Monday, 19 November 2018

গতকাল

*গতকাল*

শুরুতেই উতরে দিও না মনের কথা।থমকে
থাকা বিরহের পা ছোঁয় জোনাকির ঝাঁক।
কান্নারা আক্ষেপ রাখে নিহিত  তারের বুকে।
অনেক হেঁটেছি শতক।আজ এটুকুই থাক।।

এরকম হেঁয়ালি শুধু প্রকাশ্যে গোড়ালি সমান।
বাকি টুকু সাক্ষাতেই পরিচিতি হবে!
তোমার দেহের বাইরে যে মনুষ্যত্ব আছে,
সবটাই বিকিয়ে ফেলো না আমোদি উৎসবে।

প্রভাতে পেয়েছি যে চাঁদ,পুরোনো ধাঁচের বন্দরে,
আদুরে মেঘেরা উড়ে গেছে আগেই ।আঁধার হতে কতক্ষণ
পা টিপে টিপে গিয়ে দেখি লক্ষ্মী আসেনি ঘরে
সমস্তটাই আবছা রয়েছে।সুখের দম্পতি গৃহকোন।

যে নদ গেছে মুছে,ভেসেও আসেনি সেই তরী,
সে আছে এখনও বেঁচে।ফিকে  হয়েছে উত্তরী।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সাবমেরিন

*সাবমেরিন*

মধ্যের এই প্রলাপ অনেকটাই অস্পষ্ট ছিলো
সমস্ত প্রকাশ এক সাথে লুপ্ত হয়নি কখনও।
দীর্ঘ জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া পথিক পণ্ডিত পরাণ
ঘরে সদ্য ভেজানো চালে ভাত বসেনি তখনও।।

সে পথ ঘুমিয়ে গেছে আগেই।বাতাস ছুঁয়েছে মাটি।
কোথায় থেমেছে গন্তব্য,আঁধারে ঠাওর করা দায়।
পৌষী শিশির ঢেকে ফেলেছে দুরের বন্দর।
পাতা ঝড়ানো রূপসী আলো, ক্রমশ হারাচ্ছে জ্যোৎস্নায়।।

অবকাশ আছে।তবে বদলে নাও মনের গড়ন,
সবটাই ঘিরে ফেলে আকাশ।অসংখ্য অদৃশ্য কোন।
বৃদ্ধ গাছের সারি,মেপে নিয়েছে মিনারের উচ্চতা
আজ সন্ধ্যার গভীরতাই তাদের সমাপ্তিক্ষন।।

নদীও সাগরের অধীন।বয়ে চলেছে পরস্পরে
অনেক সকালও সুন্দর হয়,জন্ম নেয় নতুন ভোরে।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

প্রথম পুরুষ


*প্রথম পুরুষ*

চোখের পাতার স্থান অস্থির।মুখ ভরা জমাটি বিস্মৃতি।
নিমেষে ফুরিয়েছে গোটা দিন।ঘন ঘন নিঃশ্বাসে।
এবার একটু অন্যরকম ভাবি।সন্ধ্যে নামার রেশ ।
অনেকটা হেঁটে ফেলেছে আকাশ।পরিশ্রমের অবকাশে।।

হালকা মেজাজি মানুষ।ধূসর উসকো চুল ।
মাঝে মাঝে খেয়াল খোঁজে সিগারেটে মুখ দিয়ে ।
কত বসন্ত জমে ঠোঁটে ।কতটা কান্না ভেজে মনে।
সবটাই ক্লান্তি মেখে ফেলে।আবেগের পথ নামিয়ে ।।

তবুও প্রবন্ধের প্রজন্ম আজব।মেরুদন্ড যৌবনে ভাঙে।
সবটাই মুখের প্রলাপ নয়।দিনেরও অস্ত বিকেলে।
তবে তার স্থিতি আসে।হাসির হদিশে ফেরেশতা ।
কথায় কথা সাজিয়ে সময়ও প্রয়োজন গুছিয়ে ফেলে ।

প্রভাতে প্রকাশ হয়,সন্ধ্যা নামে সেই ফের।
আবারও সৃষ্টি হোক,জন্মান্তর পুরুষত্বের।।


@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

ভাগ্যের মা


*ভাগ্যের মা*

ধূলোয় ভেসে যায় ভিন-জাহাজ।ঢেউ জেগে ওঠে
সমুদ্রের বুকে।তবে জল তো প্রাণহীন বস্তুসমান।
অথচ চঞ্চল।তাকে মুষ্টিবদ্ধ ভাবা মুহুর্তের দশা,
আশ্চর্য।জীবেরও প্রাণ সে।গাছেদের জীবিত ভগবান।।

তাকে অবজ্ঞা করা ঘন দুঃস্বপ্ন সমান।অলীক সুখ
বয়ে আনা অতি প্রাচীন মূল্যায়ন।সবটাই একলা সয়।
এক ভাঙা হৃদয় বহন করে সে পথ।সময়ের
অবসানে তারাখসে পরে।দাগ লাগে সৃষ্টির গায়ে।।

সংযোগগুলি সারিবদ্ধ হয়ে ঢেউ গুনে চলে অনবরত ।
পাড়ের দৈর্ঘ্য অঙ্কে বাধা।পাঁচিল ওঠে রাতের মেঘে
সবাই ভারসাম্যহীন হয়।প্রকৃতিকে বহন করে বাতাস ।
যুদ্ধভূমি প্রস্তুত হয় দুরে,ঠিক দিগন্তের গা লেগে।।

এমনও ভ্রমের সংশোধন হয় অদৃশ্য চোখে ,
ছবিরও মৃত্যু ঘটে,অস্পষ্ট দেখায় মৌনবতীকে।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

দিব্যেন্দু


*দিব্যেন্দু*

কপালে বিষাদ।ঠোঁট জোড়া উন্মুক্ত স্মৃতি
যেরকম নদীর পলি সরে,জল এসে জমে।।
মেলে ধরে শৈশব।গল্প জড়ানো আদুরে জেদ
বহুকালের বন্দর এলাকা, উপত্যকায় নামে।।

তেমনই যুবক সে।চোখ ছলছল বিভীষিকা ,
চেনা মানুষের পারাপার ।সাজানো বদনামে।
হাতি ঘোড়া তফাত।কপালে বাদামী টিকা।
চিবুকে মিশুকে প্রেম ।মেরুদন্ড যৌবনে থামে।।

তফাত মেপে দিন কাটে।রাত ভরা
আক্ষেপে বাস নেয় অজানা কক্ষপথ।
সমস্ত কষ্ট একে একে পরখ করে
অঘটন উদ্দীপনা।ফিকে হয় প্রমোদ ।।

অনুভূতি নিশ্চুপ।তবু ক্লান্তিরা স্তব্ধ হোক ।
স্বপ্নরা ফিরে গেলে সৃষ্টি হতো নতুন মোড়ক।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Monday, 12 November 2018

আন্তর্জাতিক


*আন্তর্জাতিক*

আমরা ওপরের চরিত্র দেখে অভ্যস্ত। সত্যি,
সেও সম্পর্ক অস্বীকার করে,প্রতিশ্রুতি রেখে ।
ঘরের দেওয়ালে সহসা মিশে থাকে স্মৃতিপট,
এক একটা বিরহ জবাব খোঁজে প্রশ্নের তারিখে ।।

তাদের ভাষাগুলো ঠাওর করেনি মুক্ত বাতাস
জানলার কাচে কুয়াশা মাখানো অদ্ভূত সংকেতি,
দফতরে বিক্ষোভ জমেছে রোজের মতো।
কে বোঝাবে অভিনেতা ও অভিনয়ের মানে কি?

আগুন,সেও আজ বাছবিচারী।জায়গা মেপে দেখে ।
জন্মান্তর শেষে ফেলে রাখে ছাইরাশি।অভিযুক্ত আলপিন
সমস্ত বিষয় নখদর্পনে রাখে।অযথা বিলম্ব না-করে
আবার ফিরে আসে শৈত্য পসরা নেওয়ার দিন ।।

তবুও কথায় মিশবে প্রলাপ।সেটুকু সামলে নিও।
আঘাতের মৃত্যু হলে,সে-কদিন কবিতার ছুটি দিও।।

@আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...