Monday, 30 July 2018

ভিঞ্চি

*ভিঞ্চি*

অদ্ভুত তো!
সে মানুষ ইচ্ছে খুঁটে খায়,

জন্মগত স্বভাব,
মেঘের সাথে হারিয়ে যাবে তাই,
গ্রহদের বুকে বৃষ্টি হতে চায়।

লিপস্টিকে তার শরীর ভেজায়,
ঠোঁট কাছে রক্ত সেঁকে,
পাথরে পাথরে আঘাত করে,
লোডশেডিংএ স্বপ্ন চাঁদে
কাপড় মেলে দেয়।

Saturday, 28 July 2018

পদ্মাকাশ

*পদ্মাকাশ*

একদিন মনে হতো জলের মত তুমি,
সকালের সূর্য কিরণের প্রথম বিভা,
অথবা ভোরের প্রথম ফোটা ফুল,
_ দুপুরের আলসেমি ছায়া. . .

আমি সহস্র পথ পেরোতাম
তোমার হাত ধ'রে।
অবশিষ্ট পুকুরের পদ্ম কুঁড়ি তুমি,
রাতের প্রথম জ্যোৎস্না,
অবিকল তোমার মতো।

নির্জন জলে ঢেউ ফুলে উঠছে,
পরস্পর এগিয়ে চলছে অলোর ভিতরে...
নিজের শরীরে বালির পলি মেখে ,
পুনরায় ফিরে যাবে অদৃশ্য পাড়ের দিকে।

এক পৃথিবী স্বপ্ন মাখে গোধূলি বিকেলে
এক নীলাকাশ চুমু খায় মাটিতে. .

ক্রমশ আঁধার ঘনিয়ে এলে
তারা জলে ভিজে যায়।

তোমার বুকে পরে আছে
রক্ত নিপতিত গ্রহ-তারা,
তোমার বুকে রয়ে গেছে কোন বসন্ত বিকেল,
আধ ফালি চাঁদ
তার থেকে নিংড়ে নেয়
সর্পিলা লতা বিহীন বিশ্বাস. .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Wednesday, 25 July 2018

নগরী

*নগরী*

ভীষণ গুমোট,জমাট কাদা,একলা যেতে পারি ,
অন্ধকারে যায় না চেনা গ্রন্থ কীটের বাড়ি।।

শরীর যখন ভিজছে তোমার একটু হতাম আপন
দীর্ঘ পথের অনেক কথা আজ কেন তা গোপন?

হারিয়ে যেতে বেশ লেগেছে তৈরি প্রাসাদ তোমার
নগ্ন শহর মিথ্যে হাসি অভিযোগের বাহার।।

নতুন কিছু হয়নি যখন একটু ভালোবেসো,
দীর্ঘ সময় একাকীত্ব সব ছেড়ে আজ এসো! !

বন্ধ ছাতা, শুকনো ধুলো,নীরব খেলার মাঠ,
পড়াশোনা উঠল লাটে তৈরি প্রেমের পাঠ. . . .

# আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সোজাসাপ্টা

*সোজাসাপ্টা*

সরলীকরণ বক্তব্যে যদি নিজেকে প্রকাশ করা হতো,
এক-দুই-তিন রাতই যথেষ্ট ।
তিন রাতের স্বপ্ন গুলোকে এক জায়গায় দাঁড় করালে
চরিত্রের মানহানি শুরু হয়ে যায়. . .
প্রতিটা রাতেই স্বপ্নে কোন রমণী এসে মনে জায়গা নেয়. . .
ঠিক বিছানায় মিশে যেতেই কোথায় হারিয়ে যায়. . .
আমি চমকে তাকিয়ে
দেখি নোনা দেওয়ান বেয়ে কত ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।
এক কাঠ পিঁপড়ে সাঁতরে সাঁতরে ওপরে উঠছে।
বাইরে আধ ফালি চাঁদ,
তার ম্লান হাসি নিয়ে ঘরে ঢুকেছে,
কোন প্যাঁচার সামান্য ডাক কানে ভেসে আসছে. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

স্যাঁতস্যাতে

*স্যাঁতস্যাতে*

ভীষণ গুমোট,জমাট কাদা,একলা যেতে পারি ,
অন্ধকারে যায় না চেনা গ্রন্থ কীটের বাড়ি।।

শরীর যখন ভিজছে তোমার একটু হতাম আপন
দীর্ঘ পথের অনেক কথা আজ কেন তা গোপন?

হারিয়ে যেতে বেশ লেগেছে তৈরি প্রাসাদ তোমার
নগ্ন শহর মিথ্যে হাসি অভিযোগের বাহার।।

নতুন কিছু হয়নি যখন একটু ভালোবেসো,
দীর্ঘ সময় একাকীত্ব সব ছেড়ে আজ এসো! !

বন্ধ ছাতা, শুকনো ধুলো,নীরব খেলার মাঠ,
পড়াশোনা উঠল লাটে তৈরি প্রেমের পাঠ. . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Tuesday, 17 July 2018

দ্বিতীয় আম্রমাধুরী

*দ্বিতীয় আম্রমাধুরী*

মিনারের স্তম্ভগুলো ক্রমশ
মাথা উঁচু করে আকাশ ছুঁতে চায়,
শহরের তিলোত্তমা বধূ সাজে এক রাতের বাসরের অতিথি।

ভিজিয়ে ফেলেছে নোঙরে;
আহত তার গোলাপী আবরণের গভীরতা. .
আমার আরো কিছু হাতের প্রয়োজন-তার শরীর ছুঁতে।

সবুজ পেনে এঁকে
নিয়েছি তার নাভি ঘিরে,
কামস্বপ্নে উষ্ণ চুম্বনে তাকে
হিংস্র করে ফেলি।
নগ্ন তিলোত্তমার দেহের
আগুনে নিশুতি রাত
হস্তমৈথুন করে
বীর্য ফেলে নদীর জলে।

একে একে সমস্ত শরীর গর্জে ওঠে ,
জাপটে ধরে পিঠে নখের আঁচড়ে রক্ত মাখায়,
সমস্ত ঘরে বিদ্যুৎ বেগে অদ্ভুত রোমাঞ্চ ভরে যায়. . .
আমি ধীরে ধীরে তিলোত্তমায় বন্দি হয়ে পড়ি।

অন্ধপ্রেম দিয়ে তার কাঁধে অন্তর্বাস চুমুতে শিহরন জাগিয়ে তুলি,
ভরা কোটাল বুকে তৃষ্ণার্ত ঘাম  চুঁইয়ে নাভি স্পর্শ করে তখন!

আর আমি সমস্তটাই স্বপ্ন সেল্ফে আবদ্ধ করে ফেলি
তার অজান্তেই. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অতিথি



*অতিথি*

এখনো ঘুমের বড়ি রাত কেড়ে নেয়,
মুছে ফেলে স্মৃতির প্রেম হারানো চিলেকোঠায়,
এক-দুই-তিন রাত্রি গোনা শেষ
মুছে নাও চাদর দিয়ে জ্যোৎস্না ঝলক আলো,
শরীর জুড়ে লাল লাল ছোপ
হয়ত এটাই প্রথম ধাপ
রেখেছো মুঠোর নোটে, কিনেছো শরীর
নষ্ট দোষে।
আমি তোমার এক রাতের ভ্রমর অতিথি . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Thursday, 12 July 2018

হতভাগ্য


*হতভাগ্য*

তোমার ছিলো সুখেরই দিন
কথায় তাকে বুঝিয়ে দাও-
আমার লেখা ধরলে মনে
লেখার দরে বিকিয়ে দাও।

শহরটা আজ খুব অচেনা
ভাবলে হতো ভীষণ ভয়
পিশাচ প্রেমী রাস্তাগুলো
রক্ত মেখে হচ্ছে ক্ষয়।

তোমার ছিলো বিলাস জীবন
তখন আমার কলেজ শেষ
চাকরি খুঁজি কপাল দোষে
ঠোঁটের কোনায় জমাট ক্লেশ ।।

অজান্তে আজ খুব সজোরে
পুঁতলে শরীর কবর খুঁড়ে. .
হাতটা ধরে চলবে বলে
ফেললে ছুঁড়ে আস্তাকুঁড়ে

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

Tuesday, 10 July 2018

ছড়ার মতো

*ছড়ার মতো*

তর্কের শেষ নেই
কোথায় কি হচ্ছে !
সব তবে বুঝে নাও
কবিরা ঘুমোচ্ছে ।

চলো না হারিয়ে যাই
মেঘেদের পার ঘেঁষে
যেখানে চাঁদ তারা
মিছিমিছি যায় আসে।।

এখানে ঠোঁটের প্রেম
লিপস্টিকে শুকোচ্ছে,
আঁচলে উমার কাজ
বিছানায় লুটোচ্ছে।।

পাখিরা বিরামহীন
ফুলেরা তটস্থ ।
রেণু কি তাদের হয়
গাছেরা বিরক্ত।।

রাস্তা একার নয়
ছেলেটা লুকোচ্ছে,
জোরে তো হাক দাও
কবিরা ঘুমোচ্ছে ।।

বসেছে অতীত খেল
সময়ে অনেক দাম,
শরীরে মিশে গেলে
আমিও কি ফিরতাম।।

সকালে এমন হোক
চায়েতে চিনির নাম,
খবরে কাগজ শেষ
কবিতাকে লিখতাম. . . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

হয়তো

*হয়তো*

বাতাস বয়ে চলেছে ক্ষেতের বুকে,
সেই ঠিকানায় যেখানে গোলাপি রঙে ছোটে।

আমি বারান্দায় অপেক্ষা করি কি কি নিতে পারে নিক -

তোমার এলো চুল মুখে ঝাপটা মারে খুব।

রূপলী সুবাস ছুটে চলেছে দিকবিদিক,
কাছে গিয়ে ছুঁয়ে হারিয়ে যাবে ঠিক. . .

বেলা পড়েছে মাঠে,কোপাই নদীর তীরে,
যেখানে সূর্য রাখে অস্ত সুখ,
যেখানে শ্রমিকের দিনের দামে পকেট ভারি. . .
যা ওরা নিচ্ছে নিক!

তার ঠোঁটের রঙে রাস্তা সাজে,  হেঁটে যায় চেনা পথিক. .

মাথার ওপর আকাশে তখন মেঘ সাজানো দশদিক. . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

বাবাকে

 *বাবাকে* রাত ঘুমের ওই বদ্ধ সোনার গাছ, এদিক ওদিক  রাস্তা ছায়া মেঘ। আমি ভাবি এসব কেনো আজ- মনের গায়ে শত রকম ছেদ। জানি তুমি খুব কাছে নেই ভালো, ...