Sunday, 21 April 2019

১৪২৬

*১৪২৬*

তোমার সাথে আপোস করি যখন
মনের কাছে প্রশ্ন খোঁজার বাইরে
বছর,তারিখ মাস গুনতে জানে
বিপদ ঝুঁকির।মন খারাপের সাইরেন।

তফাৎ দূরে গল্প ধুলোর গন্ধ
শরীর চিরে শরীর বাঁধে বৃশ্চিক
ফাগুন জানে নুইয়ে কপাল পুড়ছে
মাটির ডেলায় রক্ত ক্ষত পিষছি।

সব যেন তার হিসেব বোঝার সাক্ষী
মৃত্যু শতক আবেগ রূপের ইঙ্গিত
শহর,মিনার খসছে এবার ধ্বংসে
রাত ফুরোলেই নতুন দিনের সঙ্গীত।

বালিশ চাপা জন্ম খুশি নিঃসাড়
বৃষ্টি তখন কাব্য লেখায় নৈর্ঋত
মশাল জ্বেলে মাংস খিদের শীতকাল
নতুন বছর যৌন স্বাদে বৈরি।

দিগন্ত আজ রকম সবুজ স্বল্পীক
নিরাশ ঠোঁটে স্বপ্ন গড়া বৃত্তে
সবার তাতে ভাগ বসানোর ইচ্ছে
ঘাসের বুকে বিনিদ্রতার সত্ত্বে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মৌশিক



ধোঁয়াটে সম্পর্কগুলো ক্রমশ
সরে আসে জন্মান্তরের উদ্দেশ্যে।
গেরুয়া মেঘের কোণে প্রতি ভোরে
আকাশবাণী শুনিয়ে যেত মিঠে বাতাস।
দূরের কমলা রোদের দেওয়াল বাঁকে,
তুমি যখন ফিরে আসো,
আমার সমস্ত সরীসৃপ ইচ্ছেগুলো
লজ্জার আবির ছড়িয়ে ফেলে
স্যাঁতসেঁতে পাঁচিলের বুকে।

চশমার ফ্রেমে রাত্রিখুশি সাজিয়ে
যখন আমার শরীর ছুঁতে চাও
আমি শত বসন্ত শিহরনে
পাগলামি হাসিতে অনুতপ্ত মনের
ক্লান্তি তোমার কথার আলিঙ্গনে
মিশিয়ে ফেলি।

খয়েরি গাছের অন্ধকারে
মৌমাছিরা শীতল পাটি রেখে
আঙুর ঘরে বাসর পেতে পিপড়ের
সহবাসে রাজপ্রেম তিলক এঁকে
মুহুর্তে লুকিয়ে পরে জ্বলজ্বলে
ঠোঁটের নিচে....

আমি শেষ কক্ষপথে ইঙ্গিত রেখে
ফিরে যাই বিলাসিতার সম্পর্ক
যন্ত্রণায়...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

অথচ

*অথচ*

রঙ লাগানো সভ্যতার প্রকাশ্য
প্রেমগুলো অতীতের ধূলো ছড়িয়ে
ঘন মেঘপুঞ্জ সাজানো এক এক
করে বসন্ত শিহরন রূপোলি
চাঁদের আঁধার আছড়ে ফেলে
শুকনো ফুলের তোড়ায়....

দেখো মাধবী,গাছের পাতারা
দীর্ঘ আয়ুর অনন্তে ঝরানো
বকুলের বিষাক্ত গ্যাসে ঠাঁই করে
নিয়ে রেখেছে বয়ে চলা নদীর
স্রোতে,

এভাবেই বাস্তব ইচ্ছে গুলোর
রোজ রোজ ক্রমাগত মৃত্যু ঘটে
পাশবালিশের বুকে নয়তো
বাথরুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া
অকথ্য নর্দমার জলে...

আলতা ভরানো স্বপ্নে প্রথম
প্রকাশ্য কৃষ্ণচূড়া,যখন খসে পড়ে
মাটির বুকে বিনিদ্র রজনী নিস্তব্ধে
পা ফেলে পিষে যায় সন্তান
সম্ভবনা মায়ের পেটে...

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বোশেখ তুমি

*বোশেখ তুমি*

নতুন বছর প্রথম পাতা,খয়েরি মাটির সাজ
ডালে ডালে ফুটছে চাঁপা,বেশতো লাগে আজ

জানো অনু,কমলা রোদে বেশ লাগছো তুমি
জরির শাড়ি,হালকা পাড়ে ওষ্ঠে মরুভূমি!

নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি রোমাঞ্চ এক সকাল
পদ্মা ভিড়ে,মাছের ঝাঁকে মেঘ পেতেছে শাল

সেদিন দেখি গড়ের মাঠে জোনাকি ঝাঁকের পাড়া
আমরা দুজন ছুটছি দূরে ছুঁতে আকাশ তারা।

ছোট্ট খোঁপায় চারটে ক্লিপে,সাথে কামিনি ফুল
রোজ তোমাকেই আদর করি,দিতে প্রেমের মাশুল

যা কিছু আজ স্মৃতি স্মরণ খুঁজেই পাই রাস্তায়
অতীত ঘামে গ্রীষ্ম আলোয়,কাজল ঘাঁটে সস্তায়।

বললে এবার শান্ত চোখে 'জড়িয়ে নেবে বুকে?'
'বায়না কিছু থাকবে পরে লিপস্টিকে লাল ঠোঁটে '

মুঠোয় ধরা জ্যোৎস্না আলো,প্রতিদিন এরকম যাক
প্রতি বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম আস,ফিরে আসে বৈশাখ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

নিজামউদ্দিন

*নিজামউদ্দিন*

লিখছি তখন বিন্দু ঘুমে স্বপ্ন সেনার দলে
নতুন রোদে শুকিয়ে থাকা ফুলের খবর নিতে
পাখির সাথে উড়তে থাকে নতুন কোনো স্থলে
কেমন করে বৃষ্টি আসে দেখতে ধানের ক্ষেতে

আটকে থাকা আয়না চোখে অভিজ্ঞতার ব্যাপার
ফুলের সাথে ডালের বিচার,আগুন মেশায় কে যে...
মৃতের ফলক আকাশ ভেজায় গন্ধে সীমারেখার,
শোকের কাছে দাড়িয়ে আছে মাটির বুলেট সেজে।

কাগজ সেসব বেশ রেখেছে কথায় ছোঁয়া চিঠি
নতুন খামে আশকারাদের তারিখ মোছার ছাই
ঠিকানা তার নিজের মতো ছড়িয়ে ফেলে উদ্ধৃতি 
স্মরণ পরে ঠোঁটের ভাষায় ছুঁচের আদত চাই

কিন্তু বলি এমন থাকা শরিক ভাঙার লেনদেন
জন্মদিনের আমের আচার,আমসত্ত্বের চাটনি
নিজাম বাবু মনের জ্বরে ভিংচি কেটে হাসছেন
কি দেবো বল এমন দিনে,পেটপুজোতেও খাটনি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৌরভ বিশাই

*সৌরভ বিশাই*

কথা কাছে সাক্ষী থেকে এগিয়ে গেছে সে,
নরম মাটির,ফলক ভিড়ে,একটু দেওয়াল ঘেসে।

মেঘের সাথে আপোস করা প্রথম ভোরের বৃষ্টি
অবাক ঠোঁটের উজ্জ্বলতা,মিষ্টি লাগে সত্যি।

ঝলমলিয়ে ছুটছে জলে,তোমার চেনা বেশে
বার্তা যারই স্বপ্ন কুটির,তফাৎ গোনার শেষে।

মন খারাপের আত্মগোপন বর্ণ গঠন গিফ্ট
এমন কিছু শব্দ গেঁথে জোড়া আমার স্ক্রিপ্ট।

মধ্যে থাকা আকাশ বিচার,নীল থেকে বাইরে
ঠাঁই নিয়েছে পদ্ম ভিড়ে,কাঁটা ফুলের সাইরেন।

পথ খুঁজেছে নবীন চোখে শীতল স্মৃতির প্রান্তে
দিনের মতো রাত মেখে নেয় বাতাস ছোঁয়ার অন্তে।

দিগন্তে তার ভীষণ চেনা কলকাতারই বর্ষা দিন
প্রথম আবেগ,পরশপাথর তোমার জন্মদিন.....

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

জন্মদিন

*জন্মদিন*

ছোট্ট খোকন স্কুলে যায় খেয়ালগুলো বেশি
স্বপ্ন তবে বিশাল আকাশ শান্ত শীতল পাটি ।
এইতো সেদিন প্রথম ভাতে মায়ের ভীষণ হাসি
হাতেখড়ি হল যেদিন পুজো সরস্বতীর।

ছোট্ট খোকন আঠারো পার।যৌবনে তার পা
চাকরি হলো আকাশ দূরে।বদ্ধ সীমা পার
ঘাম জমে তার বাবা মুখে।ভিজেই গেছে গা।
ওরে খোকা এত্তোদূরে।থাকবি কতো আর।

বয়স তবে বেশ গজেছে,নতুন দিকে যাস
শালীর কপাল দু-চারেতেই আটকে শুধু রাখিস
আমার জমা আবদারেতে ঘি মিশিয়ে খাস
বন্ধু আমার খুব কাছের, বিয়ের দিনে বলিস

শোননা তবে একটা কথা বুকের বাঁকেই
আসব তবে একটু ছুটে গিফটি হাতে কিনে
সেলফি হবে খুব সাধারণ ময়দা নিবি মেখেই
এই উপহার যত্নে লেখা তোরই জন্মদিনে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

তোমায় হতে

*তোমায় হতে*

ছোট্ট কুটির মুচকি হাসি,নরম মাটির দেশে
হালকা রোদে শরীর ভেজে,আদর সবুজ ঘামে
গোসল নদীর শান্ত চোখও স্বপ্ন পারে এসে
হঠাৎ ডাকে নিরব সাথীর জড়িয়ে ধরা নামে।

সঙ্গী তাদের ছোট্ট কুকুর।চটপটে সে ভারী
জঙ্গলে তার বিশদ চেনা ইঁদুর বেড়াল জানে
শুকনো পাতার বেসুরওয়াজ,কিংবা বুলেট গাড়ি
অন্ধকারে ঝি ঝির ডাকই প্রেম খুঁজে দেয় গানে।

এমন কিছু দুষ্টুমি আজ রইল বাকি হতে
তোমার পায়ের শব্দ শুনে পিনের আওয়াজ হারে
হাত দু-একে ভীষণ হাসি ঘাস মাটিদের মুখে
পানের বাটি,শীতল পাটি দেওয়াল ঘেরা চারে।

অনেক সময় তোমার কথা থামকে  সারারাত
বুকের পাথর মুছতো জলে বাঁধতো নতুন গানে
গালের পাশে হাতটা রেখে খসবে রাগের ছাদ
ছোট্ট ঘরে আমরা দুজন স্তব্ধ কোনো স্থানে।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

পরশমণি

*পরশমণি*

আমার শরীরের ভিজে দেওয়ালে
তোমার রক্ত ঝরানো প্রেম,কুয়াশা
মতো ছেঁয়ে শিরা থেকে
উপশিরায়।

ক্ষয়িষ্ণু পলকে চেয়ে থাকা
যে রঙিন সুবাসে এসেছিলে
লাল-নীল-সবুজ ঘামে,
ফোঁটা ফোঁটা বিন্দু
জলে।

এক সুরক্ষাবলয় ঘিরে থাকা
সমস্ত ক্ষতের উঠোন,নরক
বানিয়ে ফেলে ক্রমাগত
বীর্য ক্ষরণে।নিপুণ ঠোঁটের
স্থলে।

সূর্য আবিরে ভেসে যায় রক্তাক্ত
বক্ষ যন্ত্রণা।আলতো কাকের
বাসায় মরা কোকিল সহবাসে।
চোরা কল্পনায়।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

রিমা


*রিমা*

চোখের নিচে জ্যোৎস্না আলোক সজ্জারত দিক।
ঘোড়ায় পেশা নতুন ডিমে কুসুম খোঁজার মতো
সন্ধ্যে সরল মেঘগণিকায় নতুন কোনো তারিখ
আঘাত তখন মন খারাপের দুপুর গড়ার ক্ষত।

তরল সুবাস জলে নীচে মেঘ জমেছে আজব।
আজ লুকোনো গন্ধ বিরাগ বশত গোনা রথি
শাড়ির পারে স্বপ্ন মাখে লাল হলুদের আভাস
সেই মেয়েটাই বৃষ্টি দিনে হয়ত কারোর সাথী।

নিরাশ করা আলতো চুলে মুখ ডুবিয়ে দেখি
দুঃখ জমে রুটির সাথে মরিচ পাতায় মিশে
স্মরণ খেলা ছোঁয়ায় প্রেমে শক্ত নাকের বুটি
রাগের শেষে কষ্টগুলো আঙুল দিয়ে পেশে।

আঘাত তবে বুঝতে বোধহয় আগন্তুকের হাসি
মেঘ শুকালে বিষাদ ঠোঁটে রক্ত জমে বাসি।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

গর্জে উঠুক

*গর্জে উঠুক*

যে ভাষা তার ঠোঁটের কোনায়
বিচার করায় বিভাগ থাক
শ্রমের পোশাক আত্মকথায়
মূল্যবোধেই হারিয়ে যাক।

রাস্তা ভাঙে গভীর রাত
শব্দ শিরায় লক্ষ্যভেদ
জিপ টহলে বুলেট মলাট
ডুববে এবার লেখার স্লেট

পায়রা খিদেয় বাতাস ছোটে
মাতৃ দিবস পথিকৃত
প্রসার কেবল শহীদ খোঁজে
বিপ্লবই তার প্রকাশ দিক।

আসবে মানুষ দৃশ্য মোমে
ফুলের ঝাঁকে টগর খেত
বেদির উপর বৃষ্টি ঘামে
আত্মগোপন প্রকারভেদ।।

বর্জ্য তেলে মন ভিজিয়ে
কাগজ ক্রোধে জল ছেঁটাও
ঘুমের ঘোরে মেঘ সাজিয়ে
কামান ঘোড়া রোদ ঝড়াও।

চায়ের কাপে নামলে আকাশ
মুঠোয় থাকে ভোটের স্ক্রিপ্ট
সক্রিয়তার জটিল আভাস
স্বাধীন ভাষাই আমার গিফ্ট।।

আরিয়ান প্রিয়স পাল

সুরজিৎ ঘোষ

*সুরজিৎ ঘোষ*

শেষ ট্রেনটা মিলিয়ে গেলো বাঁকে
ধোঁয়ার সাথে পিষছে ফুলের কানন
বুকের ভেতর মোচড় দেওয়া সাঁকে
স্মৃতির ভাঁজে চললো আমার আপন

কার কাছে তার কথায় গড়া তরী
শালুক,পলাশ,রৌদ্র,মেঘের স্মরণ।
বৃষ্টি তখন সন্ধ্যা জলের কুড়ি,
দু-চোখ ভরা অপেক্ষাতেই বরণ।

স্বপ্ন ঘোরে পেয়েছি আজ তাকে
ছাইদানিতে ধোঁয়ার কাছে সেও।
এতদিনে শরীর দিলাম যাকে,
আঁচল।শাড়ি আমার খুব প্রিয়।

সময় ভুলে মিথ্যে কথার ভ্রমর
ক্লান্ত ঝিলে আছার খেলো জোরে
মৃত্যু গুলোর বুনছে সফেদ কাপড়
স্টেশন শেষে ধোঁয়ার আকাশ জুড়ে ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

সৌরভ(সল্টকিং)

*সৌরভ(সল্টকিং)*

ফুলের কথা চৈত্র মেঘের জ্বরে
খয়েরি মাটি বালির আবির মেখে
ইচ্ছে ছোটে কমলা রোদের পরে
দেওয়াল জুড়ে হাতের ছোঁয়া রেখে।

নরম আলোয় জ্যোৎস্না জোরি ফেলে
ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসির বরিং
ছবির সাথে পাতার দেখার হলে
বটের ঝুরির অডিও ভিশন ফিলিং।

আয়না দেখে চুলের সিঁথে কেটে
জামার ভাঁজে হালকা আতর মাপে,
সময় মতো সেলফি বদন ছেঁকে
দুর্বলতা ক্রিম কেকেতেই ঢাকে।

এমন ছেলের জন্মদিনেও লিখি
বেশ তো লাগে এমন কিছু করে।
কেক তো শুধু বৈধ কিছু স্মৃতি
উপহারে মাখন প্রলেপই নেরে!

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

বাবলি

*বাবলি*

শহরগুলো খুব সাধারণ প্রেম জানে
ক্লান্ত গাছের ফুল ঝরানো সেই ভোরে
আদর শুধু বৈধ খুশির দিন গোনে,
মেঘলা কোন সকাল তারার অন্তরে।

আয়না তোমার পায়ের পাতার স্বপ্নক্ষণ,
রাতের মায়ার খেয়াল পরীর শান্ত চোখ।
সন্ধ্যা হতেই খেলার ছলে আলোক ফোন,
নিভলো প্রদীপ স্পর্শ বোধহয় আগন্তুক।

এবার মাঘে শীত বলেছে চরিত্রহীন
তোমার দেহে অবাক ভ্রমর রাষ্ট্রদূত
মনখারাপের মুখটুকু তার সেই প্রাচীন,
বাতাস তখন স্মৃতি স্মরণ রং মজুত ।

তোমার শাড়ির আঁচল ভীষন মনছোঁয়া
কম্পাসে কি মাপতে পারো ভ্রান্ত দিক।
ইঙ্গিতে সব মান সম্মুখের লোক ছায়া
কথার ফাঁকে মুচকি হাসি আন্তরিক।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

দেবারুন

*দেবারুন*

চিরকুটে তার শতমুখী মেনু
মিছিল জোটের ক্ষতের মতো সেই।
চিনতে বোধহয় আসবে ফুলের রেণু
কাঁচপোকাদের বিভাগ জানা নেই।

মনের কথা না বলাটাই ভালো,
অল্প কিছু দিনের ব্যতিক্রমে।
পাতার সাথে পাতার দেখা হলো,,
টহল দেওয়া চোখের নিয়ন্ত্রণে...

অন্ধজনের ব্যথার গরাদ ভেঙে
শ্রাবণ আকাশ আলোক সজ্জা রত
হিসেবগুলো নৈতিকতা চেনে
বৃষ্টি ফোটায় তারিখ মোছার মতো।

হলুদ মাখা দেহের সাথে জড়িত
রকমসকম গল্প বিচার শুরু
নাকের ডগায় হিংসা মাখা মরিচ
বসত ভাঙে মালসা সমান মেরু।।

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

মৃত্যু আসে শেষ রাতেই

*মৃত্যু আসে শেষ রাতেই*

হয়তো গুনে শর্ত অনেক
সফলতায় ছুটছে সে,
ঠোঁটের দরে গন্ধ হরেক
কাক-কোকিলের স্বপ্নতে।

ভিজছে জলে আগুন আড়াল
স্রোতের সড়ক বৃষ্টির মতন।
আত্মঘাতী,বাজনা বিরল
ভ্রান্তি সুখে সন্ধ্যে পতন।

ফলক টেনে রৌদ্র ঘুড়ির
ইচ্ছে সুতোর খুব কাছেই,
ভরসা প্রকাশ ভাষার ক্ষতির
মৃত্যু আসে শেষ রাতেই।

মঞ্চ তবু ধুঁকছে খড়ে
ঠাওর করার কি উপায়?
গতকালের বিষাদ ঝড়ে
হয়তো তারা থমকে যায় ।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

মেঘলা কোনো দিন

*মেঘলা কোনো দিন*

তোমায় ছাড়া দিন চলে না,রাত হয়ে যায় বিরামহীন,
এমন কিছু হচ্ছে রোজই,নয়তো আজই প্রথমদিন।

ইচ্ছে সুতো ছোঁয়ায় ছবি,স্পর্শে ভাসে সুর,
দোতারাতে জল ভরে যায়,লক্ষ্যে অনেক দূর।

আমার দুজন একসাথে তাই,উজান তরী নাও,
আঁধার সরে মেঘলা ঠোঁটের,স্পর্শ পেতে দাও।

আমার মনের ধাপে বদলে তোমার নতুন ঘর,
এতটুকু আকাশ পেতেই বসলো সে ঈশ্বর।

স্মৃতির জলে ভাসছি আজব,ছটফটিয়ে গায়ে।
চাঁদের আলোয় জ্যোৎস্না পেলে, ভুলতে কে বা চায়।।

চেষ্টাগুলো গন্ধ চিকন,বাস্তবে সব ফলে,
ভিজবে দেহ।আবেগ সাথে,শরীর ইনাম জলে।।

#আরিয়ান প্রিয়স পাল

জয়া দিদি

*জয়া দিদি*

সে দিনের প্রথম আলোয়
কাক ও কোকিলের মধুর
সম্পর্ক দেখে বিজড়
শালিকের ঝগড়া থেমে যায় ।।

সে বৃষ্টির দিনে চায়ের
প্রথম চুমুক দিতে দিতে
বনলতার কথা মনে পরে. . .
ঝড় বৃষ্টি পিছনে রেখে সে
চলেছে স্কুলের পথে।
সে এখন নতুন পরশমণি ।।

তখনও এলোচুলের গন্ধ
মেখে নিচ্ছে মুক্ত বাতাস।

উঠোনের জমা জলে
সমুদ্র নামিয়ে তাতে সাঁতার
শেখার ইচ্ছে মনের মধ্যে ঘুরপাক
খেতে শুরু করে।।

আর সেই একপশলা বৃষ্টি
সমস্ত আকাশকে গাঢ় অন্ধকারে
ঢেকে ফেলে নতুন আকাশের
খোঁজে ফিরে চলে দিগন্তের দিকে।জন্মদিনের প্রথম শুভেচ্ছা জানাতে

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Wednesday, 10 April 2019

ক্যাপশন

লীলাঙ্ক:-
মৌন চোখে রক্ত আদর তফাৎ যেমন সাইরেন,
দেহের ভেতর লুকিয়ে দেহ মনটা বুকের বাইরে।

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...