ঝিলিক

*ঝিলিক*

কোন খেয়ালী আদতে,
মনের উদ্দীপনায় সামান্য লজ্জিত দুটি চোখ।
এবার মিশুক শান্ত অলকানন্দার জলে,
বুদবুদে বেজে উঠুক গিটারের ধ্বনি!
গান ধরুক সাঁঝের আকাশ!
সেই অপূর্ব আলোর ধোঁয়ায়,
তোমার ওড়না ভেসে উঠুক রামধনুর রঙে।
যেখানে সন্ধ্যা পাখির দল একে একে মৃত্যু শয্যায় ঢলে. . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

অমরত্ব

*অমরত্ব*

জ্যোৎস্না মূখী চাঁদের হাট আর রক্ত চোষা চুল্লি পেরিয়ে
যে মুহূর্তেরা ধাপে ধাপে এগিয়ে আসে সূর্যাস্ত পথে, তাদের শরীরের ঘাম থেকে চিকচিকে মুক্ত জন্মায়।

বিক্ষত গিটারের তারে সুর চড়ে বসলেই শরীরের শিরদাড়াগুলো একে অপরকে ধাক্কা মারতে শুরু করে।

গভীর যন্ত্রণাগুলো মস্তিষ্ক দেহের বিভেদ দেখায় ট্রেনের বিভক্ত কামরার মত।

এক সমুদ্র ঘুম আস্ত সূর্য গিলে দুপুরের আকাশ ভেঙে মধ্য রাত্রি নামায়।

বৃষ্টির জলে ইমারত গলে যায়,
তাতে সর্পিল জিহ্বা গোটা আমাজন আহূতি দেয়।

স্পর্শ গুলো তুলো জটে শুকিয়ে যায়।
দিকে দিকে একটা দিনের শেষ হয়. . . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

সিঁদুরে মেঘ

*সিঁদুরে মেঘ*

আমাকে খুঁজতে এসেছো সে নীল মেঘের আড়ালে ৷

সেখানে আমার দেহ রয়েছে
অনন্ত শয্যায়,প্রদীপ শিখার মত জ্বলছে৷

সে এলোচুলের শিকার আমি৷
সামান্য অভিনয় বুঝিনি তখনও ৷

তখনও সিলিং-এর রক্ত চুইয়ে পড়ছে,
মনে ফুটে উঠেছে সেদিনের স্লাম হাসিটুকু

রোদের ঝলসা আলো আমার শরীর শুকিয়ে তুলেছে, যন্ত্রাংশগুলো সেদ্ধ হচ্ছে আরো ৷

বারে বারে ঝাকিয়ে দেখছো আমায়৷
ঘন ঘন আঘাত করছো বুকের ওপর৷
ভিজিয়ে ফেলছো তোমার সিঁথি৷সে সিঁদুরের চেয়েও লাল৷

"শান্ত হও দেবাজ্ঞনা৷বুঝতে চেষ্টা করো৷এ ধড়ে প্রানহীন৷আমি তো মৃত ৷৷"

©আরিয়ান প্রিয়স(পাল)

না-হয় তুমি

*না-হয় তুমি*

তোমার রূপের কদর হোক-না হোক
স্বপ্নে ধূলো উড়িয়ে গেছো নিজেই।
আজ যারা তার শব্দগুলোর বাহক
তারা তৈরি হত রক্তাক্ত  সাজেই

না-হয় তুমি থাকলে কিছু পেতে
যেমন করে গল্প আদর পায়,
স্মৃতির কাছে বলতে যদি যেতে
মুহূর্ত যে ইচ্ছে খুঁটে খায়।

সেই-যে গেছো তাকাওনি তো আর
হয়নি তখন নতুন কোন ভোর।
দিক চলে যায় নিজের মতো তার,
থমকে আছে চোরা গলির মোড়।

তোমার নামে চর্চা হতো ঠিক
সেই কথাটা লেখায় বুঝে যেও
বুকের ভেতর বাঁক-খুঁজে সে নিক,
এর থেকে তো  রাত্রি হওয়াই শ্রেয়. . .

#আরিয়ান প্রিয়স(পাল)