Thursday, 5 September 2019

*ঈপ্সিতা ২*

একেকটা দিন সকাল সাড়ে
চার আকাশের দ্বগ্ধ প্রদীপের
ইহো রাশিতে...
ইচ্ছেরা ডানা মেলে নীল রঙের
সাথে ছুটে চলে দূরে থেকে বহুদূরে।

যে পথ ফেলে যায় গৃহীত স্বপ্ন
তরী! ঘুড়ি কাটা পূবের রোদে
শুকিয়ে ফেলে, সেতু উদঘাটন মৃত
প্রেমিকের বিষাদ বাদামি
হেমন্তবাহী জাফরান রুটির নিচুমুখ...

এক পক্ষী ঘোড়ায় বন্দি চাঁদের
জ্যোৎস্না আলো রূপোলি
সজ্জায় বৃষ্টিশেষের গ্রামটিকে
ছুঁয়ে বসে।বিন্দু সামগ্রে একাকী
আমি!কিভাবে প্রকাশ হবে তোমার....
কিভাবে জ্যামিতিক মেঘ পাড়া চিনে নেবে।
বৃষ্টি নামবে রাস্তা মোরে!

তখনই সন্ধ্যে গুনে ধীর পায়ে
ফিরে আসো তুমি
ফিরে আসে সকাল
ফিরে নীল রঙগুলো
ফিরে আসে তোমার আমার ভবিতব্যগুলো
একে একে সব ফিরে আসে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কুড়ি দুই বাইশ

*কুড়ি দুই বাইশ*

মেঘ সেজেছে আকাশ বুনে, যেন ময়ূর কন্যা
যারা অফিস ফেরত আসত। তারা তোমার কেউ না।

জলের ছাপে তার ছায়া দেখায়। বড় বড় নখ
আভাসটুকু হাওয়ায় ভাসে। ধূর্ত দুটো চোখ।

মাঝ রাতের গল্পে, পাতার শব্দে শিরার লক্ষ্য
বর্ষা বড় জটিল। গুঞ্জন গাছের ভুমিকা মুখ্য

কাদের আসা যাওয়া কথায় ভেসে আসে তার
সময় ফুরিয়ে যায়! মুছে যায় ফিকে পোস্টার।

ছিলাম বহুকাল শীতের আকাশ। ঝকঝকে দীপ
কুয়াশা ভোরের ফুল ঝরানো, কবিতার স্ক্রিপ্ট।

যাও ফিরে যাও! স্মৃতি মেখে চিরগীত শ্রবণা
শ্রাবণ নিরাশ আজ। মনখারাপ। খুশি কেউ না।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

কাব্যনিক

*কাব্যনিক*

আঁধার তবু বেড়েই ওঠে খুব
কথার গ্লাসে অনেকখানি ঢুকে
শেষের রাতে আকাশ থাকে চুপ
অপেক্ষা তার আলোক সীমা হতে।

বাইরে তখন বৃষ্টি সড়ক ছুঁয়ে
জলে সাথে করছে আপন পার।
মনখারাপের বিষয়টুকু সয়ে,
পেয়ালা কাপে চাটুকু দরকার।

গল্পগুলো হারিয়ে যাওয়ার ঋণে
সাজাই দুজন স্বস্তি বিনিময়ে
জমিয়ে দেব হয়ত কোনোদিনে
গানের কথার গোপন প্রকাশ হয়ে।

সফল্যতায় অপরাধও কিছু
চোখের পলক সময়ে পরা ভালো।
তবুও যদি নিতাম তোমার পিছু
বৃষ্টি হতো কাব্য লেখার কারণ।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

আত্মহত্যা

*আত্মহত্যা*

দু'হাতে দড়িটাকে বাঁধিয়ে বীভৎস সাজে
প্রতিশ্রুতির দ্বৈরথ লাল দেওয়ালের গায়ে আমার একটা জীবন
লিখে দেব-মৃত্যুর নামে।
তারপর মৃত্যুর দূরত্বটা  ভালোবাসায়
নুইয়ে দেব সমস্ত জাগতিক অভিশাপে ছাই ভেবে।

আমি ফিরে যাবো-
পাহাড়ের পুড়ে যাওয়া সবুজে তকতকে নিঃসৃত গোধূলির
রক্তিম আভা ছুঁয়ে,
বৈকুণ্ঠ জলে সূর্যাস্তের মনোরম রূপ
চিত্তশূন্য দৃশ্য উপেক্ষা করে, দূরে..বহুদূরে!
পৃথিবী ফিকে হতে হতে তলিয়ে যাবে- গাঢ়
অন্ধকারে!
ক্রমাগত আলোর ভূ-উচ্ছ্বাসে আমার ঝলসে যাওয়া
চোখ জোড়া বুক ডুবিয়ে দেবে ঈশ্বর প্রতি
কৃতজ্ঞতা স্বীকার একটুখানি স্বস্তির জন্য।

অবশেষে এক কঠিন প্রতিক্রিয়া  সমাপ্ত করে আমার অবুঝ
অশ্লীলতাবোধ!
এবং আমার অবিচ্ছেদ্য কৌটিল্য শান্তির কম্পনে,
গাঢ় অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া পৃথিবী ফের জাগ্রত
হবে শেষ নিঃশ্বাসে।

তারপর-
আমার শরীরের পোড়া খাতে পৃথিবীকে বিদায় নিয়ে
ফেলে,
সমুদ্র পৃষ্ঠ ভীষণ উল্লাসী একঝাঁক
পক্ষীর ওড়াওড়ি দেখে আবার মিলিয়ে যাবে
গহ্বর মেঘে ।
পরিবর্তিত তৃষ্ণায় দিগ্বিদিক
একটা সতেজ বৃক্ষ,
অথবা শহুরে সুপথ
কিংবা একজোড়া মৃতকাক হয়ে।

©আরিয়ান প্রিয়স পাল
___________________________

নিঃস্ব রাস্তার বুকে দাঁড়িয়ে আছি

*নিঃস্ব রাস্তার বুকে দাঁড়িয়ে আছি*

শহরের রাস্তা থেকে সোডিয়াম বাতিগুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন সমস্যা উদ্ধৃতি ঘটেছে
তাদের ব্যবহার কমতে শুরু হচ্ছে ক্রমশ আর তার স্থান দখল নিয়ে  নিচ্ছে অন্য নতুন খরচ সাশ্রয়ী আলো।
ধূলো আর ধোঁয়ায় ঢাকা এই শহরে
ব্যস্ততার আড়ালে
মাঝেমধ্যেই এসে দাঁড়াই ওই
সোডিয়ামের বাতির নীচে। অদ্ভুত নিস্তব্ধতা পাই তাকিয়ে থেকে
হলদে-সোনালি রঙের আলোর দিকে,
এই আলোতে কি যেনো আছে!!
ভাবি, খুঁজি, খুঁজে পাইনা
চুপচাপ আলো অনুভব করি,
এই আলোর স্বাদ জানি কেমন,
মাথা ঝিমঝিম টাইপ,
কষ্ট ভুলানো টাইপ।

বিষন্নতার কাছে হলদে-সোনালি
বাতিগুলো রাস্তাদের বন্ধু খুব।
অনেকবার ভেবেছি ছুটে যাই বারান্দার ওপারে।
সোডিয়াম বাতিতে ভবিতব্য ঝুলিয়ে রেখে
ঘন নিশুতি রাতে আঁধার অনুভব করবো আবার
মাঝেমাঝে সোডিয়ামের আলোয় ঘুমিয়ে পরি
হয়ত উঠব না আর
কেন যেন মনে হয়,
একাকী নির্জন রাস্তাতেই
সুন্দর। অপূর্ব মুগ্ধতা। যা আমার চার দেওয়ালে ঘেরা ঘরটায় বেমানান।
ইচ্ছে করে রাস্তার বুকে হঠাৎ শুয়ে পরি
ভাবি এখানেই কোথাও একটি বং দোকান দিয়ে বসে পরি,
চা-বিড়ি বিক্রি করব রাতের আলোয়!
প্রতিদিন তাই হারিয়ে যাই আলো থেকে বেরিয়ে আসা মানুষ গুলোর কাছে৷
এভাবে আমারও আলো মিশে যাওয়া যায় ।
হয়ত না!নাকি সবার গতিপথ এক নয়!
প্রতিদিনের ওঠা-নামার কথা ভেবে
রাতের অন্ধকার কাটাতে কাটাতে
ভুলে যাই,জীবন থমকে যায়।নিঃস্ব হয়ে বসি খোলা রাস্তার বুকে
তারপর খুঁজতে থাকি, পাবো না জেনেও খুঁজি।

মাঝেমাঝে ভুলেই যাই আমার অস্তিত্ব...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নারীর তুলনা

*নারীর তুলনা*

নারীর রূপে আমার আকৃষ্টতা প্রাচীন৷
বিশেষ করে তাদের মুখমণ্ডল৷ ৷
নারীর মুখের চেয়ে অনবদ্য শিল্প কিছু নেই...

মাঝে মাঝে অহেতুক একাকীত্ব ভুগতাম হয়ত ভুগিও... যা কেবল রাতের চোখ বুজে স্বপ্ন জগতে সীমাবদ্ধতায় সমাপ্তি হয় না৷৷
নিতান্ত বোকার মতো তাকে ছুঁয়ে বসি হাতরে আরো সামনে থেকে আরো সামনে৷
তার আঘাত করা কথা-তীক্ষ্ম  চোখের ক্রোধ সহ্য হয়ে ওঠে৷
যা আনমনা খেয়ালে দেখি কোনো পার্শ্ববর্তী উপত্যকা জুড়ে কিংবা নিচু গহ্বরে মতো কোমল হৃদয়ে৷

এর চেয়ে শিহরন চঞ্চলতা কিংবা অনবদ্য আদুরে অভিনব উপহার
আমার মানুষ জন্মে আমি আর কোথাও দেখিনি,
এর চেয়ে নিখুঁত কাজ, সমতুল্য ভাস্কর্য কিংবা অমূল্য নির্মাণ
মিউজিয়াম, অঙ্কনে আর পুরাণ পুস্তকএর কোথাও
আমি তো পাইনি খুঁজে ;।

কী ভাবে প্রশংসা করবো নারীর
তার রূপের চেয়ে আকৃষ্টতার প্রকৃতি প্রমান আর কিছু নেই
কী করে বলবো আমি নারীর মুখের চেয়ে স্মরণীয়
অন্য কোনো নাম!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তখন তোমার ঠোঁট পাবে না

*তখন তোমার ঠোঁট পাবে না*

বৃষ্টি ঝরে দেহের ক্ষতে।লোহা চুড়ের ধুলো নিয়ে
চামড়া ভারে হৃদয় ঢেকে হচ্ছে তাকেই খুঁড়ে লুট
সেবার তবে কালির স্বাদে বিষাদ আতর দিয়ে
নখের নীচে ময়লা জমায় ঠোঁটের কোনায় খুঁত।

তখন আমায় বুঝিয়ে দিও গীতের অভিপ্রায়
বিশাল আকাশ বিশেষ কারণ প্রশ্ন শুধু আমির
ওই দেখো ওই দ্বগ্ধ গাছও মৃত্যু অপেক্ষায়
স্পন্দনে তার শরীরের ঘামে,উড়ান আগামীর।

কী ভেবেছো জলের ঘরে প্রবেশ নেবে ভিজে!
তুমি হবে তারই ছায়া থাকবে বিবেক ছুঁয়ে 
খালি হাতে মস্ত পাথর। রক্ত ঝরায় সে যে
লক্ষ্যণে তো শিরায় থামে।শুধুই দেয় চিনিয়ে।

গলছে বরফ।অক্ষশালা।আগুন চিঠির বয়ান
চাদর মুড়ে মেঘলা চুলে চলুক সুতো গোনা
যখন একে স্মৃতি বলে।বলে বিষাদ গান
আমার খবর তোমার ঠোঁটও তখন পাবে না।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নরম চিঠি

*নরম চিঠি*

কী ভেবেছো জলের ঘরে প্রবেশ নেবে ভিজে!
তুমি হবে তারই ছায়া থাকবে বিবেক ছুঁয়ে 
খালি হাতে মস্ত পাথর। রক্ত ঝরায় সে যে
লক্ষণে তো শিরায় থামে।শুধুই করাত ঘায়ে।

গলছে বরফ।অক্ষশলা।স্মরণ চিঠি গোনা
চাদর মুড়ে মেঘলা চুলে চলুক সুতো টান।
তোমার কথা আমার ঠোঁটে তখন যাবে চেনা
যখন একে স্মৃতি বলে।বলে বিষাদ গান!

সেবার হল কালির স্বাদে বিষাদ  আতর কেনা
চামড়া ভরে হৃদয় ঢাকা ময়লা জুতো দিয়ে
নখের ভেতর স্বপ্ন জমে হয়না তাকে চেনা
কে বলেছে আসবে সেও বার্তাটুকু নিয়ে।।

কথায় আমায় বুঝিয়ে বলো গীতের অভিপ্রায়
বিশাল আকাশ।বিশেষ কারণ প্রশ্ন শুধু স্থির।
ওই দেখো ওই দ্বগ্ধ গাছও মৃত্যু অপেক্ষায়
স্পন্দনে তার শরীরের ঘামে,উড়ান আগামীর।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাহারী শরৎ

*বাহারী শরৎ*

এমন দিনে বৃষ্টি হবে এটা ভীষণ দোটানায়
তোমার কাছে থাকলে বোধহয় এমন হতো না। 

শ্রাবণ দিনে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়াও ভালো,
যেতাম কোথাও হারিয়ে যেমন ধোঁয়ার গড়ন কালো।

কোথায় যাবো! অরণ্যেতো কষাই জনক লোক!
রোদ নিকানো গাছের ছালে আঘাত করার শোক।

মাঠ জুড়েছে হালকা ভারী শরৎ কাশেরা
আগমনী আসলে পরে পাবে আদর ওরা।

জানতো কেবল পরিশ্রমে নেইতো অনীহা
চোখের তারায় কাজল রেখে সাজেই মনিহার!

সে আর এখন ঠোঁটের কোণায় রাখবে না জোছনা!
একসাথে থাকলে বোধহয় এমন হতো না।।

সমদ্দরে বৃষ্টি থামুক সেজে উঠুক বাহারী উৎসব,
ঢেউ তো রোজ আসে যায়। সহায়ক সূত্র বাস্তব।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

এমন দিন

*এমন দিন*

স্বপ্ন দোষে বৃষ্টি ঝরে
গাছ ঝুঁকিয়ে ভেজায় মাথা
গল্প শেষে অবাক করে
বাতাস,মেঘে ওড়ায় ছাতা।

কোথাও তেমন শোরগোল নেই
আজতো "রাখি"।দেশ স্বাধীন
ভাই বোনেদের বন্ধনে সেই
খুশির প্রদীপ জ্বালুক এদিন

বৃষ্টি যেন আলগা সুতো
খাস বালুচর যাচ্ছে ভেসে
ড্রেনের জলও নদীর মতো
রাস্তা ঘিরে আবার মেশে।

ছোট্ট কিছু কুকুর ছানা
ভিজছে দেখি দোকান ঘেসে
রাখির ভাজে গন্ডি টানা
আলপোনা দেয় কার্নিশেতে।

আকাশ ভেঙে উড়িছে ধজা
জয়ধ্বনি আর কাঁপছে দেশ
মান খুইয়ে হাসছে সে-যা
রক্ত খিদেয় সব-যে শেষ।

স্বাধীন বোধহয় চরিত্রে না
কার অপমান কাকে দিয়ে
রেওয়াজ ছাড়া সুর জমে-না
হাতের মুঠোয় স্বপ্ন নিয়ে।

আমরা স্বাধীন বলতে হলে
কি উপহার দেবেন তবে
গাছ গুড়িয়ে।কাটতে বলে
গাছ বাঁচানোর খোদাই হবে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেহের মতো

*দেহের মতো*

বৃষ্টি ঝরে দেহের ক্ষতে। লৌহ ধুলো নিয়ে
চামড়া ভারে হৃদয় ঢেকে জুতোয় মেশে লাশ
সেবার তবে কালির স্বাদে বিষাদ করা আতর দিয়ে
নখের নীচে ময়লা জমায় লুকায় ঠোঁটের তাস।

কথায় আমায় বুঝিয়ে বলো গীতের অভিপ্রায়
বিশাল আকাশ।বিশেষ কারণ প্রশ্ন শুধু স্থির।
ওই দেখো ওই দ্বগ্ধ গাছও মৃত্যু অপেক্ষায়
স্পন্দনে তার শরীরের ঘামে,উড়ান আগামীর।

কী ভেবেছো জলের ঘরে প্রবেশ নেবে ভিজে!
তুমি হবে তারই ছায়া থাকবে বিবেক ছুঁয়ে 
খালি হাতে মস্ত পাথর। রক্ত ঝরায় সে যে
লক্ষণে তো শিরায় থামে।শুধুই দেয় চিনিয়ে।

গলছে বরফ।অক্ষশলা।আগুন চিঠির বয়ান
চাদর মুড়ে মেঘলা চুলে চলুক সুতো গোনা
যখন একে স্মৃতি বলে।বলে বিষাদ গান
আমার খবর তোমার ঠোঁটও তখন পাবে না।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আবার বিসর্জন

*আবার বিসর্জন*

কোঠার আড়ালে প্রতিদিন বিসর্জন হয় হাজারও প্রতিমার ।
দালানের ঘরে লুকিয়ে বসন্ত আদর ফলক নামায় টেনে।
কিছু কথা থাকে,শেষ না হলে, প্রয়োজন পরে উপমার!
মাটির ওপর রঙ ঝকঝক করে। সেও জলে মিশবে জানে।

সাত ভিটের পুরুষত্ব পরিমাপক শরীর খেলার গল্প বলে।
যা আমাদের কঠিন প্রলাপ ছাই হয়ে ছড়াবে বিষাক্ত স্মৃতি!
সেখানেই সহবাস করে আপাদমস্তক শাড়ি ঢাকার ফলে-
অস্ত্রে ভরায় বিলিন হওয়া লিফলেট,আক্ষরিক প্রকৃতি।

ইটের মলাটে বৃহৎ ঘর আসলে শরীর নিকায় প্রতিদিন
মাটির তলার জীবন।সীমা নেয় বাতাস ছোঁয়ার গুঞ্জনায়
যেখানে আভাস নেই।সন্ধ্যে দিগন্ত বিস্তৃত। বিপথ বিলীন!
দেওয়াল জুড়ে দিন থেকে দিন ক্রমাগত জানালা হারায়...

কান্না ছোট হতে থাকে।তোলো কাঁধে তোলো সব সাজ!
শিখল স্বভাবে জড়ায়।প্রেম শুধু জলে দাও আজ ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তোমায় ছোঁবো বৃষ্টি হয়ে এসে!!

*তোমায় ছোঁবো বৃষ্টি হয়ে এসে!!*

তোমার সাথে হাঁটছি অনেক পথ
কমলা সকাল।বসত বাড়ির ভিটে
যদিও আকাশ মেঘলা।শ্রাবণ।শরৎ।
বসতো ঘরের চওড়া উঠোনেতে।

নেহাত তুমি তাকিয়ে আমার দিকে
ঠোঁটের কোনার কালার ন্যাচারাল
কোলাজ হাসি ভাসতো যখন চোখে
খুনসুটি সব সমান নাজেহাল।

পিছন দিকে তাকিয়ে যখন খুঁজি
পায়ের দুপাশ জলের সাথে ধসে
তবুও তোমায় ডাকছি বলে সুজি
তবেই চোখে কাজল পালক খসে

বিকেলগুলো আপন যদি হতো
মেঘ কুড়োতাম তোমার সাথে বসে।
খয়েরি গাছে ফুল কি কথা দিতো
তোমায় ছোঁবো বৃষ্টি হয়ে এসে!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুদীপ্তা দি




সুদীপ্তা দি

লবণ জলে মাখিয়ে কাজল,চোখের কোনায় জড়াও
আজ তবে এই মেঘলা দিনে বৃষ্টি কিছু ঝরাও।

নীচুতলার একটি ঘোড়া পক্ষী আকার নেয়
তোমায় নিয়ে আকাশ হারায়,সাগর পাড়ি দেয়।

এমন কোন বিকেল হলে বিষাদ বাদামি
স্মৃতিগুলো চশমা ভরায়।ঝাপসা হলেও দামি।

সেতুর জলে সেই যে চাঁদ!দোষ দেবে কি রাতের,
কয়লা ফাঁকে হিরের আলোও জোগান দেবে ভাতের!

না তবে তো এমনও হয় একটু সময় ছেড়ো
অপেক্ষাতে সবাই আছে!আপন হয়ে ফেরো...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্তরালাপ ১ ও ২



ধীরে ধীরে বইছে মিষ্টি বাতাস
সব আকাশ একে একে নমলো
যেরকম ফিরে আসে তারাদেব
সেরকম পৃথিবীও সয়ে সয়ে গলছে।

কী দারুণ ফুটিয়েছে ফুল-মেঘ
ধাপে ধাপে গ্রহরাজ ক্ষচ্ছে
তোমার পায়ের তলায় যে মাটি
রক্তের লালে দূষণতা বাড়ছে

পৃথিবীটা যেন এক মহামারী। ফুঁসছে
রশ্মি যে আরো বেশি,আরো বেশি
পৃথিবীকে গিলছে।যেটুকু বেঁচে আছে
গাছেরাও অসহায়।তাদেরও গর্দান যাচ্ছে।

যাকে বলে স্তর ভেদ।পরিমাপ পরিহাস
সেও তো!হ্যাঁ তবে ক্ষতে ক্ষতে নিভছে
কে বাঁচাবে এ জগত।প্রকৃতি।পাখি।পশু?
নাকি প্রতিযোগিতা! মানুষ নাকি মনুষ্যত্ব উর্ধ্বে।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

*স্তরাকাশ*

পিঠ ভেজা শান্তনা
বেহিসাবি আনমনা
আলোর সময় গোনা মেঘ

কী ভাবে ভুগছে
পৃথিবীটা ধুঁকছে
দিগন্ত দুঃখে নেওয়া পেগ..

বায়ু জল সরে যায়
দূষণতা ভরে দেয়
সমাধান শুধু কি আজ করজোরে!

প্রতি স্তরে পাঁচ ভাগ
ট্রপো,স্ট্রটো আরো থাক
ত্বক ভাঙে।ছানি জমে অক্ষরে।

কেউ জানে কি আছে
মেরুজ্যোতি(প্রায়)নিভে গেছে
মাথা ঝুঁকে জেগে আছে রোদ্দুর

সব গাছ মৃত প্রায়
নিঃশ্বাস নিরুপায়
ধ্বংসটা যেন ঠিক কতদূর?

বই পড়ে মেধাবী
বাকি সব আদতী
স্তরভেদ থেমে আছে ক্ষওয়াতেই

ছাদ নামা ওআকাশ
ক্ষয়সারি মহাকাশ
এ লেখা দূষণতা রুখতেই

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...