Friday, 28 June 2019

অল্প কথা

১.

রাতের পথে জোনাকিরা
বেনামী সুরে গা ভাসিয়ে দেয়
নিহত জ্যোৎস্না উদ্দেশ্যে..
শিকড়ে ভেজা আকাশ দেখে তুমি বলে ফেলো
নিরাপদ সড়ক দিবসের কথা...

ছাইদানি ভরা অ্যাস্ট্রের মলাটে রূপোলি আলোর ছটায় অতিথি
তারারা পরাগ খুঁজে বেরায়
আমিও তাদের উদ্দেশ্যে গল্প
লিখি বার বার....

রক্তিম চুম্বনে আবির ছড়িয়ে যায় আষাঢ়ে ঝিঝির দল...লাল মাটির
বুকে বিনিদ্র রজনীরা নিস্তব্ধ আদরে লুটিয়ে পরে প্রহরীর নিশিঅঙ্গে।

তুমি রাত জেগে ছিলে কাল!যখন ক্লান্ত ঝিলে মুখ ডুবিয়ে জল
খাচ্ছিলো অসহায় গাছেরা.....ঠিক তখনই,সন্ধ্যে ঠোঁটে আঙুল ছুঁয়ে
ইঙ্গিত দিয়ে যেত কোন ধ্রুবতারার ফিরে আসার কথা।।

২.

অমাঙ্গলীক বাটারসুপে পেনড্রাইভ গুঁজে নিহত মেঘ নামা শহরের ব্যস্ত মানুষগুলো জীবনের কৈফিয়ত নোনাজলে ডুবিয়ে ঠোঁট মৈথুন সমমাত্রিক পুরুষালি ঢঙে ঘুমতাম অশান্তি সাজিয়ে ফেলে রাতারাতি নারীত্বের অভিষিক্তা সরূপ কথা শুনে বেশ লাগলো.... যা কি না তোমার তরফের প্রাপ্তি বলে চালিয়ে দিতেও পারি....

৩.

অপচয়ের সেতু ভেঙে মধুবালা ঝিলিকে আগুনের ভাষায় চাঁদের ছায়া বৌঠানী সন্ধ্যার হাবুডুবু খেয়ে জ্যোৎস্নায় রাত নেমে আসে গোলমরিচ আলাপে পাউরুটি পোড়ার গন্ধের সাথে। সামান্য জেলি মেখে থালায় সেজে ওঠে অনিচ্ছুক সত্তেও! পেটে ঢোকার অপেক্ষা মাত্র....❤

এক বাবার কথা

চাঁদের গায়ে আকাশ থেমে যায়,
হঠাৎ আসে মেঘলা কোন ঘোর
ঘামের সাথে আপোস করে নেয়
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।

বাতিল গেছে চিলেকোঠার ছাদ
স্মরণে আসে নিহত ডটপেন
কঠোর শরীর,শক্ত চেটোর হাত
বুক পকেটে গল্প বাবর-হুসেন

মায়ের খেয়াল কঠিন হয়ে যায়
রাত তখনই দশটা বাজে সবে,
রুটির সাথে হালকা মেজাজ নেয়
দিনের শেষে ক্লান্তি যখন শোবে।

নেহাত বাতাস ফুলের কাছে আসে
জামার নীচে ঠাওর করা ঘোর।
বৃষ্টি এলে মাটির কাছে ঘেঁষে
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।।

কাজের ফাঁকে মুচকি হাসে চোখে
দেওয়াল ঘেরা লুকোনো অবিশ্বাস
খাতার ভিড়ে প্রকাশ হবে দেখে
সন্ধ্যে আলোয় ডুবিয়ে রেখে যাস।

এবার বলি অজানা এক পাথে
খাওয়ার দিকে ভীষণ হুঁশিয়ার
ভাতটা নেবে ডালের সাথে মেখে
মাছ ডিমেতে তারিখ মাপা তার

পরের দিকে শ্রাবণ এলে মনে
জবাব বুঝে স্মৃতির হবে ভোর
বিরোধ এবার ধোঁয়ার বিচার চেনে
আমার বাবার প্রিয় জামাকাপড়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

মূহূর্ত(আরো এক)

তোমার সাথে পথ চলেছি বয়স থেমে সাতাশে
গাছের পাতায় আপোস রেখে ভাসছি দুজন বাতাসে।

বললে তুমি "কয়েক মাসে হয়েই ছিলাম একা যে",
অনেক কটা দিন পেরিয়ে অবশেষেই দেখা যে

ঘাটের ধারে বেঞ্চিগুলো দেখেই বলে-"কেমন আছো"?
সেদিন এলে ধড়ফড়িয়ে,আজ তবে কি ঠিক আছো!

পা চলেছে ট্রাম লাইনে, কোলকাতারই কিবা দোষ,
তুমিও বলো কনুই মেরে "সুন্দরী যায়!কি আপসোস"!

খেয়াল হলো তিনটে তখন,মেঘ জমেছে মাঠেও
ফেরার তাগিদ বাড়ির এবার,সময়,স্মৃতির সাথেও

হাতের মুঠোয় স্বপ্ন রেখে অপেক্ষা আর কি বা হে
শেষে বেলার এই দেখাটুকু দিগন্তেরই সীমাহে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

লীলাঙ্ক


অভিসারে দুলে ওঠে মন। অন্ধকারের থেকে নীচে
কথা তো অবুঝ নয়। বদলাতে চায় মেরুহীন ছায়াপথ
আর বেনামী আক্ষেপ বেয়ে নেমে আসে কুটিল বিছে
চরিত্র বদলের সিঁড়ি ধরে ফিরে যায় অতিকায় বট।।

তুমি কী হৃদয়হীন! করেছো কি সম্পর্কে সামান্য সুরাহা?
নাকি সাময়িক সম্ভবনা? মহাকাশ দেখে ফিরে আসা ঠিক।
কেবল আলোর গন্ধ খুঁজে চারপাশে বেরোচ্ছে লাভা
তুমি কঠোর হচ্ছো আরো। হয়ে উঠছো আজন্ম শরীক।

জনশূন্য প্রান্তরে যে বিরহী দেহ চৌকাঠে পড়ে থাকে!
ততক্ষণে গল্প হলো শেষ। নেওয়া বাকি রক্তের রসিদ।
রেলিঙে হাতের ছাপ। কার্ণিশে তারিখের সীমারেখে
অভিমান বদ্ধ বহুকাল। কারণ তুমি তো ইতিহাসবিদ।

প্রথম সে দিন। এখনও সে চিঠি হৃদয়ে ভেসে ওঠে,
অভিযোগ খেলা করে। পাঁচিলে ঘেরা কলেজের মাঠে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

ঋণাত্মক

আমরা হঠাৎ শূন্য থেকে নেমে যাবার সময়,কতরকমের
বাধা অতিক্রম করি অনায়াসেই। কেবল লালচে গোধূলির
সন্ধ্যাগুলো মরুআক্ষেপ বিছিয়ে একান্ত স্বভাবের জের-
ফুটিয়ে রাখতে শুরু করে মাটি চাপা পরা নিদর্শনগুলির।

ঘোড়ার ক্ষুরের নীচে রোমাঞ্চে অনুভবটুকু রেখে
খোলা মাঠে ইচ্ছে রোদ শোকাতে আর কুয়াশার নিরীহ
যন্ত্রণা ক্রমাগত একের পর একে মেশালে মৌমাছির ঝাঁকে,
অতঃপর মেঘ কালো করে আসে। ঝড়,বজ্র-বৃষ্টি সহ।

বাতাসে সীমাহীন সেতু ভেসে ওঠে,তার নিজস্ব মলিনতা
ক্রমশ চৌকাঠের মতো ধারণায় অদৃশ্য হয় মহসীনের।
তখনও তো তোমার পায়ের শব্দে বাঁশ,কুঠার,বটের জটা
সাজিয়ে অপেক্ষায় মেঘরাত ডোবা দিগন্তের শেষ দিনের

অনেকটা নীচের দিকে জামায় লেগে থাকা জোনাকিরা
সীমিত প্রলাপে জ্বলছে,দাম্ভিক রশ্মির আলোয়।
তারই গভীরে যে মাছ খেলা করে, তাদের উপশিরা
রক্তাক্ত হৃদয় চিরে দিতে হাত ভরে চটচটে আঁঠালোয়।

যা পরে আছে দেহের ভেতর,তা শুধুই সময়ের নীতি
রাত ঘামে চাঁদের আলোয়,গল্প, দৃষ্টি,অভিমান প্রভৃতি।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পরিচয়

ফিরে এলে বোলো,কি ছিলো তার নাম
চেনা পথ ছায়া ঘেরা,সেই ছোট্টবেলার গ্রাম।

মনে করি!

বাইরে বৃষ্টি মেঘ।নির্জন বারান্দায়
এখনোও ছায়ারা আলোকে মিশে যায়?

ভয় করি।

হাওয়াতে তাপের রেশ,যদিও জৈষ্ঠো মাস
রাতে গন্ধ জলে ভেজে।ভর্তি মদের গ্লাস

অসম্ভব।

জানো!তার মৃত্যু অতটা সহজ নয়
দিগন্তে যেভাবে প্রতি দিন শেষ হয়

অবাস্তব।

তুমি ঘরে ফিরে বলো কাল শ্রাবণ মাস
মনের বাঁধ ভেঙে কুটিরে থেকে যাস

বিদায়।

দেখেছো চারিদিকে শোক মিছিল।মরুমায়া
আকাশে কালো মেঘ আর মাটি আলো ছায়া।

বিদায়।

যদিও যুদ্ধ শেষ বাড়বে মনের দাম
তুমি ফিরলে বোলো,সে ছিলো কোন গ্রাম।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

এ' বেলা

জানি কাল সকালে আমিও চলে যাবো
থেমে যাবে নীলাকাশ,তোমারও দেওয়া প্রথম
রামধনু মেঘ আর হাতে হাত ছুঁয়ে থাকা
সময়।

তুমি তো জানতে,আমি অবুঝ তখন
প্রতিযুগ ফিরে দেখি বারে বারে।
থমকে যাই ছবির দিকে।প্রতিদিনের
মতোই হয়।

মিশে যাবো পথের নীচে।পায়ে চেপে ঘাস,
মাটি,চারা।হাওয়ায় এসেছে তারা।আবার
এমন বিকেল যখন চোখ ঢেকে সব
সয়।

অজানা রাতের গন্ধ মাখে নতুন ভোরের
শিউলি কুঁড়ি।ভেজে শরীর।দিগন্ত,মহাদেশ,
জলরাশি।বসন্ত আদর আর ঘুমিয়ে
থাকা সংশয়।

তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্তব্ধ হবে  সৌর কিরণ।
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় অভিসারী হতে আক্ষেপ মেখে
নতুন সকাল সাজিয়ে তুলবে
নিশ্চয়।

এ শহর চেনে না আমায়।জানেনা,বোঝেনা
আমার না বলা কথাগুলো।নিরবে ফেলে
যাই শৈশব।থেমে থাকা শব্দ রেখা-তারিখ
অক্ষয়।

এ আমি কোন আমি।অভিসারই বলে তাকে
রেখে যাই ছুটির খবর।অজানা নাবিকের ভিড়ে।
ধূপ তো সবাই জ্বেলে থাকে।তবে কি তাদেরও
স্বপ্নও জ্বলে যায়।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অনুগত

এখন বিকেল খুব সাধারণ,প্রেমের মতো নয়
পাথরগুলো কাদায় ভেজে তেমন কিছু নয়
সময় আসে বৃষ্টি হয়ে, ঘর ভাঙানোর ভয়।

বৃদ্ধ পাতা ঝরতে থাকে,গাছের তবু শোক
আমার কাছে সবটা জুড়ে আবেগ ঘেরা শোক
সত্যি তুমি নিজের ভুলেই হারিয়ে যাওয়ার লোক?

এখন আমার স্বপ্নগুলো অন্যরকম নয়
কথার ফাঁকে মুচকি হাসি।এসব কিছু নয়
জানো শ্বেতা আমার ঠোঁটও তোমায় ছুঁয়ে নেয়।

আবির মাখে হলুদ লালে,হিসেব গড়া মনে,
আমরা দুজন হারিয়ে যেতাম খয়েরি,সবুজ বনে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

আত্মানুরণন

নতুন জীবন,কাঠের শরীর,পুড়ে ছাই হয়,পরকীয়া
দিয়েছ ক্ষতের দাগ। সঙ্গ বিলাপ। এমনই ভেবেছি যখনই -
ফিরেছি আলোকবর্ষ প্রেমে।তিলে তিলে। মনোনয়না,
দিগন্ত মরীচিকা।আমি তোমার বিপরীত।অখন্ড অভিমানী।

রাতের নিশান মনে গভীর থেকে গভীরে ঘোরাফেরা,
কাপড়ে বদ্ধ আঘাত পাথর মনের সীমাহীন চেতনা....
কাল ভুলে মিশে যায় শিরায় শিরায়।কোথায় তারা?
গুহা ছুঁয়ে ফেলেছে তখন।আর বিরামহীন ছলনা।

আমি শেষ হব।আসবো জ্যোৎস্না লজ্জার কোন দিনে
সিঁদুরে বিস্তৃত মেঘরাশি ক্রমশ ছোটে।যেন ধূমকেতু...
আর পিঁপড়ের ডিমে টিকটিকি গোনা,পাগলামি জেনে
আধো কথা।মৌনঘড়ি।আমি তুমি নিরাপদ যেহেতু।

বন্ধ হওয়া দম।অশনাক্ত ছোঁয়া থেকে জেগে ওঠে যে খনিজ,
মহাশূন্যেই শেষ নয়।কালোদাগ জমে আছে।থেমেছে বীজও।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

Monday, 24 June 2019

শ্রুটি নাটক

প্রোমোটারের বউ  :- কি পড়ছো এতো মন দিয়ে?

প্রোমোটার :- এই নতুন বিল্ডিং এর প্রজেক্টাটা এক দেখছি কাগজ পত্র ঠিকঠাক আছে নাকি..

প্রোমোটারের বউ :- ওওওওও তো এটা তোমার  পঞ্চাশ নম্বর প্রজেক্ট তাই না?

প্রোমোটার:- হ্যাঁ।তাই কি নাম দেবো ভাবছি!

প্রোমোটারের বউ:- নাম দাও "অর্ধ শতক"..

প্রোমোটার:- শুনছি ওদের এক শরিক প্রকৃতি প্রেমিক সঙ্গে তার মেয়েও।বলে নাকি ওরা গাছকে খেতে দেয়।

প্রোমোটারের বউ :- হা হা হা...বলো কি!গাছের আবার মুখ আছে নাকি।যে সে খাবে?আজব পাগল সব।

প্রোমোটার:- তা যা বলেছো!মানুষ থাকার জায়গা পাচ্ছে না আবার থাকার জায়গা.....

২.

সনাতন বাবু:- কি রে মালতী খাবি আয়...এতো বেলা হলো..ওদের(গাছেদের) এবার ছাড়।

মালতী :- সে যাচ্ছি।আগে বলো তুমি ওদের খাবার জোগাড় করেছো...কতো করে বলি ওদের একটু করে জল দেবে।অর্ধেক গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কি যে করো তুমি

সনাতন বাবু:- সে দেবো বলছিতো।তুই এখন খাবি চল

মালতী:- আচ্ছা চলো যাচ্ছি।

বাবা আর মেয়ে হাত ধরে এগিয়ে চলল ঘরের দিকে।

মালতী দালানের দোললায় বসে পরল...

সনাতন বাবু গাছে হেলান দিয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলল 
:- এ বাড়ি এই গাছ হয়ত একদিন থাকবে না।তোর কাকারা বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে দিয়েছে কমপ্লেক্স বানাবার উদ্দেশ্যে।

মালতী:- রেগে বললো। বলো কি!তুমি কিছু বললে না?তারা তাদের জায়গায় কমপ্লেক্স বানাক।আমাদের জায়গা আমরা কি করবো আমরা বুঝবো।আমি এ গাছ কিছুতেই কাটটে দেবো না।
এরপর কথা বলতে আমায় নিয়ে যাবে,আমি কথা বলবো...

সনাতন বাবু:- তুই কথা শুনবি না।আচ্ছা আমি ঘরে চললুম।

মালতী দোললায় দুলতে দুলতে কিছু লাইন কবিতা বলতে শুরু করলো
"যেমন নিশুতি রাতের চোখে ক্ষত
যেমন ফুলের আড়াল ঘুমিয়ে পাখি
যেমন সুদিন বাঁচে স্বপ্ন মায়ার মতো
তেমন ভাবে নূপুরের তালে পথ চলেছে সখী ৷৷

তুমি ছিলে কোনও বিদ্রোহী অগ্রদূত
অসময়ে শত কন্ঠে বাজে তোমার চেনা সুর...
সাহসের কাছে যেরকম তুমি অচ্ছুত
ভালোবাসার লেখা তোমার দুরত্ব প্রচুর

আমরা জানি না কী আছে রাজনীতি শেষে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার৷চাই  কলমের ধার
আপাতত এই ক্ষুধায় কাঁতর দেশে
মৃত্যু পাক অনাচারীর আঘাত, থামুক হাহাকার ৷

কেউ তো জানে না,ভাঙন নদীর তীরে
কিভাবে মৃত্যু সরিয়ে কবিরা আবার বাঁচে
কেবল ভেবেছি মনখারাপের দারে
হেঁটে চলে যাই তোমার ছায়ার কাছে।"

এদিকে প্রোমোটার হালকা চিন্তায় পরলো...কি করে বাপ মেয়েদের উচ্ছেদ করা যায়।

প্রোমোটার এলো এক মস্তানের কাছে

প্রোমোটার :- চন্দন আমায় একটা কাজ করে দিতে হবে।কটা গাছ কেটে দিতে হবে।

চন্দন:- আমার কাছে মানুষ,গাছ দুটোই এক কোপে নেমে যায়

প্রোমোটার:- না সেরকম কিছু  না ,প্রথম বাড়ির মালিককে ভয় দেখাতে হবে না শুনলে গাছগুলো
কেটে দিবি।
এ নে চেক তিরিশ হাজার টাকার।লাগলে আলো দেবো।কিন্তু কাজটা হবা চাই।


পরদিন প্রোমোটার লোকজন সনাতন বাবুর বাড়ি যায় লোকজন নিয়ে

প্রোমোটার:- সনাতন বাবু ও সনাতন বাবু একটু বাইরে আসবেন।দরকার ছিলো

সনাতন বাবু:- এই তো আসছি ।আপনারা ঘরে আসুন না!

প্রোমোটার:- না ঘরে যাবো না।এখানেই কথা বলি। তা এরকম গাছ আগলে পরে থাকলে হবে?মেয়ের বিয়ের বয়স হলো মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে তো।আর  কমপ্লেক্স এ থাকলে তাতে তো আপনারই সন্মান বাড়বে তাই না!

সনাতন বাবু:- কমপ্লেক্স বানাতে তো বারুন করছি না।কি গাছ বাদ দিয়ে বানাও না।আর ভাইদেরটা নিয়েছো ওটা দিয়েই বানাওনা।মা মরা মেয়ে গাছের থেকেই মায়ের আদর নেয়।

প্রোমোটার:- আসলে আপনার জায়গাটা ছাড়া মাপটা ঠিকঠাক হবে।আর গাছ থাকলে ড্যাম্প পরবে।শেকড়ের ঝামেলা।

এই বলে জোড় করেই জমি মাপা শুরু করে।বৃদ্ধ সনাতন বাবু বাঁধা দিতে গেলে ঠেলাঠেলি হয়।সনাতন বাবু  থেমে যায়।গাছে মাথা রেখে চোখের জল মুছতে থাকে।

প্রোমোটার ফিরতে ফিরতে বলে যায় মানুষ হলে ভয় দেখানো যায় কিন্তু এ তো গাছ।সুতরাং অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে...

যথা সময়ে ভাড়াটে মস্তান এসে সনাতন বাবুকে ভয় দেখিয়ে যায়।
তাতে কাজ না হলে প্রোমোটার ফোন করে জানায় ভয় দেখানোতে কোনো কাজ হয়নি।

পরদিন মালতীর পরীক্ষা।বাবা কে প্রণাম করতে বাবা তাকে আশীর্বাদ করে।যাবার সময় মালতী গাছগুলোকে হাত বুলিয়ে আদর করে যায়। মেয়ে বেরোতেই মস্তানরা বাড়ির ওপর চড়াও হয়।সনাতন বাবুকে ঠেলা দিতেই তিনি দেওয়ালে মাথা ঠুকতেই জ্ঞান হারান।সেই সুযোগে মস্তান দল সব গাছ কেটে ফেলে।বাড়ি এসে মালতী এসব দেখে বাবাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে।
এরপর তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

মালতী আশপাশের অনেক বাড়ি এমনকি অনেক অফিসের পাশে বা পরে থাকা খালি জায়গায় গাছ লাগাবার অনুমতি চায় কিন্তু তারা কেউই অনুমতি দেয় না।

এদিকে প্রোমোটারের অর্ধ শতক আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে।উদ্বোধনের দিন সেই মস্তান চন্দন প্রোমোটারকে ফোন করে।প্রোমোটার তাকে না চেনার ভান করে।চন্দন তখন ভয় দেখালে প্রোমোটার অগত্যা চন্দনের কথা মতো সেই জায়গায় হাজির হয়। চন্দন প্রোমোটারের গলায় ছোরা ঘসতেই প্রোমোটার চন্দনের শর্তে রাজি হতে বাধ্য হয়।চন্দন চেকে সই করিয়ে নেয়।টাকার আমাউন্ট সে নিজে বসাবে বলে।
এককথায় তাকে সর্বস্ব হারা করে

এদিকে মালতী সকলের থেকে দূরে নদীর ধারে গাছ পুঁততে শুরু করে। প্রোমোটার সর্বস্ব হারা হয়ে নিজের পুরোনো ভাঙা বাড়িতে ফিরে আসে। দেখা হয় মালতীর সাথে।

মনে পরেনি তোমার? আমিও মিশেছি রক্তিম ঘাসে।
থেকে গেছিল অবহেলা...অনুতাপ। সবুজ গন্ধ প্রায়,
প্রয়োজন ছিলো তোমার কুহেলি ভোরের ইতিহাসে,
শব্দেরা একে একে থেমে যায়,শুরু হয় নতুন অধ্যায়।

ঠাওর করা যায়নি স্থিতিহীন অস্তিত্ব বিপন্ন ক্ষত,
শ্রাবণের কালো মেঘ ঢাকা জ্বলজ্বলে প্রাচীন দৃঢ় মহিষ।
পাশে যারা ছিলো,অনামী বসন্ত শিহরনের মতো!
কতিপয় সন্ধ্যে আঁটা বহুকালের বৃদ্ধ গাছের অহর্নিশ।

কবিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়,পুরাতন রীতির শাখে
জামার বোতাম গোনা প্রেম, কুয়াশায় ঢোঁক গেলে,
তখনও আসোনি ফিরে,মনুষ্যত্ব ক্রমশ সরতে থাকে
ধমনী দূরে সরে যায়,খসে পরে গোধূলি বিকেলে।

চলে যায় সেও,স্বপ্নদোষে। প্রশ্নেরা পিছু নেয় ফের।
এখন এলে সেই!সময় হল যখন ধীরাগমনের!!

*সমাপ্ত*

কালবেলা ২

সেও বিবাগী,মাটির মানুষ
ফুলের আঁধার সরিয়ে হুঁশ
ফিরিও তোমার সোনালি দিন।

ও সে হাওয়ায় ভাসে,
পাতায়,ফুলে ও ঘাসে।
পরিশেষে পথেরা বেশ রঙিন।

বর্ষা ধুয়েছে তার গৃহ,
ছোট্ট পাখি সন্তান সমীহ,
মেঘ ঝরানো শিশির কণায়।

নগরী ছুঁয়ে ফেলে আকাশ।
সুখে ব্যথাও আসে বারোমাস,
মৌমাছিরা ঋতুকে স্বাগত জানায়।

এতটা বিরহ শরীরে সয়,
অনেক আঘাতে এমন হয়
মাছেরা দুর্বল ছিপের কাছে।

আমারও কিছু শোনা হয়-
সবাই সময়ের সাথী নয়,
নতমুখে ছায়ারাও ফিরে আসে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বিবসনা

পাও কি তার গোপন মনের সাড়া?
স্রোতের গায়ে খোদাই করা নাম।
হৃদয় যখন ক্লান্ত নিঝুম পাড়া,
দেহের ভেতর কথার অনেক দাম।

পাথরগুলো সোনায় খোদাই ক'রে
হাওয়ায় ভাসে উল্কা ঝরা চুল
বৃষ্টি খেয়াল ভিজবে পলির চরে
নদী ভুলে ডুবিয়ে রাখা মাশুল।

বলো, এবার কোনটা তোমার প্রিয়
পুকুর ধারে পদ্ম নাকি শালুক কুড়ি?
অবাক জলে মুখ লুকিয়ে দিও,
আসবে ছুটে ছোট্ট মাছের সারি।

বলছে শরীর সময়টাকে বদলাতে,
ঠোঁটের-মনের গভীরতায় তুমি
দিনের কোঠায় আফসোসেরা থাকে
সামাল দিতে ভাঙা-গড়া শ্রেণী।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

ফেরিওয়ালা



সে যখন ক্লান্ত ভীষণ,সেঁকে মুখ বীভৎস রোদ্দুর
ছায়ার গাছ,শ্যাওলা পাঁচিল, ঠিক জানো!কদ্দূর?

রাস্তা গুলো ঘামছে,নতুন কোনো দ্বন্দ্বে
অপেক্ষা মেঘ গুনছে,বৃষ্টি জলের বুন্দেঁ।

ছাতার গড়া রঙ ভেদ,গন্ধ আতর  বিন্দু
তুলোর মতো আপসোস,লুকিয়ে রাখে নিন্দুক।

এখন বিকেল খুব বেশ,দিগন্ত আজ কোন দিক
জটিল গরম আট মাস,বর্ষা শীতও দাম্ভিক

ওড়ায় কখন ঘাসফুল চোখ জোড়ানো বান্দার
দারুণ জটিল গুঞ্জন, ঠাওর করা আন্ধার

সারাদিনের রোজগার দু-এক টাকার হেরফের
মুড়ির সাথে ডালমুট এটাই খাবার সন্ধ্যের....

#আরিয়ান প্রিয়স পাল 

কফিনের দেওয়াল

ধৈর্যলুপ্ত কোনো কফিন মুক্ত মানুষ,নিহত কঠিনে আজ
সশরীরে মাটির নীচের সমস্ত দেহ তল্লাশি করি আমি
পাই পুষ্প কঙ্কাল।সহস্র আক্ষেপের এক অচেনা সমাজ!
আর তোমার বৈবাহিক চিহ্ন সম্পন্ন নিঃসঙ্গ অন্ধকামী।

গাছেরা অনেক দূরে,পাথর,আকাশ কিংবা রক্ত  দেখে
পুনরায় হাঁটি নীল বিষ পথ ধরে। সম্ভবতঃ আগেকার
ছমছমে নিঃশ্বাস,ভয়ার্ত শিশুর ডাক।হাহাকার।পেরেক-
ধাবমান অপেক্ষায় নেমে এসেছে চেনা মুখে।ক্রমশ যন্ত্রণার।

তফাৎ জড়তায়, নয়ত প্রয়োজনে, ক্লান্ত জ্যোৎস্নায় চোখ বুঝে
ফিরে আসি সেই খাতায়।সেই বুকে।নতুন পাখির ভয়
এই জনস্রোতে রাতেরা ঘুমিয়ে পরে,কোন বাদামি গাছের সবুজে,
শতকের পৃথিবী ভূমিষ্ঠ হয় সেই  মরক অভিমান আর সময়।

পথিকৃত।স্থিতিহীন।সিড়ি বেয়ে নামে পরিচিতি খুঁজে নিতে,
অতীতের রক্ত মেখে থেমে যায় পচা কাঠের কফিনেতে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

*এক গোধূলির কথা*



আরিয়ান প্রিয়স পাল

আজ,
কিছু স্মৃতির স্মরণ নেওয়া যাক,
মুখোমুখি শত আলাপন থাক।
রোদেলা আকাশ ঘোরে অভিমান,
মুছে নিক আজন্ম অভ্যুত্থান।

আজ,
মেঘেরাও একা নয়,
দুই-তিন শিবিরের জল্পনা জানুক
রক্তিম আষাঢ়ে রামধনুর কথা,
সাদা নয়,কালো নয়
জীবন্ত মৃত্যুকালের যন্ত্রণা বিলিন
যবনিকার অবসান।

আজ,
তুমি নিরাপদ নয়,
নীল মুখ গিলে নেয় শরীর,
দিনেরা তুলির খোঁজে,
বলয়ের নীলধোঁয়া
বিভীষিকার ইচ্ছের খেয়াল।

আজ,
এটুকুই বলা ছিলো বাকি,
প্রতিদিন মৃত্যু হয় সবার
ভোরের স্বপ্নেরা বাতাসে ছাই
ছড়িয়ে ফিরে যায় নিয়তি পথ ধরে..

ফুলতো শুকায় পরে,মুছে নেয় যন্ত্রণা,
"বোকার মরণ"ফাঁদ,কামড় এসবই আমাদের সান্ত্বনা....

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...