Tuesday, 26 September 2023

ইন্দুবালার অন্তর্ধান

 *ইন্দুবালার অন্তর্ধান*

দেহের ভিতর অনেক বিচার, যাচ্ছি না যে আর,
মন ভরা বেশ কাঠের স্তুপেই, বিশাল পারাপার।

কৃষ্ণচূড়ায় রঙ লেগেছে ঝরছে আগাগোড়াই,
ঠোঁটের ওপর রং ধরেছে ভেজা  সীমা ছাড়াই।

সঙ্গে কিছু শালিক আছে কেন্ন ধরে ওরা,
সবাই যেন ছুটছে পাতায় বলছে বিশেষ তাড়া।

আছে মেঘও পুব আকাশে হাওয়ার পরখ ছাড়াই,
আমি তখন স্বপ্নে ভেসে কক্ষসীমা  হারাই-

জানি তখন বলবে আমায় এসব কেন ভাবো,
বলো তবে কেমন করে তোমায় কাছে পাবো!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার অপেক্ষা


 *ইন্দুবালার অপেক্ষা*


চায়ের কাপে চুমুক দিতেই চোখ পড়ে যায় ঠোঁটে,
এমন করে খায় বলো কেউ বিস্কুটও তো জোটে।

সেকেন্ড যেতেই চা হলো শেষ, কিসের এতো তাড়া
অবাক ভাবে দেখছো আমায় দিচ্ছ না যে সাড়া।

সেদিনও তো এমন ছিলে কই কি ফিরে এলে-
আসবো বলে অপেক্ষাতেই মুখ সরিয়ে নিলে।

পরিচিতির নাম তো জানো রয়েছি সেই ঘরে
পাঁচিলগুলো ঢাকলে আমায় পাবে নোনা স্তরে।

শরীর ভরা তোমার ছোঁয়া ভাবলে ছোটে রন্ধ্র,
বসেছো যে আমার পাশেই আঁশটে কেন গন্ধ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার ভাই


 *ইন্দুবালার ভাই*


যাওয়ার এতো তাড়া যেন কথা দিয়ে আসে সবাই-
ভীষণ কঠিন শব্দ চয়ন বুকে ওপর পাথর পেটাই।

সন্ধিগুলো বড্ড দামি মনের খেলাপ আরোই বেশ
যারা ফেরে তারাই জানে কাটিয়ে যাবে অনেক রেশ।

ভাগ্য ভালো দিব্বি আছি, না জানি কোন সুখের ফল-
দেহের ভেতর হাড়ের কুটি বাকি শুধুই অবাক জল।

বেশতো সেদিন বলে গেছি আসবো আবার সবুর কর
বাড়ছে কেবল বয়স আমার কান্ডখানা দেখার পর

ফুলদানিতে গোপন রাখি আছে ওতে জলের ভেদ,
ভেতর থেকে আসে সারা কই গেলি তুই এতোই জেদ।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার প্রিয় সঞ্চারী


 *ইন্দুবালার প্রিয় সঞ্চারী*


সময় যেন বড্ড অবুঝ শরীর ফুড়ে খায়,
হাজার মানুষ ঘুমের ভেতর কোথাও হেঁটে যায়।

আমি হাসি গভীর থেকে বদ্ধ রেখে শ্বাস-
হাতে জমা মরণ ফাঁদে, কাগজ জ্বালা লাশ।

ফুলদানিতে সাজাই যখন আমার হৃদয় ভূমি,
মনে তো হয় জলের ওপর ভাসাই মরুভূমি।

এমন থাকি স্বজনে বেশে চিবুক পাতি ঠোঁটে,
কোথায় যেন স্মৃতির জবাব রক্ত খেলো চেটে।

এবার তবে হেঁটেই আসি দিঘির সীমা থেকে,
এমন কিছু আদিক্ষেতার পেটেই জমা থাকে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার লোছমি



*ইন্দুবালার লোছমি*

রাত যদিও কাটে না আর শিয়াল কোথাও ডাকে
বুনো ঝোপে পিয়ার তরী আটকালো কোন ফাঁকে!

বড়ো অবুঝ শরীর ভাগে, ঠাওর করাই ধন্যের
বিচারগুলো ঠোঁটেই থাকে, দোষ ধরে যাই অন্যের।

নানা ফুলের গন্ধ যেন শরীর ঢেকে থাকে
দেহের ভেতর অনেক দেহ জমাট করে রাখে।

আজ যদিও আলাপ বুঝে আপন হলো কেউ,
মাথার ওপর মস্ত আকাশ আনছে মেঘের ঢেউ।

যখন বলো কাছেই আছি বদ্ধ শুধু দুই চোখ,
স্মৃতিগুলোর বদল হলে দাঁড়াবো না আর সম্মুখ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রাতের ভ্রমর


 

*রাতের ভ্রমর*

মাটির ওপর মানুষ শুয়ে, স্বভাব তবু বন্য,
কঠিন দেখি জলের হাসি খেতাব যেন অন্য।

রাত তোমাদের বলে বসেই করেছি এক ভুল
নরম ঠোঁটে মাখলে আদর দুলবে কানের দুল।

জীবনটাকে একলা করেই পেরিয়ে এলাম দেশ
জানি না তো হতেও পারে এই লেখা যে শেষ।

নাম না জানা দোয়েলগুলো ভিজতো একা বসে,
কতো ঘরই ভাঙতো সোহাগ শুধুই নিজের দোষে।

সেই পুরুষও কালের দোষী দেখতো না সে আকাশ,
ফিরতো! থেমে যেতো আগামী আলোর পূর্বাভাস।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার প্রেমিক

 


*ইন্দুবালার প্রেমিক*

হলুদ ফুলের বিরাট নগর আকাশ পরিপাটি,
দেহগুলো আদ্যিকালের যত্নে কাঁসার ঘটি।

বিদ্রোহ যে বাতাস জুড়েই দম্ভে আলোচনা
এমন কেউ আছে যাদের মৃত্যুগুলোও কেনা।

মাটির ওপর জমি বটে, মালি হাজার অনেক-
আদর থামে মাথার ওপর উপস্থিতি ক্ষণেক।

জায়গাগুলো আমার চেনা এমন সবাই বলে 
সামনে গেলে তফাৎ খুঁজে ভেসে ওঠে জলে

এমন কোনো গ্রাম ছিলো-যে এখন ভাগের বসে,
ইন্দুবালার প্রেমিকও তো এই গঞ্জে আসে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ইন্দুবালার পথসীমা


 *ইন্দুবালার পথসীমা*


একপাখি সে বড্ড একা হয়ত কোনো সন্ধ্যায়,
সবাই যখন বাসায় ফেরে সময় তাদের আটকায়-
যত্নে রাখা বছরগুলো জানি না কোন পন্থায়,
আমার শরীর আমায় দেবে এমন কেউ জন্মায়।

মৃত্যুগুলো লুকিয়ে যেতেই, মরণ শুয়ে কাছে-
চিল শকুনে লুপ্ত হলেও আত্মা জেগে আছে।
আকাশ জুড়ে মেঘ জোড়া এক আভাস রয়ে গেছে,
ঢেউ ভরা ওই জল সীমানায় নিশি জমে আছে।

গঞ্জে থাকা মানুষগুলো এতোই ভাঙে কান্নায়
টালির চালে বৃষ্টি এলে শালিকগুলো চিল্লায়,
তোমার আমার দেখা হতো রাতের জলা বন্যায়-
মালতী লতা জড়িয়ে ধরে ফাঁসির দড়ি ধান্দায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...