*নিজেকে চেনা*

পরিস্থিতির চাপেই বদলাতে
হয়েছে৷অনিচ্ছুক সত্ত্বেও!

সামান্য অভিমানে মানসিক ভারসাম্য
হারিয়ে গেছে অনেকটাই৷

দুচোখের আড়ালে থমকে গেছে
চেনা স্মৃতিগুলো৷নিয়মিত অবহেলায় ৷

প্রলাপ বকে চলেছে জমে থাকা স্বপ্নগুলো
বারবার আঘাত আনে পাঁজরে  পাঁজরে৷

যদিও বিরহ এতটা কঠিন নয়
তবে আশকারা পেতে পেতে
এমন আকার ধারণ করে৷
নিজের অজান্তেই ৷

হৃদয়ে যন্ত্রাংশগুলো অচেনা ছোয়া
পেতে চায় কখনও কখনও
নিজের ভুলে৷প্রেম রোগের মতন৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

টাইটেল চাই**

সময়ে যা হচ্ছে হোক
থমকে যাবে শেষ রাতে৷
মুহূর্তে মোম পেনসিল
বদলে নিয়েছি তুলিতে৷৷

হিসেবের আনলায় গুছিয়ে
রাখা বিষন্নতা৷কিছু বেমালুম
অজুহাত৷নিস্তব্ধতা৷

প্রতি রাতে স্বপ্নে তুমি,তুমি
অনুতাপ৷প্রত্যেক ঘুমে জেগে
আমি৷প্রত্যেক অবসাদ ফেলে
রেখেছি লেপের তলায়৷কোনো
পুরাতন ভোরে৷আলসে শীতঘুমে

প্রাচীন কল্পনা কোন চাদরের
ভাঁজে৷খুঁজতে তাসের দেশ
মিছিলে তোর নামে৷

সে গলিতে আমার জায়গা
নেই বললেই চলে৷শুধু কিছু
চেনা অভিমান নিরব সন্ধ্যায় ৷
বাকিটা তোমার বিবেক৷শুভেচ্ছা৷৷


অনুরাধা

*অনুরাধা*

কোনদিন পুরাতন প্রেম ও সময়
থমকে যাবে না বিষাদে –
এরকমই বলেছিল সে-ও।

জ্বলজ্বলে সিলিং-এর কল্কা যত
জানলার আলোয় রিফ্রেশ মাত্র ..

শিহরণ দেহের গাম্ভীর্যে...

অনুরাধা, 'দেখো তোমার
চুলের গন্ধে ভরেছে ফুলের
বাগিচা ৷নিরব উদ্দীপনায়'৷

আরো এগিয়ে এসেছে আকাশ
ছুঁতে চায় তোমার শরীরের
গন্ধ। স্নিগ্ধ উষ্ণতায়৷৷

তোমারি পায়ের স্পর্শে চঞ্চল
শুয়ে থাকা ঘাসফুল৷সতেজ উড়ান৷

শীতে চাওয়া কোন ঘটনা সাজুক...

অদ্ভুত প্রেম জেগেছে প্রকৃতি
জুড়ে৷দেখেছো অনু৷ শূন্যস্থান
যত তোমারি স্মৃতিতে সাজানো৷
রঙিন বসন্ত সবে৷আমি অসহায় ৷৷

@আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

বিকেল

*বিকেল*

সোনা রোদের হাসি বিদায়ে ব্যস্ত গোধূলি কালে ৷

গঙ্গাতীরে ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে সামান্য বাতাসে ৷

কাকেদের বিস্তর মিটিং বসেছে পাড়ের ধার ঘেঁষে ৷

বেশ কয়েক পানকৌড়ি উঁকি মারছে জলের ভেতর থেকে ৷

কয়েকটি বকাটে ছেলে জল খেলায় মত্ত ৷

কোন প্রেমিক শুয়ে প্রেমিকার কাঁধে অন্তর মিলন অপেক্ষা ৷

আমি বসে ঘাটেরই এক কোনায় ৷

সন্ধ্যা নামলেও ক্যামেরার ভিডিও ক্লিকে বিকেল ছায়াছবি বেশ জ্বলজ্বলে ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

কবি নজরুল জয়ন্তী


*কবি নজরুল জয়ন্তী*

যেমন নিশুতি রাতের চোখে ক্ষত
যেমন ফুলের আড়াল ঘুমিয়ে পাখি
যেমন সুদিন বাঁচে স্বপ্ন মায়ার মতো
তেমন ভাবে নূপুরের তালে পথ চলেছে সখী ৷৷

তুমি ছিলে কোনও বিদ্রোহী অগ্রদূত
অসময়ে শত কন্ঠে বাজে তোমার চেনা সুর...
সাহসের কাছে যেরকম তুমি অচ্ছুত
ভালোবাসার লেখা তোমার দুরত্ব প্রচুর

আমরা জানি না কী আছে রাজনীতি শেষে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার৷চাই  কলমের ধার
আপাতত এই ক্ষুধায় কাঁতর দেশে
মৃত্যু পাক অনাচারীর আঘাত, থামুক হাহাকার ৷

কেউ তো জানে না,ভাঙন নদীর তীরে
কিভাবে মৃত্যু সরিয়ে কবিরা আবার বাঁচে
কেবল ভেবেছি মনখারাপের দারে
হেঁটে চলে যাই তোমার লেখার কাছে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বারুদ

*বারুদ*

এক তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ
বীভৎস করে তুলতে পারে ক্ষণিক-এ৷

শরীর ও অশরীরী বিভেদ গড়ে
তুলতে পারে এক টুকরো বারুদ৷
যার ব্যবহার সন্ত্রাস নামক বিষাক্ত নীতির ফল
স্বরূপ৷তুমি কি জানো!!নিমেষে
বদলাবে রক্তের রঙ৷মুুছে ক্ষণিক অস্তিত্ব ৷৷

আমায় বিশ্বাস না হলে দেখো
পরীক্ষা করে৷কিছু কেরোসিন
আর একটি দেশলাই কাঠি৷
পুড়িয়ে ফেলবে কত কাঙালে
ঘর৷নিশ্চই এ কঠিন ফলাফল
তোমার উপলব্ধি বৃদ্ধির জন্য ৷৷

কত পাহাড় মিশল ধুলোয়
বিষ্ফোরক দ্রব্যের নামে ৷
আজও দেখি ঝগড়া চলছে
নেতা হতে লভ্যসমাজে !

আজও কিন্তু নিজের মতো
সিগারেট জ্বলতে পারো ৷
একটু ভারী মনে হলেও
সে বারুদের অহংকার-ই তো!

মেঘ ম’রে আগুন হবে।দিন ম’রে ধোঁয়া।
আসবে গোধূলি৷
অন্ধকারে জেগে থাকবে বারুদের কঙ্কাল
অতীত সম্মিলনী ...

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

টান



*টান*

সেদিন দু'ঠোঁট কামড়ানো গোধূলি ৷

বাতির আলো বড্ড কৃপন,
সামান্য উজ্জ্বলতা ঘর ভরিয়ে রেখেছে৷

জানলার চাঁদের আলো এসে
পড়েছে তোমার পায়ের নুপুরে৷
জ্যোৎস্না আলোক বর্তমান ৷৷

সে পাড়ার কুকুরের ডাক
আজ
মিষ্টতা মেশানো ৷শুনতে ভালো লাগছে৷

চাঁদ, ফুল,হৃদয় হয়ত সুন্দর
তার চেয়ে বেশি তোমার ঠোঁটের হাসি ৷

সে ঠোঁটে আমার কাজ কই!
সে ঘরে আমার বাস নেই!
সে বাতি জ্বলছে আমার সুতোয়!
সন্ধ্যা রোজ একই ভাবেই আসে৷
তুমি সে তেমনই শুয়ে আছো!

চোখে ভাসে সেদিনের ভয়াবহ বিকেল৷ক্ষনিকেই সব শেষ৷ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাতে জ্বলছে দুটো দেহ৷পোড়া দাগ গুলো আজও স্পষ্ট ঘরের কোনায় কোনায়....
আমি সেই মৃত আর বিছানায় শুয়ে সুরঞ্জনা ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

কাহিনীর রুটি

*কাহিনীর রুটি*

সেদিনের নির্লজ্জতায় ঢেকে
নিয়েছি মুখ৷মুখোস কিনেছি
সামান্য দামে৷প্রয়োজন বশে৷

সে মোরে পা ফেলি না
আর৷বড্ড নোংরা জমা৷
চারিদিকে হাড়গোড়, পচা
চামড়া৷অদৃশ্য আত্মার আনাগোনা
যা আত্মহত্যার সম্মুখীন ৷৷

শুরু হয় শমন৷কঠিন পাহারা৷

জমে থাকা বরফ গলে জল
হতে থাকে৷ভেসে চলে পচন
লাশ গুলো৷নতুন তৃণ আসে
স্তব্ধ হয় আত্মার আহুতি ৷৷

কাহিনীর রুটি, হাতে সেঁকা৷

তাও কিছু দূর হতে দেখি

বেড়ে ওঠে গাছের সারি
পুনরায় ভিজে উঠছে কন্ঠ,
সামান্য জল পানেই৷এখানেই
কাহিনীর শেষ৷তাই সমাপ্তি৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

চাঁদনি

*চাঁদনি*

একদিন ম্লান হাসি টুকু
মিলিয়ে যাবে ঠোঁটের কোনায়৷
চেহারা ফুটবে মনের গভীরতায়
যা দীর্ঘ সময় তোমার অপেক্ষায় এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই আবেগ বসে থমকে দাঁড়ায় !

সে তুলনায় তুমি চাঁদ,
ধ্রুবতারার উজ্জ্বলতাকেও নির্জীব করো ৷
তোমার পায়ের স্পর্শে মুক্ত ঝরে পথের বুকে৷
তোমার আঁচল ছুঁতে বাতাস চলে অজুহাতে

এক গভীর যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় তোমার না
থাকার কারণে
যা অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অাবেগে বিলাপ করে ৷

অনেক জড়ানো স্মৃতি ভিড় করে
চোখের কোনায়৷
স্পষ্ট বোঝায় তোমার উপস্থিতি ৷
তবু দিয়েছো শরীর মুক্তির দাহে দগ্ধ অগ্নিতে ৷
অপরূপ চন্দ্রিমা৷ তুমি যে আজ মৃত !!

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মোমবাতি

*মোমবাতি*

একটাই মোমবাতি, তুমি তাকে কেন দু’দিকে জ্বেলেছ?
খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।
তুমি এত অহঙ্কারী কেন?
চোখে চোখ রাখতে গেলে অন্য দিকে চেয়ে থাকো,
হাতে হাত রাখতে গেলে ঠেলে দাও,
হাতের আমলকী-মালা হঠাৎ টান মেরে তুমি ফেলে দাও,
অথচ তারপরে এত শান্ত স্বরে কথা বলো, যেন
কিছুই হয়নি, যেন
যা কিছু যেমন ছিল, ঠিক তেমনি আছে।
অথচ এমন কাণ্ড করবার এখনই কোনো দরকার ছিল না।
অন্য কিছু না থাক, তোমার
স্মৃতি ছিল; স্মৃতির ভিতরে
ভুবন-ভাসানো একটা নদী ছিল; তুমি
নদীর ভিতরে ফের ডুবে গিয়ে কয়েকটা বছর
অনায়াসে কাটাতে পারতে। কিন্তু কাটালে না;
এখনই দপ করে তুমি জ্বলে উঠলে ব্রাউজের হলুদে।
খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।
তুমি এত অহঙ্কারী কেন?
একটি মোমবাতি, তবু অহঙ্কারে তাকে তুমি দু’দিকে জ্বেলেছ।

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

প্লাটফর্ম



*প্লাটফর্ম*

নোনা গাছে চোরা ক্ষত স্পষ্ট,
বিকেলের মাটিতে বিশ্রী গন্ধ ভরেছে ৷
রেলের সাইরেন শোনা যায় না বহুকাল...
প্লাটফর্ম পড়ে আছে নিজের মতো
বাতাসে তরল হয়ে ভাসে
আবছায়া, অতীতের শোভা।

দু-এক মানুষ আশা যাওয়া আছে৷
কোন পথ ভুলে,
রাতের অন্ধকারে হিংস্র কুকুরের বাস
ব্যস্ততা ক্ষুধার আহারে ৷

যাবতীয় নিস্তব্ধতা ভুলে
ভিড় করে পিশাচের দল
তুমি কি এখানে কোথাও
একবার পথ ভুলে ছিলে?
তখনও ছিলো কি সে আঁশটে গন্ধ
যাকে অশরীরী আত্মা বলে?
এখন দেরি করে জাগে মরচে ঘড়িটা
সময় ভুলে ঘন্টা শুনিয়ে ফেলে৷

কয়েকটা যাত্রী আসে বটে
যাকে স্কন্ধকাটা বলে....
তারপর সব ফাঁকা
সবাই ঘুমায় কাল ঘুমে ৷
একলা জেগে থাকে চেনা প্লাটফর্ম,
ছোট্ট কটা নির্জীব আলো জ্বলে ৷৷

©অারিয়ান প্রিয়স (পাল)

অচল




*অচল*

এখনও জাহাজের শেকল পরার
শব্দ শুনি।বন্দরের রঙে সেরকম
মরচে ধরেনি ৷এক দারোগা আছে
টহলে৷ চোখ সতর্কে তার ৷ ভাঙা
জাহাজের দুধারে৷যেন চুরি না যায় কিছু ৷

নিস্তব্ধ বন্দর যেনো কালের অভিশাপ।

জাহাজের পাটাতন কাক,শালিকের
রোদ পোয়াবার জায়গা৷ কিছু মিষ্টি
হাওয়া নিয়ে আসে বিচ্ছিন্ন খবর,
কোন কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ধুলোয় ওড়ে । প্ল্যাকার্ড নিরুপায়।

জ্বলছে ঘর,চোখ লাল৷ জন্মাচ্ছে পাপ ৷

কাদের যেন জল পান বারন৷
তাদের খোঁজে রাত হিংস্র প্রহরী ৷
কেউ কিচ্ছু বন্ধক রাখে না আর
কারোর ঘরের তৃপ্তি, গন্ধ তরকারি৷

সব বদলালে হয়ত ফিরবে বাস্তুশাপ ৷

সাইরেন ছুটবে বিপদের তাগিদায়৷
জেগে উঠবে সমুদ্রের হিংস্র গর্জন

ডুবিয়ে মারবে ঘামে গড়া অনুতাপ ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নির্জন

*নির্জন*

সমুদ্রের জল যেন মেঘকেই ভালোবাসতে চায়৷
যে-কোনও আমি যে কোনও তুমিকে ইতিহাসে জুড়ি৷
হাওয়ার সাথে উড়ে বেড়ায় একে অপরের চিঠি৷
এমন ভাবনা মাথায় বসে৷ মনে অন্তর দ্বন্দ্ব করি।

জলে নেমে খুঁজছি গভীরতা। ঢেউয়ের শব্দ গুনি।
রুদ্ধশ্বাস প্রতিবাদে সন্দেহ  দৃষ্টি ছড়াই।
পা টিপে টিপে চলছে সব।সাবধানী চতুর্দিক ।
খবর আছে তেমন কোনও? সতর্কতা এড়াই৷

উজ্জল চোখে ছড়াই আলো। সে রাত ছিল হিংস্র !
গ্রাস করা অন্যায়ের নীচে বেড়াল হয়ে বসি।
মেঘের ঠোঁট রক্তলাল,রক্ত মিশছে সমুদ্র জলে।
কেউ ছিল না তার মতো আর, সমুদ্রের অট্টহাসি

বালি ফুঁড়ে বেরোচ্ছে কাঁকড়ার আধ মরা শরীর...
অভিশপ্ত রাত, জ্যোৎস্না আলোয় প্রকৃতি সাজে।
তাই কবর খুঁড়ে রাখছে প্রহরী কুকুর ৷ নির্জন চরে৷
গভীর রাতে চাঁদ আসবে মৃত প্যাঁচার সৎকাজে!!

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মিলিয়ে নাও

তুমি ফিরে এসেছো তবে, শহর পাবে দূষণ থেকে ছুটি
শকুনের মিছিল হাসপাতালে শুয়ে গুনবে মৃত্যু দিন
আয়কর দপ্তর খুঁড়বে মাটি, কাড়বে রোজিরুটি ,
তুমি ফিরে এসেছো তবে!মাঝ রাতের ঘুম ভাঙাবে বিষাদের সাইরেন৷৷

তুমি ফিরে এসেছো তবে! বিরোধীদল ক্লান্ত ফুটপাথে৷
ঘটনাস্থল ঘেরাও হবে,গোয়েন্দারা খুলবে রহস্য জট৷
হাত পা মাথা ছড়িয়ে থাকা লাল সতর্কতা জারি!
তুমি ফিরে এসেছো বলে, খুব একটা কেউ বদলাবে না মত।

©আরিয়ান প্রিয়

হিসেবের শয্যা ১৬

*হিসেবের শয্যা*

একগুচ্ছ গন্ধ ভরা ধুপ,
সাজানো খাটের চারপাশে৷
চোখে তুলসি পাতা দেওয়া,
গলায় রজনী মালা আছে ৷৷

রয়েছি চারজনের কাঁধে,
দুই সন্তানও আছে ৷
প্রথমটি চাকরি করে
দ্বিতীয় কলেজ পেরিয়েছে ৷৷

নিস্তব্ধ রাস্তা যত,
শুনছে শুধু হরিশ্লোক৷
সঙ্গে কটা লোকও আছে,
মৃত্যু তবু মিথ্যে হোক ৷৷

পুড়বো সেই তো চুল্লি ঘরে,
ঘি এর ছোঁয়া পেতেও পারি ।
সংসার তো ছেড়েই এলাম,
দেবো বোধয় স্বর্গ পাড়ি ৷৷

                               আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

এক সকাল

*এক সকাল*

ঘুমটা তখনো ছাড়বো ছাড়বো করছে
অ্যালার্ম ক্লক তখনও মন্ত্র উচ্চারণে নিয়ম বন্দি ৷
কোন বাড়ির রেডিওয় সকালের সঙ্গীতে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় ৷
চ্যানেলটা মনে হয় ৯২.৭ বিগএফ এম ৷
কাগজের ছেলে ধমনী কাগজ মুঠো করে ছুড়ছে
ও বাড়ির ছাদে৷
'একটু কাগজটা তুলে নেবেন'।
ফ্ল্যাটের সুন্দরী বৌদি আজ
উঠেছে সকাল সকাল
কি যেন ভাবছে দালানে একলা একমনে৷

কুকুরগুলো রাতের পাহারা দিয়ে
দম ভরে ঘুমোচ্ছে এখন ৷
মাধবী পড়াতে যাচ্ছে রোজের মতো
ওপাড়ার বিমল বাজার নিয়ে এসেছে চড়া দামের ৷
'বাজার নেবেন বাজার'
এ ভোরে ক্রেতার অভাব নেই, দামে পুষিয়ে নেবে ঠিক
সবারই তো এখন দিনে দুপুরে ব্যস্ততা ৷
দাম যতই হোক পেটা ফোলাতে সবেতেই অভ্যস্ত ৷

আমি বিছাটা গুছিয়ে জমিয়ে
শরীর টান টান করে নিলাম৷
দাঁত মেজেই যাবো কামিনীর চায়ের দোকান ৷
চায়ের স্বাদে ভিজিয়ে নেবো লেড়ো বিস্কুট
হালকা আড্ডা হবে, পরচর্চা পরনিন্দা শেষ করে বাড়ি আসবো আটটায়৷
তারপর ওই রোজকার জীবন, অফিসের ব্যস্ততা আর পায়ে হাঁটা সারাক্ষণ।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্বাধীনতা

*স্বাধীনতা*

পেটের খিদে পেটেই মরে গামছা বেঁধে কাটে,
রুগ্ন পাঁজর ফুঁপরে ওঠে টিকটিকি হাত চাটে ।
এসব দিকে তোমার খেয়াল কেনো নেই –
শুধু বৃষ্টি খোঁজো নিজের অধিকারেই।

নদীর তীর৷নাম ছিল তার সোনার তরীর দেশ,
জল শুষে নিয়ে ফসল কাটে সরীসৃপের বেস।

নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে স্বীকার করো ত্রুটি।
চাল নড়ছে বাঁশটা ধরো শক্ত করো খুঁটি ।

যুদ্ধশিবির এদিক ওদিক রক্ত লাগে জামায়,
ঘোড়ার ক্ষুরে বড্ড আওয়াজ, স্বাধীন বাংলায়।
আড়াই চালেই বর্ষা নামে শ্রাবন মেঘের ক্ষেতে,
পাঁক জমেছে জলের ঘটে, ভাত কই তার পাতে!
দূরে যে দাঁড়িয়ে, কিছু প্রেম সেও জানে।
একদিন স্বাধীন হবো,সমর্পণ স্বাধীন ভারত নামে।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Tuesday, 22 May 2018

উপলব্ধি




*উপলব্ধি*

পাঁজরে লেপ্টে গেছে
শত প্রজন্মের উদ্ভিদ আগাছা!
আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে
হিংস্র প্রবৃত্তির বাস্তব মনোভাব গুলোকে৷
যা ছড়িয়ে পড়ছে শরীরের
সমস্ত শিরা-উপশিরায়।
মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ দিয়ে,
সূর্যাস্ত নেমে আসছে কোটি কোটি স্নায়ুতন্ত্রে...
হাজার অকাল বোধ
মিশে চলেছে নদী চরে,
তার থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালির
কণা উড়ে বেড়াচ্ছে  বাতাসের সাথে...
আমি তার সবটুকুই উপলব্ধি
করে চলেছি... একলা- নির্জন স্থানে....

                 
  #আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মেঘ




*মেঘ*

পাহাড়ের বন্ধুত্বে
আসমানি মেঘ মানুষের শরীরে
বসবাস করতে চায়।
সামান্য কিছু বিদ্যুৎ চমকেও
শরীরে গভীর শিহরণ
জন্ম নেয়।
এক অজানা আতঙ্কে
বাকি জীবন শীত চাদরে
ঢেকে ফেলে...
কিছু বিকেলের পাখি সে
চাদরের ওপর বাসা পাতে,
তখনও সে ঘুমিয়ে থাকে চির নিদ্রায়।
আর মেঘ …
সে তো আগের মতই আকাশে শোভা পায়৷

                           
                      আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নদী

*নদী*

আমার মনে অভিমানের শত মুখ ভেসে উঠেছে,যা আমার পরিচিত নয়৷
তারা অনেক দূর থেকে স্রোতে ভেসে আসছে একের পর এক৷
গভীর নদী জলে তাদের শত মুখ, চলে যাচ্ছে দূর আরো দূরে৷

স্নান বালতির জলে ভেসে উঠছে কান্না ভরা নিষ্পাপ শিশুর মুখ৷
হাত দিয়ে ধরতে গেলে ক্ষণিকে মিলিয়ে যায় অস্থির জলে।
মোমের শরীর মুছে প্রলেপ হারিয়েছে হয়ত কোনো ভুলে৷

মুহূর্তের আঁচে গলে জল হয় কঠিন স্তুপ সম মোম -
সময় বড় চঞ্চল , তাই সে বয়ে চলেছে নৌকা ভেলায়।
পাড়ে দাঁড়িয়ে ইশারায় কারা যেন ডাকে, সে মানুষ নয়, মানুষেরই  মতিভ্রম৷
চিরঘুম জড়িয়ে আছে তাকে, নিন্দ্রা ভঙ্গ হলেই ভালো আগামী শেষ বেলায়৷

জেগে থাকলে আকাশ ছুঁতো, বকা খেত চাঁদ-তারাদের কাছে -
দিগন্তে কেবল একটাই কলঙ্কমুখ  জেগে আছে,কত পথ চেনা তার!
কত সন্তানরাশি ভেসে চলেছে তার জল ভরা চোখের আশপাশে !
অনিশ্চয়তার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে তারা, সুনিশ্চিত অন্য এক দেশে......

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

শারদীয়া বন্দনা ২০১৭

*শারদীয়া বন্দনা*

একদিন শরতের মেঘ এসে শুয়েছিলো মাঠ ভরা কাশফুলের বুকে
মাটির বুকে জমা ছিলো থাকে থাকে শিউলি ফুলের লাশ-
আর ঘাসেরা ছিল দেবলোকে ঘুমের দেশে।
সে দূর্গা তোমারও ঘরে আছে
গুটিয়ে রাখে সংসারে আচ্ছাদনে।
চারপাশে তাকিয়ে দেখো শত শত অসুর চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কাকের ছদ্মবেশে বাদুড়ের দল একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছে দিনের আলোয়,
চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ
ঢাকিরা তৈরি হচ্ছে শহরে পাড়ি দেবার জন্য৷
ঢাকের খোল শক্ত করে নিচ্ছে ।

অষ্টমীর বন্দনায় তুষ্ট করে সারাবছরের পাপ ঝেড়ে ফেলি, তারপর মদ্যউন্মাদ হয়ে উলঙ্গ মেদ জমানো শরীরে ভাসান ড‍্যান্সে মাধ্যমে সম্মান দি পর্বতকন্যাকে।স্লোগান উচ্চারণ করি "আসছে বছর আবার হবে..." প্রতিফলিত হয় প্রত্যেক মুখে মুখে।ক্রমশ জলের তলায় মিলিয়ে যায় মাটির প্রলেপ....

©আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

হতভাগ্য

*হতভাগ্য*

কিভাবে বদলাবো ভাগ্যের দাগ?সে রক্তে জমাট ক্ষত!
হাতে-পায়ে মেখেছো কাদা, তবু কান্না ঝরছে অবিরত,

হতবাক চাহনিতে দেখেছি তোমায়,মুখ-ঠোঁটে হাসির মরীচিকা।
কেমন যেন শুকিয়ে আছো তুমি,শতরূপ বিভীষিকা...

একের পর এক বালি কণার স্তুপ ভরেছো বুকের খাঁচায়
সে নেহাতই শিশু মনের কোমল সভ্যতা বাঁচায়!

মিলিয়ে যাবো তোমার মনের যন্ত্রণায়,যদি বেঁচে যাই প্রতিদিনই
চোখের জলেই জায়গা আমার, আমি তোমার কাছেই ঋণী...

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মুহুর্ত

*মুহুর্ত*

#আরিয়ান #প্রিয়স

ভারী হয়েছে আকাশ, সকালের গায়ে চাদর ঢেকেছে মেঘ,
হাওয়া ছুটছে সীমানা ধরে, দ্রুত এগোয় শব্দের  গতিবেগ !

ভোরের স্বপ্নে চুমু দিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির বিন্দু ফোঁটারা,
বাতাসের শব্দ লক্ষ্য করে মন ছুড়ছে ক্ষিপ্ত লুঠেরা ।

রাতের তারাদের সাথে পা ফেলে চলেছি চাহিদার মিছিলে,
চোরা আতঙ্ক বুকের চেপে রেখে ,অনুভূতি মেলেছি পাঁচিলে ।

রাতের ক্লান্তিগুলো গর্জে ছুঁড়ে মারে বিদ্যুৎ ঝলক,
অন্যের চোখে বেঁচে আছি,  মুঠো-স্মৃতি নিষ্পালক।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

ফুটপাথ

*ফুটপাথ*

সভ্যতার মশাল দাউ দাউ করে জ্বেলেছো তুমি,
কিন্ত অসহায় মানুষের নিৰ্বাক-নিস্তব্ধ যত
সহস্র ঘাম তোমায় কটাক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে চলেছে।
-আর তাদের সঙ্গী হয় নিশ্চুপ ফুটপাথ।
যার ধূলিকণায় সাজতো ফাগুন বাতাস,
১৪৪ধারার মাতাল আবেগ ভরদুপুর রোদে বসে এলোচুলে শুকাতো,
যার কারণে হঠাৎ বসন্তই বিদায় চায়।

স্ট্রিট লাইট সন্ধ্যের গোপন অভিশাপ লুকিয়ে রাখে,
প্রেমাস্পদক যথা সময় স্নেহভাজন আলিঙ্গন করে
অদৃশ্য অন্ধকার তৈরি করে বীৰ্য আস্ফালন,
এসব ঘটিত ঘটনা অনায়াসে হজম করে ফুটপাথে ক্ষুধার্ত শিশুটি।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

গ্রাম নিবাসী

*গ্রাম নিবাসী*

চরের গভীরে সহস্র মাটিরা দিন গোনে জোনাকি আলোর শেষ কাল কবে।
একের পর এক মিনার মাথা উঁচু করে খোঁজে পর্বত চূড়ার শেষসীমা।
গোপনে জর্জরিত কালঘুম শুকোতে দেয় রাতের তারাদের বুকে।
ভেজা কালঘুম শুকিয়ে বাষ্প হয়,
জন্ম নেয় বিন্দু বিন্দু বালুকণা।
তাতে আমার শেষ ভোরের বিছানা পাতে রাতের ব্যস্ত বাদুড়ের দল।

মাঝ বয়সী মেয়েটি দুপুরের জলে জলখেলায় মত্ত,
পাড়ের নৌকা তখন লুপ্তপ্রায় ডোবা টাইটানিকে অভিশপ্ত ।
মাঝি ফিরতে পারে যদি ফিরে  চলো ওই ঘাটে।
দেখবে তোমার অপেক্ষায়
হাজার অভিমানী মুখ চেয়ে আছে, আকাশের দিকে।

দুরের কুটির ঘরে সন্ধ্যা হবো হবো।
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বললো বলে।
রমণী মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে প্রদীপ শিখার আলোয়।
আর লক্ষ্মী প্যাঁচা ডাকতে শুরু করবে আঁধার গাছের কালোয়।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল )

শুক্ন ইচ্ছে

*শুক্ন ইচ্ছে*

ভেজা মলাট ঢাকা বই
শব্দগুলো বিছানায় মেলে দেয়।
শরীরের ঘামের হিসেব বারে বারে ভুল হয়ে যায়।
মাথায় অস্থির করা যন্ত্রণা শুরু হতে থাকে,
পাখার বাতাসে
কল্পনার জগতে ঘুম লেগে যায়।চোখের কোণায় ।

সময়ের ভুলে আকাশ নেমে
আসে মাথার ওপর,
গেরুয়া চাদর ঢাকে বিকেলের রোদ
আমি ঝিনুকের খোঁজে
সাত সাগর পার করে বসি।
নিজের অজান্তেই সাঁতরে বেড়াই তীরের দিকে।
অগত্যা এক সময়,
আবার ফিরে আসি পড়ার টেবিলে,
নিজেকে খুঁজে পাই ডাইরির পাতায়,
পাই পুরোনো খাতার মলাট ভাঁজে
শুকনো গোলাপে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মনবন্দি

*মনবন্দি*

আমি খুঁজেছি তোমায় নিজের ভিতর,
নিজে হারিয়ে গেছি তোমার ভিতর।
তোমার চোখে,তোমার মুখে ঝরে পড়েছি কান্নার জল হয়ে।
আগলে রেখেছি তোমায় সারাক্ষণ
নিস্তার পেতে চাও যদি !
স্থান নাও অন্যশরীরে,
শিরায় শিরায় মিশে যাও
বিষাক্ত করো কামজ ঠোঁট.
নিস্তার পাবে তখন আমার থেকে
দেখবে রক্ত ঝরবে আমার শরীরে,
আঁকড়ে ধরবো তোমায়
শত ক্ষতের দাগ ঢাকি তোমার ছোয়ায়।
পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আমার অস্তিত্ব,
সেই ছাইয়ে তুমি প্রাসাদ গড়তে চাও
জল ছিটিয়ে আগুন নেভাও
যুক্তির জালে বন্দি করো আমায়।
শেষমেষ আমার অস্থি টুকুও পড়ে যায়....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রক্ত প্রলেপ

*রক্ত প্রলেপ*

দেওয়ালে লেগে থাকা রক্তের প্রলেপ
এখনও দাম চায় লাল টিপের !
পাখার ব্লেডে রক্তের দাগ মুছে দেয় যুক্তির বিভেদ।
রোজকার আলসে জীবন,
পিছনে ফেলে আসা স্মৃতির স্তুপ,
চকচকে পারদে প্রতিবিম্ব  হয়ে ফুটে উঠতে চায়.....
ভিজে চুলের জল তখনও চুইয়ে পড়ে পারদের গা বেয়ে...
চেনা গন্ধে ঘরময় সুগন্ধি হয়ে ওঠে...
আগেও এমনটাই হতো....
এসব রোজের হিসাব রাখে গোধূলির আকাশ।
অতপর বাথরুমের সাওয়ারে ধুয়ে ফেলে সারাদিনের ব্যস্ততার নিশ্বাস....

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মূলস্রোত

*মূলস্রোত*

সময়ের মূলস্রোতে কখনও প্রতিষ্ঠা পাইনি
পড়েনি কেউ লেখা।
স্বীকারক্তি দিয়েছি আমি।
কারো সময় হয়নি দেখার ।

নগ্ন চাঁদ ছুঁতে পারি নি আমি
তোমার শরীর ছুঁতেও এখন ভয় লাগে।
মাঝে মাঝে কিছু অনুক্ষিদেও মনে জাগে।
আজকাল প্রেমের রসদ খুঁজি মাটি ভাঁড়ে,
তোমার কখনও কি ঘুম ভাঙে খুব ভোরে?..

সে মেঘে বাস করতাম আমি
প্রেম ছিলো মেঘবালিকার সাথে
বাপটা মাতাল ছিলো নেশা করে অজুহাতে ।

স্বীকারক্তি দিয়েছি ...
এর থেকে ভালো লেখা হয় না ।

একদিন কে যেন বলেছিলো
লেখা মনের অস্তিত্ব বাড়ায়
কি জানি সত্যি কিনা!
আজকাল প্রেমটাই বেশিভাগ জড়ায়

কবিতারও বয়স হয় কবিদের হাতে হাতে
আমার বয়স কম তাই খুন করি নিজের হাতে..

পাগলামি ছাড়া লেখা আর হয় না আমার
সব লেখা তবে স্তম্ভ হয় না আবার ....

বলেছিলামই তো ভালো লেখা হয় না,
সময়ের মূলস্রোতে কারো মন ঝড়ায় না,
কবিতা আমার দ্বারা লেখা হয় না....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

এক গল্প বলি

*এক গল্প বলি*

এবার একটা গল্প করি,
মাথায় জমা চিন্তা ভারি
একটা দুটো দোষ আমার,মাথায় ভরা দেনার পাহাড়।

বাপটা মরে মদের ঘোরে
বোনের মনে পায়রা ওড়ে
স্বপ্নে আসে রাজার কুমার,  কানের দুলে ভীষন বাহার।

হঠাৎ এলো দমকা হাওয়া
এটাই আমার শেষ খাওয়া
ভাতে হাড়ি শূন্য তখন থালার পড়ে শুকনো আহার ।

দিনগুলো সব ভালোই ছিলো
যমের রাজা দূত পাঠালো
শূন্য পড়ে দালান আমার,সময় হলো বিদায় নেবার।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মুখোশ

*মুখোশ*

সেদিনের নির্লজ্জতায় ঢেকে
নিয়েছি মুখ৷মুখোশ কিনেছি
সামান্য দামে৷প্রয়োজন বশে৷

সে গোলিতে পা ফেলি না
আর৷বড্ড নোংরা জমা৷
চারিদিকে হাড়গোড়, পচা
চামড়া৷অদৃশ্য আত্মার আনাগোনা
যা আত্মহত্যার সম্মুখীন ৷৷

শুরু হয় শমন৷কঠিন পাহারা৷

জমে থাকা বরফ গলে জল
হতে থাকে৷ভেসে চলে পচন
লাশ গুলো৷নতুন তৃণ আসে
স্তব্ধ হয় আত্মার আহুতি ৷৷

কাহিনীর রুটি,হাতে সেঁকা৷

তাও কিছু দূর হতে দেখি

বেড়ে ওঠে গাছের সারি
পুনরায় ভিজে উঠছে গলা,
সামান্য জল পানেই৷

#আরিয়ান_প্রিয়স(পাল )

Bright Lips

*Bright Lips*

নীরব রাত,
আমি একাকী বিছানায় বসে
সঙ্গীহীন হয়ে...
আকাশে ভরেছে মৃদু আলোকরাশি,
রয়েছে এক ফালি চাঁদ,
জ্যোৎস্না আলো ভেঙ্গে দিচ্ছে মেঘেদের ফাঁদ।
নির্জন একাকী জানলায় বসে আমি,
পলকহীন দৃষ্টিতে অস্তিত্ব খুঁজে চলেছি তারায় তারায়....
দূর মরীচিকায় হাজারও নক্ষত্রের মাঝে,
সে উজ্জ্বল,উতলা ধ্রুবতারার সাজে।
তার চোখে চোখ রাখলে হঠাৎই হেসে ওঠে সে,
মৃদু বাতাস হয়ে বলে 'আমি আছি তোমারই পাশে,'
বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে বলে ভালোবাসি,
তখন শত পাথর ক্ষয়ে যায়, ঠোঁট ছোঁয়ায় উষ্ণ আদর রাশি রাশি।
গভীর ঘুমে পৃথিবী হয় অচেতন,
পাশে থাকে সে, সঙ্গী সারাক্ষণ,

এভাবে একসময় হয় ভোর,
কানে ভাসে আজান ধ্বনি, কাকের ডাক
চেনা মানুষ, সূর্য উদয়....
আমি অপেক্ষায় থাকি কখন কাটবে দিনের প্রহর....

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল )

হিসেবী নামতা

*হিসেবী নামতা*

শুকনো পাতায় উঠবে ধ্বনি,
শব্দ কুড়োয় চোখের জল ৷
খুব সকালে ভোরের আলোয়,
হারিয়ে গেছে পাখির দল ৷

রদ বদলে কাঁপছে শহর,
ধুঁকছে কেবল মাটির ঘর ৷
তোমার আমার রক্ত দিয়ে,
সাজায় ওরা সয়ম্বর ।।

ছুটছে প্রেম,একলা গলি,
বিষাদ খোঁজে নতুন দেশ ৷
নতুন করে চুল্লি সাজুক
আশার খেয়া নিরুদ্দেশ ৷৷

                         #আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সেদিনের ভোর

 *সেদিনের ভো*

সেদিনের ভোরে,
হেঁটেছি মেরু পথ ধরে।
দিগন্তে শত মেঘ ছিল ফাঁকা!
এ আমার কল্পনার স্বর্গরূপ দেখা।

ঝিঁঝিঁ ডাক শুনি আশপাশে,
পথ হারায় নরম নদীর পার ঘেসে।
ধোপানী ব্যস্ত স্নানে,কাপড় ঢাকে লোকচক্ষু লাজে।
গাছের কোঠোরে পাখিরা জপ্পো করে,
আমি তুমি পথ চলেছি কুয়াশার পথ ধরে।।

এ রাস্তা বহুদূর চলে গেছে,
মিশেছে কালো পাহাড়ের অন্ধকারে।
দুরে গাছের সারি
কটা লোক চোখে পড়ে ,
না জানি ব্যস্ত রসের খোঁজে,
আমি তুমি পথ চলেছি খেঁজুর বাগান ধরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নববর্ষ সিরিজ

*নববর্ষ - ২*

ফিরে এসেছ তুমি।
নববর্ষের দেওয়াল থেকে মুছে গেছে ফুল ফুটে।

তোমার শাড়ির আঁচলে যে কতক বুটিকের ছাঁপ
ডুবেছে শুষ্ক শীতে।

এখনও অপেক্ষায় পথ-মন-আক্ষেপ
সবেতে হলুদ হলুদ ছোপ
ভেবেছো প্রেমের দাগ নাকি বসন্ত প্রকোপ

আর আমার ভয় লাগে তোমায় ছুঁতে...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল

হাজার শতক দিন


*হাজার শতক দি*

হাজার শতক দিন পেরিয়ে তোমার আমার দেখা ,
নীল-শাড়িতে আজ যেন খুব লাগছে তোমায় একা ।।

চোখের কোনে কালসিটে আজ ভীষণ অন্যরকম
জেদ নেই আজ ঠোঁটের কোনায় হাসিটুকুই চরম

এমনই এক পঞ্চমীতে প্রথম দেখি তোমায়
অজ্ঞলিটা শেষ না হতেই খামচে ধরো আমায়

কি করছো দেখবে সবাই হাতটা ছাড়ো
পাগলি নাকি।আদিখ্যেতা, বড্ড বেশি করো।।

সেদিন গুলো এমন ছিলো দেখতো শত জনে,
এতদিনে দেখতে তোমায় সব যে পড়ে মনে।।

আছে পুজো মহাশ্বেতার, আছে বঙ্গদেবীর ঝলক,
গলার হারে বেশ বসেছে আদর্শতার ফলক ।।

সহজ কথায় আমিই ছিলাম অনেকখানি বন্য,
বান্ধবী তো অনেক ছিলো, অপেক্ষা তোর জন্য ।

এখন তো আমার ফেসবুকেতে কবিতার ছড়াছড়ি,
ইচ্ছে করে আঁধার এলেই তোকেই আঁকড়ে ধরি ।।

এমনি করে প্রেমকি চলে বললে দূরে এসে,
আমরা দুজন ব্রেকআপ করি ফেব্রুয়ারির শেষে ।।

মুচকি হেসে হঠাৎ মুখে চাইলে তুমি বিদায়,
স্মৃতির ঝুড়ি ফর্সা হতে ছলছলে চোখ ভাসায় ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল

তবে তাই হোক

*তবে তাই হোক*

তবে সে-ফিরে পাওয়া যায়
নতমুখে মুছবে হিসেব কথা

না-হলে প্রচার পাবে ভুলই
যদি আঁধারে চালাও রেডিও
আত্মাদের ভীড়-হবে চোখের পাতায়
সারসে কিনবে ইচ্ছে বসন্ত

সংগ্রহ অজুহাতের নির্দিষ্ট অনুপাতে
ডুববে ধোঁয়াটে আফিং-এর চরও

তুমি শুধু ঠিক করে-দিও
কিভাবে মেটাবো নিহত-পেটের স্বাদ

কিনবো কিভাবে ভাসমান স্মৃতি
নিকোটিনের স্বাদে স্বাগতম কল্পনাও

সেই মতো পরাধীন আমিও
প্রতিদিন খুঁজি স্বাধীনতার মানে
সে ভারতে কাটছে কত-বর্ষ
এ মাটির আমার জন্মস্থান
কি-করে বদনামে ঢাকি তাকে
সে তো আমারই মাতৃভূমি
হাজারও বিবাদে রাখলেও
সে আমারই জন্মক্ষেত্র
আমারই ভারতবর্ষ...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

কবরী বিলাপ

*কবরী বিলাপ*

দেওয়ালের শ্যাওলা ভেজা অনুভূতির আড়ালে কিছু মুখোশ লুকিয়ে থাকে।
বারবার চেষ্টা করেও তাদের খুঁজে পাই না।
আর চেনা সভ্যতা হারিয়ে বসে অস্তিত্ব,
কোন বিস্তর জনাকীর্ণ অরণ্যে. . .

কয়েকশো কাকের দল হেঁটে বেড়ায় ক্ষীণ কবরের বুকে
কিছু শকুন ডানা শুকোয় ফলকের পিঠে
আর আমার ভালোবাসার কাঠগোড়ায় ফুল রেখে যায় বৃদ্ধা মা
রোজ রাতে আমার শরীর দরজার কড়া নেড়ে যায়
সাক্ষী থাকে রাস্তাগুলো
সাক্ষী থাকে বিক্রিত শব্দ করা কুকুর গুলো
তখন আমার কবরের বুকে শুকনো গোলাপ পাপড়ি উড়ে আসে. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দিগন্ত আভাস

*দিগন্ত আভাস*

শিশির ভেজা পালকে সাজানো গোধূলি,
রেশমী আবেগ  মেখে চলেছে সূর্যকিরণ
কোন তারার বুক ঘেঁষে ।

দিগন্ত চুম্বী পাখিদল অতীর স্মৃতির রং
ছড়ায় রামধনুর মতন।
তা দেখে মুচকি হাসে বেরসিক চাঁদের হালকা প্রতিচ্ছবি ।
হাল বওয়া নৌকা যেন হারায়
মাছের কোন শহর পথে,
কেবল পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলে ফেলে যাওয়া
সূর্যকিরণ! !
জ্যোৎস্না কামড়ে পরে থাকা জোনাকি দল আয়নায় মুখ দেখে ডানা
মেলে দেয় বাতাসের চোখের পাতায়
আর তখনও পূর্ণিমা তিথির সমাপ্তি ঘটেনি বোধহয়!
কেবল এটুকুই বার্তা প্রকাশ করে প্রকান্ড চাঁদের বলয়. .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

নষ্ট মেয়ে

*নষ্ট মেয়ে*

নষ্ট হবার দিন, গোধূলি দু’ঠোঁটে কামড়ে, প্রিয়,
স্মৃতিগুলোকে পায়ের তলায় চেপে রেখে নেমেছি সিঁড়ির ধাপে
ক্রমশ নিচের দিক,
যেখানেই থাকো, তুমি পৃথিবীতে দ্যুতিটি পাঠিও।
তখন নষ্ট আমি, তোমার শরীরে জমলো অ্যাসিডের সেপ্টিক...

পেলো অজস্র হাসি। মৃত স্বপ্ন ক্ষত ভাঙা হৃদয় স্পৃহাদের।
আমার নষ্টের কাঁটা বিঁধলো তোমার ঘৃণার শরীরে।
পাঁকেজলে মিলেমিশে একাকার। যেভাবে লাশের
ঘরে জড়ো পরিণত শত পচন মৃতদেহ,

হাত বাড়িয়ে আছি দেখো।
ঝরছে রক্তজল চোখের কোনা থেকে
যখন পৃথিবী তার ঘূর্ণন গুটিয়ে নিচ্ছে, খুশির মুহুর্তগুলো হারিয়ে যাচ্ছে
তুমি দাঁড়িয়ে আছো নিরবে। ঢুকছে আমার শরীর হিংস্র নেকড়ের ক্ষিদে আহারে –
ক্রমশ ভিজছে আমার শরীর রক্তরসে মাখিয়ে...

উপরে তাকালে দেখছ মাটি ফুঁড়ে তারা ও আকাশ,
ঘন সুড়ঙ্গ, ছায়াময়, দম্ভের অছিলা। পরিহাস।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সজীব

*সজীব*

দুচোখে ইশারা চিনি এখনো তোমার ।
গালে টোল,রূপে তখনো স্বর্গের উর্বশী
নিশ্বাস পড়ছে দ্রুত,মন অতৃপ্ত শক্ত পাথর!
কথার দুর্বলতা,শব্দে জাতিস্মরের হাসি ৷

কে জানে কিভাবে এখনো সজীব রাখো,
বহু কাল গেছে সরে ৷ বয়সে ঝুলেছে মুখ...
থমকে দাড়িয়ে আমি অন্য গ্রহের পাড়ে?
রাত ফুরালে, ভোরের আলো৷ চিনবে আগন্তুক?

আর কোন বাধা পেরোনোর নেই আজ।
ঝড়ের বেগে ঢেকে দিয়েছি তারা,
তবু চাঁদের আলো ভেদ করে আসে....
মাটিতে শুয়ে জ্যোৎস্না স্নিগ্ধ চারা!

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

প্রথম প্রেম

*প্রথম প্রেম**

দেখেছি যেন তাকে
বহুদিন আগের অতীতে -
ঠোঁট কামড়ে ধরা গোধূলিতে

পুরাতন ধাঁচের প্রেমও
বহু যুগ পার থেকে ডাকে...

রাতের চাহিদা ঘুমেই হারায়।

দিনে-দুপুরে পুকুরে ঢিল ছোড়ে৷

এই দেখি শুক্ন ঠোঁটের হাসি
মরু-শূন্যতা পাই মনে। স্মৃতিতে।
যখন স্বপ্নেরা ভাসমান...
মৃত তৃষ্ণা , জীবিত অভিমান...

ওই শুনি মধুবন বাজে
ওই সেজে ওঠে মরীচিকা।

দাগ-লাগে আয়নার গায়ে...

চেনা চুলের ক্লিপে,ফিকে
লিপস্টিকে,আমার প্রথম প্রেমিকা।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

পটভূমি

*পটভূমি*

বেনামী ফুলে ঠাসা ফ্লাওয়ার ভাসে সীমাবদ্ধ,
গভীর অন্ধকারে রজনীগন্ধার সিগ্ধ আবেগে ঠোঁট মেলানো সুরের অন্তিম ঝংকার।
শান্ত বসন্তে আলপিনের সমতুল্য শরীরকে মাটিতে নিক্ষেপ করতে করতে আলতা মাখিয়ে ফেলে জ্যোৎস্না আলো।

এককেন্দ্রীয় মহাবলয়ে রক্তপিন্ড অভিমানে ভিজিয়ে ফেলে চোখের পাতা।
এরকম স্বপ্ন দেখা অতীব ছোট্ট জীবাণুটি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে উলঙ্গ শরীরের যৌন পটভূমিতে,
গোধুলি সাতরঙে সেজে ওঠে যৌবনের রাস্তাগুলো ,
তাতে একটা একটা করে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে যায় সন্ধ্যাতারার দল. . . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ধারাবাহিক

*ধারাবাহিক*

বন্ধুত্ব ফ্রেমে একটা করে
অভিমান চাপা দিতে থাকি ;
দিগন্তের প্রথম সূর্যকিরণটিকে সযত্নে  সরিয়ে
অপেক্ষারত তৃতীয় প্রহরের । নীলাভ পাতারা
হলুদ মেখে ফেলে যাওয়া মুহুর্তের ভবিতব্য খুঁজতে যায় !
বসন্তের কোমরের  ধার ঘেঁষে
মুখ বাড়ানো পড়ন্ত আলো -- একটা
করে স্মৃতির অস্থি বিসর্জন দেয় ;
এমন এক সময়ে বুকে তোর সয়ম্বর সাজানো হোক
লেখনীর কানে ধ্রুবতারা প্রেম ছন্দে কবিতা শোনাক চাঁদের নামে,
রজনীর মধুকর গন্ধ ছড়াক সমস্ত দিকে !
সন্ধ্যাখোঁপায় ফুল গুঁজে , আত্মহত্যা করা
চিঠিগুলো -- পুরুষের  ইতিহাস রচনা করুক যোগ্য স্বামী রূপে ॥

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

কথার_পলি

*কথার_পলি*

পলি পড়েছে কথায়।
ঠোঁটের কোনায়
বহু হিংস্র বলিরেখা ।

তবু মাতৃভাষা কি করে ছাড়ি!

সে বিচার তারা করুক
যারা ভাষাদের মহাবিদ
ঠোঁটের ভাষায় লিমিট আসুক
কারণ হিংস্র ভাষা জাগতিক
দু-দেশে ভাগ এসেছে
বাঙাল অথবা বাঙালি ,
দুপিটে একই ভাষা
আমরা উভয়ই বাঙালি
আমার নগর ঢেকেছি
হিসেবের চাদরে।পরিধী থাকা সত্ত্বেও,
তোমার হাতে মশাল জ্বলে
ভাষা রক্ষার সার্থেও ।

আমি এখন সংশয় খুঁড়ে
তুলে আনি ঘনিজ হৃদয়
যেখানে সব জাতেরই
বিভেদ জন্ম হয়. . . .

থাক-না এখন বিভেদ বিচার,
থাক সরে জাত-পাত বা ধর্ম
থাক তবে ঘৃণাও একা!
থাক সরে লালন কিংবা জীবনান্দের তুলনা।
একভাষাতেই  গান গাই তার
নতুন রূপের জন্য,
আমার মাতৃভাষা বাংলা এক ও অনন্য. . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Monday, 21 May 2018

খামখেয়ালী

খামখেয়ালী

বিষাদ যেমন থমকে গেছে,
কান্না এবার চুলোয় যাক ৷
মনের আশায় ক্ষতের প্রলেপ ,
মুছিয়ে দেবো চোখের দাগ ৷

শেখড় যখন আত্মা পাবে
গাছ ভরাবে কান্ডে ঝুরি,
একলা শীতও রং এনেছে
হারিয়ে গেছে রাত প্রহরী ৷

প্রশ্ন যখন ফুরিয়ে আসে
উত্তর বলে দিনের শেষ।
বিকেল ঘুুমোয় পাখির বাসায়
আবছা গাছে আলোর রেশ ।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মরচে পড়া আমার শহর

মরচে পড়া আমার শহ

মসজিদে ওই আজান ধ্বনি,
ভীড় করে দেখ কাকের দল ৷
বেনীর চুলে পাক ধরেছে,
শরীর ভেজায় কাদার জল ৷

নোট বদলে কাঁপছে শহর,
ধুঁকছে তবু দোকান ঘর ৷
ভোটে নাকি বাহার অনেক,
রঙ বদলের সয়ংম্বর ।।

ছন্নছাড়া শহরতলি,
বুজরুকিদের চারণদেশ ৷
মৃত মানুষ বেঁচে থাকে,
জীবিতরা নিরুদ্দেশ ৷৷

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

মরীচিকা

মরীচিকা

স্তব্ধতা ভিড় করে,কণ্ঠরোধের উপায়,
তোর ঘাটে নৌকা আমার দুচোখ ভরা কথায়,
একলা বসে ভাবছি তোকে,
মরছি তোরই মিথ্যে শোকে,
আঁধার মনে দাঁড়িয়ে রাতে,
একলা কোন ফাঁকে ৷

নৌকা ফাটল ধরে, সুখে আগুন জ্বালায়
শরীর ভেজে ভীষন সুখে,রক্ত শুন্য শিরায় ৷
ফাগুন আলোয় জ্বলছে আকাশ,
নীলচে মেঘের বদ্ধ বাতাস৷
হয়ত কোন ক্ষতির আভাস
আমায় পিছু ডাকে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

খিদে


খিদে

ম্যাগনেটের চুড়ে
বন্দি থাকা বসন্তের ঘুম
একটু একটু করে শরীরে মেখে
নিচ্ছি ৷তোমার অজান্তেই ৷
কপালে তিলকের নকশা
এঁকেছি তোমার অলক্ষেই!
তবুও অপেক্ষা করছে মুখচোরা ছাদের
বুক, যদি ফিরে আসো মাঝরাতে৷
দেখবে নির্জীব দেহটা হিসেবি বাতাসে
মেশে, আছড়ে পড়া জ্যোৎস্নাতে৷

#আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

শেষ বেলা




শেষ বেলা*


দিগন্তের লাল চাদর উড়েছে বাতাসে৷
নতুন বন্ধুরা ভীড় করেছে নদীর পাড়ে ৷
আমি তুমি বেশ আনমনা ৷কিছু ভাবছি আনমনে৷
হয়ত দুজনেই হেঁটে চলেছি দিগন্তের পথ ধরে৷
সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক মুখে৷

পাখিরা ছুটেছে আপন নীড়ে।
কিছু পানকৌড়ি তখনও ডুবছে জলে।
আশপাশে ফিল্টারের ধোঁয়া ভরে চলেছে।

আমি তখন সূর্যের গভীরতা খুঁজে চলেছি লাল বলয়ের মধ্যে৷
খানিক বাদে অসস্ত্বি কনুই ঠেলা দিলে-
আমি বাস্তব ফিরতি পথে ঢুকি।
সামান্য সময়ে অন্ধকার নামে নদীর পাড়ে।
আজকের মত ইতি.. রইলাম নতুন বিকেলের আশায়
তাই আসব আবার কাল...

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

গ্রীষ্ম

গ্রীষ্ম


সোনা রোদ্দুর এসে পড়েছে যে-বিছানার গায়ে,
তার সোনালি চাদরের সৌন্দর্যতা নিয়ে গেছে সাঁঝের আকাশ।
এখন, দিনের আলো পুরানো উত্তাপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে,
শরীর ভেজালো একরাশ অভিমানী ঘাম।৷

অস্বীকার করে তারা,যারা বাথরুমে শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির দিন গোনে।
পড়ন্ত সূর্যের আলোকে নিংড়ে তার তাপ গ্রাস করতে চায়,
মধ্যাহ্ন কাল পর্যন্ত এ ভাবনা ক্রমাগত অগ্রসর...
সমাপ্তি পেতে শুরু করে বিকেলে তিরপল ছায়া মেঘ ঢাকায়...

অাবহাওয়া খবরগুলোতে ৩৪-৩৮ডিগ্রি নিচে নামতেই চায় না,
ধুলো, তাপে রাস্তা চলা দায় হয় সৌর্য দম্ভ প্রখর চলমান।
বৃষ্টির দেখা মিললে ভালোই হতো । শরীরে চলার ক্ষমতা যেন টানটান ৷৷

কুকুরগুলো পাঁকে গলা ডুবিয়ে মরে জলজ্যান্ত ৷
বয়স্ক পাখির ক্লান্তি গাছের ডালে
চিত্রে সময় স্থির। সন্ধ্যে নামার আগে পর্যন্ত...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

থাকলো চৈত্র নাম



*থাকলো চৈত্র নাম*

থাকলে কি হতো সেটা বড় কথা নয়
অভিমান সেলাইএ সময় সুতো হয়।
চলে যাওয়া দিনের সন্ধ্যা অস্ত নেয়,
পাখির দল বাসায় ফেরে ক্লান্তির বিছানায়।।

অথচ দেখ চৈত্র চাঁদের নিশ্চুপতা
ঘনঘন গুমোট ভাব।ভেপসে গেছে হাওয়া,
থাক তারা আজ।তোমার শাড়ির আঁচলে,
মাঝে মাঝে ছুঁয়ে দিয়ে হারিয়ে যাওয়া।।


ম্লান জ্যোৎস্না আলো যেতে যেতে ঠিক,
জিরিয়ে নেয় বসন্ত স্যাঁতসেতে বারান্দায়
কেউ ফিরে যায় ঘাসেদের বুক চিরে,
আনতে আগামী দিন বৈশাখী চিলেকোঠায় ।।

কোন দিন দুঃখ থাকবে না তাদের?
হারাবে না পরিবার, স্মৃতি মাখা ভিটে।
দূর থেকে পথকেও হারিয়ে যেতে দেখি।
বাতাস ফিরে চলে শুনশান নগরীতে।।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

জিয়ন কাঠি

*জিয়ন কাঠি*

চলো নষ্ট হই নতুন ভোরে,
একবার ভুল না হয় জেনেই করি
তোমার রাগে অনুরাগে,
শিশিরে ভিজি অন্ধ চিলেকোঠায়,
আবেগের ভালোবাসা গায়ে মেখে

একটা শঙ্খচিল উড়ান ছুঁয়ে দেবো তোমার চোখে!
প্রেমজিহ্বা ঠোঁটে ঘসে স্বপ্ন রস নিংড়ে নেবো মাঝরাতে
বুকচিরে যন্ত্রণায় ভাসবো
স্পর্শগুলো অভিমানী হয়ে উঠবে তোমার লাজুক মুখে. .  . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Sunday, 20 May 2018

শিবরাত্রি

শিবরাত্রি ২০১৬

শ্মশান মাঝে শকুন শান্ত ছড়িয়ে হার খুলি
'ॐ' মন্ত্র শিব মন্ত্র সর্বে ব্রজবুলি
তুমিই দেবা দেব তুমি জটাধারী
তোমার জটার সৌভাগ্যে দেবী গঙ্গা নারী
বিষ্ণু চক্র শিব প্রদান,শান্ত ভদ্রকালী
তুমি শান্ত দক্ষ রুদ্র  দেবী দহনো যজ্ঞে
কালভৈরব রুদ্র কালে ধ্বংস বিষ্ণু পক্ষে
রুদ্র রূপে ধ্বংসকুলে সতী বহনকারী
শিবরাত্রি সেই রাত্রি কষ্ট হরণকারী
বিবাহ কালে আদি শক্তি শিব সতীপতী,
দূর্গা পুত্র কার্তিকেয় দেব সেনাপতি ।

  #আরিয়ান প্রিয়স

জীর্ণ মানুষ

*জীর্ণ মানুষ*

ঘাসেদের শিরায়
তারা এঁকে দেয় গোধূলির চাঁদ।
রোদেরও ইচ্ছে করে পুনরায় ফিরে আসার,
আলোর সাতরঙ ছুঁড়ে দিয়ে, হতে চায় বেনামী চিত্রকর ।
কালো আকাশ ঢেকে দেয় সূর্যের অহংকার ।
নিস্তেজ জোনাকি দল দাম চায় জ্যোৎস্না আলোর।
সূর্য ওঠার আশায়,
ফিরে আসে ভোর
তখন থেমে যায় সব..
পুনরাবৃত্তি ঘটে ভোরের আলোর।
রয়ে যায় কেবল মন ভাঙানোর ক্ষোভ..

রয়ে যায় জীর্ণ মানুষটার অবিরাম আর্তনাদ,
কতটা ক্ষুধার্ত সে জানে কি সমাজ,
জানেন নিশ্চুপ তারাদের দল?
সবাই একদৃষ্টে তাকিয়ে
কেবল জোনাকি সাথ দেয় পথ চলার....

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বসন্ত

বসন্ত

ফিরে এসেছ তুমি।
নববর্ষের দেওয়াল থেকে মুছে গেছে ফুল ফুটে।

তোমার শাড়ির আঁচলে যে কতক বুটিকের ছাঁপ
ডুবেছে শুষ্ক শীতে।

এখনও অপেক্ষায় পথ-মন-আক্ষেপ
সবেতে হলুদের ছোপ
ভেবেছো প্রেমের দাগ নাকি বসন্ত প্রকোপ

আর আমার ভালো লাগে তোমায় ছুঁতে! !

#আয়ান প্রিয়স (পাল)

মৃত দেশ

মৃত দেশ

যাচ্ছ! কোথায় সীমা পাবে?
পায়ের তলায় পথ ঢেকেছে আঁধারে আঁধারে । ফিরবে কবে!
থামো। কোথায় সীমা পাবে।

হেঁটে ফেলেছো অনেকটা
ভেবো না।শেষ নেই।এর পরে পথ পাবে আরেকটা.....

যাচ্ছ!  আদৌ কি সীমা পাবে

কখনও অংকে মিশে দেখো,
সহস্র সংখ্যার মাঝে একলা হয়  একও।

তাকে ডেকে নাও মাঠে
বসন্ত এলে নতুন জীবন পেতে ঘাসেরাও ছোটে ।

কোথায়ও কান পেতে দেখো
শব্দেরা মেলেছে ডানা, বাতাস হয়েছে সাঁকো....

পৌঁছে দেখবে সেখানে মৃত দেশ পড়ে আছে
এক চেনা পথ কবরের দিকে গেছে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রাত

*রাত*

সে মেঘবালিকা স্বরূপ৷
সে চুলের বাঁধনে মন টানে আমার৷
যা কেবল কাছে যেতেই নয়, বারবার
পেতে চায় তার লাল ঠোঁটের ছোঁয়া ৷

সে পৃথিবীর তুমিই রাণী৷
নরম রাত্রির দেশ নদী জলের গন্ধ ৷
ওই রূপে জেগে ওঠে কোন বিকেল বেলার ফুল ৷
যে আঁচলের বাতাসে মন চলে দুর বহুদূর ৷

সে দিকে তোমারই বাস
ভরে আছে ফুলের সাজে দীর্ঘ বাগান
তার পায়ের স্পর্শে পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি গভীর শিহরণ ৷
চোখ ভরা যেন শত শতাব্দীর তৃষ্ণা জ্বলজ্বলে !
এ পৃথিবী একবার পায় তাকে, পায় না তো আর।

ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন কোন বির্কীন জীবন
অধিকার ক’রে আছে তারই উতলা মন;
চাঁদ ডুবে গেছে ঘন পাতা ভরা অশ্বথের কাছে
একগাছা দড়ি এখনও ডালে ঝোলানোই আছে ৷
শুধু তার চলে যাবার স্পষ্ট আভাস দিচ্ছে তারার দল
ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন ডুবে গেছে পঞ্চমীর চাঁদ
সেখানে ছোটাছুটি কিছু পাখির
ব্যস্ততা সে রূপের সমাধি সাজাবার ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

চকমকি

*চকমকি*

দিনের সূর্যকে রাতের ভিনারের
অমলেট বানিয়ে তাকে রুটির
সাথে জল দিয়ে ঘিটে বিছানায় শুয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ
স্মৃতিগুলোকে অবিচ্ছেদ্য আশকারায় তারাদের গায়ে শুকাতে দিয়ে চাঁদের মুখে পর্দা ঢেকে
রাতের পর রাত জেগে অবিরাম চোখের জল নষ্ট করার প্রবনতা কেবল তোমার নেই আমারও কিছুটা আছে।।

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্বপ্নের_গল্প


#স্বপ্নের_গল্প

স্বপ্নের ধাপগুলো প্রতিনিয়ত
কয়েকটা অনুতাপের ভেতর হেঁটে বেড়ায়
আর চোখের পাতায় ,
দাঁড়িয়ে থাকে এক রাশ ইচ্ছে আবেগ ।
শিঁড়দাড়ার প্রতিরোধ্য উদ্দীপনা,
ফিকে হয়ে যায়,
চোখে ভেসে ওঠা স্বপ্নগুলো আবার ধূসর হয়ে পড়ে ।

আমি আজও ঘুমের মধ্যে দিয়েই
আবেগের ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকি,
আর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে,
এক প্রকান্ড মৃত্যু ছাপ ।
আর উপস্থিত থাকা কালো ছায়াগুলো
আপন ক্রোধ প্রকাশের হিংস্র গন্ডী পেরিয়ে,
রাতের আদলে জোনাকির আস্তানা খুঁজতে বেড়ায়...
তখন আমি খাটের চাদরে মৃতরাতের গল্প লিখে উঠি ......।

আরিয়ান_প্রিয় স  (পা ল )

নতুন কিছু

*নতুন কিছু*

পুরোনো দিনের ক্যালেন্ডারও ফেলতে কেমন করে
স্মৃতিগুলো চমকে উঠে স্নেহের হাত ধরে

থাক না তবে কি প্রয়োজন বিদায় দেবার তিথি,
নতুন বছর মানে কি তার নক্ষত্র বা রীতি ।

যাওয়ার বেলা সেও যদি পেছন ফিরে চায়,
দেখবে সময় নিচ্ছে কাঁধে ক্ষতিপূরণ দায়।

সাক্ষী দেবে ভোরের আকাশ নতুন বছর শেষে।
যেমন করে জোয়ার ভাটা নদীর বুকে আসে ।।

বৃদ্ধ পাতা পড়লে ঝরে নতুন পাতাও ওঠে
চিরকালই প্রথম সকাল ভাসে সুখের স্রোতে ।

আমিও চলি আপন খোঁজে নদীর বুকে ভেসে
অনিশ্চয়তা এ দেশ থেকে নতুন কোনো দেশে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

কবির_খোঁজে


#কবির_খোঁজে

পুরোনো শহর ফিরে আসে ব্যস্ত ঘামের স্তব্ধতায়,
নিশ্বাসে মরচে রেলিংএর মিশে থাকা পরিচয়।
চেনা পথ।ফেরা প্রেমিকার চোখের পাতায়,
মুহূর্তের চোখের জল ক্ষণিকের অপচয়।।

প্রিয় কবিতার অবহেলা ঘুন ভরা টেবিলে,
ওরা কিনে নিয়ে যাবে স্মৃতির দরে,
মলাটে ঢাকা বইটা ঘুমোচ্ছে ধুলোর কবলে,
জ্যোৎস্না আলো আঁছড়ে পরে অপ্রিয় নগরে ।।

সে কবি হারিয়ে গেছে উদাসী বাতাসে,
শৈশব আকারে পড়ে আছে ঘরের দেওয়ালে।
পরিত্যক্ত ফটো।যদিও পথ ভুলে জোনাকি আসে,
মিশে যায় চুন খসা দেওয়ালের আড়ালে আড়ালে ।

পাঞ্জাবি,পায়জামা আনলায় কেউ রাখে না,
আছে কেবল মাকড়সা আর ঘন ঝুলের ধাঁধা
সে বাড়িতে এখন কবি ফিরে আসে না
তুলসী মঞ্চটা পরিত্যক্ত,নুড়ি, মাটি জমাট বাধা ।।

এককালে পুজো হতো।দুর্গা পুজো বোধহয়,
সে দালানে ঘুঘুরা পোকা খুঁটে খায়।
প্রিয় কবির উদ্দেশ্যে জন্মদিন হয়।
আসলে সময়টাই বেইমান। অতীত বদলে যায়।।

#আরিয়ান_প্রিয়স(পাল)
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

শব্দ ডাইরি




*শব্দ ডাইরি*

কাঁচের ফলকে মোহময়ী রূপটান,
শব্দ চেনার চলাচল প্রত্যেক টুকরোয়।
বাকি ইন্দ্রিয়ের খোঁজে ছুটছে
ভেজা ঘাসের দল।
দশদিকে কান্নাখেকো মাছরাঙা ফাঁদ পাতে
রূপলী চাঁদের আলোয়।
না জানি পুরোনো ছাদের কার্নিসে
জ্যোৎস্না মেলেছে কিনা বয়স্ক তারারা,
সারি সারি কুয়াশার গম্ভীর
কার্নিভাল।
হাজারো বিচ্ছেদী অভিমান,
জন্ম নিচ্ছে একটি মাত্র প্রশ্নে।
এক একটা ডাইরির পাতা
লুপ্ত হচ্ছে কখনও কখনও।

দেওয়ালে টাঙানো ছবিতে চলছে অস্তিত্বের রেষারেষি ।
অন্তিম কান্নাকাটি বন্ধ ফ্রেমে থাকা টুকরো ফলকদের,
কেবল ফিসফিস করে গল্প আওড়ায়
হাজার সুরে।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দেব জন্ম




দেব জন্ম

সাজবে আকাশ অন্য রূপে
তারায় দলে নতুন স্রোত,
আলোর চমক রাতের মুখে
খ্রীষ্ট-দেবের জন্ম হোক।

চোখের পাতায় কাপড় ঢেকে
নেহাত ঘুমেই স্বপ্ন কেক,
সান্তা দাদুর গিফটি পেতে
থাকবে চক আর ভাঙা শ্লেট।

এমন শিশু খিদের ক্ষোভে
ছুটবে দেখো রৌদ্র হতে,
শরীর ঢাকে গ্রহের কাঁথায়
গরম জামায় শীত প্রকটে।

শুকনো রুটি অল্প খেয়ে
মেলায় মুখে কেকের স্বাদ
একলা ছাদও সঙ্গ দেবে
বুনবে তুলোর স্বপ্ন ফাঁদ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হৈমন্তী শূন্যতা ১ -২ -৩

হৈমন্তী শূন্যতা

দু-এক ঝাঁক কুয়াশার আবেগ
গা শুকোয় রৌদ্র তাপে,
আমি বসে দেখি একা জানলায়
অপেক্ষায় হেমন্ত সন্ধ্যা কখন আসে...
আমি দেখি সারি সারি স্মৃতি বাতাস বয়ে নিয়ে চলে
তারপর একে একে সব মিশে যায় কুয়াশার সাথে,
ছায়া হয়ে যায় অন্ধকারের,ভিড় করে চিলেকোঠার খোঁপে..
অবশেষে হেমন্ত প্রভাতে
ফিরে চলে সূর্য কিরণ পথ ধরে।
অাদৌ কি বিষাদ মেটে মনের
নাকি তখন আসে না কেউ ছাদে,
একলা হয় হৈমন্তী চিলেকোঠা,
অন্ধকারে অভিশাপ হয়ে ওড়ে  বাতাসে বাতাসে,
রাতে অাঁধারে শ্মশানে ঘুরে বেড়ায় মৃত আত্মার প্রানে
অগত্যা একান্ত একলা পিশাচি কাঁদে শীতঘরের কোনে...

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হৈমন্তী শূন্যতা - ২

এক হেমন্ত সকালে ভালোবাসার ছুঁতোয়
তুমি,আমি বন্দি হয়েছি পরস্পরের মুঠোয় ।
সহস্র পাখি ওড়ে কুয়াশার ফাঁকে,
কত চিঠি ছুঁড়ে দি কবুতর ঝাঁকে ।
ভোরের সূর্য তখন মাথায় উঠি উঠি
বাতাস মৃদু চলেছে পথে,  গাছগুলোও জানে,
আমরা তখন হারালাম ট্রাম লাইনের কোনে...

দেখতে দেখতে বছর পাঁচ হলো
এখন তুমি আসো না এ পথে
আমি কুয়াশা হাঁটি একলা পথে...
পৃথিবী ভাবে আমায় দেখে;
কোন  প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছি আমি,
যেখানে হাসির ফাঁকে সহস্র ব্যথা জমে থাকে...
আমি পা ফেলে হারিয়ে যাই ট্রাম লাইনের কোনে
কতো স্মৃতি মুছে গেছে যা কেবল ট্রাম লাইনই জানে....

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)


হৈমন্তী শূন্যতা -৩

সাঁঝ সকালের শিশির ভেজা
ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে
হালকা মধুর শীতের ছোঁয়ায়
শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে ।

ইচ্ছে করে শুয়েই পড়ি
আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়
আকাশ এসে রং মাখাবে
ইচ্ছে মতো ফোঁটায় ফোঁটায় ।

বেনীর বাবার সময় কাটে
নুতন গাছের খেঁজুর রসে,
মনের স্বাদের মিষ্টি,পিঠে
খাবো দুপুর রৌদ্রে বসে।

সবুজ গাছের পাতার ভেতর
হলুদ গাঁদার চিঠি লেখে।
শরত শেষে মেঘের বুকে
আনলো ডেকে হেমন্তকে....

ঝরছে পাতা নিজের মতো
বৃদ্ধ পাতার বয়স এক।
সদ্য পাতা জন্ম নেবে
এবার তোরা তাকিয়ে দেখ।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ভেবেছিলাম

ভেবেছিলাম
তোর ভুলে গুছিয়ে নেবো আমি,,,
চেষ্টার  মা রাখবো না ...
তবু নতুন ভাবে তোকে খুঁজি ...
হয়ত মিলিস বনবাদারে,
আমি তবু আঁধারেতে,খুঁজে মরি...

ভেবেছিলাম,
একপশলা বৃষ্টি হবো তোরই
ভেবেছিলাম
আঁধার আলো হবো
ভেবেছিলাম
কুয়াশায় জন্ম নেবো আমি
ভেবেছিলাম আর ফিরবো না
ভেবেছিলাম
যত্নে খামের চিঠি হবো আমি ৷
ভেবেছিলাম গাছের পাতা হবো

তাই গল্প লিখছি কবিতাতে, মিষ্টি হাতছানি
তুমি গল্প হয়ে ফিরে এলে আমার হয়রানি

ভেবেছিলাম তোকে ছাড়া মরবো আমি
হয়ত শেষ ভাবনা এটাই......
তাই ভাবি গান বাধবো না...

                                আরিয়ান প্রিয়স

Wednesday, 16 May 2018

উলঙ্গ

*উলঙ্গ*

বেনামী ফুলে ঠাসা ফ্লাওয়ার ভাসে সীমাবদ্ধ,
গভীর অন্ধকারে রজনীগন্ধার সিগ্ধ আবেগে ঠোঁট মেলানো সুরের অন্তিম ঝংকার।
শান্ত বসন্তে আলপিনের সমতুল্য শরীরকে মাটিতে নিক্ষেপ করতে করতে আলতা মাখিয়ে ফেলে জ্যোৎস্না আলো।

এককেন্দ্রীয় মহাবলয়ে রক্তপিন্ড অভিমানে ভিজিয়ে ফেলে চোখের পাতা।
এরকম স্বপ্ন দেখা অতীব ছোট্ট জীবাণুটি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে উলঙ্গ শরীরের যৌন পটভূমিতে,
গোধুলি সাতরঙে সেজে ওঠে যৌবনের রাস্তাগুলো ,
তাতে একটা একটা করে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে যায় সন্ধ্যাতারার দল. . . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আলসেমি

*আলসেমি*

সংযত করো উদ্দীপনা, জানি ভীষণ কষ্ট পেয়েছো তুমি
সে লেখা খবরেতেও পড়ি।

সময়ে বদলাতে হবে।
তবে কান্নাগুলো পাচ্ছে বধ্যভূমি।
জ্বলছে চোখ ভেজানো প্রতিচ্ছবি ।

না তবে তুমি তো জানো আমার মন সাবেকী ।

যুদ্ধ লাগে রোজই, হতাহত হয় আলসেমি ।

নাও লিখে ফেলো দুলাইন
আমি ইচ্ছে করেই ছুঁয়ে ফেলি।

হাসির সাথে যে ব্যথা বেরিয়ে আসে
আমি তাকে নিয়েই দু-চারটে গল্প লিখি।

আর কিছু পারি না বলে, আর কিছুই হবে না বলে লিখি।

সূর্য যেমন ভাসে সাগর তটে,
উদয়-অস্তে এপার-ওপার বটে।

আমি তাকে নিয়েও কিছু একটা লিখি যাতে সূর্য কিরণ জোটে. . .

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অবিমৃষ্য

*অবিমৃষ্য*

কাছেই ছিল সেই গতিপথ
ইচ্ছে মতো জড়ায়,
অনেক কথার হয় না যতন
চির ধরে শিরদাঁড়ায়।।

কোথায় কখন দিন ফুরাবে
বোঝার সাধ্যি কই
বিরোধ তখন ঝামড়ে পরে
সমান অনুপাতেই।

দিন দশকের প্রভাব পরে
এসব তোমার  জানা,
প্রশ্ন করো, তার প্রতিবাদ
ধারাবাহিক কিনা ।।

শক্ত করে অস্ত্র ধরো
আঘাত করো কষে
লিখতে বসে তফাৎ কেন
শালীন শব্দ দোষে

মুখে যদি সেলাই আঁটো
বদ্ধ হবে কথা,
তাবে অসংযত পরিস্থিতির
এটাই তো সমঝোতা ।।

সময় এবার ফুরিয়ে আসে
প্রবাহ পথের দিশায়
তুমি তবে চাওনি বিচার
বিরোধ সাম্প্রদায়িকতায়. . . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

রক্ত চোষা




*রক্ত চোষা*

আমার স্বপ্ন রাজত্বে ঘুন বেয়ে নেমে আসে
তিনটি ঔজ্জ্বল্য হিরের সাথে
মূহুর্তে সোনাঝুড়ির বৈকল্য
আক্ষেপের আলসে উসকানির
কৃত্রিমজিহ্বা ।

বীর্যে ফেলে রাখা রক্ত প্রেম
নিশুতি সন্ধ্যায় সরীসৃপের
ন্যায় ছুটে চলে কাম
স্রোতের মতো।

সেলোটেপে বিষাক্ত অনুভূতি
নবজন্মের উজ্জ্বল মুখ ফেলে
দেয় মুন্ডু ছেদ করে একে একে
বন্যপিঁপড়ে রক্ত চুষে খায় তখন. . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মালিক প্রভু

*মালিক প্রভু*

মালিক প্রভুর চোখ রাঙানো,
সময় কি-দেয় ঘামের দাম।
জখম করে নরম ফুলের,
ইচ্ছে মত বসিয়ে নাম।।

সুযোগ খুঁজে সদ্ব্যবহার,
পুঁতবে তোমায় কবর খুঁড়ে।
ভিজবে মাটি রক্ত লালে,
পাথর বুকে আঁছড়ে পড়ে।।

দেনার চালে ফুটিয়ে পায়েস,
সুদের হারে খাওয়ানো হোক।
সায়াহ্নে সেই ফিরতি পথে,
দিনের আলো বিকছে শোক।।

সেই দিনটার স্বপ্ন দেখে,
কাটছে অনেক নতুন বছর।
মৃত্যুগুলো ধার ঘেসে না,
ইচ্ছে নতুন আনবে প্রহর।।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

একটা সহজ কবিতা



*একটা সহজ কবিতা*

সময়ের সময় থাকে না তাদের খোঁজ নেওয়ার
একদিন রাতের অাঁধারে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে
কখনও উল্কা হয়ে খসে পরে।
হয়ত মুখচোরা অভিমানে!

আমার আশ্চর্য লাগে তুমি সে পথে এলে
তারা পুষ্প হয়ে ছড়িয়ে যায় !
বুঝতে দেয় না তাদের অভিমান,
এ কারণে মুখ চেপে ফুঁপিয়ে ওঠে কোমল চাঁদ
বিমর্ষ মনে সূর্য অস্ত যায়. . .
আর আমি আগমনির গান শুনে রাতের ঘুমে জড়িয়ে পড়ি. . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সংযম

*সংযম*

মধ্য রাতের ঘুমে স্বপ্নগুলো জড়িয়ে নিয়েছি
এবার রং বদলানো যাক প্রভাব পতিপত্তি ।

চাইলেই থামতে পারেন।

চোখের নীচে ভেজা পাহাড় শুকিয়ে আছে,
অভিমানে সাজিয়ে রেখেছি তার চূড়া।

ইচ্ছে করলে ভেঙে ফেলবো সব।

বর্ষার জলে দুরের প্রকৃতি যেমন ঝাঁপসা দেখায়,
তেমন কুয়াশায় হারিয়ে যায় কৃষকের দল।

ওদের ডাক দিন।

নেহাত ঘুম ঘোরে আছি
নাহলে ফুলদানিতে মারতাম এক লাথি।সিধে গিয়ে লাগতো তোমার পটে
কলকল করে রক্ত ঝরার মত
কাঁচগুলো ঝরে পরতো।আমি অট্টহাসি হাসতাম।

পারলে মারো আমায়. .

পাহাড়ে চড়ে পর্যটক যেমন এগিয়ে চলে লক্ষ্যপথে,
হারিয়ে যায় ছোটবেলার শৈশব অলিগলি।

আমি শৈশব ফেরত দিতে পারি।

ভোরে মৃদু বাতাস আমার পায়ে হাত বুলিয়ে যায়
অামি উচ্চতার শিখর আঁকড়ে ধরি বালিশের মত।

সংযম রাখি সমস্ত উদ্দীপনা
চাদরে ঢেকে দি শিশির দের।

সূর্য প্রকাশ পাবার আগে পর্যন্ত ।।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল )

উন্মাদ

*উন্মাদ*

মানুষটাকে খুব চেনা নেই, হাঁটতো হঠাৎ শূন্য দিয়ে,
মেঘের সাথে হারায় ভেসে,আপন মনে থাকত।।

সাগর পাড়ে,নদীর ধাড়ে আসতো যখন জোয়ার ভরে,
তখন সেও একলা জলে ডুব দিয়ে মাছ ধরত ।

ছিলো বোধহয় মাথার ব্যামো,খেয়ালী,অলীক নাকি উন্মাদ ?
অস্থির মনে মেঘ পেতে রোজ কিসব যেন আঁকতো।।

মানুষটাকে খুব দেখিনি,ঘুরে বেড়ায় গভীর জলে,
ভাঙা ঘরে সুযোগ পেলে,খিল দিয়ে দোর আঁটত

মানুষটাকে খুব চিনিনি, ভাড়ার ঘরে ছবির ভেতর থাকত!

খেয়াল বসে স্বপ্নে আসে, চোখের পাতার ঘুম নামাতে
ক্ষাণিক যদি সময় পেতো, স্বপ্ন গুলো মাখতো।।

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

অন্য বসন্ত সিরিজ



*অন্য বসন্ত*

তারাদের মিছিলেতে ধ্রুবতারা নেতা হতো
কানাঘুষো শোনা যায় কোকিল তো নিরুপায়
তবুও ঈশান কোনে মেঘ জমে কুয়াশাতে
কানে কানে বলে ওঠে ফাগুন তো এসে গেছে.....

সুখ ঘরে বুক ভাসে মাঝ রাতে
চাঁদ ওঠে
তবুও অমৃত সুধা ধেয়ে আসে চেনা নেশা
বিছানাতে খুঁজি তোকে হারিয়েছি
চেনা শোকে
তবুও তো কাছ পেলে হৃদয় যে বলে ওঠে...
ফাগুন এখনো আছে...

রাত জেগে ছাদ ভেজা বিছানাতে চোখ মোছা!
ওড়না তো চারুলতা, হৃদয়েতে উষ্ণতা,
আলগোছে মদ খাবা, ঠোঁট চুষে মন পাওয়া ,
এসবতো পুরোনো হয়ে সব চলে গেছে,
তবুও কেন চোখ মুছে হৃদয় আজ বলে ফেলে
ফাগুনতো চলে গেছে....

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*অন্য বসন্ত-২*

তারাদের স্মৃতি ঘিরে ধ্রুবতারা রাজা হতো,
বিমর্ষ শীত ঘামে ফাগুন কি আসে যায়!
কখনতো ফুল মরে কুড়িদের শোকাহতে,
এত কিছু দেখে তবে কোকিল যে অসহায় ।

মাঝ পথে ঘুম পেলে আকাশেতে ভেসে যায়,
তারাদের বালুচরে ঝরা পাতা খুঁটে খায়।
এমনতো প্রেম হতো যদি চুমু মহাশয়
পায়জামা ভিজে যেতো বসন্ত কুয়াশায়।

এইভাবে কাছে পাওয়া,সুখে দুখে মিশে যায়,
আয়নাতো বলে দেয়, অভিনীত কি উপায়ে ।
আলগোচে জল খায় এমনটা যদি হয়
থেমে থাকা বাতাসেতে কে যেন কি বলে যায়

তবু তবে আসো যদি ঝরা পাতা বেঁচে যেত!
মেঘেদের প্রজা পদে পায়রাও যে রাণী হতো!
কিছু তুমি ভাবো যদি,ঠোঁটে রঙ মেখে নাও,
কয়েকটা কুঁড়ি ফুটে বসন্ত হয়ে যাও।।

আরি়য়ান প্রিয়স(পাল)

*অন্য বসন্ত -৩*

শাল বনে বনলতা পাতা কেটে ছবি আঁকে
সূর্যটা চাঁদ মেখে আঁধারেতে ঠোঁট সেঁকে।
দোয়াতের কালি তবে আচমকা পেতে চায়
যদি তোর পিঠ ঘেষে আঙুলটা ছুঁয়ে যায়!

এই ভাবে কতদিন চোখ বুজে স্মৃতি দেখা
কালসিটে চোখ মুছে তবু জমে বলিরেখা।
বিছানায় তোকে দেখি বালিশেতে তবু খুঁজি,
শেষ খেয়া চলে গেলে আমি হই শেষ মাঝি।।

পাখিদের সাথী হই ঘুম ভাঙে তোর যেই
সেরা কিছু হতে যাই মিশে যাই বালিশেই
এ মনও তো আশা হয় যদি ঠোঁট ভাষা পায়
শেষ রাতে ঘটনাটি জোছনারা দেখে যায়।।

ফাগুনের বাতাসেতে যেন কিছু ভেসে যায়
জলপরী তারারা ক্লান্তিটা খুঁটে খায়
এমনত দিন এলে যদি তুমি পেতে চাও
কয়েকটা কোকিলের কুহু ডাক শিখে নাও

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)



*অন্য বসন্ত -৪*

কমুন্ডোলের জল ছেটাতে ছেটাতে
পা ফেলি বসন্ত রোদে।
বহু পাখিদের কলরবে চারিদিকে রামধনুর রূপটান।
কাশফুলে জমা বালুচরে ভূমন্ডল লুকিয়ে রেখে,
সমুদ্রের জল হয়ে ফিরবে বলেছে তারা।
যেখানে রং হাতে অপেক্ষা করবে ভীত কাঁকড়ার দল।
আমি সে পথে দিয়ে গেলে
তারা দু-পায়ে রং মাখিয়ে দেবে নোনা জল দিয়ে,
ওখানেই চাঁদ নেমে এসে মাটিকে চুমু খাবে।
তখন জ্যোৎস্না আলো ফেলে
যাবে স্মৃতিময় অনুতাপ।
কেবল অভিমানগুলো কাঁকড়ার মত মাটির খুরে
লুকোবে গভীর থেকে আরো গভীরে।
আর আমি বাতাসের বুকে পা ফেলে আবির ছড়াবো ভূমিকার সব পথে. . . .

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

*অন্য বসন্ত-৫*

সেদিনের ভোরের স্বপ্নে এসেছো তুমি
সূর্য আলোয় ম্লান হয়ে গেছে রাতের আলেয়া
ফিকে হয়েছে চাঁদের সতেজ মহিমা-দাঁড়িয়ে তুমি
সোনালি মেঘ চাদরের ঘন পর্দা দেওয়া ৷৷

হাঁটতে চলেছি তোমার সাথে উঁচু পাহাড় চূড়ায় ৷
ভেসে নামবো সে স্থানে বয়ে চলা নদীতে ৷৷
শরীরের সমস্ত ক্লান্তি, ক্রোধ-মাত্রা মিশবে ঝর্ণা ধারায় ৷
যা কেবল স্বপ্ন সীমায় বদ্ধ প্রকাশ শুধু ঘুমেতে ৷৷

তোমার টানে থেমেছি মানস সরোবর তীরে,
যেখানে হাজারও মুক্ত ভাসছে জলে৷
যা মনের তৃপ্তি মেটাতে,হারিয়েছি অজানা গভীরে ৷
সাঁতরে পৌছেছি পান্না খোঁজে ঘন মাটির তলে ৷

নির্জন জল শান্ত যেন আমার উতলা অন্তরে,
প্রবল অহংকার দম্ভ থেমেছে পরগাছা স্পন্দনে ৷
যা স্থানান্তর দিবসে লিপ্ত আলোর ভিতরে,
যা তোমার মুখে মিষ্ট হাসি বেঁধেছে  বন্ধনে ৷৷

আমার সর্বশক্তিতে তোমাকে দেখায় ৷
ধ্রুবতারা উজ্জ্বলতায় তোমাকে সাজাই
বজ্র বিদ্যুৎ দন্ড বাঁধি তোমার চুলে খোঁপায়৷
রোজ রাতের মায়ায় অন্য বসন্তে জড়াই ৷৷

©আরিয়ান প্রিয়স

তিয়াস

 *তিয়াস* এমন রূপ ওই চোখ রাত ভেঙে নামায় ঠোঁটে প্রতি রাতের বাধন শেষে ভোরের ফুল ফোঁটে। প্রহর শেষ হয়ে আসে সেই দিগন্তের চেনা ডাকে, কঠিন খেয়াল...