Sunday, 19 September 2021

অনামিকা

 


*অনামিকা*

লেখার ভেতর লেখা বাড়ে জন্ম তারও হয় না 
অমর শরীর বললে বোধহয় বৃদ্ধ জীবন হয় না।

আশকারা দেয় স্বপ্ন দেখার মূল্যে কেবল চুক্তির
রঙিন হয়ে বাঁচলে বলে এটাও কেবল চুক্তির!

আকাশ যবে ভিন্ন হবে পশ্চিমে রোদ উঠবে,
নদীর জলে ভাসবে চাঁদও ঝলক রোদও উঠবে।

কাজল চোখে ঠোঁটের হাসি এমন থাকা লৌকিক,
শাড়ির পারে হলুদ কাজও সচল থাকা লৌকিক।

আমি এখন ভেতর ভেতর রাস্তা খুঁজেই প্রদ্যোত,
তুমি তবে হেঁটেই ফিরো অন্তত খুঁজও প্রদ্যোত।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুমিত



 *সুমিত*

সংলাপেতেই তোমায় পেতাম গ্রন্থ কেবল জানার
এখন কোথাও উধাও হওয়া সব কিছুটাই মানার।

আমি তবে সাবেক রেওয়াজ নমস্কারেই মুশকিল
সময় থেকে সাবধানতাই অনেক বেশি ফুলফিল।

কি বিভাগে রাখি তোমায় ভাবনাটুকুই গম্ভীর।
স্বল্প কিছু সঙ্গ দিতে দীর্ঘ খাতির অস্থির।

আসতো যারা বিবেক বুঝে রাত কাটানোর ধন্দে
সকাল দেখে ভোরের খোঁজে ফিরতো কেবল গন্ধে।

আমি বলি বিরোধ বিচার না থাকাটাই রক্ষের
উদর ভেঙে ক্লান্ত শরীর ভাবনা কেবল বক্ষে-র!!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মধুঋতা

 

*মধুঋতা*

দেখা দূরের থেকেই স্বাভাবিক সুযোগ তফাৎ অধিকারী,
কি হবে বিচার দেখে আলাপ তবে হৃদয়ের সহচরী।

যা গুন তা মেপে নিচ্ছে বটে কে জানে কখন
জমে যাওয়া বরফে থেমে থাকা নিতান্তই আচরণ।

আমিও ভেবেছি যেটা তুমি জানবে  না তা ঠিক
ভীড়ের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে রাখাটাও স্বাভাবিক।

ধীরে ধীরে নেবে আসা বুকে, অনেক প্রশ্নের নীচে
শুয়ে থাকা স্বপ্নগুলো কুন্ডলী পাকায় রাস্তার পিচে

তোমার আমিকে ঠোঁটে থেকে মেপে নিক নিন্দুকে
এটা আবদার নয় সাধারণ সচলতা সংক্ষেপে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Wednesday, 25 August 2021

ঋদ্ধি

 

*ঋদ্ধি*

ঠোঁটের ভুলে রেহাই রেখে  স্বপ্ন ঘিরে আসে যেই
বোঝে না সে দেহের ভাষা জেহাদ মাখে সীমানাতেই।

তফাৎ তুমি যতই রাখো জানবে তবে আপন জনে,
কথার বিকাশ উঠলে মনে সুর ঝরাবে গলা টেনে।

জন্ম যখন স্তুপেই থাকে মৃত্যুর কারণ অনেক পরে
আসতে পারো প্রহর মেপে নাবিক যদি জাহাজ ধরে।

আমিও যদি তোমায় দেখি হাসি রেখো কথার ফাঁকে
রেলের মুখের আওয়াজ থেকে তাল ধরিও কবিতাতে।

একটা করে শ্রাবণ গেলে বৃষ্টি রেখো পরে মাসে 
পুজো তবে কাছেই এলে শপিং সেরো শীতের শেষে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুরোজিৎ

 

*সুরোজিৎ*

শেষ বিকেলের মধ্যভাগে আকাশ যখন মেঘলা 
সবাই তখন দূরের খোঁজে অন্ধ রাতের একলা

শিরশিরিয়ে বাতাস বয় ঠাওর করা সন্ধ্যে
দেহের ভেতর রক্ত সুতো লুকোয় কেবল রন্ধ্রে।

আমিও জানি চশমা দূরের প্রশ্নগুলো সত্য
দাড়ির ওপর ঠোঁটের কোনের প্রকাশ পাওয়া শক্ত।

কি প্রয়োজন তোমার যখন স্তুপেই রাখা শরীর
পাঁজর যদি স্বপ্ন দেখায় ভাঙবে তবে প্রাচীর।

সে এখনও তোমায় বোঝে, কথায় কথা বাড়ে 
আষাঢ় যেতে ভাদু এলো, তবু শ্রাবণ ঝরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 23 August 2021

কোয়েল

 

*কোয়েল*

অল্প কোথাও ভোরের বাতাস নতুন আকাশ প্রথম শ্বাস
তোমার ভেতর খুঁজতে আমায় পাপড়ি ঝরায় গোলাপখাস।

যে সবুজে মেঘলা আলো শিশির গোছা ভেজায় ঠোঁট।
কথার প্রলেপ গালের কোণে একলা করে হঠাৎ রোজ।

এই পৃথিবী পৃথক নয় চোখের কাজল অনেক জন,
নত হাসি মন খারাপে তফাৎ খোঁজার কি প্রয়োজন।

আসবে যারা দীক্ষা দিতে দাম রেখো তার নথির দায়,
তুমি আছো প্রতিদিনে ভাবটা রাখো তা তুলির গায়।

জাগরিত বিভাবরী বিলক্ষিত প্রতিফলন,
আসবে যখন বৃষ্টি আলো প্রকাশ পাবে নতুন শ্রাবণ।।

# আরিয়ান প্রিয়স পাল

Saturday, 31 July 2021

নিকিতা

 *নিকিতা*

সাত শহরের আলিঙ্গনে তারাও আসে যায়
সেই উঠোনে নদীর আলো শরীর ছুঁয়ে নেয়।

ভুল বসতে আদর শরীর নেহাত খারাপ নয়,
হাঁটুর ওপর স্বপ্ন ঘুমোয় নেহাত মনের জয়।

নেই তোমার এ বিষন্নতা খয়েরি মাটির শেষ 
দিগন্তটা হলুদ হলে আকাশ দেখায় বেশ।

একান্ত যে রেহাই নেবে সে কোথাও সময় ঘসে
রাত্রিগুলো মধুর হলে একলা হাঁটা স্বভাব দোষে।

নতুন কিছু সুযোগ পেলে ভাগ দিও সে প্রফুল্লতায়
একটা গভীর স্বপ্ন ভুলে নম্ন সকাল মধ্যস্ততায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Tuesday, 6 July 2021

স্নেহা(মোগলাই)




 *স্নেহা*

ইনস্ট্রাগ্রামে ঢুকলে সবে পাউডারেতে ভাসে
মোমোর সাথে আস্ত পিজা গলা থেকেই হাসে।

চিকেন কষা ভীষণ প্রিয়, মুরগি দেখেই পালায়
ফোনে হাজার লক রাখে তাই কদর বেশি তালায়

মুখটা দেখে ভেবেই নিও বিশাল কোনো পেটুক
জন্মদিনের সকাল থেকেই জিভ ছুঁয়ে নেয় চিবুক।

পড়াশোনা হিসেব রাখে চুলে বাঁধে খাতা
মা দিদি তো বিশেষ সময় কিনতে বেরোয় হাতা।

স্বপ্ন তবে ঘুমের মতো বুদ্ধি জমায় বালিশ
থাকলে একা উলটে মেঝেএ বলে কোথায় লাগিস!!

 #আরিয়ান প্রিয়স পাল

Sunday, 4 July 2021

তনিমা

 


*তনিমা*

আমার চলা কঠিন পথে বৃষ্টি ঝড়ার স্বার্থে,
থাক সমাজের বিষন্নতা এসব তাদের অর্থে!

নগ্ন যখন দুঃখগুলো স্বপ্ন দেখায় রোজ,
বুকের ভেতর পাথর সরে চলছে নদীর খোঁজ!

আশকারা পাক ঠোঁটের হাসি মন হারানো প্রান্তে,
হৃদয় তবে মেতেই উঠুক তোমার খবর জানতে।

এমন করে বছরগুলো ভরছো দেহের বক্সে,
আকাশ কি আজ মেঘের সাথে কথাও বলে ফ্যাক্টে!

নিঃশ্বাসও যে আয়ু কমায় বোঝায় কঠির রাস্তা,
চুলের যদি কদর দেবে, তেল মেখো না সস্তা।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Saturday, 26 June 2021

ভাস্বতী





 *ভাস্বতী*

এ শহরে যদিও কেউ জড়িয়ে থেকে যায়
মধ্য সময় উদাস তুমি মধ্যস্ত কথায়।

আবেগ এখন নতুন জীবন বিচার চাওয়া বারণ
সম্ভবনা সুদূর দিকে সংলাপেতেই জীবন।

এসব তবে শাড়ির পারে বিকাশ ভেঙে দেয়
অল্প জলে শরীর ফেলে কাপড় ঢেকে নেয়

শুরুর দিকে রক্ত গরম প্রেমের প্রথম দিক,
সুযোগ পেলে ঠোঁটের কাজল খবর নেবে ঠিক।

সঠিক লিখন যাই বা হলো জেনে বা কি লাভ
মানুষ ভুলে মানুষ ভোগে রাখে না তার ছাপ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

প্রিয়া

 *প্রিয়া*

শহর তোমায় চেনে অযথাই নাবিকের ভীড়ে
ঢেউ জমে মনের ভেতর ভাঙনেতে ধীরে ধীরে

সমাগম অচল লোকে, দিনক্ষণ সুচনাতে
এক সে শালিক যখন একা হয় নিজের থেকে।

হালকা দুলে কিংবা রঙিন টিকে চোখের কাজল
একে একে ঠোঁটে ছুঁয়ে থেকে তবেই দেখায় উজ্জ্বল।

হয়ত কৃষ্ণচূড়া কিংবা ডালিয়ার ঝুড়ি,
এখনতো শ্রাবণ নয়, কি হবে চাঁপার কুঁড়ি!

ক্রমাগত সীমাহীন পাতা ঝরা চৈত্র গোপন,
রোদ, ঝড়, মেঘ, বাতাস এসব নীরব এখন।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

প্রীতিশা

 *প্রীতিশা*

দালান ঘরে ধর্ম বিবাদ ক্ষমায়
শহর তোমায় আগের মতোই চিনি
শব্দগুলো যখন আকাশ নামায়
রাগ অভিযোগ মুক্ত বাতাস কিনি।

দেওয়াল ভরে ফটক বাছালতা 
ওরাই আবার ডেকরেশন ছলে
সপ্তা নামক মাসিক সরলতা
অনেকে যে ফসল বপন বলে

কঠিন যখন মেঘ ভরানো দোয়াত
কলম তবে নিজেরটুকুই বোঝে
সন্ধি যদি সমাধানের আরোত
প্রশ্ন তখন অভিনেতাই সাজে

পড়াশোনায় নাবিক যদি হতো 
লেখার কাগজ মামলা করে দিতো।
জমত তবে অনেক ছেলেখেলা
থাকতো পড়ে নরম বাদাম ছোলা।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

স্নেহা(ঘটক)

 *স্নেহা(ঘটক)*

সময় সহযোগ কোনটাই বিপরীত নয়
অনেক তফাৎ এলে প্রতিবার সেটাই হয়

আশা যাওয়া সমাধান এসব আকাশ দেখে কি
আদতে আলো আভাস সবটাই চিরাচরিত সাবেকি

গলোযোগ প্রতিবাদ দূর্ভোগ হৃদয়ের মতো
প্রতিটা অভিযোগ ক্লান্ত নিপীড়িত শারীরিক ক্ষত।

রাস্তাতো আঁধারের জ্যোৎস্নাও থেমে যায় তাতে
দিবসে কমলা বলয় এখন আঘাতে সাদা হয়ে থাকে

এতটা কারাক আগেও দেখিসনি বটে
এবার প্রেমে পুজো হবে পুনরায় ঘটে পটে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শুভজিৎ

 *শুভজিৎ*

রাত তবু নিঝুম বারতি কেবল ভোর
বিদার নেবে মেঘ আর নিশুতি অন্তর।

বৃষ্টি যদি একলা আসে মেঘ পরে যায় শেষে
চিলেকোঠার ঠোঁটের নীচে গাঙ শালিকের রেশে।

ঝিঝির ডাকে শহর ঝিমোয়, সেতার রাখে জেদ,
স্তম্ভগুলো মিনার ছুঁলে কি আর তাদের ভেদ!

শুদ্ধ মাটির মুক্ত জলে মাছ ভড়ানো জেল
গন্ধ যদি ভীষণ চেনা পচলে থাকে স্মেল।

আমি তবে চওড়া পথে লম্বা থেকেই দেখি,
অন্ধ বনে ছন্দ ফেলে মন সাজানো   শিখি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Friday, 25 June 2021

শ্রেয়া

 *শ্রেয়া*

বৃষ্টি যখন থিতিয়ে আসে শিউলি পাতার ভাঁজে
তারায় নামে উজ্জ্বলতা নম্ন চাঁদের কাছে।

ওই যে দূরে স্বপ্ন কিছু একলা কাটায় দিন,
কাছে গিয়ে দেখলে তাদের দেখায় আরো ক্ষীণ।

মেঘ ছড়ানো উঠুন জুড়ে স্ট্রীট লাইটের ভীড়ে 
দরমা ঘরে ছাউনি ফেলে মন যে উদাস করে।

আসতে যেতে নকল আলোয় রাস্তা জোড়া ভোর,
পিঙ্ক জলেতে সবুজ গাছে মন কেমনের ঘোর।

বসন্ত যে নেই তো এখন আসবে বছর ঘুরে,
তোমার আবার জন্ম হবে অবহেলার জেরে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়সী

 *শ্রেয়সী*

একটা চামেলী গন্ধ শরীর জুড়ে বলাকার মতো পাক খাচ্ছে
ছত্রভঙ্গ চলচ্চিত্রে রঙ্গ অভিনেত্রী এখন লাল ঠোঁটে আখ চিবোচ্ছে।

তবে শ্রেয়সী ইদানিং মেঘেরাও ভাড়া নিচ্ছে আবাস
দুটো কোকিল চুরুট চিবিয়ে মুখে বলছে সাবাস।

আজকাল সভাগুলো যে কোন গন্ধহরণ ব্যবসা
সবাই বলে ওখানে করোনার অবাধ সুব্যবস্থা

এখন সীতার ক্ষেদ রাম যাক একাই বনবাসে, 
বহুকাল তারা আসে নি প্রীতিবসন্ত সঙ্গত বসবাসে।

তবে এটুকু মেনে নিতেই পারো এ বৈশাখ শ্রাবণের আতর
আর তো জৈষ্ট্য বাকি , এবার দিন গোনো প্রহর প্রহর।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সামন্ত

 *সামন্ত*

প্রতিটা গল্পের শেষে অনেক কথা জমে আছে
সময় জলের মতো ভিজে দাগ রেখে যায় কাঁচে।

তুমি স্বাভাবিক তবে ঘনঘটা সই অজুহাতেই রাখা,
আমিও দূরত্ব বুঝি তা বলে এটা নয় সবটা ফাঁকা ফাঁকা।

একটা বিরাট কোনঠাসা দুনিয়ায় বিলং করি আমরা
প্রতিবার হারি প্রতিবার জিতি সমান সমাপ্তির অন্তরা।

এতটা সঙ্গতা আগে কখনও দেখেনি এই পৃথিবীতে
এতটা উজ্জ্বল এতটা গম্ভীর তোমায় রাখিনি সম্মুখে।

এভাবেই শেষে হয় কবিতারা, সেখানেই বারংবার
চরিত্রের সমান্তরালে ফুটে সংগোপনতা সীমাহীন সমাহার।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দূর্বা

 *দূর্বা*

শরীরটাকে হারিয়ে দিতে আলপনা সয় ক্লান্ত মন,
বৃত্তে গাঁথা ঠোঁটের কাজল নম্ন সাজায় চোখের কোণ।

কৃষ্ণচূড়ায় মিশে গিয়ে লাল আভাতে বাতাস ছুঁয়ো 
আজ সাবেকি কাল অবুঝে এমন যদি হয়েও যাও।

পরিশ্রমের মূল্য পেতে লম্বা সড়ক ঘিটেই নেয়
আমার শহর দক্ষিণে বয় উত্তরীরাও এসেই যায়

সভ্যতারই নরম ধুলোয় গাছের পাতা হলুদ লাশ
কথাও যখন মন্ত্র মাখে বিরাম নিকোয় গভীর শ্বাস

শব্দ যখন ভীষন চেনায় ওড়াও তোমার আপন কেউ
ভেতর যেন উথাল পাথাল ভেঙেই শেখে জলের ঢেউ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রোনককে

 *রোনককে*

সেদ্ধ জলে আকাশ রেখে তোমায় ফেলে দি
তা বলে কি পরিচিতি এটুক রাখিনি।

ছলের বসে ঝাঁকিয়ে বসে একটা রাতই দেখো,
গিটার ফেলে চামচে ঘসে আওয়াজ করা শেখো।

রোনক সেজে একটা আলো জ্যোস্না নামেই হাসে
চাঁদের বুকে মুক্ত শহর রঙ ফেলে দেয় ঘাসে।

এত রাতে প্রেম ছেড়ে ভাই কবিতা কি আর হয়
ছন্দ ছেড়ে মন্দ কথায় পাতা ফেঁসে যায়

যাই বলো ভাই এমন রাতে ওরাও খেতে বসে
দেহের থেকে শরীর ছেড়ে  উড়তে ভালোবাসে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অভিশ্বেতা

 *অভিশ্বেতা*

সময় এসে স্তব্ধ থাকে জামায়
বসত এখন আগ্রহতাই কমায়
এসব আবার কানে শোনাও দহন।

বাঁচার ক্ষিদে সাবধানতাও ভারি
শব্দ তখন আশকারাতেই গাড়ি
কি পেয়েছো আরো বাড়াও খনন!

সভ্যতারই মূল্য চাওয়া ভালো
নেশায় যখন মধ্য আকাশ কালো
শরীর বাঁধায় ব্যস্ত সারাক্ষন।

গ্রন্থ তবে মুখ্য দাগী শিরায়
থমকে এসে পাঁজরগুলো জড়ায়
স্তব্ধ রাখো শেষের কিছুক্ষণ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সহেলী

*সহেলী*

সভ্যতার এই অন্তধামে থমকে থাকা নেই
ছড়িয়ে রাখা শ্রবণ আলো সাজাই সীমাতেই

সাত সুরে তার জন্ম যখন তফাৎ শরীর রেশ
চোখের কাজল ঘরকে চেনায়, চেনায় তলদেশ

জানি তবে রাস্তা বোধহয় আগুন পাখির স্বর
হিসেব তবে তরল করে গানেরই দপ্তর।

জানো এখন রাতের সাথে দিনের বিরাম নেই
জলের স্তরে সমুদ্রতার আভাস সীমাতেই।

সফল হওয়া যতই সহজ এমন বলে ঠিক,
সময়টারই সঙ্গ পেতে লাগে কঠোর দিক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্রেয়া

*শ্রেয়া*

শহর তবে আলাপ শেখায় সভ্যতার এই গঞ্জে
সুখের ঠোঁটে ভ্রমর বসে আল ছোঁয়াচে রন্ধ্রে।

জানি তবে চেনার মতো অবাক কিছু নেই
স্মৃতি যখন আঁকড়ে ধরে সহজ সীমাতেই।

একটা কথা জেনেই গেছি, বলার কিছু আছে!
স্বপ্ন ছাড়া একটা মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচে?

জানো শ্রেয়া তারার ভীড়ে বৃষ্টি কোথাও নেই
মেঘলা হলে আকাশ পাবে হৃদয় সীমাতেই।

এমন কোনো সন্ধে পেলে রাতকে বিদায় দিও
আপন মনে প্রদীপ জ্বেলে প্রেমের আদর নিও।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনীশ

*অনীশ*

আমার বোধহয় ভীষন চেনা তোমার গড়া শহর
ক্লান্ত ঠোঁটে অবুঝ সুখে গোনো তখন প্রহর।

নাইবা তবে নাবিক হলাম তোমার ছাওয়ার দিকে
বিকেল তবে শান্ত বলে ছেটাই জলের ছিটে!

জানো অনিশ রাত্রি এখন সময় গোনা শরীর
পূর্ণিমাতে জ্যোৎস্না এলে মর্যাদা চায় ঘড়ির।

আজ তবে কি সূর্য আসায় লেবুর কথা ফাঁস
মশা এলে গুনগুনিয়ে ইঁদুর খোঁজায় লাশ।

প্রতিবারই চৈত্র এলে অন্নদেবীই আসেন,
এবার এলেন বৈশাখী মেয়ে গণেশ কোলে বসেন।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Saturday, 17 April 2021

সৌরভ বিশাই



 *সৌরভ বিশাই*

একটা ক্লান্তিভাব লেগেই যায় ঠোঁটে
কিছু কিছু আবেগ ধীর পায়ে জমে
অনেক বিষাদ একে একে ছোটে
ক্রমশ লক্ষ্য ভেবে হাসিতেই থামে।

তেমন যুবক সে গায়ে পায়ে বিভোরতা,
আসে তারাও বিচার বিধান নিন্দুক মানুষও।
তাতে কি ভ্যাকসিন সাবেকি করোনাও টিকা
ভারি মিষ্টি স্বভাবের, কোমলতা হাসিতেও...

তফাৎ মেপে নিতে পারো নিরাপদ রাস্তায়
ছায়াহীন গ্রহ যোগ না সেটাও ক্ষণপথ
শব্দেরা মুছে যায় ছাই মাখা বস্তায়
অঘটন ব্যস্ততা আজকাল দিশাহীন প্রমোদ।

একান্ত অনুভূতি শিরোনাম সবটাই মোড়ক
বয়স কম তবে ঠান্ডা মাথার লোক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Friday, 22 January 2021

অনুতাপ


 *অনুতাপ*


এখন বিকেল খুব সাধারণ,প্রেমের মতো নয়
পাথরগুলো কাদায় ভেজে তেমন কিছু নয়
সময় আসে বৃষ্টি হয়ে, ঘর ভাঙানোর ভয়।

বৃদ্ধ পাতা ঝরতে থাকে,গাছের কোনো শোকে,
আমার কাছে সবটা জুড়ে আবেগ ঘেরা শোকে
সত্যি কথা নিজের ভুলেই হারিয়ে যাওয়ার লোকে?

জানো শ্বেতা আমার ঠোঁটও তোমায় ছুঁয়ে নেয়
এখন আমার স্বপ্নগুলো শরীর ঢেকে নেয়,
কথার ফাঁকে মুচকি হাসি।এসব কিছু নয়।

আবির মেখে হলুদ লালে,হিসেব গড়া মনে,
আমরা দুজন হারিয়ে যেতাম খয়েরি,সবুজ বনে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Friday, 15 January 2021

অরিক্তা

অরিক্তা

আমাদের পরিচয় সম্ভবত বছর তিনেক আগের
দেখা হয় নি বটে সেরকম, তবে উপায় আর কি!
দেওয়াল ঘেসা রাস্তাগুলোর কৈফিয়ৎ স্বপ্ন ভাগের
আমি আলাদিন নয় তাই প্রদীপের ঘসা ভীষণ সাবেকি...

কেবল সেই একজন,কথায় কথায় চলে আসে কাছে
যাবার সময় কিছু অভিযোগ থাকে বাকিটা মলাট বইয়ে
ফিরে এসে রোজ পড়ি, জানিনা ক-পাতা বাকি আছে
আজ ঘুম ভাঙবে তার ঠিকই,তখন ঘড়ির কাঁটা নয়য়ে।

নেহাতই লিপস্টিক অভিমান মোছে পছন্দের কবিতায়
পালা বদল হয় কাজলের, শাড়ি-ভাঁজ শিশু-সুলভ পরা
বরং সময়ে ছাদের পাঁচিল, কার্ণিশ শুয়ে পরে কান্নায়,
কাল তো বসন্ত বিকেল, গোধূলি অচল তোমায় ছাড়া।

তবে কি এটাই উপহার, নাকি থেমে থাকা স্মৃতি ঋণ 
আজ সমাপ্তি পৌষ।পাটি সাপটা, পিঠে-পুলির জন্মদিন।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

অন্তরা


 অন্তরা

শহর জুড়ে শীত নেমেছে লেবু স্বাদে কমলা রোদ
বাছাই করা স্বপ্ন মেখে ক্লান্ত ঠোঁটের সঙ্গ হোক

নতমুখে আমার বিরাম চিহ্ন স্বভাব গঠন এখন
রুটির মাপে পাত্র রেখে মিহি সুরে রাত্রি যাপন

জানলা যদি রড বিহীনী রেলিং তবে কি বা দোষে
বিকেল এলে থমকে যেও দিগন্ত যে অনেক শেষে

সেতুর মতো সন্ধে নামাও সৈননাবিক গোছায় জল
অন্ধকারে ঠাওর করে খুঁজবে কোথায় প্রেমের তল!

এই ফাগুনেও মিলতে পারে সবুজ কুঁড়ির হলুদ ফুল,
পাতলা হারে হালকা টিপ ও সঙ্গে পরো ঝুমকো দুল।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

Thursday, 14 January 2021

তিয়াস

 


তিয়াস

নরম শরীর আবেগ লুকোয় যেমন ঠোঁটের কোণায়,
কাজল টুকু পরতে চেয়ে চোখের পালক ভেজায়।

হাসির কেবল দন্ড রাখে কোমল গলার আগে,
ঝুমকো দুলে,খয়েরি টিপে, বেশ ভালো সে লাগে।

অপেক্ষা তো থাকাই ভালো,নয়তো ভীষণ কাঁটা
একটা শরৎ গেলেই বোধহয় বসন্ত দেয় হাঁটা।

কমলা রোদে লেবুর স্বাদে হার না মানার সুরে
কাজের কথায় আর্দ্রতা আজ শীতের থেকে দূরে

ভিটের ঘুঘু সন্ধে হলে নামিয়ে ফেলে ছাদ
তারার ভীড়ে উজ্জ্বলতাকে মাতিয়ে রাখে চাঁদ।

এই শোনো না একটু বসো, কাছে কিংবা দূরে
রাতের আলোয় ঘুরবো তবে ফিরবো কালই ভোরে।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

সায়ন্তনী



সায়ন্তনী

আলো শেষে ক্লান্ত শরীর শব্দ গোনে ঝুঁকে
চোখের কথা লুকোয় ঠোঁটে নিত্য কোনো সুখে।

হাসতে দেখি নিয়ম করে, হয়তো হাসে রোজ
মনপড়ুয়া ইচ্ছে উড়ান ব্যস্ত ঝুঁকির খোঁজ 

তবুও বলি এমন মেয়ে আছে অনেক কম
চিন্তা ভুলে স্বপ্ন লুকোয় বয়স শুধু ক্ষণ

জ্যোৎস্না রোদে সূর্য চাঁদে যদিও তাকে দেখি
খয়েরি আকাশ নীল ভরাতে তারই ভাষায় শিখি

ভাবনাগুলো এমন হলে পেনকে ঠেকাই ঠোঁটে
লেখার টেবিল গল্পে ভরে চাও থাকে প্লেটে।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

শ্বেতা

 

শ্বেতা

কে সাধে তার চোখে লেগে আছে ঘুম
দিনক্ষণ শুনশান ঘরবাড়ি বড়ো নিঝুম

আমি সিপাই নই বাদামি এক সৈনিক
নয় জাতিস্বর, পাগলামি বেশি না ক্ষনিক।

তখন বৃষ্টি আছে,ভেজে পাহাড়ি তল
মৃদু হাওয়া, মুহূর্তের দৃষ্টি। মাঝে স্থল।

দূরে কোথাও ভেসে আসে মিহি গলা
আমি তোমার, নয় কোনো অছিলা

আজ শুধুই তোমায় ভালোবাসা যায়
কিছুটা দুষ্টুমি, গড়ে ওঠা সীমানায়।

মোমের ভেতর দেশ। চলো ভিজি ঝড় জলে,
তুমি গাছ হলে আমি থামি ফলাফলে।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

দোলন

 

দোলন

মেঘ ধরেছে খোঁপার কোণে বিরহ শুধু পূর্ণ 
আমিও তোমায় ছুঁতে গেলেই শরীর যেন শূন্য।

জলের স্রোতে লুকোয় বয়স, কাজল ঘাটে চোখে,
গন্ধ যদি উগ্র হতো মেখেই নিতো ঠোঁটে।

পু্জোর সাজে নরম শাড়ি হালকা টিপের স্বাদ 
ভাবতে তোমায় ছেড়ে মন যাবে কি আজ!

ছিলাম ঘুমে নাগরদোলায়, পাতার কোনো কুটুম
চোখটা খুলে চমকে দেখি মাথায় নাইট ডুম।

এখন যদি স্বপ্নে এলে দুলি পাখায় ঝুলে
সুড়সুড়ি দাও পায়ের তলায় কোথাও পালক পেলে।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

Saturday, 2 January 2021

পিয়ালী

 


*পিয়ালী*

সময় যখন ভাগ করে নেয় প্রফুল্লতারই ভাষা
একটু যদি আকাশ পেলো সাজায় মনের আশা।

খামখেয়ালি নয় সে এমন হয়ত ভীষণ ভারী
মুচকি হাসে, আল্লাদে তো বিশেষ বঙ্গ নারী,

একটা শহর নীরব পাঠক রাত বিরেতে যাত্রী
ঠোঁটের নীচে খয়েরি চাদর যেন শীতের ধাত্রী

কথা আমার হয়নি বোধহয় তাই পেরোলো সন্ধে
শব্দ তবে জুড়তে বসে ফিলিংস এলো দ্বন্দ্বে

কি ভালোটা করতে পারি ভালো থাকার অর্থে
পরিচয়ও সেরে নিও আকাশ, মেঘের স্বার্থে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুকন্যা




 *সুকন্যা*

এভাবে পাগল সাজা সম্ভব না,
তুমিতো হাঁটবে শুনেই চিতপাত।
যতটা মনে করো আমি কানা
দূরবীন আছে অভিযোগ ভীষণ গালাত।

তোমাকে জলপরী ভেবে সাঁতার শিখেছি
পাইনি এখনও হ্যারিকেন কিংবা খেতাব
বসন্তে কোকিল সুরে ডাকতে পেরেছি
ক্লান্ত গঙ্গায় আমার বিরাম স্বভাব

এখনও আকাশ ভেবে ছুঁয়েছি তোমায়
দিশাহীন।স্বাভাবিক।অকারণ অর্থের,
ভালো ভাব, প্রকাশ ঠোঁটের মতো নয়
লেখাটা মনের শুধু নয় স্বার্থের।

এভাবেই প্রদক্ষিণ করেছি পুকুর
তুমিটুকু ফেলে রেখেছি আগেই
আজ জলে মাছ ভরেছে প্রচুর
ইম্প্রেস করে এসব শব্দ লাগেই

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...