Wednesday, 30 September 2020

মেধা

 

*মেধা*

সবুজ মেঘে রাত নিকানো
গেরুয়া আকাশ জানায় খেদ
পুব আলোতে তারার ভীড়ে 
প্রহর এসে দেখায় জেদ 

কি বিচারে সাজায় তোমায় 
এমন কোন আঘাত নেই
পাঁকের নীচে জল শুকোতে 
ভ্রমর এসে লুকোয় খই

আজ তোমারও বেশ কেটেছে
গল্প,গানে, রান্না খেয়ে
কেকের ক্রিমে বন্ধু খুঁজে 
আনন্দটাও আসবে যে।

যে আঁচলে ঘুমোও তুমি 
তাকেও যদি সঙ্গে রাখো,
বয়স বরং বুড়ো হবে
শাসন কেবল সামলে নিও।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সায়ন্তিকা


 

*সায়ন্তিকা*

আজ শহরে মেঘের মতো ভিজি
এদিক ওদিক প্রকান্ড সব জ্যাম,
আমরা কেবল ঠোঁটের স্বাদই খুঁজি
দেহের বিচার বোঝেন কেবল শ্যাম!

নতুন নতুন অজানা সব রাই
এটাও আমার অকাজেরই ভুল
বিকেল হতে প্রকাশ হল যেই
মেলে দিলে ঘন কালো চুল।

শ্রাবণ এলে নৌকা বওয়া যায়
তারা দিয়ে সাজানো থাকে পার,
যখন দুজন বসেছো দোলনায় 
ঝুলতে কেন বাকি থাকে আর!

এমন বিচার কজনই বা পারে
কাজল দিয়ে মোছো শুধুই চোখ
শ্যাম যদিও কথার সাথে হারে
রাই তোমারই চমক দেওয়া ঠোঁট!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

লীলাঙ্ক


*লীলাঙ্ক*

কাল সবুজে স্বপ্ন যদি পোড়ায় ঘরবাড়ি 
সময় আসে প্রদক্ষিণে নিতান্ত আহ্লাদে
এমন দিনে উত্তরাকে দেখায় উজ্জীবন
আগুন মুছে তারিখ লেখে প্রমুখ বিস্বাদে।

দাড়ির নীচে হাসির প্রলেপ বোঝায় ছদ্মবেশ 
ক্রমের ওপর যুগ মরীচে জড়িয়ে থাকে ঋণ।
আঘাত যতই সঙ্গ নেবে গল্প বলার শেষে
বুকের ভেতর প্রত্ন নদী ভীষণ অন্তরীন।

বাতাস কখন ওড়ায় ধুলো,সুদক্ষিণী অন্তরে
সেই ধনুকের তীরের ফলা হৃদয়ে তাক করে,
আজ লহমায় দৃশ্যটুকু চশমা কাঁচের ফ্রেমে
জ্বালায় ধুলো ছড়ায় পাতা পথ পেরানো সাক্ষরে।

বন্দী থাকা অনেক ভালো বলে তো সে মান করে
হয়তো কোনো দোষের ভুলে মন রয়ে যায় প্রান্তরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 23 September 2020

সুচেতনা

 


*সুচেতনা*

গান ধরে ওই রঙিন ঠোঁটে, ওড়না ছোঁবে ঠিক
পূব আকাশের ঢাকলো মেঘে দিগন্তের ওদিক

তাকিয়ে দেখো দূরের দিকে যেমন সুরে যায়
জীবন বড়ো অভিমানী স্থান ভুলিয়ে দেয়।

যে আঁচলে বসত তোমার সুদূর এক দেশ
শরীর টুকু প্রকাশ হলে মুক্ত হবে কেশ

তেমন জলে ডুব দিও না মিলিয়ে যাবে পা
আঁধার এলে গভীর হবে নিহত সন্ধ্যা। 

আজ শহরে বৃষ্টি হবে থাকবে বেরঙিন
মনখারাপের সপ্তাগুলো খুশির একেক দিন।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Tuesday, 22 September 2020

হরিণ বিপ্লব

 *হরিণ বিপ্লব*

কখনও তুমি লাস্য,চেড়াই কাঠের মতে
আসল সবটাই থিম,বৈচিত্র কারিগরি। 
অক্ষয় স্থায়ী,জড়া কলমের ক্ষতে
চিরকালীন হিসেবে আঁচড়েই পড়ি। 

এ তো এমন নয় কবিতার ঘ্রাণ!
ঘাট মোড় নীরব। হরিণ বিপ্লব
যা লেখার মতো অবহিত টান
বেশ দারুণ আকাশ। চুপচাপ সব।

চুলে পরিপাটি, বিকেলও ফিকে
উল্লাসে লেখা-পাঠ। বিস্তর রোদ
তবুও হেঁটে যায় আঁধারের দিকে
ফাঁকা দেশলাই জমায় অবোরোধ।

বছর এখন আয়ুর চেয়ে বড়ো
গ্লাসের মেঘ জমে পরিণত জলে
জারি থাকে দূর পথ ক্লান্তি আরো
শুভেচ্ছাে এতটুকু মোমবাতি আলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নীল গোলাপের দিন

 *নীল গোলাপের দিন*

দিগন্তে আজ নীল গোলাপের প্রথম দিন
কাজের শেষের সময়টুকু প্রকার ভেদ।
মেঘ করেছে তবু আকাশ বেশ রঙিন
শ্যাওলা জমা পায়েস হাঁড়ির খাবার খেদ।

আমরা দুজন হারিয়ে যাবো অন্তরে
নদীর পালে ভাসিয়ে দেবো মেঘ তরী
বাড়ির ভেতর চওড়া ঘরের বন্দরে
মান অভিযোগ কটিয়ে ওঠা দরকারি।

তবেই থাকে নীচের পায়ে জলের রেশ
শরীর নেমে বাঁশের খাটে ছড়ায় খই
মৃত্যু কালে তফাৎ গড়ায় ক্ষুধার শেষ
শরিক জেদে ধুলোয় জমা নতুন বই।

কি যেন আজ দেবো তোমায় শেষ ঋণে
কথার শেষে মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিদ্রোহী শ্লোগান

 *বিদ্রোহী শ্লোগান*

প্রকাশ্যে তার কন্ঠ ভারী আরো
দামি সোফায় স্পঞ্জ দেখায় যতো
আসলে যে ও প্রযুক্তি নেয় কারো
হৃদয় ভেঙে কালি ঝরার মতো

তবুও থাকে তফাৎ ফাঁকে ফাঁকে 
নতুন করে আঘাত আসার শোক
সাড়া দিয়ে যায় তো প্রহর তাকে
তারিখ গোনায় নিতান্ত দর্শক।

এমন করে তৈরি থাকো যদি
জামার বোতাম খুলবে শুধু নিজে
বালিশ মেপে ছোবড়া দেওয়া গদি
আসবে রাতে স্বপ্ন পরী সেজে

এমন দিনের শাসন যদি হয় 
মধ্যমাতে থামতে শেখাও গান
জীবন কেবল নিঠুর অভিনয় 
নৌকা ভুলে বিদ্রোহ শ্লোগান ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 21 September 2020

মৃণালিনী

 *মৃণালিনী*

বসন্ত পৌরুষে মৃন্ময় 
শহরের থমথমে জনপথ
অধিদপ্তর সাক্ষাৎ শেখায়।

লাল ছায়া বালির স্তূপ ঘিরে
বৃষ্টি ফোঁটায় দোয়াত সাজায়।

কুটিল মানবতায় ষোলোআনা 
ধিক্কার  ভালোবাসা,

ভাঙনে বিলীন হয় সভ্যতার দেওয়াল

মোরকে আগন্তুকের পদস্খলন ঘটে পদে পদে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শতরূপা

*শতরূপা*


একটু যদি ফেলেই রাখো মন
অবাক করা বিভক্ত সংকেত
কথার বিচার বিপাক বঞ্চন
চোয়াল জুড়ে  ঠাওর করা ভেদ।

কি প্রয়োজন জোনাকি বিদ্যুৎ
বিপথে যে পরিচিতের নাম
মনের কোনে রয়েই গেলে খুঁত
ঠোঁটে গোড়ায় ভালোবাসার খাম।

একটা চিঠি পাঠিয়ে যদি ফেলি
নয়তো থাকুক অন্য কিছুর ঝোঁক
গভীর রাতে সহ্য করা কালি
সিলিং ছোঁবে একলা দুটো চোখ।

না পাঠকের লাগতে পারে ভালো
এইতো আমার প্রচন্ড বদ অভ্যাস
কষ্টগুলোয় বালিশ ভেজা ভালো
সকালে এলে মুক্ত হবে শ্বাস।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল




পঁচিশে বৈশাখ(১৪২৭)

*পঁচিশে বৈশাখ(১৪২৭)*

দেখতে গেলে বছর কিছু বেশ থেমেছে ভীড়ে 
আমরা আসি রাজার বেশে ভব নদীর পারে

এক কিংবা দু-গোলাপে বসন্তটা সারি
ফাল্গুনটা পেরিয়ে এলেই জোঁড়াসাঁকোর বাড়ি

এবার জানো হলো না আর রয়েই গেলাম ঘরে
খেয়াল তবে রোজ আসে না,উঠেছি আজ ভোরে

জানো শ্বেতা আমিও এখন থমকে যেতে পারি
তোমার সাথে থাকবো ফ্রেমে তেমন আড়াআড়ি। 

জগৎ এখন ভুগছে রোগে বদ্ধ খোলা মাঠ
স্বাধীন তবে আগেই ছিলাম পেরিয়ে গেছে ষাট।

দেওয়াল জুড়ে ছবির ভেতর তুমি বিরাজ করো
বছর পঁচিশ খুঁজে পেতেই আগলে ধরো আরো...

# আরিয়ান প্রিয়স পাল 

মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে

 *মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে*

দিগন্তে আজ নীল গোলাপের দিন
কাজের শেষে সময়টুকুর ভেদ।
মেঘ জমা আজ আকাশ বেরঙিন
শ্যাওলা জমা পায়েস হাঁড়ির খেদ।

আমরা দুজন হারিয়ে যাবো অন্তরে
নদীর পালে ভাসিয়ে দেবো তরী
বাড়ির ভেতর চওড়া ঘরের বন্দরে
মান অভিযোগ কটিয়ে ওঠা দরকারি।

তবেই থাকে নীচের পায়ে জলের রেশ
শরীর নেমে বাঁশের খাটে ছড়ায় খই
মৃত্যু কালে তফাৎ গড়ায় ক্ষুধার শেষ
শরিক জেদে ধুলোয় জমা নতুন বই।

কি যেন আজ দেবো তোমায় শেষ ঋণে
কথার শেষে মিলিয়ে যাবো দক্ষিণে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পৌনে উনত্রিশ

 *পৌনে উনত্রিশ*

তোমার সাথে দূরত্ব বেশ বড়।
দামি ভীষণ অভিমানের বিষ,
শেষ বিকেলে থমকে থাকা ঝড়ও
বয়স বেরে পৌনে উনত্রিশ।

একদিনে তো সবাই চলে যাবো
রয়েই যাবে দেওয়াল ভরা ছাপ।
স্মৃতি মুখে শরীর ঢেকে দেবো
মাটির ছাইয়ে আবছা হবে গ্রাফ।

কষ্টে তুমি ভরাও দুটো চোখ
তবু ঠোঁটে গল্প কিছু থাকে,
মেয়াদ খুশি হয়তো মনের রোগ
নতুন ঘুমের পর্দা জোড়ার ফাঁকে।

বহন করা, শিল্প যখন নয়
অভিযোগও ঠোঁটের কোনায় থাক
বাইরে থেকে মিথ্যা অভিনয় 
তোমার হাসি ছোবেই সিলিং ছাদ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল





কেদারা




 *কেদারা*

একটা বন্দি ঘর। চারিদিক বন্ধ।
থাকা হয় আমি আর ঠাকুমার!
মাঝের অন্ধকারে গুমোট গন্ধ 
গিনজি প্রভাত বদ্ধ জানালার।

শৈশব খেলনায় মৌলিক সিন
আসলে সব আভাস, বেশ কাল্পনিক।
যেটুকু প্রেম অনেক গোপন ঋণ,
বিকন্ঠী আওয়াজ, পুরোটাই ক্ষনিক।

রাতের আলোয় জোড়াফুল ভাসমান
তারার মতো ক্লান্ত হচ্ছে ততো!
বিড়ির স্বাদে সিগারেটে সুখটান
সময় এখন অ্যাস্ট্রে ভরায় না তো!

এমন করে অনেক বছর কাটে
জীবন ঘেসে ঝিম হয়ে যায় পাড়া।
আসল কথায় স্বপ্ন বিপদ ঘটে
সাক্ষী থাকে ভগ্ন কেদারা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

যুগান্ত মুল্লুক

 *যুগান্ত মুল্লুক*

হলুদ ডালে লবণ চেয়ে নেওয়া
ফোরন তবু আবেগ প্রত্যাশী
বিকেল রোদে ছুটছে মৃদু হাওয়া
আমরা তখন নদীর পারে আসি।

শেষের ভাগে কিস্তি মাতের কথা
মরার তাড়া এখন কারো নেই
মধ্যে আছে ঠোঁটের জটিলতা
বিষাদ কিছু নিচের তলাতেই।

এমন দিনে আড্ডা কিছু আছে
পথের পরে ক্লান্ত যতো মুখ
আঁধার পেলেই হঠাৎ করে হাঁচে
ইতিবাচক যুগান্ত মুল্লুক।

আমরা জানি থাকবো ভালো কাল
রোজের ভাতে চুটকি খাবো হেসে
যেমন তেমন পোকায় খাওয়া চাল
খেতেই হবে পেটের খিদের শেষে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে


*যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে*

বিরহ যতো যেমন ছিলো এখন সেসব জুতোর ছাপ,
পাহাড় ঘেরা জলের বরফ চোখের কোনার নিম্নচাপ!

দেওয়াল ছাদের বর্ণনাতে, রক্ত যখন প্রলেপ দেয়,
খেতাব গুলো শোকেস গোছায় নিয়ন্ত্রণের সমন্বয়ে।

সাহারা ছিলো গাছের গুড়ি সেও গেলো ঝড়ের দোষে,
পরের বছর ঋতুর বিচার, যুদ্ধ লাগে স্বভাব দোষে। 

সেনা, জওয়ান বিরাট ম্যাপে বলবে শুধু পূর্বাভাস,
আমার ভাইয়ের মৃত্যু হলে ,তোমার আছে সস্তি শ্বাস। 

জলের মাঝে সম্মতিতে, নাম হারাবে ঠোঁটের কোন
কোথাও আছো দেশপ্রেমে, বক্তৃতা দাও সর্বক্ষণ!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঝড়ের ছবি

 *ঝড়ের ছবি*

স্বপ্ন যখন খেয়াল বশে প্রকাশ আনে মূলদিকে 
নতুন করে হৃদয় এসে বাতাস মাখায় হিন্দিতে...
গেরুয়া আলো দাগ কেটে দেয় পেয়ালা চায়ে সংক্ষেপে 
এখন কোথাও রোদ পরে যায় ছোঁয়ার দোষের অন্তেতে।

ও পাড়াতে নতুন বছর,অনেক স্মৃতির সময় শেষ
আলগা বুকে অবাক থেকে ফুরিয়ে আসে সমন্বয়
লেন্স জড়ানো চশমা মুখে হাসির রেওয়াজ বদ-অভ্যেস 
বাষ্প যত আকাশ মেখে হারিয়ে যাওয়া গল্প নয়।

ঠোঁটের মুঠোয় ঝড়ের ছবি শ্রাবণ গোনা দারুণ জেহাদ
নামবে যবে মাটির নীচে থাকবে কিছু হাতখরচ
এবার তবে তৈরি থাকা, সুস্থ থাকুক কোমল হাত,
ফুরিয়ে আসা পদ্য শেষে থমকে থাকুক চোখ-মগজ...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রোমি


 

*রোমি*

নুনের জলে গ্রাম ভেসে যায় কমলা লেবুর রোদে
বৃষ্টি ফোঁটায় ছোঁয়ায় কালি আকাশ ভাঙার জেদে।

ঠোঁটের নীচে ঘোড়া মতো অবস্থানের বিচার
রুটির ভেতর ঘর বেঁধে নেয় এমন হতো প্রচার।

এবার হতো হঠাৎ করে খয়েরি চাদর খুঁজে, 
ভোরের ঘুমে রাত নামিয়ে স্বপ্নে অতীত সেজে...

সেতুর বুকে পায়চারি চাঁদ জ্যোৎস্না জলে ঝরায়,
ধরনটুকু সঠিক রেখে স্রোতের মুখেই হারায়।

গ্রামটুকু আজ ফসল ভেবে আপেল গাছে থামে
শুকনো পাতায় আলপনা দেয় মাটির ধাপে নেমে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ভটভটি (বোন)


*ভটভটি(বোন)*

পটলের দোরমায় ঘুঘু পাখি লুচি খায়,
থালা হাড়ি বাজনায় গোটা ঘর ধমকায়।

নেটি পড়া ন্যাতা চুলে দুটো ঠোঁট চমকায়
কেরোসিনে দাঁত মেজে কুলকুচি নুন চায়ে।

এই তো বোনের ছিড়ি গাল দুটো কামড়ায়,
সেলফিতে বড়ো চোখ সবাই যে ভয় পায়!

এমন দিনের শেষে গোধূলিও আসে যায়,
সূর্যতো রোজ ওঠে মনে নয় আয়নায়।

এমন বোনই বা আছে কজনের বলো,
স্রোতে শেষের  হাসি মুখ। সেই ভালো।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল




 


শহর খুঁজে

 *শহর খুঁজে*

নতুন কোনো শহর খুঁজে 
গল্প লিখো ছবির ভাষায় 
রাতের প্রদীপ দিনের সাজে
প্রকাশ উঠুক গানের কথায়

খয়েরি মাটির বুকের নিচে
নদীর স্রোতে দশেক ঢেউয়ে
তফাৎ বোঝাও কোমল স্পিকে
কাজল মাখুক রূপ বলাকায়।

যেটুকু আজ তোমায় দিলাম
তৈরি থেকো আসছে সময়, 
বছর গোনা এ-এক দিনে
ঠোঁটের ভাষা তেমন তো নয়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কপাল বদল

 *কপাল বদল*

শেষের বিচার রয়েই গেছে,বদল দিনে খুশির রেশ
আমরা হাঁটি ওপর বুঝে,স্বপ্নে আঁকি আজব দেশ।

ঘরবাড়িও খুব সাধারণ, চিন্তা খুঁজেই জীবন ব্যয়
পাতার নীচে খয়েরি ডালে কোকিল বসে প্রেম ছড়ায়

মন থেমেছে তারের কাঁটায়,স্বজন ছোটে অনেক দূর
ক্ষতের পায়ে গল্প রেখে তফাৎ কেবল নেশায় চুর।

জায়গা শুধু অনেক চেনা নয়তো তফাৎ দেশের গান
সুরে তালে বাচ্চা বলে, বাথরুমে গেয়ে ঘেমে স্নান।

মেজাজ শুধু চাকরি বোঝে,পরেই থাকে মতের ন্যয়
পাল্লা ভারি সবুজ গাছে,ছোট্ট বেলা খুব অন্যায়। 

সাজিয়ে রেখো পেয়ালা-চায়ে, জং লাগানো শিরার জেদ
বয়স তো আজ বেড়েই যেতো,থাকতো শুধু কথার ভেদ।

কেবল যখন ঘুম আসে না,আত্ম প্রকাশ জড়িয়ে নেয়,
পাত্তাটুকূই সঙ্গে থাকে।হাল তুমারা জাবাব হ্যায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ত্রিপর্না


 

*ত্রিপর্না*

সেবার রোদে পশম দু-হাতে
ঘড়ির কাঁটায় বিষন্নতা জাগে।
যদি কিছু সন্ধ্যে অতীত থাকে
গল্প শিখে তফাৎ চেনার আগে।

ঠোঁটের নীচে কিতাব ছোঁয়া মু,খ
তৈরি আছে নতুন কোনো আলো।
দূরের গাছে জ্যোৎস্না দেখার সুখ
খেয়াল বশে অভ্যাসও তো ভালো।

আজ যেন সব ভীড় কেমনে ভয়
পরিপাটি সেলাই বোনা মুঠো
শক্ত কোনো লাঠির কড়া ঘায়ে 
একলা হলে সঙ্গে তাকে রেখো।

কেবল দূরে সাঁকোর পাড় দেখে
ভিজিয়ে রেখো নরম দুটো চোখ
প্রাচীন মতের সমান মান রেখে
দেহের কোনে স্মৃতির জল মুছো

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাহারী শরৎ

 *বাহারী শরৎ*

এমন দিনে বৃষ্টি হবে এটা ভীষণ দোটানায়
তোমার কাছে থাকলে বোধহয় এমন হতো না। 

শ্রাবণ দিনে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়াও ভালো,
যেতাম কোথাও হারিয়ে যেমন ধোঁয়ার গড়ন কালো।

কোথায় যাবো! অরণ্যেতো কষাই জনক লোক!
রোদ নিকানো গাছের ছালে আঘাত করার শোক।

মাঠ জুড়েছে হালকা ভারী শরৎ কাশেরা
আগমনী আসলে পরে পাবে আদর ওরা।

জানতো কেবল পরিশ্রমে নেইতো অনীহা
চোখের তারায় কাজল রেখে সাজেই মনিহার!

সে আর এখন ঠোঁটের কোণায় রাখবে না জোছনা!
একসাথে থাকলে বোধহয় এমন হতো না।।

সমদ্দরে বৃষ্টি থামুক সেজে উঠুক বাহারী উৎসব,
ঢেউ তো রোজ আসে যায়। সহায়ক সূত্র বাস্তব।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্বাধীনতার মতো

 *স্বাধীনতার মতো*

আমিও থাকলাম। রয়ে যেতো ফেলে যাওয়া চিঠিরা
উড়ছে আকাশে।গগনচুম্বী।বিস্তর শামিয়ানায়,
রক্তের শব্দ নেই। জীবন ব্লেডে কাটছে শিরা,
লেখার বিভাগ শেষ। থেমে গেছে সমাপ্তির অজানায়।

আজ বৃষ্টি হবে জানি। মেঘ ডাকবে আর আগেকার
পুরোনো সব কথা মনে পড়বে বারংবার।
বন্দরে জাহাজ ঠেকবে। জলে উচ্ছাসে সীমানার
খয়েরি মাটি ছিঁড়ে দেবে অক্ষত কাঁটাতার।

যাওয়া হবে না। কারণ গেরুয়া কাপড় জুটেছে আমার,
তোমার নতুন পথ।দিশাহীন পীড়িত কথার ছলে-
হাইরোড় ছাড়িয়ে এসেছি সক্ষম রাস্তার-
এবার গল্পের শেষ ভেসে উঠছে ক্রমশ জলে স্থলে।

ছিলাম থাকার মতো। শিকড়ের গ্রহণীর আলপনায়।
তারপর ঢেকেছে মনখারাপের নিভে যাওয়া মোম।
আগের ব্যালকনির বসে থাকা দিন গোনায়
আজ স্বাধীনতায় জেগে উঠুক দেশাত্ম পশম।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুদীপ্তা দি


 

*সুদীপ্তা দি*

দু'হাত ছুঁয়ে আগলে রাখা, কথার প্রলেপ ঠোঁটে সয়
মায়ের মতো অবস্থানে লিখলে কাগজ শেষই হয়!

সই জড়তায় বদ্ধ ঘরে বৃষ্টি হলে থমকে যায়, 
ভালোবাসার গোলমরিচে টুকরো স্মৃতি জবাব নেয়।

মনে বলে তো হালকা থেকে স্বপ্নে হেঁটে ভিরমি খায়।
আঁচল দিয়ে আগলে রেখে আদত বুঝে শান্ত হয়।

আসবে তুমি, আসবো আমি তক্ষুনিটা থমকে যায় 
কলকাতার এ শক্ত বুকে ভিনদেশি রাও স্বজন হয়
 
একটা করে জন্মদিনে ছোট্ট কিছু লেখাও হয়
মায়ের মতো দিদি হয়েও শেষের হাসি বেশ মানায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঈপ্সিতা


 

*ঈপ্সিতা*

বৃষ্টিতে রোদ ভিজছে, কফির চুমুকে রঙিন খাম
আসল কথার চিঠি আমিও বিকিয়েই দিতাম
চেনা রেলিংএর গোপনতা জলে ছোঁটে চৌকাঠের!

দেশলাই খোলে শরীর লুকোয় ধমকের সরবরে
ঘর ফেরে আল ভেঙে চৌমুখ, আঁচ করে... 
স্মৃতির পাতায় শ্বেত নকশার রুমাল ফের।

এবার বাইশের বয়স ভোরে চিলেকোঠা ভিজে একাকার।
শিরার বিচার বসে কাপড় ছেঁড়ার সরু তার
নতুন ছাদ ওঠে মালিকের ভয় বৃষ্টি  শরফের !

গানে তার অবাধ গলা মনে হয় পাশে শুই,
এমন তারিখ দেখে মার পরে পিঠে দুই।।
সুযোগ তবু জানিয়ে গেছে সমাপ্তি আমাদের...
 
তুমি এবার বাইশ নও নাকি তফাৎ আছে কিছু মাসের?..

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বারিষ


 

*বারিষ*

গল্পে আছে অন্ত কোনে
এমন হলে সঙ্গে যাই,
নতুন চোখে সকাল এলে
বৃষ্টি হবে ধোঁয়ার ছাই।

সন্ধ্যে যদি তোমার হতো
হাসির বেশে খিদের লোভ
ফুলের তোড়ায় রাত আঁকাতে
সাজায় বাগান সবান্ধব।

কথার ভিড়ে পাইনি হৃদয় 
শুকিয়ে ঠোঁটে সবুজ গান
নগদ গুনে বদল নেওয়া
আকাশ মেঘের অবস্থান।

আজতো কোথাও গ্রহণ নেই
বইয়ের পাতার রাজার দেশ
পড়ে আছে খোলাম ঘুচি
জন্মদিনের ছদ্মবেশ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অঙ্কন


 

*অঙ্কন*

হাত তুলে দিক দিশাহীন চিঠিরা,
পালক ঝড়ায় যত নিস্তার শামিয়ানা।
আচমকা বাতির শব্দ দলছুট শিরা 
হারিয়ে গেলেই চেনা পথ অজানা।

আজ তবু বৃষ্টি হবে। মেঘে।
পুরো বুটের শোল শুকোয় রোদে
কিরকম বিচক্ষণ কখন রেগে
পায়ে পায়ে সাঁতরায় খটখটে ছাদে

থাকে নিজের মতো।থাকবে না।
দুটো রুমালের ভাজের মন
একে একে ব্যলকনি রেলিং গোনা
ব্যস্ত হোয়াট অ্যাপ ব্যস্ত ফোন।

আবার কখনও দেখা হলে
শুরু করও কেকে কাটা থেকে
অক্ষর সরঞ্জাম গুছিয়ে নিলে
ফিরে এসো এমন তারিখে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভিষিক্তা


 

*অভিষিক্তা*

অভিষিক্তা এক শিকড়ে উৎপত্তি 
পেয়েছি জংশনে কিংবা শোরগোলে
কথায় রাখে-না প্রকাশ্য সমাপ্তি
তবু যা স্বপ্ন, রাখে রুমালে।

ক্ষুদ্র ও কুটির মনের খোঁজে 
লাল সমুদ্রের পাথর।ছাই,
আকাশ মেপে ওড়ায় নিজে।
কী দিই তাকে!কেবল লজ্জাই।

এতটা যে আজ বজ্র আসেনি
রক্ত ছোটেনি বরাবর শিরাময়
এমন মেয়ে আগে দেখিনি
সব গল্পে প্রশ্নই সব নয়...

রোজ ব্যস্ত দিন বিস্তর
আঁকড়ে রাখে উত্তর খিদে
নিজের ছায়ার মতো সাক্ষর
অচেনা বলে কবিতাই আন্দাজে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তনুশ্রী(সাহা)


 

*তনুশ্রী(সাহা)*

শিকড়ের আভাস।কাজল চোখ
শরীর মানুষ জীবন শিথিল
ঠোঁটের নীচে কথার খাতা
চরা বালি মনের পরিচিতি।

অনেক দূরের চাঁপার ভ্রমণ
গাছ পাতা সবটাই বৃথা
দৃষ্টি ভেজা কাপড় চিকন
এসব আগেকার গাঁথা

চেনা নয় অনেক ফারাক
গভীর ঘুমে আত্মীয়রা থাকেন
আজও ছিলো বৃষ্টির খোরাক
লিপস্টিকের ডিজাইন দেখেন

আগে তো লিখিনি এমন
হতে পারে না বোঝার মতো
মাফ করে দিও তখন
আজ লকডাউন ফুচকার ক্ষত।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Sunday, 20 September 2020

মৃত্যু শরৎ


*মৃত্যু শরৎ*

কাশবনের ওই নীল দুপুরে 
শিশির এসে ভেজায় ছাদ
আমি কোনো স্রোতের ভীড়ে
তোমায় ছাড়া কাটাই রাত!

আর কখনও আদর নেই
নেই ভরসার কোমল হাত!
পাতার ভেতর শুলাম যেই,
ক্ষতের কাঁটা বাধলো ফাদ।

তবে আমি আসবো-না আর
রং মেখে ওই নীল দুপুরে
ঝড়ের বদল থমকে যার
মৃত্যুতে সেই জীবন সারে।

এমন শরৎ তুমিও স্নেহে
দেখবে শুয়ে শিউলি ঘরে,
রক্ত মাখা কঠিন দেহে
যন্ত্রনা সব ঝুলছে তারে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

চুল্লিঘর

*চুল্লিঘর*


সময় কখন যায় বা আসে কে-আর তাতে তফাৎ বোঝে
মৃত্যুপুরী স্বপ্নে এলে সবাই বোধহয়  শান্তি খোঁজে। 

রক্ত জমাট কঠিন হৃদয় চিতায় ফেলে মশাল জ্বালো।
আমরা যাদের সঙ্গ বুঝি, সে আর কোথায় পাবে বলো!

মৃত্যু এতো সহজ তো নয় যত হিসেব কথায় আসে,
চুল্লি ঘরে জ্বললে আমি আত্মা নাকি হাওয়ায় ভাসে!

শরীর ভীড়ে দুধের বিচার মায়ের দেহ কি জাত মানে,
শক্ত করে ধরলে হাতও এসব কে আর মনে আনে।

তৈরি থেকো সময় এলে তোমায় নিয়ে যাবেই ওরা,
বলবে এবার ঘি মাখিয়ে সাদা ঢাকায় আগুন ধরা।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল


#শব্দলেখা পত্রিকায় প্রকাশিত...

মধুঋতা


 

*মধুঋতা*

ছোট্ট কোনো গল্প ভেবে
তোমায় রেখে লিখবো যেই
পায়রাগুলো রাতের ঘোরে
উঠোন জলে নামলো সেই।

ক্ষুদ্র আরো ক্ষুদ্র হতে
রক্ত রাখো হাতের শিরায়
সামলে রেখো মনের থেকে 
দুপুর তবে সরে দাঁড়ায় 

তুমি থেকো এমন সুখী
চলছে এখন শরৎ মরসুম
নয়তো হবে ব্যর্থ সবই
রুমাল ম্যাজিক,ঝরাই ঘুম।

সকাল এলে দাগাও তারিখ
ঘুমের বালিশ চোখেই রেখো
কোকিল, শালিক ঝরায় বারিষ 
চাঁদের আলোয় সামলে থেকো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা


*শ্বেতা*

সবকিছু মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়
সময় যেমন বিরোধের ছল বোঝে
আসলে বিবেক অকারণ দীর্ঘ হয়
মানটুকু অভিধানে ফের খুঁজে!

হাতে হাত রেখে ছুটে যায় বহুদূর
খেয়ালে কখন অভিযোগ ভীড়ে 
সঙ্গ আছে সাথে গলায় কিছু সুর
ফিরে আসে দিগন্তের আল ধরে।

জংলা শহরে, রোদ, জলে, ছাইয়ে, ঘাসে
দেখিনি বিনিময় চিঠি লেখা বন্ধন
ঝরে ঝরে পড়ে একে এক মাসে
সব যায় বারবার আলগা হয় মন।

সবকিছু দূরে দূর থেকে যাওয়া ভালো
পা ফেরে প্রশ্নে 'কি কেমন আছো তুমি?'
আজ খুশির দিন জ্বলুক সারা ঘরে আলো
ভালো থেকো শ্বেতা খুশি থাকো তক্ষুনি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৃত শরৎ

*মৃত শরৎ*

আমিও তোমার সঙ্গ পেয়ে হারিয়ে যেতাম গভীর বনে,
স্বপ্ন প্রেমের যত্ন ছেড়ে আগলে নিতাম একলা প্রাণে।

বলো তুমি এমন কিছু হলোই বা আজ কাল,
ছাড়বে আমায়, দুটো হাতও জড়িয়ে দেবে সবুজ শাল!

আজ তেমনই শরৎ দেখো মৃত্যু মিছিল খয়েরি মাঠে,
রক্ত জমে পচছে গাছও শকুন দেখেও টপকে হাঁটে।

এবার এলে আগমনী, আসবো ফিরে সবুজ মাঠে।
ভোর আলো আসবে ওরা দেবে মুখে জলের ছিটে!
 
দূরের পথে ছুটছে ঢাকি, বাদ্যিগুলো ডাকছে ওই,
মরণ রোগে মুক্তি পেলে জন্ম হবে আবার সেই।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল


প্রকাশিত #শব্দসাঁকো মহালয়ার পত্রিকায়#

বৃষ্টি ফোঁটায় তুমি

 

*বৃষ্টি ফোঁটায় তুমি*

কখনও দাম্ভিক নজরে 
প্রকাশ্য শুভেচ্ছাটাকে
ডেকে ফেলো মেঘলা 
রোদের ঘনীভূত বৃষ্টির
ফোঁটায়।

লাল রক্তিম ঘনিষ্ঠতা 
শ্যাওলা ঝড়িয়ে সোনালি
ড্রিম লাইট বৈষ্ণবী তিলকে 
ভালোবাসা খুঁজতে বসে 
গোধূলি হাওয়ায়... 

জলের থেকে দূরত্বটা অনেক।
মাটির মতো ঘোলাটে মন্ত্রে জেগে
ওঠা রোজকার মতো ছিল সব।
জানতাম না বেঁচে থাকার মানে
সত্যি জ্ঞানের জ্যোতিষ্ক অধ্যায়...!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পূজা


*পূজা*

কথাও ছিলো দু-একখানা 
দূরে এসেও থমকে যাও
দীর্ঘ বছর পেরিয়ে এসে 
কোথাও যেনো হতাশ হও।

কেউ হয়নি তোমার মতো
জলের ভেতর ক্ষতের শোক
হাতের ওপর বদলে জীবন
আগলে রাখো উদাশ চোখ।

সে-ছিলো এক রাজার বাড়ি 
সৈন্য ছাড়া শত্রু শেষ।
মধ্যমনি তুমি বলেই
আকাশ ছোঁয়া অবাক দেশ।

আজ সকলে তোমার হোক
থাকুক মনে ঘুড়ির টান,
দিন বদলের চলুক শহর
মুছেই নিও সব অভিমান।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৌসুমী


*মৌসুমী*

বিকেল থেমে সেতুর ওপর
সময় যখন থমকে যায়, 
রোদের আভা কলচে হতে
মৃদু বাতাস গান শোনায়

জলের নিকট গাছের প্রিয়
ঘুম দুপুরে অবাক মেঘ
দেরি হলেও কথার খেলাপ
হতেও বাকি এমন জেদ

স্বপ্ন তোমার শীতের আমেজ 
মন যেন আজ উড়ান-নেশায়
আসতে অনেক দেরি বলেই
গল্প আছো রূপের কথায়

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়া


 *শ্রেয়া*


এখন তার, রাতের ঘুমে
আঙুল ছুঁয়ে যাওয়া সম্পর্কে 
একান্ত ব্যক্তিগতই তুমি।

এ কেবল খেলার ছল
না চোখের জলের থেরাপি!
নাকি বাস্তবের মুক্ত কর্মফলে
বারবার এড়িয়ে যাওয়ার ছল!

স্রোতে জমা পায়েস হাঁড়ির 
গভীরতা যে ছেদ বানায় ,
তা পোড়া দাগের মতো লাগে,
সবুজ ঘামের পান্না হাত বুলিয়ে 
ধৈর্য্য শেখালে তাতে পাশ্চাত্য রান্নার
সাথে তুলনা করো বারংবার, 
যেমনটা তোমার রূপের সাথে করে বসি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনামিকা


*অনামিকা*

তোমার সাথে দূরত্ব পাই যখন
ঝুঁকির মুখে সমুদ্র স্রোত শিউরে 
বছর ফিরে আবার আসা মানে
মনের ভেতর দিন বদলের বাইরে

তফাৎ তোমার অজানা নয় সাক্ষী 
চমক টুকু প্রকাশ পাওয়াই ইঙ্গিত 
শহর ভুলে মাস্ক মুখোশের তারিখ
খনন যেন রাজ মুকুটের সঙ্গীত।

একটা দুটো বালির স্তূপও নিঃসাড়
বৃষ্টি বোধহয় শান্তি দেওয়ার নৈর্ঋত
ক্রিমগুলো তো ঠোঁটের ভেতর জব্দ 
ভালো থাকা অবাক স্বাদের বৈরী।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পায়েলকে


 

*পায়েলকে*

কোথায় যেতে তা জানি না,এটা বোধহয় ঠিক
শ্যাওলা ভোরে তুলেও সুর,শরীর যান্ত্রিক।

অনেক দিনের গল্প বাকি,পুকুর জলে ডুব
থমকে থাকা খেয়ার পারে একান্ত মনসুব।

আমরা যেটা ফিকির বুঝি,দিয়েও ফেলি সায়
সেই ভুলেতে নিজেই জড়াই নিতান্ত অধ্যায়।

প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে বসো আলতা ঘেরা পা
আগুন ফেলে হাঁটতে শেখো যেদিকে সন্ধ্যা। 

দেখা হতো,নাই বা হলো,তা বলে সুর শেষ
মিষ্টি এবার ফোনেই সাজাও সাথেও দরবেশ।

তাকিয়ে দেখো দূরের দিকে যেন আপনজন
ফোনের দ্বারে আমিও পথিক আসি সারাক্ষণ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমো

 


*রিমো*

শহর ভুলে এলাম গাছের তলায়
একটি ডাল ও বাকি ডালের গোড়ায়

সাল করোনায় আসি গলির মোড়ে
হঠাৎ কোনো বাতাস এসে ঘোরে।

বর্ষা ঋতু মরশুমিতেই যেতো
বাঁধন খোঁপার আলগা ফিতের মতো 

উঠোন ভরে সাজায় জলের স্রোত,
দিব্যি ঢেকে মোছাও অজুহাত।

যদিও ভুলে শহর ছেড়ে আসো
 মনের ভুলে তক্ষুনি খুব হেসো!

আজ যেমনই ঘরে থাকাই ভালো,
ভালোবাসার মধ্যে দেখেই চলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমো আবার




*রিমো*

দু'হাত তবু শূন্যে থেমে হাওয়ার মতো হয়
ভালোবাসা আলগা হলেও যত্ন থেকে যায়

বৃষ্টি কোনো দুপুর দেখে বিরাট ভেবো না
বিচ্ছেদেও রাতে বয়স হয়তো ছ-আনা

মন খারাপের দূরত্বটা থাকুক অপেক্ষায়,
শুকনো ঠোঁটে ক্ষতের আঘাত বড্ড গাঢ় হয়

আসবে তবে মিশবে ঋণে যেমন আকাশ হয়
স্বপ্ন তখন দেওয়াল ভেদে মন ভাঙিয়ে যায়।

আমরা যারা নিয়ম বেঁধে শহর ভেঙে চলি
অনেক আশা থমকে গেলে ফুঁপড়ে কেঁদে ফেলি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভি

*অভি*

বৃষ্টি ফোঁটায় আঁকলে শরীর সময় সান্ত্বনা 
শেষ বিকেলে আসবে ওরা সেটাও যেমন না।

জলের ছাপে ঝাপসা আকাশ কুসুম চেরা রোদ
একটু তোমার কাছেই এসে শান্ত হতো চোখ।

ভিজবো যদি তোমার সাথে দূরত্ব বা কি!
আমি তখন স্বপ্ন ভুলে ভিরমি খেয়ে থাকি

পায়রাগুলো ওদের ছাদে বকম বকম গায়
শরৎ দুপুর মেঘ ঝরিয়ে বৃষ্টি রেখে যায় 

থাকতে পারো চেরাই কাঠে কিংবা অপেক্ষায় 
যত্নগুলো ভাঙতে দেখে মনটা এমন হয়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 2 September 2020

সুমিত


*সুমিত*

আর শরতের কদিনই বা বাকি
রাস্তা জুড়ে ট্রাফিক ঘন জ্যাম
তোমার এখন যৌবনও তো নাকি
মনে ভেতর প্রেমের রাধেশ্যাম।

মৌন মুখে হাসির কোনো ভুলে,
রাই তবে আজ ঘুমিয়েছে দোলনায়
বৃষ্টি গেছে ছোট্ট প্রদীপ জ্বেলে
শহর এখন আকাশ সামলায়।

হৃদয় তবে উদার কোন পাড়া
মেঘের সাথে রাত্রিবাসের সাজ
দুপুর বুঝে ঘুমেই দিও সাড়া
ফলক ছেড়ে বেরিয়েছো যে আজ

শ্রাবণ এখন নৌকা বানায় চিঠির
ঠোঁটের কথায় মুচকে হাসে কম
বুকের ওপর অন্ধকারের প্রাচীর
গানের গলায় মন ভড়ানো নাম...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল
 

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...