Saturday, 25 May 2024

বাবাকে

 *বাবাকে*

রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ,
এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ।
আমি ভাবি এসব কেনো আজ-
মনের গায়ে শত রকম ছেদ।

জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে খুঁজবো কোথায় কেও,
রাত ঘুমেতে আসছে কতো আলো-
পায়ের ধুলোয় থেমে গেলো সেও।

এবারে একটা স্পষ্ট স্তব্ধতা দেখেছি মনে-
জেনেও আগে আগেই থেমে গেছে সবকিছু।
আমি ফিরে আসবো জানি, কানাঘষা ক্ষনে,
স্মৃতি থাকবে তোমার আমি হাঁটবো পিছুপিছু ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 8 May 2024

আবোল তাবোল ভাবনায়

 

*আবোল তাবোল


রাত বিরেতে হাঁটছি ভেবে
ওরা কেমন হাসছে দেখ,
বন্দী ঘরে দন্ডি কেটে 
ভাঙছে শুধুই জুতোর রেক।

আশকারা দেয় হাওয়ার রেশ 
ভেসে কোথাও যাওয়াই যায়,
পেতে হবেই নতুন দেশ
চিনে বাদাম খাওয়াই খায়।

পাল তুলে দেখ নৌকা আসে 
তাকিয়ে দেখি অবাক হয়ে,
তারাগুলো মেঘের মতোই যাচ্ছে 
নিজে নিজেই ক্ষয়ে।

সম্ভবত একটা কথায় জানতে
বসেই বিবাদ হয়,
তর্কে এসে থমকে দেখি 
একে পাঁচে হচ্ছে নয়।

উঁচু গলায় পড়ছে বকাই
চুলের বোধহয় বিরাম নেই
মাষ্টারও যে পেটায় ভীষণ 
লক্ষ্য ভেদের বিবাদ কই।

গল্পে তবে আকাশ ভাসে
সাগর দেখার নীলচে মুখ,
তারার ওপর পাতলে থালা
মাছের ঝাঁকে সবাই চুপ।

চাঁদের নাকি বয়স বেশ
কথায় কথায় ঢোক গেলে
মাটির ওপর গুম মেরে
ফ্যালফেলিয়ে চোখ মেলে।

দেখতে যেন ভালোই লাগে
স্বপ্নে কেন এমন হয়
রাত যদিও নরম জানি
জেগে থেকেও বিবাদ নয়।

চন্ডী বাড়ির কুকুর সেনা
চিল্লে বলে এগিয়ে যান,
বিড়াল মশাই জানলা থেকে
শির ভাঙিয়ে দিচ্ছে টান।

এমন সময় পড়ছে মনে
তুমিও আমার ভুগছো জ্বরে
মেঘের থেকে ঠিকরে আলো
পড়ছে যেন গুম ঘরে।
 
#আরিয়ান প্রিয়স পাল
          

                                        (2)

*ফসকে গেল*

সত্যি কথা বলতে বোধহয় শক্তি লাগে মধ্যে
মনের কোথাও রাত গজালে এগিয়ে থাকি যুদ্ধে।

বলতে তোমায় নেই যে মানা আমিও করি সন্ধি 
তোমার ভেতর তোমার সাথেই একলা হয়ে বন্দি,

বিরাট খবর কাগজ জুড়ে এলেম আছে ঝুক্কির,
সাগর ভাগের ডাক এসেছে সাধ্য লাগে কুস্তির।

পানে যেমন জর্দা মেশে ভিজলে মুখে স্বস্তি,
দাঁতের ঠোঁটে পুড়ছে বিড়ি, এতেই নাকি পুষ্টি,

এমন বরের ছিরি কোথাও বাঁধিয়ে ফেলো সত্যি,
সোহাগ বলে সিঁদুর পড়ো জলদি মুছে মুক্তি।

রাস্তাঘাটে আসতে যেতে যতই দেখি সংকেত,
দরজাগুলো ভাঙলে ঝড়েও স্পষ্ট দেখায় নেমপ্লেট।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

                                    (3)

*বিজ্ঞান শিক্ষা*

আয় তোকে দেখি এইবার চোখটুকু অক্ষত বাঁশে
চুলগুলো বেমালুম বাড়া মাঝে মাঝে খক খক কাশে।

হাত যেন বড় বেশি কালো যেন কয়লায় ঝালে,
সাথে কিছু তিল খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি চুপসানো গালে।

উল্টানো ঠোঁট টোল-খায় কাছে এবার থুতনিতে মেশে,
পরিমাপে বুক গলা, পকেট জামায় পেনটাও ফেঁসে।

পড়াতেন বাংলাই বটে ঘোরাতেই গোটা দেশ মতে,
ঘন্টাও পেরিয়ে যেত ঠিক, মনে হয় ফিরে যাই সাথে।

এই ভাবে মুন্ডুটা দেখি কত কত অভিযোগ আছে,
নাকি কোনো এক সীমায় বাঁকে একাই থেমকেই গেছে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল,

                                 (4)

*পালোয়ান শেঠ*

রাতটুকু তার কাটিয়ে নিতেই স্বপ্ন দশেক ঘরায় ভরা,
হাতের ওজন একশো ছাড়ায় দেহ জোড়া লাগাম ছাড়া,
আসতে যেতে দেখি তাকে, চ্যালা দিয়েই শরীর মোড়ায়
মুগুর কটা কোমর-ভাঁজে তেল মাখিয়ে মোচর ছাড়ায়।

হাসি ভেদে কাঁপায় মাটি অল্প-ভাঙে ঘরের দেওয়াল,
এমনি নাকি আলতো বাড়ি দরজাগুলো ভীষণ বেহাল।
আসবো ভেবে সেদিন বোধহয় সামনে বাড়ির গিয়ে দেখি
জানলা দিয়েই যাওয়া আসা এটাই তাদের নিয়ম নীতি।

আমি তখন আমতা মুখেই পিছন ফিরে ছুটি, বাপরে 
মা যদিও ছোটবেলায় বলেছিলো সেবার বাবাই কি রে
যাস নাকি সেই হেমা জেলের বাড়ি! তবে জানিস,
পুকুরখানা খাসা, আবদারেতে রুই কাতলা আনিস।

দিলাম জেদে মনের খেলায় জলে ঝপাং ঝাপ,
এমন কেন ঠান্ডা যেন শরীর চায়ের কাপ!
এ কি উফঃ। পড়ি মরি বলে এবার হুড়মুড়িয়ে উঠি
কোথায় আমার শুকনো জামা কোথায় হাওয়াই চটি-

ঝেঁপে দেবো ভেবেই তবে নেমেছিলাম জলে,
বীরত্ব আজ গেল কই ছুটছি সবই ফেলে,
এমন বাড়ির খোঁজ পেলেও সত্যি আমায় বলো,
দেখতে পাবে নদীর ধারে একসাথে যাই চলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিষদ চুপ

 *বিষদ চুপ*

একক বিচার একক সাথী একক বাঁচা নতুন নয়,
রাখবে যদি আঁচল ঘিরে, স্বভাব কিছু বদল হয়...

যদি বোঝো কান্না আসে, নোনা জলে নামাও ফাঁদ,
বাঁধবে ভাবো আলিঙ্গনে, দেখতে পাবে গভীর খাদ!

রাজার সাজে ছদ্মবেশী আঙুল ভরে তড়িৎ বয়,
লোমের ভেতর নিছক শরীর পাগল প্রেমের লিরিক্স গায়।

হাসছি বলে এলেই কাছে, নিতেই হবে ঠোঁটের ভাগ-
নরম হাওয়ায় মৃত্যুগুলো মুছে নেবে মনের রাগ।

কিন্ত জানি তুমিও তেমন, শাস্তি থেকে বাঁচাও খুব,
আমি আছি ছবির ভেতর কাঁচের ঢাকা বিষদ চুপ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেবীর পক্ষ এক দিনে আসে না

 

*দেবীর পক্ষ এক দিনে আসে না*

শিল্প যখন মন্ত্র শেখায় রাত হবে না ভোর,
থাকবে তোমার মনের ভেতর হতাশ কোন ঘোর।

আজ তবে কি তুমিও বোঝো আমি এমন নয়,
মায়ের পেটে জন্ম সবার তফাৎ কিছু হয়।

নারী নাকি পুরুষ নয়, পুরুষ নারী হয়!
এমন ভেদে ভিন্ন কথা বিচার মুছে যায়।

নাইবা হলাম তোমার মতো, নাইবা হলাম শ্রেয়,
মন্ত্র ভুলে মন্ত্রী সরাও, ভুল কিছু না গেও।

এইটুকু আর রেখেই দিও আবছা কোনো ঘামে
মূল্য শুধু লেখক জানে, প্রকাশ বাধা নামে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ঋদ্ধির বায়োপিক



 *ঋদ্ধির বায়োপিক*

এ শহরে যারা আসে কেউই ফেরে না-
নরম মুখ অন্য অসুখ হদিস ঠিকানা...

আছি বলে গিয়ে কোথাও শুধু যেন নেই-
মধ্যে থেকেও আসি বলে তবু সেখানেই।

ফের কখনও রাখোই যদি ষোলো কলা জেদ,
দেখবে তখন বুকের ভেতর রয়ে গেছে খেদ!

আমি বলি সেটাই ভালো চলো আমার সাথে,
জায়গাগুলো ঘুরেই দেখো বাদাম খেতে খেতে।

জীবনটাকে মেলতে শেখো থাক না দুটো ডানা,
অন্য শহর দেখবে তোমায় প্রথম যেন চেনা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পূর্বাশা তোমারি কেউ*

 *পূর্বাশা তোমারি কেউ*


একফালি মেঘ এনে তোর কাছে রাখি,
অযথাই মন ভেঙে নিজে একা থাকি।

যদি বলি তুমি কেন তুইটুকু ভালো,
তোর থেকে পিছুটান মনে ধরে গেলো।

হাঁটি তবে তোর কাছে ওই হাত ধরে,
ফাঁকা পথ, অজুহাত , সব এক করে।

এই ভাবে কেটে যাক প্রতি এক দিন,
চেনা মুখ, চেনা চোখ, বুকে নিকোটিন।

এসবের ঠিক ভুলে যদি ফিরে আসি,
অভিযোগ ঢেকে দিস ঠোঁট ভরা হাসি...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতার অনুভূতি

 

*শ্বেতার অনুভূতি*

চাঁদ ধরে রাত মাপি দুই কুল ভরে,
জোনাকিরা উড়ে যায় ধূ ধূ প্রান্তরে।

শেষ কিছু থাকে যদি এসো প্রান্তরে 
গুটি পোকা ছুটে যায় হেঁটে মন্থরে।

তার কথা বলি যদি দেখা দিয়ে যেও-
একসাথে ভাগ করে চানাচুর খেও।

যদি শুনি ফিরে যাও, একা তবে এসো,
মেঘগুলো সরে গেলে জ্যোৎস্নায় মেশো।

সেই ভালো জলছবি ভরী নীল খামে,
ফিরে এসে নিয়ে যেও খুবই কম দামে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অন্বেষার একদিন




 *অন্বেষার একদিন*

সেই রোদে ধ্রুবতারা একা এসে বসে,
অনেক মেঘের শেষে তারারাও খসে।

জাত ভেদ একমুখ দুই কুল ভাঙে,
নদী যেন স্রোত ভুলে গহবরে নামে।

সেই চোখ বড় চেনা আগেও তো দেখি
মনে হয় ছবি খুঁজে আটকায়ে রাখি।

এই ভালো যদি বলো আসবোনা পিছু,
আকাশ ভাগ নেয় সেই, জোনাকির কিছু। 

আমাকে অবাক করে এই বাঁক জলরাশি,
জানি না এখনও কেন বারবার ফিরে আসি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অরিত্রাকে মনে পড়ে





 *অরিত্রাকে মনে পড়ে*

পর্দাগুলো সরিয়ে দিয়ে আকাশ মাখো আলোয়
গেরুয়া হলে মাটির বুকে পড়বে ছায়া কালোয়।

সেই যে সেই ধন্য করা স্নিগ্ধ তাদের হাসি,
বলত শুয়ে ঘাসের ওপর আবার ফিরে আসি।

যাই ভালো হোক নেবো ভাগে এইটুকু তো চাই,
তোমার ভেতর জাগলে ছায়া থমকে যেন যাই।

ওরাও বলে বলুক যেমন যা আসে তাই মুখে
ছোট্ট পাখি শুকনো ডালে করছে বাসা সুখে।

যখন তোমায় এসব বলি একবারো না চাও,
একলা যাবো হেঁটে চলো একটু থেকে যাও...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

প্রণমী নেচে উঠুক...



 *প্রণমী নেচে উঠুক...*

থাক না তোমার এ সুখ, ভাল লাগে খুব,
চেয়ে আছি নিজের দিকে অভিযোগের স্তূপ।

আস্ত সাবমেরিন জলের ওপর বায়,
ওড়না তবে নিজের মতো হাওয়ায় ভেসে যায়।

খেয়াল ছিলো না কখন কেমন হই,
তোমার সাথে হাঁটছি তবু একাই থেমে রই।

তবে জানো না এমনও এক দিক,
একটা আকাশ ক্লান্ত হলে মেঘলা হবে ঠিক।

ফের যদিও হয় থামবো না যে আর,
আটকাবে কে ছুটলে আমি এমন সাধ্যি কার!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দিশা কুয়াশায় মেশে...

 

*দিশা কুয়াশায় মেশে...*

কি প্রয়োজন নতুন গানের আগে এ তো ছিলো-
তোমার ভেতর তোমায় দেখি এটাই থেকে গেলো।

থাক সবার এ অভিজ্ঞতা না বিচারেই শ্রেয়,
একা যাবো! সঙ্গে চলো, একটু শুধু যেও।

জোনাকিরা রাত বুনে দেয় সন্ধে ঢাকে ছাদ,
মাথার ভেতর অন্তে আমি ভরাট করা ঘাদ।

শ্রী আছে সেই সকল মুখে প্রকাশ বড়ো বেশি-
কেন জানি অন্তে গিয়েও মধ্যে ফিরে আসি।

এই এমনই থেকে যাবো তুমি যতই বলো
জেদ বলো কি মান জানিনা, আগেও তো ছিলো।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ভাস্বতী বন্ধু হয়ে উঠুক



 *ভাস্বতী বন্ধু হয়ে উঠুক*

তখন বোধহয় বন্ধু ছিলাম তাইতো পাশে বসো,
তবে এখন থাকলে সময় দ্বিধা ভুলেই এসো।

নতুন করে উঠবে বাগান, গোলাপ চারা ঘেসে,
জায়গাটাকে সাজিয়ে দিও, পাঠাবো এক দেশে।

বছর কিছু আগে হলেও চোখ ভরা সেই ছবি,
নিত্য ছোটা বিরাম বাদেই ঠিক তেমনই হবি।

স্বপ্ন যদি কষ্ট দিতো থাকতো ঠোঁটে হাসি,
বন্ধু বলে বলবো না তাই একটু ভালোবাসি!

স্মৃতি যখন আঘাত মারে মনকে মেলে দাও,
নতুন করে গড়তে শেখো দ্বন্দ্ব গিলে খাও।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...