Wednesday, 26 December 2018




*ঈপ্সিতা*

সে কত মাস আগের কথা,চাঁদ,মেঘ,ধ্রুবতারা
শীতে ফুলে সাজানো স্থিতি বাগানের মন পাড়া।

সাতরঙা মেঘ ভাসমান,সেই চেনামুখ বহুবার ,
অনেক কিছু জানতে তবেই  ছায়াপথে পারাপার ।

উর্ধ্বে তোমার কথা বিচার,শব্দ তোমার হাতে,
আমরা দুজন গপ্প পাতি গান পোড়ানো রাতে ।

কঠিন হতো যখন তখন মজায় কিছু করা,
তোমার সাথে একপাতে খায় আমার কাব্যি-ছড়া।

তৈরী আছে ছন্দ যতন,একশ কালির মানে।
তার বিষাদও লেখা কাছে কলম টেনে আনে।

কেক মিষ্টির কি-প্রয়োজন!সাথে বিভেদ ছোরা!
কাব্যি খানি আজ তোমারই জন্মদিনে মোরা।।

তার ঘড়িতে ছুটছে সময় আজ এটুকু থাক,
একশ বছর বাঁচুক খুকি,মৃত্যু দূরে যাক।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

শ্রদ্ধার্ঘ্য


*শ্রদ্ধার্ঘ্য*

খুশির দিনেও বিষাদ মুখে
চোখের কোণার কথার রেশ।
এইতো ছিলেন খানিক আগেই
হঠাৎ করে সর্ব্ব শেষ।

খুব প্রয়োজন এমন শিশুর
রাজা তবে হাসছে বেশ
একটু নাকি স্বস্তি বোধ
ধরবে কে তার ছদ্মবেশ ।।

রইলো তোমার লেখা ঝুলি
মানুষটুকুই নেই যে আজ
শিকড় এমন উপড়ে গিয়ে
সাজলো ফুলে অন্ত সাজ।।

শ্রদ্ধা তবে থাক তাদেরই
শব্দ শুনে নামবে রাত।
কে জানে-সে কোন কুয়াশায়
আসবে ফিরে নীরেন্দ্রনাথ।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Sunday, 2 December 2018

বিপ্লব

*বিপ্লব*

বৃদ্ধ গাছের মৃত্যু ঘটে অজানা ঠিকানায়
খাতার বন্দি শব্দেরা একে একে বিদায় নেয়।
কয়েক পশলা বৃষ্টি ঝরে নিহত সন্ধ্যায়।

কথার ফাঁদে তাদের আপন করে ফেলি
জড়িয়ে ধরি শরীর ।ছায়া পথ খুঁজে চলি।
তখন সমস্ত শতক চুপিসারে বাতাস রেখে যায়।।

সবুজ আকাশ পরে বিস্তর মাঠ,শৈত্য কুকুরও চুপ
কেরানি শুভ খাওয়া শুরু করেছে।প্লেটে সাজানো  মাংসের স্যুপ ।
ঘন হয়ে উঠছে আঁধার।সবাই ঠেকেছে কোকিল নিদ্রায়।।

এখনই বৃষ্টি হতে পারে।বদ্ধ সমাধিরা মুক্তি চায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আমি

*আমি*

লেখাটা বেশ ছিল।স্বভাবে গান
নীল আকাশ সাজানো দু-এক প্লেটে।
এখনও সময় আছে,মন ভাসমান।
মিটুক খিদে,প্রেমিকার বুক চেটে।

অল্প আলো রেশ দেওয়ালের ফ্যানে।
কথারা ঠিক ছিলো।আস্ত বইয়ে।
সবটাই ক্লান্তির।ছায়া পথ ঘিরে ।
সূর্য অস্ত নামে কেবিনের গায়ে।

হাতের গ্লাস ভরে বরফের ঘামে
হঠাত্ বিকেল নামে টেবিলের ধারে।
হাজার পাখির ডাক গোটা-শট রুমে
দু-চোখের বোঝাপড়া হাতে-হাত রেখে,

তবুও ঘেরে লাজ দ্বন্দ্বের জেড়ে
সব যে-শত্রু তবে,বন্ধু ছয়।।
আমিও বাড়ি ফিরে,সময়ের ঘড়ি
নিশাচর,ভবঘুরে আর কিছু নয়।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Monday, 19 November 2018

গতকাল

*গতকাল*

শুরুতেই উতরে দিও না মনের কথা।থমকে
থাকা বিরহের পা ছোঁয় জোনাকির ঝাঁক।
কান্নারা আক্ষেপ রাখে নিহিত  তারের বুকে।
অনেক হেঁটেছি শতক।আজ এটুকুই থাক।।

এরকম হেঁয়ালি শুধু প্রকাশ্যে গোড়ালি সমান।
বাকি টুকু সাক্ষাতেই পরিচিতি হবে!
তোমার দেহের বাইরে যে মনুষ্যত্ব আছে,
সবটাই বিকিয়ে ফেলো না আমোদি উৎসবে।

প্রভাতে পেয়েছি যে চাঁদ,পুরোনো ধাঁচের বন্দরে,
আদুরে মেঘেরা উড়ে গেছে আগেই ।আঁধার হতে কতক্ষণ
পা টিপে টিপে গিয়ে দেখি লক্ষ্মী আসেনি ঘরে
সমস্তটাই আবছা রয়েছে।সুখের দম্পতি গৃহকোন।

যে নদ গেছে মুছে,ভেসেও আসেনি সেই তরী,
সে আছে এখনও বেঁচে।ফিকে  হয়েছে উত্তরী।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সাবমেরিন

*সাবমেরিন*

মধ্যের এই প্রলাপ অনেকটাই অস্পষ্ট ছিলো
সমস্ত প্রকাশ এক সাথে লুপ্ত হয়নি কখনও।
দীর্ঘ জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া পথিক পণ্ডিত পরাণ
ঘরে সদ্য ভেজানো চালে ভাত বসেনি তখনও।।

সে পথ ঘুমিয়ে গেছে আগেই।বাতাস ছুঁয়েছে মাটি।
কোথায় থেমেছে গন্তব্য,আঁধারে ঠাওর করা দায়।
পৌষী শিশির ঢেকে ফেলেছে দুরের বন্দর।
পাতা ঝড়ানো রূপসী আলো, ক্রমশ হারাচ্ছে জ্যোৎস্নায়।।

অবকাশ আছে।তবে বদলে নাও মনের গড়ন,
সবটাই ঘিরে ফেলে আকাশ।অসংখ্য অদৃশ্য কোন।
বৃদ্ধ গাছের সারি,মেপে নিয়েছে মিনারের উচ্চতা
আজ সন্ধ্যার গভীরতাই তাদের সমাপ্তিক্ষন।।

নদীও সাগরের অধীন।বয়ে চলেছে পরস্পরে
অনেক সকালও সুন্দর হয়,জন্ম নেয় নতুন ভোরে।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

প্রথম পুরুষ


*প্রথম পুরুষ*

চোখের পাতার স্থান অস্থির।মুখ ভরা জমাটি বিস্মৃতি।
নিমেষে ফুরিয়েছে গোটা দিন।ঘন ঘন নিঃশ্বাসে।
এবার একটু অন্যরকম ভাবি।সন্ধ্যে নামার রেশ ।
অনেকটা হেঁটে ফেলেছে আকাশ।পরিশ্রমের অবকাশে।।

হালকা মেজাজি মানুষ।ধূসর উসকো চুল ।
মাঝে মাঝে খেয়াল খোঁজে সিগারেটে মুখ দিয়ে ।
কত বসন্ত জমে ঠোঁটে ।কতটা কান্না ভেজে মনে।
সবটাই ক্লান্তি মেখে ফেলে।আবেগের পথ নামিয়ে ।।

তবুও প্রবন্ধের প্রজন্ম আজব।মেরুদন্ড যৌবনে ভাঙে।
সবটাই মুখের প্রলাপ নয়।দিনেরও অস্ত বিকেলে।
তবে তার স্থিতি আসে।হাসির হদিশে ফেরেশতা ।
কথায় কথা সাজিয়ে সময়ও প্রয়োজন গুছিয়ে ফেলে ।

প্রভাতে প্রকাশ হয়,সন্ধ্যা নামে সেই ফের।
আবারও সৃষ্টি হোক,জন্মান্তর পুরুষত্বের।।


@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ভাগ্যের মা


*ভাগ্যের মা*

ধূলোয় ভেসে যায় ভিন-জাহাজ।ঢেউ জেগে ওঠে
সমুদ্রের বুকে।তবে জল তো প্রাণহীন বস্তুসমান।
অথচ চঞ্চল।তাকে মুষ্টিবদ্ধ ভাবা মুহুর্তের দশা,
আশ্চর্য।জীবেরও প্রাণ সে।গাছেদের জীবিত ভগবান।।

তাকে অবজ্ঞা করা ঘন দুঃস্বপ্ন সমান।অলীক সুখ
বয়ে আনা অতি প্রাচীন মূল্যায়ন।সবটাই একলা সয়।
এক ভাঙা হৃদয় বহন করে সে পথ।সময়ের
অবসানে তারাখসে পরে।দাগ লাগে সৃষ্টির গায়ে।।

সংযোগগুলি সারিবদ্ধ হয়ে ঢেউ গুনে চলে অনবরত ।
পাড়ের দৈর্ঘ্য অঙ্কে বাধা।পাঁচিল ওঠে রাতের মেঘে
সবাই ভারসাম্যহীন হয়।প্রকৃতিকে বহন করে বাতাস ।
যুদ্ধভূমি প্রস্তুত হয় দুরে,ঠিক দিগন্তের গা লেগে।।

এমনও ভ্রমের সংশোধন হয় অদৃশ্য চোখে ,
ছবিরও মৃত্যু ঘটে,অস্পষ্ট দেখায় মৌনবতীকে।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দিব্যেন্দু


*দিব্যেন্দু*

কপালে বিষাদ।ঠোঁট জোড়া উন্মুক্ত স্মৃতি
যেরকম নদীর পলি সরে,জল এসে জমে।।
মেলে ধরে শৈশব।গল্প জড়ানো আদুরে জেদ
বহুকালের বন্দর এলাকা, উপত্যকায় নামে।।

তেমনই যুবক সে।চোখ ছলছল বিভীষিকা ,
চেনা মানুষের পারাপার ।সাজানো বদনামে।
হাতি ঘোড়া তফাত।কপালে বাদামী টিকা।
চিবুকে মিশুকে প্রেম ।মেরুদন্ড যৌবনে থামে।।

তফাত মেপে দিন কাটে।রাত ভরা
আক্ষেপে বাস নেয় অজানা কক্ষপথ।
সমস্ত কষ্ট একে একে পরখ করে
অঘটন উদ্দীপনা।ফিকে হয় প্রমোদ ।।

অনুভূতি নিশ্চুপ।তবু ক্লান্তিরা স্তব্ধ হোক ।
স্বপ্নরা ফিরে গেলে সৃষ্টি হতো নতুন মোড়ক।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Monday, 12 November 2018

আন্তর্জাতিক


*আন্তর্জাতিক*

আমরা ওপরের চরিত্র দেখে অভ্যস্ত। সত্যি,
সেও সম্পর্ক অস্বীকার করে,প্রতিশ্রুতি রেখে ।
ঘরের দেওয়ালে সহসা মিশে থাকে স্মৃতিপট,
এক একটা বিরহ জবাব খোঁজে প্রশ্নের তারিখে ।।

তাদের ভাষাগুলো ঠাওর করেনি মুক্ত বাতাস
জানলার কাচে কুয়াশা মাখানো অদ্ভূত সংকেতি,
দফতরে বিক্ষোভ জমেছে রোজের মতো।
কে বোঝাবে অভিনেতা ও অভিনয়ের মানে কি?

আগুন,সেও আজ বাছবিচারী।জায়গা মেপে দেখে ।
জন্মান্তর শেষে ফেলে রাখে ছাইরাশি।অভিযুক্ত আলপিন
সমস্ত বিষয় নখদর্পনে রাখে।অযথা বিলম্ব না-করে
আবার ফিরে আসে শৈত্য পসরা নেওয়ার দিন ।।

তবুও কথায় মিশবে প্রলাপ।সেটুকু সামলে নিও।
আঘাতের মৃত্যু হলে,সে-কদিন কবিতার ছুটি দিও।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Thursday, 2 August 2018




*প্রিয়*

কাছেই ছিলো তার গতিপথ
শাড়ির ভাঁজে কাটতো প্রহর,
রঙিন ধুলো উড়িয়ে হঠাৎ
বৃষ্টি মেখে ভিজতো শহর।।

যখন তাদের পাথর হৃদয়
প্রশ্ন তবে মনেই থাক!
বালিশ প্রেমে ঘুম নামিয়ে
আদর গুলো শুকিয়ে যাক।।

ঘর-দুয়ারে ভিক্ষে করে
দিনগুলো তার কাটছে বেশ
কয়েক দশক পেরিয়ে এস
সুঠাম শরীর, ভীষণ তেজ।।

কোন ফাগুনে লাগবে বোধহয়
কোমল নদীর আয়ুর ক্লেশ
মধ্য সাগর ভাসিয়ে নেবে
সময় খুঁজে রঙিন বেশ।।

যা হওয়া তা হয়েই গেছে
এবার নতুন ভোর আসুক
ইচ্ছে কুঁড়ি জাগবে যখন
স্রোতের মুখে সব মিশুক।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দ্বিতীয় আম্রমাধুরী



*দ্বিতীয় আম্রমাধুরী*

মিনারের স্তম্ভগুলো ক্রমশ
মাথা উঁচু করে আকাশ ছুঁতে চায়,
শহরের তিলোত্তমা বধূ সাজে এক রাতের বাসরের অতিথি।

ভিজিয়ে ফেলেছে নোঙরে;
আহত তার গোলাপী আবরণের গভীরতা. .
আমার আরো কিছু হাতের প্রয়োজন-তার শরীর ছুঁতে।

সবুজ পেনে এঁকে
নিয়েছি তার নাভি ঘিরে,
কামস্বপ্নে উষ্ণ চুম্বনে তাকে
হিংস্র করে ফেলি।
নগ্ন তিলোত্তমার দেহের
আগুনে নিশুতি রাত
হস্তমৈথুন করে
বীর্য ফেলে নদীর জলে।

একে একে সমস্ত শরীর গর্জে ওঠে ,
জাপটে ধরে পিঠে নখের আঁচড়ে রক্ত মাখায়,
সমস্ত ঘরে বিদ্যুৎ বেগে অদ্ভুত রোমাঞ্চ ভরে যায়. . .
আমি ধীরে ধীরে তিলোত্তমায় বন্দি হয়ে পড়ি।

অন্ধপ্রেম দিয়ে তার কাঁধে অন্তর্বাস চুমুতে শিহরন জাগিয়ে তুলি,
ভরা কোটাল বুকে তৃষ্ণার্ত ঘাম  চুঁইয়ে নাভি স্পর্শ করে তখন!

আর আমি সমস্তটাই স্বপ্ন সেল্ফে আবদ্ধ করে ফেলি
তার অজান্তেই. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

আম্রমাধুরী

*আম্রমাধুরী*

মাধবী এসে থেমেছে তার শরীরে,
কোমরে আঙুল ছুঁয়ে উস্কে দিচ্ছে ,
দেহের যাবতীয় উদ্দীপনা,

কোন শ্রাবণ বিকেলের সূর্যাস্ত দিলাম তাকে,
একে একে সমস্ত আকাশ যৌনী চাদরে ঢেকে গেলো,
হালকা বাতাসে তার শরীরের কাম-রোমাঞ্চে কাছে পেতে চাইলো আমায়. .

আমি তখন বসন্ত কোঠরে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছি মাত্র!

সন্ধ্যা আলো জানলা ভেদ করে তার শরীরে পরেছে,

আর আমি সমস্তটাই মগ্নচৈতন্যে আবদ্ধ হয়ে,  স্বপ্নে সাজিয়ে ফেলি তার অজান্তেই।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Wednesday, 1 August 2018

জাফরান চুমু



*জাফরান চুমু*

প্রেমে নৈপুন্য অন্ধবেগ
একে একে প্রকাশ করতে
শুরু করলে,
অনেক কর্কট রাতেও
মধুচন্দ্রিমার আলো চারিদিক
উজ্জ্বল করে তোলা,

পেজা তুলোর মতো শিরা উপশিরাগুলোয় রক্তচাপ বাড়াতে শুরু করে. . .
ব্রহ্মপিশাচের মতো নিংড়ে নেয় শরীরের সমস্ত সুখটুকু।
বর্ষারাতে ভিজে শরীরে রক্ত মাখিয়ে তা চেটে চেটে খায়. .

বুকেপিঠে জাফরান চুমু দিয়ে
অমসৃণ পথ ধরে বসতি প্রেমে খোঁজ ডুব দেয় সাগরের জলে. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Monday, 30 July 2018

ভিঞ্চি

*ভিঞ্চি*

অদ্ভুত তো!
সে মানুষ ইচ্ছে খুঁটে খায়,

জন্মগত স্বভাব,
মেঘের সাথে হারিয়ে যাবে তাই,
গ্রহদের বুকে বৃষ্টি হতে চায়।

লিপস্টিকে তার শরীর ভেজায়,
ঠোঁট কাছে রক্ত সেঁকে,
পাথরে পাথরে আঘাত করে,
লোডশেডিংএ স্বপ্ন চাঁদে
কাপড় মেলে দেয়।

Saturday, 28 July 2018

পদ্মাকাশ

*পদ্মাকাশ*

একদিন মনে হতো জলের মত তুমি,
সকালের সূর্য কিরণের প্রথম বিভা,
অথবা ভোরের প্রথম ফোটা ফুল,
_ দুপুরের আলসেমি ছায়া. . .

আমি সহস্র পথ পেরোতাম
তোমার হাত ধ'রে।
অবশিষ্ট পুকুরের পদ্ম কুঁড়ি তুমি,
রাতের প্রথম জ্যোৎস্না,
অবিকল তোমার মতো।

নির্জন জলে ঢেউ ফুলে উঠছে,
পরস্পর এগিয়ে চলছে অলোর ভিতরে...
নিজের শরীরে বালির পলি মেখে ,
পুনরায় ফিরে যাবে অদৃশ্য পাড়ের দিকে।

এক পৃথিবী স্বপ্ন মাখে গোধূলি বিকেলে
এক নীলাকাশ চুমু খায় মাটিতে. .

ক্রমশ আঁধার ঘনিয়ে এলে
তারা জলে ভিজে যায়।

তোমার বুকে পরে আছে
রক্ত নিপতিত গ্রহ-তারা,
তোমার বুকে রয়ে গেছে কোন বসন্ত বিকেল,
আধ ফালি চাঁদ
তার থেকে নিংড়ে নেয়
সর্পিলা লতা বিহীন বিশ্বাস. .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Wednesday, 25 July 2018

নগরী

*নগরী*

ভীষণ গুমোট,জমাট কাদা,একলা যেতে পারি ,
অন্ধকারে যায় না চেনা গ্রন্থ কীটের বাড়ি।।

শরীর যখন ভিজছে তোমার একটু হতাম আপন
দীর্ঘ পথের অনেক কথা আজ কেন তা গোপন?

হারিয়ে যেতে বেশ লেগেছে তৈরি প্রাসাদ তোমার
নগ্ন শহর মিথ্যে হাসি অভিযোগের বাহার।।

নতুন কিছু হয়নি যখন একটু ভালোবেসো,
দীর্ঘ সময় একাকীত্ব সব ছেড়ে আজ এসো! !

বন্ধ ছাতা, শুকনো ধুলো,নীরব খেলার মাঠ,
পড়াশোনা উঠল লাটে তৈরি প্রেমের পাঠ. . . .

# আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সোজাসাপ্টা

*সোজাসাপ্টা*

সরলীকরণ বক্তব্যে যদি নিজেকে প্রকাশ করা হতো,
এক-দুই-তিন রাতই যথেষ্ট ।
তিন রাতের স্বপ্ন গুলোকে এক জায়গায় দাঁড় করালে
চরিত্রের মানহানি শুরু হয়ে যায়. . .
প্রতিটা রাতেই স্বপ্নে কোন রমণী এসে মনে জায়গা নেয়. . .
ঠিক বিছানায় মিশে যেতেই কোথায় হারিয়ে যায়. . .
আমি চমকে তাকিয়ে
দেখি নোনা দেওয়ান বেয়ে কত ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।
এক কাঠ পিঁপড়ে সাঁতরে সাঁতরে ওপরে উঠছে।
বাইরে আধ ফালি চাঁদ,
তার ম্লান হাসি নিয়ে ঘরে ঢুকেছে,
কোন প্যাঁচার সামান্য ডাক কানে ভেসে আসছে. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্যাঁতস্যাতে

*স্যাঁতস্যাতে*

ভীষণ গুমোট,জমাট কাদা,একলা যেতে পারি ,
অন্ধকারে যায় না চেনা গ্রন্থ কীটের বাড়ি।।

শরীর যখন ভিজছে তোমার একটু হতাম আপন
দীর্ঘ পথের অনেক কথা আজ কেন তা গোপন?

হারিয়ে যেতে বেশ লেগেছে তৈরি প্রাসাদ তোমার
নগ্ন শহর মিথ্যে হাসি অভিযোগের বাহার।।

নতুন কিছু হয়নি যখন একটু ভালোবেসো,
দীর্ঘ সময় একাকীত্ব সব ছেড়ে আজ এসো! !

বন্ধ ছাতা, শুকনো ধুলো,নীরব খেলার মাঠ,
পড়াশোনা উঠল লাটে তৈরি প্রেমের পাঠ. . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Tuesday, 17 July 2018

দ্বিতীয় আম্রমাধুরী

*দ্বিতীয় আম্রমাধুরী*

মিনারের স্তম্ভগুলো ক্রমশ
মাথা উঁচু করে আকাশ ছুঁতে চায়,
শহরের তিলোত্তমা বধূ সাজে এক রাতের বাসরের অতিথি।

ভিজিয়ে ফেলেছে নোঙরে;
আহত তার গোলাপী আবরণের গভীরতা. .
আমার আরো কিছু হাতের প্রয়োজন-তার শরীর ছুঁতে।

সবুজ পেনে এঁকে
নিয়েছি তার নাভি ঘিরে,
কামস্বপ্নে উষ্ণ চুম্বনে তাকে
হিংস্র করে ফেলি।
নগ্ন তিলোত্তমার দেহের
আগুনে নিশুতি রাত
হস্তমৈথুন করে
বীর্য ফেলে নদীর জলে।

একে একে সমস্ত শরীর গর্জে ওঠে ,
জাপটে ধরে পিঠে নখের আঁচড়ে রক্ত মাখায়,
সমস্ত ঘরে বিদ্যুৎ বেগে অদ্ভুত রোমাঞ্চ ভরে যায়. . .
আমি ধীরে ধীরে তিলোত্তমায় বন্দি হয়ে পড়ি।

অন্ধপ্রেম দিয়ে তার কাঁধে অন্তর্বাস চুমুতে শিহরন জাগিয়ে তুলি,
ভরা কোটাল বুকে তৃষ্ণার্ত ঘাম  চুঁইয়ে নাভি স্পর্শ করে তখন!

আর আমি সমস্তটাই স্বপ্ন সেল্ফে আবদ্ধ করে ফেলি
তার অজান্তেই. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অতিথি



*অতিথি*

এখনো ঘুমের বড়ি রাত কেড়ে নেয়,
মুছে ফেলে স্মৃতির প্রেম হারানো চিলেকোঠায়,
এক-দুই-তিন রাত্রি গোনা শেষ
মুছে নাও চাদর দিয়ে জ্যোৎস্না ঝলক আলো,
শরীর জুড়ে লাল লাল ছোপ
হয়ত এটাই প্রথম ধাপ
রেখেছো মুঠোর নোটে, কিনেছো শরীর
নষ্ট দোষে।
আমি তোমার এক রাতের ভ্রমর অতিথি . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...